ঘুরে এলাম আলাস্কার গ্লেসিয়ার বে থেকে

এক লহমা's picture
Submitted by ek lohoma [Guest] on Fri, 18/10/2013 - 5:20pm
Categories:

দ্বিতীয় পর্বঃ

আগের পর্বের প্রথম মন্তব্যের উত্তরে কথা দিয়েছিলাম যে লেখার সাথে সাথে ছবি দেব। সেই জন্য প্রথম থেকেই ছবি চালু করে দিলাম।

Alaska Trip-326

দুটি তলা জোড়া এই আড্ডাখানার একতলায় ছোট ছোট নীচু টেবল ঘিরে বিভিন্ন নকশার সোফা। জমিয়ে আড্ডা চলছে সেখানে সারা দিন। আড্ডার জায়গার একদিকে দুটো তলা জোড়া দেয়ালের মাঝামাঝি প্রায় দেড়-তলা উঁচু পর্দা। পর্দার সামনে গান-বাজনার মঞ্চ। পর্দার উল্টোদিকের দেয়ালে অনুসন্ধান-এর দপ্তর-খানা। ঠিক তার উপরে দ্বিতীয়তলায় কাফে, ছবিতে দেখা যাচ্ছে। কাফের সামনের ঢেউ খেলান বারান্দায় কাঁচ-এর বেড়ার গায়ে পর্দার মুখোমুখি অংশে লাগান আছে সরু টেবল, রাখা আছে সারি সারি চেয়ার। কখনো পর্দায় চলেছে - মুভী, অ্যাড, জাহাজের যাত্রাপথের দৃশ্য, কোন শো-এর টুকরো। কখনো বা মঞ্চে আরভিন কি এমিলি গেয়ে চলেছে মন মাতান গান, বিগত শতকের, এই বছরের, একটার পর একটা। শ্রোতা-দর্শকদের কারো কারো হাতে পানীয় - কফি, বীয়ার কি ওয়াইন। কারো হাতে কিছুই নেই, প্রশান্ত মুখ, মুগ্ধ, নিমগ্ন। যেন কোন স্বপ্নদৃশ্য।

ছুঁচ এবং

বেড়াতে গিয়ে ছুঁচ? অই-ই-ই ত! এই তো, ক’দিন আগে কয়েক ঘর বন্ধুবান্ধব মিলে হল্লাগুল্লা হচ্ছিল। ভোর বেলায় আওয়াজ শোনা গেল, কোন একজনের হাত পুড়ে গেছে। আমার বৌ (জনাব আব্দুল্লাহ-র সাথে আমার বাতচিতের বিবরণ শুনে সে জানিয়েছে আমি যেন পড়ুয়াদের পক্ষে সহজে সহনীয় শব্দ ব্যবহার করি) বলল নিশ্চয়ই তার লোকটার-ই হাত পুড়েছে। দেখা গেল বৌ পুরোপুরি ঠিক। যদিও আমি নিজে পোড়াই নি, কিন্তু আমার আঙ্গুল-ই পুড়েছে! সেই রকম-ই।

জাহাজ ছাড়ার উৎসব সেরে ঘরে ফিরেছি। বিছানায় পায়ের দিকে একটা বড় তোয়ালে-চাদর ভাঁজ করে রাখা। তার উপর একটা রাবারের টুকরো পাতা ছিল। সেটায় লেখা ছিল যে লাগেজ ইত্যাদি বিছানায় রেখে খুলতে চাইলে এই রাবারের টুকরোটির উপর রেখে খুলুন। আইডিয়াটা দারুন লাগল। এনসিএল (Norwegian Cruise Line)-এর কথা মত কাজ করে, লাগেজ খালি করে রাবারের চাদর গুটিয়ে ক্লজেটে রেখে দিলাম। এবারে লম্বা তোয়ালে-চাদর-টা ভাঁজ করছি। পট করে আঙ্গুলে কিছু ফুটে গেল। বুঝে ওঠার আগেই হাল্কা করে খানিকটা চিরেও গেল। লাল বিন্দুরা বেড়িয়ে এল। নিওস্পোরিন ইত্যাদি সঙ্গেই ছিল। আঙ্গুলের ব্যবস্থা নিলাম। এবারে সাবধানে ভাঁজ খুলে তোয়ালে-চাদর ছড়িয়ে দিলাম। দেখি, এক জায়গায় সেলাই মেশিনের ছুঁচের এক ভাঙ্গা টুকরো। এখন প্রথম কাজ হল এই স্মৃতিকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা। নিয়ে নিলাম ছবি। তারপর ফোন করলাম। চলে এল এক শ্রীমান। আমাদের ঘর যে ব্লকটিতে সেই ব্লক-এর ঘরগুলির দায়িত্ব তার। সমস্ত শোনার পর করুণ মুখ করে জানাল যে তাকে এর ফলে বিস্তর ঝামেলায় পড়তে হবে। ফোন করে সে ডেকে আনল তার সুপারভাইজারকে।

সুপারভাইজার কি আর এমনি, এমনি! নানা কথার ইন্দ্রজাল ছড়িয়ে সে ছুঁচের টুকরোটা হাত করে ফেলল। বিনিময়ে আমায় বিনা খরচে সবরকম চিকিৎসা দিতে চাইল। বললাম, আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমিই করে নিয়েছি। চিন্তার কিছু নেই। তবে আমার লেখালেখির ব্যাপার আছে। ঘরে ফেরার পর পুরো ঘটনাটা আমার ব্লগে লিখব। সুপারভাইজারের অবস্থা দেখে মায়া হতে লাগল। বারে বারে জিজ্ঞেস করতে থাকল আমার জন্য কি করতে পারে। কি চাইব আমি! শেষে একটা সৌজন্যমূলক সূত্র মিলল - মদ্য অতি উত্তম বস্তু। পরদিন ডিনার শেষে ঘরে ফিরে দেখি - একটি নধর মার্লোর বোতল, Wine of Chile. বাঃ, বাঃ, বাঃ! এদিকে, আমার আঙ্গুল-ও অনেক সেরে গেছে। কারোই বিশেষ ঝামেলা না হয়ে ভালভাবেই মিটল সব! তবে ফিরে আসার কদিন পরে সেই হল্লাগুল্লার দিন নানা বিষয়ে অভিজ্ঞ কেউ কেউ বললেন, আমি নিতান্ত অল্পেই ছেড়ে দিয়েছি। ঠিকমত দরাদরি করলে আমার পুরো ভ্রমণের খরচটাই হয়ত তুলে নিতে পারতাম। কে জানে, হবেও বা। আমি এতেই খুশী। ইচ্ছে করে তো আর করে নি। পুরো যাত্রা-জুড়ে এই কোম্পানীর যে যত্ন, আন্তরিকতা, যাত্রী নিরাপত্তা আর সচেতনতার আয়োজন দেখেছি, উপভোগ করেছি, তা অসাধারণ। ভাঙ্গা ছূঁচের উপস্থিতি আমাদের কাছে নিতান্তই এক দুর্ঘটনা বলে মনে হয়েছে।

এই যে সেই বোতলের ছবি।
Alaska Trip-315

তিমি

সিয়াটল থেকে ছাড়ার পর পার্ল ছুটে চলেছে একটানা। দু’রাত কেটে গেছে। বিস্তর খেয়ে, ‘শো’ দেখে দিন কাটছে ঘোরের মধ্যে। ম্যাকবুক খুলে রাখা আছে কফি টেবল-এ। মাঝে, মাঝে সেখানে লিখে রাখছি কিছু। মাঝে মাঝে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি - ক্যামেরা নিয়ে বা না নিয়ে। আমাদের প্রথম থামার কথা আলাস্কার রাজধানী জুনোতে, আজকে অর্থাৎ তৃতীয় দিন বিকেলে। সেখানে ডাঙ্গায় নেমে তারপরে শত খানেক কি দেড়েক লোক ধরে এমন কোন কুচো-জাহাজ তথা লঞ্চ-এ চেপে humpback whale দেখতে যাব। এখন সকালে তারই প্রস্তুতি চলছে। নিকন ডি ৩০০ তৈয়ার রহে। আইফোন ৫ সঙ্গে থাকছে, তবে বিশেষ কাজে দেবে না মনে হয়।

খানিকক্ষণ আগে মাথায় বরফের আস্তরওয়ালা এক পাহাড়চূড়ার ছবি নিয়েছি। আবার আকাশে পরিস্কার চাঁদ দেখা যাচ্ছিল বলে তার ছবিও নিয়ে নিয়েছি। আর দু-এক মিনিট, তার পরেই ঘর থেকে বের হয়ে বারো তলায় চলে যাব, সময় থাকতে থাকতে লাঞ্চ খেয়ে নিতে হবে। হঠাৎ ঘরের ছাদের স্পীকার থেকে বার্তা ভেসে এল যে এক তিমি পরিবারকে দেখা যাচ্ছে। আমাদের জাহাজের পাশ দিয়ে চলে যাবে এক্ষুণি। অ্যাঁ? কোন পাশ দিয়ে? উত্তেজনায় সেটাই খেয়াল করা হল না!। তাতে অবশ্য অসুবিধা নেই। যিনি শোনার ঠিক শুনে নিয়েছেন। আমাদের-ই পাশ দিয়ে। বললেন, “বারান্দায়, তাড়াতাড়ি।” ঝটপট দরজা খুলে টেলি বাগিয়ে বারান্দায়। আসছেন তারা, এসে গেলেন, জল ছুড়তে ছুড়তে জাহাজ পেরিয়ে আমাদের গন্তব্যের বিপরীতে চলে গেলেন। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। ক্যামেরায় কিছুই ধরতে পারলাম না। স্মৃতির সহায়ক হিসেবে কাজ করবে, এই আর কি!

বরফের চাদর মাথায় পাহাড়
Alaska Trip-314

বারান্দা থেকে দেখা তিমির জল ছোঁড়ার দৃশ্য
Alaska Trip-308

জাহাজ তীরে ভিড়ল একসময়। ডাঙ্গায় নেমে আমরা বাসে চেপে গেলাম রাজধানী জুনোর আরেক প্রান্তের এক জেটীতে। পথে ড্রাইভার তথা গাইড দিদি, লিন্ডা নানা গল্প করলেন। মজা লাগল যে অজস্র কথার মধ্যেও কিছুতেই মুখে আনলেন না রাজ্যের প্রাক্তন গভর্নরের নাম - যাত্রীদের মধ্য থেকে উৎসাহ আসা সত্বেও। নরম-সরম দেখতে মানুষটি নিজের অবস্থানে দৃঢ়তা বজায় রাখায় এবং পেশাদারীত্বে মুগ্ধ করে রাখলেন।

সেইন্ট গ্রেগরী নামের দু’তলা লঞ্চের উপরের তলায় গিয়ে দেখি ডেকের ধারগুলো সব দখল হয়ে গেছে। কোনরকমে যেখানে দাঁড়াতে পারলাম সেখানে সামনেই মাইক। ফলে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। উপায় নেই। তরুণী ক্যাপ্টেন অ্যাঞ্জি ছুটে চলেছে তার জলযান নিয়ে, সঙ্গে ধারাবিবরণী। একটু পরে ধারাবিবরণীর দায়িত্ব নিল আর এক তরুণী - পরিবেশবিদ এমিলি। এই বাচ্চা মেয়েগুলির প্রাণবন্ত সাহসী কাজ দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠল। সভ্যতার এমন একটা সময়ে, পৃথিবীর এমন একটা অংশে জীবনটা কাটাতে পারার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল। (আর একটা দুনিয়ায় এই সময়েই মেয়েদের খোলসে মুড়ে, গেরস্থালীর অন্দরে, অশিক্ষা-নামমাত্র শিক্ষার অন্ধকূপে পুরে রাখার নিরন্তর প্রয়াস চলছে!)

কিন্তু তিমি কোথায়? এই লঞ্চের এরা পরিবেশ সচেতনতার কারণে তিমি খোঁজার জন্য ‘sonar’-এর সাহায্য নেয় না । ফলে, ভরসা - সমবেত যাত্রীদের সজাগ, সতর্ক নজর। হঠাৎ আওয়াজ উঠল তিমিদের কাউকে দেখা যাচ্ছে - যেদিকে দাঁড়িয়ে আছি, তার উল্টো দিকে। হুড়মুড় করে সব সেদিকে গিয়ে ভিড়লাম। এবারে আমি তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে। ভালভাবে দেখতে পাওয়ার জন্য বাঁ পা নেমে-যাওয়া-সিঁড়িতে ডান পা ডেক-এ রেখে দাঁড়ালাম। এতে করে আমার বাঁ দিকটা পুরো ফাঁকা পাওয়া গেল। ক্যামেরার ওজন রাখলাম রেলিং-এ। ফলে যেদিকে খুশী ক্যামেরা ঘোরাই, কাঁপাকাঁপির গপ্প রইল না। ‘কিট লেন্স’, আহামরি ছবি হবে না। সে আর কি করা যাবে! কিছু তো হবে! লেন্স ঘুরে লম্বা হল - ২০০ মি মি টেলি এখন। শাটার লাগাতার ‘মোড’-এ দেওয়া ছিল। আসছে, আসছে। হুস্-স্-স্। জল ছোঁড়া থেকে বোঝা গেল তিমির অবস্থান। শুরু হয়ে গেল - ক্লিক-ক্লিক-ক্লিক-ক্লিক।

জল ছুঁড়ছে
Alaska Trip-285

Alaska Trip-284

অনেকটা দেখা গেল একজনকে
Alaska Trip-283

কিন্তু ঐ পর্যন্তই। না লাফিয়ে জল ছেড়ে উঠল, না লেজ তুলে জলে ডুব দিল। কি আর করা যাবে! আমি মাঝে মাঝে লঞ্চের পিছনে ভয়ংকর গর্জন করে ছুটে আসতে থাকা শজারুর পিঠের মত দেখতে ফেনার স্তুপ-এর ছবি নেয়ার চেষ্টা করছিলাম। এই লঞ্চটা একটা jet driven catamaran। দু'খানা সমান্তরাল জলের জেট বেরিয়ে এসে V-এর আকারে তীব্র গতির ঢেউ বানাচ্ছে। দুই V-এর ভিতরের বাহুরা পরস্পরে প্রবল সংঘর্ষ সৃষ্টি করছে। তার ফলে তৈরী হচ্ছে ঐ জল-দানব।

Alaska Trip-298

ইতিমধ্যে এমিলি জানাল যে টাকমাথা ঈগল দেখা যাচ্ছে। আমি দেখতে পাওয়ার আগেই লঞ্চ এগিয়ে গেল। ঈগল দেখা হল না। ক্রমে নজরে এল সীল-দের দ্বীপ। কাতারে কাতারে সীল। বাতাসে তাদের তীব্র কটু গন্ধ। কেউ রোদ পোহাচ্ছে, কেউ জলে ঝাঁপাচ্ছে। আর, মুষকো মুষকো একদল পরস্পরের উদ্দেশ্যে তারস্বরে এলাকার দখলদারি ঘোষণা করে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে সেগুলি গলা উঁচু করে পেট ঘষটাতে ঘষটাতে একে অন্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার পর সংঘর্ষ লাগে লাগে অবস্থায় গতি থামিয়ে চিৎকার চালিয়ে যাচ্ছে। দেখে হাসি পেয়ে গেল। দু’পায়েই হাঁটো, কি পেট ঘষটিয়ে, আদিম স্বভাব জারি-ই আছে। এমিলির ধারাবিবরণী থেকে মনে হল লড়ুয়েরা বেশীরভাগ-ই পুরুষ সীল। বিচিত্র কি! খানিকক্ষণ দেখা হল সীলদের হৈ চৈ। লঞ্চ আর এগোবে না। একসময় মুখ ঘুরিয়ে সীল দ্বীপ পিছনে ফেলে ফিরিয়ে নিয়ে চলল আমাদের। হঠাৎ - নাঃ তার আগে সীল-দ্বীপের ছবি দেখে নি-ই!

সীল দ্বীপে
Alaska Trip-290

Alaska Trip-289

সীল দ্বীপ পিছনে ফেলে ফিরে চলেছি আমরা
Alaska Trip-288

যে কথা বলছিলাম। হঠাৎ আওয়াজ উঠল, আবার তিমি দেখা যাচ্ছে। এবারে আমার অবস্থা করুণ - কোন দিক দিয়েই রেলিং-এর কাছে পৌঁছান গেল না। কি আর করা যাবে, দু’একজন সহৃদয় সহযাত্রী-যাত্রিণী একটু সরে আমায় একটু জায়গা বার করে দিলেন। খুব-ই টলটলায়মান অবস্থায় ক্যামেরা চলতে রইল। এবারেও তিমিরা কেউ জলের উপর লাফিয়ে উঠল না। কিন্তু অন্য কাজটা করল। লেজ তুলে জলে ডুব দিল। কয়েকবার। ফলে সেই স্বপ্নের ছবিরা ধরা পড়লো আমার ক্যামেরায় একটার পর একটা।

Alaska Trip-281

Alaska Trip-277

Alaska Trip-272

(উপরের ছবি 'ক্রপ' করে)
Alaska Trip-270

Alaska Trip-269

Alaska Trip-266

তিমি দেখা শেষে আমরা আবার ফিরে এলাম পার্ল-এ।

পরের দিন জাহাজ থামল স্ক্যাগওয়েতে। বৃষ্টি-ভেজা ছায়া-ছায়া সকাল। অনেকে এখানে তীরে নেমে ট্রেনে করে ঘুরে এলেন একসময়ে সোনার সন্ধানে আসা মানুষগুলোর অভিযান-পথ ধরে। আমরা আর তীরে নামিনি। বেশী ধকল সইবে না। দুজনে সমস্ত মন সংহত করে রেখেছি এই ভ্রমণ-এর চূড়ান্ত আকর্ষণ-এর উদ্দেশ্যে - হিমবাহ, গ্লেসিয়ার।

আগামী পর্বে সমাপ্য


Comments

অতিথি লেখক's picture

আপনাদের ভাগ্যই বলতে হবে। সারা বছর সাগরে থেকেও অনেকে তিমি দেখে না, আর জল ছোঁড়া তো দূরের কথা। আর আপনি এক ক্রুজে যেয়েই তিমির জল ছোঁড়া দেখে আসলেন! আচ্ছা, Bering Sea পাড়ি দিয়ে আর্কটিক অঞ্চলে ঢুকা যায় নাকি?

দেশ বন্ধু

এক লহমা's picture

বিশেষ করে, নিজেদের ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে জল ছুঁড়তে ছুঁড়তে চলে যাওয়া তিমি পরিবারের দেখা পাওয়া - কোন গল্পে লেখা দেখলে বলতাম কল্পনার মাত্রাটা একটু বেশী হয়ে গেছে। সৌভাগ‌্য ত বটেই, অশেষ সৌভাগ্য।
বেরিং সাগর পাড়ি দিয়ে আর্কটিক অঞ্চলে ঢোকা - আমার ত মনে হয়, যায়।
পড়া এবং মন্তব্যর জন্য অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

যখন গিন্নী বলে সম্বোধন করতেন, তখন তুলনামুলকভাবে তাঁর প্রসঙ্গ বেশিবার এসেছে। ইয়ে, মানে...

Quote:
সভ্যতার এমন একটা সময়ে, পৃথিবীর এমন একটা অংশে জীবনটা কাটাতে পারার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে হল।

মনে হওয়া নয়, আসলেই আপনি ভাগ্যবান।

এক লহমা's picture

"যখন গিন্নী বলে সম্বোধন করতেন, তখন তুলনামুলকভাবে তাঁর প্রসঙ্গ বেশিবার এসেছে।"
হা: হা: হা:। সব সময় ঐ গল্পটা মনে রাখবেন -
- কি হে তুমি বৌরে মান না?
- মানি হুজুর
- তয় উল্টা দিকে গিয়া খাড়াইছ ক্যান?
- হুজুর, বৌ কইয়া দিছে সক্কলের সাথে এক কাতারে না থাকতে!

হ্যাঁ, অনেক ভাগ্যবান।

পড়া এবং মন্তব্যর জন্য অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

 মেঘলা মানুষ's picture

চূড়ান্ত আকর্ষণের (গ্লেসিয়ার) অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনিতো চমৎকার উপায়ে একটা বোতল বাগিয়ে ফেললেন খাইছে

বাকি ট্রিপে সহি সালামতে ছিলেন তো? চিন্তিত

এক লহমা's picture

আশা করি বেশী দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
বোতল - হে: হে: হে:
সহি সালামত - তা ছিলাম। কিন্তু অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছিল। প্রতি রাতে অল্প অল্প করে খেতাম। ডাঙ্গায় নামার পর জোড়া 'উইথড্রয়াল এফেক্ট' - পায়ের তলায় ঢেউয়ের দোলা নাই, মাথার ভিতর পানীয়ের আবেশ নাই। পুরো বিকেল আর রাত স্রেফ ঘোর কাটাতে লেগে গেল।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রকিবুল ইসলাম কমল's picture

তিমি মাছের এই পর্বটার জন্যে অপেক্ষায় ছিলাম। ধন্যবাদ বেশি দেরি না কারানোর জন্যে। চলুক

(প্রথম ছবিটা একটু ছোট করে দিন। ছবিটা সীমানা ভেঙ্গে বেড়িয়ে আছে।)

এক লহমা's picture

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
(ছবি: ঠিক করে দিয়েছি। আরো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা's picture

লাফাং

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

তিমি না হোক তিমির লেজ তো দেখা হল‍!
ডাক্তার দেখিয়েছেন তো? নাকের বদলে নরুণ-এর মতো মদের বদলে ইনফেকশন না পেলেই হয় মন খারাপ

এক লহমা's picture

হ।
না: ডাক্তার দেখাইনি। কাটাটা দু'-তিন দিনেই সেরে গেছিল। আশা করি এমন কোন ইনফেকশন পাইনি যা এখন বোঝা যাবে না, পরে ফুটে বেরোবে। সে রকম ইনফেকশন কি সহজে ধরা পড়ে? জানি না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পিপি!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

দারুণ দারুণ সব ছবি আর লেখাটাও বেশ মজারু হয়েছে। ও, আর আমি ল্যপিটা নাকের কাছে এনে বোতলের একটু ঘ্রান নেবারও চেষ্টা করলাম। হা হা হা । চলুক

এক লহমা's picture

অনেক ধন্যবাদ ভাবনা-দা। আপনার ভাল লাগায় আমার ভাল লাগাটা আরো বেড়ে গেল।
ঘ্রাণ-টা বড় মিষ্টি ছিলো হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রিক্তা's picture

নীল সমুদ্রে সীল দেখে কেমন জানি জাদুবাস্তবতা মনে হচ্ছে। আমাকে আমার এক সহকর্মী বলছিলো ক্রুজ নাকি বেশি লম্বা হলে বোরিং হয়ে যায়! আপনাদের কি মতামত?

লেখা পড়ে আবার হিংসিত হলাম মন খারাপ

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

এক লহমা's picture

আমাদের দু'জনের কাছে পুরো সফরটাই জাদুবাস্তবতার মত লেগেছে।

আপনার সহকর্মী খানিকটা ঠিক-ই বলেছেন। তবে ক্রুজ-সফর-এর মাঝে এরা যে ছোট ছোট ডাঙ্গার-সফরগুলো ভরে দ্যায় সেগুলো নিতে পারলে জলে-ডাঙ্গায় মিলে ভারসাম্যটা ঠিক থাকে। যেমন আমাদের সফরটায় একদিন ছিল দিনের বেলাটা জুড়ে ডাঙ্গায় ট্রেন-ভ্রমণ। আরেকদিন ছিল সন্ধ্যাবেলায় স্থানীয় বন্দর-শহরটায় ঘোরাঘুরি। শীত-বৃষ্টি-বয়স তিনের চাপে আমরা ঐ ডাঙ্গার 'ট্রিপ'-গুলো নিইনি। ফলে পাঁচরাতের পর থেকে আমরা ডাঙ্গাটা 'মিস্' করতে শুরু করি।

হিংসার দরকার কি, বেরিয়ে পড়েন আর ছবিসহ পোস্টাইতে থাকেন। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

হাততালি হাততালি
আহা কবে যে যাব! মন খারাপ

গান্ধর্বী

এক লহমা's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
প্ল্যান চালু রাখুন, তারপর একদিন দেখবেন সুযোগ এসে গেছে। সেই সুযোগ তাড়াতাড়ি আসুক এই আকাঙ্খা রাখলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

দারুণ। হাততালি
তবে যে কোন একটা ছবিতে আপনাকে আর বৌদিকে একবার দেখতে মন চায়।
সম্ভব? হাসি
পরের পর্ব জলদি দ্যান।
ভালো থাকবেন।

----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

এক লহমা's picture

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ছবি: সামনের পর্বে লইজ্জা লাগে
লেখা হলেই জমা দিয়ে দেব।
আপনিও ভাল থাকবেন, পলাশ। অনেক শুভেচ্ছা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এস এম নিয়াজ মাওলা 's picture

অসাধারণ বর্ননাভঙ্গি! তিমি দেখার অভিযান পড়ে রীতিমত ঈর্ষা হচ্ছে।
আপনার হাতের অবস্থা কি ভাইয়া?

-এস এম নিয়াজ মাওলা

এক লহমা's picture

থ্যাঙ্ক্যু,থ্যাঙ্ক্যু। অভিযান - হা: হা: হা:, আমাদের পক্ষে অভিযান-ই বটে!
হাতের কাটা দু-তিন দিনেই সেরে গিয়েছিল। বরং, ঘুরে এসে কারপেল টানেল সিনড্রোম-এর আবার রমরমা হয়েছে। মন খারাপ
আপনারা সকলে ভাল আছেন আশা করি, শুভেচ্ছা নেবেন।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

কারপেল টানেল সিনড্রোম! আপনি কি এতে আক্রান্ত? এটা কিন্তু আমার সাবজেক্ট ছিলো একটা সময়, এখন তো পাবলিক হেলথে বেড়াচ্ছি!

-নিয়াজ

বন্দনা's picture

আহা লোকে এত ভাগ্যবান!! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলুম।

এক লহমা's picture

হ্যাঁ, হয় কি করে? লোকে বলে - বৌ-এর ভাগ্যে। প্রমাণ হিসেবে আমায় দেখিয়ে দ্যায়। অস্বীকার করার কোন উপায় দেখি না। কিন্তু কোন ভাগ্যে এমন বৌ জোটে? জবাব নেই, কোন জবাব নেই।
পরের পর্ব লেখা হলেই জমা পড়বে।
অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লেখার অপেক্ষায় থাকার জন্য।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

স্বপ্নময় আবেশে আবিষ্ট যেন!

ভাল থাকুন অবিরত, শুভকামনা সতত।

তুহিন সরকার।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

তিমির ল্যাজ দেখে তো বার বার মবিডিক মবিডিক মনে হচ্ছিল! লেজের দুই নম্বর ছবিটা জটিল হয়েছে - ঠিক যেন বিদেশী ক্যালেন্ডারের ফোটো (আনন্দবাজারীয় বানান ব্যভার করলাম - সম্ভবত আনন্দমেলার "কিসের ফোটো"তে এই টাইপের ছবি দেখেছিলাম বলে!)। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ছবি নম্বর বা ক্যাপশন দিলে ভালো হয়।

লিন্ডা দিদি আর প্রাক্তন গভর্ণরের কাহিনিটা কী?

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আহ, মবিডিক... চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান's picture

আস্ত একটা তিমি মাছ হুশশশশশশ করে চোখের সামনে ভেসে উঠলে দেখতে পেলে কেমন লাগবে ভাবছি!

ওয়াইন এর বোতলের ছবি দিলেন ক্যা? কামটা ঠিক হয় নাই মন খারাপ

এক লহমা's picture

চিন্তিত
হ, ওয়াইন-এর বোতল বড়ই গোলমেলে বস্তু। আফনে বরং পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম লন। আমি ততক্ষণে পরের পর্বের আয়োজন করি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অনিকেত's picture

আমার কোথাও ঘুরতে যেতে ভাল লাগে না--পৃথিবীতে নাকি অনেক কিছু দেখার আছে, শেখার আছে, জানার আছে---
আমার দেখার ইচ্ছেটা কেন জানি হয় না--শেখার ইচ্ছেটা আর জানার ইচ্ছেটা আছে---খালি মনে হয় দেখতে হলে ঘুরতে হবে---আমি ঘুরকুনো ভীষন--আমার ঘুরতে একেবারেই ইচ্ছে করে না---

তাই যারা অনেক মজা করে ঘুরে বেড়ায় অথবা যাদের ঘুরে বেড়াতে খুব ভাল লাগে--তাদের আমার ভীষন রকম অদ্ভুত লাগে---কী করে একজন মানুষের এত কিছু দেখার ইচ্ছে হয়? আমার কেন হয় না?

তবে আমার প্রিয় মানুষেরা যখন কোথাও বেড়াতে যায়, বেড়িয়ে এসে চোখেমুখে আলোর রোশনাই জ্বেলে সেইসবের গল্প বলে---তখন সেইসব জায়গার গল্প শোনার চেয়ে তাদের চোখেমুখের আনন্দের উদ্ভাসটা দেখতে আমার খুব ভাল লাগে---

পৃথিবীর কোন জায়গা দেখতে আমার সাধ হয় না---ভুল বললাম হয়ত, মাঝে মাঝে দুর্বল মুহূর্তে ইটালির সিসিলিতে যেতে ইচ্ছে করে কেন জানি, আর ইচ্ছে করে কুমিল্লার বরুড়া গ্রামে কোন জোছনা রাতে হুটহাট হাজির হয়ে যেতে--- ব্যস এইটুকুই---

পৃথিবীর যেকোন সুন্দর জায়গার চেয়ে আমার কেন জানি সুখী মানুষের মুখ দেখতে ভাল লাগে----যারা পৃথিবীর নানান জায়গা ঘুরে বেড়ায় তাদের সুখী মুখ দেখতে ভাল লাগে---

এই লেখাটার সমস্তটা জুড়ে ঘুরে-বেড়ানো একজন সুখী মানুষের মুখচ্ছবি দেখতে পেলাম---
লেখাটা তাই খুব ভাল লাগল--

এইরকমটা সুখী থাকুন সকল সময় একলহমা'দা--

শুভেচ্ছা নিরন্তর---

এক লহমা's picture

"এই লেখাটার সমস্তটা জুড়ে ঘুরে-বেড়ানো একজন সুখী মানুষের মুখচ্ছবি দেখতে পেলাম---"
অনিকেত, তোমার মন্তব্য পড়ে মন খুশীতে ভরে গেল।

সিসিলি চমৎকার বেড়ানর জায়গা। একবার ঘুরেই এস। কুমিল্লা যাওনি কতদিন? সেখানেও একবার ঘুরে আসলে হয় না? বলবে তুমি ঘরকুনো মানুষ। ঠিক আছে, আপস্টেটের বনের থেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে টুক-টাক কাছাকাছি কোথাও মাঝে, মাঝে বেড়িয়ে পড়তে শুরু কর। আস্তে, আস্তে ভাল লাগবে। তারপর আমরা তোমার বেড়ানোর গল্প পেতে শুরু করব।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ঈয়াসীন's picture

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

এক লহমা's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

আপনার সাথে ঘুরে এলাম।
যাই আগের পর্বটা পড়ে দেখি।
চমতকার বর্ণনা।

-অনিমেষ রহমান

এক লহমা's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

একটা অফটপিক মন্তব্য : আপনার ঈশপের গল্প পাচ্ছি না অনেক দিন - কী হলো? আমার ছেলের বেডটাইম স্টোরী হিসেবে অলরেডী ৩৫টা গল্প বলা শেষ, ও প্রায়ই জিজ্ঞেস করে ঈশপের নতুন গল্প (আপনার এই সিরিজকে ওর দেয়া নাম) আর আসেনি? একই প্রশ্ন আমারও।

____________________________

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

এক দশক তো হয়ে গেলো কর্ত্তা! এই বেলা দক্ষিণ মেরু থেকে ঘুরে আসুন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এক লহমা's picture

নাঃ! দক্ষিণ মেরু আর এ জীবনে হল না। তবে এই বছরের গোড়ায় সিঙ্গাপুর, বালি, কুয়ালালামপুর ঘুরে এসেছিলাম। তবে বেড়ানো নিয়ে লেখা লেখি আর করা হয় না এখন।

আমাদের এখানের আড্ডার জন্য মাঝে মাঝে খুব মন কেমন করে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

ব্লগে বা ব্লগের বাইরে বাসবের জীবনে ব্লগের মানুষদের সাথে আড্ডার জন্য আমারও মন কেমন করে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মুস্তাফিজ's picture

চমৎকার বর্ণনা। ভালো লেগেছে ক্রুজ কাহিনি। কিছুদিন আগে আমিও গিয়েছিলাম, আলাস্কায় তৃতীয় বারের মতন, সড়ক পথে। স্ক্যাগওয়েতে না নেমে বড় কিছু মিস করেছেন। পরবর্তী পর্ব খুঁজে দেখি।

...........................
Every Picture Tells a Story

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.