আকাশপথে ঘুমন্ত রূপবতীর সান্নিধ্যে

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ০৬/০৫/২০২৩ - ৯:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[দুটো কারণে গল্পটা অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথম কারণ: এ ধরণের একটা অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল বহুবছর আগে, থাই এয়ারওয়েজের সিউল-ব্যাংকক রুটের একটা ফ্লাইটে। তাই মার্কেজের লেখা এই গল্পটা পড়ে বিশেষ ভালো লেগেছিল। শুধু ভালো লাগলেই অনুবাদটা করতাম না যদি দ্বিতীয় কারণটি যোগ হতো। গল্পটি পড়ার পর বাংলা ভাষায় কেউ অনুবাদ করেছে কিনা খোঁজ নিতে গিয়ে কালি ও কলম পত্রিকায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি অনুবাদ পেলাম। কিন্তু সেই অনুবাদটি এত কুৎসিত যে মার্কেজের জন্য আমার রীতিমত করুণা হলো। তাঁর এত সুন্দর গল্পটাকে বাংলা ভাষায় এনে রীতিমত খুন করা হয়েছে। এই গল্পটা মার্কেজের জীবনের একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত। ঘটনাটি তিনি Sleeping Beauty on the Airplane শিরোনামে লিখেছিলেন মেক্সিকো থেকে প্রকাশিত Proceso নামের একটি পত্রিকার ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সংখ্যায় ]

মেয়েটা ছিল অতীব সুন্দরী। গায়ের রঙ বাদামী, সবুজ অ্যালমণ্ডের মতো দুটো চোখ আর কাঁধ পর্যন্ত নেমে যাওয়া ঘন কালো চুল। চেহারার মধ্যে এমন একটা প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ, বোঝার উপায় নেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্দেজের মধ্যে কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। পোশাক আশাকে সূক্ষ্ণ এবং মার্জিত রুচির ছাপ। একটা লিংক্স জ্যাকেটের সাথে হালকা রঙের ফুলের ছাপা সিল্কের ব্লাউস পরেছে। ঢিলেঢালা লিনেনের পাজামার সাথে পরেছে বোগেনভিলিয়া রঙের ফ্ল্যাট জুতো।

মেয়েটাকে দেখামাত্র মনে হলো ‘এ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে রূপবতী নারী।’ প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্টে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটের চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটা তখন গর্বিত সিংহীর মতো দৃঢ় পদক্ষেপে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। যেন এক অলৌকিক ছায়ামূর্তি হয়ে ক্ষণকালের জন্য আবির্ভূত হয়ে আবার টার্মিনালের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।


একটি ভৌতিক গল্প : কানাউলার খপ্পরে

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৫/২০২৩ - ২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !


বালিশ (শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০৪/২০২৩ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ বালিশ একটি ধারাবাহিক গল্প। গল্পের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের লিংক এখানে দেয়া হল পর্ব ১ **পর্ব ২ ]


ছুটে গেছি বিলুপ্তির দিকে...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৬/০৪/২০২৩ - ১২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড. সম্পদ পান্ডে ও আমি উন্দাভাল্লি গুহার ভেতরে অনেকগুলো ছবি তুললাম। আমি প্রৌঢ়, পৃথুল শরীর। সে তুলনায় সম্পদ বেশ শক্ত-সমর্থ। তবু এখানে বেড়াতে এসে আমাদের দু’জনার মনই এখন তুখোড় তারুণ্যে উদ্ভাসিত।


বৈদ্যুতিক “সমস্যাডা শুধুই জাফর ইকবালে” সমাচার

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/০৪/২০২৩ - ৩:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোনও পীর নন, রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে তাঁর হাজারটা দূর্বলতা থাকতেই পারে। কিন্তু, মনে রাখতে হবে গবাদি ও ছাগুকুলের বহুদিনের প্রচেষ্টায় এদেশের সবচেয়ে ‘সেলিং লাইক হট কচুরিস’ মার্কা ক্লিকবেইটের নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই ক্লিকবেইট ব্যবহার করে রাতারাতি হট কচুরি হতে চাওয়া বিস্বাদ মানকচুর ঝাড় শিকড়শুদ্ধ উপড়ে ফেলা প্রয়োজন শুরুতেই।


একাত্তর। বর্থরে আমাদের দিনগুলো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/০৪/২০২৩ - ১০:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের গাড়িয়াল ছকমল দা হাতের কঞ্চির একটানে আশ্চর্য ক্ষমতায় ঝোপের মধ্য থেকে থোকা থোকা ফল উঠিয়ে আমাদের দিত। ওগুলোর নাম পানিয়াল ফল, হাতের তালুতে নিয়ে জোরে জোরে নাড়ু বানানোর ভঙ্গিতে ওগুলোকে ঘষতে হত, তখন সেই ফল হয়ে উঠত অমৃতের মতো। ছকমল দা আমাদের হাতে ফলগুলো দিয়ে বলত, বইন, কও- আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। আমরা বলতাম, আম পাকে জাম পাকে হাতোতে পানিয়াল পাকে। দূর্গাপুর থেকে মোগলহাট স্টেশনে যাওয়ার পথ


ইসলামিক সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের কার্যক্রম ইত্যাদি। (পর্ব ৪)

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: সোম, ০৩/০৪/২০২৩ - ১:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯

সেনাবাহিনী ছেড়ে গোপন সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দেয়া লেঃ কর্নেল জিয়াউদ্দিনের সরকারি চাকুরিতে প্রত্যাবর্তন (অথবা প্রাইজ পোস্টিং) বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। বাহাত্তর থেকে চুয়াত্তরের কোন একসময় (পরস্পর বিরোধী তথ্য আছে) সেনাবাহিনী ছেড়ে জিয়াউদ্দিন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে জেনারেল এরশাদের শাসন আমলে তিনি সাধারণ ক্ষমার সুযোগে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ন পদে নিযুক্তি পান (১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই পদে বহাল ছিলেন)। পরে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নামের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল প্রতিষ্ঠা (পরস্পর বিরোধী তথ্য আছে) করে সেখানে প্রিন্সিপাল হিসাবে যোগ দেন। এখন চট্টগ্রামে সুখ-শান্তিতে বসবাস করছেন। একটি বিপ্লবী জীবনের মধুরেণ সমাপয়েৎ।


এই মহানগরে - ০২

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বুধ, ২৯/০৩/২০২৩ - ৪:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify](ক) ঘটোৎকচ সরণিতে আইসক্রীম

ধানমণ্ডি ৮ নাম্বার সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাতের বামে যে রাস্তাটা রবীন্দ্র সরোবরের গা ঘেঁষে দক্ষিণ দিকে গেছে সেটার নাম ৭/এ। তবে এই রাস্তা বেশিক্ষণ ৭/এ নামে দক্ষিণ দিকে যেতে পারেনি অল্প পরেই ৭/এ সোজা পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে, আর দক্ষিণগামী রাস্তার নাম হয়ে গেছে ৬/এ। এই ৬/এ-ও এক সময় দক্ষিণ দিকে যাবার পথ না পেয়ে পশ্চিম দিকে রওনা দিয়েছে।


পড়ছিলাম: দিনপঞ্জি-মনপঞ্জি-ডাকঘর / মুনীর চোধুরী * লিলি চৌধুরী

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ২৯/০৩/২০২৩ - ১০:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্ক থেকো, শক্ত থেকো
ভয় পেলে চলবে না
লজ্জা পাওয়া উচিত হবে না
কারণ এতে অশ্লীল কথা থাকবে অনেক।
তুমি তৈরিতো?

মুনীর চৌধুরী
আমাদের তৈরি হয়ে নিতে বলেন।

আমাকে সত্য কথা লিখতে হবে।
সত্য না হলে শিল্প সৃষ্টি হয় না।
সত্যটা সুন্দর হওয়া চাই
অশ্লীলতার স্থান নেই আর্টে।
সত্যটাকে সুন্দর করে তোলা চাই
দেখতে হবে যাতে
মিথ্যাতে পরিণত না হয়ে যায় আবার।
কী মুশকিলেই না পড়া গেল!


জলেশ্বরীর দিনপত্রী..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ২৬/০৩/২০২৩ - ৯:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?
লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝ’রে যায় –
হাসি, জ্যোৎস্না, ব্যথা, স্মৃতি, অবশিষ্ট কিছুই থাকে না।
তবু ভালোবাসা দিতে পারি।
শাশ্বত, সহজতম এই দান —
এতই সহজ, তবু বেদনায় নিজ হাতে রাখি মৃত্যুর প্রস্তর, যাতে কাউকে না ভালোবেসে ফেলে ফেলি।'
#বিনয় মজুমদার
________________________________________________________
আমি বড় হয়েছি দাদা-দাদির বাড়িতে, একা৷