যে জীবন হরিণের, শালিখের

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Wed, 10/02/2016 - 1:33pm
Categories:

১।

একটার নাম ছিল ঘরকোপ, আরেকটা বেল্লাপার। ঘর কোপ শুরু হোতো মাটিতে দুটো ঢ্যাঁড়া কেটে। সবার লক্ষ্য দুটো লাইন পরস্পরকে যেখানে ছেদ করে গিয়েছে সেই বিন্দুর যত কাছে থাকা যায়। সবচেয়ে দুরে থাকা ছেলেটার জায়গা হতো একটা বৃত্তের মাঝখানে। বৃত্তের চার পাশে ভিড় করে অন্য সবাই, বৃত্তবাসীর মুখ শুকনো, চোখে রাজ্যের দুশ্চিন্তা।

একটা লাট্টু, আর একটি লত্তি। যতক্ষণ আলাদা থাকে ততক্ষণ পৃথিবীটা এক রকম। লাট্টুর সাথে পেঁচিয়ে বাঁধা লত্তি ধরে আছড়ে মারতেই বনবন করে ঘুরতে থাকে দুরন্ত শৈশব। বৃত্তের ভেতরে অসহায় একটি লাট্টু, গজালের আঘাতে কখনো দুভাগ হয়ে যায়, কখনো বা চলটে উঠে আসে তার। লক্ষ্যভেদে যে ব্যার্থ তারও ঠাই হয় বৃত্তের ভেতরে, বাইরে তখন গজালে শান দিয়ে অপেক্ষায় লত্তিতে বাঁধা আর সব লাট্টুরা।

দশ কোপ নাকি বিশ? বেল্লাপার বড় নির্মম খেলা, হিম্মত লাগে খেলতে। নিয়মটাও অন্য রকম, কোন বৃত্ত নেই, তবে এখানেও সেই ঢ্যাঁড়া কেটেই শুরু। হেরে যাওয়া লাট্টুটা পড়ে থাকে মাটিতে, কিন্তু সেটি সাময়িক। সাই সাই করে আছড়ে পড়ে অন্য লাট্টু, এক টিপে ছুঁতে না পারলেও অসুবিধা নেই। লত্তি দিয়ে টেনে ছোঁয়াতে পারলেই হোল। সবচেয়ে ওস্তাদি চাল ঘুরতে থাকা অবস্থায় হাতের তেলোতে তুলে নিয়ে , ‘দে ধাক্কা’। এভাবে ঠেলতে হবে একশ কদম। মিস করলেই বিপদ, তখন পড়ে থাকা লাট্টুর মুক্তি, শিকারি হবে শিকার। একশো কদম পেরিয়ে গেলেই শিকার কে চেপে ধরে কোপ। দশ, বিশ, তিরিশ, যে বাজিতে খেলা শুরু হয়েছিলো ততোগুলো আঘাত, লাট্টুর ছুঁচালো গজাল দিয়ে। এরই নাম বেল্লাপাড়। সবচেয়ে ভয়ংকর বাজি ছিল এক, দুই কি তিন দা’কোপ। দুর্বল চিত্তের জন্য একেবারে নৈব নৈব চ’। একশ কদম দুরের দাগটাকে বলাতাম বেল্লা। বেল্লা পার তো ধইরা মার।

কত ধরনের কায়দা লাট্টু চালানোর! নবিশ যারা তাঁদের দৌড় ঠেলাগাড়ি পর্যন্ত। একটু অভিজ্ঞদের পছন্দ ছিল কোপ, উল্টা কোপ, সোজা কোপ, তেরছা কোপ। সবচেয়ে কুশলীরা শূন্যে ছুড়ে শূন্যেই হাতের তেলোতে তুলে নেয় ঘুরন্ত লাট্টু। তারপর, ‘দে ধাক্কা’। লাট্টুরও যে কত রকম ফের! সবচে মহার্ঘ হোল গাবের লাট্টু, গাব গাছের কাঠ দিয়ে বানানো, তাতে গজালের আল। লাট্টুতে পেঁচিয়ে বাঁধা সাদা লত্তি, লত্তি তে টান পড়তেই বোলতার মতো গোঁ গোঁ আওয়াজ ছেড়ে চক্কর দিয়ে উঠে। সে আওয়াজ ছাপিয়ে কানে ভেসে আসে বাড়ি থেকে ছোটো কাকার হাহাকার, “হারামজাদা আবারও আমার পায়জামার ফিতা খুইলা লইয়া লাট্টু ঘুরাইতাসস?”

২।

দশটা তারায় একটা বগলা, পাঁচটা বগলায় একটা উইলস আর পাঁচটা উইলসে একটা ব্রিস্টল। তারা মানে স্টার, আশির দশকে তখন দারুণ জনপ্রিয়, হাটে মাঠে ঘাটে পরিত্যাক্ত প্যাকেট পড়ে থাকে বেশুমার। তাই দাম কম। বগলা মানে কিংস্টর্ক, উইলস আর ব্রিস্টল তো নামেই বোঝা যায়। সবচে কম দাম পাঞ্জার, কারণ তাকে চ্যাপ্টা করে রাখা যায়না। পাঞ্জা মানে ফাইভ ফাইভ ফাইভ। ফিলটার পূর্ববর্তী ঢাকার কোন এক শীতের সকাল। একমনে হেঁটে বেড়াচ্ছে একটি কিশোর, চোখ মাটির দিকে। চারা চাই, মনের মতো চারা। একেবারে সমান নয়, মাঝখানটা একটু উঁচু, খানিকটা ভারি। আরও ভালো যদি হয় তিনকোনা, নৈ থেকে ছুড়ে মারলেই যেন লেপটে থাকে মাটিতে। পাতলা চারাতেও চলবে যদি খেলা হয় এক বিঘতের, চার আঙ্গুলের বাজি হলে ভারি ছাড়া গতি নেই। রায়ের বাজার এবং তার আশেপাশের গলিগুলোতে আট দশটা পাল বাড়ি। পালের বাড়ির চরকা ঘোরে বন বনা বন বন। রোদে শুকায়, আগুনে পোড়ে, কোনোটা মেটে, কোনোটা লাল, কোনোটা আবার ছাইয়ের বরন। পাতিল গড়ে পাতিল ভাঙ্গে, চারার আর অভাব কি?

খুব সহজ খেলা নয়, মাটিতে চার কোনা একটা ঘর কেটে সেখান থেকে চারা ছুড়ে মারতে হয় দুরে। এতো দুরে নয় যে সই করে নৈ এ ফেরা যাবেনা। এতো কাছেও নয় যে অন্যেরা তাদের চারা দিয়ে ছুঁয়ে ফেলতে পারে। নৈ হচ্ছে ওই ছোটো ঘরটির নাম।
ঃ কয় আঙ্গুল?
ঃ এক বিঘা।
ঃ হইব না, চাইর আঙ্গুল।
ঃ আইচ্ছা, সই।
ঃ কয় তাস?
ঃ তিন বগলা।
ঃ কার নৈ?
ঃ আমার নৈ।

যার নৈ সে আগে ছুড়বে। তাকে ছুঁতে হবে অন্যদের, শুধু ছুঁলেই চলবে না। ফিরে আসতে হবে নৈ এর চার আঙ্গুলেরও কম দূরত্বে, নইলে হক্কের দান বক্কে। যার নৈ সে ফিরে আসতে পারলে তখন তারই জিৎ, তিন বগলা বন্ধুর পকেট থেকে তার পকেটেই। সে আনন্দের তুলনা হয়না, যতই বাড়ি থেকে ছোটো কাকা হেদিয়ে মরুক, “ভাবি তোমার ছেলে আমার প্যাকেট লইয়া চারা খেলতে গ্যাসে, তিনটা শলা ফালায়া দিসে প্যাকের মইদ্দে”।

-----মোখলেস হোসেন


Comments

অতিথি লেখক's picture

লেখার ধাঁচটাই লা’জবাব, বিষয়বস্তুটা সাংঘাতিক আকর্ষনীয়। মোখলেস ভাই চলুক এই লেখা। ছোটবেলার এই খেলা গুলোর বিবরন একটা অসাধারন সংগ্রহ হবে, নৃতত্ত্বের গবেষকদের জন্য সোনার খনি। আরো লিখুন, দারুন ভালো লিখেছেন। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সোহেল ইমাম

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ সোহেল ইমাম। লেখার অভ্যাস ধরে রাখা আর প্রকাশিত হবার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার ভাবনা থেকেই লেখা।
---মোখলেস হোসেন।

তাহসিন রেজা's picture

পুরোনো অনেক কিছুই মনে পড়ে গেল।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক's picture

পড়ার জন্য ধন্যবাদ তাহসিন রেজা।
-মোখলেস হোসেন

অতিথি লেখক's picture

লাটিম/লাট্টু/লাড্ডু খেলার পদ্ধতি তিনটা – ঝিম কোপ, ঘর কোপ, সাত গাইচ্ছ্যা।

ঝিম কোপের নিয়ম হচ্ছে কোন লক্ষণরেখা ছাড়া খোলা জায়গায় ‘চোর’ তার লাট্টু ঘুরাবে বা ঝিম ধরাবে। বাকিরা তখন চোরের লাট্টুর উপর কোপ মেরে নিজ নিজ লাট্টু ঘুরাবে। কারো লাট্টু চোরের লাট্টুকে স্পর্শ করাতে না পারলে পরের রাউন্ডে সেই চোর হবে। প্রথম দফা ‘চোর’ নির্ণয়ের জন্য সবাই একসাথে ঝিম ধরাবে। যার লাট্টু সবার আগে থেমে যাবে সে-ই চোর হবে। কায়দা মতো কোপ দিতে পারলে ঝিম কোপে চোরের লাট্টু দু’ভাগ হয়ে যাওয়া কোন ব্যাপার না।

ঘর কোপ আর সাত গাইচ্ছ্যা ওরফে বেল্লা পার মোখলেস ভাই অলরেডি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। সাত গাইচ্ছ্যার সবচে সফট ভার্সান হচ্ছে খালি হাতে লাট্টু ধরে তার ‘আল’ দিয়ে চোরের লাট্টুকে সাত বার আঘাত হানা। এতে চল্টা ওঠার চেয়ে বেশি ক্ষতি হতো না। মিডিয়াম ভার্সান হচ্ছে ‘ইটা কোপ’, মানে চোরের লাট্টুর উপর আল ঠেকিয়ে ইট দিয়ে নিজের লাট্টুকে আঘাত হানা। এতে লাট্টু দুই ভাগ হবার সমূহ সম্ভাবনা। আর দুই ভাগ না হলেও যে বড় বড় চল্টা উঠবে তাতে ঐ লাট্টু থাকা না থাকা সমান। সবচে’ অ্যাডভান্সড ভার্সান হচ্ছে ‘দাও কোপ’, যেটা মোখলেস ভাই বলে গেছেন। এর ফলে হারু পাট্টির লাট্টুর কী হতো সেটা বলা বাহুল্য।

লাট্টুর মধ্যে গাবের লাট্টু সবচে’ দামী। এতে মোটা কনিক্যাল আল লাগানো থাকে। সাধারণত কোন রঙ না করে গাবের কষ দিয়েই সিজনড করা হতো। এই লাট্টু প্রফেশনালদের জন্য। ‘পোলাপান’দের লাট্টু হালকা কাঠের। তাতে সাধারণ পেরেক বা তারকাঁটা লাগানো থাকতো। গায়ে বৃত্তাকারে লাল-হলুদ-সবুজ-নীল রঙ করা থাকতো। লেত্তি বা হত্তি হতো টিসি জার্সি বা কটন জার্সির (প্রচলিত ভাষায় একে বলে ‘গেঞ্জির কাপড়’) সরু লম্বা কাপড়ের টুকরাকে আলতো পাকিয়ে। লাট্টু আর লেত্তি ভিজিয়ে নিলে তার ‘রোষ’ বেড়ে যেতো। এই রোষের মানে কী সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই।

**********************************

‘চাড়া ফিকুন্তি’ বা ‘চাড়া’ খেলার আবশ্যিক টুল হচ্ছে পোড়া মাটির তৈজষপত্রের ভাঙা concavo-convex টুকরা। এটা পোলাপানদের জন্য। প্রফেশনালদের জন্য হচ্ছে লোহার চাড়া। এটা কাস্ট আয়রনে বানানো লোহার কড়াই ভাঙা অথবা রিরোলিং মিল বা মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ থেকে প্রাপ্ত সমতল বা concavo-convex টুকরা।

চাড়া খেলার দ্বিতীয় টুল হচ্ছে ‘তাস’ অর্থাৎ সিগারেটের প্যাকেট। তাস না থাকলে ‘কিল’ বাজি ধরেও খেলা হতো। তাসের মূল্যমান এলাকাভেদে ভিন্ন প্রকার। আমাদের এলাকায় স্টার = ১০, সিজার্স = ১৫, থ্রি-এ = ২০, চ্যাম্পিয়ন = ২৫, বগলা/চাঁনতারা = ৩০, কিংস্টর্ক/ক্যাপস্ট্যান = ৪০, গোল্ডফ্লেক = ৫০। ফাইভ-ফিফটি-ফাইভ মানে স্টেট এক্সপ্রেসের কোন দাম ছিল না সেটা ভাঁজ করা যায় না বলে। অচেনা কোন ব্রান্ড আনলে তার চেহারা সুরত অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হতো। তবে সেই দাম কখনোই ৫০-এর বেশি না।

নৈ-এ পায়ের গোড়ালি রেখে অপেক্ষাকৃত ঢালু বা এবড়োখেবড়ো সারফেসে চাড়া ছোঁড়া হতো। দ্বিতীয় জনকে প্রথম জনের চাড়া সই করে চাড়া ছুঁড়তে হতো। দুই চাড়ার দূরত্ব মেপে বাজিতে জেতা হারা নির্ধারণ করা হতো। এই দূরত্ব টিপ (বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রস্থ), তিন/চার আঙুল, টুট্টি (প্রসারিত অবস্থায় বৃদ্ধাঙ্গুলির প্রান্ত থেকে তর্জনীর প্রান্ত পর্যন্ত) বা বিঘত মেপে হতো। খেলোয়াররা যতো দক্ষ, দূরত্বের মাপ ততো খাটো হতো। কখনো বাজিতে নৈ থেকে দূরে গিয়ে আবার নৈ-এ ফিরে আসার শর্তও থাকতো যেটা মোখলেস ভাই বলেছেন। বাজির এক পর্যায়ে হাতের সব তাস একবারে ধরা হতো। একে বলা হতো ‘হাত কুরুত’। এমন বাজি ধরার বুকের পাটা সবার থাকতো না।

**********************************

লেখাটা একটা ভালো ডকুমেন্ট হয়ে থাকলো। ভবিষ্যতে গবেষকদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ মোখলেস ভাই!

অতিথি লেখক's picture

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যটিই একটি স্বতন্ত্র লেখা হতে পারে, ভেবে দেখবেন আশা করি। ঝিমকোপের কথা ভুলে গিয়েছিলাম, ঘুলে গিয়েছি বিভিন্ন তাসের নাম। তবে রোষ আর হাত কুরুত এর কথা মনে পড়ে গেলো। কী দিন ছিলরে ভাই!

--মোখলেস হোসেন।

অতিথি লেখক's picture

মোখলেস ভাই যথার্থ বলেছেন এই মন্তব্যটাই একটা স্বতন্ত্র লেখা হতে পারে। ভাই একটু বিস্তারিত লিখলে এই খেলা গুলো আর বিস্মৃতিতে হারিয়ে যায়না, লিখে ফেলেন। সেই সাথে মোখলেস ভাইয়ের প্রতিও জোর অনুরোধ আরো লিখেন ভাই। পশ্চিমবঙ্গে “বংলার লৌকিক ক্রীড়ার সামাজিক উৎস” বলে ড। অসীম দাসের একটা বই আছে বাংলাদেশে এখনও সে বিষয়ে ভালো কোন বড় লেখা চোখে পড়েনি, হয়তো আছে আমার জানা নেই। কিন্তু আপনাদের দু’জনের কাছেই অনুরোধ অঞ্চল ও সময়কাল উল্লেখ করে খেলা গুলোর একটু বিস্তারিত বর্ণনা লিখলে দারুন একটা কাজ হয়।

সোহেল ইমাম

অতিথি লেখক's picture

অসীম দাস এর লেখা বইটি পড়া হয়নি। বাংলাদেশে কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই বিষয়ে লিখেছেন!
---মোখলেস হোসেন

এক লহমা's picture

চমৎকার! সেই দিনগুলো একেবারে সামনে তুলে এনেছেন।

লাট্টু খেলেছি দীর্ঘদিন, তবে মারকুটে খেলাগুলো নয়। লাট্টু আর ডাংগুলি খেলাদুটোয় বাবার ভীষণ রকম কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওদুটো ঠিকমতো খেলা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু চাড়া তথা তাস নিয়ে গল্প পুরোই আলাদা। ভাল রকম খেলেছি। কুচবিহারে থাকার সময় একবার বিশেষ চারা জুটেছিল - দুই-আড়াই ইঞ্চি বর্গাকৃতির, আধা ইঞ্চি মত উচ্চতার, প্লাস্টিকের খাপে কার্বন বা সেরকম কিছু ভরা, হতে পারে কোন ব্যাটারি জাতীয় বস্তু- কিসের ব্যাটারি, কোথায় ব্যবহার হত জানতাম না, কিন্তু ব্যাটারি বলেই জানতাম সেগুলোকে। অব্যর্থ কাজ হত - প্রচুর দূরেও থপাস করে গিয়ে বসে যেত।

আপনারই মতন করে বলি - "কী দিন ছিলরে ভাই!"

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ এক লহমা। ডাংগুলি খেলা হয়নি এই আফসোস কোনদিন যাবেনা।
---মোখলেস হোসেন।

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

আহা শৈশব/কৈশোর!

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

আহা, শৈশব/কৈশোর! চলুক

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.