দিনগুলি মোর ৩: পুরোনো শহর এক

মূলত পাঠক's picture
Submitted by rajarshidebnath on Wed, 30/09/2009 - 1:03am
Categories:

মানুষের মতোই, শহরেরও আছে নিজস্ব চরিত্র। আবার শহরের ভিতরেও নানা গলিতে জেগে থাকে নানা চেহারা, চেনা মানুষের নানা মুডের মতো। যখন কোনো নতুন শহরে যাই, কিছু পূর্বারোপিত ধারণাও আসে সাথে সাথে। তাই মানুষের মতোই শহর কখনো আশাভঙ্গের কারণ হয়, কখনো অপ্রত্যাশিত সুখে আপ্লুত করে। জীবনে বেশ কয়েকটা শহরে থাকা হলো, সময়ের দৈর্ঘ্য মাপলে কলকাতা তার মধ্যে প্রথম। কিন্তু যেখানে জন্মেছি তাকে আলাদা করে তাকিয়ে দেখি নি সেই ভাবে। তা সত্ত্বেও কলকাতা নিয়ে লিখতে গেলে আলাদা লেখা লিখতে হবে, তার জায়গায় অন্য শহরদের নিয়ে লেখা সহজ। আজ লিখি অ্যাটলান্টা নিয়ে।

আসলে অ্যাটলান্টা নিয়েও এই লেখা নয়, মানে প্রতিনিধিত্বমূলক বা বাংলায় যাকে বলে রিপ্রেজেন্টেটিভ, সেই রকম ছবি হবে না এটা। একটা শহরকে জানতে গেলে অনেক সময় দিতে হয়, আমি সে হিসেবে নেহাতই নতুন। সকালে অফিসের বাইরে কফি হাতে ধোঁয়া ওড়াতে ওড়াতে যে ছবি দেখলাম চলমান শহরের, এই লেখা শুধু সেই টুকু। এক খণ্ড মুহূর্তের ছবি, হাতে সময় না থাকলে চেয়েও দেখি না, তবে আজ দেখার সুযোগ হলো সময় ছিলো বলেই।

আমার অফিসটা ডাউনটাউনে। এ শহরের বৈশিষ্ট্য হলো পীচফলের গাছ। মানে গাছ এখনো দেখি নি, বা দেখলেও চিনি না বলে জানতে পারি নি দেখলাম। কিন্তু পথে পথে ছড়িয়ে আছে সেই গাছের নাম। পীচট্রি রোড, অ্যাভিনিউ, স্ট্রীট, তার পরে আবার ইস্ট ওয়েস্ট লাগিয়েও ভাঁড়ার ফুরোলে নিউ দিয়ে নতুন সিরিজ। কল্পনার দৈন্যদশা না কি উথলায়িত বৃক্ষপ্রেম, জানা নেই। যাই হোক, আমার অফিসও তেমনি এক রাস্তার উপরে। পরিচ্ছন্ন পথ, গাড়ি চলে সব সময়ই, আর চওড়া ফুটপাত ধরে পথচারীর স্রোতও থামে না। অফিস যে সৌধে তাতে কিছু খাদ্যবিপণীও রয়েছে। ঘোরানো কাঁচের দরজা দিয়ে তার খদ্দেরেরও আনাগোনা। শীত পড়েছে অল্প, ধূমায়িত কফিকাপ হাতে মানুষজন দৌড়োচ্ছে। বাড়ির ভেতরে সারি সারি ঝাড়বাতির নিচে একপাশে জুতোচমকানোর বন্দোবস্ত, খরিদ্দার নেই বলে ভদ্রলোক বসে বসে বই পড়ছেন। সামনে টানানো বিশাল লম্বা ট্যাপেস্ত্রি, যার ত্রিমাত্রিক মার্বেলভাস্কর্যের ছবি দেখে প্রথম দিন ছবি বলে বুঝতে পারিনি, এখন চোখ সয়ে গেছে তাই তাকানো হয় না।

বাইরে বালকবালিকা যুবকযুবতী ও অফিসযাত্রীরা চলেছে, একটু বেলা হওয়ায় হন্তদন্ত লোকের সংখ্যা কম। যারা যাচ্ছে তারা মন্থরচরণেই চলেছে। এক জোড়া কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী হেঁটে গেলো ইতিউতি চাইতে চাইতে, বেশ মজা পাচ্ছে যেন। একজনের ক্ষীণকটির চেয়েও ক্ষীণ চটি, প্রথমে ভেবেছিলাম খালি পা নাকি? ছোটোবেলায় এসপ্লানেড চত্বরে গেলে কাউকে পথনির্দেশ জিজ্ঞেস করতে খুব লজ্জা হতো, যদি ভাবে কোন গ্রাম থেকে এসেছে! গ্রাম থেকে আসার মতো খারাপ আর কিছু হয় ভাবতে পারতাম না। এই বালিকারাও বোধ হয় বহিরাগত, দেখে মনে হচ্ছিলো। কিন্তু এদের মধ্যে সেই অপ্রস্তুত ভাবটা নেই যার বর্ণনা সুনীল করেছিলেন 'মুখ কেমন তেল চকচকে', ওঁর যৌবনের কলকাতায় পূর্ববঙ্গ থেকে আগতদের প্রসঙ্গে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রাস্তা পার হলো তারা, জেব্রা ক্রসিংয়ের তোয়াক্কা না করে। এই সময় আমার পাশে ধূমকাঠিহাতে এসে দাঁড়ালেন এক মাঝবয়সী সাদা ভদ্রলোক, এসেই পকেট থেকে কালোজামটি বের করে টিপতে লাগলেন। নিজের জন্য আলাদা করে দেবার মতো সময় আমাদের হাতে আর নেই। কিছু স্বাস্থ্যসচেতন যুবক সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করছে, মাথায় হেলমেটটেট পরে, তাদের নানা রঙের পোষাকে রাস্তায় খানিক রঙ এলো, নইলে অফিসযাত্রীরা সব ফ্যাকাশে আর কালো পোশাকেই চলেছে দলে দলে।

খুব কাছেই আছে হুটার্সের এক দোকান, পেঁচক ও কমলাবালিকা ছবিশোভিত (যাঁরা জানেন না গুগলরে জিগান Hooters কী)। তার কর্মী একটি মেয়ে দোকানের নাম লেখা টীশার্ট পরে হেঁটে চলে গেলো, সকালেও সাজুগুজু সারা তার, ভুরুটুরু আঁকা, দোকানের নামটা কষ্ট করে পড়লাম পাহাড়পর্বত ডিঙিয়ে। তার পিছন পিছন এক নিষ্কর্মা গোছের আধবুড়ো গাইতে গাইতে চলেছে, গানের গন্তব্য সেই বালিকা, তবে সে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে দেখলাম না। গানের কথায় মনে এলো, এক জিরেনিয়াম টাঙানো ঝুলবারান্দার নিচে দাঁড়িয়ে কফিধূমপান করছিলাম, ঐ বাড়ির লাগোয়াই, সেটা একটা চমৎকার রেস্তোরাঁ। তাতে সারাদিন জ্যাজ বাজে মৃদু স্বরে, আর পাশেই পাথুড়ে ছাইদান, সে জন্যই ওখানে দাঁড়াই। প্রায় ঊষা উত্থুপের মতো দরাজ গলায় গান গাইছেন কেউ আমার অচেনা (আমি জ্যাজ শিল্পী খুব কম চিনি)। এই হাল্কা শীতের হাওয়ার সাথে ভালোই মানায় সে গান। এইটা আমার পর্যবেক্ষণ, অনেকে মানবেন না হয়তো, জ্যাজ খুব ভিন্নধর্মী নানা পরিবেশে খুব খাপ খেয়ে যায় যেটা অনেক গানের ক্ষেত্রেই বলা যায় না। সন্ধেবেলা জ্যাজবারে হলুদ আলোয় ধোঁয়াচ্ছন্ন পানবিলাসে যেমন, তেমনি চাঁদিফাটা রোদ্দুরে হল্কা দেওয়া লূ'র মধ্যে জানলা খুলে গাড়ি চালাতে চালাতেও নোরা জোনস আমার দারুণ লেগেছিলো (এ কথা আগেও একবার লিখেছিলাম)। তো এই সকালেও জ্যাজ হতাশ করে নি।

এরপর আর দাঁড়াই নি বেশিক্ষণ, সিগারেট শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তা বলে দেখা তো ফুরোয় না, চোখ খোলা রাখতে হয় কেবল। আমিও রইলাম, শহরও, আবার দেখা হবে। যেতে যেতে একটা গানের কথা শুনিয়ে যাই। লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া 'মায়া মেমসাব' ছবির (মাদাম বোভেরি'র গল্প), হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সুর ও গুলজারের বাণী। 'ইস দিল মে বস কর দেখো তো, ইয়ে শহর বড়া পুরানা হ্যায়'। সামান্য বদলালাম, আর স্মৃতি থেকে অনুবাদ করছি অন-দ্য-গো যাকে বলে, ভুলচুক মাফ।

বাসা বাঁধো এ হৃদয়ে, পুরোনো শহর কতযুগ
প্রতি নিঃশ্বাসে এর বেজে ওঠে কতো সুখদুখ
কাহিনীরা হৃদয়ের অলিগলি পথ বেয়ে ঘোরে।

পুরোনো বসতি এক, বেদনামলিন এ হৃদয়
কত বার ভেঙে গেছে, বয়ে গেছে অনেক সময়
আবার বেঁধেছি ঘর নতুন আশায় ভর ক'রে।

কাঁচা মাটি দিয়ে গড়া এ শহর, চোখ ভ'রে এলে
বৃষ্টি দেয়াল ভাঙে, কেউ তার বুকে টেনে নিলে,
আসবে কি কাছে কেউ, আসবে কি, আমার দুয়ারে?

আসলটাও দিলাম, যদি কারো দেখার ইচ্ছে হয় সে জন্য। গানের জন্য প্রহরী ভরসা, আমি খুঁজে পেলে মন্তব্যে জুড়ে দেবো।

ইস দিল মে বস কর দেখো তো, ইয়ে শহর বড়া পুরানা হ্যায়
হর সাঁস মে কাহানি হ্যায়, হর সাঁস মে অফসানা হ্যায়,
ইয়ে শহর বড়া পুরানা হ্যায়।

ইয়ে বস্তি দিল কি বস্তি হ্যায়, কুছ দর্দ হ্যায় কুছ রুসওয়াই হ্যায়,
ইয়ে কিতনি বার উজাড়ি হ্যায়, ইয়ে কিতনি বার বসাই হ্যায়
ইয়ে শহর বড়া পুরানা হ্যায়।

ইয়ে জিস্ম হ্যায় কচ্চি মিট্টি কা, ভর যায়ে তো রিসনে লগতা হ্যায়,
বাহোঁ মে কোই থামে তো আগোশ মে গিরনে লগতা হ্যায়,
ইয়ে শহর বড়া পুরানা হ্যায়।


Comments

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

আপনি তো ছবিও তোলেন, সাথে দুয়েকটা দিলে মন্দ হয়না। আটলান্টা নিয়ে কেন যেন খানিকটা আগ্রহ আছে। ওয়েদার ক্যামন? মানে আপনি কেমন দেখছেন?

মূলত পাঠক's picture

তেমন কিছু ঘুরি নি এখনও, দু সপ্তাহ তো বাইরেই কাটালাম, আর ছবি তোলাও শুরু করি নি, করলে অবশ্যই দেবো। বারান্দার বনের ছবি কিন্তু এখানকারই।

গরমকালে যদিও একেবারে জ্বালাপোড়া রোদ ওঠে, এখন আবহাওয়া খুব ভালো, ঠান্ডা হাওয়া বইছে আর আকাশে শীতকালের মতো মিঠে রোদ।

রেজুয়ান মারুফ's picture

আপনার লেখা পড়ছিলাম আর মনের চোখে আটলান্টা দেখছিলাম। আপনি রংতুলি দিয়ে একটুকরো আটলান্টা, আটলান্টার একটা সকাল - এমন চমতকার এঁকেছেন যে আমার আর প্রকৃতি প্রেমিক এর মতো ছবির আবদার করতে ইচ্ছে করছে না।

---------------------------------------------------------------

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কাব্য নিয়ে ঘুরি।

আমার জীবন থেকে আধেক সময় যায় যে হয়ে চুরি
অবুঝ আমি তবু হাতের মুঠোয় কব্য নিয়ে ঘুরি।

মূলত পাঠক's picture

এই এক মুহূর্তের ছোট্টো ছবি আপনার ভাল্লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। টাটকা টাটকা প্রশংসা এমন আর কোথায় পাবো? হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

লেখাটা ভালো লাগলো... একটা শহরকে দেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক's picture

ধন্যবাদ, নজ্রুলিস্লামসাহেব!

আরো আসবে, দেখি সকলের কেমন লাগলো শুনে নিই আগে।

মৃত্তিকা's picture

কালোজাম দেঁতো হাসি
লেখা ভালো লাগলো মূলো'দা।
(জর্জিয়ার আটলান্টায় থাকেন নাকি? ওখানে তো আমার মামা বাড়ি!)

স্নিগ্ধা's picture

আমিও ছিলাম ওখানে পাঁচ বছর হাসি আপনার মামাবাড়ি কোথায়?

মৃত্তিকা's picture

মামা বাড়ি লোকাস্ট গ্রোভ শহরে হাসি

মূলত পাঠক's picture

ধন্যবাদ, মৃত্তিকা। হাসি

ঠিকই বলেছেন, ওখানেই। মামাবাড়ি? আহা সে তো ভারি মজা, কিলচড় ইত্যাদি কিছুই নেই। তবে আপনি বেশি দূরে থাকলে তো ভারি মজা লুটতে পারছেন না, সেটা দুঃখের কথা।

মৃত্তিকা's picture

দূরে আছি বলেই তো ভারি মজার কিছুটা পাই মাঝে মধ্যে চাল্লু , কাছে থাকলেই বরং কিলচড় খেতে হতো দেঁতো হাসি

মামুন হক's picture

খুব ভালো লাগলো মূলোদা। দেখি মুরোদে কুলোলে একদিন বেড়িয়ে আসব তোমার ওখান থেকে হাসি

মূলত পাঠক's picture

চলে আসো না মামু, এলেই তো হয়। মুরোদের বাহানা দিয়ো না, ঘোড়ায় হাসবো। বরং কাজকারবার লোকলস্কর সামলে আসার সময় কম পড়তে পারে এইটা মানতে রাজি আছি।

অতিথি লেখক's picture

লেখাটা পড়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা কথা মনে পরে গেল, সে বলেছিল মানুষ জ্ঞানার্জন করতে পারে দুই উপায়ে এক বেশী বেশী বই পড়ে, আর দুই দেশ বিদেশ ভ্রমণ করে।

সচলে লেখা পড়ে বোঝা যায় দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করলে অনেক সুন্দর সুন্দর বিষয় নিয়ে জ্ঞান গর্ভ লেখা লিখা যায় অবলীলায়।

ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।

দলছুট।

=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

মূলত পাঠক's picture

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ হলো। ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য।

সুহান রিজওয়ান's picture

চমেৎকার !! ভালৈসে... একেই বোধহয় বলে পাখির চোখে দেখা- এক পলকে এক ঝলকে...

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মূলত পাঠক's picture

ধইন্যবাদ, পক্ষীকূলের হইয়া। বাই দ্য ওয়ে, কোন পাখি, কাক শকুন ছাতার হাঁড়িচাচা?

সিরাত's picture

ভাল্লাগলো। এরকম লেখা আমার ভালই লাগে। আরেকটু লিখলে পারতেন। কবিতা-গানে আমি বেরসিক যদিও। চোখ টিপি

মূলত পাঠক's picture

আরে একটা সিগারেট খেতে এর বেশি সময় লাগে না তো, দেখাও শেষ লেখাও শেষ। তুমি যে ভাই ধূমপান করো না এইটা বুঝলাম। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী's picture

Quote:
গানের জন্য প্রহরী ভরসা
হা হা হা। সম্মানিত বোধ করছি হাসি

গানটা যারা শুনতে চান, এখান থেকে সরাসরি শুনতে পারবেন। ডাউনলোড লিংক এখনও পাইনি। আরেকটু সময় পেলে, খুঁজে দেখব পাওয়া যায় কি-না। পেলে, মন্তব্যে জুড়ে দিবো। হাসি

মূলত পাঠক's picture

থাংকু অপ্র।

এই ছবিটা যখন বেরিয়েছিলো, এর গানের অ্যালবান কোনো ছোটো কম্পানি বের করে (যদ্দূর মনে পড়ে, অনেক আগের কথা, '৯৩-'৯৪ হবে), এবং তার সাউন্ড কোয়ালিটি খুব খারাপ ছিলো। সে কারণেই নেটে যা পাওয়া যায় সবগুলোই কেমন চাপা-চাপা শোনায়। যাক তা সত্ত্বেও এতো সুন্দর গান, শুনতে পেয়ে অনেকের ভালো লাগবে আশা করছি।

অতন্দ্র প্রহরী's picture

এখানে তুলনামূলক একটু ভালো sound quality-র একটা version আছে। শুনে দেখতে পারেন।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

সাইফুল আকবর খান's picture

আমার কাছে তো সব শহরই নতুন। থাকবেও নতুনই। আমার যাওয়া হবে না নিশ্চয়ই।
দেখলাম তো, না গিয়েও। স্মোক-আই-ভিউ! অন্যের চোখে, তবু অনেকই অসামান্য, সবিস্তার আর রীতিমতো চাক্ষুস!
ধন্যবাদ।
অন-দ্য-গো হোক, আর ডেথ-বেডেই হোক, মৌলিক হোক আর অনুবাদ হোক, বেশি একটা খারাপ ভুল-চুক তো আপনি চেষ্টা করলেও করতে পারবেন না, জানেন তো! খাসাই হয়েছে মশাই। চলুক

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক's picture

আপনার আত্মবিশ্বাস ঈর্ষণীয়, একেবারে নিশ্চিত কোত্থাও যাওয়া হবে না? হাসি

আর কী ভয়ানক প্রশংসা, কালো বর্ণ বেগুনী হয়ে গেলো! ডেথ বেড-টেড কী সব বলেছেন অবশ্য, যাক ওটুকু ধরলাম না।

এখানে কবিতা পাঠক কম, লেখার পাঠক সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। তাই আলাদা করে অনুবাদ পোস্ট করতে চাই না। কিন্তু মৌলিক কবিতা লেখার চেয়ে সোজা কাজ এটা তা বলতে পারি না, বিশেষতঃ যদি অনুবাদকে মূলনিষ্ঠ রাখতে চাই। তাই অনুবাদের প্রশংসা পেলে আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ।

সাইফুল আকবর খান's picture

প্রায়! মন খারাপ

আবার বেগুনী?! হাসি

অবশ্যই এটা বেশি কঠিন। হুউম।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান's picture

ও হ্যাঁ, গানটাও কয়েকবারের চেষ্টায় শুনতে পারলাম। বেশ খাসা। শুনেছিলাম আগে, সেই স্মৃতিও উদ্ধার হ'লো। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক's picture

এই ছবির গানগুলো সব মারকাটারি, যেমন কথা তেমনি সুর। শুনতে পারেন বাকিগুলোও।

সাইফুল আকবর খান's picture

'মারকাটারি' শব্দটা মজা লাগলো। এটা আগে শুনেছি ব'লে মনে পড়ে না। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মূলত পাঠক's picture

ঐ পাড়ে এটা খুব চলে, কমন শব্দ।

সাইফুল আকবর খান's picture

হুউম। ধন্যবাদ। 'মারকাটারি' শব্দটা আসোলেই নিজেও মারকাটারি! হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দময়ন্তী's picture

আমার পতনের ইতিহাসে আটলান্টা শহরেরও একটা জায়গা আছে৷ বদবন্ধুগণ তাই নিয়ে কিছু গল্পকথাও বাজারে ছেড়ে দিয়েছে৷ মন খারাপ
লেখা যথারীতি "মূলোছাপ' যুক্ত৷ হাসি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মূলত পাঠক's picture

পতনের ইতিহাস? হুমমম, খুলে বলা যায়? কোত্থেকে কোথায় পতন হলো, কেম্নে হলো ইত্যাদি আর কী। জাস্ট কৌতূহল। হাসি

"মূলোছাপ" ব্রান্ডটা কপিরাইট করে ফেলি তা'লে, কী বলেন?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.