ভিন্ন মায়ের মুখ

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Wed, 07/11/2012 - 3:34am
Categories:

আজাদের মা
১৯৮৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আজাদের মা। তার ঠিক ১৪ বছর আগে ৭১ এর আগস্টে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পরে আজাদ। এই পুরা ১৪ বছর আজাদের মা ভাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। কারণ শেষ দেখার সময় আজাদ তার কাছে ভাত চেয়ে পায়নি। ১৪ বছর কোন বিছানায় ঘুমাননি, তার ছেলে মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি বলে।

ইয়াসিন এর মা
সারাহ ইগে তার সাত বছর বয়সী পুত্র ইয়াসিনকে হাফেজ বানাতে চেয়েছিলেন। টার্গেট ছিল প্রতি তিনমাসে ৩৫ পাতা করে মুখস্থ করানো। ইয়াসিন এক বছরে মাত্র এক অধ্যায় শেষ করতে সক্ষম হয়। হতাশ হয়ে মাঝে মাঝে লাঠি দিয়ে মারতেন তার মা। বেশী ক্ষেপে গেলে জুতা, ছোট একটা হাতুড়ি দিয়ে মারতেন। মাঝে মাঝে ঘুষিও চলত। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ইয়াসিন এর মৃত্যু হয় আগুনে পুড়ে। শুরুতে দুর্ঘটনা ভাবা হলেও পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে তার মৃত্যুর জন্য তার মা দায়ী। তার মা এককথা স্বীকার করলেও বলেছেন আসলে এজন্য শয়তান দায়ী। তার ভাষ্যমতে শয়তান তাকে প্ররোচনা দিয়েছে সন্তানকে মারার জন্য। সেটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর কখনো নিজ সন্তানকে হত্যার পরামর্শ দেয়না। শেষবার ইব্রাহিমকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইসমাইলকে হত্যার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুম্বা এসে গলা পেতে দিয়ে জানটা বাঁচিয়েছিল।

অতুলের মা
সাতব ছরের অতুলকে বাঘে তুলে নিয়ে যায়। মা ক্ষেতে কাজ করছিল। কাস্তে হাতে বাঘের পেছনে ধাওয়া করেন তিনি। তাও আবার যেনতেন বাঘ না, চিতাবাঘ। উসাইন বোল্টও চিতাকে ধাওয়া করে ধরতে পারবে কিনা জানিনা। কিন্তু অতুলের মা পেরেছিল। এক পর্যায়ে ভয়ে অতুলকে মুখ থেকে ফেলে পালায় চিতা

আনুশা এর মা
কাশ্মীরের বাসিন্দা পনের বছর বয়সী আনুশা। এক মোটরসাইকেল আরোহী ছেলের দিকে পরপর দুইবার তাকানোর কারণে তার বাবা তাকে প্রচণ্ড মারধর করে। তারপর তার মা তার গায়ে এসিড ঢেলে দেয়। দুইদিন এভাবেই ফেলে রাখা হয় আনুশা কে। তারপর যখন হাসপাতালে নেয়া হয় তার শরীরের বেশীরভাগ পুড়ে গেছে। ফলাফল মৃত্যু। তার মা এসিড নিক্ষেপ করাটা ঠিক হয়নি, আর কখনো এমন করবোনা বলে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সাথে এও বলেছেন, ওর নিয়তি ছিল এভাবে মরা। It was her destiny to die this way.

আমার মা
আমার বড় ভাইয়ের জন্ম ৭১ এর ২৭শে মার্চ। মোটামুটি ভয়ঙ্কর অবস্থা। মা ভাইকে নিয়ে সাইরেন বাজলেই ঘর ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মাটির গর্তে গিয়ে লুকাতো। নানী বারবার সাহায্য করতে চাইলেও মা নাকি ভরসা পেত না। দুইহাতে ভাইকে আঁকড়ে ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু পরিমাণ কাদাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকতো। তারপর দুই মাসের ভাইকে কোলে নিয়ে সড়কপথ, জলপথ, হাঁটাপথ সব মিলিয়ে ঝিলিয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নেয়া। বড় ভাইয়ের উপর ক্ষেপে গেলে আম্মা বারবার এক রাতের গল্প শুনাত। শীতের এক রাত। গ্রামে যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে বিছানা বালিশ এর ঠিকঠিকানা নেই। মাঝরাতে মা হটাত খেয়াল করলো ভাই বিছানার একপাশ ভিজিয়ে ফেলেছে। তাকে সরিয়ে অন্য পাশে শোয়ানো হল। একটু পরে সেই পাশও ভিজিয়ে ফেললো ভাই। ভাইকে নিজের বুকে শুইয়ে রেখে বাকি রাত শেষ করলো মা। ছোটবেলায় যতবার এই গল্প শুনেছি এর মর্মার্থ মাথায় ঢোকেনি। বরং বড় ভাই বারবার বিছানা ভেজাচ্ছে এটা শুনে হা হা হি হি করে কুল পেতাম না আমরা।

সাফিলিয়ার মা
২০০৩ সালে সতের বছর বয়সী সাফিলিয়া তার বাসা থেকে হারিয়ে যায়। ছয় মাস পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায় কেন্ট নদীতে। সাত বছর পর তদন্তে সত্য বের হয়ে আসে। ইউকে তে বড় হওয়া সাফিলিয়া পশ্চিমা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে চাইত। পশ্চিমা চালচলন, পোশাকআশাক আর বাবা মায়ের পছন্দে বিয়েতে রাজী না হবার কারণে সাফিলিয়ার উপর নির্যাতন চলত। অবশেষে কমিউনিটিতে নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য সাফিলিয়ায়াকে তার বাবার সহায়তায় মুখে প্লাস্টিক ব্যাগ চেপে ধরে হত্যা করে তার মা। তারপর লাশ ফেলে দিয়ে আসে নদীতে। সাক্ষী দেয়ার সময় সাফিলিয়ার ছোট বোন বলে, প্লাস্টিক ব্যাগে মুখ চেপে ধরার পর তার মা উর্দুতে তার বাবাকে নির্দেশ দিয়েছিল "এখানেই একে শেষ কর" বলে।

কাকের মা
আমাদের বাসার পিছনের আমগাছে কাক একবার বাসা বেঁধে মহা ঝামেলা শুরু করলো। আম পাড়তে গেলে কা কা কি কি করে চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলত। তবে ওই ওয়ার্নিং পর্যন্তই। আমরা খুব বেশী কাছে না গেলে তেমন একটা ঝামেলা করতো না। আমরা আম টাম পেড়ে নিয়ে যাবার সময় কক্ক কক্ক করে একটা বিরক্তিসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। ভাবখানা যে এইবারের মতো মাফ করে দিলাম। বরং সুবিধাই ছিল এটা একটা। কেউ আম চুরি করতে আসলে আমাদের কাকেরা অ্যালার্ম সিস্টেম হিসেবে কাজ করতো। কা কা শব্দ শুনলেই আমরা আমগাছে দৌড়ে যেতাম চোর ধরার জন্য। কিন্তু একদিন বাচ্চা দেয়ার পর কাকের মায়ের চেহারা পাল্টে গেল। ধারে কাছে ১০ ফুটের মধ্যেই গেলেই সে কি তার রুদ্রমূর্তি। আমি একদিন একটা রাম ঠোকর খেয়ে পালিয়ে আসলাম। বাচ্চা বড় না হওয়া পর্যন্ত সে একাই আমাদের আম গাছের ধারে কাছে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছিলো।

পরিশিষ্ট
একজন ভালো মানুষ হবার জন্য একটা মানুষের অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। কারো শিক্ষা, কারো ধর্ম, কারো অন্য ভালো মানুষের সঙ্গ। তবে একজন ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে। তবে একজন খারাপ মা হবার জন্য কি প্রয়োজন সেটা ভাবি।


Comments

মেঘা's picture

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

হিমু's picture

গুরু গুরু
গুরু গুরু
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কড়িকাঠুরে's picture

বলার কিছু খুঁজে পাচ্ছি না... গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আমিও না

মেঘা's picture

দুটো কথা বলার আছে এখানে। মা কেমন হবে সেটা সে মানুষ হিসেবে কেমন তার উপর নির্ভর করে প্রথমে। কিছু কিছু মানুষ খুব মমতাময়ী আর কেউ কেউ সেটা হয় না। যারা আসলে মমতাময়ী না তার এর তার দোহাই দিয়ে এমন কাজ করতে পারে। আমাদের সবার আগে মানুষ হতে হবে।

দ্বিতীয় কথা, আমাদের বাসার পাশের আম কাছে একটা কাক ফ্যামিলি প্রত্যেকবার বাসা বানায় আর বাচ্চা দেয়। যতদিন এই কাক মার বাচ্চা বড় না হয় ততদিন আমাদের বারান্দায় যাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে পারলে ভয় দেখায় ইয়ে, মানে...

লেখা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। আজকে মন খুব খারাপ ছিল ভাল লেখা দিলে কি হতো?

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস's picture

মন ভালো করার লেখা দেয়ার চেষ্টাই তো করি সবসময়

সাফিনাজ আরজু 's picture

বলার মত কিছু খুঁজে পেলাম না !
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আমিও উত্তর কি দিবো বুঝতেহি না

আরিফিন সন্ধি 's picture

আপনার লেখার ভক্ত আমি প্রথম থেকেই হাসি । এই লেখাটা পড়ে এই মাঝরাতেও মনে হয় মায়ের সাথে দেশে ফোন করে কথা বলি মন খারাপ

চরম উদাস's picture

বলেন, যখনই সময় পান বলেন।

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

কয়েকদিনের নিউজ পড়ে আপনার 'পরিশিষ্ট'র মতই ভাবছিলাম। আপনি সব বলে দিলেন। আপনি নমস্য গুরু গুরু গুরু গুরু

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস's picture

লেখা নিজে আসলে কিছু তেমন লিখিনি। নিউজগুলা পরে অশান্তি লাগছিল, সেই নিউজগুলাই তুলে ধরেছি।

তাসনীম's picture

গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সত্যপীর's picture

সাবাস চলুক চলুক গুরু গুরু

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনার্য সঙ্গীত's picture

অসাধারণ!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস's picture

হুম

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু's picture

শেষ বাক্যটার জন্য গুল্লি

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক's picture

ছোটবেলায় মা রচনার সূচনায় পড়ছিলাম, "মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।"
মাঝেমধ্যে আসেপাশের মা দের দেখলে মনে হয় ভাল মা হবার জন্য আসলে পরিশ্রমের দরকার নাই, মা দের ভাল হওয়াটা উইন্ডোজের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মত ডিফল্ট। ভাল হবার জন্যই তাঁদের জন্ম।
তবে খারাপ মা হবার জন্য ব্যাপক সাধনার দরকার।

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

--বেচারাথেরিয়াম

চরম উদাস's picture

সব রেখে উইন্ডোজের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের উদাহরণ দিলেন?? দুনিয়ার সবচেয়ে বিখাউজ জিনিস খাইছে

হাসান's picture

নাহ। টুপি খুলতেই হচ্ছে। আপনি দারুণ লেখক। সাধারণত আপনার লেখা পড়ি হাসার জন্য, তবে দেখা যাচ্ছে "সিরিয়াস" লেখাতেও কম যান না আপনি।
খারাপ মা হতে কি দরকার আমি জানি- ধর্ম। শোনেন নাই: For a good person to do completely evil things, it takes religion.

আবছায়া's picture

কথা সত্য, তবে দোষ শুধু ধর্মের ঘাড়ে চাপালেও ভুল হয়। এই বছরের ই একটা আলোচিত সংবাদ ছিল মায়ের প্রেমিকের হাতে সন্তান খুন হওয়ার ঘটনা।

চরম উদাস's picture

আসলেই হয়তো দোষ ধর্মের কাঁধে চাপান ঠিক না সবসময়। কিন্তু ইদানিং অনেকসময়ই ধর্ম ধারালো অস্ত্র হয়ে উঠছে অনেকের হাতে পড়ে। কিভাবে সেটা ঠেকান সম্ভব আপাতত জানা নেই।

রংতুলি's picture

প্রকৃতির দেয়া সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ গুরুদায়িত্বটি হলো 'মা' হওয়া। আফসোস, এটা কাকেরা জানলেও অনেক মানুষই তা জানে না! চলুক গুরু গুরু

ধুসর জলছবি's picture

চলুক

Parveen Sultana's picture

মা এর জন্ন গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

সেটাই

অমিত's picture

অসাধারণ

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

তিথীডোর's picture

গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সায়ন's picture

গুরু গুরু
গুরু গুরু
গুরু গুরু
অসাধারণ!

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

অতিথি লেখক's picture

সন্তান- তা সে যতই বোঝা হোক মায়ের কাছে তার ভার কিন্তু বেশী না। অথচ অনেক মাকেই দেখেছি সন্তানের ভার সে সহ্য করতে পারছে না। অনেক মা কে দেখেছি নিজের একটু ব্যক্তিগত সময় বেশী পাবার জন্যে সন্তানের প্রতি উদাসীন হতে। এতে সেই সন্তান কখন যে তার থেকে অনেক দূরে সরে গেছে তা হয়তো জানার ইচ্ছাটাও সেই মায়ের নেই।

এদের দেখে মাঝে মাঝেই আপনার শেষের লাইনটার কথা ভাবি।

লেখায় হাততালি

ভালো থাকবেন উদাস দা।

অমি_বন্যা

চরম উদাস's picture

চলুক

garnet's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শিশিরকণা's picture

অশিক্ষা কুশিক্ষার শক্তি দেখে আজকাল ভীত হই, এরা মাতৃত্বের মত প্রাকৃতিক ব্যাপারকেও কলুষিত করে ফেলছে। কিছু মানুষকে দেখলে কেবল জম্বি মনে হয়, যাদের মাথার ঘিলুটা কেউ ছিবড়ে খেয়ে ফেলেছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

আবছায়া's picture

চলুক

চরম উদাস's picture

চলুক

কুমার's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

আয়নামতি's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাকী's picture

আমার মা বলেন, আমি সেই ছোটবেলা থেকে নাকি মা'কে শুধু জ্বালিয়েই এলাম। গ্রামে বাড়ি, স্কুলে থাকা অবস্থায় ছেলেদের সাথে মিশতে মানা করতেন, সারাজীবন আমার ছেলেদের সাথেই বন্ধুত্ব বেশি হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার পর জোর কের নামাজ শেখালো, আমি কোনমতে শিখে দে দৌড়। কোরআন পড়ানোর জন্য মাস্টার রাখলেন, প্রথম ধাপই পার হতে পারিনি। বলতাম, ধূর মানে বুঝিনা, খটমট শব্দ পড়তে ভালো লাগে না! মা আমার ইহকাল পরকাল নিয়ে চিন্তা করে কূল-কিনারা করতে পারতেন না, আজও পারেন না। সত্যি!! অনেক জ্বালিয়েছি মা। স্থিরভাবে কিছু চিন্তা করতেই দিইনি। তারপরও আমি আমি আমার মা,র চোখের মনি, আদরের ধন। মা কি করে খারাপ হয়??????

চরম উদাস's picture

সেটাই, কি করে খারাপ হয় সেটা জানা নেই।

নীড় সন্ধানী's picture

..................চরম উদাসের একদম অন্যরকম একটা লেখা!!! চলুক
'খারাপ মা' বলে কোন শব্দ কি আছে? আমার ধারণা নেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস's picture

আমারও নেই

আমি অমিত's picture

শালার পাকির "মা" গুলাও এত্ত ডেঞ্জারাস। লেখা খাশা, শেষের লাইনটা উত্তম জাঝা!

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এরিক's picture

লেখাটা অসাধারণ লাগলো

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

সবজান্তা's picture

ছোটবেলায় শোনা প্রবাদ 'কুপুত্র যদ্যপি হয়,কুমাতা কখন নয়'; কে জানে কোনটা ঠিক...

তবে তিনটা নেগেটিভ ঘটনাতেই একটা সাধারণ প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে- নিশ্চয়ই সেটা সবার চোখেই পড়েছে। একজন ধার্মিকের বদলে একজন মানুষ হোক সবাই, এইটা আশা করা ছাড়া আর কিছু বলার নাই।

লেখা অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

এই সাধারণ প্যাটার্নটার বাইরে অন্তত আরো একটা প্যাটার্ন আমরা দেখেছি। যেমন এই খবরটা। এটা নিয়ে মনামীর একটা গল্পও আছে। মীরপুরে ঘটা অমনই আরো একটা ঘটনার কথা মিডিয়াতে জেনেছিলাম যেখানে প্রেমিকের সাথে শয্যায় মা'কে দেখে ফেলার অপরাধে দুই শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেখানে এক ভাইয়ের পর আরেক ভাইকে মারার মাঝখানে আবার একটা 'মৈথুনের জন্য বিরতি'ও ছিল।

এতো কিছুর পরও আমি কোন 'কুমাতা' দেখতে পাই না - কেবল খারাপ মানুষ দেখতে পাই। এটা আমার সীমাবদ্ধতা হতে পারে। আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমতের কথা বলি, এটা সমর্থন না করার অধিকার সবার আছে। ব্যক্তি হিসাবে সীমাবদ্ধতায় একজন নারী অসৎ, নিষ্ঠুর, অবিবেচক, নৃশংস, অমানবিক, ইতর - যে কোন কিছু হতে পারে। সেটা সেই নারীর ব্যক্তিসত্ত্বাকে কলুষিত করে কিন্তু সেটা তার মাতৃসত্ত্বাকে কলুষিত করে না। ব্যক্তি নারী যখন এতোটাই অমানুষ হয়ে যায় যে তার পাশবিক প্রবৃত্তি মাতৃসত্ত্বাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন সে অমন কিছু করতে পারে। ততক্ষণে তার ভেতরের মাতৃসত্ত্বার মৃত্যু ঘটে, ফলে সে গর্ভধারিনী হয়েও ঐ সন্তানের আর 'মা' থাকে না। ধর্ম-কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যের প্রভাবে অমন কিছু করে থাকলে বোঝা যায় সে প্রথমে মাতৃত্ব তারপর মনুষত্ব হারিয়ে ছিল।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

চরম উদাস's picture

চলুক

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফ্লাইন)'s picture

মন খারাপ

চলুক চলুক

কামের কারণে প্যাটার্নটার উদাহরণ ভুড়ি ভুড়ি আছে।

আবছায়া's picture

Quote:
ব্যক্তি নারী যখন এতোটাই অমানুষ হয়ে যায় যে তার পাশবিক প্রবৃত্তি মাতৃসত্ত্বাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন সে অমন কিছু করতে পারে। ততক্ষণে তার ভেতরের মাতৃসত্ত্বার মৃত্যু ঘটে, ফলে সে গর্ভধারিনী হয়েও ঐ সন্তানের আর 'মা' থাকে না। ধর্ম-কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যের প্রভাবে অমন কিছু করে থাকলে বোঝা যায় সে প্রথমে মাতৃত্ব তারপর মনুষত্ব হারিয়ে ছিল।

সহমত পান্ডবদা।

সবজান্তা's picture

হ্যাঁ, আপনি যে প্যাটার্নটা বললেন সেটাও পত্রিকায় চোখে পড়েছে- আমি শুধু সম্প্রতি চোখে পড়া খবরগুলির ব্যাপারেই বললাম।

আমার মনে হয় না এটা সীমাবদ্ধতার কিছু, পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে আপনি মাতৃত্বকে কীভাবে ডিফাইন করবেন। আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন, সেভাবে দেখলে 'মা' শব্দটার আলাদা একটা তাৎপর্য সৃষ্টি হয়। গর্ভধারিনী আর মা শব্দ সমার্থক থাকে না (এবং সেটাও সম্ভবত একটা সঠিক চিন্তা)- সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কুমাতা কখনো হতে পারে না।

যেখানে জীবজগতের নিচু বুদ্ধিমত্তার প্রাণিদের মধ্যেও মাতৃত্বের অনুভূতি এতো প্রকট, সেখানে মানুষের মতো সংবেদনশীল এবং বুদ্ধিমান একটা প্রাণি কীভাবে এমন কাজ করতে পারে ? মানসিক অসুস্থতা ছাড়া তো আর কোন কারণ মাথায় আসে না। চরম উদাস ভাই যে কটা নেগেটিভ ঘটনা বর্ণনা করলেন, সেগুলি দেখলে অবশ্য অসুখ খুঁজতে যেয়ে সেই কেষ্টা ব্যাটার দিকেই আঙ্গুল তুলতে হয়। যাই হোক, এই আলাপ বাদ দেই, এইটা হয়তো পোস্টের থীমের সাথে মানানসই আলোচনা না।

ধন্যবাদ পাণ্ডবদা, এতো বিশদ এবং চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ধুসর জলছবি's picture

Quote:
ব্যক্তি হিসাবে সীমাবদ্ধতায় একজন নারী অসৎ, নিষ্ঠুর, অবিবেচক, নৃশংস, অমানবিক, ইতর - যে কোন কিছু হতে পারে। সেটা সেই নারীর ব্যক্তিসত্ত্বাকে কলুষিত করে কিন্তু সেটা তার মাতৃসত্ত্বাকে কলুষিত করে না। ব্যক্তি নারী যখন এতোটাই অমানুষ হয়ে যায় যে তার পাশবিক প্রবৃত্তি মাতৃসত্ত্বাকে ছাপিয়ে ওঠে তখন সে অমন কিছু করতে পারে। ততক্ষণে তার ভেতরের মাতৃসত্ত্বার মৃত্যু ঘটে, ফলে সে গর্ভধারিনী হয়েও ঐ সন্তানের আর 'মা' থাকে না। ধর্ম-কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যের প্রভাবে অমন কিছু করে থাকলে বোঝা যায় সে প্রথমে মাতৃত্ব তারপর মনুষত্ব হারিয়ে ছিল।

চলুক সহমত।

রায়হান আবীর's picture

চলুক

সাফিনাজ আরজু's picture

চলুক চলুক

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

পোস্টটায় মিশ্র একটা অনুভূতি তৈরী হলো। একটা পড়ে আবেগে থরথর হতে না হতেই নির্মমতায় পরেরটা মরুর ন্যায় রিক্ত করে দিলো। মন খারাপ

অতুলের মাকে দেখার খুব ইচ্ছা হল আমার; গুরু গুরু দিয়ে আসতাম।

মা-সন্তানের মানবিক সম্পর্কটি যে ফ্রেমোয়ার্ক চর্চা করে না সেটি টিকে থাকতে পারবে না, প্রাকৃতিক নিয়মটাই এমন।

( আপনিও গুরু গুরু )


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস's picture

বাঘের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনা বোধয় মায়ের পক্ষেই শুধু সম্ভব

নীল আকাশ's picture

চমৎকার লেখা চলুক । বেঁচে থাকুন অনেকদিন। গুল্লি

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

অতিথিঃ অতীত's picture

আশেপাশে বা পুরো দুনিয়া বাদ, শুধুমাত্র নিজের মা-কে দেখেই কেনোজানি মা-বিষয়ে এই বিশ্বাস মর্মমূলে গেঁথে গেছে, "খারাপ মা" বলে কিছু হওয়া আসলে অসম্ভব।

কেনোজানি মনে হয় ইয়াসিন-আনুশা-সাফিলিয়া এদের "মা" হয়তো আসলে খারাপ না। ধর্ম কিংবা সমাজ তাদের হত্যার এই অংশ ধামাচাপা দিতে না পেরে নিজেদের আড়াল করতে "মা"-কে ব্যবহার করেছে। কিংবা মা-কেও বদলে দিয়েছে নিজের বিকৃতিতে। যেভাবে যুগ যুগান্তর ধরে করে এসেছে। "মা" হয়তো তাদের কুটিল চালের শিকার। এমনও হতে পারে সন্তানহারা পাগলপ্রায় মা অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন, তাদের এই দূর্বলতাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আসল খুনী স্টেজের আড়ালেই।

যাইহোক, কোনো "মা"-কে নিয়েই এমন কিছু ভাবতে পারি না। যদিও মাঝে মাঝে পেপারে কিছু এমন খবর আসে শুনি।

সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো, কেনোজানি মনে হচ্ছে আমরা অন্ধকার যুগে চলে যাচ্ছি। ধর্ম এখন মানুষের বিশ্বাস কিংবা সংস্কৃতি নয়, ধর্ম হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ভয়ংকর হাতিয়ার, মানুষ কিংবা সভ্যতা ধ্বংসের। জিঘাংসা কিংবা স্বার্থ চরিতার্থের এর এর চাইতে মোক্ষম অস্ত্র আর মনে হয় নেই।

উদাসদা, আপনে আসলেই এক পিস আল্লার মাল। আপনার লেখা নিয়ে বলার কিছু নেই, বলতে পারবোও না। শুধু সকলের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধ কুর্নিশ জানিয়ে গেলাম। গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

অতীত

চরম উদাস's picture

চলুক

লালকমল's picture

কালকে মাহবুব লীলেন এর "বৈরাত " আর আজকে আপানের এই পোষ্ট। অসাধারন।
জীবনের সেরা উপহার "মা"। গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

Sharmin's picture

দশ মাস দশ দিন গভে' ধরে এক জন মা কিভাবে তার সন্তান কে নিজ হাতে মারতে পারে তা আমি বুজতে পারিনা। লেখা পরে আমি নিবা'ক হয়ে পরছি। অ্যাঁ গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

নির্বাক হবারই কথা

পৃথ্বী 's picture

কতিপয় দুর্মুখ ব্যক্তি তো একারণেই বলেছেন, ধর্ম হল "ভাইরাস অব দি মাইন্ড"। এ এমন এক ভাইরাস যা মা-সন্তানের আদিমতম জৈবিক বন্ধনটাও মুছে ফেলে। ধর্ম উতসারিত ট্যাবুগুলা(যৌনতা যার মধ্যে অন্যতম) রক্ষার জন্য অনার কিলিংইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস তারই সাক্ষ্য দেয়।

তবে ইতিহাস দিয়ে অবশ্য ভাইরাস আক্রান্তদের কিছু যায় আসবে না। ভাবমূর্তি পূজার প্রবৃত্তি বোধকরি অপত্যস্নেহের চেয়েও আদিম।

চরম উদাস's picture

Quote:
ভাবমূর্তি পূজার প্রবৃত্তি বোধকরি অপত্যস্নেহের চেয়েও আদিম

আসলেই কি তাই?? আমার তো ধারণা ছিল স্নেহ সবচেয়ে আদিমতম প্রবৃত্তি, তারপর ভাবমূর্তি পূজা

পৃথ্বী 's picture

ভার‍তীয় উপমহাদেশের কথা জানি না, তবে আফ্রিকা এবং ইউরোপের অভিবাসী কমিউনিটিগুলাতে অনার কিলিংইয়ের প্রকোপ মারাত্মক, ওসব দেশের পুলিশ অনুভূতিতে আঘাত না দেওয়ার উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা সহজে তদন্ত করে না(মাল্টিকালচারালিজম নিয়ে বিতর্কের এটা অন্যতম কারণ, অভিবাসী কমিউনিটির অপসংস্কৃতিকে রাষ্ট্রের আইনের উর্ধ্বে রাখার মানে হয় না)। শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন বর্ণের মানুষকে ভালবাসার জন্য যখন বাবা-মা সন্তানের উপর চড়াও হয়, তখন আসলেই সন্দেহ হয় মানুষের কাছে বংশ রক্ষা বড় নাকি প্রথা রক্ষা বড়।

আমেরিকাতে কিছু কিছু খৃষ্টান ধর্মান্ধ গ্রুপ(খুব সম্ভবত এদেরকে "খৃশ্চিয়ান সায়েন্টিস্ট" বলে) চিকিতসাশাস্ত্রে আস্থা রাখে না, তাদের আল্লাহই তাদেরকে রোগ-শোকের হাত থেকে রক্ষা করবে। নিজেরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ধুকে ধুকে মরলে সেটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু যখন নিজের সন্তানদেরকেও ডাক্তারের কাছে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বাচ্চাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রীতিমত আদালতে কেইস লড়তে হয়, তখন ব্যাপারটা সীমা অতিক্রম করা হয়ে যায়।

পৃথিবীর সব বাবা-মা হয়ত এরকম পিশাচ না(এরা হয়ত আসলেই সন্তানের অমঙ্গল চায় না, কিন্তু তাদের কীর্তিকলাপ যদি সন্তানের ক্ষতি করে, তবে তাদের সাথে ভারচুয়ালি পিশাচের কোন পার্থক্য দেখি না), কিন্তু এদের সংখ্যাও নেহায়েত কম না। একারণেই অপত্যস্নেহের সার্বজনীনতা নিয়ে আমি সন্দিহান।

অতিথি লেখক's picture

কি মন্তব্য করব আসলেই বুঝতে পারছি না। ধর্মপ্রেম কিভাবে সন্তানপ্রেমের চাইতে বড় হয়?? মানুষের বানানো একটা হাতিয়ার মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করছে এটা ভাবলেই বমি আসে। ছোটবেলায় মনে করতাম আর কিছুনা হোক, পৃথিবীতে একটা জিনিষ নিশ্চিত আর সেটা হচ্ছে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা। শুধুমাত্র ধর্ম নামক একটা নোংরা, ভুল ধারণার কারণে সেই বিশ্বাসটা ভেঙ্গে যখন যায় তখন খুব অসহায় লাগে।

Quote:
একজন ভালো মানুষ হবার জন্য একটা মানুষের অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। কারো শিক্ষা, কারো ধর্ম, কারো অন্য ভালো মানুষের সঙ্গ। তবে একজন ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে। তবে একজন খারাপ মা হবার জন্য কি প্রয়োজন সেটা ভাবি।

ধর্ম ছাড়া আরকিছুই তো চোখের সামনে দেখছিনা আপাতত।

আপনার লেখাটা অসাধারণ ছাড়িয়ে মেইল পার। গুরু গুরু

ফারাসাত

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

শাব্দিক's picture

প্রথমবার আপনার লেখা পড়ে চোখের পানি আটকাতে পারলাম না।
চলুক চলুক চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

চরম উদাস's picture

কোলাকুলি

শান্ত's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

ধন্যবাদ আপনাকে।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মহিয়ান 's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্বপ্নহীন's picture

Quote:
একজন ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে। তবে একজন খারাপ মা হবার জন্য কি প্রয়োজন সেটা ভাবি।

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

রিসালাত বারী's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ক্রেসিডা's picture

গুরু গুরু

আপনার মা আশা করি লেখাটা পড়বেন।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

চরম উদাস's picture

জানিনা, পড়ানোর ইচ্ছা নেই। পড়লে সাফিলিয়ার , আনুশাদের কাহিনী বিশ্বাস করবেন না হয়তো।

স্পর্শ's picture

গুরু গুরু


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইয়াসির আরাফাত's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

যুমার's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বাংলামায়ের ছেলে's picture

Quote:
মা হওয়া কি মুখের কথা।
কেবল প্রসব ক’রে হয় না মাতা
যদি না বুঝে সন্তানের ব্যথা।।

# অসাধারণ একটি লেখার টানেই অনেকদিন পরে আবারো মন্তব্য করতে প্রয়াসী হলাম। প্রথমেই পুরোপুরি সহমত জানিয়ে নিচ্ছি লেখকের পোস্ট এবং ষষ্ঠপাণ্ডবের মন্তব্যের সাথে।

# দ্বিতীয়ত, আমরা যখন এইসব ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করি, আমরা কি এটাও ভাবি যে আমাদেরই আশেপাশে কতজন তাঁদের মাতৃত্বের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন বা আমাদেরই মধ্যে কেউ কেউ নিজেই মা হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল নন?

# আজকে এই বাংলাদেশেই এমন অনেক মা আছেন, যাঁরা সন্তানের ক্ষতি বা হিতে-বিপরীত হওয়ার আশংকা থাকা সত্ত্বেও কেবল প্রতিবেশী ভাবির সাথে গর্ব করার জন্য সন্তানের উপর অযথা চাপ প্রয়োগ করেন।

# দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে অনেক মা তাদের আগের স্বামীর সন্তানকে সাথে রাখেন না বা রাখতে পারেন না। আর দ্বিতীয় বিবাহ শুধুমাত্র যে পারিবারিক কলহ, স্বামীবিয়োগের কারণেই হয় তা নয়, মায়ের প্রেমঘটিত সম্পর্কের দায়ও থাকে অনেকক্ষেত্রেই।

# সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মজীবী মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি নারীমুক্তি, অধিকার সচেতনতার দাবিও জোরদার হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় কর্মজীবী মায়েরা সন্তানদের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এমন কি মায়ের দুধও জোটে না অনেক সন্তানের ভাগ্যে; সন্তান বড় হয় নিডো, ডানো ভর্তি ফিডার চুষে চুষে। এক্ষেত্রে নারীরা যুক্তি দেখান, "সন্তান গর্ভে ধারণ করেছি, লালন-পালনের দায়ও কি একা আমার?" কিন্তু সন্তানের ক্ষুধা পেলে বুকের দুধটা তো একমাত্র তিনিই দিতে পারেন, বাবা নয়।

উপরের সমস্যাগুলোর জন্য দায় রয়েছে সামাজিক ব্যবস্থারও। আর এর ফলেই কখনো কখনো মা-সন্তানের সম্পর্কটা হারিয়ে ফেলছে আবেগের জায়গাটা। আর প্রভাব রাখছে ভবিষ্যত প্রজন্মের বিপথগামিতাতেও।

চরম উদাস's picture

Quote:
আমাদেরই আশেপাশে কতজন তাঁদের মাতৃত্বের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন বা আমাদেরই মধ্যে কেউ কেউ নিজেই মা হিসেবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল নন?

যতকিছুই হোক না কেন, এই কিছু ঘটনা আমার কাছে এখনো কিছু অমানুষের দ্বারা কিছু অস্বাভাবিক অমানুষিক ঘটনা বলে মনে হয়। ইন জেনারেল মায়ের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্নও তোলা ঠিক না। বরং সন্তানের দায়িত্বহীনতার কোটি কোটি উদাহরণ পাওয়া যাবে, মায়ের দায়িত্বহীনতার উদাহরণ সেই তুলনায় নগণ্য।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফ্লাইন)'s picture

Quote:
বরং সন্তানের দায়িত্বহীনতার কোটি কোটি উদাহরণ পাওয়া যাবে, মায়ের দায়িত্বহীনতার উদাহরণ সেই তুলনায় নগণ্য। চলুক

টিউলিপ's picture

কিছু মনে করবেন না, আপনার শেষ প্যারাটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো, এবং তীব্র দ্বিমত জানাচ্ছি। আমি নিজে কর্মজীবী মায়ের মেয়ে, আমার দুই বোনের সময় মা চাকরি না করলেও আমার সময় চাকরি করতেন। তাতে আমার আদরযত্নে কোন কমতি হয়েছে বলে মনে হয় না, বরং আমার দুই বোন প্রায়ই অভিযোগ করে মা বাবার আদরের বেশিরভাগটাই ছোট বলে আমিই বেশি পাই। সন্তানের জন্য বুকের দুধের ব্যবস্থা মা ছাড়া আর কেউ করতে পারে না সত্যি, কিন্তু সেটার জন্য মায়ের ক্যারিয়ার স্যাক্রিফাইস করতে হবে সেটা পুরোই ভুল ধারণা। বরং মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রের কাছে ভালো ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা, এবং অতি অবশ্যই বাবার হেল্প করা, এই জিনিসগুলো বেশি প্রয়োজনীয়। পাঁচ মাস বয়েসের পরে বাচ্চাকে বুকের দুধের বাইরেও অন্য খাবার দিতে হয়, আর বুকের দুধও কর্মজীবী মায়েরা বোতলে করে রেখে যেতে পারেন। এইসব বাবা মা দুইজন মিলে কাজ ভাগ করে নিলে মাকে নিজের ক্যারিয়ার ছাড়তে হয় না। সদিচ্ছাটাই আসল। এবং আমার অভিজ্ঞতা বলে, যারা "বুকের দুধ তো একমাত্র মা-ই দিতে পারে" এইধরণের মেন্টালিটি পোষণ করেন, তাদের ক্ষেত্রে সেই সদিচ্ছা কমই থাকে।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

চরম উদাস's picture

চলুক এই কথাগুলি বলতে চাচ্ছিলাম। গুছিয়ে বলে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা লেখার সময় মা এর দায়িত্বহীনতা জাতীয় কিছু মনে হয়না মাথায় ছিল।

Quote:
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মজীবী মহিলাদের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি নারীমুক্তি, অধিকার সচেতনতার দাবিও জোরদার হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই দেখা যায় কর্মজীবী মায়েরা সন্তানদের যথাযথ যত্ন নিতে পারেন না। এমন কি মায়ের দুধও জোটে না অনেক সন্তানের ভাগ্যে; সন্তান বড় হয় নিডো, ডানো ভর্তি ফিডার চুষে চুষে। এক্ষেত্রে নারীরা যুক্তি দেখান, "সন্তান গর্ভে ধারণ করেছি, লালন-পালনের দায়ও কি একা আমার?" কিন্তু সন্তানের ক্ষুধা পেলে বুকের দুধটা তো একমাত্র তিনিই দিতে পারেন, বাবা নয়।

এটা আসলেই ভীষণ আপত্তিকর। উত্তেজিত হয়ে কেন যে আমরা কেউকেউ বারবার ব্রেক মারতে ভুলে যাই কে জানে।

টিউলিপ's picture

আপনার আর তারেকাণুর লেখায় এসে খালি আঙুল উচা করা ছাড়া কিছু করার পাই না বলে কমেন্ট করা ছেড়ে দিয়েছি। আজ আসলাম যখন, আরেকবার দিয়ে গেলাম চলুক

শেষ লাইনটাতে উত্তম জাঝা!

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

ফারাসাত মাহমুদ's picture

চলুক চলুক

ফারাসাত

শিশিরকণা's picture

চলুক চলুক মায়ের দায়িত্ব বোধের কি কোন ম্যাট্রিক্স আছে, যে এই এই করলে সে ভাল মা? সব নারীর দক্ষতা, শিক্ষা, শারীরিক বা আর্থিক অবস্থা থাকে না একই ভাবে সন্তানকে দেখভাল করার। তাই বলে যেই রুগ্ন মা দুধ নেই বলে বাচ্চাকে ভাতের ফেন খাওয়াচ্ছে সে কি খারাপ মা? সব মা-ই চেষ্টা করেন তার বিশ্বাসে সন্তানের জন্য সবচে' সেরা জিনিষ দেয়ার। এই যে আনুশা আর সাফিলিয়ার মা, এরাও ভেবেছে তার সন্তানের জন্য মৃত্যুই সবচে' উপযুক্ত, সমস্যাটা এখানেই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সজল's picture

Quote:
সব মা-ই চেষ্টা করেন তার বিশ্বাসে সন্তানের জন্য সবচে' সেরা জিনিষ দেয়ার। এই যে আনুশা আর সাফিলিয়ার মা, এরাও ভেবেছে তার সন্তানের জন্য মৃত্যুই সবচে' উপযুক্ত, সমস্যাটা এখানেই।

অ্যাঁ

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

শিশিরকণা's picture

সবজান্তা বা ষষ্ঠ পান্ডব আরও যেসব খারাপ পা এর উদাহারণ তুলে এনেছে এরা মানসিক উত্তেজনার মাথায়, বা অসংলগ্ন অবস্থায় সন্তানের উপর চড়াও হয়েছে। পরে হয়ত অনুশোচনাও করছে। কিন্তু উদাসদা'র লেখার যেসব মায়েরা, এরা ভেবে চিনতে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে তার সন্তান এর বেচে থাকার অধিকার নাই, মৃত্যুই তাদের সম্মান/বেহেশত রক্ষার জন্য প্রয়োজন এবং প্ল্যান করে খুন করেছে, এবং ঘটনার পরেও নিজেদের আকামের সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। এদের মাথা তো মূহুর্তের জন্য নয় বরং পারমানেন্টলি ড্যামেজড হয়ে গেছে। এরা কিছুক্ষণের জন্য মনুষ্যত্ব বা মাতৃত্ব বোধ হারিয়ে ঘটনা ঘটায়নি, যা করছে সেটাকে তারা সঠিক কাজ মনে করে করছে, এই ব্যাপারটাই তো আতঙ্কের।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ's picture

টিউলিপের সাথে একমত। আমার মা সারাজীবন চাকুরী করেছে। কখনো আদরের কমতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। আমার সন্তানের ক্ষেত্রে তেমনি। কিন্তু বুকের দুধের বিষয়টি একেবারেই রেড হেরিং। হরমোন ব্যবহার করে বাবা কিন্তু শিশুকে বুকের দুধ দিতে পারেন

নুরুজ্জামান মানিক's picture

গুরু গুরু

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

উদ্ভ্রান্ত পথিক's picture

গুরু গুরু

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্যাম's picture

………………………………………….

অ সা ধা র ণ

………………………………………….

সশ্রদ্ধ কুর্নিশ
গুরু গুরু
গুরু গুরু
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধুসর জলছবি's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক's picture

Quote:
ছোটবেলায় যতবার এই গল্প শুনেছি এর মর্মার্থ মাথায় ঢোকেনি। বরং বড় ভাই বারবার বিছানা ভেজাচ্ছে এটা শুনে হা হা হি হি করে কুল পেতাম না আমরা।

এই হাসির গল্পটা শুনে চোখ ভিজে উঠলো জলে। অসাধারন উপস্থাপন।

আব্দুল্লাহ এ.এম.

চরম উদাস's picture

গল্পের কথা মনে পড়লে চোখ আমারও ভিজে উঠে।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ's picture

অলটারনেট অনুভূতিগুলো শেষে এসে ভালো লাগাই দিয়ে গেল।

গুরু গুরু গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস's picture

ভালোলাগাটুকই থাকুক , অন্ধকারগুলো যেন র‍্যন্ডম কিছু ঘটনা হয়েই থাকে

রায়হান আবীর's picture

সিজদার ঘায়ে ঘায়ে আপনার পায়ের তলার জমিন গুড়া গুড়া করে দিলাম।

চরম উদাস's picture

হো হো হো
আমিও কমেন্ট পড়ে হেসে ফেললাম

তিথীডোর's picture

হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

onupoma nilambory 's picture

সত্তি বলতে কি এই দুনিয়াই অলমস্ট সব "মা"ই অসাধারন। কিন্তু অসাধারন ''বাবা'' অনেক কম।

চরম উদাস's picture

বাবা থেকে মা এক্ষেত্রে সবসময়েই এগিয়ে থাকবে মনে হয় , তবে অসাধারণ বাবার সংখ্যা নিতান্ত কমও নয়।

সৃষ্টিছাড়া's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

ভাবছি।
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

পরমাণুঅণুজীব's picture

শক্তিশালী লিখনি। হাততালি কিন্তু নিষ্ঠুর মাদের ( যদি আদৌ মা বলা চলে) ধর্ম একই দেখানো হল- কাকতাল ? আমি ভিন দেশে যাবনা। নিজ দেশে যে মায়েদের দেখি ( নিজের মাকেও) তাঁরা প্রায় সবাই ধর্মপরায়ণ- হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ- সব ধর্মেরই। মা থেকে যখন মাতৃত্ব চলে যায় তখন তিনি হয়ে উঠেন ভয়ংকর। তার সেই ভয়ঙ্করত্ব যে কোন উপায়েই প্রকাশ পেতে পারে। হুমায়ূন আহমেদ একজোড়া আমেরিকান মা-বাবার কথা বলেছিলেন, যারা বাচ্চা বিরক্ত করছে দেখে সেই বাচ্চাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ঘরের কুকুরকে খাইয়েছিল।
শিক্ষা কিংবা উন্নতি ভালবাসার সাথে বোধকরি তেমন ভাবে জড়িত নয়। একারণে আজো "অনুন্নত" অঞ্চলে দেখি মা-ছেলের সেই চিরন্তন সম্পর্ক। আর উন্নত বিশ্বের অনুকরণে শহুরে আমরা তৈরি করি "বৃদ্ধাশ্রম"- বুড়া, অসুস্থ মায়ের জন্য। আর অতি উন্নত এলাকার মা-বাবারা পার্টি-আনন্দ- "সমাজ সেবা"- সেমিনার নিয়ে ব্যস্ত থেকে বাচ্চা জন্য ঘরে আসার সময় কিনে নিয়ে আসে দামী দামী উপহার। বুঝেনা যে সব থেকে দামী উপহার- সন্তানের সাথে সম্পর্ক, ওটাই তারা খুন করে ফেলছে, সময়-মনোযোগ না দিয়ে।

চরম উদাস's picture

আসলে আমি লেখালেখির সময় বেশ সাবধানে থাকি, চালাক মানুষ তো। মুসলমানকে গালি দিতে হলে সাথে হিন্দু বৌদ্ধদেরও দুইটা গালি দিয়ে দেই ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য। পাকিস্তানকে গালি দিলে, ইন্ডিয়াকেও চামে দুইটা গাল দিয়ে রাখি। এবারে বোধকরি ভুল হয়ে গেছে। পরপর ইয়াসিন আর আনুশা এর খবর দুটি পড়ে হুট করে এটা লিখে ফেলি। এইজন্য আমাদের অনুন্নত বিশ্বের মায়েদের চেয়ে যে আমেরিকার মায়েরা আরও বেশী খারাপ এটা উদাহরণ দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি! কথা দিলাম এর পর ব্যালেন্স ঠিক করার জন্য মুসলমান মা, হিন্দু মা, বৌদ্ধ মা, খেরেস্তান মা, আমেরিকান মা, পাকিস্তানি মা, ইন্ডিয়ার মা সবার থেকে একটা করে স্যাম্পল খারাপ মা এর উদাহরণ দিয়ে দিব!

তিথীডোর's picture

উদাসদা, আপনি পারেনও। দেঁতো হাসি হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুমিমা ইয়াসমিন's picture

Quote:
ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক's picture

উদাস দা কেনু চরম আরেকবার প্রমাণ হল! চলুক

- বিক্ষিপ্ত মাত্রা

চরম উদাস's picture

হাসি

সাবেকা 's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কাজি মামুন's picture

খুব ছুঁয়ে গেল! একেবারে অন্য ধরণের একটা পোস্ট চরম উদাস ভাইয়ের কাছ থেকে!

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

জুন's picture

ইয়ে, মানে...
গুরু গুরু

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অরফিয়াস's picture

খবরগুলো সব পড়া, মানুষ কি রকম হবে সেটা বলা কঠিন !! লেখা ভালো লেগেছে। চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ অরফিয়াস

সাকিন উল আলম ইভান 's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
কিচ্ছু বলার নাই

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

Guest_Writer নীলকমলিনী's picture

অনেক সময় নানা প্রসঙ্গে মেয়েদের বলি, মার মতো ভাল তোমাদের কেও বাসবে না। মেয়েরা সেটা বিশ্বাসও করে। বলে আই নো মা।
তোমার লেখাটি পড়ে মনে হলে কথাটি আসলে সবসময় সত্যি নয়।

চরম উদাস's picture

সবসময়ই সত্যি। ওই ঘটনাগুলোকে আসলে কিছু রেন্ডম ঘটনা হিসেবেই দেখতে চাই।

অতিথি লেখক's picture

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। মায়েদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ আসলেই অন্য রকম।

তুহিন সরকার

tuhin_preeti@yahoo.com

চরম উদাস's picture

সেটাই

অতিথি লেখক's picture

আযাদের মা, অতুলের মা, আমার মা, কাকের মাদের অহরহ, এখান সেখান সর্বত্রই দেখি, সামান্য হেরফের কিন্ত এগুলিই মায়ের প্যাটার্ন।
ইয়াসিন, আনুশেহ, সাফিলিয়ার মা অসুস্থ, ভিন্ন মায়ের মুখ।

‘মা’ মানেই কিম্বদন্থি এক ভালোবাসার নাম,
জন্মলগ্নেই যায় যে খুলে এক অতীন্দ্রিয় খাম।
হীরের মত ছোট্ট শিশু মায়ের চোখে জীবন্ত বিস্ময়,
হাসি-কান্নায় স্নেহের দ্যুতি, কি যে মায়াময়।

শিশু যখন হাটতে থাকে জীবন যাত্রাপথে,
মায়ের স্নেহ প্রলেপ লাগায় হোচট খাওয়া ক্ষতে।
কোলাহলের মাঝেও থাকেন, সঙ্গে থাকেন
জীবন যখন একা, ভীষন একা,
কাছে থেকেই স্বপ্ন দেখান, পথটি যখন বাঁকা।

অনেক পরে যখন সে আই-বুড়ো এক ব্যাস্ত মানুষ
গহীন মনে সাজিয়ে রাখে, সেই যে শিশু বেলা।
সময় যেন থমকে থাকে, শুদ্ধ স্মৃতির মেলা।
হটাৎ হটাৎ দুজনারই মনটা কেন এমন করেই টানে,
বারে বারে ফিরতে যে চায় সেই শিকড়ের পানে।

শিকড় ঘিরে মন যে বানায় একটি দুর্গ-ঘর,
সেখানেতে স্মৃতির খেলায় মায়ের সাথে শিশু-যাদুকর।

আসমা খান

চরম উদাস's picture

চলুক

mamun's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সচল জাহিদ's picture

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

garnet's picture

একটা জিনিস খারাপ লাগল। কেউ কেউ সবকিছু ব্যলান্স দেখতে চায়। মুসলমান দের খারাপ বললে হিন্দুদের খারাপ বলে ব্যলান্স করতে হবে, কিন্তু লেখক এখানে ব্যলান্স করার জন্য তো লেখে নাই এবং এভাবে ব্যালান্স করা সম্ভবও না।

চরম উদাস's picture

ব্যলান্স করতে করতে টায়ার্ড হয়ে যাই আজকাল হাসি

সুমন চৌধুরী's picture
মলিকিউল's picture

শহীদ আজাদ ধরা পড়েছিলেন ৩১শে অগাষ্ট। উনার মায়ের মৃত্যুও হয়েছিলো একি তারিখে। একটু চেক করে নিয়েন।

চরম উদাস's picture

অনেক ধন্যবাদ। সম্ভবত ৩০ শে আগস্ট হবে। তবে আবার ৩১শে আগস্টও দেখলাম দুই জায়গায়। তারিখ বাদ দিয়ে লেখাটা শুধরে দিলাম।

মলিকিউল's picture

"একাত্তরের দিনগুলি"র ২৯শে আগস্ট, রবিবার, ১৯৭১ (পৃষ্ঠা ১৭৬-১৭৯) এর দিনলিপিতে এই ঘটনার বর্ননা আছে। "মা"তেও একি তারিখের ঘটনাগুলো বর্ননার ধারাবাহিকতায় ধরে নিয়ে যাবার ঘটনাটা বলা হয়েছে (পৃষ্ঠা ২০১-২১২)। তবে রাত ১২টার পড়েই ঘটনাটা বলে হয়তো ৩০ অগাষ্ট ধরা হয়। ধন্যবাদ।

চরম উদাস's picture

চলুক

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নিলয় নন্দী's picture

কিছু একটা বলব বলে লগ ইন করেছিলাম।
কিন্তু দেখছি বলার মতো কিছুই নেই।
মাকে নিয়ে যা-ই বলি না কেন সেটা কম বলা হবে।
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

সেটাই।

মোহছেনা ঝর্ণা's picture

উত্তম জাঝা!
মায়ের চেয়ে আপন কিংবা প্রিয় আর কে আছে পৃথিবীতে?
ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মায়েরা। শ্রদ্ধা
তবে দোয়া থাকবে আর কোনো মা যেন সাফিলিয়ার মায়ের মতো নির্মম না হয়।

চরম উদাস's picture

সেটাই আশা করি

রাতঃস্মরণীয়'s picture

অসাধারণ লিখেছেন উদাস চলুক

পাণ্ডব, তোমার কথাগুলোতেও একমত চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

নিটোল's picture

মন খারাপ

_________________
[খোমাখাতা]

চরম উদাস's picture

লেখা -গুড়- হয়েছে

খেকশিয়াল's picture

গুরু গুরু

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মুস্তাফিজ's picture

চলুক

...........................
Every Picture Tells a Story

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অনিকেত's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ অনিকেতদা

অতিথি লেখক's picture

অসাধারন গুরু গুরু গুরু গুরু

Quote:
একজন ভালো মা হবার জন্য বোধকরি মানুষ হয়ে জন্মানোও প্রয়োজন নেই। কাক হয়ে জন্মালেও চলবে। তবে একজন খারাপ মা হবার জন্য কি প্রয়োজন সেটা ভাবি।

চলুক

সচল-পলাশ

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

কীর্তিনাশা's picture

এই লেখাটা প্রথমবার পড়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা খুঁজে পাইনি। আবার পড়লাম এবারো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না ।

গুরু গুরু

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

উচ্ছলা's picture

মন ভরে গেল লেখাটা পড়ে। সেই সাথে আম্মু আর শাশুড়ীর জন্য নতুন করে শ্রদ্ধা, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা অনুভব করলাম। আবারও উপলব্ধি করলাম, কী অসীম শক্তি-ভালবাসা-আত্মত্যাগ দিয়ে মায়েরা সন্তানকে প্রতিদিন বাঁচিয়ে রাখেন। (লেখক- কে অনেক ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য)

মনে আছে, স্কুল-কলেজের পরীক্ষার সময় রাত জেগে পড়তাম। পরেরদিন কাজে যেতে হবে জেনেও আম্মু প্রতিটি রাতে সারা রাত আমার পাশে বসে থাকত অটল। একবার শিশুবেলায় ক্লিনিকে ভর্তী হয়েছিলাম এক অপারেশনের জন্য। প্রতিটি শেষরাতে ঘুম ভেঙ্গে যেত আর দেখতাম সিজদায় পড়ে পড়ে আমার মা কাঁদতে কাঁদতে বলছে, "খোদা, আমার জীবন নিয়ে তার বদলে আমার মেয়েটাকে বাঁচাও।"
জীবনের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে, গয়না বেচে আমার বিদেশে পড়ার খরচ জুগিয়েছে আম্মু বছরের পর বছর।

-পৃথিবীতে এই একজন মানুষ আছেন, যার জন্য অবলীলায় জীবন দিয়ে দেয়া যায়। তাতেও তো বিন্দুমাত্র ঋন শোধ হয় না।

চরম উদাস's picture

চলুক

জোহরা ফেরদৌসী's picture

জীবনের একটা সময় ছিল যখন মাকে বুঝতাম না । কড়া শাসনের আড়ালে আগলের রাখা মায়ের স্নেহ বুঝার ক্ষমতাই হয়নি তখনও । তাই শুধুই মনে হ’ত পৃথিবীর সব মা ভাল, শুধু আমার মা-ই “সূর্যান্ত আইনের” (যেখানে যত কাজই থাকুক, সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরতে হবে) মত শাসনের বাঁধনে বেঁধে রাখে । তখন মা শুধু একটা কথাই বলতেন, “নিজে মা হও, তখন বুঝবে...” কী অমোঘ সত্য ! এখন জানি মা কেন এমন কঠিন ছিলেন, কারন মায়ের কাছে পৃথিবী একদিকে আর তার সন্তান একদিকে । এক অর্থে মা খুব স্বার্থপর । যে কোন মুল্যে নিজের সন্তানকে আগলে রাখতে চান ।

এমন যে মা সব কিছূর বিনিময়ে সন্তানকে আগলে রাখেন, সে মাও আবার যুদ্ধের পোষাকে সাজিয়ে দেন সন্তানকে নতুন ভোর আনতে । আজাদ, রুমীদের মায়েরা বুকের পাঁজর খুলে সন্তানদের যেতে দিয়েছেন বলেই আমরা একটা দেশ পেয়েছি...

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস's picture

চলুক

তাপস শর্মা's picture

মা-কে নিয়ে অনেক অনেক অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু কেন জানি কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। একটা বাদে বাকি খরবগুলি পড়া ছিল

ভালো লাগলো চেনা ছকের বাইরে গিয়ে চরম উদাসের একটা অন্য রকম উপস্থাপনা

চরম উদাস's picture

পরপর খবরগুলা পড়ে অস্থির লাগছিল।

তানিম এহসান's picture

মা শব্দটার পর আর কোন বিশেষন দরকার পড়েনা। লেখাটা পড়ে চোখে জল চলে এলো।

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতন্দ্র প্রহরী's picture

চলুক

সিরিয়াস পোস্টে একটু ফাইজলামি করি, আনিসুল হকের "মা" কই? চোখ টিপি

চরম উদাস's picture

খাইছে

অতিথি লেখক's picture

অনেকদিন আগে একবার পড়েছিলাম,তখন কমেন্ট করা হয় নি।
এখন করতে গিয়েও কি লিখব বুঝতে পারছি না!
এই 'চরম হইছে','অসাধারন হইছে' আর কতবার বলা যায়??!
উত্তম জাঝা!

সুবোধ অবোধ

রাত-প্রহরী's picture

খবরগুলো পড়া ছিলো। কিন্তু পড়তে পড়তে কষ্টও হলো অনেক মা'এর জন্য। আমি এবার আমার মা'কে নিয়ে লিখবো।
অনেক ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক's picture

অনেকদিন আগে পড়েছিলাম আজকে আবার পরলাম, অফিস এর কাজে ট্যুরে এসেছি মেয়েকে মার কাছে রেখে ,আপনার লেখাটা পড়ে মনটা খুব খারাপ লাগছে। বারবার মার কথা মেয়ের কথা মনে পরছে। অসাধারন লেখার জন্য স্যালুট।

খায়রুল মাসুদ 's picture

আপনাকে হাতে ম্যাজিক আছে ভাই

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.