বিয়ে বিষয়ক একটি টক শো

সাফি's picture
Submitted by rajputro on Wed, 19/02/2014 - 12:27am
Categories:

ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর বাংলাদেশী ছাত্র এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে, প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে আমরা ইউনিভার্সিটিতে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকি। এইবারের অনুষ্ঠানের একটা আয়োজন ছিল টক শো। তাতে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলাম আমি সাফি, বিয়ের পক্ষে ছিল শাহেদ এবং বিবাহিতদের পক্ষে ছিলেন আবীর - যিনি বিয়ের পর থেকে এখন চরম বিয়ে বিরোধী। আলোচনার মূল বিষয় ঠিক করি - বিয়ে করা কী উচিত নাকি উচিত না?

এই টক শো এর স্ক্রিপ্ট লিখতে যেয়ে একটা মজার অভিজ্ঞতা হলো। স্ক্রিপ্টটা পড়লে দেখা যাবে যে মূলত প্রচলিত কৌতুকগুলোকে ব্যাবহার করে এই আলোচনাটা তৈরী করা। তো স্ক্রিপ্ট লিখতে যেয়ে আমি আবিষ্কার করলাম বিয়ে পরবর্তী দুর্দশা এবং জটিলতা বিষয়ক অসংখ্য হাস্যকৌতুক আমার জানা থাকলেও, বিয়ে কেন করা উচিত এই ব্যাপারে আমার মাথায় শুধু ১৮+ জিনিসপত্রই ঘুরপাক খাচ্ছে। সববয়সীদের উপযোগী মজার কিছু লিখতে না পেরে, আমি এই নিয়ে ফেসবুক বন্ধুদের শরনাপন্ন হই এবং 'বিয়ে কেন করা উচিত' এইরকম কারণ জানতে চেয়ে একটা স্ট্যাটাস দেই ফেসবুকে। সৌভাগ্যের বিষয় হলো - আমার বন্ধুরা তখন আইডিয়ার ঝুলি নিয়ে হাজির হয়। বিশেষ করে ইমরান ভাই এবং সোনিয়া আপু এর কথা আলাদা করে বলা দরকার মনে করি। বন্ধুরা যারা আইডিয়া দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। লেখাটা যেন হারিয়ে না যায়, তাই সচলায়তনে শেয়ার করলাম।

সাফি- সবাইকে শুভেচ্ছা। আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি, মানুষের জীবনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে। আমাদের সাথে আছেন শাহেদ - আপনারা অনেকেই জানেন দীর্ঘ কিছুদিন ধরে তিনি হন্যে হয়ে পাত্রী খুঁজছেন। আর বিবাহিতদের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলতে আমাদের সাথে থাকবেন আবীর, অনিবার্য কারণ বশতঃ উনি এখনও এসে পৌছাতে পারেননি। কিন্তু শিডিউল জটিলতা এবং সময় সল্পতার কারণে আমাদের এতক্ষণ অপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ওনাকে ছাড়াই আমরা অনুষ্ঠান শুরু করতে বাধ্য হচ্ছি।

প্রথমেই আমি অনুরোধ করবো শাহেদকে। তিনি আমাদের বলবেন, কেন তিনি হঠাৎ করে বিয়ের ব্যাপারে এত উতলা হলেন।

শাহেদ - আসলে এখানে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। একটা মানুষের জীবনে তিনটা বিষয় হইলো গিয়া ধ্রুব - জন্ম, মৃত্যু আর বিয়া। এখন জন্ম যখন হয়েই গেছে, তখন মৃত্যু হওয়ার আগেই বিয়ে করাটা জরুরি হয়ে গেছে। এই যে দেখেন, আমাদের প্রিয় আবির... উনি এখনও অনুষ্ঠানেই আইসা পৌঁছাইতে পারলেন না! আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি দুপুর বেলায় ভাবীর হাতের রান্না খেয়ে উনি একটা ছোটখাট ভাত ঘুম..

(এই পর্যায়ে হন্তদন্ত হয়ে আবীর ঢুকবে)

আবীর - সরি ভাই, দেরি হয়ে গেল। আসলে ভাই বুঝেনই তো। ফ্যামিলি নিয়া থাকে, কতওও রেস্পন্সিবিলিটি। তা কথা হইতেছিল কি নিয়া শুনি?

সাফি- বেটার লেইট, দ্যান নেভার। আমরা কথা বলছিলাম বিয়ে নিয়ে। শাহেদ বলছিলেন বিয়ের পর থেকে আপনি বলে দুপুরে খাওয়ার পরে একটা ছোটখাট ভাত ঘুম…

(আবীর কথা থামিয়ে দিবে)

আবীর - ভাত ঘুম?? রাখেন মিয়া আপনের ঘুম। মাইয়া মানুষের রেডি হওয়া কারে বলে বুঝেন? ওহ! আপনি বুঝবেন কিভাবে, আপনি তো এখনও বিয়াই করেন নাই!

শাহেদ - দেখলেন দেখলেন? কেমনে খোঁটা দিলো?

সাফি- না আমরা এখানে কোনরকম ব্যক্তি আক্রমন করবোনা। শাহেদ আপনি বলছিলেন আমাদের বিয়ের কারণ নিয়ে।

শাহেদ - এই যে আমাদের ব্যাচেলরদের একলা একলা জীবন। এর কথা আর নতুন করে কী বলব? যদি কারো হাত ধরতে ইচ্ছে করে, মাইর না খেয়ে সেই উপায়তো নাই। আবার যদি ধরেন কারো উপরে রাগ ঝাড়তে ইচ্ছে করে, সেই উপায়ও নাই। কেউ আমার উপরে মনে করেন একটু অভিমান করল আর আমি সেই অভিমান ভাঙ্গালাম ---- আহারে ভাবতেই চোখে পানি আইসা যাইতেসে।

আবীর - হাহাহাহহাহা! আপনার মতন বেআক্কেল লোক এই জীবনে দেখিনাইরে ভাই। আছেন দিব্বি সুখে, আর এখন আপনের ঝগড়া করতে মন চায়? জেনেশুনে কেউ খাল কেটে কুমিরে আনে? ঝগড়ার কথা যখন তুললেনই তখন শুনে রাখেন, হ্যা ঝগড়া আমাদেরও হয়। তবে শেষ কথাটা সবসময় আমিই বলি। ঐ এক কথায় ঝগড়াঝাটি সব ঠান্ডা!

শাহেদ - তাই নাকি? কী সেই কথা ভাই? আমাদের ও বলেন, আমরা শিখে রাখি।

আবীর - (ইতিউতি তাকিয়ে আমতা আমতা করে বলবে) ইয়ে মানে... "আমি সরি, মানে সব দোষ আসলে আমার"

শাহেদ - হাহাহাহাহাহ, আর ভাবী কি বলেন তারপর?

আবীর - কী আবার বলবে বলেন? বলে “অনেক হয়েছে, এখন খাটের নীচ থেকে বাইর হও"

শাহেদ - মিয়া বিয়া কইরা তাহলে এই অবস্থা আপনার? ভাবীর ভয়ে তাইলে খাটের নিচে ঢুকতে হয়?

সাফি - আচ্ছা আমরা বুঝতে পারছি আলোচনাটা সরে যাচ্ছে অন্যদিকে। আমরা শাহেদ এর কথা শুনলাম। আবীর এবার আপনি আমাদের বলুন, বিয়ে কেন করা উচিৎ? বা সুযোগ পেলে আপনি কি আবার...?

আবীর - বিয়ে? আবার? ধুর মিয়া! পাগল পাইছেন নাকি আমারে? আপনেই বলেন, নেড়া কয়বার বেল তলায় যায়? দিল্লির লাড্ডু কয়বার খায়? বিয়াও তেমনি ঐ একবার ই। তোমায় মাঝে স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ!

সাফি - তাহলে কি আমরা ধরে নেব, বিয়ের কোন ভাল দিক নেই?

আবীর - না না! তা থাকবেনা কেন? এই যেমন ধরেন, বিয়ের পরেই শ্বশুরবাড়ি থেকে যেই জামাই আদরটা পাওয়া যায়, আহা তার তুলনা মেলা ভার। আর শালীদের সাথে খুনসুটির মজা আপনি বিয়ে ছাড়া কোথায় পাবেন? বৌ এর সাথে একটু আধটু ঝগড়াঝাটি কাটাকাটি সেইটারও আসলে একটা অন্যরকমের মজা আছে। মনে করেন, এই যে একা একা রেস্টুরেন্ট এ খাওয়া লাগেনা, জ্বর হলে মাথা ধুয়ে দেওয়ার কেউ থাকে, এডভাইজার এর ঝাড়ি খাইলেও বাড়ি ফিরে উৎসাহ আর সান্ত্বনা দুইটাই পাওয়া যায়। এ ছাড়া এটা ওটা উপলক্ষে ভাল মন্দ খাওয়া দাওয়া তো আছেই। তারপর ধরেন এই বিদেশ বিভুঁইয়ে, বিয়া শাদির পরেই সিনিয়র ভাই ভাবীদের কাছ থেকেও কিছু দাওয়াত পাওয়া যায়। আবার যদি মনে করেন কাউকে 'না' বলা দরকার, দিব্যি বৌয়ের কাঁধে বন্দুক রেখে বলে দেওয়া যায় যে - 'আপনার ভাবী এইসব পছন্দ করেনা' তবে ঐ যে - দুধ দেওয়া গরু যেমন মাঝে সাঝে লাথি দিবে, বিয়ের ও দুই একটা ছোটখাট ঝগড়া মারামারি জাতীয় সাইড ইফেক্ট আছে আর কি।

শাহেদ - এই যে। জামাই আদর এর কথাটা তো উনি নিজের মুখেই বলে দিলেন। কিন্তু কোনদিন কী ব্যাচেলর আদর বলে কোন কিছু কেউ শুনেছেন? শুধু তাই না আরো কত যন্ত্রনা যে সওয়া লাগে! এই যে যেমন দেশে থাকতে একটা বাড়ি ভাড়া পাওয়া যে কী মুশকিল ছিলো! আরে ভাই, মাইয়ার বিয়া দেওয়ার সময় তো ঠিকই ব্যাচেলর খুঁজো, তাইলে বাড়ি দিতে এত ধানাই পানাই কেন! তবে হ্যা, আবীর যে দাওয়াতের কথা বললেন, দাওয়াত কিন্তু আমরাও জায়গা মতন পাই...হে হে হে (বিগলিত হাসি)

আবীর - শাহেদ আপনি একটা ঘটনা মনে করিয়ে দিলেন। কিছুদিন আগের কথা, এক বড় ভাইয়ের বাসায় গেছি। সাথে নতুন আসা এক ছাত্রকেও নিয়ে গেছিলাম। ছেলে দেখতে শুনতে খারাপ না, তবে ব্যাচেলর। ওমা পরিচয় করিয়ে দিতেই ভাবী সাথে সাথে বলেন কী - 'বাবা, আমি তো তোমার মায়ের মতন ই, তুমি আমাকে আন্টি বলেই ডেকো'। আমরা তো ওনার এহেন চেঞ্জ দেখে পুরাই টাস্কি। কারণ আমরা কেউ ভুলে আন্টি বললেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতেন। ইন ফ্যাক্ট চিন্তা করেন - ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ের মা'কে আমাদের জোর করে ভাবী বলতে হতো। অথচ এই ব্যাচেলর এর আন্টি স্ট্যাটাস দেখে আমরা বুঝলাম ভাবী মায়ের মতন থেকে আসলে মা-ই হয়ে যেতে চান। ঐ ছেলের ওসিলায় কয়দিন খুব খেয়েছিলাম ঐ বাড়িতে আমরা -- হেহেহেহেহে

সাফি - আমরা আসলে আবার অন্য আলোচনায় চলে যাচ্ছি। আবীর, শাহেদকে তাহলে আপনি কী উপদেশ দিতে চান?

আবীর - দেখেন, বিয়ের আগে আমি আসলে এই শাহেদের মতন ই ছিলাম। নদীর এইপারে বসে বড় বড় শ্বাস ছেড়ে, ঐপারের সর্বসুখের প্রতি বিশ্বাস রেখে, বিয়ের জন্য হাঁসফাঁস করতাম। বিয়ের আগে বৌকে একদিন বললাম - জানো, তোমার জন্য আমি দোজোখেও যেতে পারি। তখন কি আর বুঝতাম, যে সত্যি সত্যিই জাহান্নাম এ যাইতেসি? এই জন্যই শাহেদকে আমি বলতে চাই, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। লুক বিফোর ইউ লিপ!

সাফি - ধন্যবাদ আবীর। দর্শকমন্ডলী, আমরা অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমি অনুরোধ করবো শাহেদকে তার শেষ বক্তব্য রাখতে।

শাহেদ - আর কী বলব বলেন ভাই? এই যে আবীর এতগুলা নেগেটিভ কথা বলল বিয়ে নিয়ে, কিন্তু দেখেন, সে নিজে কিন্তু ঠিকই বিয়ে করসে। আর ব্যাপক উদ্যমে শুনি এখন নিজের ছোট ভাইয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে। বিয়ে করা যদি এতই খারাপ হত, তাহলে কি আর তার আপন ভাই এর এই কথিত সর্বনাশটা করতে চাইত? আর ভাবীর রান্নার কথা আর নতুন করে কী বলব! ওনার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পরে পারলে আমি দুইদিন হাত না ধুয়ে থাকি। দেখতেসেন না এমনিতে তো আর দিনে দিনে গায়ে গতরে এমন বাড়তেসেনা। অথচ এই লোক আগে সারাদিন ডিপার্টমেন্ট এ পরে থাকত, আর এখন দেখি ৫টা বাজতে গুণ গুণ করে সুর ভাঁজতে ভাঁজতে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। দেখেন, নেপোলিয়ন বলেছিল, আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি দিবো। আমি নেপোলিয়নের পথে হাঁটতে চাই, আমাকে একটা শিক্ষিত বৌ দেন, আমি ইনশাল্লাহ আপনাদের একটা শিক্ষিত মা দিবো। (আবৃত্তি করবে)

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাত পাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না।
আমি জানি এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুকঃ
আমার জল লাগবে কিনা, আমার নুন লাগবে কিনা,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরোও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কিনা।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভেতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুকঃ “তোমার চোখ এতো লাল কেন**

সাফি - ধন্যবাদ শাহেদ। আমরাও বুঝতে পারছি আপনার চোখ লাল কেন। দর্শকমন্ডলী আমাদের অনুষ্ঠান আজকে এখানেই শেষ। সবাইকে ধন্যবাদ।

* হিডেন ক্যামেরায় ধারণকৃত টকশো এর ভিডিও দেখা যাবে ইউটিউব এ। শায়লাকে ধন্যবাদ ভিডিও করে শেয়ার করার জন্য।
** কবিতা কৃতজ্ঞতা - কবি নির্মলেন্দু গুণের তোমার চোখ লাল কেন
*** ছবি কৃতজ্ঞতা - চেঞ্জ আপ সিনেমা থেকে।


Comments

অনিকেত's picture

হা হা হা ----জটিল--

সাফি's picture

আশু বিবাহিতরা হাসে কেন?

সাবিহ ওমর's picture

বাহ, সবখানেই দেখি বিয়ের হাওয়া! সাউথ ক্যারোলাইনায় সম্প্রতি একটা নাটক হয়েছে আম্রিকাবাসী বাঙালি গ্র্যাড স্টুডেন্টদের বিয়ে নিয়ে। দেখে মজা পাবেন আশা করি!
https://www.youtube.com/watch?v=kaUurvR0NJQ

সাফি's picture

এম্বেড করে দেন। এই নাটকের নায়ক রায়হান রবিন ওরফে সন্ধান আমাদের এখান থেকেই মাস্টার্স করে সাউথ ক্যারোলিনা গেল। ফাটাফাটি হয়েছে ওদের নাটকটা।

মেঘলা মানুষ's picture

অবিবাহিত কেউ বাংলাদেশে যাবার সময় যে প্রশ্নটা শুনতেই হয়:
"এবার কি বিয়ে করে আসার প্লান আছে না কি?"

তবে, বিয়ে করার পরেও বিয়ের উপর বিতর্ক করাটা বিরাট সাহসের ব্যাপার। (বাসায় তো ফিরতেই হবে!)

বিতর্ক মজারু হয়েছে।

শুভেচ্ছা হাসি

সাফি's picture

চলুক

সাফিনাজ আরজু's picture

মজা পেলুম দেখে দেঁতো হাসি
উপস্থাপকের চেহারাখানা দেখা গেলনা, কেনু চিন্তিত চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি's picture

উপস্থাপক নিঞ্জা বোরখায় নিজেকে আবৃত্ত করে তবেই উপস্থাপনা করেছে। কেনো?
কারণটা-

মেঘলা মানুষ উপরের মন্তব্যে wrote:
তবে, বিয়ে করার পরেও বিয়ের উপর বিতর্ক করাটা বিরাট সাহসের ব্যাপার। (বাসায় তো ফিরতেই হবে!)

সাফি's picture

এখানে আরেকটা ইম্পর্টেন্ট ইনফরমেশন হলো সিংহ হৃদয় মাননীয় আবীর এর স্ত্রী এখনও দেশে। নইলে বিবাহিত এর হয়ে কথা বলার কাউরে পাওয়া যাইতোনা।

অতিথি লেখক's picture


সিংহ হৃদয় মাননীয় আবীর এর ভবিষ্যতে এরকম অবস্থা না দাঁড়ায় চিন্তিত

[মেঘলা মানুষ]

(ফটোক্রেডিট: পাওয়া যায় নাই, ইহা অন্তর্জালে বহুল প্রচলিত একখানা আলোকচিত্র।)

সাফি's picture

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সাফিনাজ আরজু's picture

শয়তানী হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি's picture

সিংহহৃদয় পর্দানশীল উপস্থাপক মহাশয়েরও কি এই হাল? কোবি কী বলে!

সাফি's picture

কোবি এখানে নিরব।

সাফি's picture

ইয়ে নাজ আরজু খানা ঢেকে নিয়ে, আয়নায় দেখে নিন দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু's picture

অ্যাঁ
ইতা কিতা কইলেন সাফি ভাই। চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফি's picture

ইয়ে মানে সাফি-নাজআরজু তাই শেষটুকু বাদ দিতে কৈলাম। আপনি আবার কিছু মিছু মনে করেন নাই তো? ইয়ে, মানে...

সাফিনাজ আরজু's picture

বুঝছি তো, নাজআরজু বাদ দিলে একজন হাচল সাফি আর একজন সচল সাফি বাকি থাকে, তাইত? দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি's picture

আচ্ছা, 'তোমার চোখ এতো লাল কেনো'? এই প্রশ্নটা তো আমি প্রায় সকালেই ঘর থেকে বের হয়ে শুনি। তাইলে উক্ত কোবতের আলোকে আমার কী হবেরে কালিয়া? চিন্তিত

অতিথি লেখক's picture

চোখ লাল তো অনেক কারণেই হয়। ধরেন, সম্প্রতি কলারোডেতে যা 'হালাল' হয়েছে, সেই জিনিসে টান দিলেও চোখ লাল হয় চোখ টিপি

[মেঘলা মানুষ]

ধুসর গোধূলি's picture

হ। ধরাধরির জন্য কি আর কলারোড, পিয়ারারোডে যাইতে হয় জনাব? বাড়ির কাছেই তো আরশীনগর। এই কারণেই মনেহয় চোখ অটো লাল হয়ে থাকে! আজকে ঢুলতে ঢুলতে কামে গেছি। গিয়া মামুর বাড়ির আবদার কইরা বসছি, আমারে মিনিমাম আধাঘন্টা ঘুমাইতে দিতে হবে, নাইলে বাইত যামু গা!

সাফি's picture

আমি তো অফিসে একখান মাদুর রাইখা দিছি। মাঝে মাঝে দরজা লাগিয়ে বিসমিল্লাহ বৈলা শুয়া পরি।

তিথীডোর's picture

এই অংশটা আসলেই মজার হয়েছিল। দেঁতো হাসি
বিশেষ করে আবীরের অভিনয় বেশ সপ্রতিভ ছিল।

বেশক'টা টাইপো চোখে পড়ল। [ খোটা > খোঁটা, ব্যাক্তি > ব্যক্তি, দীর্ঘ্য > দীর্ঘ, শেষ পর্যায় চলে এসেছি> শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি, খুঁজ > খুঁজো/ খোঁজো, পৌছাইতে> পৌঁছাইতে, বেপক > ব্যাপক ]
ঠিক করে দিয়েন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাফি's picture

দারুন প্রুফরিড। সবগুলো টাইপো না। কিছু অজ্ঞানতাবশতঃ বানান ভুল ও আছে। ঠিক করে দিচ্ছি। চলুক

তবে আগামীবার এভাবে চুপ করে বসে থাকলে হবেনা। অংশ নিতে হবে কিন্তু।

অতিথি লেখক's picture

বিয়ে করা আর না করার ভোট নিয়ে একটি নাটক আছে, নাম “না ভোট” (বহুদলীয় গনতন্ত্রের জনক জিয়াউর রহমানের সেই বিখ্যাত না ভোট/হ্যাঁ ভোটের মতই।) খাইছে

নাটকে বিয়ে না করার যুক্তিগুলো ছিলো এমন:
১। মানুষ সামাজিক জীব, সে একা থাকতে পারে না। তাই সে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ের পরও সে অনুভব করে সে আসলেই একা। সুতরাং বিয়ে করার কোন দরকার নেই।

২। মানুষ সামাজিক জীব, তার ঝগড়া করার জন্যে হলেও একজন সঙ্গী প্রয়োজন। তাই সে বিয়ে করে কিন্তু বিয়ের পর যখন সত্যি সত্যি ঝগড়া লেগে যায় তখন তার আর ঝগড়া করতে ভালোলাগে না। ভাবে তখন চিন্তিত এই আপদ কবে বিদায় হবে? অতএব বিয়ে করার কোন দরকার নেই।

৩। মানুষ সামাজিক জীব, তাকে সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। কিন্তু বিয়ের পর সত্যি সত্যি যখন ভূত এসে তার ঘাড়ে
চেপে বসে এবং ঘাড় মচকে দেয় তখন তার ছেড়ে দে মা কেঁধে বাঁচি অবস্থা। কাজেই বিয়ে করার কোন-ই দরকার নেই।

মাসুদ সজীব

সাফি's picture

চলুক
এই নাটক কই পাওয়া যাবে?

অতিথি লেখক's picture

না ভোট

মাসুদ সজীব

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

ব্যপক মজা পাইলাম ---

____________________________

সাফি's picture

হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

অনেক আগে থেকেই আমার দুইটা বিয়ে করার খুব ইচ্ছা ছিল। মানসচক্ষে দেখতাম(এখনও মাঝে মাঝে দেখি) দুজন লক্ষী প্রতিমা অপার মৈত্রী বন্ধনে আমার চারপাশে গুট গুট করে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এখন যখন গিন্নী মাঝে মাঝে ঝাড়ি মেরে বলে-

আর পারি নাকো
রহিল তোমার এ ঘর দুয়ার
একা একা তুমি থাকো।

তখন বলি- আহা তোমার কষ্টে আমার বুক ভেঙ্গে যায়। নিয়ে আসি না আর এক জনকে, যে তোমারও সেবা করবে, কালে ভদ্রে আমারও। তখন সে যে দৃষ্টি হানে, তাতে সত্যযুগ হলে আমি ভষ্ম হয়ে যেতাম।

সাফি's picture

তাও ভালো শুধু দৃষ্টিই হানে। অন্য কিছু হানলে তো বিপদ হতো।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

এই বিষয়ের বিতর্ক/টকশো/আলোচনা/জোক শুনলে বা পড়লে মনে হয় এর ফিমেল ভার্সানটা কেমন হবে? কারো স্টকে অমন কিছু থেকে থাকলে আমার কৌতুহল নিবৃত্ত করতে পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীলকান্ত's picture

ফিমেল ভার্সনের কথা কন পাণ্ডব'দা?
আমার অফিসে বেলা এগারোটায় আর চারটায়, সপ্তাহে পাঁচদিন বসে এই ফিমেল ভার্সন। আগে চা ক্যাণ্টিনে খাইতাম, এখন ডেস্কে খাই। ফিলেম ভার্সন এমনই।


অলস সময়

সাফি's picture

ফিমেলরা তো মনে হয় ইন জেনারেল বিয়ের পক্ষেই দুই দিক থেকেই।

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

এত কিছু জানার পরও কিছু মানুষ চারটা বিয়েও করে ।
ব্যাপক বিনোদনোৎপাদক লেখা । হাসি

সাফি's picture

ঐ সব বীরপুরুষদের লাখো সেলাম।

রায়হান আবীর's picture

হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

নিজের বউ যেহেতু সচলায়তন রেগুলার পড়ে, তাই এই পোস্টে সত্য কথা বলা সম্ভব না চোখ টিপি
মিথ্যে করে হলেও বলি... বিয়ের চেয়ে ভালো কিছু নাই নহে কিছু মহিয়ান... হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশালতা's picture

চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.