রসিকলাল

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Thu, 30/07/2015 - 10:04pm
Categories:

বিচারক কোমল গলায় বললেন, দেখেন ভাই, আমি রসিক মানুষ। আমি রসিকতা পছন্দ করি। শুধু পছন্দ করি বললে ভুল হবে, এটা আমার জীবন বলতে পারেন। মানুষের জীবন থেকে যদি হাস্যরস কেড়ে নেয়া হয় তবে কি আর বাকি থাকে বলেন। আমি শুনেছি, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে আপনার মতো রসিক মানুষ আর একটাও নাকি নেই। নিজ কানে আপনার রসিকতা শোনার সুযোগ হয়নি। তাই সেই সুযোগটা নিতে চাচ্ছি, সেইসাথে আপনাকেও একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছি। সহজ ব্যাপার। আপনি আমাকে একটা কৌতুক বলবেন। সেটা শুনে যদি আমি হেসে ফেলি, তাহলে আপনার ফাঁসির সাজা মওকুফ।

সাকা অলস ভঙ্গিতে শুয়ে ছিল। বিচারকের কথা শুনে ধড়মড় করে উঠে বসলো। নিশ্চিত হবার জন্য জিজ্ঞেস করলো, মশকরা করছেন না তো বিচারক সাহেব?
- না না, আমি মশকরা করছি না। তবে আপনি একটা মশকরা করবেন সেটাই চাচ্ছি। সেই মশকরার উপর আপনার জীবন মরণও নির্ভর করছে।

পাশ থেকে তার আইনজীবী ফিসফিস করে বলে, সাকা ভাই, ঐযে লালমিয়া সোনা মিয়া জোকটা বলেন।
সাকা উৎসাহের সাথে বলে যায়, ওই যে পঞ্চম সংশোধনী মিয়ে জোকসটা ছিল আরকি। পঞ্চম সংশোধনীর কথা আর কি বলব? সোনা মিয়ারে বানাইসে লাল মিয়া আর লাল মিয়ারে বানাইসে সোনা মিয়া। মিয়া কিন্তু ঠিকই আছে। সোনাডা খালি লাল হইয়া গেছে।

রসিকতা শুনে বিচারকের হাসিহাসি মুখটা শক্ত হয়ে যায়। পাশ থেকে তার সাকার আইনজীবী বলে,
সাকা ভাই। এইটা ঠিক জমে নাই। বিচারক স্যার তো ক্ষেপে যাচ্ছে মনে হয়। আপনি বরং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন নিয়ে ওই জোকটা বলেন।
সাকা ঢোঁক গিলে বলে যায়, না মানে জোকটা ছিল, বঙ্গবন্ধু এত বেশি স্বপ্ন দেখতেন যে মনে হয় উনার স্বপ্নদোষ আছিল।

এবারের রসিকতা শুনে বিচারকের শক্ত মুখ আরও শক্ত হয়ে যায়। ভুরু কুঁচকে যায়।
পাশ থেকে উকিল বলে যায়, ভাই জলদি অন্য কিছু বলেন। এইটা তো আরও ফ্লপ খাইল মনে হয়।

সাকা চটজলদি বলে যায়, না মানে ঐযে স্পীকারকে রসিকতা করে বলছিলাম। মাননীয় স্পীকার দেশে আজব এক্কান মেশিন আইছে। সেই মেশিনের নাম আওয়ামী লীগ যার একদিকে যুদ্ধাপরাধী ইনপুট দিলে আরেকদিকে মুক্তিযোদ্ধা বাহির হইয়া আসে।

বিচারকের মুখ এবার পাথর হয়ে যায়। উকিল ফিসফিস করে বলে যায়, সাকা ভাই আপনের ফর্ম তো আজকে খুবই খারাপ মনে হয়। আপনি কি মাননীয় স্পীকার, আমি তো চোদনা হয়ে গেলাম জোকটা একটু বলে দেখবেন কাজ হয় কিনা। না থাক বরং। ওইটা আরও ফ্লপ খাবে। বরং ঐযে ধর্ষণ উপভোগ করা নিয়ে ওই জোকটা বলে দেখেন। না না ওইটাও জমবে না মনে হয়। তারচেয়ে বরং আপনি বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিয়ে যেই কুকুরের জোকটা করেছিলেন সেটা বলে দেখেন।

সাকা বিড়বিড় করে বলে যায়, বিরোধীদলের নেত্রীর অবস্থা নিয়ে বলছিলাম আরকি। আগে কুকুর লেজ নাড়াত, এখন লেজ কুকুরকে নাড়ায়।

বিচারক হাই তুলতে তুলতে ঘড়ি দেখেন। ঘড়ি দেখিয়ে বলে, আপনাকে আর পাঁচ মিনিট সময় দিলাম।
সাকা প্রচণ্ড ঘামতে থাকে। পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ। হাসির কোন কিছুই মনে পড়ে না। পাশ থেকে তার উকিল ধরিয়ে দেয়। সাকা হড়বড় করে বলতে থাকে,
- আমরা নেতা হইছি বইলা এমন না যে নিজের পায়জামার ফিতা খুইল্লা জনগণের মশারী বাইন্ধা দিমু।
- আমার নাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি থেকে যদি সাকা চৌধুরি হতে পারে তাহলে আমিও বলতে পারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে বাল।
- সুশীল আবার কি? সু মানে সুন্দর আর শীল মানে নাপিত, তাহলে সুশীল মানে সুন্দর নাপিত।
- আমার নাম যদি সাকা চৌধুরী হয়, তাহলে আজ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শেমু রহমান।
- তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কিসের সংলাপ? এটা তো গর্ভবতী মহিলার মত, সময় হলেই প্রসব করবে।

বিচারক বিরক্তমুখে ঘড়ি দেখেন,
- আপনার হাতে আর ত্রিশ সেকেন্ড সময় আছে।

সাকা আর কিছু না বলে হাউমাউ করে বিচারকের পা জড়িয়ে ধরে,
-স্যার আপনার পায়ে পড়ি। এইবারের মতো মাফ করে দেন। আমি যা করার করছি। কিন্তু আমি আর জীবনেও এরম করুম না।
বিচারকের মুখে এবার হাসি ফোটে। আস্তে আস্তে হাসি প্রশস্ত হয়। সাকা চিৎকার করে বলতে থাকে,
- স্যার তো হেসে ফেলছেন। এইবার তাহলে আমাকে মাফ করে দেন।
বিচারক হাসিহাসি মুখে বলেন,
- আচ্ছা যান, মাফ করে দিলাম।
- সত্যি?
- আরে না, মশকরা করলাম আরকি আপনার সাথে। আপনি দেশ, মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু সবকিছু নিয়ে রসিকতা করতে পারেন আর আমি আপনাকে নিয়ে একটু রসিকতা করতে পারবোনা? হা হা হা হা।
সাকা এবার হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে।
- স্যার প্লিজ। দয়া করেন। একবার রহম করেন।
- আচ্ছা যান দয়া করলাম। আপনি কথা দিয়েছেন তো আর জীবনেও এমন করবেন না?
- না স্যার, জীবনেও না।
- কি করবেন না?
- আর জীবনে কখনও হত্যা করবোনা। লুটপাট করবোনা। ধর্ষণ করবো না। তারচেয়েও বড় কথা মুখ সামলে রাখবো। জীবনে কখনও দেশ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রসিকতা করবোনা। রসিকতা তো দূরের কথা, কথাই বলবো না। বাকি জীবন বোবা হয়ে থাকবো।
- ঠিক আছে। আমরাও তাহলে আপনাকে আর কখনও ফাঁসি দিবনা।
- সত্যি?
- একেবারে কসম। কিন্তু এইবারের ফাঁসি তো আর বন্ধ করা সম্ভব না ভাই। এটা আরকি দিয়ে দিতেই হবে। তবে এই শেষ। ভবিষ্যতে আপনাকে আর কখনও ফাঁসি দিবনা। কথা দিলাম। হা হা হা হা।

নিজের রসিকতায় নিজেই ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকেন বিচারক। হতভম্ব হয়ে সেলের দেয়ালে হেলান দিয়ে পড়ে থাকে সাকা।

দিন যায় রাত যায়। সময়ের হিসাব গুলিয়ে যায়। তারপর সেই বিশেষ দিনটি আসে। জেলের দরজা খুলে হাসিমুখে ডিআইজি প্রিজন ঢুকেন।
- সাকা ভাই, একটা জোক শুনবেন?
সাকা উত্তর দেয়না। ডিআইজি বলে যায়,
- আগে কুকুর লেজ নাড়াত, পরে লেজ কুকুর নাড়ানো শুরু করে। সবশেষে মুগুর এসে লেজ আর কুকুর দুইটারই নাড়াচাড়া বন্ধ করে দেয়। হা হা হা হা।
শেষবারের মতো তাকে পরীক্ষা করতে ডাক্তার আসে। হাসিহাসি মুখে বলে,
- সাকা ভাই, একটা জোক শুনবেন?
সাকা উত্তর দেয়না। ডাক্তার বলে যায়,
- ফাঁসি যখন নিশ্চিত তখন উপভোগ করাই শ্রেয়। হা হা হা হা।

জল্লাদ এর মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। কিন্তু সেই কালো কাপড়ের ভেতরে তার মুখ যে হাসিহাসি সেটা কিভাবে যেন বোঝা যায়। হাসিমুখে জল্লাদ বলে,
- সাকা ভাই, একটা জোক শুনবেন?
সাকা উত্তর দেয়না। জল্লাদ বলে যায়,
- সাকা ভাই আপনি স্বীকার করে বলছিলেন, আমি রাজাকার। এখন কে কোন বাল ফালাবে। আপনার বাল কিন্তু কেউ ফালাইতে পারে নাই আসলেই। তবে আপনার কল্লা ফেলে দিতেছে আরকি। কল্লা ছাড়া বাল দিয়া এখন করবেনটা কি শুনি। হা হা হা হা।
সাকা হাঁটু গেড়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলে,
- ভাই একটু রহম করেন।
ডাক্তার দাঁড়িয়ে ছিলেন পাশে। তিনিও হাসির দমকা থামাতে থামাতে বলে,
- মাননীয় স্পীকার, আপনার অবস্থা দেখে আমি তো চোদনা হয়ে গেলাম। হা হা হা হা।
সাকা কাঁদোকাঁদো গলায় বলে,
- ভাই একটু দয়া। আল্লার দোহাই লাগে।

অন্য পাশ থেকে জেলা প্রশাসক হাসি মুখে বলেন,
- সাকা ভাই, একটা জোক শুনবেন? এক দেশে ছিল এক মালাউন ... হা হা হা হা।
হতভম্ব দৃষ্টিতে সাকা তাকিয়ে থাকে। জেলা প্রশাসক হাসতেই থাকে হাসতেই থাকে।
- সাকা ভাই, এইটাই পুরা জোক। এর আগে পিছে আর কিছু নাই। এক দেশে ছিল এক মালাউন , হা হা হা হা।
বহু কষ্টে হাসি থামিয়ে জেলা প্রশাসক তার ফোন খুলে দেখান,
- মালাউন নিয়ে তো আপনার বড় চুলকানি ছিল ভাই। মালাউন লিখে সার্চ দিলে উইকিপিডিয়াতে আপনার নাম উদাহরণ হিসেবে আসে। এই যে দেখেন, মালাউন শব্দের ব্যাবহার বুঝাতে এইখানে লিখা আছে,
১৩ই এপ্রিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে আর এক বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু দানবীর নূতনচন্দ্র সিংহকে নিজে গুলি করে হত্যা করেন। উপস্থিত মুসলমানরা নূতনচন্দ্র সিংহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলে তাদের ভর্ত্সনা করে তিনি বলেন, সামান্য একটা মালাউনের মৃত্যুতে এত শোক প্রকাশ করার কি আছে।
কাণ্ডটা দেখেন, যেই মালাউন নিয়ে আপনার এত চুলকানি সেই মালাউন শব্দের সাথেই কিনা আপনার নাম সারা জীবনের জন্য জুড়ে গেল। হা হা হা হা।

আইজি হঠাৎ হাত তুলে সবার হাসি থামান। গম্ভীর গলায় বলেন,
- অনেক হাসাহাসি হয়েছে। বেচারার উচিৎ শিক্ষা হয়েছে। এইবার একে ছেড়ে দেন। এবারে মতো ফাঁসি মওকুফ করে দিলাম।
সাকা আনন্দে তোতলাতে থাকে। উঠে দাঁড়িয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে,
- স্যার, সত্যি? সত্যি আমাকে মাফ করে দিচ্ছেন?
আইজি হাসিতে ফেটে পড়েন,
- আরে ধুর মশাই। মশকরা করলাম আপনার সাথে। ফাঁসি কি এইভাবে মওকুফ হয় নাকি কখনও। আপনি এত রসিক মানুষ, আর এই সামান্য রসিকতা বুঝেন না। হা হা হা হা।
পাশ থেকে ডাক্তার বলেন,
- দুই পিস প্যারাসিটামল খেয়ে ঝুলে পড়েন ভাই। একটুও ব্যথা লাগবে না। কিছু বোঝার আগেই আপনি মাননীয় স্পীকার হয়ে যাবেন। হা হা হা হা।

টেনে হিঁচড়ে তাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। সাকা কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলেন, মাফ করেন, ক্ষমা করেন, রহম করেন।
উত্তরে ডাক্তার হাসে, ডিআইজি হাসে, আইজি হাসে, জেলা প্রশাসক হাসে, জল্লাদ হাসে হা হা হা হা করে।
নূতন চন্দ্র হাসে, নেপাল চন্দ্র হাসে, সতীশ চন্দ্র হাসে
মোজাফফর হাসে, আলমগীর হাসে
নিজামউদ্দিন হাসে, সালেহউদ্দিন হাসে
জগৎমল্লপাড়া হাসে, ঊনসত্তরপাড়া হাসে, বণিকপাড়া হাসে
চার দেয়ালে তাদের হাসি বারবার ধাক্কা খেয়ে ত্রিশ লাখ প্রতিধ্বনি তৈরি হয়।


Comments

হিমু's picture

চলুক

নিটোল's picture

উত্তম জাঝা!

_________________
[খোমাখাতা]

জীবন's picture

চলুক
যেইদিন সাকার ফাঁসি হবে সেইদিন স্ট্যাটাসে খালি হাসি হবে, কোন কথা হবে না।

হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা ...........................

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি

সজীব ওসমান's picture

চলুক

অতিথি লেখক's picture

গুরু গুরু

রাজাকার ঘৃণা করি, তার মধ্যেও সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি এই বরাহশাবককে। 'বরাহশাবক' শব্দটাও আর কারও জন্য এতোটা প্রযোজ্য হয় না।

- উদ্দেশ্যহীন

চরম উদাস's picture

সেটাই

সুবোধ অবোধ's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো গুরু গুরু গুরু গুরু

Quote:
টেনে হিঁচড়ে তাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। সাকা কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলেন, মাফ করেন, ক্ষমা করেন, রহম করেন।
উত্তরে ডাক্তার হাসে, ডিআইজি হাসে, আইজি হাসে, জেলা প্রশাসক হাসে, জল্লাদ হাসে হা হা হা হা করে।
নূতন চন্দ্র হাসে, নেপাল চন্দ্র হাসে, সতীশ চন্দ্র হাসে
মোজাফফর হাসে, আলমগীর হাসে
নিজামউদ্দিন হাসে, সালেহউদ্দিন হাসে
জগৎমল্লপাড়া হাসে, ঊনসত্তরপাড়া হাসে, বণিকপাড়া হাসে
চার দেয়ালে তাদের হাসি বারবার ধাক্কা খেয়ে ত্রিশ লাখ প্রতিধ্বনি তৈরি হয়।

ধইয্য ধরে আছি।

চরম উদাস's picture

আমিও ধইয্য ধরে আছি

নজমুল আলবাব's picture
অতিথি লেখক's picture

আরও একটা মাস্টারপিস!!!

Quote:
নিজের রসিকতায় নিজেই ঘর কাঁপিয়ে হাসতে থাকেন বিচারক। হতভম্ব হয়ে সেলের দেয়ালে হেলান দিয়ে পড়ে থাকে সাকা।

মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে স্নান করে অনেক তামাশা করেছে সে। সে হাসি-তামাশা করেছে, আর মুক্তিযুদ্ধের স্বজনহারাদের রক্তক্ষরন হয়েছে! রসিকরাজের অস্তিত্বই যেন ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এক তীব্র কটাক্ষ!

গল্পের বিচারক আসলে জাতিকেই প্রতিনিধিত্ব করছে। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের হৃদয় বিদীর্ন হয়েছে বহুদিন ধরে, রসিকতা করার সামান্য সুযোগটুকু মেলেনি তার, এখন রসিকরাজকে নিয়েই রসে মেতে উঠার অবকাশ পেয়েছে সারা বাংলাদেশ।
।।।।।।।।।।।
অনিত্র

চরম উদাস's picture

চলুক

সাফি's picture

এইটা তো পুরা ধ্বংস হইসে ভাই, সাকারে পুরা ফাকা কইরা দিসেন। দেঁতো হাসি

সুলতানা সাদিয়া's picture

চলুক

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

ইয়ামেন's picture

ব্রাদারফাকারকে এভাবে ফাক করে দিলেন চউদা?

মাস্টারপিস হইছে। গুরু গুরু হাততালি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

সত্যপীর's picture

হ ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

মাহবুব লীলেন's picture

ফাইনাল হাহাহার অপেক্ষায়

সুজন চৌধুরী's picture
তিথীডোর's picture

চলুক চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক's picture

উত্তম জাঝা! গুল্লি বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

জীবনযুদ্ধ's picture
কল্যাণ's picture

'রসিক মানুষ নাকি আর একটাও নাকি নাই' তারপর 'ধরমর' তারপর 'স্যার তো তো ক্ষেপে যাচ্ছে মনে হয়'; পড়ছি আর ভাবছি উদাস ব্যাটা বড্ড ফাঁকিবাজ হয়ে যাচ্ছে। আগে যত্ন করে লিখত, ইদানিং লেখালিখিতে মোটেই মন নেই।

পড়তে পড়তে আরোও এগুচ্ছি আর চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে অজান্তেই; ভাবছি কড়া করে একটা মন্তব্য লিখি যে শুওরের ঘোত ঘোত গুলা না দিলে হত না? আপনে চান কি, আপনার উদ্দেশ্যটা কি, সাকা খাপো বেয়াদপ সেই জন্যে ফাঁসি এইটা বলতে চাচ্ছেন নাকি - ইত্যাদি। কিন্তু শেষের দিকে এসে আর হাসি সামলাতে পারলাম না। ঘাড়ের উপর মুণ্ডুটা না থাকলে বাল দিয়ে কি হবে - জটিল ভাবের কথা। সাথে আছে দুইটা প্যারাসিটামল খেয়ে ঝুলে পড়লে নাকি ব্যাথা লাগবে না। দারুণ, আপনি আসলেই চরম।

ঘটনা হচ্ছে একটা জীবের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, অথচ মজা লাগতেছে! বড়ই আনন্দ! এটা কি একটা রোগ? এই রোগের চিকিৎসা চাই না, ভুগতে চাই, কি বিচিত্র এই বিশ্ব!

আপনে বস্লুক গুরু গুরু

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস's picture

টাইপো আর বানান কিছু ঠিক করে দিলাম। সকল কাজ যদি লেখকই করবে তবে আপনার মতো পাঠক করবেটা কি শুনি?

এটা একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় আসলেই, লোকজন অনেক সময় সাকার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আর অশ্লীল মন্তব্য নিয়ে আলাপ করতে করতে ভুলে যায় এই শুয়োর একাত্তরে কি করেছিল। লেখার সময় আমি সেটা ভুলি নাই। তবে তার মন্তব্য আর ঘোত ঘোত গুলার জন্য সে অন্য সব শুয়োর থেকে আলাদা এটাও সত্য। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিয়ে বলা অশ্লীল কথাবার্তাগুলো আলাদা একটা গুরুত্ব বহন করে। এই লোক মোটামুটি নিশ্চিত ছিল এই দেশে ক্ষমতা আর টাকা থাকলে সে যা খুশী করতে পারবে, যা খুশী বলতে পারবে, সবার সামনে আমি রাজাকার, আমার কি বাল ফেলবি ফেল টাইপের কথা বলে পার পেয়ে যাবে। সে পার পায় নাই। বরং সময় হয়েছে তার রসিকতা, তার বেয়াদবিগুলা এখন তাকেই ফেরত দেয়ার।

কল্যাণ's picture

হ। শুয়োরগুলোর আর ওদের ঔদ্ধত্যের পৃষ্ঠপোষকদের যদি একটা কোনো ব্যবস্থা করা যেত! মইত্যা রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়ত!

আপনার লেখার শক্তি অসাধারণ। হিমশৈলের মত একটা দানবীয় কিছু ডুবে থাকে লেখায়। এই সব দু চারটা টাইপো আসলে পরে আর মাথায় থাকে না।

দরকারি একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, না বলে গেলে অপরাধ হবে। আপনার এই ধরনের লেখায় হাসির মশলা অনেক থাকলেও কাটাটা যায়গামতই থাকে। যতই হাসি আসুক ঠিকই টের পাওয়া যায়। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল শুয়োর শিবিরের জন্যেও কাটা রেডি।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

শুধু বঙ্গবন্ধু না, খোদ শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এই ইতরটা যে কঠিন অশ্লীল মন্তব্য করেছিল তার জন্যও এর শাস্তি হওয়া দরকার ছিল। আমরা বিস্ময়ের সাথে দেখেছি তখন এই ব্যাপারে কেউ বিশেষ কিছু বলেননি। অথচ অমন একটা কথা কেউ কারো পরিবারের কোন নারীকে (মা/বোন/স্ত্রী/কন্যা/আত্মীয়া/বান্ধবী) উদ্দেশ্য করে বললে ঐ ব্যক্তি ঐ গালিবাজকে পিটিয়ে সোজা করার জন্য গজারির লাঠি নিয়ে দৌড়াতো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

দণ্ড কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কোন বিষয়ই নিশ্চিত না। সাঈদী, গোলাম আজম পর্বে যারা আগে হেসেছিল পরে তাদেরকে চুপ হয়ে যেতে হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সপ্তম's picture

মরার আগে সাকারে এই লেখাটা পড়াইতে পারলে ভাল হইতো

তাহসিন রেজা's picture

সত্যি যদি ফাঁসির সময় পশুটার সাথে এমন রসিকতা করা হত।

মিজান, পিষে ফ্যালো গুল্লি মিজান, পিষে ফ্যালো

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

বাদুর পাগল's picture

অনেক ভাল্লাগসে দাদা ! পইড়া হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইসি !! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক's picture

এমন বক্তব্য ধর্মী হাসির লেখা পড়ে না হেসে থাকা যায়? পড়েছি আর হেসেছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি? ততটা আশঙ্কামুক্ত হয়ে হাসতে পারিনি। সব সম্ভবের এই দেশে এ দানবকে ঝুলানো শেষে নামানো ওর মরদেহ না দেখে পুরোপুরি নিশ্চিৎ হতে মন সায় দিচ্ছে না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফাঁসি কাষ্ঠে এ দানবের পাপ দেহ নিথর হবার পর লেখাটি আর একবার পড়ে মনের মত হাসব। তবে জানিনা, সেদিনও যথাযথভাবে হাসি আসবে কিনা? কারণ, এ লেখা পড়ে হতাশ এবং মর্মাহত হবার দলের লোক তো সেদিনও সাকা’র হাতে নিহত হওয়া বীর সেনানীদের রক্তে কেনা প্রিয় দেশে থেকে যাবে। সেদিনও দেখবো, ওদের জানাজায় পঙ্গপালের মত ধেয়ে আসা পাক-পাখালির অভাব হচ্ছে না।

- পামাআলে

তন্ময়'s picture

সাকার প্রাপ্য নিষ্ঠুর রসিকতা। গুরু গুরু

রানা মেহের's picture

গল্প ভালো লেগেছে, হাসি আসেনি।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এক লহমা's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
তীব্রতাটা ঠিক আছে, কিন্তু হাসি আসেনি, কি করব বলো! এই নরপিশাচটা ...

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

টিউলিপ's picture

চলুক

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

অতিথি লেখক's picture

আপনি সেইরাম রসিক মানুষ!

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

দেঁতো হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

( এম্নে দিলেন! সাকা কি আপনার ব্রাদার লাগে? চিন্তিত )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

Quote:
ফাঁসি যখন নিশ্চিত তখন উপভোগ করাই শ্রেয়। হা হা হা হা।

মাইরের মৈদ্যে ভাইটামিন আছে জানি, কিন্তুক ফাঁসির মৈদ্যে যে উপভোগ আছে এইটা জানতাম না। মু হা হা হা হা।

খেকশিয়াল's picture

অসাধারণ বললে কম বলা হইয়া যায়। অনেকদিন পর গল্প পড়লাম। স্যালুট!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ঈয়াসীন's picture

জম্পেশ

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

প্রশংসা আর করতে চাই না -( মানে, বলার মত আর কিছু নাই)। এখন পর্যন্ত হা হা করে হাসছি, শুয়োরটার (এটাই সঠিক শব্দ, অন্য প্রতিশব্দ লিখলেও এই শুয়োরটার জন্য সেগুলো উপযুক্ত মনে হয় না) ফাঁসির দিন হো হো করে হাসবো এই প্রতীক্ষায় আছি।

____________________________

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ's picture

চলুক দেঁতো হাসি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অনিকেত's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

স্পর্শ's picture

উত্তম জাঝা! গুল্লি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী's picture

চলুক

অতিথি লেখক's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

সুলতানা সাদিয়া's picture

তখন আঙুল উঁচিয়ে চলে গিয়েছিলাম। সময় কম ছিল। আসলে লেখাটা পড়তে পড়তে বুকের ভেতর কি একটা ঘেন্না যে পাক দিয়ে উঠছিল। আপনার আগের কোনো লেখা পড়ে এমন অনুভূতি হয়নি। হয়তো হেসেছি, হয়তো ভেবেছি দারুণ দিলেন। কিন্তু এই লেখার টুকরো টুকরো কথোপকথনগুলো বুকটা এফোঁড়ওফোঁড় করে দেয়।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তারেক অণু's picture
দুষ্ট বালিকা's picture

হাসিনাই। ঝোলানোর পরে হাসবো! তার আগ পর্যন্ত গ্যাঁট হয়ে বসে আছি!

গল্প জম্পেশ হইসে! বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

গৌতম হালদার's picture

হাততালি

অতিথি লেখক's picture

Quote:
আগে কুকুর লেজ নাড়াত, পরে লেজ কুকুর নাড়ানো শুরু করে। সবশেষে মুগুর এসে লেজ আর কুকুর দুইটারই নাড়াচাড়া বন্ধ করে দেয়। হা হা হা হা

কুকুরের নাড়াচাড়া বন্ধ হবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি। হো হো হো হো হো হো হো হো হো

আমি তোমাদের কেউ নই-> আতোকেন

ঈশা করিম's picture

টেনে হিঁচড়ে তাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। সাকা কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলেন, মাফ করেন, ক্ষমা করেন, রহম করেন।
উত্তরে ডাক্তার হাসে, ডিআইজি হাসে, আইজি হাসে, জেলা প্রশাসক হাসে, জল্লাদ হাসে হা হা হা হা করে।
নূতন চন্দ্র হাসে, নেপাল চন্দ্র হাসে, সতীশ চন্দ্র হাসে
মোজাফফর হাসে, আলমগীর হাসে
নিজামউদ্দিন হাসে, সালেহউদ্দিন হাসে
জগৎমল্লপাড়া হাসে, ঊনসত্তরপাড়া হাসে, বণিকপাড়া হাসে
চার দেয়ালে তাদের হাসি বারবার ধাক্কা খেয়ে ত্রিশ লাখ প্রতিধ্বনি তৈরি হয়।

কৌস্তুভ's picture

চউদা দেখি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা!

চরম উদাস's picture

শয়তানী হাসি

সো's picture

"টেনে হিঁচড়ে তাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়।"
ভবিষ্যতবাণী করার লাইনে নামবেন নাকী ?

চরম উদাস's picture

নামা যায়, আইডিয়া খারাপ না চোখ টিপি

হরিপদ's picture

হা হা হা হা
বাংলাদেশ আজ সাকামুক্ত

ফরিদ 's picture

হা হা হা

স্যাম's picture

গল্পটা যারা তখন পড়েছিলেন, এখন আবার পড়ে দেখেন - আরাম লাগে অন্যরকম হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

দেশে আজ কোনও সাকাচৌ নাই! হাততালি হাসি দেঁতো হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

হো হো হো

স্বয়ম

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

হেঃ হেঃ হেঃ হেঃ
দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

মাফ করেন, ক্ষমা করেন, রহম করেন

হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ
হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

মুহাহাহাহাহাহাহাআআআআআআআ
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.