নূঢ়া ডাক্তারের আয়না

মৃদুল আহমেদ's picture
Submitted by mridul ahmed on Thu, 05/11/2015 - 1:40pm
Categories:

সাতসকালে ডাক্তার নূঢ়া চৌধুরী যত্ন করে গোঁফটা ছাঁটছিলেন। গোঁফ ছাঁটা কঠিন কাজ। দুইদিকেই খেয়াল রাখতে হয়। একদিকে ছোট করলেন তো আরেকদিকে বড় হয়ে গেল! খুব যত্ন নিয়ে দুইদিকেই সমান রাখতে হয়।
নূঢ়া সেটা ভালোই পারেন। দুইদিক সমান রাখার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নাই।
গোঁফটা ছেঁটে নিজের চেহারাটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ছোট্ট আয়নার মধ্যে দেখছিলেন।
তিনি রূপবান পুরুষ, তেল চুকচুকে চেহারা, শরীরটা নধর। বয়স হয়েছে, চুলে গোঁফে পাক ধরেছে, কিন্তু মেয়েরা এখনো আড়চোখে তার দিকে তাকায়। তিনি সেটা উপভোগ করেন, এবং সময়মতো চান্স মিস করেন না। তরুণী রোগীর খবর পেলে দেরি না করে ক্যাম্বিসের ব্যাগটা বগলে নিয়ে দৌড় দেন। রোগীর হাতের নাড়ি টিপে চোখ বুঁজে বসে থাকেন, কল্পনায় তার হাত নাড়ি টেপা বাদ দিয়ে রোগীর শরীরের আরো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন জিনিস টিপেটুপে তার কাছে ফেরত না আসা পর্যন্ত ঝিম মেরে বসেই থাকেন।
এবং মাশাল্লা এমন বিনোদনের সুযোগ তার জীবনে অঢেল। তিনি গ্রামের একমাত্র এন্ট্রান্স ফেল ব্যক্তি এবং একমাত্র ডাক্তার (হোমিওপ্যাথি)। যেমন তার সম্মান, তেমনি তার কদর। গঞ্জের সবচে বড় রাস্তার মোড়েই তার চেম্বার। বিশাল বড় বড় করে লেখা : নূঢ়া হোমিও হল।
দুপুরের পর থেকেই তার সেই চেম্বারে সারি সারি পাতা বেঞ্চে ভিড় বাড়তে থাকে। রোগী যত না আসে, তারচে বেশি আসে তার চামচাবৃন্দ। বিনা পয়সার চা খায়, রোগীরা টাকার বদলে কলাটা মূলাটা নিয়ে এলে তার ভাগ পায়, বিনিময়ে নূঢ়া চৌধুরীকে তেল মারতে মারতে পিছলা করে ফেলে!
গ্রামে কোথায় কার কী সমস্যা, কোন বাড়িতে কী ঘটে, সব আলাপ সেখানে হয়। সব আলাপ শুনে নূঢ়া একটা গলাখাঁকাড়ি দেন, মানে এবার তিনি একটা কিছু বলবেন। সবাই তখন চুপ হয়ে যায়, নূঢ়া তার মধুঢালা গলায় তখন একটা নিদান দেন, তাই শুনে সবাই বলে ওঠে, বাহবা বাঃ, এই না হলে আমাদের নূঢ়া চৌধুরী!
এই যেমন গতকাল সকালে আলাপ হচ্ছিল সগির মিয়ার মেয়েকে নিয়ে। সগির মিয়ার মেয়ে ক্লাস ফাইভ পাস দিয়েছে, আরো পড়তে চায়। কিন্তু সগির মিয়া চায় মেয়ের বিয়ে দিতে। এই নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বেশ খানিকক্ষণ আলাপ চলল, নূঢ়া আলাপ শুনতে শুনতেই একে তাকে ওষুধ দিলেন, একটা কমবয়সী মা জ্বরে ভোগা ছোট বাচ্চা নিয়ে এসেছিল, ‘দেখি তোমার বাচ্চাটা শক্তি দিয়া দুধ টানতে পারে কিনা’ বলে আঁচল তুলে ভালোমতো মেয়েটার বুক দেখে নিলেন। তারপর সবার আলাপ যখন শেষের দিকে, তখন একটা গলাখাঁকাড়ি দিলেন!
সবাই চুপ করে গেল। এবার নূঢ়া চৌধুরী কিছু বলবেন। নূঢ়া শুরু করলেন চিনিমাখা গদগদে গলায়, তোমাদের সবার কথাই শুনলাম। সবার কথাতেই যুক্তি আছে। মাইয়ার পড়াশোনা করা দরকার, অবশ্যই দরকার। শিক্ষিত মানুষ সবার উপরে, তারা গঞ্জের অ্যাসেট, দেশের গৌরব। কিন্তু বেশি শিখলে কী হবে জান? উল্টা পণ্ডিত হবে! সবাইরে জ্ঞান দিবে, বাপের মাথার উপ্রে ছড়ি ঘুরাইবে! বেয়াদব হবে। তারপর ধর, বয়সটাও কম। বাসা থেইকা বাইর হবে, বাইরে বাইরে থাকবে, কে কখন কোন ফাঁন্দে ফেলবে, মাইয়া হাসিমুখে সেই ফাঁন্দে পড়বে। সব মাস্টর তো আর সমান না, কেউ হয়ত একলা মাইয়া পাইয়া ইস্কুলঘরের কোনায় তার কচি বুকে হাত দিবে! (এই সময় জমায়েতের অধিকাংশ লোকের নিঃশ্বাস ঘন হয়ে গেল, তারা মনে মনে সগিরের মেয়ের কচি বুকে হাত রাখতে কেমন লাগবে, সেটা আন্দাজ করতে গিয়ে তাদের মুখ শক্ত হয়ে গেল!)
সেদিকে তাকিয়ে পাতলা হাসি হেসে নূঢ়া চৌধুরী বললেন, তাই বলে কি লেখাপড়া বন্ধ থাকবে? মোটেই না! কখনোই না! একটা বয়ান বলি শুন... (এই সময় বয়ান শুনে সবার চেহারায় একটা আধ্যাত্মিক ভাব চলে আসল। নূঢ়া চৌধুরী যে খালি হানিম্যানের বই ছাড়াও আরো কত পড়াশোনা করা লোক, সেটা দেখে সবার চেহারায় একটা সম্ভ্রমের ছাপ পড়ে!)
সেদিকে তাকিয়ে নূঢ়া চৌধুরী আরো একবার পাতলা হাসি হাসলেন। বললেন, আমার কথা হইল, মাইয়ারে বিয়া দিয়া দ্যাও। বিয়ার পর পড়াশোনা করুক! জামাই থাকলে মাইয়ার মাথায় মালও উঠবে না, অন্য কেউও বিয়াইত্যা মাইয়ার গায়ে হাত দিতে সাহস দেখাইবে না!
কথা শেষ করে তিনি বিজয়ীর ভঙ্গিতে তার বিখ্যাত চিনিমাখা ঘন মিষ্টি হাসিটা দিয়ে সবার দিকে তাকালেন। সবাই তার দিকে মুগ্ধ হয়েই তাকিয়ে ছিল।
রবিউল একটা বয়স্ক স্কুলে পড়ে, সেখানে শুদ্ধ বাংলা শিখছে, সে বলে উঠল, যথার্থ বলেছেন স্যার!
হেদায়েত গদগদ গলায় বলল, আপনারা আছেন বলেই আমরা পথ হারাই না না স্যার!
কালাম বলল, আপনে ঠিক আমার মনের কথাগুলাই বলে দিছেন!
মোদাচ্ছের এককালে কবিতাটবিতা লেখার চেষ্টা করত, সে কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিল, তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা...
নূঢ়া তৃপ্তিভরা চোখে তাকিয়ে সবার তারিফগুলো মাখনের মতো গায়ে মাখছিলেন। এমন সময় মজনু মিয়া বলল, স্যার, বাসায় জানে?
নূঢ়া চমকে লাফ দিয়ে উঠলেন, বাসায় জানবে? কোনটা? কিসের কথা জানবে?
মজনু মিয়া সরল গলায় বলল, না স্যার, বললাম আমরা আপনেরে যে এত সম্মান করি, আপনের ওপর ভরসা করি, বাসায় ভাবি সেইটা জাইনা খুশি হয় না?
নূঢ়া বিরক্ত গলায় বললেন, আচমকা ছাগলের মতো আজব কথা বলবি না! ফাত্রা কোনখানকার! পরিবেশ বুঝস না?
সবাই ঝাড়িঝুড়ি দিয়ে মজনুকে তামা বানিয়ে এক কোনায় বসিয়ে দিল। বেচারা মনে হয় না আর কোনোদিন আলাপের মধ্যে কথা বলার সাহস পাবে।

তো যাই হোক, গোঁফ ছাঁটা শেষে করে মুখটুখ ধুয়ে সাজগোজ করে প্রতিদিনের মতোই নূঢ়া চৌধুরী চেম্বারে গিয়ে বসলেন। একটু পরেই লোকজনের আনাগোনা শুরু হল। বিকেলের দিকে আসল খালেক ব্যাপারী। বলল, স্যার ঘটনা শুনছেন নাকি?
নূঢ়া বিরস গলায় বললেন, কী ঘটনা?
আমগো গঞ্জের গাতক সিধু বৈরাগীরে কাটমোল্লার দল হুমকি দিসে! কইসে যে কোনোদিন পাছার চামড়া তুইলা গঞ্জের মোড়ে বাঁশে ঝুলায়া রাখব!
কও কী? কী করছিল সে?
গান বানছিল নাকি। গানের কথা হইল, যে আমার ভগবান, সেই আমার আল্লাহ, যে আমার অবতার, সেই আমার নবী... কাটমোল্লারা কইছে, আল্লানবীরে নিয়া গান লিখছস ক্যান?
নূঢ়া চৌধুরী বললেন, ঠিকই তো, আল্লানবী কি গানবাজনার বিষয় রে? তার মধ্যে তুই আবার হিন্দু! কাটমোল্লারা তো চেতবই!
জমায়েতের মধ্যে হিন্দু যারা তাদের মুখ শক্ত হয়ে গেল। সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে নূঢ়া তাড়াতাড়ি দরাজ গলায় বললেন, কিন্তু এই দেশটা তো হিন্দু-মুসলমান সবার! আমগো গঞ্জে যারা হিন্দু আছে, আমরা তো তাগোরে সবসময় সিরকুটি দিয়া রাখি! তারা তো আমগোরই ভাই!
হিন্দুদের মুখ নরম হয়ে গেল। সেটা খেয়াল করে আসল কথা পাড়লেন নূঢ়া, কিন্তু কেউ যদি আগবাড়ায়া এইসব গানবাজনা কইরা নিজের সিরকুটি নষ্ট করে, তাইলে আমাদের কি করার আছে? গানবাজনা তো হারাম জিনিস!
জমায়েতের ভেতর একদলের মুখ শক্ত হয়ে গেল। এরা যাত্রাপালা দেখে, শখের গান গায়। সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে নূঢ়া চৌধুরী বললেন, কিন্তু হারাম হইলেও এইদেশে গানের একটা চল সবসময় আছে। এইটা আমাগো উৎসবের একটা পার্ট। লোকজন গানবাজনা ভালোবাসে। তবে আমার কথা যদি বল, হামদ-নাতের মতো মিষ্টি সুরেলা জিনিস শোনার পর কোনো গানই আসলে ঠিক কানে লাগে না!
গানের দলের মুখ এবার নরম হয়ে আসল। সেটা দেখে পাতলা হাসি হাসলেন নূঢ়া চৌধুরী। তারপর বললেন, বৈরাগী মানুষ, একটা দোষ নাহয় কইরাই ফেলসে, তাই বইলা পাছার চামড়া না তুললেই ভালো হইত! আরো কত জায়গার চামড়াই তো আছে!
আলাপটা ঐদিনের মতো শেষ হয়ে গেল। দুদিন পর খালেক ব্যাপারী এসে বলল, ঘটনা শুনসেন? সিধু বৈরাগীরে মাইরা পাছার ছাল তুইলা গঞ্জের মোড়ে বাঁশে ঝুলায়া রাখছে!
নূঢ়া বললেন, ইশ! মাইরাই ফেলল! কাজটা ঠিক করে নাই! কিন্তু বৈরাগীটাও এমন একটা গান বানল...!
খালেক বলল, আরো ঘটনা আছে। কাটমোল্লারা চায়ের দোকানদার খন্দকাররে কইসে যেকোনোদিন পাছার ছাল তুইলা ফেলবে!
খন্দকার আবার কী করসে?
খন্দকারের চায়ের দোকানের মোড়ে বইসাই তো সিধু বৈরাগী গান গাইত! এর লাইগা হুমকি দিসে!
এইটা তো খন্দকার একটা ভুল কইরা ফেলসে! একটু সর্তক হইব না! ভাবনাচিন্তা কইরা কাজ না করলে ক্যামনে কী? আর তার দোকানে বইসা লোকজনরে গান শুনতে দেয়ারই বা দরকারটা কী?
জমায়েতের ভেতর একদল মুখ কালো করে ফেলল। এরা খন্দকারের দোকানে নিয়মিত চা-পান-বিড়ি খায়। সেটা আড়চোখে সরেস গলায় বলল, কিন্তু খন্দকার লোকটা খুব ধর্মকর্ম করে, নামাজ মিস করে না, রোজা রাখে, ইশ এরকম এরকম একটা ভালো মানুষ বিপদে পড়ল! আরেকটু সতর্ক হইলেই পারত...
কালো মুখ করে রাখা লোকজনের চেহারা আবার নরম হয়ে গেল। সেদিকে তাকিয়ে পাতলা হাসি হাসলেন নূঢ়া।
কয়দিন পর খন্দকারের ছালতোলা লাশ ঝুলতে থাকল গঞ্জের মোড়ে। খালেক ব্যাপারী এসে বলল, কাটমোল্লারা এবার পানের ব্যাপারী, বিড়ির ব্যাপারী আর চায়ের ব্যাপারীগোরে হুমকি দিসে। ওরা খন্দকারের দোকানে জিনিস চালান দিত...
নূঢ়া বলল, ইশ আবার হুমকি? আবার লাশ? একটা ভুলের মাশুল কোথায় গিয়া ঠেকবে। এই লোকগুলার তো সরাসরি কোনো দোষ নাই। যদিও এরা খারাপ জিনিস বেচত, চা-পান-বিড়ি এগুলা তো শরীলের জন্য খারাপ...
জমায়েতের ভেতর একদলের মুখ থমথমে হয়ে গেল। এরা নিয়মিত চা-পান-বিড়ি খায়। সেটা আলগোছে দেখে নূঢ়া তাড়াতাড়ি বললেন, তবে অল্প পরিমাণে চা সকালে খাইলে শরীরে কাজের তেজ আসে, এইটা দরকারি! আর পান তো হজমে সহায়ক!
শক্ত মুখগুলো নরম হয়ে গেল। তাই দেখে পাতলা হাসি হাসলেন নূঢ়া।
কদিন পর খালেক এসে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, এইবার তো আমারে হুমকি দিসে! খন্দকারের দোকানের টিন আমার দোকান থেইকা কিনছিল...
নূঢ়া বলল, ইশ, তোমার আক্কেল কবে হইব খালেক? যারতার কাছে টিন বেচ কেন? একটু কম বেচলে কী হয়? যাই হোক সাবধানে থাক, কী আর কমু?
কয়দিন পর খালেকের ছালতোলা লাশও ঝুলতে থাকল।
চেম্বারে এখন আর লোকজন তেমন আসে না। রাস্তাঘাটেও খুব একটা কাউরে দেখা যায় না। সবার মনে আতঙ্ক।
কয়দিন বাদে পাংশু মুখে এল মজনু মিয়া। বলল, স্যার ঘটনা শুনছেন?
আবার কী?
খন্দকারের দোকানে যারা পান-বিড়ি-চা খাইতে যাইত, তাগো সবাইরে হুমকি দিসে। আমাগো পরিচিত অনেকেই আছে ঐখানে!
নূঢ়া শুধু মনে মনে আত্মতৃপ্তির হাসি হাসলেন, তিনি জীবনেও খন্দকারের দোকানে যান নাই। তার আর ভয় কি!
বললেন, যাইত ক্যান ওরা? মাথায় বুদ্ধিজ্ঞান নাই?
মজনু মুখ কালো করছে দেখে বললেন, অবশ্য আড্ডা মারবই বা আর কই? ওগো দোষ কি! আহা রে, তুচ্ছ আড্ডার জন্য জীবনটা হারাইল...
কয়দিন পর মজনু এসে বলল, এইবার হুমকি দিছে, যারা যারা চা-পান-বিড়ি খায়, সবাইরে মারব! স্যার আমি তো আপনার এইখানে বইসা দুই একবার চা খাইছি! সবসময় তো আর ভাগে পাই নাই! আমার কি এতে অপরাধ হইছে?
নূঢ়া বললেন, একবার-দুইবারে মনে হয় না দোষ হইব! তুই কাউরে কইস না যে তুই এইখানে চা খাইসস!
নূঢ়া মনে মনে হাসলেন। তিনি চা-পা-বিড়ি কোনোটাই খান না। হু হু বাবা, আমারে কারো হুমকি দেয়ার কিছু নাই! আমি সবদিক সমান রাখি!
কয়দিন পর মজনু মিয়া আর তার মতো আরো অনেকেরই পাছার ছালতোলা লাশ ঝুলতে থাকল। গ্রামের জমিদার এসব দেখেও না দেখার ভান করেন। পাইক-বরকন্দাজরা উদাস মুখে নানান ব্যাখ্যা দিতে থাকে, খুজতেসি... পায়া যামু... ধরমুই ধরমু... ইত্যাদি! তাদেরও তো ভয় আছে! আর যাই হোক, ধর্ম নিয়া যেখানে বিতর্ক, সেইখানে মুখ খোলা তো বুদ্ধিমানের কাজ না। ধর্ম যার যার, পাছার ছাল সবার। সেই ছাল তুলে ফেললে তো আর করার কিছু নাই!
গ্রামে এখন পুরুষ মানুষ নাই বললেই চলে। যে কয়জন অবশিষ্ট ছিল, সব অন্য গ্রামে পালিয়ে গেছে। সারা গ্রামে নূঢ়া চৌধুরীই এখন বলতে গেলে একমাত্র পুরুষ। তার ফূর্তি দেখে কে! কারো জামাইকে মেরে ফেলেছে, কারো ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে, কারো বাবাকে মেরে ফেলেছে এমন শত শত মেয়েরা, বোনরা, বউরা শয্যাশায়ী। নূঢ়া ঝড়ের গতিতে সবার নাড়ি টিপে বুকে স্টেথিস্কোপ ঠেসে বেড়াচ্ছেন।
সবদিক সমান রাখার জন্য গোঁফের নিচে থুতনিতে একঝাঁক দাড়িও রেখেছেন এই ফাঁকে। আর মাথায় একটা কিস্তি টুপি। মুখে আত্মবিশ্বাসের হাসি। কিস্তি টুপি দিয়েই কিস্তিমাত করে ফেলবেন তিনি।
রাতেরবেলা বাসায় ফিরে দেখেন দরজার নিচে একটা চিঠি। খুলে দেখেন, সেখানে লেখা: মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ রে নালায়েক! তোর চেম্বারে বসে বসে অনেক মানুষকে চা খাইয়ে বিপথে নিয়ে গেছিস, তাই এবার তোর পাছার ছাল ছাড়ানো হবে!
নূঢ়া চৌধুরীর গোঁফ ঝুলে পড়ল। এতই ঝুলে পড়ল যে, দাড়ির সাথে গিঁট লেগে গেল। এরকমটা তো তিনি ভাবেন নাই। শুকনো মুখে দৌড়ে গেলেন জমিদারের বাড়ি। জমিদারকে জানালেন সব। জমিদার গোমস্তাকে ডাকালেন। গোমস্তা বলল, অসুবিধা নাই, আপনি একটা লিখিত দরখাস্ত দিয়া যান। আপনার বাসার সামনে দুটো পাইক থাকবে এখন থেকে!
নূঢ়া চৌধুরী পাংশু মুখে বেরিয়ে আসছেন, শুনলেন জমিদার বলছেন গোমস্তাকে, ইশ... লোকটা একটু সতর্ক থাকলেই পারত! কী দরকার ছিল লোকজনরে চা খাওয়ানোর! এইভাবে উসকে দিলে তো আসলে করার কিছুই নাই...
নূঢ়া চৌধুরী বাসায় ফিরে আসলেন। পরেরদিন আর বেরোলেন না। সারাদিন বাসায় বউবাচ্চার সাথে সময় কাটালেন। তার বাসার সামনে গাদা বন্দুক হাতে দুই পাইক পাহারা দিচ্ছে। মাঝে মাঝে জানলা দিয়ে তাদের দেখেন।
মাঝরাত্রে হঠাৎ শুনতে পেলেন দৌড়ের আওয়াজ। জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন বন্দুক হাতে নিয়ে পাইক দুটো দৌড়ে পালাচ্ছে। একজন আরেকজনকে বলছে, আমার বন্দুকে গুলি নাই তোরটায় তো ছিল, গুলি করলি না কেন?
দ্বিতীয়জন বলল, আরে ব্যাটা, আমাদের তো শুধু পাহারা দিতে বলছে, গুলি করার অনুমতি তো দেয় নাই!...
নূঢ়া চৌধুরী শুনতে পেলেন একতলায় জানালার শিক কাটা হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে। বুঝলেন, সময় এসে গেছে। লোকাল অ্যানেসথেশিয়ার ইঞ্জেকশনটা নিলেন হাতে, পাছায় পুশ করলেন। মরণ তো এমনিই হবে, পাছার ছাল তোলার যন্ত্রণা থেকে অন্তত বাঁচা গেল!
একটু পরেই মুখে কাপড় বাঁধা কাটমোল্লারা এসে দাঁড়াল সামনে। নূঢ়া চৌধুরী কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, দেখেন আপনেরা যেটা করতেছেন, সেটা ঠিক না!
একজন হিংস্র গলায় বলল, কী বললি?
নূঢ়া খাবি খেয়ে দুইদিক সমান রাখা সুরে বললেন, অবশ্য আমার আরো সর্তক হওয়া দরকার ছিল। যদিও আমি নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, হাদিসের বয়ান দেই, তবু, কিন্তু, তবে...
পরদিন সকালে বিশিষ্ট ডাক্তার নূঢ়া চৌধুরীর ছালতোলা বডি ঝুলতে থাকল গঞ্জের মোড়ে।
আর নূঢ়ার আয়নাটা এখনো পড়ে আছে চেম্বারে। যে কেউ চাইলেই সেখানে নিজের চেহারা দেখতে পারেন...


Comments

স্যাম's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

মৃদুল আহমেদ's picture

হেঁ হেঁ!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক's picture

নূঢ়াদের কিছু হবে বলে মনে হয় না। তাদের সবুজ রঙের পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্য রঙের পাসপোর্ট আছে। লন্ডন-নিউইয়র্ক-টরন্টো-সিডনি-অকল্যান্ডে বাড়ি/ফ্ল্যাট আছে। তাদের সিন্দুকভরা টাকা আছে। পান থেকে চুণ খসলে তারা একটা টিকিট কেটে উড়াল দেবে। ধনী মানুষদের গায়ে, ক্ষমতাবান মানুষদের গায়ে সাধারণত আগুনের আঁচ লাগে না। কারণ, যারা কোপাকুপি করে তারা হাওয়া খেয়ে কোপাকুপি করে না। তাদেরকে তেল-নুন-মশলা কোন না কোন ধনী যোগায়, তাদের পুটুর চামড়া কোন না কোন ক্ষমতাবান রক্ষা করে। তারা এতটা পাগল হয়নি যে যাদের টাকায় তাদের চলতে হয় তাদের শ্রেণীকে আঘাত করে দুধ-মধুর প্রবাহটা বন্ধ করবে, বা যাদের আনুকূল্যে তাদের জান বাঁচে তাদেরকে আঘাত করে নিজের আশ্রয়টা নষ্ট করবে।

মৃদুল আহমেদ's picture

এই জাতবেহায়াদের কেউ কোপাতেও আসবে না বোধহয়। বড়জোর পাছায় বেতিয়ে যেতে পারে!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তারেক অণু's picture
মৃদুল আহমেদ's picture

চটকে? হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ছোট মানুষ's picture

তবুও খাইছে গত কিছুদিন যাবত আমিও বলতেসি এই দিন আসবে যেদিন 'তবুও' শোনানোর জন্য কেউ থাকবেনা :/

ভাল লিখেছেন ভাইয়া গুরু গুরু

মৃদুল আহমেদ's picture

ধন্যবাদ! হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

দ্রোহী's picture

হরলিক্স পাগলারে নিয়া আপনেরা কী তামশা শুরু করলেন? সে যদি পাগলামি-ছাগলামি না করে তাহলে তার হরলিক্সের পয়সা জুটবে কী করে? পাগলামি বন্ধ করলে কি আপনারা তাকে হরলিক্স কিনে দেবেন?

মৃদুল আহমেদ's picture

ছাগলামিতে সমস্যা নাই, কিন্তু ছাগলের যে আবার হাজার মুরিদ!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

জারীফ হাসান's picture

আপনার লেখায় মুখফোড়ের কথা মনে পড়ে গেল চিন্তিত

অনুসন্ধিৎসু's picture

দুর্দান্ত স্যাটায়ার!! আহারে মুখফোড়!! কোথায় সে!

মৃদুল আহমেদ's picture

আরে নাঃ কোথায় মুখফোঁড়, কই আমি?
মুখারে আসলেই মিস্করি বহুদিন!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক's picture

অসাধারণ চলুক

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

মৃদুল আহমেদ's picture

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সুবোধ অবোধ's picture

এইভাবে ছিলে দিলেন? চোখ টিপি

মৃদুল আহমেদ's picture

জ্বি! হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মৃদুল আহমেদ's picture

পচাত! চোখ টিপি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অনিকেত's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

মৃদুল আহমেদ's picture

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

চরম উদাস's picture

হাততালি জোস

মৃদুল আহমেদ's picture

থ্যাঙ্কু! হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

rizvee's picture

অসাধারণ
হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি

মৃদুল আহমেদ's picture

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

দেশীছেলে 's picture

পুরাই মারি লাইছেন .. গুরু গুরু

মৃদুল আহমেদ's picture

হেতির মরণ নাই!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অলীক আনন্দ's picture

অ-সাধারন,

মৃদুল আহমেদ's picture

ধন্য-বাদ! হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নুড়ার ফেন's picture

নুড়া আংকেল শহীদ দীপন ভাই এর স্মৃতি চারন করতে গিয়ে একটি স্টেটাস দিছেন। স্টেটাসের লিংক। স্টেটাস শুরু করছে "দীপনকে নিয়ে লিখতে গেলে কলম আটকে আসছে।" তারপর নুড়া আংকেলের কলম চলা শুরু করার পর দীপন ভাই এর কথা আসল ৩২ বার, নুড়া আংকেল আমি আমি করল ৪৬ বার। লাল কালি দিয়ে তার "আমি আমি" দাগাইয়া দিলাম। জংগিদের হাতে শহীদ বন্ধুর কথা বলতে গিয়েও নুড়া শুধু নিজের ঢোলে বাড়ি মারে। আল্লাহ এদের শরীরটা বানাইছেন বড় করে, কিন্তু লজ্জা শরম দিছেন মশা মাছির মাপে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ's picture

জঙ্গীদের হাতে মৃত বন্ধুর কথা বলতে গিয়েও সে বন্ধুর ভাষ্যে নিজেকে দামী প্রমাণ করতে ছাড়ে নাই।

Quote:
- গিয়ে দেখি, আমেরিকা থেকে তার কয়েকজন বন্ধু এসেছে ।
আমি গিয়ে শুনি সে তার বন্ধুকে বলছে , দেখলা, আমি ডাক দিলেই তুষার ভাই চলে আসে ৩০ মিনিটের মধ্যে। সে বাজী ধরেছিল, আমাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে হাজির করবে তারঅফিসে। আমি চলে অাসাতে তার সে কি শিশুর মতো খুশী।
হাসে আর বন্ধুদের বলে, বুঝলা, আমি কিন্তু দামী লোক। তোমরা সেটা বুঝতে পারো না।
তারপর আবার আমার পুরষ্কার, ফলের রস। এবার কিউইর রস। এটা নাকি সবচেয়ে দামী জ্যুস।

মৃদুল আহমেদ's picture

ব্লগের পরে ব্লগ লিখা যাও, দেও না যতই খোঁডা,
রাইখো মনে, আমার পাছার চামড়া কিন্তু মোডা!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হিমু's picture

ণূড়া চৌধুরীদের পাছার ছাল ব্রন্টোসরাসের চামড়ার চেয়েও মোটা। আর ঐ ছাল ছাড়ানোর পর ভেতরে আর কিছু পাওয়া যাবে না। বিবেক, লজ্জা সবই ঐ ছালের সাথে ফিউজড হয়ে গেছে।

মৃদুল আহমেদ's picture

ছাল ছাড়ানোর পরিশ্রমটাই বৃথা! ঐ সময়টা কোথাও বসে বাদামভাজা খেলেও ভালো!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নজমুল আলবাব's picture

নূঢ়ায় এখন ব্রেকিং নিউজ হিসাবে আপনার ঠিকানা ফেইসবুকে পোস্ট করবনে। অপেক্ষা করেন।

মৃদুল আহমেদ's picture

আমারটা ফেবুতে দিবে না। ডাইরেক্ট পোস্ট করবে আনসারুল্লার কাছে!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

রানা মেহের's picture

এই অসভ্য লোকটার আবার হাজার হাজার ভক্ত আছে, আশ্চর্য!

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মৃদুল আহমেদ's picture

অনেক অসভ্যেরই লাখো ভক্ত!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সচ্ছ আহমেদ's picture

হোমিও পাথি পাগলার কাছে আনেশথেসিয়ার ইঞ্জেকশান কিভাবে আস্ল? লুল

মৃদুল আহমেদ's picture

নূঢ়া সব্যসাচী। সে সবদিক সমান রাখে!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সুজন চৌধুরী's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
এই লোক না ১বার সক্রেটিসের মুরগি বিক্রী করতে সালাউদ্দীনের তাবুতে ঢুকছিলো?
লইজ্জা সরম বিসর্জন দিয়ে
http://www.sachalayatan.com/sujan/32350 এটার কথা মনে পড়লো।

ফাহিম মুরশেদ's picture

হোমিপ্যাথির ডাক্তারের কাছে এলোপ্যাথি আসলো কিভাবে? লেখার শেষে পাকিয়ে গেলে হবে?

যাহোক বর্তমান সময়োপযোগি লেখা।

অনুপম ত্রিবেদি's picture

নূঢ়া একটা পাঁড় আবাল। আর বঙ্গদেশে আবাল-ফাত্রাদের দামই বেশী। তাই তো এই নূঢ়া - ফারুকীদের এতো ভক্ত-ফলোয়ার। ১৬ কোটি বর্বর মূর্খ নিয়ে বেঁচে আছে এই দেশ।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

কৌস্তুভ's picture

এইসব পড়ে নূড়ার মনে লজ্জা জাগে না, শুধু প্রতিহিংসা। চউদার পর আপনার ঠিকানা ফাঁস হবে দাঁড়ান।

মুস্তাফিজ's picture

মৃদুলের ডাক নাম কি?

...........................
Every Picture Tells a Story

কৌস্তুভ's picture

হো হো হো

বৃষ্টি স্নাত কবি 's picture

জটিল লেগেছে!

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ঝরাপাতা's picture

একদম ছিল্লা - কাইট্টা - লবণ -মরিচ লাগাইয়া দিলেন।
অছাম বস।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

আয়নাল কারিগর's picture

শুওরের তেলতেলা চর্বিযুক্ত ছালের মতো ণূঢ়ার পশ্চাদ্দেশের চামড়া। ওইটারে এভাবে ছিলে গুঁড়ো মরিচ ঢেলে দেয়ার দরকার ছিলো। কাজটা সুনিপুণভাবে করার জন্য মৃদুল ভাইকে ধইন্যা।
গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

ফাই সিদ্ধি's picture

এখন নূড়ারাই জাতির বুদ্ধিজীবি সাজে

খেকশিয়াল's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ঈয়াসীন's picture

হে হে!

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সো's picture

নুরাদের কিছু হয়না। এরা সবসময় মাথা নিজেদের রেকটামের মধে্য গুজে দিয়ে মৌজে থাকে।

অতিথি লেখক's picture

চলুক চলুক চলুক

দেবদ্যুতি

অতন্দ্র প্রহরী's picture

হাহাহা। বেচারা ণূড়া! দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
ণূড়া এখন টিভির পরিচালক। আরো সুন্দর করে দুইদিক ব্যালেন্স করবে।

আমি তোমাদের কেউ নই-> আতোকেন

অতিথি লেখক's picture

Quote:
আর নূঢ়ার আয়নাটা এখনো পড়ে আছে চেম্বারে। যে কেউ চাইলেই সেখানে নিজের চেহারা দেখতে পারেন...

কোট করবার আরো বহু জায়গা আছে। এ গল্প কোনো সুনির্দিষ্ট বাস্তব নূড়াকে না খুঁজেও এতো বেশি প্রাসঙ্গিক..... আমাদের চরিত্র এতো দারুণভাবে তুলে ধরে....

খুব ভালো লাগলো।

স্বয়ম

মাসুদ সজীব's picture

গুরু গুরু

অসাধারণ মৃদুল ভাই। পড়ছি আর ক্ষোভ ভরা ঘৃণার দাবানলে হেসেছি। সত্যি যদি এমন হতো, ণূড়াদের কে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো!

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাফিনাজ আরজু's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
দিন দিন আশেপাশে ণূড়ারা বাড়তেয় ‌আছে!!! তবুও আশায় বেচে থাকি................

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মোহছেনা ঝর্ণা's picture

হাততালি গুরু গুরু
দারুণ লিখেছেন

কাফি চৌধুরী's picture

অসাধারণ লেখা।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.