যত হাসি তত কান্না

সাইফ তাহসিন's picture
Submitted by 801146835 on Sat, 13/06/2009 - 11:45pm
Categories:

সেদিন ছিল শনিবার, বড়ই গরম, সোফায় শুয়ে ঝিমাইতে ছিলাম, হঠাৎ আমার বসের ফোন, বলে,
বস, কি কর?
কইলাম, ঝিমাই, আপনে কি করেন?
কয়, কিছু না, কোন প্ল্যান আসে?
না, বিরক্তি আর গরমে ঝিমাই, আপনার কোন প্ল্যান আছা নাকি?
কয়, চল, ম্যাকডুনি (আমার মেয়ে Mcdonalds কে ঐ নামে ডাকে) যাই, আমি ত দাঁত কেলায় রাজী।
কইলাম, কতক্ষন পর?
কইল, ৫ মিনিট।

আমি বউ বাচ্চা নিয়া রেডি, এর মধ্যে উনি আইসা আমারে উঠায় নিবে, যেই না ভাবা সেই না কাজ, ১০ মিনিটের মাঝে বস হাজির, গেলাম ম্যাকডুনি, খাইলাম ইতিহাসের বিখ্যাত অখাদ্য, আমার মেয়ে মনের আনন্দে সেই কুখাদ্য, এইখানে আস্লেই আবার আমার মেয়ের মেজাজ খুব ভাল হয়ে যায়, খাওয়ার চেয়ে খেলার ধান্দা থাকে বেশী, সেইখানে দেখলাম, এক বাচ্চা হাতি, বাপরে বাপ, সাইজ কি, বয়সে আমার মেয়ের ও ছত, কিন্তু তাতে কি, একবার প্লেগ্রাউন্ড হেটে আসে আর একগাল খাওয়া নিয়ে যায়, আমরা তো অবাক হয়ে সেই বাচ্চা হাতির কাজকর্ম দেখতে থাকি। সেই বেচারি আবার সিড়ি বেয়ে কোথাও উঠে না, আসলে মনে হয় উঠটেই পারে না। যাক এক্সম্য খাওয়া শেষ হ্ল, এর মাঝে আমাদের এক দেশি ভাইকে ফোন দিলাম, বললাম, আমরা এখন জংগলে জাইতে চাই, তুমি যাইবা? বলে, আচ্ছা, আমি ত চিনি না, আমাকে নিয়া যাও, তারা মিয়া বিবি রেডি হয়ে থাকবে। আমি আর আমার বস তো খুব খুশি, দলে ভারি হওয়া গেসে। তার আআব্র বউ আসে, আমার স্ত্রীর ও দলে আরেকজন যোগ হবে।

আমরা মিয়া বিবিকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিলাম, গেলাম জংগলে, অইখানে আবার একটা নালাও আছে, মাঝে তামাবিল স্টাইলে পাথর ও আছে, ঐখানে যেয়েই আমি মোবাইল আর ওয়ালেট রেখে মেয়েকে নিয়ে নালার মাঝে চলে গেলাম। হাফ প্যান্টের পকেট ছোট, যদি কিছু পড়ে যায়, খালি চাবির গোছাটা ঝুলিয়ে নিলাম হাফ প্যান্টের ফিতায়। এখন কিছু ছবি দেখানো যাক, ভালো কিছু একা ভোগ করা ঠিক না।
ভাসমান ব্রিজ
নালার মাঝখানে

আমার কন্যা

একটা ভিডিও ক্লিপ ও দিলাম চোখ টিপি

সময় কেটে যেতে লাগল হাসি ঠাট্টা আর আনন্দে, আমি কি আর জানতাম সেই রাতে আমার কত ধানে কত চাল হয়, তা গুনতে হবে? নালায় হাত পা ভিজায় আমরা পারে উঠে আসলাম, ঐ নালার পাশ দিয়ে একটা রাস্তা গেছে মাইল খানেক, সেখানে রাস্তা বন্ধ করা, শুধু হেটে যাওয়া যায়, বস বল্ল, চল, ঐ পারে একটা কাঠের ব্রিজ আছে, খুব সুন্দর, আমরা সাড়ে ৫জন তখন পার্টি মোডে আছি, সব ই সই, বললাম, চলেন, দেখে আসি আপনার ব্রিজ। গল্প করতে করতে আমরা হেটে যেতে থাকি, মোটামোটি ৪৫ মিনিট পর আমরা পৌছে যাই রাস্তার আরেক প্বার্শে। আর ১০ মিনিট পর খুজে পাই সেই ব্রিজ, আসলেও খুব সুন্দর। বর্ননা না শুনে বরং ছবি দেখে সবাই জাচাই করে নিন।

কাঠের ব্র্রিজ
পাথর ফালানোর আনন্দে আত্মহারা

এখানে নালার গভীরতা বেশী, স্রোতের টান ও বেশী, আর পাড়ে অনেক নুড়ি পাথর, আমার মেয়ে তো একটা করে নুড়ি পানিতে ফেলে আর নিজেই আনন্দে মূর্ছা যায় যায় অবস্থা। আমরা ও একি রোগে আক্রান্ত হয়ে নালায় পাথর ছুড়তে থাকলাম, আমাদের ‘মিয়া’ তো তার প্রতিভা দেখায় ফেল্ল এক পাথরকে ৫ বার মাথা জাগায়। ততক্ষনে প্রায় সন্ধ্যা, ৮ টা বাজে, আমরা ফিরতি পথ ধরলাম, এতক্ষনে আমার ম্যাকডুনিতে খাওয়া পেপ্সি জলাশয়ে জমা হয়ে গেছে, ভাব্লাম, প্রকৃতিতেই তার ডাকের সাড়া দিয়ে যাই, যেই না ভাবা, মেয়েকে স্ত্রীর হাতে ধরায় দিয়ে এক গাছের চিপায় ;)…, হাল্কা হবার আনন্দে আমিও খুব উত্তেজিত, ক্যামেরা নিয়ে হামলে পড়লাম, দেখা যাক, কিছু ভালো ছবি তোলা যায় কিনা অন্ধকারে, যেই না ভাবা, সেই না কাজ, কিছু ছবিও তুলে ফেললাম।
আন্ধারে গাছের গুড়ি
জংলা ঝোপ

মনটা ভারী খুশি, অসাধারণ একটা বিকাল কাটানোর আনন্দে। নানা রকম রসিকতা করতে করতে আমরা ১ ঘন্টা পর গাড়ীর কাছে ফিরে আসলাম। গাড়ীতে উঠে ‘মিয়া’ বলে, বস কে, কই খাওয়া যায়? আপনে খাওয়াইবেন নাকি? বসের মনে হয় জিগরে চোট লাগল, উনি ভোঁ করে গাড়ী একদম Applebee এর সামনে, আমরা যতই ব্লি না কেন, ঠাট্টা করতেছিলাম, উনি তো আর শুনে না, ফলাফল, আমরা ভেতরে ঢুকে বসে পড়লাম, এক জনের গায়েও ভদ্র জামাকাপড় নাই, তার ওপর গায়ে ঘামের গন্ধ, আসলেই তো আমরা জংগল থেকে এসেছি দেঁতো হাসি

যাক, রেস্টুরেন্টে বেটারা কপাল ভাল বলে বোধহয় বের করে দিল না, খুব সুন্দর একটা ছবি দেখে একটা জুসের অর্ডার দিলাম, সাথে সাথে ওয়েটার বলে ID দাও, আমি তো বেকুব, জুস খেটে আইডি লাগবে কেন? তারপর পকেটে হাত দিয়ে তো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। ওয়ালেট নাই, বস বলল, নিশ্চয় গাড়ীতে আছে, চাবি নিয়ে যাও, খুজে দেখ, গিয়ে আতি পাতি করে গাড়ীখুজি, নাই, নালায় পড়ে নাই, আমি তো জানি , কারণ নেই ই নাই, পড়বে কিভাবে? কিন্তু গাড়ীতেও তো নাই, আমার গ্রীন কার্ড থেকে শুরু করে, সব কার্ডই তো ওর ভেত্রে। যাক, সবাই যেখানে বসেছে, সেখানে ফিরে গেলাম, চেয়ারের নিচে খুজি, আসে পাশে খুঁজি, পাইতো না। আমার তো কালোঘাম বের হওয়া শুরু হয়ে গেছে। যাক, আর কোথাও না পেয়ে আবার গাড়ী খোঁজা শুরু করলাম, এবার ভাগ্য সুপ্রশন্ন, সিট আর দরজার মাঝে পেয়ে গেলাম ওয়ালেট বজ্জাতকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ভেতরে গিয়ে আমার আইডি দেখায় শরাবুন তহুরা নিলাম, চুমুক দিয়ে তৃপ্তির সাথে বললাম, আহ!!!! খাবারের কথা আর কি বলব, এম্নিতে জংগল দাবড়ায় আসছি, গোগ্রাসে খেয়ে ফেললাম, তারপরে আসলো ডেজার্ট, চেহারা দেকেই আমি কাইত, খাবো কি!! আপ্নারাও দেখুন এবং একটু লালা ঝরান হো হো হো
ট্রিপল চকলেট মেল্টডাউন

তখনো ভাবতেছি, কি অসাধারণ ই না যাচ্ছে আজকের দিনটা, ওয়ালেট হারিয়ে আবার খুঁজেও পেয়েছি। বিধাতা মনে মনে হাসলেন, আর বললেন, বেটা, নচ্ছার, দেখাচ্ছি মজা তোকে!!

মিয়া আর বিবি বলে বসল, বাসায় চলেন, চা খাওয়াবো, আমরা ভাব্লাম, ক্ষতি কি? যাই, আর কিছুক্ষন আড্ডা হোক না । গিয়ে তো ‘বিবি’ চা বসাল, আমরা মিয়া বিবির কেনা নতুন টিভিতে ক্যামেরার ছবি গুলা দেখতে থাকি, হঠাৎ বস বললেন, ঐ মিয়া, তোমার নাভি থিকা কি ঝুলে? আমি দাঁত বের ক্রে বললাম, চাবির থোকা, উনি বলেন, ওইখানে কেন? আমি বললাম, পকেট থেকে পড়ে যাবে তো, তাই প্যান্টের ফিতা বেঁধে তার মধ্যে হুক দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছি। এই বলতে বলতে আমি প্যান্টের ফিতায় হাত দিয়ে দেখি “নেই” , ফিতা খোলা, আমার মাথায় তো আকাশ একবার ভেঙ্গে পড়েছেই, এবারতো চাঁদ ও পড়ি পড়ি ক্রা শুরু করল।

আমি আবার বসের গাড়ীর চাবি নিয়া দৌড়ায় গেলাম, ভেত্রে খুঁজি, যেখান দিয়ে হাটছি, সেখানে খুঁজি, কোথাও নাই, সবাই মিলা বুদ্ধি দিল, নিশ্চয় এটা খাওয়ার সময়ই পড়েছে, তাই আমাকে ফেরত যাওয়া লাগল রেস্টুরেন্টে, বেটারা বলে, “আমরা তো কিছু পাই নাই”, তুমি টেবিলের নিচে খুঁজে দেখ চাইলে, ফলে আবার খুঁজলাম, কিসের কি, কোথাও আর পাই না, আশা করতে থাকলাম, হয়তো বের হবে, কোন এক জায়গা থেকে, কিন্তু কন ভাবেই আর খুঁজে পেলাম না চাবি। আমার বাসার চাবি, অফিসের চাবি, মেইলবক্স, গাড়ীর চাবি সব এক সাথে, আর কি কপাল, এক সাথে বের হবার কারনে, আমার স্ত্রীও চাবি নেয় নি। ভগ্ন মনে মিয়া বিবির বাসায় ফেরত যাই, দেখি অন্যকেউ যদি কিছু চিন্তা করে বের করতে পারে মন খারাপ

বস আর মিয়া মিলে এক বুদ্ধি বের করল, বলল, ছবি তোলা হয়েছে কয়টা? বললাম, ১৫৭ টা, তখন বলল, ঠিক আছে, বাসায় চল, আমরা ছবি রিভিউ করে দেখি, কোন খান থেকে চাবি আর দেখা যায় না। ছবি দেখে একটা হাইপথিসিস দার ক্রান হল, জংগ্ল এ আমার চাবি হারিয়েছে। এখন রাত বাজে ১১টা, ফেরত যাবার প্রশ্নই উঠে না, তমার এপার্টমেন্টের মেইন্টেনেন্সের বেটাক্র ফোন করে ব্ল, বাসা খুলে দিতে, স্কালে জংগলে যাওয়া যাবে নে। এই বলে আমাকে নাম্বার দিল বেটার, ফোন ক্রি, বেটাতো ফোন ধরে না। কি যন্ত্রনা, শেষ মেস লাইন না পেয়ে সবাই মিলে বলল, চল, তোমার বাসায় চল, টুল বক্স নিয়ে যাই, কোনভাবে খুলে ঢোকা যাবে নে।

আমার বাসার সামনে বারান্দা আছে, বাসা ২তলায়, তাই দেখে বস আর ‘মিয়া’র মাথায় কুবুদ্ধির ঝিলিক দেখা যায়। তারা বলে, বারান্দার দরজাতো দেখি খোলা, আমি বললাম, ঐটাতো খোলাই থাকে। উনারা ধমক দিয়া উঠে, বলে, মিয়া, আগে কইবা না? উনারা দুইজন মিলা আমাকে উচু করে বারান্দার রেলিঙ্গের নাগাল পাওয়ায় দেয়, তারপর আমি বান্দরের মত ঝুলে ঝুলে বেয়ে বেয়ে উপরে উঠে ভেতরে থেকে দরজা খুলে দেই। ভেতরে ধুকেই বস বলেন, ঐ বেটা, চাবি ঝুলানোর জায়গা পাশ নাই? মাইরা তোর … … …

যাক, লং স্টোরি শর্ট, সারারাত ছটফট করে পরে বুঝলাম, ঐ যে ঝোপের ধারে জলাশইয়ের পানি কমাইছিলাম, ঐ খানে আমার চাবি পইড়া গেসে হাসি । কোন মতে সকাল হইতেই আমি গাড়ী নিয়া দৌড়, গিয়া দেখি, আমার কুকর্মের স্থানের ১ হাত বায়ে সূর্যের আলো ঝিলিক মারতেসে শয়তানী হাসি

সাইফ


Comments

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

আপনে দেখি হারান মাঝি... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফ's picture

আর বোলেন না নজরুল ভাই, ভাগ্যিস রাত হয়ে গিয়েছিল, নাহলে আরো কতকি যে হারাতাম মন খারাপ

অনিকেত's picture

হা হা হা --
জোশ লাগল বস। খুব ঝরঝরে লেখা। একটানে পড়ে গেলাম।
খালি কিছু বানান---একটু খিয়াল কৈরা----

দশ লক্ষ তারা তোমার লেখাতে---

সাইফ's picture

চোখ টিপি বস হে হে হে, তারা তো আপনারে দেয়া দরকার আমারে মাইর না দেয়ার জন্যে, তারা একটু কম কম লাগতেছে হো হো হো

সাইফ's picture

ধুগো বস, চিপায় কাম সারতে গিয়াই তো কাল হইল, ১ ঘন্টা অপেক্ষা করলে সারারাত ছটফট করা লাগতো না, হাকুল্লা লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ

তানবীরা's picture

নিজে যে হারান নাই ঠিক ঠাক মতো ফেরত আসছেন তাই রক্ষা , নইলে কি হইতো?

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফ's picture

তাতাপু, আমার মত বেকুব দুই একটা দুনিয়া থেকে হারায় যাওয়া মনে হয় সবার জন্য হিতকর

পান্থ রহমান রেজা's picture

হারানোর অভ্যস দেখছি আমার মতো আপনারও ভালোই আছে দেখছি। তবে আমি মনে হয় হারানোর চেয়ে বেশি মন ভুলে যাই। হাসি

সাইফ's picture

পান্থদা, যেভাবে জিনিষ হারাচ্ছি আর ভুলে যাচ্ছি, খুব শীঘ্রই আমাকে আলজেইমার্সের রোগী ঘোষনা করা হবে, ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি]'s picture

রসালো গল্প, তয় ভবিষ্যতে নিজেরে হারায়েন না

সাইফ's picture

বস, যথারীতি চেষ্টা করবো নিজেকে না হারানোর, কিন্তু আপনাদের ভয় অমূলক নয়, অবস্থা বেশী সুবিধার না।

বিপ্লব রহমান's picture

গুল্লি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সাইফ's picture

বিপ্লবদা, আমি কিন্তু এবার লজ্জাই পেয়ে গেলাম, আপনাকে এক কোটি সালাম, এভাবে প্রশংসা কার জন্য, গুল্লি তো হল আপনার লেখার স্টাইল, কি সাবলিল ভঙ্গীতেই না লিখেন আপনে, বস মানুষ আপনেরা, সচলে এসে আপনাদের লেখা পড়ে মনে অনেক শান্তি শান্তি ভাব আসে।!!

বিপ্লব রহমান's picture

Quote:
গুল্লি তো হল আপনার লেখার স্টাইল, কি সাবলিল ভঙ্গীতেই না লিখেন আপনে, বস মানুষ আপনেরা, সচলে এসে আপনাদের লেখা পড়ে মনে অনেক শান্তি শান্তি ভাব আসে।!!

কস্কি মমিন!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সাইফ's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি বস, আপনে পারেন ও

সুলতানা পারভীন শিমুল's picture

হা হা হা
মজা পাইলাম খুব । দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ's picture

ধন্যবাদ শিমুলাপু, বানানের ব্যাপারটা নিয়া খুব লজ্জায় আছি, নাহলে রোজ লেখা নামায় দিতাম, কিন্তু পোস্ট করার পর দেখি এত ভুল, যে লজ্জায় আরেকটা লেখতে ইচ্ছা করে না।

সুলতানা পারভীন শিমুল's picture

একটা কাজ বোধহয় করা যায়। আপনি লেখাটা কমপ্লিট করে আর কাউকে দিয়ে একবার চেক করিয়ে নিতে পারেন। বানানের সমস্যার কারণে আপনার মাথার ভেতর গিজগিজ করা কুবুদ্ধিগুলো যদি আমাদেরকে জানাইতে না পারেন, দুঃখ পাবো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সাইফ's picture

ভালো বলেছেন, ২ জন রাজীও হয়ে গেছে। দেখি আগামীবার ভুলের পরিমান কমাতে পারি কিনা?

অতন্দ্র প্রহরী's picture

হাহাহাহাহা। চরম মজা পাইসি রে ভাই! জটিল লাগসে! হো হো হো
মনে হচ্ছিল যেন সিনেমার কাহিনী পড়তেছি। চাবি হারানো, খুঁজে পাওয়া, সব মিলায়া ফাটাফাটি লাগল, বস।

লেখায় আপনারে দশ কোটি দশ লক্ষ দশ হাজার দশখান তারা। আরো লেখেন। তবে ভাই, বানান সম্পর্কে আরেকটু খিয়াল কইরা... হাসি

সাইফ's picture

হা হা হা, প্রহরীদা, সচলের ফোনেটিক আর অভ্রের মাঝে দৌড়াদৌড়ির ফলাফল খুব একটা শুভ হচ্ছে না আমার জন্য, বানান গুলোর জন্য খুবই দু:খিত, ভাগ্যিস মুজিব ভাই মাছি মেরে হাত গন্ধ করেন না খাইছে . আপনার ভালো লেগেছে জেনে বড়ই আনন্দিত হলাম। লেখব খুব শীঘ্রই, মাথায় খালি লেখা কিলবিল করে, তার সাথে কুবুদ্ধি হো হো হো

অতন্দ্র প্রহরী's picture

উপরে শিমুল আপু যে বুদ্ধি দিলেন, সেটা মাথায় রাইখেন বস। শুধুমাত্র বানানের কারণে আপনার মাথায় কিলবিল করা লেখাগুলো যদি আমরা না পাই, তারচেয়ে দুঃখজনক আর কী হইতে পারে বলেন! তাই লিখে ফেলেন সব কাহিনী। আমরাও পইড়া মজা পাই হাসি

সাইফ তাহসিন's picture

চেষ্টা করতেসি, দেখা যাক, সমস্যা হইল, বেশির ভাগই একটু অশ্লীল ইয়ে, মানে...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রানা মেহের's picture

বিশাল লেখার শেষে লং স্টোরি শর্ট? হো হো হো

তবে বিশল মজা পেয়েছি লেখা পড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফ's picture

বাসায় ধোকার পর থেকে চাবি পাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটনা আরেকদিন দিব, তাহলে বুঝবেন লং স্টোরি কিভাবে সর্ট করেছি হাসি । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

মামুন হক's picture

চমৎকার লেখা সাইফ! চাবি তো তোমার আগেও হারাইছে জঙ্গলে, আগেও একবার তারেক ভাই তোমারে টেনিস বলের মতো থ্রো করে দোতলার বারান্দায় পাঠাইছে, তার পরেও আবার একই কান্ড !! আমি ভাবতেছি ধোলাই খাল থেকে অর্ডার দিয়া তোমার জন্য স্পেশাল লোহার চাবির রিং বানাবো, সেটা তোমার গলায় ঝুলানো থাকবে, আর ব্যাক আপ হিসাবে কয়েক ডজন স্পেয়ার চাবি বানিয়ে তোমার অঞ্চলের সবার ঘরে ঘরে রেখে দেয়া উচিৎ।
যাক স্পেশাল চাবির রিং এর জন্য দরপত্র আহবান করা হবে দৈনিক হাড়ির খবর পত্রিকায়। তুমি আপাতত রবি দাদুর " ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি, নিয়ে যাবি কে আমারে..."
গানটা প্রাক্টিস করতে থাকো...কেউ একজন দয়াপরবশ হয়ে তোমারে আবার চিপায় নিয়ে যাবে হাসি
তোমার মেয়েটা যা সুইইইইটটট ...মাশাল্লাহ।

সাইফ's picture

ধন্যবাদ বস, গানটা প্র্যাকটিস করা শুরু করে দিব, সমস্যা তো অন্যখানে, আমার গান শুনে তো কবিগুরুও গঙ্গার জল থেকে উঠে আসবেন ছাই জামট বাধিয়ে, আমার বানান এর যা অবস্তা গানের গলা কেমন, বুঝতেই পারতেসেন চোখ টিপি , মৃত্যুর পরের বেচারা কে কষ্ট দেয়াটা কি ঠিক হবে?

লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো বস।

... [অতিথি]'s picture

হা হা হা। মজা পাইলাম। হো হো হো

বস, আপনি লগইন করে পোস্ট করেননা কেন ?
আর লগইন করতে ইচ্ছে না করলে নামটা লেখার শুরুতে দিয়েন। হাসি

সাইফ's picture

বস, আমি যতদুর বুঝেছি, log in করতে হলে আমাকে আগে activated হতে হবে? নাকি আমার বোঝার ভুল? আগে অতিথি হিসাবে সচল, তারপরে লগ ইন, ঠিক না?

সাইফ's picture

ধন্যবাদ বস, সঠিক সময়ে সচল করা হবে আমাকে, ঠিক বল্লাম না?

হলুদ-মডু's picture

প্রিয় সাইফ,

সকল নতুন সচলের অবশ্যপাঠ্য এই পোস্টটি আপনি পড়েছেন আশা করছি।

আপনি নিয়মিত মন্তব্য করছেন খুবই ভালো কথা। তবে সচল হতে গেলে অতিথি হিসেবেই আপনাকে লেখা শুরু করতে হবে।

ধন্যবাদ।

সাইফ's picture

মডু বস, তার মানে আমি ঠিক পথে চলছি, অতিথি একাউন্টে লেখা দিচ্ছি আর কমেন্টাচ্ছি, কিছু ভুলচুক করলে বসেরা একটু ধরায় দিয়েন, আপনাদের জন্যই সচল এত পরিচ্ছন্নভাবে চলছে, এখানে আসলে সবাইকে নিজের পরিবার বলেই মনে হয়। ধন্যবাদ সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য।

Noushin's picture

গল্পের নামকরণ খুবই উপযুক্ত হয়েছে!
লেখার সাথে ছবির ধারাবাহিকতা আমাকে আবারও ঐ দিনটিতে নিয়ে গেলো। তবে গল্পের শেষ অংশের ভিডিও করা গেলে রসবোধ পুর্ণ হতো, হা হা হা..............

সাইফ's picture

হা হা হা, নওশিন, একে বলে, কারও পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ

দ্রোহী's picture

আমার ম্যাকডুনি খাইতে ভীষণ ভালু লাগে। বিশেষ করে ১টাকার মেন্যুতে ডাবলচিজ বার্গার আর ম্যাকচিকেন বার্গার ম্যাকডুনির সবচাইতে সেরা মেন্যু।

গল্প পড়ে মনে হইলো আপনার নাম হারাধন হইলে ভালো হইতো।

রায়হান আবীর's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হোই মিয়া চাবিটা ঠিকঠাক মতো ধুইয়া নিছিলেন তো নাকি?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.