কপ ১৫ শুরু হয়েছে। আমাদের এখন একটাই করণীয়, ১৪ কোটি মানুষ সব একসঙ্গে সেখানে গিয়ে চিৎকার করে বলা যে 'আমরা ডুবে যাচ্ছি, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, কিন্তু এরজন্য আমরা দায়ী নই। তোমরা দায়ী। তোমরাই সমাধান করো।'
১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিশ বছরে বিশ্বে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে আড়াই লাখ মানুষ, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশের। খুব কাছাকাছি সময়েই সিডর আর আইলা নামের দুই ঝড় গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। ইউএনডিপি বলছে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মুখে আছে বাংলাদেশ।
নদীমার্তৃক বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে ১৭টি নদী, হারিয়ে যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে আরো অনেকগুলো। ১৯৭১ সালে এদেশের মোট নদীর দৈর্ঘ্য ছিলো ২৪ হাজার কিলোমিটার। এখন শুকনো মৌসুমে সাড়ে তিন হাজার আর বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার কিলোমিটার।
কুতুবদিয়া ও সন্দ্বীপের কয়েকশ বর্গকিলোমিটার এলাকা সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মানচিত্রে থাকলেও স্যাটেলাইটে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের বেশ কটি ছোট ছোট দ্বীপ।
বাংলাদেশের মোট জমির শতকরা ৩২ ভাগ উপকূলীয় অঞ্চলভুক্ত। সেখানে বাস করে প্রায় ৪ কোটি মানুষ। অবস্থা যা দাঁড়াচ্ছে এরা সবাই জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
যে সুন্দরবনকে আমরা ভোট দিয়ে পৃথিবীর সাত প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যর তালিকায় তুলে দিতে চাচ্ছি, আইপিসিসি (ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেন চেঞ্জ) বলছে ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের গর্ব সুন্দরবন বিশ্বের মানচিত্র থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
পাল্টে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের চেনা জলবায়ু। আগে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো দেখা দিতো ২০/২৫ বছর পর পর, এখন তা দেখা দিচ্ছে ৫/৬ বছর পর পরই। প্রায় প্রতিমাসেই একাধিকবার সমুদ্রাঞ্চলে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত ঝুলিয়ে রাখতে হচ্ছে।
মনে হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন মানে কেবল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। আর দেশ ডুবে যাওয়া। বিষয়টা আসলে মোটেও তা না। জলবায়ু পরিবর্তন মানে সবকিছুই বদলে যাওয়া।
রাজশাহী মহানগরীতে গত ১০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রায় ৮ ফুট নিচে নেমে গেছে। মরুকরণ বাড়ছে। শীতকালের দৈর্ঘ্য কমে গেছে। পাহাড় ধ্বসে পড়ছে। ভূমিকম্প বাড়ছে। এসবই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ফল।
জলবায়ু পরিবর্তনের একটা প্রবণতা হচ্ছে যেখানে তীব্রতা আছে সেখানে তীব্রতর হবে। যেখানে পানি বেশি আছে, সেখানে পানি বাড়বে। যেখানে খরা আছে, সেখানে খরা বাড়বে। দূর্যোগগুলো সবখানে একভাবে হানা দিচ্ছেনা। কোথাও ভূমিধ্বস, কোথাও অতিবৃষ্টি, কোথাও জলাবদ্ধতা, কোথাও জলোচ্ছাস, কোথাও মরুকরণ, কোথাও খরা আবার কোথাও শৈত্যপ্রবাহ হয়ে আসছে। তাই শুধু উপকূলের মানুষ বিপদে পড়বে, সেই খুশিতে ডাঙ্গার মানুষগুলো বগল বাজাতে পারছে না।
পৃথিবী এভাবে গরম হতে থাকলে এ শতাব্দীতেই জীবজগতের বেশিরভাগ প্রজাতি চরম দূর্ভোগে পড়বে, শুধু মানুষ না। বৃষ্টির ধরণ পাল্টে যাবে। ঝড়, খরা আর বন্যা হবে ঘন ঘন। খাদ্যাভাব হবে প্রচণ্ড। ছড়িয়ে পড়বে রোগব্যাধি। কলেরা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়বে। লবনাক্ততা বেড়ে যাবে, ক্ষতি হচ্ছে কৃষিজমির, কৃষির। শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় সেচ ব্যাহত হবে। কৃষির উৎপাদন কমবে, কমবে খাদ্যশষ্য।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বিপদের নাম বৈশ্বিক উষ্ণতা।
শুধু বাংলাদেশ না, গোটা পৃথিবীর সামনেই এখন সবচেয়ে বড় বিপদের নাম গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এখনো পর্যন্ত যতগুলো বিপদ এসেছে, তা কোনো বিপদ না আসলে। বিপদের শুরু মাত্র। অগুণতি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি আমরা। গ্রামের কৃষকটি জানতেই পারছে না, তার দিকে ধেয়ে আসছে যে মৃত্যুর খড়্গ, তার উৎস কী?
এই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ৯০ শতাংশই ঘটাচ্ছে মানুষ। মানুষ বলতে আসলে শিল্পোন্নত দেশগুলো। আমাদের মতো দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়লেও আমাদের আসলে করণীয় খুব বেশি কিছু নেই। যা করার তা করতে হবে শিল্পোন্নত দেশগুলোকেই। যারা বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে কার্বনডাইঅক্সাইডের বিষ। আর সেই উদোর পিণ্ডি এসে পড়ছে বুধো আমাদের ঘাড়ে।
উদোরা সমবেত হয়েছেন। এখান থেকে কী সমাধান পাওয়া যাবে জানি না। অজস্র কোটি মানুষ উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে। এই সম্মেলন বিফলে গেলে তার ফল বড্ড খারাপ হবে। কেয়ামতের ক্ষুদ্র সংস্করণ দেখে যেতে পারবো আমরাই।
যা করতে হবে তা খুব স্পষ্ট। তাদের কর্মফলে আমাদের যে ক্ষতিটুকু হয়েছে এবং হচ্ছে, সেই ক্ষতিপূরণে টাকা দিতে হবে। আর মনে রাখতে হবে এটা কোনো সাহায্য না, এটা আমাদের প্রাপ্য, অধিকার।
আর কার্বনডাইঅক্সাইড বাতাসে ছাড়া কমাতে হবে। এরজন্য শিল্প কারখানা সব বন্ধ করে দিতে কেউ বলছেনা। শুধু একটু টাকা খরচ করে সেগুলোকে পরিবেশ বান্ধব করতে হবে। আর তাতেই বাঁচবে কোটি কোটি প্রাণ। বাঁচবে আমাদের প্রিয় পৃথিবী, প্রিয় দেশ, বাঁচবো আমরা।
কপ ১৫'র সাফল্য কামনা না করার অপর নাম নিজের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের মৃত্যু কামনা। তাই সাফল্যই কামনা করি।
Comments
আপনের লগে আমিও কামনা করি।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনের লগে আমিও কামনা করি।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
খাইছে আমারে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নজু ভাই প্রয়োজনীয় পোষ্ট। এই সম্মেলনের তিন দিকঃ
১) শিল্পোন্নত দেশগুলো কি পরিমান কার্বন নিঃসরণ কমাবে আর কত টাকা বরাদ্ধ করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা সবচাইতে নমনীয় সবচাইতে উগ্র যুক্তরাষ্ট্র (চিন্তা কইরা দেখেন ওবামা আইবো ১৮ টারিখে যেদিন সম্মেলন শেষ)
২) চীন, ভারত, ব্রাজিল কতটুকু নমনীয় হবে ? এদের উন্নয়নের জন্য অর্থাৎ বড়ভাইদের কাছে পৌছানোর জন্য প্রয়োজন কার্বন পোড়ানো।
৩) আমাদের মত ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চারা কতটাকা অনুদান পাব আর তা দিয়ে সাংসদদের ল্যন্ডক্রোজার কিনে দেব কিনা?
জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্যের তথ্যভান্ডার আর দৃঢ়তা কতটুকু হয় সেটা দেখার জন্য বসে আছি।আর আমাদের পরিবেশ মন্ত্রীত রাজকোষাগারের টাকায় নিজের বাসায় সৌরবিদ্যুৎ সেল বসিয়েই মনে করেছেন সব ঝামেলা শেষ করেছেন নিজের টাকায় বসাতেন তাহলে দেখতাম যে পরিবেশের জন্য উনি কতটা উদার।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ওবামা যাইতেছে মিলাদের শেষে তোবারক খাইতে, যুক্তরাষ্ট্র যে কিছুই করবে না সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত। আগেও তারা কিয়োটো প্রটোকলে স্বাক্ষর করে নাই।
ভারতীয় পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দিয়া নিজ দেশের পার্লামেন্টেই গালি খাইছে।
আর যখন বড়ভাইরা না কমাবে, তখন ভারত চীনদের সামনে তো অজুহাত থাকবেই, সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী যুক্তরাষ্ট্র'র ঠেকা না পড়লে তাদের ঠেকা কী?
গতকালকেই আইপিসিসির সভাপতি রাজেন্দ্র কুমার পাচুরি গ্লোবাল ওয়ার্মিয়ের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে বাংলাদেশের পাশে সবাইকে দাঁড়াইতে বলছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে কী বলবেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে দরকার ছিলো খুব জোড়ালো একটা আবেদন তৈরি করা। কিন্তু তা নিয়া আমার সন্দেহ আছে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বা উপদেষ্টা কারা আমার জানা নাই। তবে নিশ্চিতভাবেই সরকারী আমলারাই, যারা সাধারণত এসব সম্মেলনকে বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার উপায় হিসেবেই দেখেন।
এখানে উচিত ছিলো জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটা প্যানেল তৈরি করে তাদের পরামর্শ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তৈরি করা। আইপিসিসি'র প্যানেলেই বাংলাদেশের কতেক বিজ্ঞানী কাজ করছেন। আইপিসিসির মূল্যায়ণ প্রতিবেদন রচয়িতাদের মধ্যে ডঃ আতিক রহমান অন্যতম। সরকার কেন তাদের পরামর্শ নেয় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর যখন বড়ভাইরা না কমাবে, তখন ভারত চীনদের সামনে তো অজুহাত থাকবেই,
আজকের দুনিয়ায় ভারত ও চীন ই তো বড় ভাই। আজকের হিসাবে চীন আমেরিকা/ইউরোপের চাইতে বেশী কার্বন নিঃসরনের জন্য দায়ী। ভারত তার ঘোষনায় ফাঁক রেখে দিয়েছে, তারা তাদের ঘোষনায় করা প্রতিশ্রুতিকে আইনী বাধ্যকতায় নিতে নারাজ। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের লোকজনে তো উষ্ণানেই বিশ্বাস করে না। ইউরোপ আমেরিকানরা লাফালাফি যতই করুক, বিশ্ববাসীকে কার্বন নিঃসরন কমাতে যে নগদ পয়সা লাগবে সেটার সিংহভাগই কিন্তু আসবে চীন ভারত আর মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ধারদেনা করে। সুতরাং কেন খামাখা বড়ভাই বড়ভাই করে আমেরিকা/ইউরোপের দেমাক বাড়াই। আসল বড়ভাইয়েরা শুনলেই তো হয়।
হ, আসল বড়ভাইরা শুনলেই হয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হতাশ লাগে! যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন তারা ছাড়া, আমরা সাধারণভাবে যা জানি অবস্থা তার চাইতে অনেক খারাপ। উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলো কি আদৌ রাজি হবে?
বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয়টায় একেবারেই সচেতন না। আমজনতা তো দূরের কথা শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠীও সচেতন না গ্লোবাল ওয়ার্মিং'র বিষয়ে। অথচ এই সচেতনতা খুব দরকার।
অবস্থা আসলে খুবই খারাপ। এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং'র পাশাপাশি আমরা নিজেরা গাছ কেটে নদী শুকায়ে পরিবেশের বারোটা আরো বেশিই বাড়াচ্ছি।
উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলো আদৌ রাজি হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাদের উপর এখনো খুব বড় প্রেশার তৈরি করা যায়নি। ওবামা তো পাত্তাই দিতেছে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অন্যের দোষে আমরা সব হারাচ্ছি, চরম আশাবাদী হিসেবে নাহয় মেনে নিলাম, সবাই ক্ষতিপূরণ দিল, সব উন্নত দেশ ভাল হয়ে গেল...কিন্তু আমাদের দেশের তাতে কী লাভ হবে? আমাদের ল্যান্ডক্রুজার আর ফ্ল্যাট-প্লটের মালিকরা আরো ধনী হবেন, আরও কয়েকটা করে পাবেন!... হতাশা আর হতাশা!
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
হতাশ হইয়োনা, জদি মুমিন হও
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, খুব চমৎকার ভাবে ভয়াবহ একটা ছবি একেঁছেন।
লেখার প্রথম দিকে আপনার দেয়া পরিসখ্যান গুলির কিছু আমার কাছেই একেবারেই নতুন এবং … ভায়াবহ। সম্ভবত কপ ১৫র সাফল্যই কামনাই একমাত্র করণীয় এই মুহূর্তে। তবে কিছু কিছু ভাল লক্ষণতো দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে আমাদের বিশ্ব মোড়ল সাহেব এবার কিছুটা সিরিয়াস...।
১৫র সাফল্য কামনা করি।
বিশ্ব মোড়ল কোথায় সিরিয়াস? তিনি তো আসতেছেন মিলাদ শেষে তোবারক খেতে... তবু এখন আমাদের আশাবাদী হওয়া ছাড়া উপায় নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সম্মেলন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বেশি আশা করার কিছু দেখছি না। আমেরিকার কিয়োটো চুক্তি র্যাটিফাই করার কোন পরিকল্পনা নেই। শুনেছি সম্মেলনে আমেরিকা তাকিয়ে আছে চীনের দিকে! চীন বড়সড় কোন চুক্তিতে না গেলে তারাও যাবে না (মনে হয় এইজন্য ওবামা আসবে সবশেষে; সব ভাও বুঝে নিয়ে তারপর যা করার করা হবে)। চীন ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে তারা কেবল মাথাপিছু জিডিপি অনুপাতে তাদের কার্বন নিঃস্বরণ পর্যায়ক্রমে কিছুটা কমিয়ে আনবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তারা নাকি এর চেয়ে বেশি কিছু আর করতে পারছে না। বিশাল তামাশা!
আমেরিকার চীনের দিকে তাকায়া থাকনের মতো হাস্যকর আর কিছু হতে পারে না। সব মিলিয়ে আসলেই আশার কিছু দেখছি না। কেবল তামাশা আর হতাশা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাদের কাণ্ড দেখে দীর্ঘশ্বাসই শুধু বাড়ে!
........................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যসহ ভয়াবহ অবস্থাটা বেশ ভালভাবেই উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
আসলেই অনেক হতাশ লাগে, কিন্তু এই সম্মেলনের ব্যাপারে বুধোদের প্রত্যাশা করা ছাড়া আর তেমন কোন উপায় আছে বলেও মনে হয়না।
আর দেশের সুবিধাবাদীদের কানেতো গাছ, নদী বিষয়ক সচেতনতার কথা ঢোকানোই দুঃসাধ্য ব্যাপার।
আইনের ফাঁক-ফোকরওতো কম না।
খালি হতাশাই......
----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
হতাশ হইয়োনা যদি মুমিন হও
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হিমালয় গলবে, বঙ্গোপসাগর ফুলবে।
মাঝখানে বাংলাদেশ নামক অতি উর্বর বদ্বীপটা স্যান্ডউইচের পিঠা হবে। বাংলাদেশটা সত্যি সত্যি দ্বীপ রাস্ট্রে পরিনত হতে পারে।
ক্ষতিপুরনের বিতর্ক চলছে, কিন্তু ক্ষতিটা কি আদৌ পুরন সম্ভব? বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়বেই শিল্পোন্নয়নের সাথে সাথে। ক্ষতির মাত্রাও। পুরন হবার নয় সবগুলো ক্ষতি।
ভুটান হিমালয়ের গাম্ভীর্য ধরে রাখতে শিল্প কারখানা গড়তে দেয়নি দেশে। কিন্তু শিল্পবর্জ্য যে আকাশ পথে আঘাত হেনে হিমালয়ের বরফ ধ্বসিয়ে দেবে কখনো ভেবেছে?
অনন্তকাল অসহায়ত্ব আমাদের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আর অসহায়ত্ব ভালো লাগে না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
.................................................
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
................................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ডুবে মরার পর মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নামে ছাগল ধরিয়ে না দেয় আবার !
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সবাইরে জোট সরকার পাইছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আশা করি কার্বনডাইঅক্সাইড নিঃসরণ কমাতে ১৪ কোটি মানুষকে প্রতি প্রশ্বাসের জন্য কর গুণতে হবেনা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ষোলমাস আগে এ নিয়ে কিছু লিখেছিলাম।
ষোলমাস আগেই লেখাটা পড়েছিলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়া কি আরেকটা দেশ কেনা যাইবো ? আমগোরটা তো তলাইয়াই যাইবো মনে লয় ! তার চাইতে ওই শালারা আমগোর লাইগা জায়গা ছাইড়া দেউক, আমরা সেইখানে গিয়ে উঠমু, কী কন ? এইটাই আমাগো প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ দাবি করুম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কেন ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়া আমলারা অনেক কিছুই কিনতে পারবে, এগুলারে আপনে ছোট করে দেখছেন কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মানুষের দুঃখটাই হচ্ছে- একজনের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে আরেকজন।
অনেক ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ সহভাই।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ভারত আর চীনের এখন রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘের অবস্থা , তাদেরকে কেউ থামাতে পারবে না।
যারা ভুগবে তারাই হুশিয়ার হবে। আমাদের দেশের লোকেরা এখনও পরিবেশ বিপর্যয়কে আল্লাহর ইচ্ছা ভাবেন। শিক্ষার অভাবে সচেতনতা বাড়ছে না। আজকাল আবার পশ্চিমে ফ্যাশন হয়েছে, বায়ো মানে ন্যাচারাল সব্জি খাওয়ার। এ ফ্যাশন যদি গতি পায় তাহলে গ্যাস কমার ব্যবস্থা হতে পারে।
টাকা কি সব ক্ষতিপূরণ করতে পারে?
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
Post new comment