ক.
বিল মার তাঁর সাড়া জাগানো মকুমেন্টারি "রেলিজুলাস" এ দারুণ একটা উদাহরণ দেখিয়েছিলেন। বাইবেল একটা গ্রন্থ। গ্রন্থটিকে পেছন ফেলে সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু মানুষ। এদের মধ্যে একদল ভালো, একদল খারাপ। ভালো মানুষরা যখন ভালো কাজ করে, তখন সে উৎসাহ পায় বাইবেলের ভালো কিছু বাক্য দ্বারা। অপরদিকে খারাপ মানুষেরাও খারাপ কাজটি করার আগে বাইবেলের সাথে পরামর্শ করে নেয়। খারাপ মানুষদের জন্যও সেখানে কিছু বাক্য রাখা আছে।
বাইবেল বলুন আর কুরআন বলুন, সব গ্রন্থের জন্যই এই কথা সত্য। আজকে কুরআন পড়ে অনেকেই চমৎকার সুন্দর একটা জীবন কাটাচ্ছেন। আবার অনেকেই কুরাআনের আয়াতে মোটিভেটেড হয়ে আত্মঘাতি বোমা হামলায় লিপ্ত হচ্ছেন। যেহেতু লেখাটা আইইউটি কেন্দ্রিক, তাই প্রাসংগিক একটা উদাহরণ দেই।
একবার এক রুমে বাকবিতন্ডা হচ্ছে। তাবলীগ ভার্সেস শিবির। শিবিরের দুইজন তাবলীগের ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বলছে, আরে তোদের তো কিছু হয়না। খালি নামাজ পড়লেই হবে? তুই দেখস না আজকে বাংলাদেশের মেয়েরা কীভাবে ওড়না উঁচায়ে হাঁটে। আমাদের উচিত এদের জোর করে বোরখা পড়ায় দেওয়া। বাংলাদেশে এইজন্যই ইসলামী শাসন কায়েম করা দরকার। তাবলীগী স্টাইলের ভালো কথায় কাজ হবেনা আর, আইন করে সবাইকে ধর্ম মানাতে বাধ্য করতে হবে।
কুরআন থেকে ধারণা নিয়ে একদিকে তাবলীগের ছেলেটা নিজেকেই শুধরাচ্ছে শুধু। অপরদিকে শিবিরের মতাবলম্বীরা নিজের পাশাপাশি অন্যকে দিয়েও একই কাজটা করাতে চাচ্ছে। আর এই চাওয়া থেকেই জন্ম নিচ্ছে ধর্মীয় মৌলবাদ বা জঙ্গীবাদের।
খ.
স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর কালও যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় (!!) তাতে লাভের লাভ কী হবে? অপরাধী নিজামী, গোলাম আজমকে আমরা ফাঁসিতে ঝুলাবো। কিন্তু এই ৩৮ বছরে উনারা যে কয়েক হাজার নিজামী, আজম বানিয়ে দিয়ে গেলেন সেই ক্ষতি পোষাতে পারবো আমরা?
বছরখানেক আগে আমি যখন আইইউটিতে ঢুকি তখন নিয়ম ছিল ভার্সিটিতে সকল ধরণের সংগঠন নিষিদ্ধ। একগুচ্ছ পোলাপান বিতর্ক করতো, তারা নিজেরা নিজেদের পরিচয় দিতো IUTDS (ডিবেটিং সোসাইটি) এর সদস্য হিসেবে। তারপর সময়ের পরিক্রমায় অথোরিটির অনুমোদন পেলো ডিবেটিং সোসাইটি। শুরু হলো আইইউটির নতুন কাল, এখানেও ক্লাব সোসাইটি করা যাবে। কয়েকদিন পরেই জন্ম নিলো কম্পিউটার সোসাইটি এবং ইসলামী স্ট্যাডিজ সোসাইটি (IUTISS)।
সবার উদ্দেশ্যই মহৎ। ডিবেটিং সোসাইটি ডিবেটে ফাটায়ে দিয়ে আইইউটির নাম করতে থাকলো, কম্পিউটার সোসাইটি ICT ফেস্ট নামক অতি দারুন একটা অনুষ্ঠান করতে থাকলো প্রতি বছর। আর ইসলামী স্ট্যাডিজ সোসাইটি ছেলে পেলেদের সঠিক ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দিতে লাগলো।
ঝামেলাটা বাঁধলো আইইএসএস নিয়ে। কিন্তু কেন?
গ.
সবসময়ের জন্যই আইইউটিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ। তারপরও অনেক ছেলে পেলে এখানে ঢুকে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ধর্মীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল আগে থেকেই। অন্যান্য ব্যাচগুলোয় এই ছেলেপেলেগুলো কী করতো আমি জানিনা তবে ০৫ ব্যাচের খবর জানি। এই ব্যাচের একজন প্রথমবারের মতো শিবির মতালম্বী সবাইকে একত্রিত করলো। শুরু হলো আইইউটিতে শিবিরের যাত্রা। প্রতিষ্ঠাতা ০৫ ব্যাচ। প্রতিষ্ঠাতার সাথে বুয়েটের শিবিরের এক ভাইয়ার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল, উনি এখন ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। বুয়েটের জনের সাথে ওনারা প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে মিটিং করতো। কীভাবে আইইউটিতে শিবিরের কর্মপরিধি বিস্তৃত করা যায়।
প্রতিষ্ঠাতা ছেলেটার সহযোগী ছিল বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে প্রত্যেকেই শিবিরের বিভিন্ন পোস্ট পাওয়া (আপনি হয়তো জেনে থাকবেন শিবিরের বেশ কয়েকটি ধাপ আছে। সিলেবাস আছে, বই পড়ে পড়ে বিভিন্ন ধাপ পেরুতে হয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার মাধ্যমে)। এরা সবাই বেশ উচ্চ পদস্থ শিবির।
এখন ওদের কাজ কি? কাজ অবশ্যই তারা যেটা বিশ্বাস করে সেটা মানুষের মধ্যে ছড়ানো। আরও মানুষকে দলে টেনে দল ভারী করা।
শিবির ছাড়াও তখন আরও এক সংগঠনের মানুষ আইইউটিতে আছে। সেটা হলো হিজবুত তাহরির। শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা ছেলেটির সাথে হিজবুত তাহরিরের মতাদর্শী ছেলেটার পরিচয় হলো। সে হিজবুত তাহরিরের জিহাদ, ইসলামিক ডেমোক্রেসি সংক্রান্ত বেশ কিছু বই ধরিয়ে দিলো।
এই বিশাল ইতিহাস এখানে বলার উদ্দেশ্য হলো, পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা ছেলেটা নিজের ভুল বুঝতে পেরে সব ছেড়ে চলে আসে। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। ধর্ম ভিত্তিক আদর্শে অনুপ্রানিত সবাই এক হয়ে গেছে।
এই হিজবুত তাহরিরের ছেলেটাই পরবর্তীতে আইইউটি ইসলামী স্ট্যাডিজ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা, ওর পেছনে আছে সেই শিবির পার্টি। এখন আপনি বলতে পারেন, তাতে কী! ওরা বাইরে যা ইচ্ছা তাই করুক, আইইউটির ভেতরে ও নিশ্চয়ই শুধু নামাজ পড়ার কথাই বলে।
হতে পারে। তবে নাও হতে পারে। একটা প্রমান দেখাই তাহলে।
ঘ.
গত রমজানে আইইউটিতে ইফতার পার্টি আয়োজন করলো ইসলামিক স্ট্যাডিজ সোসাইটি। ইফতারের আগের দিন দুপুরে জানা গেলো এই অনুষ্ঠানের স্পন্সর মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক একটি জঙ্গিগ্রুপের মদদ/ অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান WAMY (ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ মুসলিম ইয়ুথ)। বিশ্বব্যাপি ওয়ামির কু-কীর্তি নিয়ে গুগল করলেই অনেক খবর পাওয়া যাবে সেটুকু কষ্ট আপনি করে নিন। তবে গুগল ঘাটলেও যেটা জানা যাবেনা, সেটা হলো বাংলাদেশে ওয়ামি মানে শিবির। বিভিন্ন জায়গায় শিবির নিজ ব্যানারে ঢুকতে পারেনা, সেখানে তারা ব্যবহার করে ওয়ামির ব্যানার। উত্তরায় ওয়ামির অফিস আছে, সেখানে নিয়মিত শিবিরের মিটিং হয়। শিবিরের দলত্যাগী একজনের সূত্রমতে, বাংলাদেশে এখন ওয়ামির উচ্চপর্যায়ের সবাই এককালের জামাত নেতা।
এখন এইরকম একটা প্রতিষ্ঠান যখন স্পন্সর এবং যারা স্পন্সর পেলো তারা সবাই চিন্থিত শিবির, তখন ইসলামী স্ট্যাডিজ সোসাইটিকে শিবির/ হিজবুত তাহরিরের মগজ ধোলাই কারখানা বললে সেটা কী খুব ভুল হয়ে যাবে?
প্রতিবাদ করা হয়েছিল ০৫ ব্যাচ ও ০৬ ব্যাচের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে আইএসএস এর সিনিয়র ও জুনিয়র সবাই মিলে এদের শায়েস্তা করে। ০৫ ব্যাচের একজন ওয়ামির মতো একটি মহতপ্রাণ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কেন ইহুদি নাসারাদের সাইটের রেফারেন্স বিশ্বাস করে পোস্টারিং করা হয়েছে এই অপরাধে তার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলে।
ঙ.
আইইউটি যদি কখনও ধ্বংস হয় তাহলে সেইটাই মূল দায় থাকবে ০৫ ব্যাচের। আজকে ০৫ ব্যাচের ইলেক্ট্রিক্যালে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন তারা সবাই শিবির বা শিবির মনষ্ক!!! অথচ ঢুকার সময় এই নিয়োগ পাবে এমন চারজনের একজন ছিল শিবির। তিনি কী করলেন, ধীরে ধীরে ভালো ছাত্রদের মাথায় চেপে বসলেন। বিএনপি আওয়ামীলীগের মতো ওনারা আজকে একটা কাজ করে কালকেই সেটার প্রতিদান চাননা, সুতরাং খুব সময় নিয়ে এই ভালো ছাত্রদের মগজ ধোলাই প্রক্রিয়া চালাতে থাকলো ঐ একজন। বের হয়ে যাবার সময় দেখা গেলো উনি সফল। এখন ওরা আরও সময় নিয়ে আরও ভালোভাবে অনেকের মাথায় জেঁকে বসতে পারবে। অলরেডি প্রতিব্যাচের অনেক ভালো ভালো ছাত্রই তাদের দলে।
কিন্তু সমস্যাটা কোথায়। টিচার হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ছেলেরা কি জঙ্গি? তত্ত্বীয়ভাবে, অবশ্যই না। তবে ওরা সবাই ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ওরা শুধু নিজেরা ধর্ম পালন করে খুশি না, ওরা সবাইকে দিয়ে সেইটা করাতে চায়। আচ্ছা এই দেশে কী অন্য কোন ধর্মের মানুষ নেই। চিন্তা করে দেখুন তো আপনি খ্রিস্টান সংখ্যাধিক্যের এক দেশে মুসলমান হিসেবে আছেন। এখন সেই দেশকে যদি খ্রিস্টান রাস্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় তখন আপনার কেমন লাগবে। আপনার বোনের যদি বোরখা পরার ইচ্ছা না থাকে, কিন্তু কেউ যদি তাকে জোর করে বোরখা পরিয়ে দেয় তখনই বা আপনার কেমন লাগবে? আর আগেই বলেছি এভাবেই চরম পন্থা/ জঙ্গীবাদের জন্ম হয়।
চ.
আইইউটির পাকিস্তানী এক ছেলে (সুফিয়ান) ধরা পড়েছে জঙ্গী সন্দেহে। ফেসবুকে এই খবর শেয়ার করলো কয়েকজন। হঠাৎ দেখি এক্স আইইউটিয়ান অনেকের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব। ওই তোরা চুপ কর, রেপুটেশন শেষ করে দিচ্ছিস তো! এই জিনিস কী ফেসবুকে আলোচনা করার জিনিস? হাবিজাবি, হাবিজাবি। গ্রুপে মেইল আসলো, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সুফিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হচ্ছেনা ততক্ষণ পর্যন্ত ও ইনোসেন্ট।
এটা ক্যামন কথা। উত্তরা থেকে ধরা পড়া এক জঙ্গীর আইইউটিতে নিয়মিত যাওয়া আসা ছিল, গ্রেফতারের আগের রাতে সুফিয়ানের মোবাইলে সেই ছেলের পঁচিশটা কল। ডিবি পুলিশের কাছে এতো কলের কারণের কী এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনাই সুফিয়ান। সুতরাং সুফিয়ানকে কীভাবে ইনোসেন্ট বলা যায়? বলা যায়, আইইউটির রেপুটেশনের স্বার্থে। "এইভাবে আমরাই যদি ভেতরের খবর বাইরে ফাঁস করে দেই, তাহলে ক্যামনে হবে। ইউএসএ , কানাডার ভিসাই তো পাবো না শেষে!"
আমাদের এই যে বাইরে খবর প্রকাশের অনীহা এটা শিবির পন্থিদের জন্য বিরাট প্লাস পয়েন্ট।
ছ.
সচলে ঘুরাঘুরি করে বুঝতে পাই, এখনে অনেক আইইউটির বড় ভাইরা আছেন। তাদের কাছে একটা অনুরোধ। আইইউটি শিবির/ হিজবুত তাহরিরের ঘাঁটি হবার আগে কিছু একটা করুন। আমি জানি আপনারা সবাই ব্যস্ত, হয়তো নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়েই ব্যস্ত, হয়তো পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। এইসব ভাবার টাইম নেই, তাও বলি কিছু একটা করুন। কারণ আপনার এই "কিছু না করা" বা অলসতার সুযোগ নিয়ে কিন্তু একদল কিন্তু কাজ করে যাচ্ছে। কথায় আছেনা, ...the only thing necessary for the triumph of evil is for good men to do nothing ...
আইইউটির শর্টটাইম রেপুটেশন নিয়ে ব্যস্ত না থেকে আমরা দেশটার কথাও ভাবি। শিবিরের আস্তানা হবার হাত থেকে আইইউটিকে বাঁচাই দেশের স্বার্থেই।
তথ্যসূত্রঃ এটাকে মিথ্যা প্রপাগান্ডা হিসেবে অনেকেই চালানোর চেষ্টা করবেন, তথ্যসূত্রের অভাবে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো আমার কাছে ভিজিবল কিছুই নেই। শিবিরপন্থিদের ঢাকায় এবং আইইউটির ভেতরে মিটিং এর ছবি নেই, কোন গোপন অডিও ক্লিপও নেই। তবে এখন যদি আইইউটির ভেতরে আপনারা সবাই থাকতেন, তাহলে বলতে পারতাম এই রূমের এই বিছানাটা উলটিয়ে দেখুন- শিবিরের লিফলেট পাবেন, এই লকারটি খুলে দেখুন, হিজবুত তাহরিরের বই পাবেন। সেটা তো সম্ভব নয়। আমি দুঃখিত।
- কাক বালক (ইমেইলঃ kak.balokএটgmail.com)
Comments
ভালো লাগলো আপনার লেখাটি। সময় ফুরিয়ে যাবার বা খুব দেরী হবার আগেই কিছু একটা করা দরকার। ঐক্যবদ্ধ হলে অনেক কিছুই করা সম্ভব, গোলাম আজমের পায়ুজাত শিবিরকে ( সৌজন্যে দ্রোহী) ঝেঁটিয়ে বিদায় করা অসম্ভব কিছু না।
লেখাটা পড়ে খুবই শংকিত হলাম; এক্স আইইউটিয়ান হিসেবে এবং আইইউটির শিক্ষক হিসেবেও। ইসলামিক স্ট্যাডিজ সোসাইটির ইফতার পার্টিতে WAMY এর কথা আগেই জেনেছিলাম রায়হান আবীর এর এক পোস্টে। আর মেকানিক্যালের এক প্রফেসর [বর্তমানে সিভিলের দায়িত্বে] যে জামাতের অনেক বড় হর্তা কর্তা সেটা তো আগে থেকেই জানা। আর মজার ব্যাপারটা হল আমার অনেক প্রগতিশীল বা মুক্তমনা কলিগ/ছাত্রকেও দেখেছি ওনার গুণমুগ্ধ।
এই পোস্ট পড়ে তো দেখি অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর একটা কারণ হতে পারে আমাদের "আজাইরা কাজে ব্যস্ত থাকা" প্রভোস্ট কমিটি। তবে যতদূর জানি, ইসলামিক স্ট্যাডিজ সোসাইটির মডারেটর হিসেবে যিনি আছেন/ছিলেন, তিনি যথেষ্টই মুক্তমনা। ওনার ভূমিকা কী ছিল WAMY এর ব্যাপারে? আর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা বা যাঁরা নিয়োগ পাবেন তাঁরা যদি শিবিরপন্থী হয় তাহলে তো সাড়ে সর্বনাশ।
দূরে থেকে আমরা কতটুকু কী করতে পারবো তা নিয়ে আমি সন্দিহান। সাধারণ ছাত্র আর যেসব মুক্তমনা শিক্ষকেরা ওখানে আছেন তাঁদের নিয়েই শিবির রুখতে হবে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
স্যার,
যতদূর জানিম সিভিলের হেড স্যার মডারেটর। আমি তাই দেখেছি। আপনি যার কথা বলছে উনি ডিবেটিং সোসাইটিং মডারেটর। ভালো থাকবেন।
তাই কী? সিভিলের হেডস্যার তো আমার মনে হয় ইসলামিক স্ট্যাডিজ সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মডারেটর কিন্তু প্রধান পৃষ্ঠপোষকের অধঃস্তন।
জেনে জানিও।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ইস্যুটা খুবই সিরিয়াস। পড়ে কী বলবো বুঝতে না পেরে কিছুক্ষণ চুপ মেরে গেলাম। বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আইইউটিতে এমন কিছু হয়/হচ্ছে এখন! তবে তাতে করে যে সেসব থেমে নেই (তথ্যপ্রমাণ না থাকলেও ধরে নিচ্ছি এখানে উত্থাপিত বিষয়গুলো অনেকাংশেই সঠিক), সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। দেশে আমরা যারা আছি, অথবা আমাদের যারা বাইরে পড়ছে, বিভিন্ন জায়গায় যারা শিক্ষকতা করছে, সবারই। পোস্টে উল্লেখ করা অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে অবশ্যই অ্যাকশন নেয়া উচিত। খতিয়ে দেখা উচিত এগুলো। এবং খুব তাড়াতাড়িই। শিবিরের দৌরাত্ম্য সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। আইইউটিতে তারা যেন কখনোই ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিস্তার লাভ না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত না করতে পারলে পরিণতি খুব খারাপ হবে একদিন।
বিষয়টা তুলে ধরার জন্য 'কাক বালক'-কে ধন্যবাদ। যদি কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, অথবা আরও কোনও তথ্য, সেগুলো তুলে ধরার অনুরোধ করবো।
কাকবালক, আপনাকে সাধুবাদ এমন জরুরী একটা বিষয় নিয়ে লিখার জন্য।
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো
--------------------------------------------------------
২০. হাতি খাইতে গেলে গিল্লা না খাওনই ভালো
দুঃখ লাগলো পড়ে। আমরা ছাত্র থাকাকালীন সময়ে কিন্তু কখনো নিরীহ তাবলীগের দল ছাড়া আর অন্য কিছু শুনি নাই। বরং আমরা সবসময়ই বলে আসছি যে, নামে ইসলামিক থাকলেও আদতে আইইউটি'র পোলাপান উড়াধুড়া, ধর্মকর্মের দিকে নজর তেমন কারোরি নাই। অনেক সময়েই অনেকে জিগ্যেস করত তোমাদের আইইউটি কি ইসলামিক ভাবধারায় চালিত কিনা(আসলে জানতে চাইত জঙ্গী-শিবির এরা আছে কী না)। এই একটা বিষয়ে সবসময় আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতাম, খালি নামেই ইসলামিক, কামে সব লাফাংগা, আর শিবির-জঙ্গী এইগুলার চিহ্ণও নাই।
আইইউটি হল ছাড়ছি ৩ বছর আগে, কি জানি- হয়ত অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।
তাও ভালো তাবলীগ আছে বলেই কিছু ছেলেকে শিবির হওয়া থেকে বাঁচানো যাচ্ছে।
বাকরুদ্ধ। IUTIAN হিসেবে আমাদের এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
শিবির তথা উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী কিন্তু শক্তিশালী হয় আমাদের উদাসীনতায়। শিবিরের দাওয়াত দেয় যে ছেলেমেয়েগুলি, তাদের মতো ভদ্র আচরণ কম লোকেই করে। গায়ে পড়ে নানা উপকার করে তারা এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে তাদের বিরুদ্ধাচরণের অবকাশ থাকে না অনেকের। কিন্তু শিবিরের ওপরটা চিনিমাখানো হলেও ভেতরে মৌলবাদী উগ্রতার বিষ ছাড়া আর কিছু নেই।
আইইউটিতে আরো জোরেসোরে ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ শুরু হওয়া উচিত। বিতর্ক ছাড়াও নিসর্গপাঠ, জ্যোতির্বিজ্ঞানসভা, ফিল্ম সোসাইটি, সঙ্গীতায়তন, ভ্রমণসঙ্ঘ, ফোটোগ্রাফিক সোসাইটি ... কত কিছু করার আছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে!
আসলেই কত কিছু যে করার আসে।কিন্তু ভাইজান,সময়টাই তো নাই।এই যে এখন ৩টা মাস ঘরে বসে আসি,বেকার অবস্থায়।এই সময়টা ক্লাসের সময় পাইলে অনেক চাপ কম মনে হত।হয়তো অনেক কিছু করাও হত।
কেউ_না
আমাদের মুহাম্মদ অনেক চেষ্টা করছিল একটা জ্যোতির্বিজ্ঞান ক্লাব খোলার। পারেনাই। আমাদের হেডের অনুমতির দরকার ছিল। আমরা অনেকে উনার কাছে যাওয়ার পর উনি বললেন, আইইউটিতে হাত দেখাদেখি চলবেনা। এস্ট্রোনমি আর এস্ট্রোলজির পার্থক্যও বুঝেন না উনি।
@ কাক বালক, আশা পূর্ণ হোক তোমার/ তোর। আইইউটির সবার টনক নড়ুক। ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কমেন্ট অফ দ্য সেঞ্চুরী !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সুইডেন আসলামের ভায়রা ভাই নাকি এই (ভদ্র?)লোক?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই কথা থেকে লেখকের আই.ইউ.টি-তে অবস্থানের একটা ধারণা করে নিচ্ছি,কারন আমি জানি না "কাক বালক" কে।আজকে এই পোস্ট দেখে কি বলব বুঝতে পারছি না।লেখকের পরিচয় না জেনে কোন মন্তব্য করবো না ঠিক কর্লাম।কারন,তার কথায় মনে হল না যে মাত্র বছর খানেক আগে লেখক আই.ইউ.টিতে ঢুকেছেন।তবে আই.ইউ.টির প্রতি তার আবেগকে ভালু লাগসে।
কেউ_না
jonayed_kaysarএটyahooডটcom
ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ যেকোন মতাদর্শে চলতে পারে। তবে আইইউটি জঙ্গি, শিবির আর হিজবুত তাহরীতে ভরে গেছে আর এদের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এব্যাপারটা উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তোমার এই লেখা বা বিষয়টি লাইম-লাইটে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যেও ঘাপলা আছে মনে হচ্ছে। কারণ, সচলায়তনে যত আইইউটিয়ান আছেন তার কমপক্ষে ৫০গুন বেশি আইইউটিয়ান আছেন iuitans yahoo group এ। তোমার এই লেখাটা আগে সেখানেই উপস্থাপন করা উচিৎ ছিল(যদি তুমি সত্যিকার অর্থেই এ ব্যাপারে আইইউটিয়ান বড়ভাইদের সাহায্য চেয়ে থাক!)
________________
সবাই বলে আমি নাকি ভণ্ড!
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
ওয়ামির পরও উপযুক্ত তথ্য প্রমান আপনার দরকার? ছাত্র হিসেবে উপযুক্ত অনেক তথ্যপ্রমান আপনার আশেপাশেই ছিল, দূর্ভাগ্য তা আপনার চোখে পড়েনাই।
তোমার এই লেখা বা বিষয়টি লাইম-লাইটে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যেও ঘাপলা আছে মনে হচ্ছে। কারণ, সচলায়তনে যত আইইউটিয়ান আছেন তার কমপক্ষে ৫০গুন বেশি আইইউটিয়ান আছেন iuitans yahoo group এ। তোমার এই লেখাটা আগে সেখানেই উপস্থাপন করা উচিৎ ছিল(যদি তুমি সত্যিকার অর্থেই এ ব্যাপারে আইইউটিয়ান বড়ভাইদের সাহায্য চেয়ে থাক!)
বোঝা উচিত ছিল, আমি নাম প্রকাশ করতে চাইনা বলেই এই ব্যবস্থা। তবে আমি অবশ্যই চাই, গ্রুপে বিষয়টা নিয়ে কথা হোক। আপনিই শেয়ার করুন।
iutiss ইফতার পার্টির খরচ তোলার জন্যই ওয়ামির কাছে গিয়েছিলো। আমি ictfest এর কথা বলতে পারি। আমরা ম্যালা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতাম স্পন্সরের জন্য। কেউই টাকা দিতে চায় না। তখন যদি জলিলের মার্কেন্টাইল ব্যাংকও এসে আমারে টাকা দিতে চাইতো আমি চিন্তা করতে বসতাম না আইইউটিতে আওয়ামীলীগ ঢুকে গেলো কিনা। তারপরও ব্যাপারটা বিতর্কিত হওয়ায় ইফতার পার্টি তো বাতিল করা হয়েছিলোই। ভবিষ্যতে ওয়ামির সাথে আইইউটির যে কোন সংযোগ আর ঘটবে না সে ব্যাপারে তুমি বোধহয় নিশ্চিত না। এত বোকা পুলাপান আইইউটিতে অন্তত পড়ে বলে মনে হয় না।
আসলেই বোঝা উচিৎ ছিলো। তুমি যদি নিজে বিশ্বাস করতা যে তুমি আইইউটির মঙ্গলার্থে বিষয়টি বড়ভাইদেরকে জানাতে চাচ্ছো তবে বোধকরি নাম গোপনের কোন কারণ ছিলো না।
আইইউটিতে ইসলামিক মনমানসিকতার পুলাপান বেড়ে যাচ্ছে এটা মেনে নেয়া যায়, তবে আইইউটি জঙ্গি, শিবির আর হিযবুত তাহরিতে ভরে যাচ্ছে এটা বিশ্বাস করিনা। অতএব বুঝতেই পারছো যথেষ্ঠ পরিমাণ তেল না থাকার কারণেই বিষয়টি নিয়ে আমার মাতামাতির সুযোগ হচ্ছে না। ভালো থাকো।
________________
সবাই বলে আমি নাকি ভণ্ড!
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
সহমত ভণ্ড ভাই।উনার পরিচয় জানতে চাইসিলাম কারন এক বছর আগে আই.ইউ.টিতে ঢুকা কেউ এইভাবে সিনিয়রদের কথা বলতে পারার কথা না,সে যতই সিনিয়রদের আপনা মানুষ হোক না কেন।
আর এখানে মন্তব্যকারী আমার ২ স্যারদের প্রতি ও আই.ইউ.টির জন্য যারা চিন্তা করছেন তাদের প্রতি এটুকুই বলতে পারি,আমরা যতোদিন আছে,ইনশাল্লাহ আই.ইউ.টির একটি লাল ইটের ঐতিহ্য হারাবে না,আসে পারবে না শিবিরের কালো থাবা।
এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
কেউ_না
তুমি তো ০৫ ব্যাচের। লেখকের তোমাদের ব্যাচের কিছু ছেলেকে নিয়ে দেয়া বক্তব্যের সাথে কতটুকু একমত তুমি?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমার কখনই মনে হয়নি যে ব্যাপারটা এত বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গ্যাছে। আর wami নিয়ে বিরোধীদের দলে আমি নিজেও ছিলাম, wami র স্পন্সরশীপ তো বাতিল করা হয়েছিল।
ব্যাচ ট্যাচ কোন ব্যাপার না রেজওয়ান ভাই। প্রত্যেক ব্যাচেই কিছু মাওলানা টাইপের পুলাপান থাকে, আবার কিছু anti-মাওলানা(ইসলামও পড়তে পারেন!) পুলাপানও থাকে। দুই পক্ষ সবসময় মুখোমুখি থাকে।
ব্যাচের দু একজন ব্যক্তিগতভাবে শিবির সমর্থক হতে পারে, তবে সেই দু একজনের প্রভাবে যে পুরা ব্যাচে শিবিরের মন্ত্র জপতাছে এমনটা যে নয় তা নিশ্চিত। আরে আইইউটির পুলাপান এতো বোক নাকি যে পড়ালেখা আর আতলামি থুইয়া শিবির করবো?
০৫ ব্যাচের একজন হিসেবে আমার ব্যক্তিগত ক্লারিফিকেশন দিয়ে দিলাম!
________________
সবাই বলে আমি নাকি ভণ্ড!
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
- শিবিরের পুলাপান পড়াশোনা থুইয়া খালি আতলামি করে, এই ধারণাটা কেমনে হলো আপনার?
হাউ আবাউট, যে তারা তাদের মতাদর্শকে সবার সামনে গ্রহণযোগ্য করার জন্য হলেও পড়াশুনাটা বেশ ভালোই চালিয়ে যায়! কেনো জানেন? "শিবির করলে পড়াশুনায় ক্ষতি হয় না!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রিসেন্ট শিবির গুলির পড়াসোনাও সুবিধার না ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
শিবিরের পুলাপান পড়াশোনা থুইয়া আতলামি করবে কেন? পড়ালেখা আর আতলামি করবে আইইউটির পুলাপান। আইইউটির পুলাপান পড়ালেখা আর আতলামির চাপে শিবিরের কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবে না এটাই বুঝাতে চাইছিলাম। সরি ধুগোদা, আগেরবার মনে হয় বুঝাতে পারিনি।
আর শিবির, তবলীগের পুলাপান পড়ালেখায় ভালো হয়...আমার মেডিকেলের দোস্তদের কাছে শুনছি।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নিজস্ব নোটপত্র সাপলাই থেকে শুরু করে আর্থিক, শারিরীক, মানসিক সব ধরনের সাহায্যেরই ব্যবস্থা আছে। জামায়াতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় চাকুরির বন্দোবস্ত আছে। শিবিরের টাকা নিয়ে কোনো প্রবলেম নাই। এরপরে উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমনের জন্যও সুব্যবস্থা আছে। বিদেশে একজন শিবির পড়তে এলে তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, যতোদূর সম্ভব সুযোগ- সুবিধার ব্যবস্থা করে। শিবির মেধাকে ডরায় বলেই মেধাকে দাম দেয়।
আপনার বক্তব্যের অসারতা বুঝতে শিবির করা যেসব পুলাপান ক্লাসের টপে থেকে পরে ভার্সিটিতে টীচার হিসেবে জয়েন করে, তাদের উদাহরণই যথেষ্ট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভন্ডের সাথে সহমত। শুধু সচলে লেখা বড় ভাইদেরকেই তোমার মুক্তমনা মনে হল? ঘাপলা,ঘাপলা...
(অফটপিকঃ ভন্ড, তোরে তো আর কষ্ট করে নিক লিখতে হবেনা)
ভন্ড বা স্পার্টাকাসের সাথেই মোটেই একমত নই।
এরকম উদ্দেশ্য খোঁজার কথা বললে শুধু মাত্র বর্তমান প্রসংগ থেকেই দূরে সরে যাওয়া হয়। এখানে উদ্দেশ্য খোঁজার কি আছে? আইউটি থেকে লস্কর ই তৈয়বার সাথে লিংকড সন্ত্রাসী পাওয়া গেছে লেখকের উদ্দেশ্যের কারণে তা তো মিথ্যা হয়ে যাচ্ছেনা। আর এরা খুব সুকৌশলেই নিজেদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। বুয়েটের সিভিল ডিপার্টমেন্টের আর এ গ্রেফ্তার বা পলিটেকনিকের হোস্টেল থেকে শায়খের জামাই গ্রেফতারের ঘটনা এরই প্রমাণ বহন করে।
"। যদিও যে সিম্পরমগুলো পোস্টে আছে, তাতে মনে হয় রোগটা সূচনার চেয়ে আরো গভীর।
আপনি এখানে পোস্টের ফোকাসই মিস করেছেন। সমস্যাটা কোনো নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নয়, সমস্যাটা অনেকটাই সর্বজনীন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম-দুর্ণামের বিষয়টা গৌণ। আমার সময়ে বুয়েটে কেউ শিবির করে বলতে গিয়ে হা করলেই মার খেতো। কিন্তু এখন শিবির এমনকি নির্বাচনেও প্যানেল দেয়। তখন শিবিরের অনেকেই ছিলো তাবলীগের আড়ালে। কিন্তু এরা মূলত মৌসুমী তাবলীগার। টুপি খুলে টিভিরুমে রাত ১০টার পরে স্টার মুভিজ দেখতে বসে যেতো, ছাত্রীর সাথে প্রেম করে দাড়ি ক্লিনশেভ দিতো।
সংগঠন হিসেবে শিবির অনেক স্মার্ট। এরা ওয়েল ট্রেইনড। কিভাবে কখন কাকে কনভিন্স করতে হবে, কিভাবে সিমপ্যাথী তৈরি করতে হবে, তারপর ঝোঁপ বুঝে কোঁপ মারতে হবে, একাজে শিবির দক্ষ। এদের শুরুটা নির্দোষ ধর্ম বা সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমেই হয়; কিন্তু উদ্দেশ্য শেষমেশ রাজনীতি। এদের একহাত থাকে পায়ের কাছে, অন্যহাত গলায়। ক্ষমতা না থাকলে বিনয়ের অবতার, ক্ষমতা থাকলে এবং প্রয়োজন পড়লে গলায় ছুরি বসায়। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই প্রায় একই তরিকায় এরা কাজ করে। এখানে আইইউটি কোনোভাবেই অনন্য নয়। তাই আইইউটির জন্যও বাড়তি দুর্ণামের বিষয়টা কোনোভাবেই এই পোস্টের ফোকাস নয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই ভাই, ব্যক্তিগত ভাবে যে কেউ যে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে চলতে পারে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম। বিভিন্ন রাজনৈতির মতাদর্শের পুলাপান আমরা একসাথে বসে আলোচনা, সমালোচনা, কাঁটাছেড়া করি। পোষ্টের লেখকের মতে সেখানে শিবির সমর্থক কেউ থাকতে পারে, তবে চার বছর আমিও আইইউটিতে কাটিয়ে এসেছি, আমি সেরকম কাউকে অন্তত পাইনি। রাজনৈতিক আলোচনা চললেও কখনৈ মনে হয়নি যে শিবিরের সমর্থক কেউ আমাকে প্রভাবিত করছে। তাই রোগের যে সূচনা ঘটেছে বলে লেখক উল্লেখ করেছেন তা আমি উপলব্ধিই করিনি। বলতে পারেন, আমি বুকালুক, শিবিরের চাল ধরতে পারিনাই।
এখন ঘাপলার ব্যাপারটা। প্রত্যেক ব্যাচেই কিছু মাওলানা টাইপের পুলাপান থাকে, আবার কিছু anti-মাওলানা(ইসলামও পড়তে পারেন!) পুলাপানও থাকে। আমি দুই দলের কোনটাতেই পরি না। মাওলানারা অপর পক্ষকে দেখতে পারেনা আবার anti-মাওলানারাও কারো মুখে দাড়ি দেখলেই দাতঁ কামড়াইতে থাকে। তবে আমি মাওলানাদের সাথেও চলেছি, নামাজ পড়তে গেছি; আবার anti-মাওলানাগোর লগে চা-সিগারেটও খাইছি। আবারো বলছি, মাওলানাদের সাথে চলে কখনোই মনে হয়নি যে শিবির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি। আমার মনে হয় প্রায় সকল আইইউটিয়ানই আমার সাথে এ ব্যাপারে একমত হবেন। ঠিক একই ব্যাপার anti-মাওলানাদের ক্ষেত্রেও, তাদের মতাদর্শেও যে প্রভাবিত হয়ছি সেটাও কখনো মনে হয়নি। আমার ঘাপলা লাগার বিষয়টা ঐখানে যে, যদি পোস্টের লেখক anti-মাওলানা গ্রুপের হয়ে থাকেন তবে তার কাছে এই ধরনের পোস্ট দেয়া কোন ব্যাপারই না।
আর iutians group আর সচলায়তনের ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য হচ্ছে, যেহেতু লেখক আইইউটির সিনিয়র ভাইদের কাছে এ ব্যাপারে সাহায্য চেয়েছেন তাই অন্তত সচলায়তনের আগে তার iutians এ একটু ঢু মারা উচিৎ ছিলো। লেখকের আইইউটিপ্রীতির ব্যাপারে আমি কোন সন্দেহ প্রকাশ করছি না। এই ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে আইইউটির reputation এর ব্যাপারেও আমি চিন্তা করিছি না। তবে আইইউটির সাধারণ ইসলামিক মনমানসিকতার হুজুর পুলাপানের সাথে তথ্যপ্রমাণাদি ছাড়া শিবির-কর্মের যোগসাজ করলে আমার একটু খারাপ লাগবেই।
ধন্যবাদ।
_________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
মহামান্য হিমুদার সাথে আমি সহমত পোষন করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য প্রকৃতির ক্লাব খুললে সবার জন্য অপশন্স বেড়ে যায়।
তাছাড়া তখন আপনার জন্য সমমনা সদস্যদের একত্রিত করার কাজটা অনেক সোজা হবে।
মনজুর এলাহী
খারাপ কিছু তো বলি নাই ভাই। এই সারকাজমের দরকার কী?
আইইউটি'র এই সমস্যা নিয়ে রুখে দাঁড়ানো দরকার এখনি।
এখন কথা হল, ইলেক্ট্রিক্যালের ছাত্র সঙ্খ্যা অন্য দুই বিভাগের সমষ্টির চেয়েও বেশি, শিবির যখন তোর বন্ধুর মাথায় হাত বুলাইত তখন বাকি তোরা কি করতি? কীবোর্ডে হাত চালাইতি? ফিফা না সিএস এ?
আসলে আমাদের অবহেলাই ওদেরকে বাড়তে দিয়েছে, তাই এখন আমরা আমাদেরকে ব্যাচের একটা কলঙ্ক(সুফিয়ান) নিয়ে আইইউটি ছাড়তে হয়েছে।
সময়োপযোগী লেখা।
(অফটপিকঃ কাক বালক কে চিন্তে মঞ্চায়)
বিষয়টি এতদূর গিয়েছে জানা ছিল না। আমাদের ব্যাচে (০৪) প্রথম বছরেই মৌলবাদী চিন্তাধারার একজনকে পাওয়া গিয়েছিল। তার ভুলটা ছিল সে তাবলীগ করা শিক্ষকদের কাছে তার চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছিল। তার রুম তল্লাশী করে সে বিষয়ে অনেক বই পাওয়া যায়। তাকে বের করে দেয়া হয় কয়েক মাসের মাথায়। এখন যদি শিবিররাই শিক্ষক হয়ে যায়, দুশ্চিন্তার বিষয়।
এ ধরণের স্বার্থপর চিন্তাভাবনা খুবই দুঃখজনক। সুফিয়ানের প্রতি সহানুভূতিও আমার কাছে মাত্রাছাড়া মনে হয়েছে।
আমার মনে হয় এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। ক্লাব কর্মকাণ্ডের পরিধি বাড়ানো উচিৎ। সবাই তো আর বিতার্কিক না। ফটোগ্রাফি ক্লাবের গোড়াপত্তন হয়েছিল (ওটার কী অবস্থা?)। সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকলে এসব দিকে মনোযোগ চলে যাবার সুযোগ কম থাকবে।
ধন্যবাদ কাক_বালককে বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। এগুলো লুকিয়ে রাখার কিছু নেই।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
জন্মগত কারনে আমি কখনো আই.ইউ.টি এর ছাত্র বা শিক্ষত হতে পারব না, এবং সে খেদ থেকেও বলছি না । ব্যাপারটা আমি কখনোই বুঝতে পারিনি। ধর্মের ভিত্তিতে বাধ বিচার করে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যধর্মালম্বীদের প্রবেশাধিকার না দেওয়াটা কি নৈতিক?
প্রশ্ন উঠছে এভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী একটা পরিবেশ শিবির ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিস্তারের আদর্শ আয়োজন নয় কি?
এর পরেও যে অনেক মুক্তমনা মানুষ বের হয়ে এসেছেন এমন সিস্টেম থেকে, সেটাই তো বরং আশ্চর্যের বিষয়।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনার মন্তব্যটা কী একটু অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল না? ICTVTR নাম নিয়ে এখনকার আইইউটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। পুরো জন্ম বৃত্তান্ত জানতে চাইলে পড়ুন এখানে। প্রথম প্যারা পড়েই নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন কী উদ্দেশ্যে আইইউটির পথ চলা শুরু।
আর সেটা যদি বুঝে উঠতে পারেন তাহলে আপনার উপরের প্রশ্নের উত্তর ও পেয়ে গেছেন মনে হয় এতক্ষণে।
বুয়েটে সু্যোগ পাওয়া সত্ত্বেও আমাকে আমার বাবা এখানে পড়িয়েছিলেন তাঁর কারণ ছিল ঠিক ৩ বছর ১০ মাসের মাথায় নিজেদের সমাবর্তনে যোগ দিতে পারবো বলে। এখন পর্যন্ত কোন বারই এর ব্যত্যয় হয়নি। তাই শিবির এর বিস্তার ঘটে থাকলেও বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন অবস্থা যে এখনও হয়নি তাতো বুঝতেই পারছেন। আর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কিন্তু সব ধর্মের ছাত্রই আছেন; তারপরও কিন্তু শিবিরের উপদ্রব কম নয় ওখানে। বরং অনেক অনেক বেশি।
আমার জন্য আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, এতটুকুন শিবির প্রচারণা আমার হল লাইফে (২০০১-২০০৪) আমি দেখিনি। এখন তাই অল্পতেই শংকিত। আর এত এত মুক্তমনা মানুষ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে - আমি কিন্তু এতটুকুন আশ্চর্যান্বিত হয়নি। কারণ আমরা এরকমই। আর যারা নন, তাদেরকেও অবশ্যই নির্মূল করা হবে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
জ্বি পড়লাম। আমার অনেক বন্ধু এবং বর্তমান রুমমেট আই.ইউ.টি গ্র্যাজুয়েট। কিছু ধারণা আছে; কিন্তু কী যুক্তিতে একবিংশ শতাব্দীতে একজন হিন্দু বা খ্রীষ্টান বলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে তা বুঝতে আমি অপারগ। এটিকে আমার ব্যক্তিগত সংকীর্ণতা বা অক্ষমতা ধরে নিতে পারেন। নটরডেমে শুধু খ্রীষ্টান কাথলিক ছাত্রদের ভর্তি করার আইন করলেও আমি একই কথাই বলতাম।
আর আমার কাছে বিষয়টি প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে কারণ ধর্মীয় মৌলবাদের সঙ্গা আমার কাছে অনেক ব্যাপক। দুইটা মানুষ আরেকজনকে ধর্মের নামে হকিস্টিক দিয়ে পেটাচ্ছে শুধু এটাই আমার কাছে মৌলবাদ নয়। বরং ধর্মীয় বিভেদের বীজ রোপণ করে দেওয়াটাকেও সমীকরণে আনা উচিত বলে আমি মনে করি। এধরণের মনোভাব কী করে সৃষ্টি হতে পারে, এবং তার ফলাফল কী হতে পারে, এবং কী অণুঘটক হিসেবে কাজ করে পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে ফেলতে পারে সে বিষয়ে দুটো প্রশ্ন করেছি মাত্র।
কারো অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য কিছু বলিনি।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
- নটরডেম আর আইইউটি'র মধ্যে পার্থক্য হলো নটরডেম সরাসরি ভ্যাটিকানের সাথে সম্পর্কায়িত নয়, কিন্তু আইইউটি ওআইসি'র একটা অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
এখন যদিও বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে ব্যাপারটা পছন্দনীয় না, তথাপি এটাতে টেকনিক্যালি কিছু বলারও নেই। ব্যাপারটা এমন যে যুক্তরাস্ট্রে যেতে হলে আমাদের ভিসা দরকার। এবং এই ভিসা আপনি-আমি চাইলেই সুরসুর করে দিয়ে দিবে এমন না। কেনো দিবে না? কারণ তাদের ইচ্ছা! এবার আমি আর আপনি যদি সারাদিন "আমার মানবাধিকার গেলো গঙ্গার জলে ভাসিয়া" বলে চিৎকার করিও, কেউ পাত্তা দিবে নাকি তাতে পাত্তা দেবার কিছু আছে, আপনিই বলেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়া কি ধর্মের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সাথে তুলনীয়? ওআইসি'র টাকায় চলে বলে "টেকনিক্যালি " কিছু বলার না থাকলেও নৈতিকভাবে ব্যাপারটা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয় |
- যুক্তরাস্ট্র সংক্রান্ত ব্যাপারটা ধর্মের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগগত কারণে না বরং নৈতিকভাবেই অসমর্থনযোগ্য, সেটাই বললাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকাছে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার মন্তব্যে সত্যি সত্যিই বেদনা আনুভব করলাম। কতটা শোচনীয় এটা যে, আমাদের দেশে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করছে। আমি মনে করি যে কোন বিবেকসম্পন্ন মানুষই এর বিরুদ্ধাচরণই করে থাকবে। কিন্তু, আমাদের কিই বা করার আছে? জেনে থাকবেন হয়তো আইইউটি চলে সৌদীআরবের মতো দেশের টাকায়, যেই দেশ কিনা পৃথিবীর বুকে গর্বিত স্বঘোষিত মানবাধিকারের ও আইনের শাসনের আস্তাকুঁড়! যেখানে কিনা এখনও জনসম্মুখে শিরচ্ছেদ হয়, অঙ্গচ্ছেদ হয়। সময়ের সাথে সাথে হয়তো বা ধর্মের পাশবিকতাগুলো দুর হতে থাকবে। কিন্তু, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে বা দাতব্য সংস্থার মধ্য দিয়ে ইসলামিস্টরা তাদের তেলের টাকায় কৃপায় আমাদের দেশে যদি ইসলামী মূল্যবোধ চাষবাস করে যেতে পারে- সেটা হবে আমাদের সকলের জন্যই একটা বিশাল পরাজয়। আর কিছু করার নেই, তাই আশাই করছি শুধু যে, আমাদের জ়ীবদ্দশায় হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবো যে- আমাদের দেশে ইসলামিজমের মূল উৎপাটিত হয়েছে। শুভকামনা রইলো।
আপনার মন্তব্যে আমিও সত্যি সত্যিই বেদনা আনুভব করলাম।You are hurting the feeling of 95% people of this country. How could you dare to say that you want to see Islam wiped out of this country?What struck me most is that no body is complaining!Are you guys ashamed of your religion, are you guys ashamed to reveal that you are a muslim?Otherwise how could you keep silent?
Do you know brother Saudi Arabia got lowest rate of crimes?Do you know why?Because they implement Islamic Sharia law.They full fill the basic needs of their citizens and after that if anybody steals his hand is chopped off upto wrist.why do you think its inhuman?He has committed a crime and now he is paying off.its a practical law.Once you implement it you get the reward. In Saudi Arabia the jewelry shops are left vacant.can you imagine?The rapists are put to death. Do u think this is inhuman because they are killing a rapist or because they are executing him in public? I think you can understand the logic behind doing it in public.Suppose, God forbid, someone rapes your wife, your mother or your sister. You are made the judge and the rapist is brought in front of you. What punishment would you give him? Definitely capital punishment.But if the same crime is committed on somebody else’s wife or daughter you say capital punishment is barbaric. Why should there be double standards?
How do you define human rights?The way USA and UN,who are killing innocent people world wide do?Tell me what law you want to implement in Bangladesh?If you can prove to me that that law is superior to Islamic Laws i will follow whatever you follow.
বাংলাদেশের সেই সব আভ্যন্তরীণ বিষয় যাতে আমার জ্ঞানগম্যি কম তাতে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। কিন্তু এই মূর্খামির উত্তর না দিয়ে পারলাম না। আপনার মতো যুগপুরুষ মহাত্মা সচলটচলের মতো বাজে জায়গায় কী করছেন ভাই? সৌদিরা ঢুকতে না দিলে আমেরিকা চলে আসুন, এখানকার সেই সব গোঁড়া ডেমোক্রাট যারা ওবামার গাত্রবর্ণ ও মিডল নেম নিয়ে চিন্তিত ছিলো তারা আপনাকে লুফে নেবে। এমনকী বলা যায় না ক্লুয়েরা হয়তো প্রেসিডেন্টও বানিয়ে দিতে পারে। গোঁড়ামির এমন নীচ, কুৎসিত ও মনুষ্যেতর নজির দেখি নি মধ্যযুগের পরে। কয় শতাব্দী ঘুমিয়ে এইমাত্তর উঠলেন?
এবং সমস্যা শুধু সেখানেই না। আপনি সম্ভবতঃ মুসলিম (না হলেও কিছু ফারাক হয় না), অথচ পিকোলো বর্ণিত ইসলামিজম ও ইসলাম যে এক জিনিস নয় সেইটা বোঝার মতো সামান্য বুদ্ধিও আপনার ঘটে নেই। কিন্তু তা বলে মুখ বন্ধ রাখবেন কী করে, চেঁচিয়ে হট্টগোল বাঁধিয়ে জানান দিতে হবে না! আমি বলি কী, কিছু দিন, এই ধরুন কয়েক দশক মুখটা বন্ধ রাখুন, সময় সুযোগ পেলে একটু পড়াশোনা করুন, শিক্ষিত সমাজে মিশুন যদি কেউ মিশতে রাজি হয়, তারপর দেখুন যদি বোঝেন ধর্মভিত্তিক মৌলবাদ আর ধর্মের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে পারেন। খোলসা করে বোঝানো যেতো, কিন্তু মনে হয় না তাতে কিছু সেঁধোবে ঐ কৃষ্ণগহ্বরে।
এতোটা লিখেও মনে হচ্ছে আদৌ কিছুই হলো না। এই মহামহিমকে যে ঠিক কী ভাষায় মুহ্তোড় জবাব দেবো ভেবে পাচ্ছি না। ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যেতো, কিন্তু সন্দেহ হয় সে সব গন্তব্যে পৌছবে না। কেউ আছেন এ ব্যাপারে অধমকে সাহায্য করতে পারেন?
বলেন কী?! এমনিতেই আমেরিকা এমন কিছু গিরিঙ্গিবিহীন জায়গা না যে এখানে আরও জঞ্জাল জড়ো করতে হবে! সৌদী, এই মহাত্মনের উচিত হবে সোওওওজা সৌদী চলে যাওয়া!
হ
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
জ্বী, আমরা মনে করি, অপরাধ যাই হোক, যার সাথেই ঘটুক, তার জন্য অঙ্গ-কর্তন বা মৃত্যুদন্ডের শাস্তি পাশবিক, বর্বর। সভ্যতার কাতারে অনেক পিছনে থাকা কোনো গোত্র আপনার উল্লিখিত 'ডাবল স্ট্যানডার্ড'এর সমাধান এভাবে করার কথা চিন্তা করবে হয়তো। কিন্তু মানুষের সামনে সবসময়ই উত্তম উপায় থাকে।
মানুষ একসময় ডাইনোসরের গল্পের পাশাপাশি সৌদি আরবের গল্প পড়বে।
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
যেই মডারেটর এই কমেন্ট আমাদের জন্য মডারেশন পার করে দিয়েছেন, তাকে ধন্যবাদ। দলছুটের লেখা কর্তনের অপরাধের ভার কিছুটা হলেও কমলো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
You are hurting the feeling of 95% people of this country.
আমি জানি সবজাগাতেই সবসময় কিছু সুযোগ-সন্ধানী ছিঁচকাঁদুনে থাকবে অনুভুতিতে আঘাত, অনুভুতিতে আঘাত বলে কাঁদার জন্য। কারো কথায় কারো অনুভুতিতে আঘাত লাগা উচিত নয়। এটাই কারণ যে, ইউরোপের রাস্তায় ইসলামিস্টরা ইউরোপ ধ্বংসের স্লোগান নিয়ে সমাবেশ করতে পারে। কেননা, কারো কথায় কারো কোন ক্ষতিই হওয়া সম্ভব নয়। একটি উন্নত সমাজের রাস্তায় একারণেই ইসলামিস্টরা "behade those who insult islam" লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশ করতে পারে নির্ভয়ে। অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ বস্তুত কোন অভিযোগই নয়।
How could you dare to say that you want to see Islam wiped out of this country?
You got it straight!!! আমি একেবারে ঠিক এটাই বোঝাতে চেয়েছি। শুধুমাত্র ইসলামই নয় যে কোন ধর্মকেই একটি সভ্য সমাজ থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা উচিত। সুশিক্ষা ও সুসভ্যতার সাথে ধর্মের সম্পর্ক বিপরীতমুখী। এই কারণেই রয়্যাল সোসাইটির মাত্র ৩% ফেলো কোন ধর্ম বা ঈশ্বরের গ্রাহক। এবং, হ্যা I dare to say that.
Are you guys ashamed of your religion
অন্য কারো খবর জানি না আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই খুবই লজ্জিত নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে। যদিও আমি মুসলিম নই, তারপরও আমি লজ্জিত এটা বলতেই যে আমার জীবনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর আমি মুসলিম ছিলাম, যার জন্য আমি লজ্জিত।
Do you know brother Saudi Arabia got lowest rate of crimes?
আপনার এই তথ্য ভুল। সর্বনিন্ম অপরাধের হার সাধারণত স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে হয়ে থাকে, তারপর পশ্চীম ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো হয়তো, তারপর বাকী ইউরোপ। সৌদীআরব এদের ধারেকাছেও নেই। হাত কেটে, মাথা কেটে আসলে কখনও অপরাধ কমানো যায় না, যদি যেতো যেতো তাহলে সবচেয়ে কম অপরাধ-প্রবন হতো মধ্যযুগ।
Because they implement Islamic Sharia law.
শরীয়া ল মানে আল্লার ল। আল্লা বলে কিছু নেই যেহেতু, তাই শরীয়া ল ও মিকি মাউস ল এর মধ্যে খুব অল্প পার্থক্যই আছে।
They full fill the basic needs of their citizens
আপনি হয়তো জানেন না যে, সৌদীয়ারবের সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত। রাজপরিবার ও বাদবাকীরা। সমস্ত তেল রাজপরিবারের সম্পদ। এমনকি সমস্ত মানুষও। বেইসিক নিডের ধারণাটা আমি মনে করি আপনার কাছে পরিষ্কার না। সবচেয়ে বড় বেইসিক নিড হলো স্বধীনতা যাটার সাথে কিনা সৌদীআরবের দুরত্ব কয়েক ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ।
if anybody steals his hand is chopped off upto wrist.why do you think its inhuman?
আপনার দুই বাক্যের অভিযোগের দ্বিতীয় বাক্যে যেই প্রশ্ন আপনি করেছেন তার উত্তর আপনি আগেই দিয়ে রেখেছেন আপনার প্রথম বাক্যে। কারো হাতকাটা চচ্ছে এটা যদি আপনার কাছে আমানবিক না হয়ে থাকে তাহলে হ্যা, আসলেই আপনার মানবিকতা সুস্থ নয়।
In Saudi Arabia the jewelry shops are left vacant.
ভ্লাড ড্রাকুলার শাসন-আমলে ট্রান্সসিলভানিয়াতেও এই অবস্থা ছিলো। ভ্লাড নিজেই একদিন একটা সোনার কাপ বাজারের রাস্তায় রেখে তিনদিন পর এসে তা অক্ষত অবস্থায় পায়। উইকিপিডিয়া করুন। বর্বরতার ভিতীর সঞ্চার করে, হ্যা- এটা কি ভালো কিছু?
Do u think this is inhuman because they are killing a rapist or because they are executing him in public?
দুটোই।
You are made the judge and the rapist is brought in front of you. What punishment would you give him? Definitely capital punishment.
দুঃখজনকভাবে না। কারোরই কোন মানুষের জীবন হরণের অধিকার নেই- তো সে আল্লা হোক কি নবী হোক কারোরই নেই। এটাকে বলে মানবাধিকার, যেটাকে কিনা বলা যেতে পারে ইসলামিজমের লিটারেল বিপরীত শব্দ হিসেবে। আমার ভাইকে কেউ ছুড়ি মারলো, আপনার কি মনে হয় এটা আমাকে অধিকার প্রদান করে তাকেও গিয়ে ছুড়ি মেরে আসার জন্য?
The way USA and UN,who are killing innocent people world wide do?
আমি জানিনা আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন। বর্তমান পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে আমার রাজনৈতিক অবস্থান আপনাকে বলছি। আমি ইরাক যুদ্ধের বিরোধী, আফগানিস্তান যুদ্ধের সমর্থনকারী, সৌদীআরব এবং ইরান এই দুটি দেশ যদি এই মুহুর্তে আক্রমন করা হয় এবং এতে EU এর সমর্থন থাকে আমি সেটা সমর্থন করবো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল যেই ভূখন্ড অবৈধ দখল করে আমি তার বিরোধী।
If you can prove to me that that law is superior to Islamic Laws i will follow whatever you follow.
আমি কোনকিছু ফলো করিনা, আমি ফলো করি রিজন, রাইটসাসনেস। এবং যেই ল আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে লেখা হয়েছে ল সম্পর্কে অজ্ঞ কিছু অশিক্ষিত ব্যক্তি দ্বারা সেই ল সংজ্ঞাগতভাবেই ইনফেরিয়র। সব আইন সমান না, অবশ্যই EU এর ল ইরানের ল এর চেয়ে সুপিরিয়র। ইসলামি ল এর সুপিরিয়রিটির কোন প্রশ্নই আসে না কেননা এটা কোন লই নয়।
ঠিকাছে
ভাইয়েরা, এই আংরেজি অতিথিকে নিয়া হাসিঠাট্টা কইরেন না। তারে যা শিখানো হইছে, তিনি সেইটা উদগীরণ কইরা দিছেন। মূলোদার 'ইসলাম আর ইসলামিজম' যে এক জিনিস না, এই কথাটা গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিজম বলতে যেটাকে আমরা সাধারণত দেখি, সেটা ইসলামেরই বিকৃতি। শরীয়া বলে কোনো কিছু ইসলামে নাই আর ইসলামের কোনো নির্দেশই আইন নয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় বহুমতের চর্চা। অন্যান্য ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব, ইত্যাদি খোলার প্রয়োজন। পাশাপাশি মধ্যপন্থী ও বামপন্থী মতালম্বীরাও একত্র হবার চিন্তা করে দেখতে পারে, যদি রাজনীতি নিষিদ্ধ করা কার্যত অসম্ভব মনে হয়।
এবং পরিশেষে সেটাই হবে। একটা প্রতিষ্ঠানে একটা গ্রুপই তাদের প্রচারণা চালিয়ে বেড়াবে আজীবন, এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
অথবা, এটাই হয়ত সত্য যে, বাংলাদেশে অন্যান্য গ্রুপের রাজনৈতিক দর্শন ওই গ্রুপের মত এতটা শক্ত নয় যে সেটা বাস্তবায়নের জন্য তার কর্মীরা গোপনে এবং ধৈর্য কাজ করে যাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। চিন্তার বিষয়।
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
আপাতত রাজনীতি দিয়ে এই রাজনীতি মোকাবেলা করার কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না। এর বিরুদ্ধ জবাব হতে পারে একটা বিজ্ঞান ক্লাব। সঠিক নেতৃত্বএ এগুলোর ফল সাধারণত সুদূরপ্রসারী।
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
- যতোদূর জানি, আইইউটি'র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেখানে অবশ্যই সরাসরি রাজনৈতিক সংগঠনের অনুশীলন করা নাজায়েজ। যেরকম কুদে টুদে কয়েকটা ক্লাব গঠন করা গেছে ঠিক একই পন্থায় অন্যান্য ক্লাব গঠন করা যেতে পারে। খেয়াল রাখুন, এই ক্লাবগুলো যেনো পুরোপুরি বিজ্ঞান বা সংস্কৃতি মনষ্ক হয়। আইইউটি যদি বাংলাদেশে না হয়ে সুদানে হতো তাহলে তাদের এসপিএলএ দিবস পালন করতো আইইউটি। বাংলাদেশে কেনো বৈশাখ পালিত হবে না? কেনো একুশে ফেব্রুয়ারী পালিত হবে না? এসব কালচারাল ক্লাব খোলার জন্য সমমনাদের একত্র করুন, জামাতি/শিবির/হিজবুত তাহরীরদের চেয়ে অনেক বেশি জনবল পাবেন সাথে, গ্যারান্টীড। আপনাদের দাবীর কথা জানান কর্তৃপক্ষকে, যেহেতু কয়েকটা ক্লাব হয়েছে তাই এগুলোর বৈধতা দেয়াটাও স্বাভাবিক। যদি না দেয় তখন পুরো জনসংখ্যা দাবী তুলুন তাহলে সংস্কৃতি ভিত্তিক যেকোনো ক্লাবই বাতিল করতে হবে, হিসাব সোজা। যেহেতু ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটিও একটি সংস্কৃতি ভিত্তিক ক্লাব, সুতরাং এটাও বাদ।
কাজটা সোজা না। চালে ভুল করলে হিসাব পাল্টে গিয়ে বুমেরাং হতে পারে। প্রথমেই মাথায় যেটা আসলো সেটা হলো, আগে শিবিরের মগজধোলাইয়ে যে যে শিক্ষকরা এখনো মাথা পেতে দেন নি, তাদের সাথে কথা বলুন। কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ কিংবা কাউকে থামিয়ে দিতে না, ঐটার দরকার হবে না। শুরুটা করুন খুবই মহৎ একটা উদ্দেশ্য নিয়ে, যেমন বাংলাদেশের কৃষ্টিকে 'কিছুটা উপস্থাপন এবং বাইরের ছাত্রদেরকে এর সাথে পরিচয় ঘটানো' থেকে। এটা জরূরী। কারণ যারা এই দেশে পড়াশুনা করছে, তারা তো জানলোই না দেশটা কেমন! বাকিটা শিক্ষকদেরকে নিয়ে সামনে আগান। হেডস্যারদের সাথে কথা বলুন, ভিসি'র সাথে কথা বলুন। আর ক্লাব করার অনুমতি পান বা না পান, যারা একত্রিত হতে পারলেন, সবাই মিলে সংস্কৃতি চর্চা চালিয়ে যান, প্রতি সপ্তাহান্তে বিশেষ কারো সাথে ঢাকায় সময় কাটানো সংক্ষিপ্ত করে হলে সিনেমা দেখার প্রচলন করুন, গান শুনুন, সামাজিক ফিল্ম দেখুন এবং এই কাজগুলো ইচ্ছেমতো শেয়ার করুন। কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগছে হয়তো, অনুসরণ করতে গিয়ে আরও খারাপ লাগবে কিন্তু আপনাদের প্রাণের আইইউটি বাঁচাতে হলে এর বিকল্প নাই আপাতত সামনে। কাক বালকের অভিযোগ সত্যি হলে আপনি হয়তো গা বাঁচিয়ে চলে আসতে পারবেন কিন্তু খুব বেশি দূর চলতে পারবেন না বোধ'য়, ভেবে দেখেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি হয়তো জানেন না, তাই বলছেন, IUT তে বৈশাখ আর একুশে ফেব্রুয়ারী পালন হয় না কে বলছে ?
এমনকী পহেলা বৈশাখে সকালে পান্তা ভাতের ও ব্যবস্থা থাকে। আর এসব দিন ছুটি থাকায় মোটামুটি সবাই ঢাকায় চলে আসে।
ভাই আমি জানি না আপনি কোথায় থাকেন অথবা কী করেন, যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে একবার আই,ইউ,টি তে আসতে বলবো, আপনার কোন ধারনা নাই আই,ইউ,টি -এর ল্যানের রিসোর্স সম্পর্কে। শুধু এইটুকু বলি কেবল মাত্র আমার hard disk এই ৮০০ গিগাবাইটের মুভিস আছে (সেখানে IMDB এর টপ ১৫০ মুভির সব গুলো আছে।) আর এই রকম প্রায় ৩০০ পিসি শেয়ার এ পাবেন (দুই হল মিলিয়ে, আর দুই হল ই ইন্টারকাঙ্কেটড।)
আমি আই,ইউ,টি এই জিনিস টা নিয়ে বলতে পারবো, আমি গর্বিত।
ভাই ভূত, আপনে ধুগোদার মন্তব্যের মুল সুর ধরতে ভুল করেছেন। কত রিসোর্স আছে, সেটা জাহির করায় কিছু আসবে যাবে না। একটা মুভি ক্লাব করেন, দল বেধে ছবি দেখার একটা আলাদা মজা আছে, তাছাড়া মুভি থাকা এক জিনিস আর সেটা দেখা আরেক জিনিস।
দলবেধে একটা কিছু করার মজা অন্যরকম। কেউ হয়ত সিনেমা পছন্দ করেন, কেউ গান, কেউ খেলতে পছন্দ করেন। IUT তে কি হয় না হয় আমরা বাইরের বলে জানব না, এমন কেন মনে করছেন। IUT তো পৃথিবীর বাইরে না। আমার ছোট ভাই IUT থেকে পাশ করে বড় চাকরি করছেন, আরেক ছোট ভাই আমেরিকায় এসেছেন PHD করতে।
আমরা সমালোচনার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলছিনা, বলছি কিভাবে রোধ করবেন শিবিরকে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইয়া আমি মূল সুর ধরতে পারছি। আসলে এই জিনিসটা (মুভি) নিয়ে আমার একটু মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ আর IUT মুভি collection নিয়ে আমি একটু গর্ব বোধ করি, সেই জন্যই এটা বললাম। অন্য কিছু না। দুঃখিত আমি হয়তো মনের ভাব টা ঠিক মতো বুঝাতে পারি নাই।
সমাধানের রাস্তা দেখাতে আইইউটির ক্ষেত্রে আমিও মোটামুটি হিমুর রাস্তাই দেখাবো। বিজ্ঞান ক্লাব, কুইজ এইসবে মন দিলে অনেক বালছালই আর মাথায় আসবে না।
আমার ব্যক্তিগত সমস্যা হলো আমি জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র। যেখানে শিবির নিষিদ্ধ। আর এই নিষেধাজ্ঞা সর্বদলীয়। আইইউটিসহ সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিবেশ অনুপস্থিত। উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘোঁটোগুলিতে কীভাবে মৌলবাদ ঠেকানো সম্ভব আমি সত্যিই জানিনা। এটাকে আমি ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা হিসাবেই দেখছি।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- ঘটনা হইলো, আইইউটি 'শুধু কেবলই একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়' না, এর পেছনে ওআইসি'র একটা বিশাল বড় ছাপ্পর মারা আছে। প্রবলেমটা হলো সেইখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জানা ছিলনা । জাবি রে একটা সেলুট দিলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর যদি নাও হয়, অন্তত চিন্তার বিষয় তো বটেই। তাই প্রথমেই ধন্যবাদ লেখককে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। আর সমালোচকদের বলছি, কাটা-ছেড়া না করে বরং সমস্যাটার দিকে নজর দেয়াটাই মনে হয় জরুরী। আই ইউ টি'র প্রতি তীব্র ভালোবাসা আছে বলেই সবাই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আসলে বিষয়টি এমন স্পর্শকাতর যে খুব সহজে কিছু বলা যায় না। দুইজন মানুষ যদি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলে, সেখানে 'শিবির' জাতীয় কথা হচ্ছে কিনা তা জানাটা সহজ না, আর খুব শোভন ও না। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে তারা। মানুষকে 'ভালো' পথে ডাকছে, সেই সাথে মাথাটাও একটু ধুয়ে দিচ্ছে (আমি শিবির-দের কথা বলছি)। তবে আই ইউ টিতে ব্যাপারটা কতটা গুরুতর তা বুঝতে পারছি না। যদি লেখকের সব তথ্য মেনে নেই, তাহলে বলতে হয় ব্যাপার বেশ গুরুতর। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, তখন আই ইউ টি আসলেই নামকোয়াস্তে 'ইসলামিক' ছিলো। মানে যারা নামাজ পড়ার তাঁরা পড়তো, যাঁদের তাবলীগ করার তাঁরা তাবলীগ করতো, আর শুধু বুধবার বিকেলে মাগরিবের আগে দাওয়াত দিতে হল-এ আসতো। আর যারা এড়াতে চাইতো, বুধবার আসর-মাগরিব গ্যাপটা কোনমতে রুমের বাইরে বা হলের বাইরে কাটিয়ে দিতো। দ্যাট ওয়াজ লিটেরালি অল! কিন্তু এখন মনে হয় ব্যাপারটা এতো নির্মল নেই আর। আসলে যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবির বা জঙ্গিপন্থী ছাত্র ঢুকবেই, এটা ঠেকানোর তো উপায় নেই। কিন্তু যা করার দরকার তা হলো তারা যেনো ডাল-পালা গজাতে না পারে সেই চেষ্টা করা। তবে তা সহজ না। এরা অ্যাতোটা মোটিভেটেড থাকে যে এদের দমিয়ে রাখাটা কঠিনই। আর এদের মখে মধু থাকে, আচরণে থাকে মানুষকে মুগ্ধ করার গুণাবলী আর সাহায্য করার আকুলতা। ভাই ডেকে, হাত ধরে এরা সহজে মানুষের কাছে চলে যায়। যদিও তাঁদের মনে থাকে অন্যকিছু, তবু বাইরে তো তারা এটাই করে। সেই তুলনায় একজন সাধারণ এবং 'স্বাভাবিক' ছাত্রের অ্যাতো ঠ্যাকা বা সময় কোথায়?
যাই হোক, যেভাবেই হোক, আই ইউ টি কে রক্ষা করতে হবে। আমি যা দেখে এসেছি, তাতে আই ইউ টির ছাত্ররা এখন বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। তাই প্রচুর পরিমাণে ক্লাব, সোসাইটি গড়ে তোলা এখন মনে হয় খুব কঠিন কিছু না। আর এসব ক্লাব বা গ্রুপের মাধ্যমে ছাত্রদের একটু সচেতন করাটাও জরুরী। একজন নতুন ছাত্রকে যখন তার এক বড়ভাই বা ক্লাসমেট খুব মধুর ব্যবহার করে একটু কথা বলতে চায়, সেটা এড়ানো সহজ না। তারপর যখন বয়ান দেয়, সেটাও হয়তো ভদ্রতার কারণেই শুনতে হয়। আর এভাবে শুনতে শুনতেই হয়তো শিবিরের বীজটা অজান্তেই বপন করা হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই সচেতন করা গেলে মনে হয় কিছুটা লাভ হবে। বিশেষ করে নতুন ছাত্রদের। কারণ আই ইউ টি যেহেতু আবাসিক, প্রথম দিকে নতুন ছাত্রদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তারা একা থাকে, রুমে চুপচাপ বসে থাকে বিকেলে বা সন্ধ্যায়। এটা শিবির পার্টির জন্য বিরাট সুযোগ।
মূল কথা হলো, আই ইউ টি'র মধ্যে এই জিনিস ঢুকতে দেয়া যাবে না। আমরা প্রতিটি আই ইউ টিয়ানই এই লাল গ্রহটাকে অসম্ভব ভালোবাসি, নিজের একটা অংশ বলেই মনে করি। এটার ক্ষতি দেখাটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে এক্স-আই ইউ টিয়ানদের থেকে মনে হয় কাজটা বর্তমান আই ইউ টিয়ানদের জন্যই বেশি সহজ। একটু চোখ-কান খোলা রাখা, শিবির পার্টি কাকে মটিভেট করার চেষ্টা করছে সেদিকে খেয়াল রেখে ভিকটিমদের আবার ডি-মোটিভেট করা, মাঝে মাঝে সচেতন করা এগুলোই মনে হয় কাজ করবে। যেভাবে হোক, এই জায়গাটাকে রক্ষা করতেই হবে খুনীগুলোর নোংরা ছায়া থেকে। তবে এটা বুঝতে হবে যে ওরা ধর্মের ঢাল ব্যবহার করে, আর যারা রক্ষা করতে চাইবে, তাদেরকে বলা হবে বেধর্মী, ইসলামের শত্রু আরো অনেক কিছুই। সুতরাং সতর্ক হয়েই কাজ করতে হবে।
দয়া করে আই ইউ টি কে একটি 'প্রাইভেট' বিশ্ববিদ্যালয় বলার আগে একটু খোঁজ নিয়ে নেবেন।
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম আই ইউ টি তে শিবিরের এক্টিভিটির কথা । ধন্যবাদ, বিষয়টিকে সচলে তুলে আনার জন্য ।
@ ধুসর গোধূলী, সুমন চৌধুরী - আপনাদের মন্তব্যে একটি তথ্যগত ভুল আছে । আই ইউ টি "উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘোঁটো" প্রকৃতির প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নয় । এটি দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ।
সৌন্দর্য্যে কাতর হয়ে পরার পরপরই হতাশ হয়ে পরি, তাঁর নশ্বরতায় ...
সৌন্দর্য্যে কাতর হয়ে পরার পরপরই হতাশ হয়ে পরি, তাঁর নশ্বরতায় ...
আমাদের কারিকুলামগুলো এতই দুর্বল যে ছাত্রদের পড়াশুনার মধ্যে ব্যস্ত রাখতে তা ব্যর্থ। এমনটি বলছিনা যে শুধুই পড়াশুনা করতে হবে, তবে পড়াশুনাটাই যেন মূল লক্ষ্য হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। সাথে হিমু যেমনটা বলছেন তেমন এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটি চালাতে হবে। অলস মস্তিষ্ক নাকি শয়তানের আখড়া-- তো মস্তিষ্ক যদি কোন কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেখানে শিবির এসে জুড়ে বসবে না তো কে এসে বসবে? তাই পড়ালেখার পাশাপাশি ক্লাব, ঘোরাঘুরি, লেখালেখি, বই পড়া এসবে সময় ব্যয় করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ ধর্ম শিক্ষা করতে যায়না। যারা ধর্ম শিক্ষা করতে চান তারা সেধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন। আইইউটিতে নিশ্চই ধর্ম শিক্ষা দেয়না?
একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে নিয়েই আইইউটি স্থাপিত হয়েছিল। এখন ধর্মের নামে কেউ রাজনীতি করলে সেটা বন্ধ না করে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়কে দোষ দেয়া কোন উপলক্ষ হতে পারেনা। কিংবা সেই বিশ্ববিদ্যালয় কেন শুধু মুসলিম ছাত্রদের ভর্তি করাবে সেই প্রশ্নও এখানে অবান্তর।
আপনি ইসলামিজম দিয়ে যদি ধর্মান্ধতা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে আমার কোন কথা নাই। তবে তা যদি না হয়ে ইসলাম দূরীকরণের কথা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বলতেই হয়-- যে ইসলাম মানে তার মধ্যে ইসলামিজম থাকবেই এবং যারা এধরনের স্বপ্ন লালন করে আছেন তারা কি এটা বুঝতে পারছেন যে মানুষের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে জানার ও প্র্যাকটিস করার পরিমাণ দৃশ্যত বাড়ছে? সেটা থামাবেন কিভাবে?
১ ...
প্রথমে কাক-বালককে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এই পোস্টটা দেয়ার জন্য, এবং পোস্টটা ইয়াহু গ্রুপে না দিয়ে এরকম একটা ওপেন প্লাটফর্মে দেয়ার জন্য ... রেপুটেশনের দোহাই দিয়ে সমস্যা চেপে রাখতে রাখতে সেটা একসময় ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে, তার চেয়ে সবাই যখন জানবে, সেটা নিয়ে কথাবার্তা, তর্কাতর্কি করবে তখন অটোমেটিক্যালিই সচেতনতা তৈরি হবে ...
২ ...
যাদের ধারণা আইইউটির সমস্যার আলোচনা ইয়াহু গ্রুপেই হওয়া উচিৎ তারা স্বাচ্ছন্দ্যে এইটার লিংক সেখানে ফরোয়ার্ড করতে পারে ... সেটা না করে কাক-বালক কে, তার পরিচয় কি, উদ্দেশ্য কি এইসব নিয়া ঘাঁটাঘাটি করলে তার পেছনে মাছ মাছ গন্ধ লাগে ...
৩ ...
শিবির এইভাবেই ঢুকে; আজকে যদি নাও ঢুকে কালকে ঢুকবে, এবং সেটা এইভাবেই ... আর শিবিরের প্রতিরোধও সারাদেশে যেভাবে হচ্ছে সেভাবেই হবে, সচেতনতা তৈরি করে ... ধুসর গোধূলি যেমন বললেন, ছাত্রদের আলাদা অল্টারনেটিভ দেয়ার মাধ্যমে ... সাংস্কৃতিক ক্লাব হোক, গেম কম্পিটিশন হোক, প্রোগ্রামিং ক্লাব হোক, মুভি ক্লাব হোক, সামাজিক ছবির উৎসব হোক , কালচারাল নাইট হোক; শিবির পাত্তা পাবে না ...
আর পুলাপানকে সচেতন করা হোক, আইইউটির বাইরেও মানুষজন এইসব জানুক; গার্জিয়ানরা জানুক ... আমার বাপের ধারণা ছিল আইইউটিতে ভালো ভালো ছেলেরা নিয়মিত ক্লাস করে, লেখাপড়া করে, সকাল সকাল ঘুমায় আর সকাল সকাল জাগে, এইখানে থেকে কারো পক্ষে খারাপ হওয়া সম্ভব না; আমি তারে কিছুতেই বুঝাইতে পারি নাই যে আইইউটিতে পড়ালেখা করাটা পুরা নিজের হাতে, কেউ চাইলে করতে পারে কেউ চাইলে নাও করতে পারে; নোবডি কেয়ারস ... এইরকম "আইইউটি একটা মিনি স্বর্গ" এই টাইপ ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে কেউ যাতে পোলাপানরে এখানে দিয়ে না যায় এইটা নিশ্চিত করা জরুরী ... এইখানে ভালো মানুষও আছে শিবিরও আছে, নিজেকে নিজে বাঁচায়ে চলতে হবে, এই বোধটুকু থাকলে বাকিটা সমস্যা না ...
আর এই জন্যই আমি এই পোস্টটা এইখানে দেয়া সাপোর্ট করি, ইয়াহুগ্রুপসে না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
হতাশ
______________________________________
লীনলিপি
______________________________________
লীন
কাক বালক,
আমি ৯৬ ব্যাচের তাই তুমি করেই বলছি। প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই গুরুত্ত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য। আই ইউ টি নিয়ে তোমার এই আবেগ ও উৎকন্ঠা একজন নন আইইউটিয়ান হয়েও আমার মনে দাগ কেটেছে কারন আজকে এই সমস্যাটা শুধু আইউটইর না সমগ্র দেশের।
তোমারা নিশ্চয়ই কিছুদিন আগে বুয়েটের একটি ছেলের জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান হবার খবর টিভি চ্যানেলে বা খবরের কাগজে দেখেছিলে, ছেলেটি বুয়েটে আমার ছাত্র ছিল, ওকে নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম সচলে সময় করে পড়ে দেখ।
এই মগজ ধোলাইয়ের কাজটা এরা করে খুব যত্ম নিয়ে। এই লেখাতে এটি নিয়ে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা লিখেছিলাম, পড়ে দেখতে পার। প্রসঙ্গটা টানলাম এই কারনে যে প্রক্রিয়াটা একই রকম, অর্থ্যাৎ এদের এখনকার মূল লক্ষ্য কিছু বুদ্ধিমান মানুষ খূজে বের করা। জ্ঞানী মানুষ যখন দুষ্টচক্রে পড়ে দুষ্ট হয় তাকে সেই বৃত্ত থেকে বের করা আসলেই কঠিন। তাই আশা করি তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।তবে তার থেকেও বেশী জরুরী নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, সাংস্কৃতিক পরিবেশ বৃদ্ধি করা।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হাসতে হাসতে আরেকটু হলে চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম...
লেখকে ধন্যবাদ। সাইট আপগ্রেডের কারনে তারকাদানের সুযোগ সম্ভবত বন্ধ আছে, তাই দিতে পারলাম না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
কিংকর্তব্যবিমূঢের মন্তব্যে একমত।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আইইউটিতে কয়েকজন ফিলিস্তিনি ছাত্রের সঙ্গে বাঙালি ছাত্রের 'সংঘর্ষ' বেঁধেছিল। সেসময় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, শুধু বাঙালিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি আমি আমার এক বন্ধু কাছ থেকে শুনেছিলাম। ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে কেউ জানেন কি ? আমার কাছে শুনে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। [ ডিসক্লেইমার : ফিলিস্তিনি = মৌলবাদী, এটা আমি মনে করি না, আর এটা এই পোস্টের বিষয় সাপেক্ষে অফ-টপিক ]
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার পোস্ট পড়লাম। একজন আইইউটিয়ান হিসেবে মনে হয় না এত খারাপ আইইউটির অবস্থা। কিছু শিবির সমর্থক স্টুডেন্ট আছে , তবে এত খারাপ অবস্থায় যায় নি। ভন্ড ভাইয়ার সাথে একমত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরুনোতে শিবিরের জুড়ি নেই। এই পোষ্ট পড়ার আগে ধারনা ছিল না
আইইউটিতে কিভাবে শিবির হুল ফুটাচ্ছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দুয়েকজন দেখলাম লেখকের উপর আস্থা না রেখে আরামের ঘুম ঘুমাতেই পছন্দ করলেন বেশি। ধরে নেই লেখক অবস্থার যতটা খারাপ বর্ণনা করেছেন আসলে অবস্থা ততটা খারাপ না। কিন্তু শিবির শেকড় গাড়ছে এটা তো সত্যি! এটাই কি যথেষ্ঠ আতঙ্কিত হবার মতো কারণ নয়!
একটি একান্তই ব্যক্তিগত মত দেই: লেখক এই লেখাটি লেখার সময় সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছেন তার নিজের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদেরকেই। সেই ভয় যে অমুলক নয় সেটাও কিঞ্চিৎ অনুভব করছি...
লেখককে ধন্যবাদ। আত্মহত্যা না করা, কাপুরুষতা নয়। ছদ্মনামে লিখছেন, ছদ্মনামেই লিখুন। কিন্তু লিখুন অবশ্যই...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এতোগুলো মন্তব্যের পরে মন্তব্য করতে ভয় লাগছে এখন।কি বলতে কি বলবো,আবার কাক বালক আমাকে কি করবে,তাও একটা ভয়,কারন আমি তার মত পরিচয় গোপন করছি না।যারা মন্তব্য করেছেন,যারা আইইউটিয়ান না,আই.ইউ.টির প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে আমি আসলেই মুগ্ধ।
এখানে যারা মন্তব্য করছেন,তারা কাক বালকের কথাকে গুরুত্ব দিবেন,এইটা স্বাভাবিক,কিন্তু আপনাদের মধ্যে কতজন গত ২ বছর আই.ইউ.টিকে দেখেছেন?কাক বালকের পরিচয় জানতে চাওয়ার একটাই কারণ,গত কিছুদিনের আই.ইউ.টি উনি একাই নন,আমি ও দেখেছি।আমি পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে পারি,উনি কেন পারেন না?iss এর ইফতার ও তার পরের ঘটনাপ্রবাহ ও আমি দেখছি।ওই পোস্টারগুলো ও আমি পড়ছি।আই.ইউ.টিকে ভালোবাসার কথা উঠলে বলতে পারব,আমি উনার থেকে বেশি ভালোবাসতে নাও পারি,কিন্তু কম ভালোবাসি না।
আজকে শুধু শিবির কেন,যদি অন্য যে কোন রাজনৈতিক দল আই.ইউ.টিতে ঢুকতে চায়,আমি বাধা দিব।আমার মত আরো অনেকেই বাধা দিবে,যারা বর্তমান আইইউটিয়ান।কাক বালক তখন বাধা দিবে কিনা তা জানি না,জান্তে পারবো ও না,কারন আমি জানি না কাক বালক কে।আর যদি আই.ইউ.টি সম্পর্কে বলতেই হয় তাহলে শুধু জংগী কেন,সব কিছু নিয়েই বলা উচিত।নাহলে আরো অনেকবারের মত আবার ও শুনতে হবে"প্রাইভেট বিস্ববিদ্যালয়" খেতাবটা।
কেউ_না
আপনি লেখকের ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়া পড়লেন কেন? নিজের নামে না লিখলে কি কথার কোনো দাম থাকে না?
তার মানে আপনি এহনতক এই ব্যাপারে কিছুই করেন নাই, ভবিষ্যতে বাধা দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তবে নিশ্চিত থাকতে পারেন, শিবির অফিশিয়ালি আত্মপ্রকাশের আগে ফিলড প্রস্তুত করেই নিবে। যেমন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন টীচারেরা। এখন যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক শিবির টীচার থাকে, তারওপর স্টুডেন্ট লেভেলে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তাদের বেইজটা মজবুত করে ফেলতে পারে, তাইলে দেখবেন, পরিস্থিতি যা এক্সপেক্ট করেছিলেন, তার চেয়ে চেয়ে অনেক বেশি খারাপ। তখন বাধা দেয়া তো দূরের কথা, তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবেন না। সুতরাং এখন একজন যখন এদের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে, তার পিছনে না লেগে সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন। যদি আন্তরিকতা থাকে, তাইলে বুঝবেন এইটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন নিয়া টানাটানি না, এইটা তারচেয়ে অনেক বড়ো বাস্তব সমস্যা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এটা আমার ব্যর্থতা যে আমি কিছু করসি কি না,তা মন্তব্যে তুলে ধরতে পারি নাই।আমি আপাতদৃস্টিতে কিছু করি নাই,সত্ত্য কথা।কারন যারা করার তারা করতেসিল।আমার কাজ ছিল তাদেরকে সমর্থনটা দেওয়া,যাতে তারা থেমে না যায় কোন অশুভ শক্তির কাছে।সেইটা তো আমি দিছি।
লেখকের পরিচয় জানতে চাওয়ার পেছনে আমার উদ্দেশ্য ছিল সে প্রথম বর্ষ কিনা,সে সম্পরকে জানা।কারন,
প্রথম বর্ষের কেউ হলে সে এতো কিছু জানতো না।জানার কথা না।আর যদি না হয়,তাহলে সে ভুল লিখেছে ওই জায়গায়।এটা ভুল কিনা এটাই আমার জানতে চাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল।তাকে আক্রমণ করার ইচ্ছা নিয়ে লেখা না।
অনুরোধ যদি আইইউটির বড় ভাইদের কাছে হয়,তাহলে iutans yahoo group এ নয় কেন,এইটাও ছিল আমার উত্তর।
যাই হক,নিজের অর্বাচীনতায় আমি নিজেই এখন বিমোহিত।তাই এখানে মন্তব্য করে আর জায়গা অপচয় করব না,আপ্নাদের বিরক্তি ও আর উৎপাদন করব না। নিজের অজ্ঞতাঃবশত কিছু মন্তব্য করার পরে আজ অনেক ভালোভাবে বুঝলাম,আমি একজন আইইউটিয়ান।ধন্যবাদ কাক বালককে আমাকে তা বুঝতে সাহায্য করার জন্য।
কেউ_না
আমি বুঝছি না, অনেকেই এই ব্যাপারটা নিয়ে ঢাক-ঢাক গুড়-গুড় মনোভাব নিয়ে বসে আছেন কেন?
এই লেখাটা খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে, এবং পুরোটা পড়ে আইইউটির প্রতি লেখকের আন্তরিকতার কোন অভাব খুঁজে পাইনি। কিন্তু অনেকেই দেখতে পাচ্ছি লেখকের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান এবং তাঁর পরিচয় জানার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে!
আইইউটিতে যদি শিবিরের বীজ ঢুকে থাকে এটা সত্যিই একটা বিরাট সমস্যা এবং এই রোগের কথা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখে এর কোন সমাধান হবে না, সচেতনতা সৃষ্টি করাই এর একমাত্র প্রতিকার।
কাক বালককে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি এখানে দেয়ার জন্যে। অন্য একটি ব্লগেও এই প্রসংগ নিয়ে একটা লেখায় দেখলাম লুকোচুরি চলছে আইইউটির ভাবমূর্তির খাতিরে! সেলুকাস!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
পোস্টটির পঠন ও মন্তব্য সংখ্যাধিক্যই মৌলবাদের বিপক্ষে আমাদের সুসংহত না হলেও সুদৃঢ় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, কিছু একটা করি!!!
এস হোসাইন
---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
05 er jara teacher hisabe join korche tader ke niye ja bola hoise.....ta khub e hassokor abong hotasha jonok....ami tader prottek kei khub valo vabe chini abong jani....tader niya adhoroner kotha bolar age chinta vabna kora uchit chilo....
Above all, 4yr iut e amio chilam, gota bepar ta kei amar 'til ke tal' bole mone hocche.
And like vondo said, whoever the guy is, he should have posted this in yahoo group, if he was really asking for help from seniors.
লেখাটা পড়ে ভাল লাগলো। অনেক কথা আমরা জেনেও না জানার ভান করে থাকি, বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকি... আমরা মুসলমানরা একটা বেপার নিয়ে সবসময়ই একটু hesitation এ ভুগি। যে ছেলে নামাজ পরে, দাড়ি রাখে, সুন্দর করে কথা বলে, তার দেখানো রাস্তা যে খারাপ হতে পারে, তা আমরা মানতে চাই না। আমি কাউকে আঘাত করছি না, বা বলছি না যে সবাই একরকম। কিন্তু ইসলাম এর এই লেবাসটা কেই "ওরা" কাজে লাগায় এবং এটা আইউটি তেও সত্য... এইজন্যই আজ অনেকেই প্রতিবাদ করতেও দুইবার চিন্তা করে নেয়!
কাক-বালকের পরিচয় নিয়ে টানাটানি দেখে মনে হচ্ছে বেচারা আসলেই বিপদে পড়ে যাবে। যারা লেখকের পরিচয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছেন তাঁদের বলছি, এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে ছদ্মনামে লেখাটাই কি স্বাভাবিক নয়? জামাত-শিবিরের বিপক্ষে বাংলাদেশে বসে খোলা পরিচয়ে কথা বলাটাকে কতজন খুব 'নরমাল' মনে করেন? আর এখন তো মনে হচ্ছে আপনারাই কাক-বালক কে খুঁজছেন রাগ ঝাড়ার জন্য, তাহলে জামাত-শিবির বেচারার খোঁজ পেলে কী করবে বলেন?
একজন আই ইউ টিয়ান হিসেবে আমি মনে করছি না যে লেখাটা ইয়াহু গ্রুপসেই দেয়া উচিত ছিলো। এখানে দেয়াতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়েও যায়নি। সমস্যাটা ভয়াবহ ক্যান্সারের রূপ নেয়ার আগেই কি চিন্তা করা ভালো না? বার বার বলা হচ্ছে 'তিলকে তাল করা হয়েছে'। আমার মনে হয় তিল থাকতেই দমন না করলে যখন সত্যি সত্যিই তাল হয়ে যাবে, তখন আর উপায় থাকবে না। ব্যাপারটা গোপন রাখলে হয়তো আমরা কিছুই জানতাম না, কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা আই ইউ টির হতোই, তাই দয়া করে ব্যাপারটা সামনে আনার জন্য লেখককে দুষবেন না। হয়তো আই ইউ টি'র ইমপ্রেশন কিছুটা খারাপ হচ্ছে, যদিও আমি তা মনে করি না, কিন্তু আখেরে এই লাল গ্রহটার এবং উপরন্তু এই সবুজ দেশটার উপকারই হচ্ছে। রোগ ব্যাধি হলে তো রোগীকে দোষ দেওয়াটা বোকামী। তাই আই ইউ টি কে আশা করা যায় কেউ দোষ দেবেন না। তবে হ্যা, রোগ গোপন করে যদি রোগী টিউমার কে ক্যান্সার বানায়, সেটা রোগীর দোষতো বটেই। তাই বলছি, টিউমার থাকতেই ব্যাপারটা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত, ক্যান্সার হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকবেনা।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনেকরি লেখালেখি করাটা একটা দায়বদ্ধতা। বিশেষত স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখা এবং তার প্রকাশ মাধ্যমও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো খুব সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কাকবালকের এই দায়বদ্ধতাবোধ অবশ্যই প্রসংশনীয়। খুব সাবলীল লেখা। মুক্তমনা সচলদের খুব কার্যকরী কিছু মন্তব্য দেখে (অফটপিক প্যাচাল-গুলো বাদে)আমি খুব আশা করছি যে উদ্দেশ্য নিয়ে কাকবালক লেখাটা লিখেছে এবং প্রকাশের জন্য সচলায়তন কে বেছে নিয়েছে তা বহুলাংশে স্বার্থক।
এ প্রসংগে মহাত্মা গান্ধীর একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। “Be the change you want to see in the world.”
@কাকবালকঃ তুই হয়ত আমার প্রিয় কোন ছোটভাই। খুব আশঙ্কাজনক একটা ইস্যুতে তোর এভাবে এগিয়ে আসাটা আমার খুব ভাল লাগল। যে সমাধানগুলোর কথা বলা হল তার কোন একটা বাস্তবায়নে তোর অগ্রণী ভূমিকা দেখলে আরো ভাল লাগবে। কারণ স্থান-কাল বিবেচনায় এব্যাপারে কিছু করার জন্য আমাদের চেয়ে তোরা ভাল অবস্থায় আছিস। ভন্ড-ঝাতির বিবেক যে প্রশ্ন তুলেছে সেটা যদি সত্য হয় তবে দুঃখের শেষ থাকবে না। আমাদের দরজা খোলা রইল...
লেখাটায় আই ই্উ টি এর নাম আসায় হয়ত অনেক আইউটি য়ান ব্যপারটা ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই লেখায় আইউটি বিচ্ছিন্ন কিছুনা, গতকাল যা ছিল রাবি, চবি, আজকে আইউটি, বুয়েট। আইউটি যেন রাবি বা চবির মতন না হয় সেই জন্যই এই লেখা বলে আমার ধারনা
আর একে ইয়াহু গ্রুপ এ সীমাবদ্ধ রেখে আলোচনার ব্যপারটা চুড়ান্তরুপে হাস্যকর, আমার মনে হয়না ই্য়াহু গ্রুপে কেউ এনোনিমাস একসেস পাবে। লেখকের স্থলে যদি আমি থাকতাম, তাহলেও স্বনামে এমন গুরুতর অভিযোগ করা আমার সাহসে কুলাতোনা
- যান, ঘোষনা দেয়া হল, "আইইউটি'তে কোন শিবির বা তাদের গন্ধওয়ালা কিছু নাই। তাদের কোন তৎপরতাও চলতেছেনা সেখানে।" এখন খালি হাত তুলেন কার কার অন্তর জুড়ালো ! "শিবির নাই" কেবল এই ঘোষনাটি শুনেই কারা খুশি হন সেটা আমার জানা দরকার। তাদেরকে এইবেলা চিনে রাখতে চাই...
- আইইউটি'তে শিবির নাই এই কথা নিশ্চিত হলে শুধু আমি একা খুশি হবনা। পাকমনপেয়ারুরা বাদে খুশি হবেন সবাই।
- আমার ঘরে যদি শিবির ঢোকে সবার আগে তো আমারই "শিবির...শিবির...বাঁচাও...বাঁচাও..." বলে চিল্লানোর কথা। সেই চিল্লানিতে কার্পন্য থাকলে প্রতিবেশিদের অন্যরকম সন্দেহ হতেই পারে।
- আমার বিশ্বাস সব সচলই আমার মতো সন্দেহপ্রবণ। অন্ততঃ সেটা জেনেই আমি সচলের একজন...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একমত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অনেক অনেক কথা বলা হইছে, শুধু একটা বিষয়ে বলতে চাই, ০৫ এর যারা teacher হিসাবে join করতেছে তাদের নিয়া যা বলা হইসে তা কি ভেবে লিখসে আমি বুঝতেই পারলাম না, আমি এদের ৪ জন কেই খুব ভালো ভাবে চিনি। এবং খুব ভালো সম্পর্ক আছে তাদের সাথে.....আন্দাজে এসব কথা বার্তা বলা খুব ই হাস্যকর, ও তা বিরক্তির উদ্রেক করে ।
আর above all ৪ বছর IUT তে আমিও পড়ে আসছি।
আর ভন্ড একদম শুরুতে যেটা বলছিল, এই লেখার লেখক যেই হোক, সে যদি আসলেই বড় ভাই দের help চায় আগে পোস্ট টা yahoo group এ দেয়া উচিত ছিল।
IUT নিয়া এত যে ভাবে, তার নাম গোপনের প্রয়োজন হবে কেন?
কি আশ্চর্য....!!
- বস, বুঝলাম। আমারে একটা জিনিষ বুঝান তো, পোস্টটা ইয়াহু গ্রুপে না দিয়া এইখানে দেয়াতে লেখকের ঠিক কোন উপকারটা হৈছে, সে কার কাছ থেকে কতোটা আর্থিকভাবে লাভবান হৈছে কিংবা এতে করে শিবিরের ঠিক কোন জায়গাতে আসলে লাভটা হৈছে (আমি ধরে নিছি আপনি এন্টি-শিবির এবং শিবিরকে আইইউটিতে ঢুকতে না দিতে আপনি যেকোনো মূল্যেই সোচ্চার)।
পোস্টের লেখার সারফেসের বাইরে ঘুরপাক খাইতেছেন কেনো বুঝলাম না। পোস্টে কী লেখা আছে, সেইটা নিয়াই ভাবনার কথা আপাতত। সে কে, কী, কেনো, নাম কী, পরিচয় কী, বাপদাদার বাড়ি কোথায়- এগুয়া দিয়া কী করবেন? তার বাড়িতে বাতাসা পাঠাইবেন?
যারা জয়েন করতেছে বুঝলাম তাদের ব্যাপারে তথ্যগত ভুল আছে, ধরে নিলাম তারাও আপনার মতো এন্টি-শিবির এবং তারাও শিবিরের প্রতিটা সদস্যরে (আপার এবং লোয়ার) আমার-আপনার মতো করে "কুত্তার বাচ্চা", "শুয়োরের বাচ্চা" বলে গালি দেয় প্রকাশ্যে, কিন্তু সেটাই তো মূল কথা না। মূল কথা হলো যদি এই ৪ জন শিবিরপন্থী না-ও হয়, পরেরবার যে ৪ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছে তারা যে শিবিরপন্থী হবে না তার গ্যারান্টি কী?
আইইউটি থেকে যদি শিবির তাড়াইতে চান, যদি নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে আশাবাদী হতে চান তাইলে পোস্টের লেখকের পিছে ত্যানা না পেচিয়ে পোস্টের মূলকথা নিয়ে চিন্তা করেন, —এইটা যারা লেখকের মোটিভ নিয়ে কথা বলতেছেন, তাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য, আনফরচুনেটলি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রিয় নিয়াজ,
আমি বুঝতে পারছি আপনার কাছের ভালো বন্ধুদের সম্পর্কে করা আমার মন্তব্য আপনার ভালো লাগেনি। দুই দুইটি মন্তব্যে আপনি তা জানিয়েছেনও। আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করি তাহলে।
প্রথম কথা আইইউটিতে যারা শিবিরের মতাদর্শী তারা "আমি শিবির করি", "আমি শিবির করি" টাইপ রব তুলেনা। তারা আপনার খুব কাছে থেকে, আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করে বিপদে এগিয়ে আপনাকে রগ কাটার শিক্ষাও দেয়না। তারা শুধু আপনাকে নামাজ পড়তে বলে বা ভালো কাজ করতে বলে। এবং ভুলেও কখনও শিবির প্রসংগ সে আপনার সামনে তুলবেনা, কারণ সে জানে শিবির নামটার প্রতি আপনার চরম অভক্তি আছে কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রতি নেই। তাই সে ধর্মটাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে।
আজকে আপনি শিবিরে যোগদান করে দেখুন। সেখানে আপনাকে একটা কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হবে এবং বলা হবে প্রতিদিন ভালো কাজ করবা এবং ভালো কাজ গুলো এখানে লিখে রাখবা। নামাজ পড়বা। শিবির প্রথমেই আপনাকে গাছের আগায় উঠাবেনা, প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে মোটিভেশন করবে, আপনার ভিত্তিটা মজবুত করবে।
এখন শুরুতে যতই ভালো ভালো কথা তারা বলুক আসলে শিবির কী জিনিস তা আপনাকে আমার ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন দেখছিনা। আমি আপনার সম্পর্কে যতদূর জানি আমার ধারণা আপনি বুঝতে পারবেন।
আমার ধারণা ছিল আপনি "একজনও না" এই কথাটি বলবেন না। কারণ দুইজন একেবারেই স্বীকৃত। যদিও আপনি স্বীকৃতদেরটাও অস্বীকার করলেন, আমি তবুও আপনাকে দোষ দেইনা। কারণ তাদের উদ্দেশ্যটাই বিভ্রান্তি তৈরি করা। আমি শিবির করি তুমিও শিবির কর এই কথা তারা বলবেনা। তারা খালি চায় সে যে আদর্শ মানে (শিবিরের আদর্শ) তা আপনার মধ্যে আসুক।
আর আমার উপর রাগ করে লাভ আছে কোন? ধরে নিলাম আপনার কথা সত্য, আইইউটিতে একজন শিবিরও নেই। তাতে করে তো শিবির সম্পর্কে সচেতনতা/ তাদের কর্মপন্থা সম্পর্কে মানুষকে জানানো দোষের কোন ব্যপার নয়। আপনি সেদিক দিয়ে ব্যাপারটা দেখুন। যে সমাযে এইডস নেই, সে সমাজে এইডস নিয়ে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন করা হলে আপনি নিশ্চয়ই তেড়ে আসবেন না।
ভালো থাকবেন।
উদ্ধৃতি <ধুসর গোধূলি>
"লেখকের পিছে ত্যানা না পেচিয়ে পোস্টের মূলকথা নিয়ে চিন্তা করেন,......"
এটা কি ধরনের ভাষা?
উদ্ধৃতি <কাক বালক>
"আজকে আপনি শিবিরে যোগদান করে দেখুন। সেখানে আপনাকে একটা কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হবে এবং বলা হবে প্রতিদিন ভালো কাজ করবা এবং ভালো কাজ গুলো এখানে লিখে রাখবা। নামাজ পড়বা। শিবির প্রথমেই আপনাকে গাছের আগায় উঠাবেনা, প্রথমে আপনাকে ভালোভাবে মোটিভেশন করবে, আপনার ভিত্তিটা মজবুত করবে।"
তুমি কত বার যোগ দিছো শিবিরে?
এই লেখার সারফেইসের বাইরে ঘুরার কোনো শখ আমার নাই। লেখা টার বেশ কিছু কথার সাথে আমি একমত নই। সেটাই জানাতে চেয়েছি শুধু।
লেখার motive খুব ই পরিষ্কার। এবং ভালো তো অবশ্যই।
এবং হা, ওটা বুঝার ক্ষমতা, ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন।
আর আমি লেখকের পরিচয় এই জন্য জানতে চাইছি এইজন্য যে, এত অল্প সময়ে তার মধ্যে যে IUT প্রেম বিকশিত হয়েছে, তাতে আমার junior যারা IUT তে এখন আছে তাদের কে বলতে ইচ্ছা করতেছিলো, ভাইয়া রা যাও তোমাদের এই মহান ভাই রে একনজর দেখে আসো, কদমবুচি ও করে আসতে পারো।
আর কিছুই না।
নিয়াজ না?
শোন, তুই শিবিরের উপস্থিতি টের পাস নাই। আমি কিন্তু খুব ভালভাবে পাইছি। এখন এটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবি? তোর কি মনে হয় না, পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই থাকতে পারে যার সাথে তোর সম্যক পরিচয় হয় নাই কিংবা সুযোগ আসে নাই?
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
এইটা আমাগো মতন সাধারন মানুষের ভাষা, এর মাঝে আপনে আপত্তিকর কিছু খুইজা পাইলেন্নি? ব্যঙ্গ বিদ্রুপ বাদ দিয়ে কামে লাগেন মিয়া। শিবির নাই, বাংলাদেশে এমন কোণ গন সৌচাগার পর্যন্ত নাই, আপনে বেহুদা কাক বালকের পিছে লাগলে কি হইব? আইইউটির প্রেমে পরনের লাইগা কি বাল পাকন লাগব নাকি? প্রথম দর্শনেও তো প্রেম হইতে পারে, নাকি ভুল কইলাম? কাক বালক নাম না নিয়ে লেখক সুমন, রায়হান বা জহির নাম নিলে তো খবরই আছিল। আপনে তো মনে হয় গিয়া ঐ নামের পোলাটার গলা চিপ্পা ধরবেন
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
প্রেক্ষাপটের তুলনায় লেখাটা বেশ ছোট। আইইউটির কয়েকজনের মন্তব্যে (ভন্ড, রনি পারভেজ, কেউ_না, নিয়াজ) বোঝা যাচ্ছে তারা কিছু ক্লেয়ারিফিকেশন চাচ্ছেন, তারা আরও শক্ত- পোক্ত প্রমান দেখতে চাচ্ছেন জেকে বসার।
সেই প্রমান আপনারা যেদিন হাতে পাবেন, সেদিন কিছুই করার থাকবেনা (অচ্ছুৎ বলাই এর মন্তব্য দেখুন)। শিবির কিভাবে কাজ করে সেটা আপনাদের অনেকেরই ধারণা নেই। অলরেডি আপনারা মনে করছেন ব্যক্তিগত ভাবে একজন যেমন বিএনপি, আওয়ামীলীগ করতে পারে ঠিক তেমনি শিবিরও করতে পারে। আমি এভাবে মনে করিনা। বোধহয়, আপনি আমি এইজায়গাতেই আলাদা হয়ে যাই।
আইইউটির বেশ কয়েকজন (শাহান, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, বিটকেলে, আহমেদ, রাহিন হায়দার, মাঝ রাতের বর্ষণ, স্পার্টাকাস, রেশনুভা সহ অন্যান্যরা) এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ধরতে পেরেছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ। আমি এয়োরনেস জাগাতেই লেখাটা দিলাম। "ভালো" জিনিসের সমালোচনা করে বিখ্যাত/কুখ্যাত হবার জন্য নয়।
আর সচলের বাকি সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। অনেকেই আমার পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয় পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেছেন। আমি অভিভূত এই কারণে যে, আমি যেভাবে একটা জিনিস বুঝি/ বোঝাতে চাই, এখানে সবাই ঠিক সেই ভাবেই জিনিসটা বুঝতে পারেন। আমি যেই জিনিসটা সময় সংক্ষেপনের জন্য এড়িয়ে গিয়েছে, মন্তব্যে সেই জিনিস উঠে আসাতে আপনারা আমার পক্ষ থেকে বলে দিয়েছেন।
আমার টাইপিং স্পিড দূর্বল। এই লেখাটা কাগজে লিখে আমি বেশ কয়েকদিন ধরে টাইপ করেছি, তাই সবার মন্তব্যের জবাব দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, এই সীমাবদ্ধতাটুকু ক্ষমার চোখে দেখবেন।
আর যে কোন তথ্যের জন্য (পোস্টে নেই এমন) পোস্টে আমার মেইল ঠিকানা দেওয়া আছে, সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।
@Ragib Bhai: First of all, I am really really junior to you, so, please forgive me if my argument hurts you in any way. Since I am an IUTian, I will always try to defend my institution - Thumb Rule.
আইইউটিতে অমুসলিম কাউকে নেয়া হবে না, এটা কার সিদ্ধান্ত? ওআইসি? বাংলাদেশের সংবিধানবিরোধী এই রকম বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে দেয়া হলো কেনো, তাই ভাবছি।
Reading this paragraph one will presume that Bangladesh is the best country in terms of human rights and equal justice to all. Sadly NO, we are one of the worst countries in the world if you consider human rights.
এহেন বর্ণবাদ এক সময়ে পশ্চিমা অনেক দেশে ছিলো, আজ হতে শ খানেক বছর আগে। রিচার্ড ফাইনম্যানের লেখায় পড়েছি, আইভি লীগের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অলিখিত সব বাধার সম্মুখীন হতে হতো ইহুদী ছাত্রদের।
You are right; it took a century to establish equal rights in the education sector for US - Dred Scott Case (1986) to Brown v. Board of Education of Topeka, Kansas (1951). Compared to that Bangladesh is an infant.
আইইউটির ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্ররা কিছু মনে করবেন না। মন্তব্যটি ব্যক্তিগতভাবে নেয়ার নয়। উপরে অবাঞ্ছিত'র কমেন্টটি পড়ে প্রচন্ড দুঃখ পেলাম, কেবল আরবদের মোসাহেবী করার জন্য আমার দেশের সরকার বর্ণবাদী এই নীতিমালা বেমালুম হজম করে নিলো।
I believe Bangladesh government does not run IUT. The policy making is done by some old Bangladeshi folks who care only about money. OIC is a massive organization, they just give the money, and it is some smart old engineers of Bangladesh who made this weird policy.
I completely agree with you that, segregation is a leech. But, if you want to blame someone, blame our own kind (Bangladeshis) first.
Amar friender theke sunsilam “sachalayatan” e banglae post korte hoe. Amar bangla keyboard e dhorona kom, ei karone ami dukkhito. Shomoy pele skhike nibo.
Abaro maaf chai.
কি আর বলবো! খুবই দুঃখের বেপার
যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ আর ভিন্নধর্মের লোকেরা পড়তে পারে না সেইটাকে কি মাদ্রাসা বলা উচিত হবে কিনা সেটা ভাবতেছি । জামাতিদের ইনফিলট্রেশন প্রতিরোধ করার রাজনৈতিক কাঠামোর অনুপস্থিতি আর সেই সাথে বিধর্মীদের ভর্তির বিষয়ে সাম্প্রদায়িক নীতি এই দুইটার যোগফলই আজকের পরিস্থিতি । অর্ধেক সংখ্যক মন্তব্য পড়ে আমার বুঝে যেটা আসে সেটা হলো ঐ পরিবেশে এইটাই স্বাভাবিক এবং এইটাই হওয়ার কথা ছিলো ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই কি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদ্রাসা হতে হবে?
মাদ্রাসা বলা উচিৎ হবে না কারণ আমি সেদিন খুঁজতে খুঁজতে একটা বিশ্ববিদ্যালয় পেলাম (সম্ভবত নরওয়ের, ঠিক খেয়াল নেই, দুঃখিত) যেখানে কেবল এবং কেবলমাত্র ঐ দেশের নাগরিকেরাই পড়তে পারবে, আমাদের দেশ তো দূরের কথা, এমনকি ইইউ-এরও কেউ সেখানে পড়াশুনা করতে পারবে না। তো এইটা হলো যার যার ব্যাপার। ভালো না লাগলেও আসলে তেমন একটা কিছু করার নাই।
ধরেন আজকে যদি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে একটা বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয় সেটা কি মাদানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্টাডি এক্সচেঞ্জে যাবে? আর আমার তো মনে হয় না যে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাথলিক ছাড়া অন্য কেউ পড়ার অনুমতি পাবে। ভ্যাটিকান ছাড়া অন্য কোনো দেশই শতভাগ ক্যাথোলিক না হলেও ভ্যাটিকানের এমনতর সিদ্ধান্তের বাইরে কোন দেশটা যাবে, আমারে একটু বইলেন তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাজনীতি নিষিদ্ধ হৈলেই সেইটা মাদ্রাসা হবে না । তবে সেই রাজনীতির নিষিদ্ধের সাথে বিধর্মী প্রবেশ নিষিদ্ধ হৈলে সেইটারে আমি মাদ্রাসা বলবো । এইখানে খিয়াল কৈরা বাংলাদেশে এই ধর্মীয় ফ্লেভার প্লাস রাজনীতি নিষিদ্ধ ইত্যাদির কথা কোন গোষ্ঠিটা বলে । এবং সেইসাথে তারা কেন এইকথাগুলান বলে সেইটার রাজনৈতিক বিশ্লেষণও জরুরী আছে ।
আর বিদেশী উদাহরণ প্রসঙ্গে - দুনিয়ার বহুত জায়গায়ই এইসব কিসিমের মাদ্রাসা আছে । যেইখানে প্রগতিশীলতার চর্চার বদলে একধরনের মাদ্রাসা টাইপের শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে । হৈতে পারে ইউরোপ আমেরিকানরা সেইগুলান চালায় । কিন্তু শেষবিচারে ঐগুলার চরিত্র ঐ মাদ্রাসাটাইপই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- মাদ্রাসাতে নাহয় বুঝলাম 'এইটাই হওয়ার কথা ছিলো', কিন্তু বুয়েট, রাবি, চবি- এগুলোতে শিবিরের কর্মকাণ্ড বাড়লো কেনো? এগুলাতো আর মাদ্রাসা না। তাইলে তো দেখা যায় মাদ্রাসা জিনিষটায় সমস্যা না, সমস্যাটা অন্য জায়গায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সমস্যা অবশ্যই অন্য জাগায়। তবে হাসিব যেইটা কইলো সেইটা কিন্তু ওয়ান অফ দ্য মোস্ট সেন্সেটিভ ফ্যাক্টস।
যেই ইউনিগুলার নাম কইলা তার সব কয়টাতে শিবিররে ইন্সটিউশনালি ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু আইইউটিতে না।
মিলিটারি ডিসিপ্লিন কিন্তু বরাবর মৌলবাদের পক্ষে .....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আইইউটি-তে মিলিটারি ডিসিপ্লিন আছে এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। ডিসিপ্লিন আর আট দশটা পাবলিক ভার্সিটির মতই।
আর আইইউটি-তেও সম্ভব। কারণ সাংবিধানিকভাবেই আইইউটি-তে শিবির নিষিদ্ধ। কেউ জানে না বলে ঠেকানো যাচ্ছে না। কিন্তু শিবিরের যে কাউকে বের করে দেয়ার মত নিয়ম আইইউটি-তে আছে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
সুমন ভাই,
আই ইউ টি তে মিলিটারি ডিসিপ্লিন চলে এর পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন? যদি না পারেন তাহলে অনুরোধ করছি দয়া করে এরকম ভ্রান্ত ও চরম বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করা থেকে দয়া করে বিরত থাকুন।
এরকম ওপেন ফোরামে এইরকম "নিতান্তই লোকে মুখে শোনা" কথা বলা খুব বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়না। বরং মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে সবচে বেশি। যারা অন্যের পিঠে ছুরি মারার সুযোগ খোঁজে তারাই এসব ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। আমি নিশ্চিত ভাবেই জানি আপনি সে দলে পড়েন না। তাই অনুরোধ করছি এরকম ব্যাপারে কিছু বলার আগে দয়া করে নিশ্চিত হয়ে বলুন। ধন্যবাদ।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মৌলবাদ আর বিভেদ যে ধর্মই সৃষ্টি করুক তা সমান ভাবে ধিকৃত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ কথাটি আগেই বলেছি। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নটরডেম এও "মুসলিম স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন" আছে, যদিও ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই কাথলিক। এখন তারা এমন একটা আইন করলে আমরা কী তাদের ধিক্কার দিতাম না?
এর থেকে ও খারাপ / মনে হয় খারাপ হতে পারতো, এভাবে না দেখে বরং ভালোটাকেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে খারাপটাকে বর্জন করা উচিত নয় কী? বর্ণবাদ যেই করুক, যেখানেই করুক তা সমান ভাবেই অনাকাঙ্খিত। অমুকে করেছে তাই আমি করলেও ঠিকাছে এমনটা বোধহয় হওয়া উচিত না।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
তার মানে রাজনৈতিক কাঠামোর উপস্থিতি আর বিধর্মীদের ব্যাপারে সাম্প্রদায়িক নীতি না থাকলে এই পরিস্থিতি হইতো না? এইটা বলতে চান?
অর্ধেক মন্তব্য পড়ছেন বলে হয়তো এমন চিন্তা মাথায় আসলো ... সবগুলি পড়লে মনে হয় অন্য কোন থিওরী আসতো
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
১. যাঁরা ভাবছেন, এটা আইইউটির আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এবং এ ধরনের লেখা আইইউটির রেস্ট্রিকটেড ইয়াহুগ্রুপে দেয়া প্রয়োজন ছিলো, তাদেরকে প্রশ্ন করি ... এটা আভ্যন্তরীণ ব্যাপার হবে কেন? আইইউটি কি বাংলাদেশের বাইরে? আইইউটিতে আমাদের ছোট ভাইরা পড়তে যাবে না ভবিষ্যতে? নাকি আইইউটি নিয়ে শুধু আইইউটির বর্তমান ও অতীত ছাত্রদেরই শুধু কথা বলার এখতিয়ার আছে? নাকি প্রকাশ্যে কথা বলায় আইইউটির সুনাম নষ্ট হচ্ছে?
২. আইইউটিতে শিবিরের অনুপ্রবেশ কি শুধু বর্তমান আর অতীত আইইউটি-ছাত্রদের ওপর প্রভাব ফেলবে, নাকি ভবিষ্যতে সব ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত প্রকৌশলীদের ওপর প্রভাব ফেলবে?
৩. লেখাটা প্যানিক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে লেখা, এমনটা মনে হয়নি পড়ে। লেখাটা একটা প্রাথমিক সিগন্যালের মতো। আমরা যখন বুয়েটে সেকেণ্ড ইয়ারে ছিলাম, ৩১৯ জন প্রকাশ্য ও গোপন শিবিরকর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছিলো। বুয়েটে ছাত্র সংখ্যা যে কোনো সেশনে তিন হাজারের মতো। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন শিবিরকর্মীর সংখ্যা ১০% এ পৌঁছে যায়, তখন উদ্বিগ্ন হবার যথেষ্ঠ কারণ থাকে। তার কিছুদিন পরই শিবির প্রকাশ্যে বাম সংগঠনের কয়েকটি ছেলেকে ধাওয়া দিয়ে পিটিয়েছিলো।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কি কাক-বালক নষ্ট করছে, নাকি শিবির আর এই আজহারি ওরফে সুফিয়ানের মতো লোকজন নষ্ট করছে? আইইউটির ছাত্ররা যারা আছেন, তারা যদি আজকে এই ধরনের আলাপকে কার্পেটের নিচে চাপা দেন, দুইদিন পর কিন্তু কাক-বালকদের সংখ্যা বাড়বে না, বাড়বে সুফিয়ানদের সংখ্যা। সুনাম তখন কোথায় থাকবে?
এতক্ষন পরে নতুন কিছু বলার নেই, সবাই সবকিছু বলে ফেলেছেন- আমি শুধু লেখককে তার এই লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। [আর চামে দিয়া অফটপিকে একটা কথা বলে দেই- বন্ধুদের সাথে আমিও আইইউটিতে ভর্তির জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করসিলাম, সেই তিন বচ্ছর দশ মাসের কথা শুইনা- তখন ধাক্কাটা খাইলাম। কি যে নির্বোধ ছিলাম তখন- আমার বন্ধুরা অবশ্য আমার থেকে বেশি কষ্ট পাইসিলো ব্যপারটাতে]
আমরা কিন্তু একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে পারি- আমরা অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে কি না। তাই আসেন ভাইসব, চোখে ঠুলি না দিয়ে নিজেদের চোখগুলো উপড়ে ফেলি। দেখি কি হয়।
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
কন্ট্রোল + অল্ট + ইউ চাপলে ইউনিজয় কীবোর্ড পাবেন।
কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক কীবোর্ড পাবেন।
ঘাড় ত্যাড়া এবং একটি অশ্লীল নিকের রোমান হরফে লেখা কমেন্ট আটকে দেয়া হলো।
দয়া করে বাংলায় লিখুন এবং প্রকাশযোগ্য নিক ব্যবহার করুন।
সবগুলো মন্তব্য পড়লাম।
পোস্টটা এখানে দেয়ায় আমি কোনো দোষের কিছু দেখছি না। বরং শুধু ইয়াহুগ্রুপসে না দিয়ে এখানেই দেয়া উচিত ছিলো, যেটা 'কাক বালক' করেছে, এবং তারজন্য অবশ্যই ওর ধন্যবাদ পাওনা। কেনো উচিত ছিলো, সেটা হিমু ভাইয়ের মন্তব্য পড়লেই বোঝা যাবে।
আরেকটা ব্যাপার খুব দুঃখজনক লাগলো, 'কাক বালক'-এর পরিচয় নিয়ে টানাটানি। সে কে, কোন ব্যাচের, এই পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য কী, গ্রুপসে না দিয়ে এখানে কেনো দিলো, এসব নিতান্তই অবান্তর প্রসঙ্গ। এসব নিয়ে যতো বেশি কথা বলা হবে, ততো বেশি ফোকাস সরে যাবে মূল বিষয় থেকে। এখানে কথা বলা হচ্ছে আইইউটি-তে শিবিরের আস্তানা গাড়ার সম্ভাবনা ও আশংকা নিয়ে, আমাদের উচিত সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা করা। কীভাবে তাদের ঠেকানো যায়, তা নিয়ে। যারা আইইউটির রেপুটেশন নিয়ে চিন্তা করছেন, তাদের বোঝা উচিত, সুফিয়ানের খবরটা বের হতেই রেপুটেশনে টান পড়েছে, এই পোস্ট আসাতে নয়। আজ একজন সুফিয়ান বের হয়েছে, আমরা কেউই চাই না ভবিষ্যতে আরও কোনো সুফিয়ান বের হোক, তা সে আইইউটি থেকেই হোক, বা অন্য কোথাও থেকে। এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কারও কোনো দ্বিমত নেই।
হিমু ভাই, ধুগো'দাদের প্রস্তাবিত ক্লাব গঠনের আইডিয়াগুলো সত্যিই কাজে দিবে। এবং এখন সেটা নিয়ে জোরেশোরে এগিয়ে আসা উচিত আইইউটিয়ানদের। এখন যারা আইইউটিতে আছে, তাদেরই মূল ভূমিকা পালন করতে হবে।
'০৫ ব্যাচের শিক্ষক হতে যাচ্ছে যারা, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার, এ বিষয়ে বর্তমান আইইউটিয়ানদের সচেতনতা কামনা করি। ভালোভাবে খোঁজখবর নেয়া হোক, এবং 'কাক বালক'-এর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে, অবশ্যই এটা প্রতিহত করা হোক।
উপরে অনেকের মন্তব্য পড়ে খুবই চমৎকৃত হয়েছি। তারজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাদের। ভালো থাকবেন সবাই।
ইসলামে জংগীবাদের কোন স্থান নাই। কিন্তু আল-কোরআনে বর্ণিত ইসলামী আইনের বিরোধীতা করা প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় নয়।
রাগিব ভাইয়ের ৫ নম্বর পয়েন্টে করা অফটপিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার অফটপিক মন্তব্যঃ
“The Organization is the collective voice of the Muslim world and ensuring to safeguard and protect the interests of the Muslim world in the spirit of promoting international peace and harmony among various people of the world.”
“The Organization has the singular honor to galvanize the Ummah into a unified body and have actively represented the Muslims by espousing all causes close to the hearts of over 1.5 billion Muslims of the world.”
“The Organization has consultative and cooperative relations with the UN and other inter-governmental organizations to protect the vital interests of the Muslims and to work for the settlement of conflicts and disputes involving Member States.”
উপরের তিনটি লাইনের সূত্র এখানে। আমরা জানতে পারলাম কী উদ্দেশ্য নিয়ে ওআইসি গঠিত হয়েছিল। সোজা কথায়, মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ সংরক্ষণ। উইকিতে কী লেখা আছে দেখি এবার।
“Since the nineteenth century, many Muslims had aspired to uniting the Muslim ummah to serve their common political, economic, and social interests. Despite the presence of secularist, nationalist, and socialist ideologies, in modern Muslim states, they have cooperated together to form the Organisation of the Islamic Conference.”
এখানে স্পষ্ট করেই বলা আছে যে নানা ধরনের রাষ্ট্রীয় নীতি থাকা সত্ত্বেও মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলো এক হয়েছিল মুসলিম উম্মাহ ও ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন রচনা করার জন্য; ফলাফল ওআইসি।
ওআইসির আটটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের আইইউটি (তথাকথিত মধ্যযুগীয় মাদ্রাসা) একটি। এটাই কী স্বাভাবিক নয় যে, ওআইসি যে উদ্দেশ্যে গঠিত আইইউটিও সেই একই ভাবধারায় পরিচালিত হবে। এটা এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে মুসলিম বিশ্বকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসরমান পথে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে অবিরত।
এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশে কেন এরকম বর্ণবাদী একটি প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়া হল? এর কারণ এখানে।
Despite the presence of secularist, nationalist, and socialist ideologies, in modern Muslim states, they have cooperated together to form the Organisation of the Islamic Conference.
সদস্য রাষ্ট্রগুলো কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওআইসি’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গুলোরও সদস্য। বাংলাদেশের জন্য এরকম একটা প্রতিষ্ঠান তো আরো শাপেবর হওয়া উচিত কারণ আমরা আমাদের নিজেদের সরকারী অর্থে পড়াশোনা করিনি আর পড়াশোনার পরও আমার মত যাঁরা ওখানে চাকরী করেছি তাঁরা বৈদেশিক মুদ্রাই দেশে খরছ করেছি।
এখন আমার মাথায় একটা প্রশ্ন। আইইউটি যদি বর্ণবাদী হবেই তবে ওআইসি তো অবশ্যই। তাহলে জাতিসংঘই কেন বা এরকম একটি বর্ণবাদী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মেনে নিচ্ছে? এটা নিয়ে একটু চিন্তা করবেন কী?
অমুসলিমরা ঠিক আমার মতন “অজ্ঞেয়বাদী শুধু নামে মুসলমান” একজনের মতই মানুষ। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপনের উদ্দেশ্যই যে ছিল শুধু মুসলিম বিশ্বের উন্নতির জন্য। যে কারণে অন্যান্য অমুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলোও ওআইসির সদস্য নয়।
এবার আসি মধ্যযুগীয় প্রসঙ্গে। এতখানি ব্যাখ্যা দেওয়ার পর ও যদি মধ্যযুগীয় বলেন তাহলে আমার গর্ব আরো বেড়ে যাবে। ওরকম মধ্যযুগীয় একটা প্রতিষ্ঠান থেকে এরকম আধুনিক অনেক ছেলে বেরিয়ে এসেছেন দেখে। আমি নিজেকে এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করছি না। কারণ আমি এতটা মুক্ত চিন্তার এখনও হয়নি যে আমার বিশ্ববিদ্যালয় কে কেউ মধ্যযুগীয় বলবে আর আমি কিছু মনে করবো না। আমি অবশ্যই অনেক কিছু মনে করেছি আর মনে করার ফলেই আমার এই মন্তব্য।
মাদ্রাসা প্রসঙ্গে,
আইইউটি এমনই একটি মাদ্রাসা যেখানে এর জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ২৩টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনবারই শিবির হোক বা যে কোন মাদ্রাসা সম্পর্কিত কর্মকান্ডের কারণেই হোক এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেই দেখা যায় শিবিরের রগ কাটা কর্মকান্ড, কিছুদিন পর পর বন্ধ ঘোষণা। কেন যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের এই মাদ্রাসার মত হতে পারলো না, কে জানে?
এটুকু বলে শেষ করি, শিবিরের কর্মপরিধি আইইউটি তে যতটুকুই বিস্তৃতি লাভ করুক না কেন সেটাকে অবশ্যই আমরা সবাই মিলেই নির্মূল করবো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেজওয়ান ভাই,
আপনার সাথে এক মত না হয়ে কোন উপায় নেই, জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় পার করেছি ঠিক আপনার মতো ক্যাডেট কলেজ আর আইইউটি তে। তাই, এ দুটো নিয়ে কেউ কিছু বললে আমি তা মেনে নিতে পারবো না।
ব্যাপার টা অনেক টা গোড়ামি হোক আর যাই হোক। আর এত ভালো পরিবেশ যে অন্তত বাংলেদেশের কোথাও পাওয়া যাবে না, এটা আমি নিশ্চিত। তাই তো, এই মাদ্রাসাতে পরেও আমি ধন্য। এখানে, কেউ যদি মনে কষ্টও পেয়েও থাকেন, তাতেও কিছু বলার নেই।
আইইউটি'র মতো মাদ্রাসাকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায়।
আইইউটিতে কেবল মুসলিম ছাত্র ভর্তি না করার ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আরো চাপ দিতে পারতো ওআইসির ওপরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত আসনে অমুসলিমরা লেখাপড়া করলে ইসলাম বা মুসলিম উম্মাহর প্যান্ট খুলে পড়ে যেতো না বলেই মনে করি। এই একই মনোভাব আমি পোষণ করি রামকৃষ্ণ মিশনের ক্ষেত্রেও। নটরডেম কলেজ বা সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের মডেলটি অনুসরণীয় বলে মনে করি। অন্য ধর্মানুসারীদের দূরে সরিয়ে ধর্মচর্চার চর্চাটি দূর করা উচিত।
আইইউটি কেমন চলবে, সেটা কীভাবে কারা নির্ধারণ করেন, আমি জানি না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া নির্ধারণ করেন সিনিয়র শিক্ষকরাই। শিক্ষানবিস যেমন একটি নিরীহ অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব খুলতে গিয়ে কর্তৃপক্ষীয় বাধার মুখে বিরত হতে বাধ্য হয়েছে, কারণ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অ্যাস্ট্রোনমির মর্ম বুঝতে অপারগ। আইইউটির নিয়ম যদি এমন হয়, সেখানে মুসলমান ছাত্ররা লেখাপড়া করবে, তা-ই সই, কিন্তু যদি এমন সব নিয়মের ফাঁকফোকর দিয়ে সেখানে শিবির পাট্টা গাড়ে, তাহলে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে প্রতিরোধের মাধ্যমে শিবির দূর করা। খুব ভালো হয় যদি আমরা এই ব্যাপারটিতেই ফোকাস করতে পারি। আইইউটির ছাত্র না হয়েও যদি কোনোভাবে এই কাজে সহযোগিতা করতে পারি, সংশ্লিষ্টরা জানাবেন।
হিমূ ভাই কী সেন্ট গ্রেগরি র ছাত্র ছিলেন নাকি?
না।
কিন্তু আপনি নো নেইম কেন?
আমার নাম রেনেসা। আপনার last গল্প টা তে comment করেছি দেইখেন। আমি ও IUT র ছাত্র ছিলাম আবার সেন্ট গ্রেগরি র ও ছাত্র ছিলাম। এই লেখা তে comment করার কিছু পাচ্ছিলাম না। কারন ২০০৮ এ IUT থেকে যখন পাস করি তখন ও শিবির এর এরকম অস্তিত্ত টের পাই নাই আমি। বেপার তা সত্যি হয়ে থাকলে অনেক চিন্তার বিষয়। নিজের কোন অভিজ্ঞতা নাই এই বেপারে তাই কিছু বলতেসি না আর কি।
আলোচনা একেকবার একেকদিকে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতো। কিন্তু কখনওই তা করেনি, করতে পারেনি বা করতে হয়তো পারেও না। আসলে যতোদিন পর্যন্ত অন্যের কাছে হাত পেতে অনুদান নিতে হবে, ততোদিন তাদের কথামতো তো চলতেই হবে।
'মাদ্রাসা', 'প্রাইভেট ভার্সিটি' থেকে ফোকাস সরিয়ে আমরা না হয় 'শিবির' ইস্যুতে জোর দেই। কীভাবে ওদের ঠেকানো যাবে, আলোচনার মাধ্যমে সবার কাছ থেকে মূলত সেই আইডিয়া পাওয়ার জন্যই মনে হয় 'কাক বালক'-এর এই পোস্ট, এই প্ল্যাটফর্মে।
এরাই হলেন, আইইউটি এর নীতিনির্ধারক।
http://www.iutoic-dhaka.edu/authoritative.php
তবে বলে রাখা ভালো যে আইইউটি'র এখন পর্যন্ত যারা ভিসি হয়েছেন বা যাদের হবার সম্ভাবনা আছে, তারা সবাই বুয়েট এর মেকানিক্যাল এর প্রাক্তন শিক্ষক।
আইইউটির ফিনান্সিয়ার যেই হোক রাষ্ট্রের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে অন্তত: আইনের দৃষ্টিতে সেটা অপ্রাসঙ্গীক।
আইইউটিতে অমুসলিমদের ভর্তি হতে না পারা এবং বাধ্যতামূলকভাবে ইসলাম ধর্মপালনের প্রতিবেশ সৃষ্টি কিন্তু কোন অবস্থাতেই কোনরকমের গণতান্ত্রিক প্রতিবেশ তৈরী করে না, সে আপনার যে সুরার যে আয়াতে যাই বলা হয়ে থাকুক না কেন। সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্র। এখানে আইনের প্রশ্নে ধর্মতত্ত্বের আলোচনা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।
আমি জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্র বলে জামাতের সহাবস্থানের অধিকার স্বীকার করতে অভ্যস্ত নই।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে ইসলাম ধর্মপালন করতে হয় এই তথ্যটা কোথায় পেলেন যদি জানান তবে বাধিত থাকব।
আমরা কী কোথাও জামাতের সহাবস্থান স্বীকার করে নিয়েছি? নিয়ে থাকলে উদাহরণ দেখান।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
উপরের এই কমেন্টটাতে অনেক কিছুর পাশাপাশি একটা বিষয় বুঝা যাচ্ছে আসর-মাগরিবের গ্যাপটা বাইরে কাটিয়ে দেওয়াটা কোনভাবে জরুরি ছিল।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন ভাই,
আমি একটু বলি। রেজওয়ান ভাই শুধু বুধবারের কথাই বুঝাতে চেয়েছেন, সব দিনের কথা না। আমার বাসা যে এলাকায় সেখানে সোমবার দিন মসজিদ থেকে তাবলিগ পার্টি বের হয়। সেইদিন আমরা মহল্লার পুলাপানও সতর্ক থাকি কোনদিক থেকে তারা আমাদের ধরতে পারে আর যেসব জায়গায় সচরাচর যাইনা। আই ইউটিতেও ব্যাপারটা সেরকমই।
তবে চার বছরে সজ্ঞানে আমি কোনদিন রুমের বাইরে থাকিনি তাবলীগ পার্টি এড়ানোর জন্য। এমন না যে তারা সব বুধবারেই আমার রুমে আসতো। কপাল খারাপ থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে একবার বয়ান শুনতে হইতো। সেইটুকু হাসিমুখেই মেনে নিসি আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা সব বিশ্ববিদ্যালয়েই একই রকম।
আমাকে জোর করে ধর্ম পালন করার মতো কোন কিছুর সম্মুখীন কখনো হতে হয়নি। উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি আমার রুমমেট কড়া রকমের তাবলীগ করে। এখনো সে তিন চিল্লায় আছে। সে আমাকে বলতে বলতে একসময় হতাশ হয়ে বলা বাদ্দিয়া দিসে। আমি আমার মতই থাকসি। কাজেই এইটা কখনোই সত্যি না যে আই ইউ টি তে জোর পূর্বক ধর্ম পালন করানো হয়
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
এইবার পুরা বেহুদা প্যাচাইলেন ... এই পোস্টের কমেন্টে দেইখা আসেন কত ভার্সিটির কত হলে কত মানুষ তাবলিগ পার্টির ভয়ে কত রকমের ফন্দী-ফিকির করে ...
তাবলিগ অন্য সব জায়গায় যেমন হয় সেটুকুই হইতো ... তাবলিগের পোলাপান নেহায়েতই ভালোমানুষ টাইপ হয়, এদের মুখের উপরে কড়া কথা বলতে খারাপ লাগে, তাই অনেকেই সামনে পড়তে চাইতো না ... এজ সিম্পল এজ দ্যাট ...
কত আজাইরা বিষয় নিয়াও প্যাচাইতে পারেন দেইখা খুব বিরক্ত লাগলো ...
আর এই পোস্টের কন্টেন্টের সাথে এইসব কেমনে যায় বুঝলাম না, এগুলি নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে অন্য পোস্ট দেন সেখানে বলি ... এই পোস্টের ফোকাসটা নষ্ট করার দরকার কি?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
চমৎকার বলেছেন সুমন ভাই,
আইইউটি একটা মাদ্রাসা কারন এইখানে মুস্লিম ছেলে ছাড়া ভর্তি হওয়া যায় নাহ এবং বাধ্যতামুলকভাবে ইসলাম পালন করতে হয়। আর জাহাঙ্গীরনগরে সবাই জামাত প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ করে এবং মানিক ভাই দের জন্ম হয়।
চমতকারভাবে আই ইউ টি জংগীবাদের মুল তুলে ধরার মাধ্যমে আই ইউ টিরে আখড়া হিসাবে তুলে ধরার জন্য কাক বালককে অনেক ধন্যবাদ।
ভবদীয় তানভীর,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দূর্ভাগ্যক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ধর্ষণকারীদের তাড়ানো হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সেই স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় মৌলবাদের অনুপস্থিতি ছাড়া এই সর্বাত্মক প্রতিবাদ অসম্ভব ছিল। এবং আপনি জানিয়া আরও সুখী হইবেন যে তৎকালে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ না বরং বামপন্থী ছাত্রসংগঠণগুলি এবং নারীবাদীরা আন্দোলন গড়িয়া তুলিয়া ছিল।
ঐশী নৈতিকতা চোদানো হক্কুলু কুলু কুলুরা শেইমলেসলী ধর্ষণকারীদের সমর্থন করিয়া গিয়াছে।
আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ধর্ষণকারীদের বিতাড়িত করছি। এই ইতিহাস আর কোথাও নাই। কুত্তাচোদা সামাজিক মূল্যবোধের প্রভাবে ধর্ষণের ঘটনা চাইপপা যাওয়ার ইতিহাস আছে। সেইটা বিশেষ শোভন নহে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
গনঅভ্যুথান একেকজনের সেঞ্ছুরী করার পরেই হয়েছে। সামাজিক মুল্যবোধের প্রভাবে কোথাও সেঞ্ছুরী পর্যন্ত যাওয়ার ইতিহাস আছে বলে শুনি নাই।
আর ঐশী নৈতিকতার হক্কল কুলুরা তাইলে আওয়ামী লিগের ছদ্দবেশেই থাকে নাকি জাহাঙ্গীরনগরে?
এবার আর কোড করলাম না। পুরো কমেন্টটাই আপনার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করছে।
ঐশী নৈতিকতানুসারি ছাগচক্র বরাবর ক্ষমতার লেঞ্জু ধরে ঝোলেন। তাঁরা তাই করেছেন যা ডাণ্ডধারীরা প্রেফার করেছেন।
আপনি আর একটা ক্যাম্পাসে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের উদাহরণ দেখান। এবং সেইখানে লাড়ায়ণ ঠাকবীঢ়'দের অ্যাক্টিভ ভূমিকা সহ।
যদি না পারেন তবে ফুটেন .......
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নটরডেম কলেজের ফাদার বিমলের নাম শুনেছেন? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এক ছাত্রকে ধর্ষনের অভিযোগ। এই অভিযোগের প্রতিবাদে টেরেন্স পিনেরো নামের একজন নামকরা শিক্ষকের চাক্রী যাই। সেই সময় সকল ছাত্র শিক্ষকেরাই প্রতিবাদে অংশ নেই। ১ তা ধর্ষনের পর যে আন্দলন হয় তাতে শেষ পর্যন্ত ফাদার বিমল্কে অপসারনে কতৃপক্ষ বাধ্য হয়।
১০০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় নাই। আর আমার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আপনার মাথা ঘামানো লাগবে নাহ। জেনেরালাইজ কমেন্ট করার আগে বুঝে শুনে করবেন তাহলেই হবে।
অতি দূর্বল উদাহরণ। যাই হোক। অচ্ছুৎ বলাই উল্লেখিত টেকনিক্যাল কারণে ক্ষ্যামা দিলাম।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন ভাই, সেইটা কেউ অস্বীকার করতেছে না ...
কিন্তু যেই কমেন্ট নিয়ে এত কিছুর সূচনা সেইটার ব্যপারে শুধু বলবো, কিছুই না জেনে হুট করে ওভার-সিম্পলিফাইড কোন ডিসিশনে যায়েন না ... দোষ ধরতে চাইলে অনেকভাবেই ধরা যায়; যেই শিবির-বিতাড়ণ নিয়ে এত গর্ব করতেছেন আমি চাইলে [চাইলে, এইটা হাইপোথিসিস] সেটা নিয়েও বলতে পারি, প্রতিরোধ করার জন্য একশোটা রেপ করা লাগলো কেন? প্রথম নিরানব্বইটা রেপের সময় কি করতেছিলেন আপনারা?
কাজেই আমরা প্রসঙ্গে থাকি ... খামাখা ছিদ্র খুঁইজা লাভ নাই ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
প্রথমত : একশোটা রেপের কথাটা মানিক নিজে ছাড়া প্রথম বাইরে প্রচার করছিল দিনকিলাব গোষ্ঠী।
দ্বিতীয়ত : এইটা সমাজ বিজ্ঞানের একটা জটিল প্রশ্ন মানুষ ঠিক কোন মুহুর্তে কী কারণে আউটবার্স্ট করে। কিন্তু আউটবার্স্ট করে এইটা ঠিক। যেইখানে যতবেশী করে সেই জায়গাগুলিরে পলিটিক্যালি ততবেশী ডেভেলপড বইলা ধইরা নিতে হয়। এই বিষয়ে ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনের আগের এবং পরের পরিস্থিতি খুব খিয়াল কৈরা। সাধারণ ছাত্রজনতা আক্রান্তবোধ করছে এবং প্রতিরোধ করছে। আর সেই প্রতিরোধ সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান ব্যক্তিস্বাধীনতাকে ডিফল্ট ধরেই হয়েছে, যেটা খুব পরিস্কারভাবে ধর্মীয় রাজনীতির ১৮০ ডিগ্রী বিরুদ্ধে। আমি পুরো আন্দোলনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। আন্দোলনের পরে ধর্ষনকারীদের বিতাড়ন করা হলে ক্যাম্পাসে কোন তালেবান বাস্তবতা আমদানী করা হয় নাই আবার ধর্ষণের ঘটনার পুনরাবৃত্তিও হয় নাই। এবং ঐ আন্দোলনের নয় বছর আগ থিকা অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে থিকা আজ পর্যন্ত জাবি'তে শিবির নিষিদ্ধ।
যারা ধর্ষণকারী বিতাড়ণ করছে ঠিক তারাই শিবির বিতাড়ন করছে। ঠিক এইটাই ইতিহাস। এইখানে কোনরকমের কোন ধূসরক্ষেত্র নাই।
এই পোস্টটাতে এই কথাগুলি না বলাই ভালো ছিল। কিন্তু কিছু ছাগুকমেন্ট বাধ্য করলো।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাণকে সেকুলার হইতে হবে অন্তত: কাজে সেইটার পক্ষে কথা না বলাকেই বরং আমি একটা বিশাল অপরাধ মনে করি।
এর বাইরে আমার পেটে আর যা কথা ছিল সেগুলি রাগীব বলছে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
এইটা খিয়াল কইরা। এমনিতে কাকবালক তোপের মুখে আছেন 'আইইউটির সমস্যা' বাইরে বইলা, এর মধ্যে ইনস্টিটিউশনকে ট্যাগায়িত করলে তারা চান্স নিবে। সো, আইইউটি গণতান্ত্রিক কিনা, আইডিয়াল স্কুল মাদ্রাসা কিনা, জাহাঙ্গীরনগর ধর্ষণের অভয়ারণ্য কিনা, এই টপিকগুলা এই পোস্টে না আসাই উত্তম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ঠিকাছে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মনের কথা বললেন। এমনিতেই কাক বালক হয়ত এই লেখার কারণে তোপের মুখে পড়বে। তার ওপর তার এই লেখার কারণে যদি আইইউটিয়ানদেরকে ১০ জনের আইইউটি সম্পর্কে ১০ টা খারাপ কথা শুনতে হয় তাইলে তার অবস্থা আরও খারাপ হবে। কাজের কাজটা কিছুই হবে না। ব্লগে এই লাইনচ্যুতিটা অনেক বেশি হয়, সতর্ক থাকা দরকার।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
[বহুৎ প্যাঁচায় গেছে ব্যপারটা। আমি অবশ্য হাল ছাড়তেছিনা ]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ছাত্র-শিক্ষক দুইই আছে। একই অবস্থা বুয়েটেও। সেইটা নিয়ে আমি চিল্লাই। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরে বাইরে সবাই চিল্লায়। সমস্যা কি? আমার মতে সমস্যা তখন যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের সব ছাত্র-শিক্ষক ব্যপারটা চাপা দিতে চাইবে। চাইবেনা এইটা নিয়ে আলোচনা হোক। আইইউটি'তে দু'দশটা শিবির থাকলেই আইইউটি পঁচে যায়না। বরং পঁচে যায় সাধারণ সবাই সেই ব্যপারটা হাসিমুখে মেনে নিলে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলে। একটা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল-বেঞ্চ-টেবিল তো আর শিবির হতে পারেনা। হলে হয় সেখানকার ছাত্র-শিক্ষক। একটা প্রতিষ্ঠানের সবাই শিবির হলেই তবে প্রতিষ্ঠানটিকেও আমি শিবির বলি...
যিনি বলছেন, "আইইউটি আমার প্রতিষ্ঠান, এর বিপক্ষে কেউ কিছু বললে আমি তার প্রতিবাদ করব"। তাকে বলছি, আইইউটি বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান (বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছি)। সেটি যদি অসুস্থ হয় তাহলে বাংলাদেশের সবাই ব্যথা পাবে, সেটা নিয়ে কথা বলবে, আলোচনা করবে এবং সমাধানের চেষ্টা করবে। লক্ষ্য করুন, বলছিনা যে, "আইইউটি শিবিরের আস্তানা, ওদিকে যেওনা" বরং বলছি, "আইইউটিতে বোধহয় শিবির আস্তানা গাড়তে শুরু করেছে। ভাল করে উল্টেপাল্টে দেখ এবং ঠেকাও..."।
আপনাকে সাপে কামড়ালে যদি আপনি না চিল্লান। সাহায্য না চান। কাউকে না বলেন। বরং উল্টে ব্যপারটা অস্বীকার করতে চান তাহলে আমি বলব সাপের সঙ্গে আপনার ভালবাসাবাসির সম্পর্ক আছে। সাপের সঙ্গে আপনিও ত্যাজ্য। আমি চাই উল্টোটাই হোক। আপনাকে কখনো সাপে না কামড়াক। আর যদি কামড়ায়ও তবে আপনি আমাদের ডাকুন। আমরা আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখাটি পড়ে মনটা ভার হয়ে গেল। তরূণ ছেলেদেরকে যেভাবে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মৌলবাদি গ্রুপ ব্রেন-ওয়াস করে তাদের স্বার্থ হাসিল করছে তা সত্যিই দুশ্চিন্তার বিষয়। আই ইউ টি একটি স্বনাম ধন্য প্রতিষ্টান। এ অবস্থা চলতে থাকলে এর পতন অবশ্যম্ভাবী এবং এর সাথে সাথে আমরা হারাব এক ঝাক মেধাবী তরূণ।
আই ইউ টি তে নাকি অমুসলিম এবং মেয়েদের প্রবেশাধিকার নেই। তাহলে এর সাথে মাদ্রাসার তফাৎ হলো কি? আই ইউ টি যেহেতু মুসলিম দেশগুলোতে বিদ্যমান তাই অমুসলিমদের সমান সুযোগ দিলেও ওরা খুব কমই ভর্তি হবে। যাই হোক, সাম্প্রদায়িকতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
সবাই সবকিছু বলে দিয়েছেন দেখছি। সুতরাং পুনরুক্তি করে যাই ।
১. বিষয়টি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন বিষয় নয় , লজ্জা এবং লুকানোরও কিছু নেই। শিবির এই সমাজের দুঃখজনক বাস্তবতা , বাংলাদেশের কয়েকটি ক্যাম্পাস ছাড়া সব ক্যাম্পাসই তাদের দ্বারা আক্রান্ত।
সুতরাং এসব প্রকাশ্যে যতো বেশি আলোচনা হবে ততোবেশি সচেতন হবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তাদের ভবিষ্যত ছাত্ররা।
পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ।
২. ধর্মের ভিত্তিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হচ্ছে এমন ভয়াবহ তথ্য আগে খুচরা শুনেছিলাম কিন্তু বিশ্বাস করিনি, এখন তো দেখছি ঘটনা সত্যি। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। ধর্ম একটা ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু শিক্ষা মানুষের অধিকার।
এমনকি একজন হিন্দু ছাত্র যদি কোরআন নিয়ে গবেষনা করে পিএইচডি পেতে চায় সেখানেও আমি কোন অসুবিধা দেখি না।
ছাত্রীরা পড়তে পারবে না, এটা এখন আর বোধ হয় ঠিক না, যারা জানেন না, তাদের অবগতির জন্যে বলছি, মেয়েদের জন্য হল নির্মাণ কাজ ২০১২/২০১৩ তে শুরু হতে যাচ্ছে, আর তারপরেই মেয়েরাও এখানে পড়তে পারবে। সেদিন হয়তো বেশিদিন দূরে নয় (তবে সুযোগটা শুধু মুসলিম মেয়েদের জন্যেই)..................
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে অফ-টপিক ই মূল টপিক হয়ে যাচ্ছে। রেশনুভাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের অনেকের পক্ষ থেকে কথা বলার জন্য। যে বিষয়টা জরুরী সেটা নিয়ে কথা না বলে 'আজাইরা' বিষয়ে কপচানি দেখলে বিরক্ত লাগে। সমস্যা হচ্ছে আই ইউ টি তে শিবির আস্তানা গাড়তে যাচ্ছে, আর আমরা গ্যাজাচ্ছি ১৯৮৩ সালের ইস্যু নিয়ে; কেন বাংলাদেশ এটা মেনে নিলো? আজব! কিছু ব্যাপারে একটু মন্তব্য করিঃ আই ইউ টি টা বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠান না। সুতরাং আই ইউ টি'র ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের একক কোনো সিদ্ধান্ত খাটে না। তাই আই ইউ টি'র 'এমন' হবার জন্য যদি দোষ দিতে হয়, তবে ও আই সি'র সব মেম্বার স্টেটকে দিতে হবে। আর যে প্রশ্নটা তোলা হয়েছে 'সংবিধান বিরোধী' এমন একটা প্রতিষ্ঠান কেন খুলতে দেয়া হলো----এর জবাবে এটুকুই বলতে পারি, না খুললে আজ বাংলাদেশ বিরাট কিছু হয়ে যেতো কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না, কিন্তু আমাদের মতো অনেকেই যে আজও বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটিগুলার মধ্যবয়সী ছাত্র হয়ে থাকতাম সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তার ফলে আমাদের অনেকেই হয়তো গ্রাজুয়েট না হয়ে ক্যাডার হতাম, শিবিরের রগ-কাটা কর্মী হতাম। আর আই ইউ টি'র দেয়া সুযোগ গুলো তখন পাকিস্তান বা মালয়েশিয়ার ছাত্ররা ভোগ করতো কারণ আমার জানা মতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে মোটামুটি ফাইট করে আই ইউ টি'কে বাংলাদেশে আনা হয়েছিলো। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বাংলাদেশীরা কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। উপরন্তু, ছাত্ররা প্রতি মাসে পকেট মানি আকারে কিছুটা বৈদেশিক মুদ্রা পেয়ে থাকেন। এখানে বুঝতে হবে যে বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটা হোস্ট, এর বেশী কিছুনা। আই ইউ টির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নেয়না। সুতরাং এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিরাটভাবে দোষারোপ করে লাভ নেই। বাংলাদেশ যেটা করতে পারতো তা হলো অপারগতা জানাতো আই ইউ টি'কে বাংলাদেশে স্থাপিত করতে, সেক্ষেত্রে মালয়েশিয়া খুশী মনে এটার হোস্ট হতো। তাই আজাইরা প্যাচাল পাইরা লাভ নাই। আর অনেক প্রশ্নের জবাব রেশনূভা দিয়েছেন। আরেকটা কথা বলি, আই ইউ টি'তে পড়া ছাত্ররা কিন্তূ অ্যাতোটা সংকীর্ণ মনের না। তাঁরাও এই ব্যাপারটা খুব সাপোর্ট করেনা। ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি ও আমার বন্ধুরা এই নিয়ে আলোচনাও করতাম যে কেনো এমন গঠনতন্ত্র হবে? কিন্তু কী করা? তবে যেমনটি আগেও বলা হয়েছে, শুধু মুসলিম ছাত্ররা পড়লেও আই ইউ টি'তে অ্যাতোদিন পর্যন্ত কোনো শিবির বা জংগী ছিলনা। বরং আমি দাবী করবো, অ্যাতো সুন্দর পরিবেশ বাংলাদেশের আর কোনো ইউনিভার্সিটিতেই ছিলোনা। আলোচনা খুব বেশী অফ-টপিক হয়ে যাচ্ছে এবং তা বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। ল্যাপটপের ডিভিডি রমে সমস্যা দেখা দিলে ক্যামনে এইটা ঠিক করা যায় সে চিন্তা করাটাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু আমরা যদি ভাবতে বসি কেন ডিজাইন টা অ্যামন হলো, কে এমন একটা ডিজাইন অ্যালাউ করলো, কে এইটা অ্যাপ্রুভ করলো- সেটা অবান্তর। আর সেটা করবেন দুই-একজন গুণীজন। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য এটা খুব বেশি জরুরী না। আমরা আমাদের সামনের সমস্যা নিয়ে ভেবেই কূল পাইনা। তাই দয়া করে আমাদের অ্যাতোটা অফ-টপিকে নিয়ে যাবেন না যাতে আমরা সামনের সমস্যা ভূলে গিয়ে বিগ-ব্যাং নিয়ে ভাবতে বসি।
আই ইউ টি যাই হোক না কেন, এটাই বাংলাদেশের সবচে রেগুলার এবং ঝামেলা বিহীন ইউনিভার্সিটি। এখানে শুধু মুসলিম ছাত্র নেয়া হলেও এখানে কোনোরকম সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দেয়া হয়না। এখানে ছাত্রদের আরবীতেও কথা বলতে হয়না, আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াও বাধ্যতামূলক না। তাই আসুন এরকম সুন্দর একটা ভার্সিটিকে শিবিরমুক্ত রাখতে যা করা দরকার তাই করি, অন্য বিষয়ে চিল্লাইয়া হুদাই গন্ধ না করি।
এইখানে পক্ষ বিপক্ষ কারা কারা ? আমি তো পোস্ট পড়ে বুঝলাম পোস্ট লেখক একটা সমস্যা চিহ্নিত করছেন । আমরা এইখানে সেইটা নিয়া আলাপ পাড়তেছি । দোষের তো কিছু দেখলাম ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সুমন ভাই,
"আর যারা এড়াতে চাইতো, বুধবার আসর-মাগরিব গ্যাপটা কোনমতে রুমের বাইরে বা হলের বাইরে কাটিয়ে দিতো। দ্যাট ওয়াজ লিটেরালি অল!"
এখানে কিন্তু আমি বলেছি তাবলীগি দাওয়াতের কথা। এখান থেকে প্লীজ অন্য কোনো মানে বের করবেন না। তাবলীগি দাওয়াত তো বাংলাদেশের সব ভার্সিটিতেই দেয়া হয়, এটা ভয়াবহ দোষের কিছুনা।
আমি মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্র। বাংলাদেশের যেসব হলে সবচাইতে বেশী তাবলীগী দাওয়াতের রেওয়াজ আছে তার মধ্যে এইটা একটা। আমি কোনদিন কোন ওয়াক্তেই হলের বাইরে থাকি নাই। নিজের ঘরে নিজের ইচ্ছামতো থাকাকে অধিকার বইলা জানছি।
আপনারা কেউই সম্ভবত আমার কথার অ্যাঙ্গেল বুঝেন নাই। বুঝলেও হয়তো কোন কারণে খালি ওয়াইড বল করতাছেন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তাবলিগী দাওয়াত এড়ানোর মত একটা রঙ্গ রসাত্মক জিনিসরে এইভাবে আইইউটি-তে বাধ্যতামূলকভাবে ধর্ম পালন করানো হয়- বাক্যের সাথে মিলাইলেন! আপনার এমন কমেন্টে যে কি পরিমাণ বিস্মিত হয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। আপনার কাছ থেকে এটা আশা করি নাই।
আমি নিজেও কোনদিন তাবলীগ এড়ানোর জন্য রুমের বাইরে থাকি নাই। কিন্তু আমার পাশের রুমেই হয়ত একজন থাকছে কারণ সে তাবলীগ করা প্রিয় ক্লাসমেটগুলাকে মুখের সামনে না বইলা দিতে চায় নাই। এই সহজ সরল স্বীকারোক্তি নিয়া রাজনীতি করাটা খারাপ লাগলো...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
সুমন ভাই,
দুঃখের বিষয় যে আপনিও সম্ভবত আমার কথার অ্যাঙ্গেল বুঝেন নাই। পরের লেখাগুলোতে সেটা উঠে এসেছে। রুমের বাইরে কাটিয়ে দিতো তারা যারা চাইতো না দাওয়াত শুনতে, বা মুখের উপর না করতে। কিন্তু আপনি যেভাবে বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি ভেবেছেন যে তাবলীগ পার্টি রুমে আসতো এবং যাদের সামনে পেতো তাঁদের বেঁধে নিয়ে যেতো। আসলে তো ব্যাপারটা তা না। আপনার হলে যেমন ছিলো, আই ইউ টি'র হলেও তার চেয়ে বেশী কিছু না। তারা আসতো (একটা পার্টিকুলার ব্লকে হয়তো মাসে একবার) এবং দাওয়াত দিতো। যারা এটা এড়াতে চাইতো তাঁরা রুমের বাইরে থাকতো। বাট ইট ডেফিনিটলি ডাজন্ট মিন যে তাবলীগ করা বাধ্যতামূলক ছিলো বা ধর্ম পালনে বাধ্য করা হতো। আমি নিজেও রুমেই থেকেছি এবং হাসিমুখে কথা শুনে বলেছি যে চেষ্টা করবো। অনেকে এটা করতে চাইতোনা বলেই রুমের বাইরে থাকতো, বা অনেকে রুমেই ঘুমের ভান করে থাকতো। কিন্তু এটা শুধুই কথা এড়ানোর জন্য। কোনকিছুর ভয়ে না। তাই আবারো বলছি, কোনো কারণে রুমের বাইরে থাকাটা জরুরী ছিল-আপনার এ ধারণাটা ঠিক না। রুমে থাকাটা সবারই অধিকার ছিলো এবং এটা এই শর্তে নয় যে তাবলীগে যেতে হবে। আবারো বলছি, তাবলীগ পার্টির ১০/১৫ মিনিটের আলাপ যারা এড়াতে চাইতো, তারা বাইরে থাকতো, এর বেশী কিছু না। আশা করি এবার বুঝবেন আমার কথাটার মানে কি ছিলো।
বুঝলাম
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আমি আই,ইউ,টি-র একজন ছাত্র (যদিও তা অপ্রাসঙ্গিক)।
আসলে আমাদের (যেমনঃ বুয়েট, আই,ইউ,টি ইত্যাদি) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবিরের ব্যাপারটি গুরুতর, কিছু কিছু শিক্ষকদের এ ব্যাপারে অবদান থাকার সম্ভবনা আছে বলে মনে করি। আই,ইউ,টি-র সাথে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পার্থক্য হল - এখানে গুটি কয়েক শিক্ষকের অনেক বেশি ক্ষমতা, এবং তাঁরা শিবিরপন্থী।
এর বিপরীত-মনা শিক্ষক, ছাত্র এবং প্রাক্তন ছাত্রদের মৌলবাদের বিরুদ্ধে আশু প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা।
মুক্তমনা যে কেউ মুসলিম ছাত্রদের ছাড়া অন্যদের প্রবেশাধিকার দাওয়া হবেনা - এর সমর্থন করবে না। বিষয়টি বিতর্কের ঊর্ধ্বে।
আই,ইউ,টি-র সহপাঠীগণ অগঠনগত সমালোচনার (negative criticism) প্রতি সহিষ্ণু আচরণ করবেন বলে আশা করি। আমরা আই,ইউ,টি-র yahoo group সম্পর্কে জানি, এর কোন সমাধান না করে বরং শিবিরমনা বিভ্রান্তিকর উত্তর এত বেশি আসত যে সবার মাথা তালগোল পাঁকায় যেত - এমন সম্ভাবনা ছিল। এখানে প্রকাশ করার একটা কারন হতে পারে - এখানের অভিজ্ঞ মুক্তমনা বাঙ্গালীদের সাহায্য প্রার্থনা। সেক্ষেত্রে আই,ইউ,টি-কে মাদ্রাসা ইত্যাদির সাথে তুলনা করা মুল প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরে যাবার অভিপ্রায়।
আমাদেরকে ক্ষুদ্র স্বার্থের (যেমনঃ আমেরিকার ভিসা) কথা চিন্তা না করে আরো মৌলিকভাবে স্বাধীনচেতা হতে হবে। নিজেকে গুণগতভাবে উন্নীত করতে পারলে আমেরিকা বৃত্তি দিয়ে আমাদের নিয়ে যাবে। আর তারা আমাদের অবস্থা আমদের চেয়ে আরো ভাল জানবে, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চিন্তা করা তেমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করেনা।
ধন্যবাদ।
দারুন মন্তব্য।
আমি নিজেও আইইউটিতে শুধু মুসলিম পড়া সমর্থন করিনা, মেয়েদের বাদ দেওয়াটাও না। যদিও শুধু এই কারণেই আমি আইইউটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি এবং বিএসসি ডিগ্রি পেয়েছি। তারপরও সত্য প্রকাশে কুন্ঠাবোধ করিনা।
তবুও এই পোস্টে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা না করে, কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো যায় শিবির ব্যাপারে তা উঠে আসা দরকার।
কেন সচলে দিলো তা নিয়ে অনেকের আপত্তি। লেখক জবাব দিয়েছেন, তারপরও আপনার মন্তব্য তাদের এই আপত্তির জবাব দিবে আশাকরি যদি তারা সত্যিই জবাব চেয়ে থাকেন।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
অলরেডি এক ছাগু আস্ফালন করে ফেলসে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
@কিংকর্তব্যবিমূঢ় : বুঝলাম না।
- বাস্তববাদী_২০০৯
মানে ইয়াহুগ্রুপসে অলরেডি তীব্র প্রতিবাদ চলে আসছে সেইটা বলতে চাচ্ছিলাম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
একেবারে টু দ্য পয়েন্ট মন্তব্য।
এই বিষয়টা আরেকটু ডিটেলসে বলেন। যারা কোনো শিবিরের ছায়াও সেখানে দেখছেনা, তাদের হেদায়েতে কাজে লাগবে।
শিবির যে ইয়াহু গ্রুপগুলোয় কতো অ্যাকটিভ হতে পারে, এ বিষয়ে আমারও কিছু অভিজ্ঞতা আছে। বুয়েটের একটা গ্রুপে এই নিয়া ঝাড়িটাড়ি দিয়াও কাজ হয় নাই। এগুলা স্রেফ কুত্তার লেজ। আর শিবিরের পোলাপান শুয়োরের পালের মতো ঝাঁক বেধে নানা অ্যাঙ্গেলে অ্যাটাক করে। সুতরাং ইয়াহু গ্রুপের চেয়ে সচলায়তনই এরকম সর্বজনীন বিষয় আলোচনার জন্য বেটার প্লেস।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমার ব্লগেও এই পোস্ট কপি পেস্ট করেছে কে যেন
আমরা আশা করবো আমারব্লগের মুখ্য সঞ্চালক সুশান্ত দাশগুপ্ত ঐ কপিপেস্ট অংশটুকু সরিয়ে দেবেন, এবং তার বদলে হাইপারলিঙ্ক সংযুক্ত করে দেবেন। তাঁকে আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি।
কপি পেস্ট বিষয়ে উনার পোস্টে প্রথমে আমিই আপত্তি করছি বস!
সুশান্ত
দেখেছি বস
প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়ে নিই, যদিও অনেকে জানেন:
আমি আইইউটি থেকেই পাশ করেছি, ২০০৯ সালে, (এই দুই সপ্তাহ আগে) বিষয় ছিল EEE. পরিচয় দিলাম, কারণ পরিচয় না থাকলে দেখছি অনেকেই কথার দাম দিতে চাচ্ছেন না।
৪ বছর আইইউটি-তে ছিলাম। বাসা দূরে বলে অধিকাংশ সময় হলেই থাকতে হয়েছে। আমি শিবির-জামাত এবং তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে ভার্সিটিতে আসার আগেই জানতাম এবং যথারীতি চোখ কান খোলা রাখা আমার জন্য সুবিধার ছিল। আইইউটি-তে যেহেতু রাজনীতি নিষিদ্ধ সেহেতু এখানে শিবির অন্যভাবে কাজ করবে এটাই খুব স্বাভাবিক, খুব সচেতন না হলে কেউ কিছু টের পাবে না এটাও খুব স্বাভাবিক।
তাই এখানে যারা বলছেন আইইউটি-তে এসব কিছু ছিল না, তারা সচেতন ছিলেন না বলে আমার ধারণা, কিংবা জানার মত উপযুক্ত সুযোগ তাদের আসে নি।
কাক বালক এখানে যেসব তথ্য তুলে ধরেছেন তার সবই ঠিক। আমি নিজেই আইইউটি-তে এসবের সম্মুখীন হয়েছি। আইইউটি-তে যে শিবিরের ভালই বিকাশ ঘটেছে এতে কোনই সন্দেহ নেই। তাই বলে এখানে আবার অন্যান্য ভার্সিটির মত রাজপথের রাজনীতি শুরু হবে না। এখানে শিবিরের কার্যক্রম অন্যরকম। এখানে তারা সবচেয়ে ভাল ভাল মাথাগুলো নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয়ার মিশনই চালাবে, যাতে ভবিষ্যতে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সহ পুরোটাকেই উদারনৈতিক ধর্মীয় বিশ্বাসের বদলে গোড়া রাজনৈতিক ইসলামের বিশ্বাস এর ভিত্তিতে গড়ে তোলা যায়। ঠিক এটা ঠেকানোর জন্যই কাজ করা উচিত বলে মনে করি।
আইইউটি কর্তৃপক্ষ এমনিতেই ইসলামপন্থী। এখন ইসলাম বলতে কর্তৃপক্ষ কি বোঝায় সেই জায়গাতেই শিবির-জামাত হাত দিতে চায়। এবং এই মতবাদের পেছনে মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনও যে জুটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে জামাত নেতারা রীতিমত সম্মানীত।
কাক বালকের লেখা পড়ে আইইউটি সম্পর্কে ধারণা কম আছে এমন অনেকেই দেখছি রীতিমত কোমড় বেধে সাধারণীকরণ শুরু করেছেন। আইইউটি-র দুটি ভ্রান্ত নীতি আমি অবশ্যই অনৈতিক মনে করি:
- মুসলিম ছাড়া কেউ ভর্তি হতে পারবে না
- মেয়েরা পড়তে পারবে না
দ্বিতীয় নীতিটা সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু তাতে কোনই লাভ নেই। কারণ মেয়ে বলতে এখানে কেবল মুসলিম মেয়েদেরই বোঝানো হচ্ছে। OIC-র মাথামোটা কর্তৃপক্ষের কি এটা বোঝারও ক্ষমতা নাই যে, এই সংগঠনভুক্ত দেশগুলোতে মুসলিম ছাড়াও অনেক মানুষ আছে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে তাদের কোন অংশেই কম অধিকার পাওয়ার কথা না? এমন দেশও তো আছে যেখানে অর্ধেকই মুসলিম না হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বী। তাদের কী হবে?
কিন্তু এই নীতি সহজে সংশোধন হবার নয়। আমরা চাইলেই পারবো না। তবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু এই নীতির কথা বলে কেউ কেউ দেখলাম একেবারে মাদ্রাসা বলতেও ছাড়েন নি। এরকম মন্তব্যগুলো খুব খারাপভাবে নিলাম। বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের সাথে সংস্কৃতি ও মানসিকতার দিক দিয়ে আইইউটি-র ছাত্রদের কোনই পার্থক্য নেই। আইইউটি যে বুয়েট, চুয়েট, ঢাবি, জাবি-র মতই আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় এটা মেনে নিতে না পারার কোন কারণ দেখি না। তবে অবশ্যই এতে গোড়া নীতি আছে যেগুলো পরিবর্তনের উপায়ও আছে, মাদ্রাসা বলে গালি দিয়ে সেটা হবে না।
সবশেষে বলতে চাই- দয়া করে কেউ পোস্টের আলোচনা থেকে দূরে সরে যাবেন না। দুই গ্রুপ দুই দিকে দৌড়ানো শুরু করেছেন-
- আইইউটি সম্পর্কে কম জানেন এমন সচলদের কেউ কেউ গাল পাড়ছেন, বলছেন এইখানে তো এমনডাই হওয়ার কথা, কইছে আপনারে...!!!!??? তাইলে অন্য ভার্সিটিগুলোতে শিবিরের প্রভাব আরও বেশি হইল ক্যামনে? সেটাও কথা না। কথা হল আপনি কিছু না জেনেই সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর কথা বলছেন।
- আইইউটি-র বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদের কেউ কেউ লেখকের নাম পরিচয় এবং আইইউটি-র সুনাম নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যাদের অনেকেই প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখেন না।
অন্য ভার্সিটিতে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই শিবির ঠেকানো যায়। কিন্তু আইইউটি-তে যেহেতু ছাত্র রাজনীতিই নেই সেহেতু সেটা করার কোন উপায় নেই। আবার কাউকে শিবির বলে প্রমাণ করাও খুব কষ্টকর। অনেকে এমন বলতেই পারে, আরে শিবির যাত্রা শুরু করলে না ঠেকানোর কথা আসে। ওরা এমন একটা পজিশনে আছে যে ঠেকানোর প্রচেষ্টাটা বেশ বিমূর্ত মনে হচ্ছে। কিন্তু ঠেকানোর জন্য কিছু কাজ করা যেতে পারে যেগুলোর কয়েকটা ইতিমধ্যে উঠে এসেছে:
- বিভিন্ন বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ক্লাব খোলা যেখানে উদারনৈতিকদের প্রাধান্য থাকবে, ধার্মিকদের মধ্যেও তো অধিকাংশ উদারনৈতিক। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে কেন?
- প্রত্যেক ব্যাচের প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে কেউ শিবির পন্থী আছে কি-না বোঝার চেষ্টা করা এবং সবাই মিলে তাকে বোঝানো বা তার কবল থেকে বাকিদের রক্ষার ব্যবস্থা করা। এটা কঠিন হয় কারণ শিবির চিহ্নিত করাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
- আইইউটি-তে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে কাদের লিয়াজো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা। আমরা কি জানি যে, আইইউটি-তে শুক্রবারের জুমআর নামাজের জন্য যে ইমামকে আনা হয় উনি জামাত করেন এবং উনি আইইউটি-তে এসে জামাতপন্থীদের সাথে আলোচনা করেন?
- দায়িত্ব বেশি ছাত্রদের। কর্তৃপক্ষ এই কাজে ছাত্রদের সহযোগিতা করবে, এটাই চাই। আমি আইইউটি-তে অ্যাস্ট্রোনমি ক্লাব খুলতে পারি নি তার বড় কারণ কর্তৃপক্ষ থেকে সমর্থন না পাওয়া। এমনটা যেন না হয়...
সবচেয়ে জরুরী:
আইইউটি-র গঠনতন্ত্র বা ঐ ধরণের বিষয়গুলোতে কিছু সংগঠনের তালিকা থাকা উচিত। সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকা উচিত যে, কোন ছাত্র আইইউটিতে এই সংগঠনগুলোর প্রচার চালানোর কোন চেষ্টা করছে বলে প্রমাণিত হলে সে এখানে পড়ার অযোগ্য বিবেচিত হবে। ভার্সিটির কর্তৃপক্ষ যদি উদারনৈতিক না হয় তাহলে এটা একেবারেই সম্ভব না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
মন্তব্যে ঝাজা...। কঠিন বলেছ...
দারুণ
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
এই পোস্টে বেশকিছু চমৎকার মন্তব্য পড়লাম, তার মধ্যে এইটাই সেরা। একটা গাইডলাইনের সূচনাটা খুব ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান ছাত্রেরা এগিয়ে আসা দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
@শিক্ষানবিস
উচিত বলেছেন। কিন্তু তাদের প্ল্যাটফর্ম কি হতে পারে যেখানে শিবিরের আনাগোনা থাকতে পারে না? এই মুহূর্তে কেবল তাবলীগে জামাতের কথা মনে পড়ছে। জামাত বিরোধিতা করার এদের যথেষ্ট শক্ত দর্শনগত ভিত্তি আছে। দেশ আর দশের ক্ষতিও এরা করছে না। এদের অবস্থান কেমন আইইউটিতে?
--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~
আমি ২০০৬ সালে পাশ করেছি । তখন পর্যন্ত শিবির বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন কর্মকান্ডের ছায়া দেখি নাই । এর মধ্যে এত পরিবর্তন হয়ে গেছে মানতে কষ্ট হচ্ছে ।
আর শিবির ঠেকানোর উপায়টাতো খুবই অসুস্থ । আমার চিন্তা করতেই খারাপ লাগছে যে আমি আমার অবসর সময়ে আমার কোন ক্লাসমেট শিবির করে এইটা নিয়ে মিটিং করতেসি ।
আমার মনে হয়, আইউটির মতো একটা ক্লোজড কমিউনিটিতে (আমাদের সময় পুরা ব্যাচে মোটে ১৩০ জন ছাত্র ছিল , এখন ছাত্র কত জানি না ) শিবির ঠেকানোর জন্য এতো বিশাল আয়োজন মশা মারতে কামান দাগার মত ।
সবাই কোন না কোন আদর্শে চলে । কেউ মৌলবাদী , কেউ বিপ্লবী , যদিও বেশির ভাগ ডোন্ট গিভ এ শিট । কেউ যখন আমাকে শিবিরের ভয় দেখায়ে অন্য আরেকজনের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করে তখন আমি মনে মনে জানি যে সেও আসলে তার নিজের মত সবার উপরে চাপানোর চেষ্টা করতেসে ।
ভন্ড মানবের মন্তব্যের প্রতি বেশী সহমত প্রকাশ করছি । কাক বালকের লেখা একটু রং লাগানো মনে হচ্ছে ।
( আর কিংকং , সচলায়তনকে কখনোই আমার ওপেন প্লাটফরম মনে হয় নাই ,
এইটা একটা রাইটার্স কমিউনিটি, অনেকটা আগের যুগের লিটল ম্যাগাজিনের মত । কিন্তু এইটা একটা প্রচন্ড রকমভাবে মডারেটেড ক্লোজড কমিউনিটি । )
আসলেই পৃথিবীতে বেশির ভাগ লোক ডোন্ট গিভ আ শিট টু এনিথিং। দে গেট বিজি স্ক্যাভেঞ্জিং আদার পিপলস শিট ... ফ্রম দৌজ হু কেয়ার টু গিভ সাম।
আপনার অবসর সময়টুকু স্বাস্থ্যে ভরপুর হৌক।
ওপেন বলতে বুঝাইসি যেটা সবাই দেখতে পায়, মডারেশন আছে কি নাই থাকলে কেন আছে আর না থাকলে কেন নাই সেই প্রশ্ন এখানে অবান্তর ...
ভালো থাকো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ভেড়া,
বস, আপ্নে শিবিররে স্বাধীনতা দিয়া ওয়েট করেন, ইনশাল্লাহ ওরা আপনারে পরাধীনতা দিয়া দিবো,
সাফি ,
এইটা আমার কাছে স্বাধীনতার পরিপন্থি মনে হইসে , তাই বলছি । Freedom of Speech এর violation এর বুদ্ধি আপনার কাছে স্বাধীনতা না পরাধীনতা মনে হইসে ? শিবির ঠেকানোর নাম করে আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমর্পণ করতে রাজি না ।
যদি ভুল বুঝে না থাকি, আইইউটিতে শিবির নিষিদ্ধ, যেমন নিষিদ্ধ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। ভুল বুঝে থাকলে ধরিয়ে দেবেন। কাজেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকখানিই সেখানে সমর্পিত।
আপনি শিবিরের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমার মনে হয় এই থ্রেডে পরবর্তী আলোচনায় আপনার অংশগ্রহণ নিরর্থক। আমরা আপনার মতো লোকজনের সংখ্যা কী করে আইইউটিতে কম থাকে সেটা নিয়ে আলাপ করছি।
সচলায়তন ক্লোজড কমিউনিটি বলে কেন মনে করতেছেন? আপনার কি মনে হয় যে, ক্লোজড কমিউনিটি হইলে আপনার মন্তব্য দিনের আলো দেখত? আড় এখানে একমাত্র রেস্ট্রিকশন হল লেখা দেবার সময়, যে কেউ পড়তে বা মন্তব্য করতে পারেন। আপনে তো তারমধ্যে আমার ভেড়ার পিছনে লুকিয়েছেন, দিনের আলোতে এসে চারদিকে একটু তাকিয়ে দেখেন, দএখবেন ভালো লাগবে। তবে মডারেশন আছে যাতে করে দলছুটের মত ব্লগার পাতা না ভরায়, আর আমার মত মুখ খারাপ মানুষের মুখ সেন্সর করা যায়, আপনে ভুল বুঝেছেন দএখে বেশ খারাপ লাগল।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বিস্তারিত জানতে এই লিংকে যান ।
হা হা হা, ভাই ভেড়া, ভেড়ার পালে থাকতে থাকতে আপনার বুদ্ধি ভেড়ার কাছে নেমে গেছে। এখানে সদস্য হতে চাইলে কি করতে হবে, তা বলা আছে ঐ লিংকে। এখানে মন্তব্য দেবার জন্যে আপনে কোন নিবন্ধন করেছেন? কোথাও সাইন ইন করতে হয়েছে? মডারেশন হয়ে আসবে আপনার মন্তব্য, কিন্তু কোথাও কি বলা হয়েছে আপনাকে ছেলে হতে হবে, মেয়ে হলে চলবে না, লম্বা হতে হবে বেটে হলে চলবে না, কালো হতে হবে, ফর্সা হলে চলবে না? কোন নিক ছাড়াই দেদারসে মন্তব্য করে যাচ্ছেন, এমনকি লেখাও দিতে পারছেন এখানে, আর সচলায়তনকে ক্লোজড বলছেন? মডারেশনের সাথে আপনে গুলিয়ে ফেলছেন। মাথা ঠান্ডা করে একটু চিন্তা করেন। আর কোন ব্লগের কথা জানেন যেখানে নিবন্ধন না করে লেখা যায়? জানলে একটু জানিয়ে যেয়েন ভাই। সচলের দরজা সবার জন্যেই খোলা, এমন সত্যটা দেখতে পাচ্ছেন না দেখে আপনার জন্যে খারাপই লাগছে, নিজে যদি চোখ বন্ধ করে বলেন 'আমি দেখতে পাই না' তাহলে কিভাবে চলবে? প্রাথমিক পর্যায়ে সচল ক্লোজড্ কমিউনিটি ছিল, সে দিন কোন অতীতে হারিয়ে গেছে, বাস্তব জগতে আসেন ভাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাফি ,
সচলায়তনের পরিচালনা নিয়ে আমার আপত্তি থাকলে আমি সন্দেশের ব্লগে গিয়ে আপত্তি করে আসতাম ।
আপনি কনটেক্সট দেখে কথা বলেন ।
আমি কিংকংকে একটা সাইডনোট দিসি, কারণ সে কাকবালকের এখানে পোস্ট করাটা খুব উতসাহিত করসে । কিন্তু আমার মনে হইসে এখানে আলোচনা হইলে আইউটিয়ানরা ঠিকমত অংশগ্রহন করতে পারবে না ।
এটলিস্ট এই একটা টপিক নিয়ে আমি অন্য জায়গায় দেখতে চাইসিলাম । আমি নিজে সচলে আসি মানসম্মত লেখা পড়ার জন্য । মারামারি কাটাকাটি করার জন্য আমি অন্য কোথাও যাই ( পড়ুন সামহোয়্যারইন ) ।
এই টপিকটা এমন একটা পোস্ট যেখানে সাহিত্য মানের চেয়ে আলোচনা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন । আর সচলায়তনের মডারেশন আমাদের আলোচনায় অংশগ্রহন করাটা অসম্ভব না করলেও বিরক্তিকর করে রেখেছে তো বটেই । আমরা যারা হার্ডকোর সচল না , তাদের জন্য কমেন্ট মডারেশন খুবই সময়সাপেক্ষ এবং খুবই বিরক্তিকর(পড়ুন খুবই খুবই খুবই বিরক্তিকর ) একটা ব্যাপার । একে বাংলা লেখতে সময় লাগতেসে, তার উপর কমেন্ট প্রকাশিত হইতেছে না । উল্টা সচলদের থেকে সমানে গালি খাইতেসি । হতাশাজনক ? আমার কাছে মনে হইসে ।
আগের মন্তব্যের শুরুতে "সাফি"র জায়গায় "সাইফ তাহসিন" হবে ।
এইটা যেহেতু আমার উদ্দেশ্যে বলা তাই একটু জবাব দেই ...
এই পোস্ট এখানে না দিলে আর অপশন কি ছিল? আইউটিয়ান্স ইয়াহু গ্রুপ, আর তোমার কথা অনুযায়ী সামহোয়ারইন ...
সামহোয়ারইনে দিলে সেটা কয়টা আইইউটিয়ান পড়তো? হতে পারে সেটা সচলের চেয়ে বেশি [নাও হতে পারে], কিন্তু সেখানে কি যে কেউ চাইলেই মন্তব্য করতে পারে? আমার জানামতে সেখানে মন্তব্য করতে হইলে তোমার একাউন্ট থাকতে হবে ... ধর আমার একাউন্ট নাই, আমি মন্তব্য করতে চাই; আমি চাইলেই রেজিস্ট্রি করে মন্তব্য করতে পারবো না ... একটা কুলিং টাইম থাকে, তারপরে মন্তব্য করার একসেস দেয়া হয় ... সো সামহোয়ারে দিলে সেইটায় বেশি আইইউটিয়ান আলোচনা করতে পারতো এই যুক্তি টিকে না ... বরং অনেক বেশি মানুষ এসে আজাইরা গালি-গালাজ করে পোস্টটারে পচায়ে দিত; এইখানে এত মডারেটেড সাইটেও আলোচনা বারবার বেলাইনে চলে গেছে, সামহোয়ারে দিলে কি হইতো সেটা চিন্তা করে দেখতে পারো ...
তাহলে থাকে ইয়াহুগ্রুপস ... সেখানে কি প্রতিক্রিয়া হইসে দেখ নাই? যদি না দেখে থাকো মেইলগুলি একটা একটা করে পড়ে আসো, তারপর এই যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়া বাণী দিচ্ছ সেই একই বাণী দিয়ে সেইখানে একটা মেইল দাও ...
আর ইয়াহুগ্রুপস কয়জন পড়ে আমার সন্দেহ আছে [আমি নিজে পড়ি না, একটা ফোল্ডারে সব মেইল জমে থাকে কখনোই খুলি না] ... গোটা ইস্যুটায় কে কে মন্তব্য করছে আর কি মন্তব্য করছে সেটা দেখলেই বুঝবা কয়জন এসব নিয়ে মাথা ঘামায় ...
কাক-বালকের পোস্ট সত্য-মিথ্যা-অতিরঞ্জন সবই হইতে পারে ...মিথ্যা হইলে, কারো কোন ক্ষতি হয় নাই ... যাদের নামে অভিযোগ, তারা গ্রুপে এসে সুনির্দিষ্টভাবে বলে গেসে যে এইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ইসলামের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র, তারা কেউ শিবির করে না, এমনকি সাপোর্টও করে না ... সো এইটা এখানেই শেষ ...
কিন্তু যদি সত্য হয় বা অতিরঞ্জনও হয়, এই ছেলেগুলি আপাতত শিবির সংশ্লিষ্টতা থেকে দূরে থাকবে, তাদের ইমেজ রক্ষার জন্য হইলেও ... প্লাস সাধারণ পোলাপান এখন হয়তো কেউ এই পোস্টকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, কিন্তু ভবিষ্যতে শিবির টাইপ কোন একটিভিটি দেখলে তখন ঠিকই খেয়াল করবে; এইখানেই এই পোস্টটার সার্থকতা ...
এই ইস্যুটা সবার মাথায় ঢোকানো দরকার ছিল, সেইটার জন্য পাবলিকলি কোথাও পোস্ট দেয়ার বিকল্প ছিল না ... দ্যাটস অল ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আইইউটিয়ান্সে ঐ ছেলের লেখা 'বিশাল কলেবরে'র মেইল পড়েই আমার মনে হইছে 'হি ইজ লাইং'।
তারে কিন্তু কেউ বলে নাই যে সে আইইউটি'র ভিতরে 'রাজনৈতিক তৎপরতা' চালাইছে। সেও এইটাই বলছে যে কোনো ধরণের রাজনৈতিক তৎপরতা চালায় নাই। কিন্তু সে ইসলামি রাস্ট্রের গুরুত্ব বয়ান করছে। সে ইসলামি রাস্ট্র কায়েম করার পক্ষে। আবার পরে নিচের দিকে ডিবেট করেছে, অমুক করেছে, তমুক করেছে, করে এইটা করেছে এইসব নানা পথ ঘুরে নিজেকে 'মডারেট মুসলিম' হিসেবে দাবী করছে। এখন কথা হলো, যে অন্তরের ভেতর ইসলামী রাস্ট্র কায়েম করার স্বপ্ন দেখে, সেটা বাস্তবে পরিণত করতে চায়, তাকে কোন যুক্তিতে আজকের জামানায়, সুস্থ মস্তিষ্কে 'মডারেট মুসলিম' বলে মেনে নেয়া যায়?
এই ইসলামী রাস্ট্র কায়েমের স্বপ্ন কাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে যায় কিংকং?
হ্যাঁ, তাকে হয়তো দেখলে, তাকে শুনলে, তার সাথে চলাফেরা করলে তাকে মডারেট-ই মনে হবে। এটলিস্ট তাকে সম্ভবত এখন পর্যন্ত কেউই সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেয় নি। কেউ বলেনি যে সে বুকে বোমা বেধে গজারী বাগানের চিপায় অবস্থিত আইইউটির জেনারেটর স্টেশনটা উড়িয়ে দিতে চাইছে! কিন্তু তার ভেতরে প্রোথিত আছে সেই বীজ। সে বিনা কারণে মানুষ হত্যা করে পুরো মনুষত্বকে হত্যা করবে না, সে কারণ নিয়েই করবে আর সেই কারণ হলো 'ইসলামী রাস্ট্রের বিরোধিতা'।
তার ভেতরে শিবিরের ভ্রূণ বিকশিত হচ্ছে। তার ফেসবুক ঘুরলেই বুঝা যায়। তার মতো উজ্জ্বল প্রতিভাবান একজন মানুষ যদি দেলোয়ার হোসেন সাইদী'র মতো এক কসাইয়ের 'ফ্যান' হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই কিছু একটা আশংকার থাকে। সে যদু মধু কদু হলে কিংবা আইইউটির একজন অতীব সাধারণ ছাত্র হলে তাকে নিয়ে কেউ এতো মাথা ঘামাতো না। কিন্তু সে আইইউটিতে যোগ দিচ্ছে, একদিন হয়তো সে আইইউটির সমগ্র প্রশাসন প্রভাবিত করতে পারবে, এইজন্যই তাকে নিয়ে এইসব আশংকা। কারণ এইটা ক্রিস্টালের মতো পরিষ্কার যে এই ছেলে আইইউটির মূলে শিবির তথা জামাতের বীজ বপনের কাজটা করে দিতে যাচ্ছে।
আর সে যদি বলে যে সে আইইউটিতে ('পর্ণগ্রাফি'- এইটা বাদ রেখেও যদি চিন্তা করি), 'এথেইজম' প্রভৃতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধ পরিকর (তার ভাষামতে আইইউটির কানুন রক্ষাকল্পে), তাহলে একটু আশংকার কথাই বটে! আর আশংকাটা হালে বাতাস পায় যখন যে তার তর্ক শাস্ত্র থেকে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে যায়, "শিবির 'only' সাপোর্ট করলেও সেক্ষেত্রে আইইউটি'র আইন সে ভঙ্গ করে না!"
এখন এ পর্যায়ে এসে যদি কেউ তাকে মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে বসে, তাইলে সেটা কি খুবই অযৌক্তিক হয়ে যাবে, বলেন তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা আমি খুব ভালোভাবে বুঝতেসি, কিন্তু দুঃখের কথা হচ্ছে এই কথাগুলিই আমি গ্রুপে বলতে পারবো না ...
আপনি যদি গ্রুপের মেইলগুলি পড়ে দেখেন তাহলে বুঝবেন হাওয়া কোনদিকে যাচ্ছে ... আমি পুরাটা তর্কে খালি শিবির নিয়া কথা বলার চেষ্টা করছি, কিন্তু দুই একজন বাদ দিলে [তারাও এইখানের এই রাহিন হায়দার, শিহাব চৌধুরি বা এই টাইপ কয়েকজন] বাকি যারা মেইল চালায়ে গেছে তারা ইসলাম নিয়ে এতটাই অন্ধ যে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার চিন্তাভাবনার বিপক্ষে একটা কথা বল্লেই সেইটা দিয়ে আমাকে "ইসলামবিরোধী" প্রমাণ করে আমার সমস্ত যুক্তি ঐখানেই নাল এন্ড ভয়েড করে দিবে ... আমি শুধু সবগুলির মুখ থেকে বের করার চেষ্টা করছি যে তারা শিবিরের সাথে জড়িত না [বিশ্বাস করেন, এই কথাটুকু বের করার জন্য আমারে প্রচন্ড কষ্ট করে মাথা ঠান্ডা রেখে অনেকগুলি মেইল চালাইতে হইসে, খালি ইসলামবিরোধিতার দিকে কথা চলে যায় ], এর চেয়ে বেশি কিছু আমার করার ছিল না ...
রিয়াজের ফেইসবুকে আমার একসেস নাই, আর সে তো বলেই দিছে "তর্কের খাতিরে" সে যদি শিবির সাপোর্ট করেও তাহলে তাতে কোন আইন ভঙ্গ হয় না ...
একই দিনে ফেইসবুকে একজনের সাথে [তার কমেন্ট আছে এই ব্লগে] ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা নিয়ে তর্ক হইলো, তারে বুঝাইলাম কি কারণে আমি এইটার বিপক্ষে ... তখন সে এবং আরেকজন [এরও কমেন্ট আছে এই ব্লগে] এসে যুক্তি দিল যে ইসলামী রাষ্ট্রে কোন জোর জবরদস্তি নাই, কাউকে জোর করে পর্দা করানো হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি ... তাকে যখন বল্লাম যে এই কথা শুনলে রিয়াজ তাকে রাসূল বিরোধী আখ্যা দিবে, কারণ রাসূল নাকি জোর করে মেয়েদের পর্দা করাইতেন, তখন সে "ঐ মেইল পড়ি নাই" বলে আলোচনা শেষ করে দিছে, এরপরে গ্রুপে তাকে এই নিয়া কোন মেইল দিতে দেখি নাই ...
তাই বলে আইইউটির সবাই এমন ধর্মান্ধ এইটা ভাবা ঠিক না ... সমস্যা হচ্ছে, বেশিরভাগ স্টুডেন্ট জাস্ট ডাজণ্ট কেয়ার ... সবাই নিজের ক্যরিয়ার কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত, রিয়াযের পালটা আর্গুমেণ্ট দেয়ার ধৈর্য্য বা সময় কারও নাই ... সো আপাতত এই পোস্টটা শিবিরের বিপক্ষে অন্তত উপরে উপরে একটা সচেতনতা নিয়ে আসছে এই ভেবে স্বস্তি পাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নাই ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
রিপিট ...
রিপিট ... মুছে দিলাম ...
আপনার নিকটা আমার জবর পছন্দ হৈছে । তবে বাংলাদেশে আরো একটু কমন কিন্তু একই গোত্রের প্রানী "ছাগল" নিক হিসেবে নিলেও কিন্তু খারাপ মানাতো না !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দোস্ত মুহাম্মদ,
বহুতক্ষণ এই পোস্ট থেকে বিরত ছিলাম। তারপর যখন শুনলাম তুই কমেন্ট করেছিস তখন আবার আসলাম।
বুঝতেই পারছি তুই যথেষ্ঠই নিশ্চিত যে আইইউটিতে শিবিরের বিকাশ ঘটেছে। তোর কাছে তথ্য প্রমাণাদিও থাকার কথা। তুই দাড়িওয়ালা কাউকে দেখেই তাকে শিবির বলবি আমি অন্তত মনে করি না। তোর কাছে এ ব্যাপারে আমার চাওয়াটা এজন্যই বেশি, কারণ তুই নিচের দলে পরিস না।
হয়তো আমি এই দলেরই অন্তুর্ভুক্ত(তোর মতে)। আর আমার মতে আমি এই দলের অন্তর্ভুক্ত না, কারণ ৪ বছর আইইউটিতে কাটিয়ে আমি মনে করছি, আইইউটিতে ইসলামিক মনমানসিকতার পুলাপান বেড়ে গেলেও তাদের কারো সাথেই শিবির তৎপরতার সংশ্লিষ্টতা নেই।
এখন তুই শিবিরের তৎপরতা সম্পর্কে জানতি, কিন্তু কখনো আইইউটিতে থাকতে কারো সাথে এ ব্যাপারে আলাপ মনে হয় করিস নি। তোর কি মনে হয়না আমরা আইইউটিতে থাকা অবস্থায় তুই যদি সব ছাত্রদের মাঝে বিষয়টা তুলতি(তথ্য প্রমাণাদি সহ) আমরা আইইউটি ছাড়ার পূর্বেই সেই শিবির গোষ্ঠীকে (যদি থেকে থাকতো) উৎখাত করে আসতে পারতাম। কাকবালককেও সেই একই প্রশ্ন করি। ০৫ আইইউটি ছাড়ার পর ০৫ ব্যাচের পিছে পড়লো বেচারা। আরে ভাই শিবিরের কর্মকান্ড প্রতিহত করার জন্য ৯৯% ছাত্র তো অবশ্যই আইইউটিতে আছে(ধরে নিলাম ১% নিজেরাই শিবির করছে)। এখন আইইউটির ছুটি চলছে। যদি কাকবালক বা তুই শিবিরের ব্যাপার আগেই আঁচ করে থাকিস তবে আমরা আইইউটিতে থাকতে কেন সামনাসামনি এটা নিয়ে আলোচনায় গেলিনা? শিবির নিধনে (সাধারণ ইসলামী মনোভাবাপন্ন হুজুর নয় কিন্তু!) যে কোন আইইউটিয়ান এগিয়ে আসতো তাতে কোন সন্দেহ ছিল না। তাহলে আর আইইউটি থেকে বের হয়ে অন্তত শুনা লাগতো না ০৫ ব্যাচ শিবির কর্মে জড়িত ছিল।
যাই হোক, শিবির থেকে সতর্ক্ থাকার ব্যাপারে যেসব বলেছিস সেগুলো অবশ্যই ঠিক আছে। তবে তথ্য প্রমাণ ছাড়া কাউকে শিবিরের লোক বলা হবে, শিবির কর্মের সাথে জড়িত থাকার জন্য ০৫ ব্যাচকে অভিযুক্ত করা হবে...এটা আমার পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
আপনার মন্তব্য খুব বেশী ইউটোপিক । যেমন এই অংশটা -
বিষয়টার প্রয়োগ কিভাবে করবেন ? কোন আইডিয়া ? একজনকে মনে হলো যে সে শিবির ও সে সেটা স্বীকার করবে ? তারপর তারে আপনারা হেদায়েত করবেন ?
জাবিতে সম্ভবত ৮৯ সাল থেকে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ । ঢাবিতে ৯২ বা ৯৩ থেকে । এখন এই দুটো প্রতিষ্ঠানে শিবির আছে । নিয়ম করে তাদের উত্থান ঠেকানো যায়নি । তবে এখানে একটা কথা হলো তাদের উত্থানকে অবদমিত করতে এক ধরনের রাজনৈতিক কাঠামো জারি আছে । এই রাজনৈতিক কাঠামোটা জাবিতে এই পর্যন্ত সবচেয়ে সফলতা দাবি করতে পারে অনায়াসে । বিভিন্ন বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের কর্মকান্ড কিভাবে এই রাজনৈতিক কাঠামোটারে প্রতিস্থাপন করতে পারে বলে মনে করেন ?
ভার্সিটি যদি উদারনৈতিক না হয় । আমি আপনি দুজনের জানি এটা হওয়াটা খুবই সম্ভব । উদারনৈতিক কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতে তাহলে কি করা ? কোন আলোকপাত করতে পারবেন ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সবাইকেই বলি, আইইউটিতে শিবিরের বিকাশ রোধ ছাড়া অন্য সব প্রসঙ্গেই আমরা কথা বলছি। দুয়েকজনের ক্ষেত্রে সেই কথার ভাষা কলহের ভাষায় পর্যবসিত হয়েছে। এমনটা কাম্য নয়। আসুন ফোকাসড থাকি। নাহলে দেখা যাবে আমরা হাউকাউ ঝগড়া করছি, এবং আইইউটির শিবিরগোষ্ঠী পপকর্ণ চিবাতে চিবাতে তা পড়ছে।
উপ্রে শিক্ষানবিস এর করা মন্তব্যের ফলে আমার মন্তব্য করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে গেল। কারণ ওর মন্তব্যটাই আমার মনোভাব কমবেশি প্রকাশ করে দিয়েছে।
এই পোস্টটা আসার পর থেকেই অনুসরণ করছিলাম মনযোগ দিয়ে। কিছু মন্তব্য পড়ে যেমন ভালো লেগেছে, কিছু পড়ে শকড হয়েছি, আবার কিছু মন্তব্য পড়ে মেজাজ রীতিমত বিলা হইসে।
যেটা খেয়াল করলাম আই ইউ টি র কেউ কেউ পুরো ব্যাপারটাকে অস্বীকার করতে চেয়েছেন। তারা সত্যিই ব্যপারটা নিয়ে জানেন না নাকি আই ইউ টির ইমেজ হারানোর ভয়ে এমনটি করছেন তারাই ভালো জানেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে পোস্টের সাথে সহমত পোষণ করছি। কিন্তু যারা এই পোস্ট থেকে অতিরিক্ত সরলীকরণ করে একে জঙ্গীবাদের আখড়া বানায় ফেলসেন তাদের সাথে নয়। কাক বালকের পুরো পোস্ট পড়ে আমার কখনোই মনে হয়নি এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আইইউটির ইমেজ নষ্ট করতে লেখা। বরং মনে হয়েছে ভবিষ্যতে যেন ইমেজ নষ্ট না হয় তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক করে দেয়ার মত ।
ওহ আমার পরিচয় দেইনাই দেখি এখনো। আমিও একজন গর্বিত আইইউটিয়ান এবং এই ২০০৯ তেই মেকানিক্যাল থেকে পাস করে বের হইলাম। আমারে না চিনলেও সাম্প্রতিক সময়ে জংগী সন্দেহে ধরা সুফিয়ানকে নিশ্চয়ই অনেকেই চেনেন। আমি তার ডিরেক্ট ক্লাসমেট। চারবছর একই সাথে ক্লাস করসি। ও ধরা পড়ার পর অনেকের মুখেই বলতে শুনেছি আই ইউ টি তে নাকি রীতিমত জংগী ট্রেনিং দেয়া হয়, এর মধ্যে কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকাও পড়ে। এই শ্রেণীর লোকদের জন্য বলছি - দু:খিত, সুফিয়ানের সাথে চার বছর ক্লাস করলেও আমাদের কখনো একসাথে জংগী ট্রেনিং নেয়ার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয়নাই। আবার আমাদের মধ্যেই একদল আছেন যারা সুফিয়ানের প্রতি কিছুটা সহমর্মী। এরকম সহমর্মিতার কারণ হচ্ছে চার বছরে আমরা আসলে ওর মধ্যে সেরকমভাবে সন্দেহজনক কিছু পাইনি। তবে সুফিয়ানের প্রতি সহমর্মীদের এই দলেও আমি থাকতে পারছিনা বলে দু:খিত। কিংবা যারা ইমেজ রক্ষার খাতিরে ব্যাপারটা বেমালুম চেপে যাবার কথা ভাবছেন তাদের দলেও নয়।
তাইলে আমি আসলে কোন দলে?
আমি সেই দলের মানুষ যারা আই ইউ টি কে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে এবং এর ভুলত্রুটিগুলো স্বীকার করে নিয়ে সেগুলো শোধরানোর দিকে মনযোগী হবার পক্ষে। যদিও এই পোস্টের মূল কথা ছিল আই ইউ টি তে শিবিরের বিস্তার নিয়ে কিন্তু অফটপিকে অনেক কথাই উঠে আসছে। কিছু বৈষম্যের ব্যাপার চোখ বুজে অস্বীকার করারও কোন উপায় নেই। যেমন: অমুসলিম কিংবা মেয়েদের ভর্তি না হতে পারা। আই ইউ টি তে কখনো মেয়ে ভর্তি হবে আমাদের জীবদ্দশায় কখনো আমরা সেইটা স্বপ্নেও কল্পনা করতাম না। কিন্তু সেই অসম্ভব ব্য়াপারটার প্রক্রিয়াই অলরেডী শুরু হয়ে গেছে। হোকনা প্রথম ধাপে শুধু মুসলিম মেয়ে। একসময় ক্রমে ক্রমে সেখানে অমুসলিমদের জন্যও পথ খোলা হবেনা তার নিশ্চয়তা কি। তবে শিবির যদি আই ইউ টি তে শক্ত পোক্ত ঘাঁটি গেঁড়ে বসতে পারে তাইলে সেইসব লক্ষ্যে পৌছানো কখনোই সম্ভব না। কাজেই আমার মনে হয় অফটপিকের প্যাচালের দিকে বেশি মনযোগ না দিয়ে পুরো ফোকাসটা শিবিরের দিকেই রাখা উচিত।
আর যারা আই ইউ টিকে মাদ্রাসা কিংবা জংগী ঘাঁটি প্রমাণের লক্ষ্যে নামসেন তাদের বলি, সচলে আমরা এতগুলান আইইউটিয়ান আছি, আমাদের দেখে আপনাদের কি এতই খ্রাপ লুক মনে হয়? আমরা সবাই কি একে ৪৭ কান্ধে নিয়া জিহাদ করতে সচলে আসছি? তা যদি না ভাবেন তাইলে কি আমরা অন্যান্য আই ইউ টিয়ানদের থেকে ব্যতিক্রম? এক্সকিউজ মি, ৯৯% আই ইউ টিয়ান আমাদের মতই মুক্তমনা। বাকি ১% কে চাঙে তুইলা যারা মজা লুটতে চাইতেসেন, লুটতে পারেন। আজকাল এইসবে আর মাইন্ড করিনা। বনে যেমন বাঘ থাকে, তেমনি ছাগলও থাকে। সেইটাই স্বাভাবিক।
নাম স্বপ্নাহত হইলেও আহত হবার ভয়ে স্বপ্ন কিন্তু কম দেখিনা। আই ইউ টি নিয়েও অনেক স্বপ্ন দেখি। আশা করি এই ক্ষেত্রে অন্তত আহত হবোনা। তো এজন্য জংগীবাদ কিংবা শিবিরের ব্যাপারে সব আই ইউ টিয়ানের ঐক্যবদ্ধতা একান্তভাবে কাম্য। এইটা আই ইউ টি র ইমেজ সম্পর্কিত কিছুনা, জাতীয় সমস্যা। ব্যাপারটাকে যেন আমরা সেভাবেই দেখি।সবাই একসাথে সচেতন হই।
লং লিভ আই ইউ টি।
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমার মনে হয় শিবিরের পরবর্তী জোরালো ক্যাম্পেইন হবে ছাত্রীহলকেন্দ্রিক। বুয়েটে ব্যাপারটা কমবেশি এরকমই ছিলো। এখন কী অবস্থা বলতে পারবো না।
বুয়েটে শিবিরের ক্যাম্পেইন মোটামুট ব্যর্থ বলা চলে। গত নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বড় মাপের নেতারা সব পলাতক ছিলেন। এখন তারা ফিরে আসলেও কার্যক্রম অপ্রকাশ্য। নতুন কি ঘুঁটি চালছেন কে জানে।
-অতিভদ্র
ধন্যবাদ, কাক বালক! না, শুধু শিবিরের কর্মকান্ডের কথা বলে সাবধান করে দেয়ার জন্যই নয়, বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে আমার আই ইউ টি নিয়ে অস্বচ্ছ ধারণাটা একটু পরিষ্কার হয়েছে, ধন্যবাদ সেকারণেও দিচ্ছি।
আমি যে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন শিবিরের (অন্তত প্রকাশ্যে) কোথাও ছায়াটুকুও ছিলোনা, আর এখন! হায়রে!
এভাবেই আগায় শিবির।
ধন্যবাদ কাক বালক। একটা জিনিষ দেখতাম পারি না, হেইয়ার নাম শিবির, বোজলা মনু?
অহন ১৭২ ডা কমেন্টের ফরে মুই আর কি কমু, তাও ২ডা কতা কইতে মঞ্চায়। আসলে শিক্ষানবিশ, বলাইদা, ধুগোদা সহ আরো অনেকে প্রতিকারের কথা কইসেন। ভাইরে, মাথা থাকলে তো মাথা ব্যাথা হইবই। তাই বইলা মাথার ব্যাথায় পেট টিপ্লে তো মাথা ব্যাথা ভালু হইব না। কাজেই বেচারা কাক বালক কি দাড় কাক না পাতি কাক সেইডা খুজন বাদ দিয়া কামে লাগেন।
আর ২ ডা অফটপিক কথা কই। শিবির বহুত ধুরুন্দর, তারা আমার আপনার মতন ভুদাইচরিত মানুষ না, হেরা বুইজ্জা শুইনার কাম করে। দেশের সব মেধারী, প্রতিভাধর মানুষগুলারে হাত করলে পারলে না তাগো কাম সোজা হইব। তাই তারা ২ রকমের লুক দলে টানব, ভালু ছাত্র, যারা ভবিষ্যতে উন্নতি করব, শিক্ষক হইব, আর যারা তাগো দলের পেশি হইব। তবে, শিবিরে আবার কোন কোন ভালু পোলাও পেশির কামও করে। একই অঙ্গে কত রূপ!! আর তাছাড়া ভালু পুলাপাইনগো দলে টানলে বাকিরা কি করব? শিবির আমার মতন বস মুখ-খারাপ বদমেজাজি লুকরে দলে টানলে হেগো দুর্নাম হইব না? বুঝবার পারছেন? অনেকেই ভালু পুলাপাইনরে আইডল করে, তাগো অনুসরণ করে। তাগো মত হইবার চায়। আর তাছাড়া বাপে মায়েও কয়, ঐ পুলাডা ভালু, তুই হের মত হইবার পারস না?
ভালু পুলা হাতাইতে পারলে এরা ভবিষ্যতে অনেক বড় হইব, হয় মাস্টার হইব, নাহইলে বড় চাকুরি করব, তারপর এক সময় বড় আসনে বইলে শিবির হেগো দিইয়া নিজেগো কাম করাইব। একদিন দেখবেন আইন হইয়া যাইব হেগো পক্ষে। এত সুদূর প্রসারী প্ল্যান নিয়া হেরা মাঠে নামসে, আর কতিপয় মানুষ বেচারা কাক বালকরে নানান ভাবে আঙ্গুল দিতাছেন, তাইলে কেমনে চলব? এই বেচারার বিপক্ষে কইয়া আপনারা শিবিরের কত্তবড় হেল্প করতাছেন সেইটা বুজপার পারছেন?
আর আরেকটা কথা, ছাগুরামেরা অন্যখানে গিয়ে লেদা! আমার দেশের মাটিতেও না, সচলের পাতায় ও না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধর্মের অপব্যবহার রোধ করার দায়িত্ব বিশ্বাসীদের। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা স্রেফ নামায ও তিলাওয়াতের শর্টকাট পথ ধরে বেহেশতে যাওয়ার আরামটুকু ছাড়তে নারাজ বলে মনে হয় আমার। ধর্মবিশ্বাসের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তাঁদের উচিত ধর্মকে এভাবে ছিনতাই হয়ে যেতে না দেওয়া।
আরেকটি সামাজিক কুঅভ্যাস হলো ধর্মকে দুর্বল মনে করা, এর আগ্রাসী প্রচারকে প্রয়োজন মনে করা। স্রষ্টা কোটি খানেক বছর পেয়েছেন ধর্মকে প্রচার-প্রসারের জন্য। ৭ম শতাব্দিতে তিনি নিজে থেকেই বলেছেন যে ধর্ম এখন পূর্ণাঙ্গ কলেবর পেয়েছে। সেই থেকে ১৩০০ বছর হয়ে গেছে প্রায়। এখনও ধর্মকে হাঁটি-হাঁটি-পা-পা করার কোনো প্রয়োজন নেই। একে নিজের মতই ছেড়ে দেওয়া উচিত। বিশ্বাসীরা ধর্মের প্রসার দেখতে অতি-উদগ্রীব দেখেই সেই স্বপ্নে বুঁদ হয়ে অজান্তে চরমপন্থীদের passive patron হয়ে যান।
ধর্ম-প্রচারের সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত।
আমি আমার কোনো post এ কি বলছি সেটা???
আমি আমার batch এর ৪জন এর দিকে উঠা আঙ্গুলের উদ্দেশ্যে বলেছি।
যাই হোক, কিছু বলার নাই আর, মানুষজনের IUT এর জন্য LOVE AT FIRST SIGHT দেখে আমি বিমুগ্ধ।
কেও একজন আমারে কাজে নামতে বলল। আবার একটু পর বলল, আমি নাকি লেখকের গলা চিপে ধরব.....!!
জানি না আমার কোন কথায় তার এই ধারনা হোলো। GOD KNOWS.
আমি কেবল ছোট দের উচিত তাহার কদমবুচি নেয়া, এটুকুই মনে করেছি।
and frankly speaking, i don't feel, we need to do something about that, when truly passionate people like কাক বালক is still there in IUT. batch 05 is out of IUT now. Those 4, as u r claiming them who they are might be, i don't think can do much alone...
all the best কাক বালক।
and i must say, i don't have any personal hard feelings here.
thank you.
মহাজ্ঞানি ভাই নিয়াজ মোরশেদ, প্রথমত এটা বাংলা ব্লগ, দয়া করে কি একটু বাংলায় লেখবেন? আপনে ইংরেজীতে কোন কথা বললে কি তার ওজন বেড়ে যায়?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি এইটা এত দিনেও বুঝলেন না। ছিহ।। আমাগো এক স্যার ক্লাসে কিছু বুঝানোর পরে বলত "Do you understand?" বুঝাইতো যদিও বাংলায়। আপনারেও আমি জিগায় Saif Bro, Do you understand? ব্রোটা ইস্মার্টনেস দেখাইতে নিজেই লাগায় দিলাম
understand? আমি নিচে খারামু কিল্লিগা? কার নিচে খারামু? ভুদাইচরিত মানুষ মানুষ আমি, বুঝায়া না দিলে বুঝুম কেমতে , সাফির মন্তব্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বাহ বাহ, মনে হলো এই blog এই আমি ই প্রথম ব্যাক্তি হিসাবে ইংরেজি লিখলাম.....!!!!
এতক্ষণ ধরে আমি নাকি, লেখার সারফেইসের বাইরে ঘুরি বলা হইলো....!!
<ধরে নিলাম, কথা বলার মত কিছু না থাকলে মানুষ FOUL পেঁচাল পারে>
আর জনাব সাফির মন্তব্যে মন্তব্য করার প্রয়োজন বোধ করলাম না, তার একটা jokes মনে পড়ছে, সে লিখে ফেলেছে। সে বুঝতেই পারেনাই এখানে jokes বলাবলি হচ্ছেনা।
বি.দ্র. : FOUL, jokes ইংরেজি শব্দযুগল ব্যবহারের জন্য লজ্জিত।
এবং যা, না বললেই নয়, আমার আগের লেখাটা কাক বালকের জন্য ছিল, অন্যান্য কাকেরা কেন আসলো, ঠিক বুচ্ছিনা.....!!
মজা পাইছি। লেগে থাকো সবাই।
তবে আই উ টি ছেড়ে শিবির এর পিছে লাগলে বেশি ভালো হয়।
- এইটা একটা জটিল কমেন্ট হৈছে। এই থ্রেডে সেরা কমেন্ট আমার মতে!
হা হা হা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকাছে; এ্যস্ট্রনমির সাথে হাত দেখার ঐ কমেন্টাও কম নয়
যাই হোক,ব্যাপার হলো আই ইউ টি তে শিবির এর আস্ফালন টিকবে না,আই ইউ টি পোলাপান ৩ মাস ১০ দিনে পাশ করার উদ্দেশ্য নিয়েই হোক আর আই ইউ টি সম্পর্কে অ্ন্য কোনো ভালো ধারণা থেকেই হোক,পড়তে আসবেই।এই ধারা এতটাই শক্তিশালী যে এর কাছে এই সব সীমাবদ্ধতা খুব-ই নগণ্য!অন্তত,আই ইউ টি তে ইদানিং যারা গেসেন তারা জানবেন এই সব শিবির,জংগি টপিক গুলো নিয়ে ভর্তিচ্ছু পোলাপানদের গার্ডিয়ানদের কোনো মাথাব্যাথা নাই মাথা ব্যাথা বরং ছেলেকে ইলেক্ট্রিক্যাল পড়াবে না কম্পিউটার!
যাউকগা,পোস্ট গুলো পরে মনে হোলো অনেকের কুম্ভীরাস্রু ঝরতেসে।আই ইউ টি সম্পর্কে কিছু জানতে যাদের উইকি'র সাহায্য নেয়া লাগে,তাদের এইসব আউল-ফাউল মন্তব্য দিয়েই সচল ভরপুর।আমার কথা হোলো,আই ইউ টিয়ান্দের সমস্যা সমাধানে আই ইউ টি র পোলাপান আর ছাত্র শিক্ষকদেরই এগিয়ে আসা দরকার...সচলে এ নিয়ে কচলা-কচলির ভুমিকা গৌণ।সচলের মানুষেরা শুধু লেখাতেই সীমা্বদ্ধ থাকবে (আপাতত খুব বিতর্কের মজা নিবে,পরে ভুলে যাবে)...লজি্কটাও খুব সোজা...এরা আই ইউ টি সম্পর্কে প্রায় সবাই পুরাই অজ্ঞ! আই ইউ টি কে আজকের অবস্থায় এনেছে এর ছাত্ররা!কোনো মিডিয়া বা ব্লগ না।এর ছাত্র্ররা যথেষ্ট সচেতন আই ইউ টি'র উন্নতিকল্পে,সচলে লিখে এই সচেতনতা বাড়ান এক্টি খুব হাস্যকর প্রয়াস মাত্র!দেখা যাক,সচলের প্রজ্ঞাবান মানুষেরা কতটুকু আই ইউ টি র সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে!আরো বড় কথা হইলো আই ইউ টি র সুনাম এতটা ঠুনকো নাকি যে সচলে লিখলেই কমে যাবে?সুতরাং এমনটা ভাবা নিতান্তই অবান্তর!......
এই কথা গুলো সচেতন ভাবেই বলা,নাইভ হয়ে কিনবা অন্ধ প্রতিষ্ঠানের প্রতি মায়া থেকে নয়!...............
সচলে এর আগে বুয়েটের সমস্যা নিয়েও লেখা হয়েছে এবং বুয়েটের নীতিনির্ধারণে সেই লেখা যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। গরুর রোগ নিয়ে আলোচনায় সলিমুদ্দির গরু উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে; কিন্তু চিকিৎসাটা কলিমুদ্দির গরুর জন্যও প্রযোজ্য। এজন্যই সচলের মতো প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আইইউটিয়ানরাই একমাত্র লেখক না, সেখানে শিবির সমস্যায় আইইউটির উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
এখানে একজন একটা লেখা দিলো, সেটা আইইউটির কেউ লিখুক বা অন্য কেউ লিখুক, সেটা গৌণ বিষয়। সমস্যায় ফোকাস করুন। আর শিবির এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা, এতে আইইউটির একার সুনাম নষ্ট হওয়ার মতো কোনো ব্যাপার নেই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তার মানে শিবিরের আস্ফালনের ব্যাপারটা মিথ্যা না!
আমার জানা মতে শিবিরের মূল উদ্দেশ্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় দখল না বরং বাংলাদেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা। ধরেন একজন সাধারণ ছেলে আইইউটিতে ঢুকল (বা তাকে তার অভিভাবক ভর্তি করল) এই ধারণা নিয়ে যে এখানে কোন রাজনীতি (বা শিবির/জঙ্গি কর্মকাণ্ড) নাই। তারপর তার মাঝে আস্তে আস্তে ইসলামী মূল্যবোধের নামে শিবিরের মূলমন্ত্র ঢুকায়ে দেওয়া হইল, সে ৪ বছরের কম সময়ে একজন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে বের হল ঠিকই, কিন্তু সে ধ্যানধারণায় একজন মৌলবাদী। ব্যাপারটা আরো ভয়ংকর হবে যখন সে নিজেই জানবে না যে সে শিবিরের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। এই ছেলেটা যখন বড় কোন পদে যাবে, নীতিনির্ধারক হবে, তার নেয়া সিদ্ধান্ত কি শিবিরের মূলনীতির প্রতিফলক হবে না? শিবির হয়তো অস্তিত্বের স্বার্থে কখনই আইইউটিতে মানুষের রগ কেটে ফেলে রাখবে না (আমি নিশ্চিত নই!), কিন্তু তার চাইতে আরো অনেক বড় ক্ষতি তারা করবে, তা হল শিবিরপন্থী উচ্চশিক্ষিতদের জন্ম দেয়া। শিবিরের নীরব আস্ফালন না টেকার কোন কারণও দেখছি না, কারণ তারা আইইউটিতে কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে ঢুকে নাই, এবং ব্যাপারটা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করারও কোন উপায় নাই। সুতরাং সচেতনতা সৃষ্টি করার বিকল্পটা কী? তাছাড়া সচেতনতা সৃষ্টি করা তো শুধু আইইউটির (বা আইইউটির সুনামের) স্বার্থে না, এটা একটা জাতীয় ইস্যু। আজ থেকে অনেক বছর পর নিশ্চয়ই আপনার শুনতে ভাল লাগবে না, "ওহ, আইইউটি, ওটা তো শিবিরপন্থী প্রকৌশলীদের জন্মস্থান, দেশটা তো এরাই খাইলো"?
আর সচেতনতা গোড়া থেকেই সৃষ্টি করতে হয়, বিন্দু বিন্দু পানিই সাগর গড়ে তোলে। একজন কাকবালক তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে, যখন আপনার টার্ন আসবে (মানে আপনি যখন বুঝতে পারবেন ব্যাপারটার গভীরতা) আপনি কী করবেন দেখব।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
তার মানে শিবিরের আস্ফালনের ব্যাপারটা মিথ্যা না!
আমার জানা মতে শিবিরের মূল উদ্দেশ্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় দখল না বরং বাংলাদেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা। ধরেন একজন সাধারণ ছেলে আইইউটিতে ঢুকল (বা তাকে তার অভিভাবক ভর্তি করল) এই ধারণা নিয়ে যে এখানে কোন রাজনীতি (বা শিবির/জঙ্গি কর্মকাণ্ড) নাই। তারপর তার মাঝে আস্তে আস্তে ইসলামী মূল্যবোধের নামে শিবিরের মূলমন্ত্র ঢুকায়ে দেওয়া হইল, সে ৪ বছরের কম সময়ে একজন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে বের হল ঠিকই, কিন্তু সে ধ্যানধারণায় একজন মৌলবাদী। ব্যাপারটা আরো ভয়ংকর হবে যখন সে নিজেই জানবে না যে সে শিবিরের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। এই ছেলেটা যখন বড় কোন পদে যাবে, নীতিনির্ধারক হবে, তার নেয়া সিদ্ধান্ত কি শিবিরের মূলনীতির প্রতিফলক হবে না? শিবির হয়তো অস্তিত্বের স্বার্থে কখনই আইইউটিতে মানুষের রগ কেটে ফেলে রাখবে না (আমি নিশ্চিত নই!), কিন্তু তার চাইতে আরো অনেক বড় ক্ষতি তারা করবে, তা হল শিবিরপন্থী উচ্চশিক্ষিতদের জন্ম দেয়া। শিবিরের নীরব আস্ফালন না টেকার কোন কারণও দেখছি না, কারণ তারা আইইউটিতে কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে ঢুকে নাই, এবং ব্যাপারটা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করারও কোন উপায় নাই। সুতরাং সচেতনতা সৃষ্টি করার বিকল্পটা কী? তাছাড়া সচেতনতা সৃষ্টি করা তো শুধু আইইউটির (বা আইইউটির সুনামের) স্বার্থে না, এটা একটা জাতীয় ইস্যু। আজ থেকে অনেক বছর পর নিশ্চয়ই আপনার শুনতে ভাল লাগবে না, "ওহ, আইইউটি, ওটা তো শিবিরপন্থী প্রকৌশলীদের জন্মস্থান, দেশটা তো এরাই খাইলো"?
আর সচেতনতা গোড়া থেকেই সৃষ্টি করতে হয়, বিন্দু বিন্দু পানিই সাগর গড়ে তোলে। একজন কাকবালক তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে, যখন আপনার টার্ন আসবে (মানে আপনি যখন বুঝতে পারবেন ব্যাপারটার গভীরতা) আপনি কী করবেন দেখব।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ভাই ঘাড় ত্যাড়া, নিজের মন্তব্যটা কি পড়ে দেখেছেন? মনে হয় না পড়ে দেখেছেন! আপনার কথা শুনে মনে হল ডিএমসি বা বুয়েটে শিবির আছে শুনে সেখানে কারো ভর্তি হতে কেউ দ্বিধা বোধ করেন। প্রতিষ্ঠানের সুনাম নিয়ে এই পোষ্ট নয়, তবে শিবির সমগ্র দেশের সমস্যা, আপনার এই উদাসীনতার উপর ভর করেই শিবির এগিয়ে যাবে, আর আপনে এসে বলবেন, "ডাইলে কি আমচুক দিছো? মুই যে চুষনু?" গনসচেতনতা তৈরিতে সচলের ভূমিকা অবশ্যই আছে। যার যা খুশি এসে এখানে লেখে যাবেন, আর সেটা ছাড়া পাবে এমন জায়গা সচলায়তন নয়, শিবিরের চেয়ে সুনাম আপনার কাছে বড় হল?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মন্তব্য নানান সময়ে এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছে দেখা যাচ্ছে। আউট অভ ফোকাসও হয়ে যাচ্ছে। সেসব নাহয় অন্য সময়ের জন্য তোলা থাকুক। আপাতত সবাই 'শিবির' ইস্যুতে ফোকাস করি চলেন। কেউ যদি প্রাসঙ্গিক ও গঠনমূলক কিছু না বলতে পারি, তাহলে নাহয় চুপ থাকি। যাঁরা বলবেন, তাঁদের আলোচনা দেখি। দরকার হলে তাতে নিজেদের মতামত যোগ করি। সমালোচনার চাইতে আলোচনা বেশি কাম্য এখন।
শিক্ষানবিসের মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। খুব ভালো লেগেছে ওর গোছানো মন্তব্যটা।
সবাইকে ধন্যবাদ।
কী সর্বনাশ !
এখানে আসলে সর্বনাশের কিছু নাই। 0.5% শিবির আর তার ২% সমব্যথীরা মনে করে ৯৯% লোকই তাদের মতো লুলা-কানা। উপরে বর্তমান আর প্রাক্তন আইইউটিয়ানদের মন্তব্য দেখলে বুঝবেন, ছাত্রদের সিংহভাগই অত্যন্ত সচেতন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেই রোখার আলোচনাই তো হচ্ছে। তাতে আপনার জ্বলার কারণটা ধরতে পারতেছি না।
কাকবালক সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটুকপি দিয়েন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনে পাথরের গোলোকে পিন ঢুকানোর চেষ্টা করতেছেন বস, এই বেচারাতো এখনো ডিনায়াল কাটায় উঠে নাই, ইনারে মাথায় কিছু ঢুকাইতে হইলে হাতুড়ি লাগবে, নাহলে ড্রিল করা লাগবে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সিরাম!!!
---------------------
আমার ফ্লিকার
বোঝা যায় না, মেনে নিলাম ভুল বুঝেছি। এবার আমার আগের মন্তব্যের বাকিটাও পড়তে অনুরোধ করব।
অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিপ্রায় কি এটাই নয়? তাহলে সেখানে শিবির আস্ফালন করার সুযোগ পেল কেন? আপনি বলবেন, সেখানে রাজনীতি আছে তাই। আপনার এ কথার উত্তর আমার আগের মন্তব্যেই আছে (শুধু আমার নয়, আরো অনেকের মন্তব্যেই আছে; একটা জায়গায় তর্ক করতে আসলে দু'পক্ষের কথাই শুনতে বা পড়তে হয়)।
আপনি মাথা ঘামান না বুঝেছি। আমিও ঘামাতাম না। বাকি ১% যে ঘামায়, তারাই কিন্তু শিক্ষক হয়ে গেছে। ১% যাতে না বাড়ে বরং কমে ০% হয়, সেই সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই কিন্তু কাকবালকের এই লেখা।
আপনার কি মনে হয় না, নাম গোপন করেও যাকে ভার্চুয়াল জগতেই এত কথা শুনতে হচ্ছে, নাম গোপন না করলে তার অবস্থা বাস্তবে কী দাঁড়াত? সে হয়তো এ বিষয়ে এমন কিছু জানে যা আপনি জানেন না, এমন তো হতেই পারে, নাকি? আইইউটিয়ান্স-এ দিলে কি হত এটা জানতে উপরে ৬৬ নম্বর মন্তব্যটি পড়ে আসুন।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
দয়া করে আমার মন্তব্যের ভিতরের বাক্যটি নি্চের মত করে বুঝে নিবেন!
..শিবির এর ব্যাপারটা IUT তে একদমি নেই(আমার মতে,যদি না আমি চার বছর ধরে IUT তে বোবা আর কালা অবস্থায় বি এস সি পাশ করে থাকি!).........
সেটা হয়ে থাকলে খুবই ভালো। কিন্তু আপনার বক্তব্য প্রমাণ করতে পারবেন? কাক ভালকের কথা মানতে চাননা, কারন সে নিকের আড়ালে আছে, আপনেও তো নিকের আড়ালে, আপনার কথা মানব কেন? আর শিবির নাই এমন কোন জায়গা আছে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। তারচেয়ে বরং আপনে বোবা কালা হয়ে পাশ করেছেন সেটা বিশ্বাস করা সহজ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
- ভাই ঘাড় ত্যাড়া, আপনার হাউকাউ দেখে উইথ ডিউ রিসপেক্ট বলতে বাধ্য হচ্ছি হয় আপনি আসলেই 'বোবা-কালা' নাইলে আপনে নিজেই শিবিরপন্থি, সোজা হিসাব! স্যরি টু সে দ্যাট ইন ব্লাডি ডিরেক্ট টোন, বাডি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই পোস্টটা অনেক পরে চোখে পড়েছে। পোস্ট ও সবগুলো মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।
বিষয়টা কতটা স্পর্শকাতর তা পোস্টের হিট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আই ইউ টি সম্বন্ধে আমার জ্ঞান সীমিত। তবে বিষয়টা নিয়ে ইয়াহু গ্রুপে আলোচনা করা উচিত ছিল এই বক্তব্যের পেছনে যুক্তিটা মাথায় ঢুকল না।
কাকবালক'কে ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
উত্তেজনায় ৩ বছর ১০ মাসকে ঘাড়ত্যাড়া ভাই ৩ মাস ১০ দিন লিখে ফেলেছেন দেখলাম। আপনি ঠাণ্ডা হন ভাই। আপনাকে তো সেমিস্টার বিসর্জন দিয়ে কেউ শিবির ঠ্যাঙানোর দাওয়াত দিচ্ছে না। শিবির প্রতিরোধ করলেও আপনারা ৩ বছর ১০ মাসেই পাশ করবেন। নাকি শিবিরের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে গেলে আইইউটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে?
দুঃখিত,অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারণে
আগে শুন্তাম মানুষের হাতুড়ে ডাক্তার এর কথা আর এখন দেখতেসি গরুরও হাতুড়ে ডাক্তার আছে!!
তা ভালো তো,এহেন গরুর ডাক্তার এখানে ছাই পাশ না লিখে গরুর এক্ শ বালাই এর উপর এক্ খান চটি বের করলে মনে হয় ভালো কাটতি পড়বে!আশা করি ওখানে আবার গরুর রোগের কথাই লিখা থাকবে,"গরুর ওষুধে যদি আবার মানুষ ভালো হয়!" এটা ভেবে আবার উল্টো পাল্টা কিছু লিখা থাকবে না!!!!তাহলে হয়্তও সমাজের কিছু ঘাড়
বাকা রা এসে বেচারা গরুর ডাক্তারের ঘাড় টাই ভেঙে দিতে পারে!!
সচলে দেখা যায় কথার আসল মর্ম বুঝেও না বুঝে অ্ন্য অর্থ করে নিজেদের ভাষার উপর অতি দখল(গাধামি) দেখানর মতো মানুষের অভাব নেই! ব্যাপার না,এদের সময় দেয়াও অনেক বড় বোকামী যা এতক্ষণ ধরে করে এক্ষণ বিশেষ মর্ম পীড়ায় ভুগতেসি!
এনিওয়ে, সো ফার আপনি সফল। পোস্টে ছাগোলে মুখ দিলে পোস্ট বাড়ে না - এই আপ্তবাক্য জানার পরেও চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
, বাহ বাহ, তোফা তোফা, বগল বাজাইতে ইচ্ছা করতেছে। প্রথম থেকেই আপনে আলোচনার বিষয় ঘুরাচ্ছেন, পানি ঘোলা করছেন, যাতে করে আমরা আসল আলোচনা থেকে সরে যাই। মানুষ বা গরু যার ডাক্তারই হোক না কেন, তার সাথে এই পোস্টের কি সম্পর্ক? আপনে ব্যঙ্গ করতেছেন, আর ঐদিকে শিবির শিকড় গারছে, যখন চোখ খুলবেন, তখন আপনারই ভাই বা ছেলেকে IUT এর মাঠে জবাই করবে বা রগ কেটে ফেলে রাখবে, তখন খালি বিলাপই করবেন। পারলে তখন নিজেকে নিয়ে একটু ব্যঙ্গ কইরেন। নিজেরা ভালো কিছু করবেন না, অথচ কেউ করলে তাকে বাধা দিবেন কোমর বেঁধে। আপনারাই এসে আবার বলেন, সচল একটি ক্লোজড কমিউনিটি, নিজের চোখে ঠুলি পরে অন্যকে অন্ধ বলে আবার অন্যদেরকেই ব্যঙ্গ করেন, আপনার পিঠ চাপড়ে দিতে ইচ্ছা করছে ভাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও 'বিশেষ মর্মপীড়া'য় ভুগছি কারণ আপনার পিছনে অহেতুক কিছু সময় নষ্ট হল। ধন্যবাদ।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আপনি যেমন এক দুই জন সচলের বক্তব্য (তাদের বক্তব্য ঠিক না ভুল সে প্রসংগে না যাই) অপছন্দ হওয়াতে পুরো সচলের ঘাড় ধরে টান দিলেন , তেমনে "negligble" শিবিরের কারণেই দুদিন পরে পুরো আইউটির ঘাড়ে টান পড়বে। সেটা যেন না হয়, সেই জন্যই এত কথা
আমি তো ভাই আপনার ভক্ত হয়া গেলাম । এগ্জন সচলে গঠনমুলক আর মুক্তমনাদের অভাব দেখতেছেন । আর আপনি দেখতেছেন গাধা !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অত্যন্ত হতাশ হলাম এরকম একটা পোস্ট দিয়েও কাক-বালক-এর উপর আক্রমণের পরিমাণ এতো কম দেখে ! আর যেটুকু হয়েছে তাও সম্ভবত নিজেদের ইয়াহু-গ্রুপে পোস্টটি না দিয়ে আমাদের বাইরের লোকজনকে সংশয় ও আশঙ্কার কথাটা জানিয়ে দেয়াতে। হা হা হা !
আচ্ছা, যারা আইইউটি থেকে পাশ করেছেন বা করছেন বা আগামীতে করবেন তারা সবাই কি সেখানেই থেকে গেছেন বা থেকে যাবেন, না কি বাইরে বেরিয়ে এসে আমাদের আশেপাশেই বিচরণ করবেন ? যদি আমাদের আশেপাশেই অর্থাৎ গোটা দেশেই ছড়িয়ে যান, তাহলে তো ভাই আমাদের নিশ্চয়ই চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত যে আপনি কোন ভাইরাস আক্রান্ত কিনা ! এটা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং সামাজিক ও জাতীয় পরিবেশের জন্যে হুমকীর উৎস হতেই পারে যদি সেই প্রতিষ্ঠানটি ভাইরাস প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠে বা উঠতে চায়। লজ্জাস্থানে ক্ষত হলে চিকিৎসার প্রয়োজনেই লজ্জা তো উন্মুক্ত করতেই হবে ! এতে লজ্জানম্র হওয়া যেতে পারে, ক্ষুব্ধ হবার তো কিছু দেখি না ! যারা ক্ষুব্ধ হন, ধরে নিতে হবে যে তাদেরও কৃতকর্মের চিহ্ন সেখানে লুক্কায়িত রয়েছে।
কাক বালক-কে শুধু ধন্যবাদ নয়, কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছি আমি, আমাদের আরেকটা সম্ভাব্য আশঙ্কার ক্ষেত্রটাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্য। এবং এটা সচলায়তনে পোস্ট করার জন্য। যে সচেতনতা তৈরি হবে এতে দূরবর্তী হলেও এর ইতিবাচক ফল কম হবে বলে মনে হয় না। পোস্টের হিট দেখেই তা আঁচ করা যায়।
এটা কারো কারো জন্য যে গায়ে জ্বালার কারণ হতে পারে তা তো মন্তব্যগুলো পড়েই আঁচ করতেই পারছি। ব্যক্তি আমি হয়তো সুনির্দিষ্টভাবে সেখানকার সমাধানে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে পারবো না, তবে আর পাঁচটা লোক যে আমার মাধ্যমে সচেতন হয়ে উঠবেন না তা কী করে বলি ? তাই রেপুটেশান নষ্ট হবার ধূয়া তুলে যারা সমস্যাটাকে পাশ কাটাতে চাচ্ছেন সেটা সম্ভবত যুক্তিসঙ্গত হচ্ছে না। কোন কোন ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকও মনে হচ্ছে।
তাই সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকাটাই সমীচীন হবে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
প্রথমে দু'টি বিষয়ে একটু পরিষ্কার ধারনা দিতে চাই :
১। এটা সত্য যে IUT তে শুধু মুসলমান ছাত্র ভর্তি হতে পারে। কিন্তু এর পেছনে যেই যুক্তিটা OIC এর ছিলো সেটা অনেকটা এরকম : প্রতি সদস্য দেশ থেকে ২ জন করে ছাত্র ভর্তি হতে পারবে এমন একটা কাঠামো দাঁড় করানো এই জন্য IUT তে প্রতি ব্যাচ ছাত্রসংখ্যা ১৫০ জন। সেজন্যই ওই মুসলিম শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ host country হিসেবে ভর্তি না হওয়া আসন গুলোতে নিজের দেশের ছাত্র ভর্তি করার সুযোগ পাচ্ছে।(এর মানে এই না আমি শুধু মুসলমান ছাত্র ভর্তির পক্ষে যুক্তি দিচ্ছি, আমি শুধু কর্তৃপক্ষের যুক্তিটা দিলাম। আমি এখনো মনে করি সব ধর্মের ছাত্র যেনো ভর্তি হতে পারে সেরকম পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।)
২। মেয়ে ভর্তি প্রসংগে,(মেয়ে ভর্তি হলে আমার চেয়ে বেশী খুশী কেউ হতো না, কপাল খারাপ কি করুম ) যেহেতু ক্যম্পাসেই থাকতে হয়, আর হল দু'টো ও এক-ই সাথে তাই করানো হয় না। তবে VC স্যার ওয়াদা দিয়েছেন আমরা না পারলেও আমাদের সন্তানেরা IUT তে co-education পাবে ।
এখন আসি শিবির প্রসংগে:
আছে কি নাই এই বিতর্কে যাবো না। তবে এই ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ। অবশ্যিই এই ব্যাপারে আমরা (এখানে আমরা বলতে আমি আমাদের ব্যাচকে বুঝিয়েছি) পদক্ষপ নেবো, ইউনি খুললেই।
আর কাক বালক ভাইয়া, আপনি দয়া করে আপনার কাছে যে প্রমাণ গুলো আছে, বা যাদেরকে আপনি চিনেন বললেন, তাদের পরিচয় বেনামেই হোক আমাদেরকে জানিয়ে দিন, যাতে আমরা সতর্ক হতে পারি। এখন বেনামে কিভাবে দিবেন? আপনি facebook / yahoo যেখানেই হক একটা অন্যনামে একাউন্ট খুলে গ্রুপে গ্রুপে দিয়ে দেন, অথবা, আমাকে মেইল করে দেন ছড়ায় দেয়ার দায়িত্ব আমার। যদি মরতে হয় একটা দুইটা শিবির লইয়া মরুম। তবুও এই বানচো*** গুলারে গুস্টি উদ্ধার কইরা ছাড়ুম। IUT এর নামে কলংক লাগাইসে কত্তো বড় সাহস। মুখ ভর্তি গালি আইতেসে কিন্তু দিতে পারতেসি না কমেন্ট ছাপবো না। আপনি রাজি থাকলে এই কমেন্টের জবাবে বলেন, আমি আমার মেইল আই,ডি দিয়ে দেব।
তবে একটা ব্যাপারে কষ্ট পাইসি, সচলে যারা আছেন তাদেরকে গঠনমুলক আর মুক্তমনা বলেই জানতাম, কিন্তু কয়েকজনের মন্তব্যে মনে হচ্ছিলো, যে বাংলাদেশের একমাত্র IUT তেই শিবির আছে আর IUT তেই সাম্প্রদায়িকতা আছে। সচলের লেখকদের কাছ থেকে এটা আশা করিনি।
ধন্যবাদ।
-একজন নীল ভুত।
নীল ভুত ভাইসাহেব, একটু যদি দয়া করে মন্তব্য ধরে ধরে অভিযোগ করতেন তাহলে একটু ভালো হতো । আম্রা যারা "গঠনমুলক আর মুক্তমনা" না তারা নিজেদের শুধরে নিতে পারতাম ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কেউ একজন আই,ইউ,টি -কে মাদ্রাসা বলেছেন, এখন শুধু মাত্র মুসলমান ছাত্র পড়ে দেখে মাদ্রাসা বলাটা (মেয়ে পড়তে পারে না এই প্রসংগ না আনি, কারণ বাংলাদেশ দুইটা ইউনি আছে যেখানে শুধু মেয়েরা পড়তে পারে ইডেন কলেজ এবং সেন্ট্রাল উইমেন্স।) কতোটুকু মুক্তমনা চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটায় জানাবেন। কোন মন্তব্যে আছে সেটা বের করতে হইলে আমারে আবার সব গুলা কমেন্ট পড়তে হবে, দয়াকরে বিশ্বাস করেন কে জানি এটা কইসে।
আর হাসিব ভাই আমার পোস্ট আপনার শেষ লাইনটাই চোখে পড়লো, তার আগে যে শিবিররে চু** চাইলাম সেটা নিয়া কিছু কইলেন না ?
- কিছু বললেই হয়তো ঘাড় ত্যাড়া ভাই তেড়ে আসবেন আমার দিকে কিংবা নিয়াজ ভাই তার জুনিয়র টুনিয়র নিয়ে চলে আসবেন আমার কদমবুসি করতে। নতুবা উঠে পড়ে লাগবেন ধুসর গোধূলি'র ঠিকুজি খুঁজে বের করতে!
প্রস্তাবিত যে ৪ জন শিক্ষকের কথা উঠেছে তাদের একজনের কথা বলি, রিয়াজ হাসান। এখন নিয়াজ মোর্শেদ, আপনিই বলুন আপনার অতীব পরিচিত এই বন্ধুটির রাজনৈতিক অরিয়েন্টেশন কী? নাকি আমাকেই কষ্ট করে জানান দিতে হবে তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পাল্লা কোন দিকে হেলে আছে!
চোখ খোলেন ভাইজান। চোখ বন্ধ করে কেবল বন্ধুতার খাতিরে একদিকে ঠেইলেন না। রিয়াজ হলো চিহ্ণিত শিবিরপন্থী, বাকিরাও তাই। পারলে তাদের নিয়োগ ঠেকান। যদি আইইউটিকে ভালোবেসে থাকেন। আমাদের মতো "লাভ এট ফার্স্ট সাইট" মার্কা পাবলিকের কথা নাহয় বাদই দেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চল ধুগা আমরা একটা সাইন্স ক্লাব খুলি সেইখানে । শিবিররে আমরা এইবার বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে ঠেকাইয়াই ছাড়বো
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধূগোদা,
আপনি যেই রিয়াজ হাসানের কথা বলছেন, তাকে আমি গত দুই বছর ধরে চিনি। উনি ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট(এর বাংলা জানি না) অথবা সাধারণ সম্পাদক। আমি জানি না আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে কিনা, কিন্তু ডিবেটিং করার সুবাধে উনার সাথে গত দুই বছরে চলতে হয়েছে। কিন্তু উনাকে তো কখনো দেখি নাই আমাদের কাউকে বলছেন যে, আসো 'ইসলামের ছায়াতলে' আসো। একদিন ও তো নামায পড়ার জন্য বলেন নাই। উনি ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী, এবং সে তার ধর্ম পালন করেন। এই জন্য যদি কাউকে শিবির বলেন সেটা ভিন্ন কথা। আর হ্যাঁ উনি ডিবেটিং করানোর জন্য অনেক পীড়াপিড়ী করতেন।
আমি আমার জানা কথা গুলো বললাম, এখন আপনি আপনার যুক্তি গুলো উপস্থাপ্ন করুন। ধন্যবাদ।
একজন নীল ভুত।
- ধন্যবাদ নীলভূত।
একটু কষ্ট করে উপরে ৬৮.৭.৪.১.২.১.২.১ এই কমেন্টটা খুঁজে বের করে পড়বেন দয়াকরে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়'র মন্তব্যের ওখানে আছে।
তারপরেও প্রমাণ চাইলে বইলেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ, ধুগোদা। আমি IUT -এর আর সবার মনের অবস্থা জানি না, তবে আমি ভার্সিটি খুললে উনার কর্মকান্ড আরো গভীর ভাবে লক্ষ্য করবো, আর যদি উনি সত্যি সত্যি শিবিরপন্থী হয়ে থাকেন, আর কেউ না করলেও আমি একা হইলেও প্রতিবাদ করুম। এজন্য যদি আমাকে hall restricted হইতে তাইলেও রাজি আসি।
আসলে জানেন ধূগোদা IUT নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম। আমি বাসার সবার মতের বিপরীতে ভর্তি হইছিলাম। বুয়েটের আর্কিটেকচার -এ চান্স পাইয়াও ভর্তি হই নাই। তাই যখন এই পোস্ট টা দেখছি বুকের মধ্যে কেমন যেনো একটা ব্যাথা লাগতেছিলো। তবে আমার যতোটুকু করতে পারি, অবশ্যই করবো।
দোয়া করবেন।
একজন নীল ভুত।
- এতো এতো মন্তব্যের পরেও যখন কেউ কেউ একটা জায়গাতেই ঘুরপাক খায় তাইলে কষ্ট লাগেরে ভাই! বারবার করে বলা হচ্ছে আইইউটি'র ভেতরে কেউ আপনাকে সরাসরি জামাত, শিবির, আসো ইসলামী রাস্ট্র কয়েম করে ফেলি— এগুলা কেউ বলবে না। কারণ এটা সবাই জানে এরকম কথা প্রচার করা মাত্রই প্রচারকারীকে এক্সপেলড হতে হবে। এটা জানার পরেও যখন দেখি কেউ এখনও বেশ জোরেশোরে জানান, "কই তিনি তো আমাকে শিবির করার দাওয়াত দেন নাই, অতএব উনি শিবিরপন্থি না, ভালো মানুষ।"
এই ধারণা আপনিও পোষণ করছেন, এই পোস্টের একদম নিচের দিকে ঘৃণিত বলে একজনও করে গেলেন।
একটা ফ্যাক্ট বলি শোনেন, আপনাদের ব্যাচ কেনো, আরও দুই-তিনটা-দশটা ব্যাচ নিয়েও তারা মাথা ঘামাবে না। তাদের ভাবনা হলো দশম ব্যাচের পরে। এর মধ্যে একজন-দুইজন-চারজন-আটজন এই প্রক্রিয়ায় এগুবে যতোক্ষণ না তারা পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পাবে। আর এর মধ্যে রিয়াজদের মতো লোকজন প্রতিটা ব্যাচ থেকেই প্রশাসনের দিকে এগুতে থাকবে আস্তে আস্তে।
তারপর কী হবে? আপনিই বলেন, আমি শুনি।
বাংলাদেশে কোনোদিন ইসলামি রাস্ট্র কায়েম হবে কিনা, এই নিশ্চয়তার ঋণাত্বক উত্তর যে কেউ দিতে পারে। মাঝ থেকে যা হবে কতোগুলা ব্রেইন ওয়াশড প্রতিভাবান ছেলে আইইউটি থেকে বের হবে ইসলামি রাস্ট্র কায়েমের স্বপ্ন নিয়ে। আর এরাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেশের পাছাটা মারবে। বাংলাদেশকে বরণ করে নিতে হবে আফগানিস্তান কিংবা ইরানের মতো শয়তানের অক্ষের খেতাব। সেই দিনের জন্য শুভকামনা জানায়ে রাখলাম আগেই তাদেরকে, যাদেরকে এখনও রিয়াজ হাসানরা জামাত-শিবির করার দাওয়াত দেয় নাই আইইউটিতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বরজারিতে কাহিল অবস্থারে ভাই । তয় আশেপাশেই আছি । মজাক মিস নাই কোন
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বসুদার কথা ভালো লাগলো। সমস্যা থাকলে লজ্জা করে লাভ নেই তাতে সমস্যা আরও বাড়বে।
কিন্তু যেখানে সমস্যা নেই সেখানে জোর করে সমস্যা বের করাও একটা সমস্যা। তাই কাক-বালককে ধন্যবাদ দেওয়ার আগে উচিত হবে ঘটনাটা ভালো মত যাচাই করা। যদি কাক-বালক সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে তবে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়াই সমীচিন হবে। কিন্তু কাক-বালক নিজেও নিশ্চয়ই ভুলের উর্দ্ধে নয়।
যারা কাক-বালকের বিরোধিতা করলো, তারা স্বার্থাণ্বেষী, আইইউটির বাইরের কারো পক্ষে এই জাতীয় মন্তব্য করা অবশ্যই অনুচিত। আমার ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইবো, কিন্তু আইইউটির প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে বরং কাক-বালকের লেখনীটিই অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে। এমনও হতে পারে হুজুর টাইপের কোন শিক্ষক কাক বালককে পরীক্ষায় কম নাম্বার দেওয়ায় সে বিরক্ত।
তবে আমার ভুল হওয়া টাও অস্বাভাবিক নয়।
আইইউটি অত্যন্ত চমতকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইনশাআল্লাহ আইইউটি সামনে আরো ভালো করবে।
কাকবালককে অভিনন্দন বিষয়টা আলোকপাত করার জন্য, আপনার উদ্দেশ্য এখানে অধিকাংশের কাছেই পরিস্কার। যারা এটার অন্য অর্থ করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যই আমার কাছে পরিস্কার লাগছে না। আমি দুৎখিত।
আর Thread এর আলোচনাটা আপনার উদ্দেশ্যের পথে হাটুক এটাই কাম্য। উপরে তাকালেই দেখা যাবে Thread টা মাঝে বেশ কয়েকবার পথ হারিয়েছে - এদিক সেদিক চলে গেছে। আবার কেউ কেউ আন্তরিকভাবে সেটাকে মূলস্রোতে ফিরিয়েও এনেছেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। পড়ে অনেক কিছু জানতে পারছি, উৎকন্ঠিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই আপাতত।
এইখানেও মন্তব্য নেয়া বন্ধ করার সময় চলে আসছে মনে হয়! কারণ, কথাবার্তা তো দেখি একই বৃত্তে ঘুরতেছে।
এতো এতো কথা হয়ে গেছে
খুব বেশী বলার নেই কিছু
শুধু
কাক বালক কে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
যে করেই হোক জামাতী শয়তানগুলাকে ঠেকাতে হবে। বেজন্মাগুলা যদি অন্যের মগজ ধোলাই করতে পারে তবে সাধারন ছাত্ররা সংগঠিত হয়ে ওদের ঐ মগজ ধোলাইয়ের বিরুদ্ধে সুকৌশলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, ঠিক যেমনটি বলেছেন ধূগোদা।
কাক-বালককে অনেক ধন্যবাদ এখানে তুলে ধরার জন্য। শিবিরের অপকর্ম কোন প্রাইভেট গ্রুপে নয়, পাবলিক গ্রুপেই তুলে ধরতে হবে। যারা ব্যাপারটি গোপন রাখতে চায় সহজেই বোঝা যায় তারা কারা ... ... ... !!!
============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অনেক বেশি বলা হয়ে গেছে। নতুন করে বলার কিছু নাই । তাই আমিও শুধু কাক বালককে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম।
পোষ্টটা পড়তে প্রচুর সময় নিল, তাই কমেন্টও অনেক দেরিতে করছি। ও, প্রথমেই নিজের পরিচয় দিতে চাই, আমি আইইউটির মেকানিক্যালের গর্বিত ছাত্ত্র। আইইউটি সম্পর্কে কারো কারো "মাদ্রাসা" সুচক মন্তব্যে প্রচন্ড মর্মাহত হয়েছি, এ ধরনের মন্তব্য আশা করি নি, যাই হোক অফটপিকে চলে যাচ্ছি, আসল কথায় আসি।
প্রথমেই কাক বালককে ধন্যবাদ দেব, এই পোষ্টটার জন্য, চমৎকার এবং প্রকৃ্ত চিত্র তুলে ধরার জন্য, আইইউটির যে সত্যি সত্যি শিবিরের কালো হাতের সুক্মভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে, তা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, যদিও অনেকের কাছেই তা প্রমানসাপেক্ষ, প্রশ্নবিদ্ধ মনে হচ্ছে এখনও। কিন্তু শিবিরতো জানিয়ে শুনিয়ে প্রবেশ করে না। আজকেই যদি আমরা এই ব্যাপারে কিছু করতে না পারি, ভবিষ্যতে তা সত্যিকার অর্থেই মহীরুহ হয়ে দাঁড়াবে, এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ। তাই, অফটপিকে না গিয়ে বরং শিবির কিভাবে ঠেকানো যায়, সেই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করাই শ্রেয়। আইইউটিতে সোসাইটি প্রতিষ্ঠা এত সহজ না, যে বলব, আর পারমিশন পেয়ে যাব। তবে হ্যা, চেষ্টা করে যেতে হবে, বেশি করে মুক্তচিন্তাঘরানার সোসাইটি প্রতিষ্ঠার জন্য। আর কি কি করা যেতে পারে, পারলে দয়া করে সে উপায় বাতলান, শত্রুকে ছোট করে দেখাটা মহা ভুল।মাত্র কয়েকটা সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করে বসে থাকতে চাই না।
অনেক বড়ভাইরা কমেন্ট করে গিয়েছেন, অজ্ঞাতবাস ভাইয়ের কমেন্ট ভালো লেগেছে, রাগিব ভাইয়ের সাথেও আমি একমত। আইইউটিতে অবশ্যি সব মানুষ পড়বে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ এসব চিন্তা করতে যাব কেন?? সবার উপরে মানুষই তো সত্য। তবে এ ব্যাপারে এডমিনিস্ট্রেশনই ভূমিকা রাখতে পারে, আইইউটির এডমিনিস্ট্রেশন যে কতটা কড়া, আর বিদেশী ছাত্রদের ব্যাপারে যে কি পরিমান লিবেরাল, সেটা আসলে একজন আইইউটিয়ানই ভাল জানে।
বেচে থাকুক আমার আমার লাল ইটের বেহেশত...।
শিবিরতো জানিয়ে শুনিয়ে প্রবেশ করে না। আজকেই যদি আমরা এই ব্যাপারে কিছু করতে না পারি, ভবিষ্যতে তা সত্যিকার অর্থেই মহীরুহ হয়ে দাঁড়াবে, এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ।
এইটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথারে ভাই। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল এই ভেবে যে, আপনার মত সবাই যদি সচেতন হয়, তাহলে শিবির হয়ত অনুপ্রবেশ করবে ঠিকই কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না সহজে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
আইইউটিতে পড়ি। জংগিও না, শিবিরও না।
এই লেখাটা তিন দিন ধরে দেখছি। আর এই ব্লগ সাইট টা বছর ধরে। কোনদিন কমেন্ট করি নাই, নিরব পাঠক।
প্রথমদিকের বিতর্ক হল লিখাটা এখানে দেওয়া নিয়ে।
আসলে আমরা যারা আইইউটিয়ান তারা একটা পরিবারের মত, মানুষ কম ত তাই সবাই সবাইকে চিনি প্রায়। যখনই কোন সমস্যা হয়, বড় ভাইদের পরামর্শ নেওয়া হয়। ইউনিতে সবাই একসাথে হয়ে সমস্যার মোকাবেলা করি। তাই হয়ত অনেক আইইউটিয়ান লিখাটার বিরুদ্ধে অপত্তি তুলল।
কিন্তু আমি কাক বালককে সমর্থন করি। কেন করি?
কারণ তার লিখার কারণে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ধারণা এল সচলদের কাছ থেকে যেগুলো ভেঙ্গে গেল। না জেনে শুনেও অনেক সচল মন্তব্য করলেন, যাদের লিখা প্রায়ই অনুসরণ করি। কিছুটা হতাশ হলাম হয়ত। কিন্তু ভুল যে ভাঙ্গল তাতেই খানিকটা লাভ হয়ে গেল।
আমরা যারা আইইউটিতে পড়ি তাদের কাছে এটা স্বর্গের কাছাকাছি। কেন বলছি?
কারণ কোনদিন যদি চোখে পড়ে যায় হঠাৎ গাজীপুরের দিকে যাওয়ার সময় কিছুটা হয়ত অনুভব করতে পারবেন। যাদের কাছে আইইউটি এত কিছু তাদের ত একসাথে হঠাৎ করে 'জংগি'
'শিবির' গ্লানিগুলো হজম করা সহজ না। হজম করা যায়ও না। বর্তমানকালে 'ইসলাম' 'মুসলিম' শব্দগুলো একেকটা শেলের মত পশ্চিমাদের কাছে। তার প্রমাণ বিদেশ বিভূইয়ে বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকেই পাওয়া যায়, কাহিনিগুলো। আইইউটিয়ানদের এখানেই লাগছে কারণ তার নামে 'ইসলামিক' শব্দটি আছে, এরপর যুক্ত হল 'জংগির' অপবাদ, তারপর 'শিবির'। বুয়েটে জংগি পেলে মানুষ বলবে "আরে ওতগুলো ভাল ছেলের মধ্যে একটা অকালকুষ্মান্ড থাকতেই পারে"। আর আইইঊটিতে যখন ভিনদেশী এক জংগি বলে সন্দেহপ্রবণ হল, লে হালুয়া "সব ভাল ভাল ছেলেগুলো এবার জংগি হয়ে গেল"। ঐযে ইসলামিক = জংগি ll শিবির -এর সরলীকরণ। কাজেই আইইউটিয়ানদেরও ঢালাও ভাবে দোষারূপ দেওয়া যায় না এখানে লিখা দেওয়ার আপত্তি করায়। এজন্য সচলদের আরও সহনশীল হওয়ার দরকার ছিল।
আইইউটিতে কি হয়? সবারই প্রচন্ড আগ্রহ এই ব্যাপারে!
পড়াশোনা হয়, ব্যস্ত শিডিউল নিয়ে। ল্যানে গেম খেলা হয় সারাদিন, সারা সন্ধ্যা তারপর রাত। সম্প্রতি রুমে রুমে ইন্টারনেটের লাইন দেওয়া হয়েছে। বিকালে ফুটবল, বাস্কেটবল নিয়ে চলে যুদ্ধ আর ইনডোর। যার যা ইচ্ছে করছে অন্যান্য ইউনিগুলোর মতই, কাউকেই কোন বিষয়ে জোর করা হয় না ধর্ম নিয়েও। বছরে দুইটা কনসার্ট হয়, কনসার্টের টাকাও আসে ছাত্রদের পকেট থেকে। তাহলে চিন্তা করুন কি পরিমাণ টাকা তোলা হয়। তাই বলে ভেবে বসবেন না সব বড়লোকের নাতিপুতি পড়ে এখানে। টাকা নেওয়া হয় পকেটমানি যেদিন দেয় সেই হিসাব করে। তাহলে মোটামোটি বলতে পারেন আধুনিক ধ্যান ধারণার মানুষ গুলোই পড়ে এখানে। আগে কমিটি, ক্লাব করা নিষিদ্ধ ছিল কিন্তু গত বছর তা উঠিয়ে নেওয়া হয় তাই তিনটা ক্লাব জন্মায়। ভবিষ্যতে আরও ক্লাব হবে নিশ্চিত।
আরও লিখতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু নিজের কথা নিজে বলতে বাঁধে, তাও বাধ্য হলাম বলেই বোধহয়। শুধু খারাপ আর বিরূপ ধারণা নিয়ে থাকবেন কেন?
গেইটের কড়াকড়ির বিষয়ে বলি, আসলে পুরো ইউনি এলাকাটা একটা বিদেশী মিশনের মর্যাদা পায়। এখানে যে কেউ ইচ্ছা করলে যেকোন সময়ে ঢুকতে পারে না। আপনি কি একটা বিদেশী মিশনে/এম্বেসীতে ইচ্ছা করলেই ঢুকতে পারেন? স্যারদের গাড়ির নেইমট্যাগ হলুদ, ভিসির গাড়িতে ওয়াইসির পতাকা।
শিবিরের প্রসংগে আসি। এটা যে একটা ভাইরাস এতে কোন সন্দেহ নাই। শিবির যদি থেকেই থাকে তাও সেটা আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত আছে এখনো, খুবই নগন্য। এবং এ নিয়ে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্টুডেন্ট কমিউনিটি তাতে নিশ্চিত থাকতে পারেন সবাই। কারণ ঐযে আইইউটিকে ভালবাসি সবাই।
ভাল থাকবেন সবাই।
মন্তব্য করতে চাই নাই, আপনার কমেন্ট পড়ে আমারও ইচ্ছা হল কিছু বলার। এখানে সবার কমেন্টই পড়লাম, কারো কমেন্টেই কিন্তু এইটা আসে নাই যে আই.ইউ.টি জংগী হয়ে যাচ্ছে, তবুও অনেক আই.ইউ.টিয়ানই ব্যাপারটা ঐদিকে টানছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভালবাসা থাকা ভাল, কিন্তু সেইটা অন্ধ হয়ে গেলে তো মুশকিল। শিবিরের উপস্থিতি থাকা মানেই জংগী হয়ে যাওয়া না, কেউ মনে হয় সেটা বলতেও চাইছে না, বরং যতটুক আছে, তা যেন বাড়তে না পারে, কিংবা এই সামান্যটুকুই কিভাবে ঝেড়ে ফেলা যায়, সেটাই কাক-বালক বা অন্যদের মন্তব্যের মূলভাব ছিল, আপনারা কেউ কেউ বারবার ব্যাপারটাকে অন্যদিকে ঠেলছেন কেন, সেটাই তো এখন সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। শুধু আই.ইউ.টি না, অন্য যে কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (যদিও আই.ইউ.টি প্রাইভেট না) এটা একটা সমস্যা। যেহেতু মূলধারার রাজনীতি এখানে নিষিদ্ধ, এবং মূলধারার দলগুলোও খুব একটা উৎসাহী না, শিবির ব হিজবুত তাহরী খুব সহজেই এসব জায়গায় আস্তানা গাড়ে, টের পাওয়ার আগেই দেখবেন সর্বনাশ হয়ে গেছে।
আর উপরে ধূসর গোধুলী তো একেবারে নামই দিয়ে দিল, এ ব্যাপারে কিছু বলছেন না কেন, বলেন না কেন যে ঐ শিক্ষক শিবিরপন্থী না, আর ভদ্রলোক যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তো আর সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
ঠিক এজন্যই আমি কিন্তু কারও কমেন্ট ইংগিত করি নাই। আপনি যদি আরেকবার কষ্ট করে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন। আমি শুধু আগে থেকে সাবধান করে দিলাম কেউ যেন সরলীকরণে না যায়, আর আইইউটিয়ান হিসেবে এই সমস্যাতেই পড়ছি এখন।
দেখুন এই পোষ্টে কত হিট হয়েছে, সবাই কি কমেণ্ট করেছে? এমন অনেক মানুষ আছেন যারা প্রথমবারের মত কোন ব্লগ সাইটে ঢুকল, এই ব্লগ পড়ল। ধরুন তাদেরকেও সাবধান করলাম।
আপনার-আমার মত সচেতন মানুষের সংখ্যা কম, সরল আর সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি।
আমিও কি বলেছি?!
আমি ঠেলাঠেলির মধ্যে নাই। আমি শুধু একজন আইইউটিয়ান হিসেবে তাদের আশংকার কথা বলেছি।
একমত।
যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে তার সাথে আমার ওরকম মেলামেশা নেই। একবার দুইবার হাই হ্যালো হয়েছে, কখনো শিবির দীক্ষা দিতে আসেনি আমাকে। নিজে নিশ্চিত হয়ে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম। যেহুতু ইউনি বন্ধ এখন তাই তথ্য নেওয়া সম্ভব নয়। তবে এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি যথেষ্ট পরিমাণে সচেতনতা তৈরী হয়েছে, হচ্ছে। যেহুতু একবার নাম এসেছে তার; সেটাকে হাইপোথিটেক্যালি সত্য ধরেই জানার চেষ্টা করব আরও। শিবির থেকে সাবধান করব সবাইকে
অন্যদেরও উৎসাহিত করব। শিবিরে এলার্জী আছে, তাদের কোনভাবেই আইইউটিতে ঘাটি গাড়তে দেওয়া হবে না। কে কোন দলের অনুসারী সে ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, প্রেক্ষাপটে ঘ্রৃনা আছে। কিন্তু সে যদি সেটা প্রচারে নামে আর কেউ না হোক আমি প্রতিরোধ করব এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। আমার মতদের সংখ্যাটাই বেশি এখানে।
ভাল থাকবেন।
শেষের মানুষটা যেই হোন না কেন, তার লেখাটাই এখানে সবচেয়ে ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!
আইইউটির ইমেজ আগের মতই অপরিবর্তিত আছে। যারা এই ভার্সিটি সম্পর্কে ধারনা রাখেন তারা ভাল করেই জানেন এখানের মেজোরিটি পোলাপাইন উরাধুরা, এরা গেম খেলে আড্ডা মেরে সারাদিন কাটিয়ে দেয়; গানা বাজনা করে; এভাবেই এক একজনের ৩মাস ১০দিন!! কেটে যায়।
যদি সত্তিই এখানে সক্রিয় শিবিরপন্থি কার্যক্রমের অস্তিত্ব থাকে, সেটা নিঃসন্দেহে বেশ চিন্তার এবং হুমকির বিষয়।
ইসলামিক শব্দটা থাকায় এক প্রকার বিরম্বনা হচ্ছে কারন যাদের এই ভার্সিটে সম্পর্কে বেশিকিছু জানা নেই (মানে উইকি পাবলিক আর কি!) তারা মনে করতে পারে, শিবির ইনভলভমেন্ট ইন আইউটি ইস সো অবভিয়াস, নো ওযান্ডার এট অলল!! কিন্তু আসল ব্যাপারটা কি হতে পারে তারাই ভালো অনুধাবন করতে পারবেন যারা আইউটির রিয়েল ফেসটা চেনেন।
এক একটা মিশনের নির্দিষ্ট কিছু রুলস এ্যান্ড রেগুলেশন্স থাকতেই পারে, ডেফিনিটলি বেটার হতো যদি আইইউটি তে সব ধর্মাবলম্বিদের প্রবেশাধিকার থাকতো, কিন্তু একটু ভেবে বলেন, এই 'ইসলামিক' লেবেলড ভার্সিটিতে অন্যরা কি অধ্যায়ন করতে চাইতো? আর সেটা কি কখোনোই স্বতঃস্ফুর্ত হতো? রামকৃষ্ণ মিশনের কথা একজন বলে গিয়েছেন, সো আমি আর বলতে চাচ্ছি নাহ। সিম্পলি ধরে নেন না, এটা একটা কমিউনিটি বেসড এডুকেশনার ইন্সটিটিউশন, তাহলেই তো হয়। সেন্ট গ্রেগরী, নটরডেম, হলিক্রস এগুলা কিন্তু শুরুতে কমিউনিটি বেসড ছিলো। পরবর্তীতে এরা তাদের ধর্মীয় কর্মকান্ডের পরিধি বৃদ্ধি করে এবং ব্যারিয়ার ভাঙ্গে।
হতে পারে আইইউটিও এক সময় এদের কিছু রুলস মডারেট করবে; কিন্তু হলিক্রস মিশনের মতো ধর্মীয় কর্মকান্ডের পরিধি বৃদ্ধি করা যাবে নাআআ; কারন ইসলামিক যে!!! আমারো যে চুলকায় ইসলামিক লেবেল দেখলে!
NOTE: I used English letters, but used bengali words. Because I am not able to describe myself neither by english of beautiful words nor by bangla with my typing speed.
Dear Kak Balok
Hope u r doing fine. Come to the point,
Ka er jowabe
shomoyer shathe manusher chinta vabna jugopjugi/liberal hoi, r amra jokhon IUT te chilam tokhoni amra kokhono friend der shathe dhormiyo alap motobirodh kortam na eta vebe j ei sensitive subject e amra konodin conclusion draw korte parbona plus amder jonno jorurio chilo na chinta korar j meyera orna uchai chole naki borkha pore chole.upori namaaj er kotha uthle(dhormer majhe jei jinishta amader dine 5 bar pora foroz kbol shetar kothai majhe majhe uthto) Jara shottikarer dharmik chilo(not like the description u gave as shibir or tableeg) tara hoito knowledge share korto, kintu kokhono barabari korto na.I had never seen in my 4 year academic years.namaaj porte gele khushi hoto, kintu jor kore nye gye namaaj e daar korai dei nai. Last 2003 porjonto bollam, shomoi shamne agalo, amra dekhte pelam amader chaiteo onk mukto moner students ra admission nilo, hoito 2mio chila, but dhormo nye lafalafi kore emon kauke pai nai.So milate parchina bolbo na, boroncho amra 100% believe kori j oi room ta phycally exists ee kore na jkhane shibir VS tableeg alochona korche, karon shei pracheen amol thekei amra shobai jani shibir ji jinsh r shetak kara shomorthon kore.
Kha er jowabe,
1st tell me ek guchcho polapan bolte 2mi ki senior vai der bujhaiso naki 2mr friend der bujhaiso? J kina nijer boro vai ba batch mate ba even nijer choto bhai keo rasta ghater shobdo “polapan” bole shombodhon kore she karo shomman rakhte pare na, emonki nijertao na Eta amar kotha na, juge juge manush jon shikrito etka shotto.Anyways, come to the main point..
Shibir protishthata tahole 2mri batch 2mr vashshomote.IISS kei ki 2mi shibir naam dichcho kina bujhlam na,though keuk shibir bolar age sthulo bodhshokti dye jachai na kore tar karjo krom jachai kore dekha uchit, shibir kore ba shibirer kormo poridhi bistrito kore eshob banowat mongora kotha bortar kono sthan nai bro,shibir kore kore keu nishchoi IUT te dhukar joggota orjon kore nai, IUT te porar jonno bro extreme level er talent, merit, capability ebong todonujayee result lage.Plz ektu chinta korlei bujhte parba, Allah 2mkeo matha dse jta IUT te dhuka porjontoi hoito khoroch korso, er pore r koro nai hoito j karone etota wrong conception nye agachcho, anyway it’s ur business, better to oil it regularly..
Gha er jowabe,
Wami mane j shibir eta 2mr bole deya uchit chilo j ki ghatle amra jante pabo, karon amra to kbol google ee ghati bhaiya.Anyways, taal rakhte paro nai 2mi eta bole j IISS er shobai tader k dholai dlo, kader k?IISS e iftaar ayojon korlo abar IISS ee dholai dlo? According to ur description we thought that IISS ee shibir ponthi, ekhon shunchi onno kotha, can u plz explain a little?
Unmo er jowabe
Teacher der nye vul dharona kora thik na, oi teacher der delivered shikkha nyei 2mi ami shob aj kormo khetre achi.We can’t express our gratitude for them but at least we can keep this in our mind always especially where the IUT teachers are concerned who are having the best capabilities to be a teacher in the institution like IUT definitely. There are more than thousands reasons behind my this statement, oij ektu mathata khatalei bujhba..
R tottiyo vabe jeta shotto na takey shotto bananor jonno 2mr mongora hisheb kokhonoi jothartho na. kar bon IUte eshe dinanipaat shuru korse j take borkha poranor jonno shei shob totha kothito shibir utola hoye uthse? Naki 2mader majhei identification nye question ase? I know how u and ur so called followers will reply to me regarding this, but first answer urself. Boroder lehaj jokhon rakhte shikhoi nai ami r voi peye ki korbo bolo?
Cha er jowabe
Ex IUTian der trahi trahi Jodi bujhte parta tahole aj 2mio oi dolei thakta., group er mail k shomman korte shikho, thiki to mail korse, proof chai otherwise 2mr kothar vittite to r ekta manush k jele vora jai na jkhane 2mi 2mr mogoj khorochi korte chaona!! R 2nd, kono kichur poriprekhkhite bolchina, neutrally chinta kore dekho, terrorist er kono jaat nai, kono dhormo nai, she jkono khane thakte pare, shokoler pranpriyo BUET e ki terrorist chilo na? jkhankar kono ek vaiyar shathe shathe shoptahanter folosrutite IUT te shibirer kormo poridhi bistrito kora jai bole 2mi obihito korechile? Bishal baje shobdo 2mi use korso eta bole j “vetorer khobor faash”, eta hoito chilo ekta wrong impression jonmate na deyar chesta, mathata khatalei bujhte.eta obantor tobuo bole rakhi j ami shudhu 2mr jowab deyar jonnoi gotokaal group e account khulsi, e porjonto kono mail e ami shomprikto noi shuru thekei.
Chcha er jowabe
2mi tension niyo na bhaiya,IUT ke koto ta valobashar joggota hoise 2mr ta to 2mr probondho porei bujhte partasi amra shobai, tao mone mone doa kori jate IUT er valo at least IUTian ra shobchaite beshi chai ebong tar jonno try kore jai, nijeke nye besto na ki niye besto tar jonno bhaiya 2mr nijeke etoa pressure dte hobe na, IUT er valo jara chai tara onk kichui bujhte j tader ki korte hobe r kivabe korte hobe. IUT ke amra Inshallah shob rokom jhor theke bachanor chesta kore jaboi, 2mder ba 2mder choto boro bhaider potential k jevabe kormo khetre position pawai deyar chesta kore achchi jtake hoito sharthanneshira chakrite shohojogita bole nijer okkhomota dhakar jonno, temni ekdin IUTer o purnangota dhire dhire aro briddhi peye jatiyo porjaye nye jawar shohojogita thakbe(jodyo jetar proyojon ekhon hoye uthe nai)
Tottho shutrer jowabe,
Shukh shobshomoi share korte hoi r dukho nijer majhe rakhte hoi,2mr kache jokhon visible kichu nai tokhon ei dukkho share kora 2mr thik hoi nai.jai hok, Amra keu e 2mr ei alochonar bishoitike miththa propaganda hishebe chalanor chesta korchina, karon shotto j ki eta IUT ebong non IUT shobai jane,hoito onekei bole uthte parena, shot shahosho Allah prodotto, shokoler thakena, tader jonno koruna korte pari kintu ghreena na.
Kak balok, ami 2mri moton ekjon IUTian, Allah er deya shukh r jhorjo er jonno ami jotota khushi nijeke nye thik tototai rini IUT er kache. 2mi amr choto bhai ee, kokhonoi alada korar kichu nai mayer peter naki university er, choto bhai to choto bhai ee.2mr sthan amra jara boro tader sneho r valobashate jate kono rokom khad nai, kno jano?coz IUT er jonno relation, relation er pore IUT nai r, shudhu relationtai ase. na mante chaileo amra boro bhai, amr kotha mondo shunaise, bolar vongi ta parle vule jeyo.But ekta wrong statement impression tai wrong kore dei, plz keep that in mind.
2mi IUTian bolei 2mr kachei dabir shubaade 2mk eto mondo vabe bollam, r bakider mil gormil er hisheb ami korar keu noi, je ja chinta korte chai korte pare, desh to shadeen hoise naki? Je jaar moto kore shovvotar namey, aadhunikotar namey, shoho mormitar namey mone mone shanty pete thakuk, Truth k shamne ana jai, tari chesta korlam, r feeling vitore rakhar jinish, bole koye feeling barano jaina. So ami bidai nilam, Allah Hafeez.
BR//
Yhossain
I Love My Varsity ...
I Love IUT ...
I Am Proud To Be An IUTian ..
Hail IUT
১. রামছাগল
২.
অজ্ঞাতবাস
Post new comment