অণুগল্প-১৬। ঝাপসা।

জাহিদ হোসেন's picture
Submitted by zahid_hossain on Wed, 29/07/2009 - 11:07pm
Categories:

‘গুডমর্ণিং মা।’
‘গুডমর্ণিং গুলটুসোনা। রাতে ভাল ঘুম হয়েছিল?’
‘হুঁ।’

প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙবার পর প্রথমেই চোখ পড়ে পায়ের কাছের দেয়ালে। সেখানে মায়ের একটি বড় ছবি লাগানো আছে।

ঘুম ভাঙ্গার পরের এই সময়টুকু তুপার খুব ভালো লাগে। তখন তার চোখে হাই পাওয়ারের চশমাটি থাকে না বলে সবকিছুই কেমন যেন অস্পষ্ট মনে হয়। মনে হয় যেন সব কিছু একটা ঘষা কাঁচের দেয়ালের অপর পাশে রয়েছে। শুধু ঝাপসা ভাবে অবয়বটি বোঝা যায়, কিন্তু পরিষ্কার করে কিছু দেখা যায়না।

মা মারা গেছেন নয় বৎসর আগে। মা মারা যাবার পরেই তুপার চোখের সমস্যাটি ধরা পড়ে। ক্রমে ক্রমে বাড়তে থাকে তুপার চশমার পাওয়ার। এখন চশমা ছাড়া তুপা কিছুই ভালো করে দেখতে পায়না। ভাইয়া মজা করে ডাকে ‘কানা মেয়ে রহিমা।’ ভাইয়া সময় পেলেই শুধু আজেবাজে কথা বলে তুপাকে রাগাবে। এর জন্যে কয়েক বার বাবা তাকে বকেছে, কিন্তু তাতে কি আর ভাইয়ার স্বভাব পালটায়?

মায়ের কথা সব সময় মনে হয় তুপার। মনে আছে মা তাকে আদর করে "গুলটুসোনা" বলে ডাকতেন। ভাইয়া সেটা নিয়েও ঠাট্টা করেছে ‘গুলতিসোনা’ বলে। ভাইয়া মাঝে মাঝে এতো নিষ্ঠুর ভাবে কথা বলে!

ঘুম ভাংবার পর তুপা মায়ের ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকে। খালি চোখে সে মায়ের মুখটি দেখতে পায়না, কিন্তু তারপরেও তার মনে হয় যে মা যেন তার দিকে তাকিয়ে হাসছেন।

একদিন সে আনমনাভাবে মায়ের ছবির দিকে তাকিয়ে বলেছিল, ‘গুডমর্ণিং।’
উত্তরে কে যেন তার বিছানার পাশে দাঁড়ালো। পরিষ্কার জবাব দিল,‘গুডমর্ণিং গুলটুসোনা।’

ব্যাস- সেই থেকেই শুরু। প্রতিদিন বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিনের প্রথম কথাটি মায়ের সাথেই হয়। ঝাপসা জগতে মা ছবির ফ্রেম থেকে নেমে আসেন তুপার কাছে। তুপার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।
‘কেমন আছো মামণি।’
‘আজকে আমার মন ভালো নেই মা।’
‘ওমা কেন- কি হয়েছে আমার সোনামণির?’
‘তোমাকে বলা যাবে না। সিক্রেট।’
মা হেসে ফেলেন। ‘তাই নাকি? আচ্ছা-আমি কাউকে বলবো না।’
‘প্রমিস?’
‘ওকে বাবা। প্রমিস।’
‘আমাদের ডিপার্টমেন্টে একটা ছেলে আছে। ওর নাম হচ্ছে সোহেল, কিন্তু সে কায়দা করে তার নাম বলে সুয়াহেল। খুবই খুবই খারাপ একটা ছেলে। কালকে সে আমাকে----।’
তুপার চুলের মধ্যে মায়ের হাত খেলা করে। তুপা কথা বলেই চলে।

সকালে নাস্তার টেবিলে প্রতিদিনই আসতে দেরী হয় তুপার। ভাইয়া, বাবা ডাকাডাকি করেন। আজকেও একই জিনিস।
তুপা টেবিলে এসে বসতেই ভাইয়া শুরু করে দিল,‘কানা মেয়ে রহিমা’র খবর কি? এত ডাকাডাকি করি, তাও কানে যায়না। তুই কি এখন কালাও হয়ে গেলি নাকি?’
আরো হয়তো কিছু বলতো, শুধু বাবা কটমট করে তাকালেন বলে চুপ করে যায় সে।

রশিদ সাহেব পাঁউরুটিতে মাখন লাগাতে লাগাতে বলেন,‘তুপা- কাল রাতে তোর ডাক্তার চাচা ফোন করেছিলেন।’
‘কেন বাবা?’
‘তোর চোখ নিয়ে কি সব যেন কথা বলবেন। আজ বিকেলে তার চেম্বারে যেতে বলেছে।’
‘আজ বিকেলে আমার একটা ক্লাশ আছে বাবা। তুমি একাই যাও।’
‘আচ্ছা-ঠিক আছে।’

ক্লাশে পৌঁছুতে দেরী হয়েছে বলে একদম পিছনের দিকে বসতে হোল। মহারাগী জিয়াউদ্দিন স্যারের ক্লাস। স্যার পুরো ব্ল্যাকবোর্ড ইকুয়েশন লিখে ভরিয়ে ফেলেছেন। সবাই একমনে সেগুলো খাতায় টুকছে।
তুপা ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো যে তার চোখ আরো খারাপ হয়েছে। স্যারের লেখাগুলো পরিষ্কার করে পড়া যাচ্ছে না। দু এক লাইন লেখার চেষ্টা করে সে হাল ছেড়ে দিল। পরে বাবলীর কাছ থেকে ক্লাশনোট নিতে হবে।

‘পড়াশুনা আর ভালো লাগছেনা মনে হচ্ছে। আজকাল ক্লাশে আর নোটও নিচ্ছোনা। কি - বিয়ের কথা চলছে নাকি?’ পাশ থেকে ফিসফিস করে কে যেন বললো।

তুপা ফিরে তাকালো। সোহেল ওরফে সুয়াহেল। তার মুখে গা জ্বালানো একটা হাসি।

ক্লাশের পর ক্যাফেটেরিয়ার কোণার টেবিলে তুপা একা একা বসে ছিল। আজকে বাবলী আসেনি। সে ছাড়া তুপার আর কোন বন্ধু নেই।

উলটোদিকের একটি টেবিল থেকে হঠাৎ হা হা হাসির রোল শোনা গেল। সেখানে সোহেল এর কথা শুনে তার বন্ধুরা হাসাহাসি করছে। কি নিয়ে কথা বলছে ওরা? তুপাকে নিয়ে?

তুপা আস্তে করে চোখ থেকে চশমাটি খুলে টেবিলে রাখে। মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যায়। কোনকিছুই আর ভাল করে দেখতে পায় না সে। হঠাৎ করে তার মনে হোল, সোহেলদের টেবিল থেকে ছায়ামূর্তির মতো কে যেন উঠে দাঁড়ালো। লম্বা পায়ে সে যেন এদিকেই আসছে।

‘তুপা।’
‘কে?’
‘আমি সোহেল। আমি তোমার সাথে কথা বলতে এলাম।’
‘কি কথা?’
‘আমি তোমার মনে ব্যথা দিয়েছি আজকে। তারজন্যে আমি তোমাকে স্যরি বলতে এলাম।’
তুপা হাসে। ‘তাই।’
‘তোমাকে আমার খুব খুব ভালো লাগে তুপা। কথাটি আজকে সাহস করে বলে ফেললাম। তুমি রাগ করলে না তো?’

আবার একটি হাসির রোল ওঠে। তুপা চশমাটি চোখে দেয়। সোহেল আগের মতোই কোণের টেবিলটিতে বসে আছে। তার বন্ধুরা এবারে তার কথা শুনে রীতিমত গড়াগড়ি খাচ্ছে।

একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে তুপা উঠে দাঁড়ায়।

রাতে খাবার টেবিলে রশিদ সাহেব বললেন,‘তুপা-আজকে তোর ডাক্তার চাচার সাথে দেখা করেছিলাম।’
‘কি বললো ডাক্তার চাচা?’
‘বললো যে তোর চোখের অবস্থা নাকি আরো খারাপ হয়েছে। চশমার পাওয়ার বদলাতে হবে।’
‘হুঁ।’
‘হুঁ মানে কি?’
তুপা ঠোঁট ওলটায়। ‘ওতো আমি জানিই। ক’দিন ধরে চশমা পরেও আমার দেখতে অসুবিধা হচ্ছে।’
‘তোর ডাক্তার চাচা বললেন যে তোর চোখের পাওয়ার এত দ্রুত বাড়ছে যে কিছুদিন পর আর কোন চশমাই কাজে দেবে না। উনি তাই তোকে ল্যাসিক করাতে বললেন।’
তুপা প্লেটে ভাত নিচ্ছিল। তার হাতটি শূন্যেই থেমে গেল।
‘সেটা কি জিনিস বাবা?’
‘ল্যাসিক নাকি নতুন এক ধরনের সার্জারী। লেজারবীম দিয়ে চোখের কর্ণিয়ার পাওয়ার ঠিক করে। খুবই নাকি ভালো। ওটা করালে তোকে আর চশমাই পরতে হবে না। আর দশটা মানুষের মতো সবকিছু চশমা ছাড়াই দেখতে পারবি। তোর ভাইয়াও আর তোর পিছনে লাগতে পারবে না।’
তুপা চুপচাপ প্লেটের ভাত নাড়াচাড়া করতে থাকে।
রশিদ সাহেব বলেন,‘কিরে তুই চুপ করে আছিস যে। কিছু একটা বলবিতো।’
তুপা মাথা নীচু করে বলে,‘আমি ওসব কিছু করাবো না বাবা। আমার চশমাই ভালো।’
রশিদ সাহেব অল্প হাসেন,‘সার্জারীর কথা শুনে ভয় লাগছে? আরে পাগল-এই সার্জারী ছুরি-কাঁচি দিয়ে করে না, লেজারবীম দিয়ে করে। খুবই কুইক, এ্যানাথেসিয়াও নাকি লাগেনা শুনলাম।’
তুপা হঠাৎ করে চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়ায়। ভাতের প্লেটটি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় সামনে।
তারপর সে প্রায় চেঁচিয়েই বলে,‘আমি ওসব কিচ্ছু করাবো না বাবা। তুমি আমাকে ওই কথা আর কোনদিন বলবে না।’

দুপদাপ পা ফেলে তুপা চলে যায়। রশিদ সাহেব খুবই অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

‘গুডমর্ণিং মা।’
‘গুডমর্ণিং গুলটুসোনা। আজকে মন খারাপ নেই তো?’
‘না তা নেই, তবে আজ রেগে আছি।’
‘কেন-আবার কি হোল। ওই ছেলেটা কিছু বলেছে নাকি?’
‘ওই ছেলেটা না, বাবা আমাকে রাগিয়েছে। ইওর বিলাভেড হাসব্যান্ড।’
মা তুপার কথা শুনে হাসেন। ‘কেন সে আবার কি করলো?’
তুপা ঝাঁঝিয়ে ওঠে। ‘কি করলো? বাবা আমাকে বলছে ল্যাসিক করাতে, তাতে করে আমি নাকি চশমা ছাড়াই সব কিছু পরিষ্কার দেখতে পারবো। কোন কিছু আর ঝাপসা লাগবে না।’
‘ওমা-এতে খারাপটা আবার কি হোল?’
‘চোখ ভালো হয়ে গেলে আমি তোমাকে দেখবো কি করে? আমি তোমার সাথে কথা বলবো কি করে? বাবা কিচ্ছু বুঝতে চায়না। ক’দিন ধরে খালি ল্যাসিক ল্যাসিক করছে। আমিও বলে দিয়েছি, ল্যাসিক করাবোনা। আমার চোখের যা হয় হোক।’
কথা বলতে বলতে তুপা কেঁদে ফেলে।

মা প্রতিদিনের মতো তুপার চুলে হাত বুলিয়ে দেন।
‘আমার এই মেয়েটার শুধু পেটভর্তি রাগ আর চোখভর্তি কান্না।’

তুপার চোখে জল ছলছল করছে। সে হাসিমুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,‘আমি মা-মরা মেয়ে না? ওইটুকু ছাড়া আমার আর কি আছে বলো?’


Comments

মূলত পাঠক's picture

আপনি একটা বাজে রকমের জিনিয়াস! আর কী বলবো!

জাহিদ হোসেন's picture

আপনার কথায় আমি সত্যিই খুব লজ্জা পেলাম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মামুন হক's picture

ক্লাসিক গল্প জাহিদ ভাই। আপনার তুলনা আপনি নিজেই।
আমি এক সপ্তাহ যাবৎ ভেবে একটা অণুগল্পের ফিনিশিং বের করতে পারলাম না আর আপনি গল্পদাদুর মতো লিখেই যাচ্ছেন। কুরিয়ার করে কিছু পায়ের ধূলো পাঠিয়ে দিয়েন দাদাভাই হাসি

জাহিদ হোসেন's picture

আপনারা যে এখনো আমার দৈনিক ছাইপাঁশ পড়েন এবং কষ্ট করে দু লাইন মন্তব্য করেন, এর জন্যে আপনাদের কাছে আমার কৃত‌জ্ঞতার শেষ নেই। ওটুকু পাবার আশেই লিখি।
তবে আমাকে "দাদু" ক্যাটেগরিতে ফেলার জন্য তেব্র পরতিবাদ!
আর এই কংক্রীটের জংগলে ধূলো কোথায় পাবো ভাই যে পাঠাবো?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সাইফ তাহসিন's picture

একই কথা বারবার বলতে অস্বস্তি লাগে, শুনতেও, কিন্তু না বলে পারি না। আমার নিজের চোখ খারাপ, যার ফলে আপনার লেখাটা যেমন ছুয়ে গেল, তেমনই প্রতিটা শব্দ যেন দেখতে পেলাম আর উপলব্ধি করলাম। লেখাটাকে অসাধারন বললে কম বলা হয়। জটিলস্য জটিল।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জাহিদ হোসেন's picture

চশমার প্রতি আমার দুর্বলতা বহুকালের। আমার চোখজোড়া ছিল বেজায় ভালো, তাই চশমা পরার সাধ মেটেনি। জানি অনেকেই হয়তো হাঁ হাঁ করে ছুটে এসে বলবেন, চশমার মত বাজে জিনিস আর দুটো হয়না। হয়তো বা পাইনি বলেই ভিতরে ভিতরে একটা ইচ্ছে জন্ম নিয়েছে। তাই ভাবলাম, নিজে চশমা না পরতে পারলে কি হবে, চশমা পরা একজনকে নিয়ে গল্প বানাতে তো আর চোখ খারাপ হওয়ার দরকার নেই। ব্যাস-এভাবেই লেখা হোল দু কলম।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সাইফ তাহসিন's picture

গুরু গুরু বিনা চশমায় ঝাপসা দেখার যে বর্ননা দিলেন, কি বলব!! এখনও টাশকি লেগে আছি। চশমা পরেন নি তো কি হয়েছে, সানগ্লাস তো পড়তে পারবেন, যেটা আমার পক্ষে সম্ভব না। বুঝতেই পারছেন, নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নি:শ্বাস ... .... ...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জাহিদ হোসেন's picture

সানগ্লাস পরিনা। ওটা পরলে সারা দুনিয়া আন্ধার লাগে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

দুষ্ট বালিকা's picture

গল্পটা নিজের মনে হল। আমার চোখের অবস্থাও খুব খারাপ, কিন্তু ল্যাসিক করাতে চাইনা। কারণ, তাহলে চশমা খুলে ফেলে কিছু বাজে ঘটনাকে চোখের আড়াল করতে যেমন পারবনা তেমনি কিছু দিবাস্বপ্ন দেখাও যে সম্ভব হবেনা আর! মন খারাপ

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

গৌরীশ রায় [অতিথি]'s picture

ক্লাসিক !!

জাহিদ হোসেন's picture

ধন্যবাদ আপনাদের দুজনকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

সুন্দর। তবে এক জায়গায় একটু কেমন যেন আছে--

Quote:
‘তুপা- কাল রাতে তোর ডাক্তার চাচা ফোন করেছিলেন তুপা।’
এই লাইনটাতে শেষের "তুপা" মনে হয় মুছে দিলে ভালো হবে, তাইনা? হাসি

জাহিদ হোসেন's picture

আপনার দৃষ্টি দুর্দান্ত। এখখুনি ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

যুধিষ্ঠির's picture

আগে থেকেই ঘোষনা দিয়ে দিয়েছিলেন যে এরপর টুইস্ট ছাড়া অনুগল্প লিখবেন। তাই সেরকম কিছু আশা না করেই পড়েছি। আমি যদিও আবার টুইস্টের ব্যাপক ভক্ত, তারপরও এটা বেশ ভালো লাগলো।

জাহিদ হোসেন's picture

আমি অবশ্য তা বলিনি, বলেছি যে ট্যুইস্ট ছাড়াও গল্প লেখা যায়। লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ লাগছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি]'s picture

বাহ!!! চমৎকার লিখেনতো আপনি! আমি অবশ্য গল্প লিখতে পারি না। কয়েকবার চেষ্টা করেছি, তাও লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছে। সচলে নতুন তাই আপনার পুরানো লেখাগুলো পড়ার সৌভাগ্য হয় নাই। লেখা লিখি চলুক!

জাহিদ হোসেন's picture

ধন্যবাদ আপনাকে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ভুতুম's picture

কী বলবো ভেবে পাচ্ছি না। আপনি যদি এইসব অণুগল্প নিয়ে একটা বই/ সংকলন প্রকাশ না করেন তাহলে বড় অন্যায় হয়ে যাবে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

জাহিদ হোসেন's picture

ছোটবড় মিলিয়ে কত যে অন্যায় হোল এ জীবনে। আরও একটা হলোই নাহয়। বই প্রকাশে ঝামেলা মেলা। বাইরে বসে প্রকাশক খুঁজে পাওয়া (প্রকা)শোক টাইপের ব্যাপার।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ছায়ামূর্তি [অতিথি]'s picture

"তুমি বড় হয়ে ইন্দ্রজিৎ হয়ো। অমল, বিমল, কমল না, তুমি হবে ইন্দ্রজিৎ। কারোর মতন না। তুমি আলাদা। তুমি ইন্দ্রজিৎ।"

আপনারতো অন্যায় হলে হবে না !
আশা করছি, আগামী বইমেলায় আপনার বই কেনার সুযোগ পাব...

জাহিদ হোসেন's picture

ঐ ইন্দ্রজিত হতচ্ছাড়াই আমাকে বারবার তাড়া করে ফেরে। একবার যদি ওরে চিপায় পাইতাম!
বই-টই এর চিন্তা নানান ঝামেলায় পালিয়ে বেড়ায়। কে জানে কি হবে?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

আমার অবস্থা মামুন হকের চেয়েও খারাপ। একটা গল্প শেষ করেছি (সম্পাদনা বাকি), কিন্তু ওতে আর হাত লাগাচ্ছি না। সচলের পাঠকরা তো প্রতিদিন আপনার একটা ভালো গল্প পাচ্ছেই। আমার প্রবন্ধটাইপ গল্প এই অবসরে একটু ঘুমাক। আপনি কোন কথায় কান না দিয়ে "চারণ গল্পকার"-এর ভূমিকা পালন করে যান।

জয়তু জাহিদ!!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জাহিদ হোসেন's picture

এটা একটা কথা হোল! দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? এই প্রসংগে মদীয় অণুগল্প আছে একটি, পড়ে দেখতে পারেন। আপনি সময় নষ্ট না করে লেখাটি শেষ করুন তো। (কাজ না করে শুধু অজুহাত আর অজুহাত।)
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক's picture

Quote:
সে হাসিমুখে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,‘আমি মা-মরা মেয়ে না? ওইটুকু ছাড়া আমার আর কি আছে বলো?’

চশমা ছাড়া আমার চোখেও ঝাপসা সব। শেষটুকু পড়ে আরও ঝাপসা হলো।

নৈশী।

সুহান রিজওয়ান's picture

না জাহিদ ভাই, আসলেই অসাধারণ !
আমার পড়া আপনার শ্রেষ্ঠ অণুগল্প ! !
সিরিজ চলুক...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

জাহিদ হোসেন's picture

থ্যাংকু নৈশী আর শব্দশিল্পী!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক's picture

সকালে উঠে আপনার গল্প পড়ার বদভ্যাস হয়ে গেছে, এখন রোজ গল্প না দিলে তো একই গল্প পড়ে তাতে বারবার কমেন্ট করতে হবে।

জাহিদ হোসেন's picture

আষাঢ় মাস শেষ, এখন শ্রাবণ চলছে। তাই রোজ রোজ আষাঢ়ে গল্প আমি এখন কোথায় পাই? এখন মস্তিষ্ক অলস, তাই শয়তানের কারখানা খোলা। এ জিনিস কি আর বেশীদিন চালানো যায়?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল's picture

এমন মারাত্নক প্লট পান কই? অদ্ভূত!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন's picture

প্লট আর তেমন পেলাম কোথায়? রাজউক যা ধানাইপানাই করছে!
আপনার লেখা কই?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

তিথীডোর's picture

গুল্লি

--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

পাহাড়'s picture

ভারী মন কেমন করা গল্প। ভালো লেগেছে।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.