জগাখিচুড়ি - ০৭

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Fri, 07/12/2012 - 12:03am
Categories:

মানুষ সাঁতারু হয়, দাবাড়ু হয়, একুশ বছর বয়সে আমরা হয়েছিলাম দুর্ধর্ষ চ্যাটারু। একুশ বছর বয়সে IRC এর যুগে চ্যাট করা শুরু। এ যুগের গেঁদা বাচ্চাদের জন্য IRC কি ছিল সেটা আগে ব্যাখ্যা করি। Internet Relay Chat (IRC) is a protocol for real-time Internet text messaging (chat) or synchronous conferencing... ইত্যাদি ইত্যাদি। সহজ বাংলা ভাষায় যাকে বলে মাছ ধরার জায়গা। মানুষ জীবনে কোন কথাটি সবচেয়ে বেশিবার বলে? কেউ হয়তো নিজের নাম, কেউ হয়তো আই লাভু, কেউ হয়তো আল্লাহ খোদার নাম। আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশিবার বলা কথাটি হচ্ছে ASL plz আর me 21 m frm Dhk. এইজন্য আমি আর আমার কিছু বন্ধুর বয়স একুশেই থেমে গেছে। কিছুদিন আগে জন্মদিন গেল। লোকে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেকে জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করে বয়স কত হল। উত্তর একটাই, me 21 m frm Dhk.

অনেককাল পরে জগাখিচুড়ি লিখতে বসে মনে হল এই চ্যাটের জীবন নিয়ে কিছু লিখি! শুরু করার আগে পুরনো সতর্কবাণী আবারও দিয়ে নিচ্ছি। জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। আবার জগাখিচুড়ি কোনভাবেই রম্যরচনা নয়। পরে রসিকতা জমেনি, আগের মতো হয়নি ইত্যাদি বলে কান্নাকাটি করে লাভ নেই। খিচুড়ি তো খিচুড়িই, এইটাতে যা খুশী তা থাকতে পারে। খেয়ে দিল খুশও হয়ে যেতে পারে আবার ওশিলভের মতো পেটও নেমে যেতে পারে।

সে এক যুগ ছিল। তখন টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত, ডায়াল করে ইন্টারনেটে ঢুকতে হতো, একটু পর পর ফোন এনগেজ পেয়ে মায়ের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে হতো। তখন ইন্টারনেট এ ছেলেরা মেয়েদের ছবি দেখতে পেত না, মেয়েরা ছেলেদের ছবি দেখতে পেত না। সে ছিল এক বিশ্বাসের যুগ। কোন মেয়ে বয়স ১৮ বললে সেটাই বিশ্বাস করতে হতো। সেই প্রস্তর যুগের দুরন্ত খেলোয়াড় আমরা কজন এক হপ্তা কথা বলে দিব্যি আস্ত একখানা মেয়ে পটিয়ে ফেলতে পারতাম (যদিও অনেক সময়েই দেখা যেত ওটা আসলে ছেলে ছিল) । আমার বন্ধু রনির কাছে অবশ্য নস্যি। ওর লাগতো ১৮ মিনিট। ১৮ মিনিট এর শানে নুযূল বলি। ডায়াল আপ যুগের ইন্টারনেট এর খরচ ছিল ম্যালা। ৫০০ টাকা করে প্রিপেইড কার্ড কিনে হাতে গোনা মিনিট পাওয়া যেত। সেটা দিয়ে দিয়ে মেয়ে তো দূরের কথা, কোন ছদ্মবেশী টিনা বা নিশা নামের গুঁফো যুবককেও পটানো যেত না। জনে জনে গুতিয়ে me 21 m frm Dhaka বলে উত্তর না পেয়ে ধুর-বাল বলে বিদায় নিতে গিয়ে উত্তর পেতাম। ইতর, মেয়েদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানেন না, ঘরে কি মা বোন নেই, ইত্যাদি বাক্যবাণ ছুটে আসতো নগণ্য এক ধুর-বাল এর প্রত্যুত্তরে । তখন সকল লম্পট বন্ধুরা শলা করে পাঁচ হাজার টাকা মাসিক খরচে আন-লিমিটেড মাল্টি-ইউজার এক কানেকশন নিলাম। যতজনে, যত খুশী ব্যাবহার কর। কেউ কিছু বলবে না। নিজেদের রাজনীতিবিদ মনে হতে লাগলো, ইন্টারনেটকে দেশ। তবে কানেকশন পাবার পর বুঝলাম ঘটনা কি। ছোট একটা শর্ত ছিল। প্রতি বিশ মিনিট পর পর লাইন কেটে যাবে, আবার ডায়াল করে ঢুকতে হবে। ভাবলাম, এ আর এমন কি। আমরা ডায়াল এর পর ডায়াল করে যাই, চ্যাটারু সঙ্গীত আর শুনতে পাইনা। এই হচ্ছে চ্যাটারু সঙ্গীত।

চ্যাঁ চো, প্যাঁ পোঁ, প্রিং প্রিং, ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস ক্রিক ক্রিক ধ্রিম ধিম। এটা ছিল ডায়াল-আপ যুগের মধুরতম সঙ্গীত, ডায়াল করে লাইন লেগে যাবার সঙ্গীত। আমরা আমাদের আন-লিমিটেড লাইন দিয়ে বারবার ডায়াল করে যাই। উত্তরে খালি ট্যাঁট ট্যাঁট শব্দের বিরক্তিকর এনগেজ টোন পাই। চ্যাঁ চো, প্যাঁ পোঁ, প্রিং প্রিং, ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস ক্রিক ক্রিক ধ্রিম ধিম আর হয়না। লাইন কানেক্ট হয়না। একের পর এক নাম্বারগুলোতে ডায়াল করে চেষ্টা করে যাই লাইন পাবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডায়াল করে মাঝে মাঝে বিশ মিনিটের জন্য কানেকশন পাওয়া যায়। সেটা কেটে গেলে, এরপর কখন আবার ইন্টারনেটে ঢুকতে পারবো নিশ্চয়তা নেই। কত সুমি, রুমা, নিশি, মিলি, টিনা, Girl_18, GF_19, মিষ্টি মেয়ে, দুষ্টু মেয়ে, Divorced_25, New_Girl_17 ইত্যাদিরা জীবনে অচেনা, অর্ধ-চেনা হয়ে রইল। কালের বিবর্তনে আজ তারা হয়তো কারো ঘরের ঘরণী। কেউবা ডালে বাগার দিচ্ছে, কেউবা বাচ্চার ডায়পার বদলাচ্ছে, কেউবা চশমা চোখে ছাত্র পড়াচ্ছে, কেউবা হয়তো অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আজকের এসব ভেজিটেবল হয়ে যাওয়া খালাদের কম্পুটার স্ক্রিনে একসময় একসাথে ২০/৩০ টা ছোট ছোট উইন্ডো খোলা থাকতো। সেই খোলা জানালা দিয়ে আমাদের মতো কচি দুঃস্থ যুবকদের কাকুতি মিনতি ভেসে আসত। আর সেই মিনতি শুনে কিশোরী খালারা ছু্য়োনা ছু্য়োনা মুঝে ভাব নিয়ে বসে রইতেন।

লাইন পেয়ে গেলে দ্রুত চেষ্টা শুরু হতো । me 21 m frm Dhaka, Can we chat plz? কোন উত্তর না পেয়ে এরপর রেজিউমি আরেকটু শক্ত করার চেষ্টা। me 21 m frm BUET, Can we chat plz? কাজ হয়না। এবারে আরেকটু বাড়িয়ে, EEE যোগ করি। মনে মনে ভাবি সকল ইঞ্জিনিয়ারই তো আর তড়িৎ না। পুর, যন্ত্র, কেমি, পানি ইত্যাদি কতরকমের অপ্রয়োজনিয় প্রকৌশলীতে ভর্তি বুয়েট। চ্যাটের মেয়েরা নিশ্চয়ই জানে র‍্যঙ্কিং এ ভালো কোনটা। এভাবেই চেষ্টা করতে করতে কোন এক দয়াদ্র মহীয়সী নারী হয়তো উত্তর দিতো। এর পর কথা আগায় ঢাকার কোথায় থাকি সেটা নিয়ে। প্রথম কয়দিন ধরা খেয়ে দিব্যি চালাক হয়ে গেলাম। বাসাবো থাকি শুনে এক মেয়ে ঠোঁট উল্টে বলেছিল, yewwww । বুঝে গেলাম Whr R u frm এর উত্তরে I am pom Bashabbo বলা, I am pom Gana বলার চেয়েও বড় অপরাধ। তারপর থেকে ঢাকার কোথায় থাকি কেউ জিজ্ঞেস করা মাত্র উত্তর হতো ধানমণ্ডি অথবা গুলশান। কিছুদিন পর যখন মনে হল উত্তরা এর র‍্যঙ্কিং আরেকটু বেটার তখন বলা হতো, উত্তরা।

যাহোক মূল গল্পে ফেরত আছি। আমার বন্ধু রনি ২০ মিনিট পর লাইন কেটে যাবে বলে ২ মিনিট সেফটি মার্জিন রেখে ১৮ মিনিটে দিব্যি আস্ত একখানা মেয়ে পটিয়ে ফেলত। আমরা যখন can we chat? can we plz chat? just for 5 mins, are you bz? wow, you have a beautiful nick, ইত্যাদি বলে মিসকিনের মতো চ্যাট ভিক্ষা করে যাচ্ছি ততক্ষণে রনি মেয়ের ফোন নাম্বার টাম্বার নিয়ে কম্পুটার ফেলে ফোনে গল্প জুড়ে দিয়েছে। আমারা একদিন আর থাকতে না পেরে ব্যাটাকে চেপে ধরলাম। বল তোর এই প্রতিভার রহস্য কি। নিজের সম্পর্কে আমার বরাবরই উচ্চ ধারণা, রনি সম্পর্কে নীচ। আমি জানি রনি সারাজীবন ধরে একটা সোয়েটার পরেই ঘুরে বেড়িয়েছে, যে কারণে ওর নাম ছিল সোয়েটার রনি। আমি জানি রনি জীবনে টাইটানিক ছাড়া আর কোন ইংরেজি ছবি দেখে নাই। যেসব দেখত সেগুলোতে কাহিনী থাকতো না, শুধু নারী পুরুষের একশন থাকতো। আমি জানি ব্যাটা পিটার ও টুল, গ্রেগরী পেক কে চিনে না, চিনে শুধু রোকো সফ্রেদি, রন জেরেমি আর কে পার্কার কে। আমি পড়ি পুতুল নাচের ইতিকথা, পদ্মা নদীর মাঝি আর ওই হারামজাদা পড়ে আদরের মাসিমা, একলা ঘরে ভাবী। আমার মতো সফিস্টিকেটেড কালচারড ভদ্রলোক ছেড়ে চ্যাটের হরিণীরা কেন রনির পেছনে ছুটে এটা মাথায় ঢুকতো না। তাই একদিন গিয়ে আমরা সবাই মিলে রনিকে পাকড়াও করে বললাম, Dude Teach me. রনি প্রাথমিক জ্ঞান হিসেবে তিনটা সবক দিলো,
১ ভদ্র সুবোধ ছেলেরা ডিস্টিলড ওয়াটারের মতোই স্বাদ বর্ণ গন্ধ বিহীন। খেলোয়াড় হতে হলে তোকে একটু নটি হতে হবে।
২ মেয়েদের অনুরাগ পাবার জন্য প্রথমে রাগ পেতে হবে। তুলুতুলু করে কথা বলে মেয়ে পটানো যায়না। একটা মেয়েকে ক্ষ্যাপায়ে দিবি, তাইলেই দেখবি তোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
৩ মেয়েদের সাথে চাঁদ, কবিতা, বৃষ্টি এইসব নিয়ে কথা বলার দিন শেষ। এযুগের মেয়েরা অনেক আধুনিক। একটু আধটু সেক্স এর কথা না বললে ওই ছেলেকে ভোদাই ভাবে।

আমার তিন পরামর্শের মধ্যে শেষেরটাই বেশী মনে ধরল। বাসায় গিয়ে ওই রাতেই হন্তদন্ত হয়ে এক চ্যাটের হরিণীকে মেসেজ দিলাম, Can we have some sex chat plz।মেয়ে বলে, একটা থাপ্পড় দিয়ে সব দাঁত ফেলে দিবো। আরেকজনকে মেসেজ দিলাম। বলে, খাড়ান মামা। প্যান্টটা বদলায়ে লুঙ্গী পরে আরাম করে বসি। বুঝলাম রনি হারামজাদা উল্টাপাল্টা জ্ঞান গিলিয়েছে।

লাম্পট্য করার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে একটা উইংম্যান লাগে সাথে। একাএকা লাম্পট্য করে অতি উঁচু অথবা অতি নীচু শ্রেণীর লম্পটগণ। রনির উইংম্যান ছিল কাপুত। কাপুত কোন মানুষের নাম হতে পারে না। ছোকরা ফ্রেঞ্চ শিখত। অলিয়াজ ফ্রসেজে নাকি সব হাই-ক্লাস মেয়ে ঘুরঘুর করে, সেই লোভে। বললাম, জাতে উঠতে চাই, আমাদেরকেও ফ্রেঞ্চ শিখা। তাছাড়া কখনো ফ্রান্স দেশে গিয়ে বিপদে পড়লে কাজে লাগবে। ছোকরা আমাদের প্রথম পাঠ দিলো, কাপুত যার মানে কিনা কনডম (আসল উচ্চারণটা মনে হয় হবে ক্যাপোট/ Capote হবে) । আমি প্রথমে ভাবলাম মানুষ বিদেশ বাড়িতে গেলে খাবার, পানি, বিপদ ইত্যাদি জরুরী শব্দ শিখে যায়। আর আমরা কিনা শিখলাম কাপুত। পরে ভেবে দেখলাম ঠিকই আছে। যস্মিন দেশে যদাচার। ফ্রান্স দেশটা বড্ড ইয়ে কিনা। ওখানের বিপদ আপদে কাপুতই হয়তো ভরসা। একই জ্ঞানের ধারাবাহিকতায় পরে এক সৌদি-ফেরত হুজুর বন্ধুর কাছ থেকে একখানা আরবি বাক্য শিখেছি "মান ফুদ্দালাকি লা কু তারিক বেতি "। , মানে কিনা, দয়া করে আমার কল্লা কাটিবেন না। সৌদি গিয়ে বিপদে পড়লে কাজে লাগবে ভেবে শেখা। সে যাই হোক, আবারও কোন কথা থেকে কোথায় চলে এলাম। কাপুত ছিল রনির উইংম্যান। পরে রনিকে লেঙ্গি মেরে সে নিজেই বস হয়ে ঢাকার সমস্ত নারী সাম্রাজ্যের দখল নিয়ে নেয়। এক বছর দেশে রাজত্ব করার পর উচ্চ শিক্ষার্থে মতান্তরে উচ্চ লুচ্চার্থে আমেরিকা পাড়ি জমায়। রনি আবার গদি ফিরে পায়। এতকাল যেইসকল নারীরা রনিকে ছেড়ে কাপুত এর কাছে চলে গিয়েছিল, তারাই আবার রনির লোমহীন বুকে আছড়ে পড়ে বিচার দেয়, তোমার বন্ধুটা ভীষণ অসভ্য ছিল বলে।

অন্যদিকে বন্ধু মিনহাজ ছিল আরেক চীজ। বিশাল জ্ঞানী, চেহারায় খুবই সুবোধ ভাব। অন্তরে আপাদমস্তক লম্পট। বাংলাদেশের সব কোচিং সেন্টার এর দুর্ধর্ষ জনপ্রিয় শিক্ষক। পিলপিল করে লাইন ধরে ওর পিছনে ছাত্রীরা ঘুরাঘুরি করে। আমর অসভ্য কথা বললে আবার মুখ ভোতা করে বলে, আমার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কোন বাজে কথা বলবি না। ছাত্রছাত্রী সন্তান-তুল্য। সেই মিনহাজ ছাত্রীর বাবা না হতে পারলেও, এখন এক ছাত্রীর সন্তানের বাবা হয়ে সুখে শান্তিতে ঘরসংসার করে। আমি কিরে ছাত্রী বিয়ে করলি কোন আক্কেলে বলে খোঁটা দিতে গেলে ঘাড় ত্যাড়া করে রসায়নের "সকল ক্ষার ক্ষারক নয়,কিন্তু সকল ক্ষারকই ক্ষার" ইস্টাইলে জ্ঞান দেয়,সকল ছাত্রীকে আমি পড়ালেও যাদের পড়িয়েছি তারা সকলে ছাত্রী নয়। একদিন কোচিং ক্লাস শেষে দেখি এক নির্জন রুমে মিনহাজের সামনে বসে এক ছাত্রী কাঁদছে। আমি দুইয়ে দুইয়ে চার বুঝে সেটাকে বর্গ করে ষোল বানিয়ে তার ঘন করে চারহাজার ছিয়ানব্বই পর্যন্ত সব বুঝে ফেললাম। আশেপাশের লোকজন ডেকে ব্যাটাকে একটা গণধোলাই খাওয়ানো যায় কিনা ভাবছি এই সময় দেখি ছাত্রী চোখের পানি নাকের পানি এক করে অভিমানী গলায় মিনহাজকে কি যেন বলছে। জেরা করে ঘটনা বুঝলাম, কোচিং ক্লাস শেষে মিনহাজ কেন তার মতো মেধাবী সুন্দরী ভিকারুন্নেসা এর দুর্ধর্ষ ছাত্রীকে অবহেলা করে হলিক্রস এর এক যেনতেন ছাত্রীকে এত সময় নিয়ে বোঝাচ্ছে সেই অভিমানে কান্না। আমার গুনে অবশ্য চারিদিকে রটে গেল ছাত্রী মিনহাজের বুকে আছড়ে পড়ে ভেউভেউ করে কাঁদছিল, এমনকি মিনহাজের টি শার্টে কাজলের দাগও দেখালাম প্রমাণ হিসেবে। কথা পুরোপুরি মিছে নয়। অনেক চ্যাটের মেয়েই মিনহাজের ডিজিটাল বুকে আছড়ে পরে কাঁদত। মিনহাজের মধ্যে কি যেন একটা ছিলো যে কারণে মেয়েরা ওর কাছে দুঃখের কথা বলে আরাম পেত। কারো বয়ফ্রন্ড চলে গেছে মিনহাজের বুকে এসে কাঁদো। কেউ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, মিনহাজের বুকে এসে কাঁদো। এমনকি মেয়েরা তাদের বিভিন্ন মেয়েলি সমস্যার কথাও নির্দ্বিধায় মিনহাজকে বলে আরাম পেত। মিনহাজ একদিন বিমর্ষ মুখে বলে, দোস্ত আমি কি তবে একটা টাওয়েল? সবাই খালি আমার কাছে এসে কাঁদে কেন? আমি সান্ত্বনা দিলাম, দেখ অন্তত তুই টিস্যু বা টয়লেট পেপার তো না। বারবার তোকে ব্যাবহার করা যায়। আর তাছাড়া তোর ডিজিটাল বুকটা অনেক নরম। এইজন্য মেয়েরা কেঁদে আরাম পায়। ঘটনা দেখে রনির মনে হল রিভার্স খেলা যায় এভাবে। আমার অনেক দুঃখ, জীবনে শান্তি নাই বলে কাঁদ কাঁদ গলায় মেয়েদের কোলে ঝাঁপিয়ে সান্ত্বনা নেয়ার চেষ্টা করল। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পরিণতি চড় চাপড় হলেও মাঝে মাঝে সাফল্য মিলত। মিনহাজ আমার উইংম্যান ছিল নাকি আমি আমি মিনহাজের সেটা জানিনা। তবে দুজনেই বলদ ছিলাম। চ্যাট যুগে লাম্পট্য করবো বলে মাঠে নামতে না নামতেই দুজনেই প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেলাম। আমি যেই মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম সেই মেয়ের চেহারা সেই কবে ভুলে গেছি। তবে আমার কষ্টে কষ্ট পেয়ে মিনহাজ বলদটা কেঁদেছিল এটা ভুলি নাই।

সেযুগে চ্যাটরুমে যেসব মেয়েরা চ্যাট করতো তাদের বলা হতো চ্যাটের মেয়ে। আর আমরা চ্যাটের ছেলে। আর সকল ভালভাল জিনিস এর মতোই চ্যাট করাকে গুরুজনেরা খারাপ চোখে দেখত। রাস্তাঘাটে পরিচয় হলে সমস্যা নেই, কিন্তু ইন্টারনেটে পরিচয় হওয়া মেয়ে মানেই খারাপ। এক মুরুব্বী একদিন ঝাড়ি দিয়ে বলল, কোন ভদ্র বংশের মেয়েরা কখনো ইন্টারনেটে বসে থাকে না। কালের বিবর্তনে সেই মুরুব্বীর মেয়ে এখন দুর্ধর্ষ ফেসবু্ক চ্যাটারু। আমাকে একদিন টোকা দিয়ে বলে, আসেন আমরা খেলি। আমি লা হাওলা বলে লাফ দিয়ে উঠার আগেই বলে, কি জানি চাষবাস করার কম্পুটার গেম খেলতে চায়। আমি ব্যাজার মুখে জানালাম, আমি ভদ্র বংশের ছেলে। এইসব করিনা। রানা ভাই সবসময় ভয় দেখাতো, দিনরাত চ্যাট কর ঠিক আছে। কিন্তু খবরদার চ্যাটের মেয়ে বিয়া কইরো না। তার কোন বন্ধু নাকি দুর্ধর্ষ চ্যাটের মেয়ে বিয়ে করে বিরাট ধরা খাইছে। যেই ফোন করুক না কেন, মেয়ে নাকি ফোন ধরেই বলে ASL Plz । মাঝরাতে ভাব উঠায় বউয়ের গায়ে হাত রাখতেই নাকি বলে, Bz, talk to you later. আমার ধর্মপ্রাণ তুর্কী রুমমেট ওশিলভকে একবার জিজ্ঞেস করলাম, চ্যাট করা গুনাহ কিনা। বলে টেক্সট চ্যাটে সমস্যা নাই, ভিডিও চ্যাট গুনাহ। বললাম আমরা যদি কাপড় চোপড় পরে চ্যাট করি তবেও গুনাহ? অগ্নিদৃষ্টি হেনে চলে গেল উত্তর না দিয়ে। পরে আবার বলে, ছেলে ছেলে চ্যাটে সমস্যা নেই অপরিচিত মেয়েদের সাথে চ্যাট করা গুনাহ। আমি বললাম, যদি গে হয়? আঁতকে উঠে আবারও উত্তর না দিয়ে চলে গেল।

চ্যাটারু যুগের অবসান হয়েছে। এখনো দিনরাত ফেসবুকে বসে লোকজন গুলতানি মারে কিন্তু বেশীরভাগই পরিচিত লোকেদের সাথে। প্রযুক্তির উন্নতির ধারায় আমরা এখন চ্যাটারু যুগ পার হয়ে স্ট্যাটারু যুগে প্রবেশ করেছি। লোকে খালি এখন স্ট্যাটাস মারে। আমার মতো জ্ঞানী যারা, তারা দেশের কি হইতেছে,, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান কি করিয়া সম্ভব, ওবামা কি পাইরবে দুনিয়াকে স্বর্গ বানাইতে, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি ও সমাধান, পাকিস্তান কি আমাদের ভাই না চুদির ভাই ইত্যাদি নিয়া স্ট্যাটাস মারে। অজ্ঞানী লোকে নিজের মহান কর্মকাণ্ড নিয়ে স্ট্যাটাস মারে। একটা সময় ছিল মানুষের সাথে মানুষের দেখা হলে জিজ্ঞেস করতো, মিয়াভাই শইলডা ভালা? তারপর টুকটাক খোঁজ খবর নেয়া হতো। শরীরের চেয়ে মনের গুরুত্ব বেশী, তাই হুমায়ূন আহমেদ শুরু করেছিলেন মনডা ভালা এই ডায়লগের। এখন আর কষ্ট করে শরীর মন ভালো কিনা জিজ্ঞেস করতে হয়না কাউরে। চান বা না চান স্ট্যাটাস আপডেট পেয়ে যাবেন। বর্তমান বিশ্বের শতকরা আশি-ভাগ দুঃখের জন্য দায়ী মার্ক জুকারবারগ এবং তাঁর ফেসবুক। জীবনে কখনো না কখনো বাচ্চা পোলাপানকে আছাড় খেতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। আছাড় খাবার পর সে সাধারণত চারিদিকে তাকিয়ে দেখে। যদি দেখে আশেপাশে মা বা সহানুভূতি জানানোর মতো তেমন কেউ নেই তাইলে নিজে নিজে উঠেই ধুলা ঝেড়ে ফেলে। আর আশেপাশে কেউ থাকলে শুরু হয় চিল চিৎকার। ফেসবুক এই চিৎকারের ব্যবস্থাটা করে দিয়েছে খুব ভালো মতো। আর তাই প্রতিদিনের পত্রিকার পাতার মতো ফেসবুকের পাতা খুললেই চারিদিকে শুধু হাহাকার। হৃদয় বিদারক সব স্ট্যাটাস। এই জীবন আর ভালো লাগে না, লাইফ সাক্স, বাঁচিতে চাহিনা এই সুন্দর ভুবনে, শইল্লে বেদনা, মনে বেদনা, কিছু ভালো লাগে না, এ জীবনে এতো কষ্ট ক্যান, I quit , সব ছেড়ে চলে গেলাম, আর আসবনা ইত্যাদি। সাধারণত যারা চলে যায় তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যায় না। আর যারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যায় তারা অচিরেই ফিরে আসে অন্তত স্ট্যাটাসে কয়টা লাইক পড়লো আর কতজন যেওনা সাথী, চলেছ একেলা কোথায় বলে আহা উঁহু করলো দেখার জন্য।

সে যাই হোক, এই বেলা বিদায় হই। মনডা ভালো বলে ম্যালা বকর বকর করলাম। বাংলাদেশ বেশ খানিক ধোলাই দিয়েছে ওয়েস্ট-ইন্ডিজকে। পাবলিকে ধরে বেশ প্যাঁদানি দিয়েছে শিবির নামের ভণ্ড গুলাকে। বারবার তাই সচল খুলে হাড্ডি খিজিরের পিডাইয়া হাডাইয়ালা পড়ি আর মুচকি মুচকি হাসি। আমার দেশে সাঈদী পুত্রের এক বছরের পুরনো লেখাটা পড়ি আর হাসি ।তবে সবচেয়ে আনন্দ হয়েছে জামাত এর কাছ থেকে সরি শুনে। নিজের মায়ের সাথে এত বড় বেঈমানি করে কখনো সরি বলার প্রয়োজন মনে করলনা তো কি হয়েছে? আমেরিকা নামক আব্বাকে তো বলেছে। হাসি পাচ্ছে এই ভেবে যে নর্দমার শুয়োরও জানে মাকে কষ্ট দিলে মা বড়জোর নীরবে নিভৃতে বসে হুহু করে কাঁদবে। কিন্তু বড় আব্বাকে ক্ষ্যাপালে আব্বা ধরে দিবেনে। তবে সরি নাকি অসভ্য লোকেরা বলে, সভ্য লোকেরা বলে গ্রান্ট মাই অ্যাপোলোজিস। যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতাম সেখানের ডীন এর কাছ থেকে শেখা। ভদ্রলোক ব্রিটেনে পড়াশুনা করেছিলেন বলে দিনরাত শুধু ইংরেজদের প্রশংসা। কালচার আর ভদ্রতায় নাকি ইংলিশদের ধারে কাছে কেউ নেই। এমনকি তাবৎ দুনিয়ার মানুষ যেই শার্ট পরে সেটার বোতাম ছয়টা, ইংরেজদের শার্টে বোতাম সাতটা। ছয় বোতামআলা শার্ট পরে বসলে নাকি শার্ট এর দুই বোতাম এর ফাঁক দিয়ে একটুখানি পেট দেখা যেতে পারে, সেটা চরম অভদ্রতা। জীবনে শার্টের বোতাম গুনার দরকার মনে হয়নি। উনি বলার পর গুনে দেখলাম, আসলেই আমার শার্টে বোতাম ৬ টা। সেই সাথে শার্ট পরে বসলে ফাঁক দিয়ে পেট খানাও একটু দেখা যায়। যদিও সে যতটা না শার্টের দোষে তারচেয়ে বেশী পেটের গুনে। সে যাই হোক, কথা হচ্ছিল সভ্যভাবে সরি বলা নিয়ে। জামাত বড় আব্বার গাড়ী পুড়িয়ে দিয়ে কেঁদে সরি বলেছে।ভুল যেটা হয়েছে তা হচ্ছে এভাবে দুঃখ প্রকাশ বা সরি না বলে, ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ব্রিটিশ কায়দায় বলতে হবে আব্বা প্লিজ গ্রান্ট মাই অ্যাপোলোজিস এবং সেই সাথে পদ চুম্বন করতে হবে। তাইলে যদি আব্বারা একটু দয়া করে। দেশ এ যারা মানুষ আছে তারা করবেনা নিশ্চিত। বড় আব্বারাই এখন শেষ ভরসা। জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল এর বিবৃতি, ‘আজ ৪ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল পৌনে নয়টার দিকে একদল লোক ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একটি গাড়ির ওপর হামলা চালালে গাড়ির চালক সামান্য আহত হন এবং গাড়িটিও ক্ষয়ক্ষতি হয়। অভূতপূর্ব এই দুঃখজনক ঘটনার ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শেষে এর দায়দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করছি এবং নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনার জন্য দূতাবাস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিকট আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর ক্ষতিপূরণ দিতে আমরা প্রস্তুত।’ অভূতপূর্ব মানে যা কখনো পূর্বে দেখা যায়নি। বড় বাপের গাড়ী পোড়ানোর ব্যাপারটা অভূতপূর্বই বটে। তবে সাঈদী হিন্দুদের ঘরবাড়ী পোড়ানোর ব্যাপারে বেশ সিদ্ধহস্ত ছিলেন বলে শুনেছি। তেরশ্রী গণহত্যা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বরে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তখন মূলত এই এলাকা মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে ৪৩ জনকে গুলি করে আর পুড়িয়ে মারা হয়। উৎসবের শুরু হয় তেরশ্রী কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানকে বেয়োনেটে খুঁচিয়ে, চোখ উপড়ে, পুড়িয়ে হত্যা করার মাধ্যমে। এরকম শত সহস্র মানুষ পোড়ানোর জন্যও নিশ্চয়ই জামাত সরি বলবে কখনো না কখনো!


Comments

অতিথি লেখক's picture

ইটা রাইখ্যা গেলাম... রেখে গেলাম। এবার পড়ি।

ফারাসাত

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

১। কী কথা ্মনে করায়ে দিলেন বস। তবে আমাদের সময়টা ছিল আইআরসি আর ডায়ালআপ যুগের শেষস‌ময়। ডায়ালআপ বিদায় নিচ্ছে নিচ্ছে এরপর হাই ফাইভ, অরকুট আরও কত কি। যদিও আইআরসিতে আমার খুব বেশি সময় কাটানো হয়নি কিন্তু ঘটনাগুলা বড়ই পরিচিত। এরপরে আরেকটা যুগ আসছিল সেইটা হইল মিগ২৯ এর যুগ, সেইটা কি আপ্নেরা পাইছেন? মিগ হইল মোবাইল আসার পর। সেখানেও সেই একই কাহিনী এএসএল আর নানা রকম বর্ণিল চ্যাট্রুম আর নিক। কত লোক মিগ থেকে ট্যুশানি, পার্ট্টাইম প্রেমিকা, এমনকি গে পার্টনারও পাইতে দেখলাম। শুধু আমার কিছুই হইল না মন খারাপ

২। শেষাংশ নিয়ে কিছু বলার নাই। শুধু চাই এই ডিসেম্বরে অ্যাটলিস্ট একটা শূয়োরের ফাঁসি হোক। অনেকদিন সেরকম আহ্লাদ করে বলার মত কোন সুখবর শুনি না।

৩। জগাখিচুরি ফেরত আনার জন্যে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস's picture

মিগ এর যুগ পাই নাই। ততদিনে মনে হয় ভালোমানুষ হয়ে গেছি। আপনার লেখাতেও কিন্তু বিশাল গ্যাপ পরে যাচ্ছে। সবাই ফাঁকি দিলে ফরজে কেফায়া আদায় হবে ক্যামনে?

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

আমার তো প্রোডা্কশান রেট সবসময়ই কম। কেফায়া কম্যুনিটিতে একজন আদায় করলেই হয়, ঘণুদা আচে, পীরসাহেব আছেন ওনারা থা্কলে আখিরাতে আর চিন্তা নাই। বাকিটা আল্লাহ ভরসা দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

পাঠক's picture

আহা মিগ ২৯ এর কথা মনে পড়ে গেল। আর ডায়ালআপ মডেম এর সুমধুর শব্দ!
রাতে এই শব্দ প্যারেন্ট গার্ড হিসাবে কাজ করতো যে বিদঘুটে শব্দ!

চরম উদাস's picture

মিগ ২৯ এর সময় আমি কই ছিলাম? পাই নাই কেন? ইয়ে, মানে...

জুন's picture

জামাতের সরির মায়রে-বাপ! হেরা সরি কইলেই আমরা শুনলাম আর কী? ইয়ে, মানে...

আপনার লেখা নিয়ে বলার কিছু নাই। কিন্তু এই সরির ব্যপারটা আমি মানতে পারলাম না। একটা সরি কখনো কোনও মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারে না।

চরম উদাস's picture

আহা, চেতেন কেন? সরি বললে আমরাও মাফ করে দিব। দিয়ে ধরে আগুনে কিমা বানিয়ে তারপর লাশের উপর দাঁড়িয়ে বলবো সরি, বেশী ব্যথা দিয়ে ফেলছি।

টিউলিপ's picture

লিঙ্ক ধরে সাঈদী (তাপুডিঢুঃ কপিরাইট সজল) পুত্রের লেখা পড়ে আসলাম। প্রথম প্যারা পড়েই মেজাজ চড়ে গেল। একাত্তরে তোর বাপ কত পরিবারের সর্বনাশ করেছে, আর তার জন্য সহানুভূতি চাস তুই এই দেশের মানুষের?

খিচুড়ি উমদা হয়েছে, কিন্তু জামাতের কথা দেখলেই আর মেজাজ ঠান্ডা রাখতে পারি না।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

চরম উদাস's picture

আমার তো পড়ে দুচোখ ভরে জল চলে আসলো। আহা দুষ্টুটা কচিটাকে কতোই না হেনস্থা করছে সরকার খাইছে

মেঘা's picture

এটা কোন কথা হলো! লেখা শুরু হলো কী দিয়ে আর গেলো কই! চ্যাটারু যুগ আমার দেখা হয় নি। সেই চ্যাটারু যুগে আমি মোটামুটি শিশু ছিলাম। তবে ইয়াহুতে যখন চ্যাট করেছি তখন দেখতাম চ্যাট রুমে গেলে মানুষ লিখে ASL plz খাইছে

লেখা বরাবরের মত অতীব চমৎকার হয়েছে। শেষে এসে জামাতের কথায় মুখ তিতা হয়ে গেলো। তবে আশার কথা এবার সাধারণ জনগণ নেবে বিচারের ভার। সরকার না পারুক বিরোধীদল হাত মেলাক যার যা ইচ্ছা তাই করুক। আমরা সাধারণেরা রুখে দাঁড়াতে শুরু করলে আর কাউকেই লাগবে না।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

চরম উদাস's picture

আমার লেখা এমনই। খালি লাইন হয়ে যায় আঁকাবাঁকা। প্যাঁচাল পাড়া শুরু করলে কই থেকে কই চলে যাই, এজন্যই তো জগাখিচুড়ি খাইছে

স্যাম's picture

গুরু গুরু - পুরো লেখার জন্যে...

(asl plz - অনেক পুরান কথা মনে করিয়ে দিলেন - আমি যদিও কোন দিন চ্যাট এর ছেলে ছিলাম্না - ইয়াহু পুল টেবিল এ ও অনেকবার শোনা asl plz এক নির্দোষ সময়ের কথা মনে করিয়ে দিল - আহা - অন্তত এত ছাগুবান্ধব টেনশন তখন ছিলনা )

জগাখিচুড়ির শেষ প্যারা আমি সবসময় কপি করে রাখি - ভীষণ প্রিয় এই খিচুড়ি আরো নিয়মিত আসুক - চরম উদাস এর জগাখিচুড়ির স্বাদ তুলনাহীন!!!!!

আবারও গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ধন্যবাদ ব্যানারু দেঁতো হাসি

সাধারন শুভ's picture

আগাম সতর্কতা নিয়ে পড়ছিলাম, যাতে ঘর ফাটিয়ে না হাসি, কিন্তু

Quote:
পাকিস্তান কি আমাদের ভাই না চুদির ভাই

এই লাইনে এসে আর পারলাম না। আপনি আসলেই একখান ____ ।
৭ নং খিচুড়ীর জন্য ধন্যবাদ এবং ৮ নং এর জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
আর সবার মত প্রাণের দাবী থাকল, এবার অন্তত একটারে ফাঁসি দেওয়া হোক।
- সাধারন শুভ।

চরম উদাস's picture

সেটাই, এই ডিসেম্বর মাসেই যেন অন্তত একটারে দিয়ে শুরু করতে পারে।

সত্যপীর's picture

জগাখিচুড়ির লগে কৈষা ছাগুকাচ্চি খাওনের কাম। বিজয়ের মাস ইস্পিশাল।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস's picture

এহহে কাচ্চির কথা বলে দিলেন তো ভরদুপুরে খিদা লাগায়া। যেই কাচ্চি খেলাম লাস্ট ঊইক্যান্ডে জুবায়ের ভাবী আর উচ্ছলা ম্যাডামের দয়ায়, এখনো ঢেঁকুর উঠতেছে। আপনেরে বড় মিস করছি। ছবি দিয়ে দিলাম তাই।

সত্যপীর's picture

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস's picture

হো হো হো

কৌস্তুভ's picture

চলুক চলুক

অতিথি লেখক's picture

এইটা পাইলাম...

কড়িকাঠুরে

চরম উদাস's picture

কি পাইলেন?? দেখা যায় না তো

কড়িকাঠুরে's picture

ওরস্যালাইন দিসিলাম- ছাকিপ কান ফিচারিং ... আইলো না তো... ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক's picture

অভিশাপ!! চ্রম অভিশাপ!!!

সাকিন উল আলম ইভান 's picture

আপনার এখনকার এ এস এল কন ;)চোখ টিপি পাত্রী খুজতেসি হো হো হো

আহারে আমাগো সময় আছিল মিগ , কত ছাইয়া আইডি সাইজা কত পোলারে মিট করনের লাইজ্ঞা আইন্না মজা লইসি ।আহারে পুরানো সেই দিনের কথা।

স্মৃতি তুমি বেদানা ইয়ে, মানে...

চরম উদাস's picture

me 21 m pom USA লইজ্জা লাগে

কড়িকাঠুরে's picture

লিংকু হজম হবে না- বাদ দিলাম। @@**##'গো পুটু তে বাঁশ দিয়ে শুটকি দিতে পারতাম। মানবাধিকার মারায়।

চরম উদাস's picture

আহারে, বাঁশদের জন্য মায়া হচ্ছে।

কড়িকাঠুরে's picture

ইয়ে চ্যাট করতে করতে একটা কথা কইয়া যাই... আন্নের লেখার লিংকু দিলাম ললনারে- মুনে রাইখেন... খাইছে

চরম উদাস's picture

আহা আহা , আপনি যে লোক ভালো আগেই বুঝছিলাম

বেচারাথেরিয়াম's picture

হো হো হো হাসতে হাসতে শ্যাষ
একদা "বেলা বোস" নাম ধারন করিয়া চ্যাট করিয়া অনেক বন্ধুর হৃদয় হরন করেছিলাম!!! দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি
আমি একবার হৃদয় হরণ করে সেই হৃদয় হরণ এর চ্যাট লগ ক্লাসের মধ্যে পরদিন এসে ঝুলায়ে দিছিলাম।

বেচারাথেরিয়াম's picture

আন্নে ফুরাই অমানুষ!!!

তারেক অণু's picture

যাক শুরু করলেন তাহলে!

ভ্রমণ কবে দিবেন, ঝুলিয়েই যাচ্ছেন দেখি! এমন করলে কিন্তু ডালাস চলে আসব শয়তানী হাসি

চরম উদাস's picture

আসেন চলে, মানা করছে কে? লিখতেছি, ের পরের লেখা সব ভ্রমণ কাহিনী আর কিভাবে ভ্রমণ করবেন এর এসো নিজে করি টিউটোরিয়াল।

 মেঘলা মানুষ's picture

পুরানো কথা মনে পড়ল।
ইয়াহু মেসেন্জার অন করতাম মাঝে মাঝে, দুই একজন পরিচিত বন্ধু ছিল।
আমার নিকটাও ছিল মেঘলা মানুষ, অনেকেই নক করে বলত: "আপনি মানুষ নাকি মানুষী?" কি বিপদ! মেঘলা নাম হলেই মেয়ে হতে হবে এটা কিরকম একটা 'বেঅন্যায়' জিনিস। পরে ছেলে জানার পরে, সবাই কেটে পড়ত। আরে বাপ, সবাই যদি চ্যাটরুমে মেয়ে খুঁজতে থাকে তাহলে ক‌্যামনে কি? এত মেয়ে কোথা থেকে আসবে?

আরেক বিপদ হল ফেসবুক চ্যাট। মানুষজন ক্যাঁক করে ধরে বসে। যখন বসে থাকি, কেউ খবর নেয় না। আর, যখন বাথরুমে যাবার তাড়া, কি বাস ধরতে দৌড়াব, কি ক্লাস আছে একটু পর -তখন সব আলোচনা শুরু হয়।

যাইহোক, "দিন বদলাইছে।" এখন বহুৎ জানালা খোলা

চরম উদাস's picture

মেঘলা দেখলে আর মানুষ কি চোখে পড়ে কারো? আমি তো মনে করেন এইরকম উত্তেজক নিক দেখলেই নক করতাম, পরে যদি দেখি ছেলে তখন বলতাম সমস্যা নাই। যার নিক এত কোমল, সে ছেলে হোক মেয়ে হোক বড় কোমল (মনের) মানুষ হবে দেঁতো হাসি

Guest_Writer নীলকমলিনী's picture

অনেক দিন পর লিখলে। জগা খিচুরী তোমার মত আর কেউ রাঁধতে পারবে না।
শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কবে যে এদের বিচার হবে?

চরম উদাস's picture

হবে হবে, এই ডিসেম্বরেই কাচ্চি হবে।

তামান্না ঝুমু's picture

এখন এই অহরহ চ্যাটের যুগে মেয়ে পটানো কেমন চলছে?
তামান্না ঝুমু

চরম উদাস's picture

সেই দিন কি আর আছে? এখন হাতে পায়ে বাতের ব্যথা, চোখে পড়েছে ছানি, আগের মতো কি আর পারি?

সুব্রত শুভ's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি উত্তম জাঝা!

জামাতকে অলটাইম ইটা রাইখ্যা গেলাম...

চরম উদাস's picture

সেটাই ইটা রাইখ্যা গেলাম...

সাবেকা 's picture

IRC কথা মনে পড়ে গেল সব গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

খাইছে , কি কি মনে পড়লো ঝেড়ে কাশেন।

সাবেকা 's picture

সর‍্যি,এতো কাশতে গেলে গলা ব্যাথা হয়ে এখন অক্কা পাবো ওঁয়া ওঁয়া

অরফিয়াস's picture

হাসি-কান্না মিলিয়ে দারুন লেখা। প্রথমে ভাবলাম হাসির অংশগুলো আলাদা করি, তারপরে দেখলাম সম্ভব না। শেষে এসে জানতাম একটা আঘাত আসবে, তার জন্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু

শফিউল হোসেন's picture

"কিন্তু আজকের এসব ভেজিটেবল হয়ে যাওয়া খালাদের..."

খুব আপত্তিকর কথা।

চরম উদাস's picture

ওমা! আসলেই?? আমি যদি ভেজিটেবল মামু হয়ে যেতে পারি তবে আমার প্রাক্তন বান্ধবীরা ভেজিটেবল খালা হতে পারবে না কেন?

Guest_Writer নীলকমলিনী's picture

আগে মেয়েরা ছিল কুড়িতে বুড়ি, এখন তো দেখি চল্লিশেও ছুড়ি।

চরম উদাস's picture

তাইতো দেখি।

সাবেকা 's picture

কি বলেন আপা, আমি তো ষাটেও ছুড়ি দেখি দেঁতো হাসি

দিগন্ত বাহার's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইশতিয়াক রউফ's picture

ছিলো একটা স্বর্ণযুগ!! আহা সেই ASL... মাত্র তিনটা বর্ণের মাহাত্ম্য উত্তরপ্রজন্ম কোনোদিন বুঝবে না।

চরম উদাস's picture

সেটাই। পুরা ব্লাইন্ড ডেট এর উত্তেজনা। যার প্রেমে পড়ে গেলাম সে আসলে আস্ত একটা মেয়ে নাকি ছেলে সেইটা না জানার উত্তেজনা খাইছে

অনার্য সঙ্গীত's picture

Quote:
জীবনে কখনো না কখনো বাচ্চা পোলাপানকে আছাড় খেতে দেখেছেন নিশ্চয়ই। আছাড় খাবার পর সে সাধারণত চারিদিকে তাকিয়ে দেখে। যদি দেখে আশেপাশে মা বা সহানুভূতি জানানোর মতো তেমন কেউ নেই তাইলে নিজে নিজে উঠেই ধুলা ঝেড়ে ফেলে। আর আশেপাশে কেউ থাকলে শুরু হয় চিল চিৎকার। ফেসবুক এই চিৎকারের ব্যবস্থাটা করে দিয়েছে খুব ভালো মতো। আর তাই প্রতিদিনের পত্রিকার পাতার মতো ফেসবুকের পাতা খুললেই চারিদিকে শুধু হাহাকার। হৃদয় বিদারক সব স্ট্যাটাস। এই জীবন আর ভালো লাগে না, লাইফ সাক্স, বাঁচিতে চাহিনা এই সুন্দর ভুবনে, শইল্লে বেদনা, মনে বেদনা, কিছু ভালো লাগে না, এ জীবনে এতো কষ্ট ক্যান, I quit , সব ছেড়ে চলে গেলাম, আর আসবনা ইত্যাদি। সাধারণত যারা চলে যায় তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যায় না। আর যারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যায় তারা অচিরেই ফিরে আসে অন্তত স্ট্যাটাসে কয়টা লাইক পড়লো আর কতজন যেওনা সাথী, চলেছ একেলা কোথায় বলে আহা উঁহু করলো দেখার জন্য।

এইটা একটা ট্রাজেডি! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস's picture

এই ট্র্যাজেডি এর অত্যাচারে বাঁচিনা। এত কষ্ট কেন ফেসবুকে ... এ ... এ ইয়ে, মানে...

সোহেল চৌধুরী's picture

আমার বন্ধু পলাশের ইন্টারনেটের ব্যবসা ছিল। এই চ্যাটের জন্য তার যেকোন রকম বেগার খাটতে রাজি ছিলাম। সে কোন একটা ফেবার চাইলে আর্মি কমান্ডের রেসপন্সের মত মনে মনে "ইয়েস স্যার!" বলে তা পালন করতাম, বিনিময়ে তার দোকানে বসে কিছু সময় চ্যাট! মাঝে মধ্যে তার বিরক্তি সূচক ইঙ্গিত, কথাবার্তা গায়েই মাখতাম না। যতই হোক, দোস্ত মানুষ, তার কথাবার্তা গায়ে মাখতে নাই!
আহা, আমার সেই ফিলিপিনো বান্ধবীদের কথা মনে পড়ে গেল! মন খারাপ

চরম উদাস's picture

খাইছে
আপনে তো লোক আরও বস মনে হচ্ছে। পুরা ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি। ঝেড়ে কাশেন দেখি।

সজল's picture

হো হো হো
প্রথম যেদিন চ্যাট করলাম, একজনরে হাই বলার পর সে বললো ASL. আমি ভাবলাম আমারে সংক্ষেপে অ্যাসহোল বলে গালি দিছে, আমি তাই উলটা গালি দিলাম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

চরম উদাস's picture

হো হো হো
যার মনে যা চিন্তা। আমি পরহেজগার মানুষ বলে ASL প্রথমে শুনে ভাবছি আসসালামালাইকুম , উত্তরে তাই বলছি অয়ালেকুম

নাফিস's picture

উস্তাদ আপ্নে পারেন।

পাকিস্তান কি আমাদের ভাই না চুদির ভাই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

আলবৎ দ্বিতীয়টা দেঁতো হাসি

নীল আকাশ's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু চলুক

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফি's picture

২০মিনিটের আইএসপি এর নাম ছিল মনে হয় ডায়াল নেট। আমরা ওদের আরেকটা প্যাকেজ ব্যাবহার করতাম। ৫০টাকায় ১০০ মিনিট। কিন্তু মাল্টি লগিন ছিল, আর একবার লগিন করলে নিজে ডিস্কানেক্টেড না হলে ওরা ডিস্কানেট করতনা। আমরা তাই পাঁচ বন্ধু মিলে নিতাম, ১০টাকা জন্প্রতি। এক রাত কেটে যেত লেডিকেনিগিরি করে।

চরম উদাস's picture

আমরা যেটা ব্যাবহার করতাম ওইটার নাম মনে হয় ছিল, রাসপিট বা ঐরকম কিছু একটা। পুরাই ফাউল।

সবজান্তা's picture

চরম উদাস কইরা ফেললেন... আমি IRC জিনিসটার সন্ধান পাই প্রথম ১৯৯৮ সালে, আমার এক বড় ভাইরে দেখতাম বিভিন্ন চ্যাটরুমে চ্যাট করতে। ২০০০ সাল নাগাদ আমি নিজেই কিঞ্চিত লায়েক হয়ে যাওয়ার পর, আমিও শুরু করলাম। উচ্চমূল্যের ধানমন্ডিস্থ ব্লু প্ল্যানেট সাইবার ক্যাফেতে যাইতাম চ্যাট করতে। তারপর নিজের বাসায় ইন্টারনেট লাইন লাগলো- এরপরে আর পিছে ফিরে তাকাইতে হয় নাই।

চ্যাটিং এর প্রথম দিকে আমিও ASL ওয়ালা চ্যাটই করতাম। নিজের বাসায় ইন্টারনেট কানেকশন লাগার পর যখন চ্যাটিং এর সেকেন্ড ফেইজ শুরু হইলো, তখন আমি আবিষ্কার করলাম যে চিপায় চুপায় এক বালিকার লগে কথা বলাটা কিছুদিন পর একটু বোরিং হয়ে যায়, এরচে অনেক বেশি মজা মেইনে চ্যাট করতে। শুরু করলাম মেইন উইন্ডোতে আড্ডাবাজি। আমি গল্প করার উদ্দেশ্যে চ্যাট করতাম মূলত ডালনেট আর গল্প ডট নেটে। ডালনেটে বাংলাদেশিদের মেইন আড্ডাখানা যেইটা, #বাংলাদেশ রুম- ওইটায় কিছুদিন আড্ডা মাইরা দেখলাম, এইখানে আমার পোষাবে না। কিন্তু ওইখান থেকেই কিছু দারুণ পোলাপানের সাথে পরিচয় হয়ে গেলো, আস্তে আস্তে দেখলাম এমন সমমনা পোলাপানের আরো অনেক চ্যাট রুম আছে। এতো ভীড় ভাট্টা নাই, কিন্তু দারুণ আড্ডা হয়। এর মধ্যে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। চান্স পামু নাকি জানি না, কিন্তু ওইদিন রাতেই কী মনে করে যেন #বুয়েট রুমে ঢুকলাম। মোটামুটি ২-৩ বছর টানা চ্যাট করেছি ওইখানে- ফাটাফাটি আড্ডা। শুধু আমার এই আড্ডার গল্প শুনে আমার অনেক বন্ধু বান্ধবও আইআরসিতে চ্যাট করা শুরু করলো।

আমি জুনিয়ার একজনকে একবার আইআরসি র নেশার কথা বলতেছিলাম। সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারে না, যেখানে ছবি নাই, শব্দ নাই- সেইখানে আড্ডা মারে কীভাবে মানুষ। অথচ আমি জানি, প্রতিটা রাত, শুধু খাওয়াটা শেষ হতে দেরি, দৌড়ায়ে চলে যাইতাম কম্পিউটারে। ঘন্টার পর ঘন্টা বেহুদা গল্প, হাহা-হিহি। কোন কারণে ঢাকার বাইরে যাইতে হইলে বিষের মতো লাগতো। আমি অবশ্য চরম আসক্ত হয়ে গেছিলাম- শুধু চ্যাট না, আইআরসির টেকনিক্যাল জিনিসগুলিও ভালোমতো পারতাম- বট কনফিগার করা, সার্ভিস কনফিগার করা, IRCD কম্পাইল করা ইত্যাদি ইত্যাদি। IRC নিয়ে আমার এতো বেশি স্মৃতি আছে যে বলতে গেলে এই পোস্টের তিনচারগ গুণ হয়ে যাবে সাইজে, তাই ক্ষ্যান্ত দিলাম।

বহুদিন পর IRC এর কথা বলে সিরিয়াস নস্টালজিক কইরা দিলেন বস মন খারাপ

অট: ডালনেট বাংলাদেশ চ্যানেলের নিক লিস্টে সবসময় একটা নিক দেখতাম BUET_Theke; নক করসিলাম এক দুইবার, উত্তর দেয় না। পরে একজনের থেকে শুনলাম, সে শুধু মেয়েদের সাথে চ্যাট করে প্রাইভেটে। এখন তো সন্দেহ হইতেছে, আপনিই কি তিনি ? চোখ টিপি

অতিথি লেখক's picture

উদাস ভাই, হাতেনাতে ধরা খাইছেন। কবুল কইরালান।
-খাইশুই

চরম উদাস's picture

আন্দাজে। যে শিকারি সমুদ্রে নেমে মাছ ধরে সে কখনো ডোবার পানিতে গিয়ে শিকার করবে? (বুয়েটকে ডোবা বলছি বলে কেউ আবার মাইর দিয়েন না দেঁতো হাসি )

চরম উদাস's picture

চারিদিকে খোলা ময়দান থেক্তে আমি খালি বুয়েট চ্যানেলে পড়ে থাকবো ক্যান? বুয়েট চ্যানেলে পোলাপান এর অত্যাচারে কম যেতাম। ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা বেশী ইয়ে, মানে...
এই লেখায় লোকজনের কমেন্টের দৈর্ঘ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে কে কত বড় চ্যাটারু। তুমি যে বস চ্যাটারু বুঝলাম দেঁতো হাসি

সবজান্তা's picture

না না... আমি তো বুয়েট চ্যানেলের কথা বলি নাই। আমি বলতেছিলাম বাংলাদেশ চ্যানেলের কথা। ডালনেটের বাংলাদেশ চ্যানেলে ওই নামে একজন চ্যাট করতো আর কী।

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

জগাখিচুড়ির পুনরুজ্জীবন দেইখা আমোদিত হৈলাম বস।

Quote:
দিয়ে ধরে আগুনে কিমা বানিয়ে তারপর লাশের উপর দাঁড়িয়ে বলবো সরি, বেশী ব্যথা দিয়ে ফেলছি। চলুক

এইডাই শেষ কথা!


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস's picture

সেটাই চলুক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার's picture

আপনার এই লেখাটার কোন বিশেষ জায়গা নিয়ে আলাদা করে আর কিছু বলার পাচ্ছিনা, কারণ কোট করতে হলে আমি মনে হয় পুরাটাই করে ফেলবো! দেঁতো হাসি

তাও বদভ্যাস তো সহজে যায় না, কিছু জায়গা করি -

Quote:
চ্যাঁ চো, প্যাঁ পোঁ, প্রিং প্রিং, ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস ক্রিক ক্রিক ধ্রিম ধিম।

আহা! আমাদের ছোট ভাইবোনেরা অনেক কিছুই জানতে পারলো না। ASL তো দূরের ব্যাপার! <কোলন আফসোস!> দেঁতো হাসি

Quote:
রাস্তাঘাটে পরিচয় হলে সমস্যা নেই, কিন্তু ইন্টারনেটে পরিচয় হওয়া মেয়ে মানেই খারাপ।

এক্কেরে! এবং শুধু সেই প্রস্তরযুগেই না, এখনো! দেঁতো হাসি

Quote:
প্রযুক্তির উন্নতির ধারায় আমরা এখন চ্যাটারু যুগ পার হয়ে স্ট্যাটারু যুগে প্রবেশ করেছি।...

এখন আর কষ্ট করে শরীর মন ভালো কিনা জিজ্ঞেস করতে হয়না কাউরে। চান বা না চান স্ট্যাটাস আপডেট পেয়ে যাবেন।

পুরাই ঠিকাছে! ভালো কথা মনে করায়ে দিয়েছেন, যাই একটা ইশটেশাশ ঝুলায়ে আসি... চোখ টিপি

Quote:
অভূতপূর্ব মানে যা কখনো পূর্বে দেখা যায়নি। বড় বাপের গাড়ী পোড়ানোর ব্যাপারটা অভূতপূর্বই বটে। তবে সাঈদী হিন্দুদের ঘরবাড়ী পোড়ানোর ব্যাপারে বেশ সিদ্ধহস্ত ছিলেন বলে শুনেছি। তেরশ্রী গণহত্যা হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বরে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে তখন মূলত এই এলাকা মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে ৪৩ জনকে গুলি করে আর পুড়িয়ে মারা হয়। উৎসবের শুরু হয় তেরশ্রী কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানকে বেয়োনেটে খুঁচিয়ে, চোখ উপড়ে, পুড়িয়ে হত্যা করার মাধ্যমে।

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

চরম উদাস's picture

আহা, সব বাঘা বাঘা চ্যাটারুরা লেখা পড়ে বেশ নস্টালজিক হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। ওই স্বর্ণ যুগের মজা কি করে বুঝবে এই ফেসবুক যুগের ছেলেপিলেরা!

রাব্বানী's picture

আমি খুব ভাল মানুষ, চ্যাটের ধরে কাছে ছিলাম না

আচ্ছা আপনার সেই দিন কি কেমব্রিজ পাস?? আমি ও ঐরকম এক দিনের পাল্লায় পড়ছিলাম কিনা তাই বলতেছি আর কি।

চরম উদাস's picture

আবার জিগায়, ঠিক ধরছেন। পুরা বাংলাদেশে এইরকম ব্রিটিশ মুগ্ধ ব্যক্তি একজনই আছে চোখ টিপি

দীপ্ত's picture

ভাই, যেই তিনখান প্রাথমিক জ্ঞানের কথা বললেন সেগুলা কিন্ত আসলেই সত্যি হতে পারে। নইলে আমার মত একখান ডিসেন্ট (?) পুলা সারাদিন ফেবুতে বসে থেকে চোখ নষ্ট করে ফেলল, তাও গতি-ফতি হচ্ছে না ক্যান। চোখ টিপি
লেখা সেরাম হইছে, অবশ্য বরাবরই সেরামই হয়। আপনে গুরু।
আর জামাতরে গদাম। এগুলারে গাধার পিঠে চড়ে ঘুরান গেলে ভালো হত।

চরম উদাস's picture

হ, এখন তো শিখলেন। এই তিন পয়েন্ট এর জ্ঞান নিয়া মাঠে নেমে পড়েন। মাইর খাইলে লেখক দায়ী নহে।

যুমার's picture

গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতন্দ্র প্রহরী's picture

অনেক কিছু রাখঢাক করে লিখলেন মনে হয়? লজ্জার কিছু নাই। কয়বার ধরা খাইসেন, বিস্তারিত বলে ফেলেন। চোখ টিপি জীবনে প্রথম চ্যাটফ্যাট করা শিখি মনে হয় ২০০২-এ। শুরুতে কয়দিন ভালোই ASL-গিরি চলল। তারপর আগ্রহ হারায়ে ফেললাম। এখন তো পরিচিত বন্ধুদের সাথেও চ্যাট করা হয় না। মেসেঞ্জারে ঢুকতেই আলসেমি লাগে।

চরম উদাস's picture

ধরা না খাইলে শেখা হবে ক্যামনে? দাগ নেই তো শেখাও নেই দেঁতো হাসি

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ's picture

গুরু গুরু

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ

সুহান রিজওয়ান's picture

ভাই, সত্যি কথা বলি- রাগ কইরেন না। আপনি লোকটা ড্যারেন সামির চাইতেও বদমাশ মন খারাপ

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু থিঙ্কু। ছোটবেলা থেকে আমার বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে যেন বড় হয়ে তুখোড় বদমাশ হয়। আপনাদের দুয়ায় বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে চলেছি। চাল্লু

অতিথি লেখক's picture

মজা পাইলাম।

বুনো পথিক

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কিষান's picture

তিন নম্বর পয়েন্ট শয়তানী হাসি

উদাস ভাই,এইডা কি এরিকসনের মিনহাজ খানের কথা কইলেন নাকি? চিন্তিত

চরম উদাস's picture

আরে না, যার কথা বলছি সে জানে। কিন্তু এই দুনিয়াতে এই মিনহাজ মিনহাজ নয় আরও মিনহাজ আছে।

নিলয় নন্দী's picture

আপনার হাতের এই রান্নার কথা আগেই শুনেছিলাম।
এইবেলা চেখে গেলাম।
আপনিই রিয়েল শেফ।
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

দিগন্ত's picture

হো হো হো


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

চরম উদাস's picture

খাইছে

কুমার's picture

চউদা একটা আন্তর্জাতিক অভিশাপ আশীর্বাদ

চরম উদাস's picture

সবই আপনাদের দুয়া চাল্লু

সাফিনাজ আরজু's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু
গতকালকেই পড়েছিলাম। আজ মন্তব্য করতে ফিরে আসলাম।
হায়! আমি কখনও কাউরে জিগাইতে পারিনাই ASL plz, আপনার পুষ্ট পড়ার পর থেইকা ব্যপক আফসুস হইতাছে!
কেমনে পারেন এইসব খিচুড়ি লিখতে, চউদা ইট্টু আইডিয়া উইডিয়া ধার দিবেন চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

চরম উদাস's picture

খিচুড়ি মনে করেন চাল ডাল মিশায়ে যা খুশী বসায়ে দেই। কোন নিয়ম কানুন নেই, এইটাই রেসিপি।

কৌস্তুভ's picture

আমিও তো চ্যাঁ চোঁ কুঁক কুঁক আওয়াজের মোডেমের যুগেরই লোক কিন্তু IRC কী জিনিস তাই জানতুম না বলতে গেলে, আমি এতই ভালো ছেলে চোখ টিপি

চরম উদাস's picture

সে তো দেখতেই পাচ্ছি, সারা জীবন নেকা পড়া করেই কাটিয়ে দিলেন। কিন্তু ওই যে বললাম জীবনে উন্নতির জন্য একটু দুস্টু হত হবে যে খাইছে

অতিথি লেখক's picture

চরম লাগলো যেমন লাগে আর কি?

স্বয়ম

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ইঁদুর's picture

"কিন্তু আজকের এসব ভেজিটেবল হয়ে যাওয়া খালাদের কম্পুটার স্ক্রিনে একসময় একসাথে ২০/৩০ টা ছোট ছোট উইন্ডো খোলা থাকতো। সেই খোলা জানালা দিয়ে আমাদের মতো কচি দুঃস্থ যুবকদের কাকুতি মিনতি ভেসে আসত। আর সেই মিনতি শুনে কিশোরী খালারা ছু্য়োনা ছু্য়োনা মুঝে ভাব নিয়ে বসে রইতেন।"

পুরা লেখাটাই কোট করার মত-পড়ে হাসি পাইতেছে আবার জানি না কেমনে জানি নস্টালজিক লাগতেছে! মাথা নষ্ট লেখা!

চরম উদাস's picture

হ, সব চ্যাট পাপীর দলই নস্টালজিক হয়ে গেছে খাইছে

অতিথি লেখক's picture

বিডিচ্যাট , বাংলাক্যাফের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো । আমার এক লুইস ফ্র‌্যান্ডের টেকনিক ছিলো বিডিচ্যাট > ম্যাসেন্জার (ফটো দেখার জন‌্য) > পছন্দ হলে ফোন নাম্বার নিয়া রাত বিরাত আলাপ নাইলে ফোন সেক্স > তারপর নিজের বাসায় নিয়া আসা (!!) > তারপর বুইজা লন। ব্যটার টার্গেট মিস হয় নাই কোনো সময়।

চরম উদাস's picture

ছি ছি, আমরা দুস্ট হলেও সৎ ছিলাম

এরিক's picture

মিগ ৩৩ ।
অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা , আমার জিপিতে একবার মাসে ৩০০০ টাকা লাগসিল মিগ চালাতে গিয়ে, পল্টি খেয়ে আসলাম ওয়ারিদে , যেথায় ইন্টারনেট এর বেহাল দশা ! তারপর থেকেই চ্যাটারু জীবনের অপমৃত্যু !

চরম উদাস's picture

আহারে

অতিথি লেখক's picture

তখন ক্যাডেট কলেজে পড়তাম, মিগ ২৯ এ চ্যাটাইত লোকজন। আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম একই ধরনের পদার্থই, জাস্ট মোবাইল ভার্সান। কড়া ডিসিপ্লিনের ঠেলাতেও পোলাপাইন নিজের জীবন-মাইর-কলেজ আউটের (এক্সপেল) তোয়াক্কা না করে মোবাইল নিয়ে আসত কলেজে, শুধু মিগ ২৯ এ চ্যাট করবে এজন্য। আমি প্রিমিটিভ যুগের মানুষ এতো বেশি কিছু করতে পারতাম না। দোস্তরা ইন্দোনেশিয়ান মাইয়াও পটায়ে ফেলত ৭ দিনের ছুটিতে।

ডিবেট করার সুবাদে কলেজের ইন্টারনেট একটু ধরতে পারতাম তাই এ দিকে বেশ ডিমান্ড ছিল আমার। সকল প্রকার খানাদানার বিনিময়ে ইসাবেলা_১৯ কে "আই মিস ইউ" পাঠাতাম বন্ধুর একাউন্ট থেকে। বন্ধু খুশি পরবর্তি ছুটিতে কোপানো যাবে আমিও খুশি আমার পেটপূজো হল।

আহ! দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলনা। ইন্টারনেট ওই রুপেই ভালো ছিল, কমপক্ষে মজা তো পাওয়া যেত। এখনকার কান্নাকাটি মাথা ধরায়ে দেয়। সত্যিই "দেয়ার ইস নো প্লেস ফর ট্রুথ ইন দি ইন্টারনেট", আমরা এর ব্যাতিক্রম করতে গিয়েছি তাই এই কান্নাকাটির জগাখিচুড়ি

লেখায় চলুক

চরম উদাস's picture

হে হে, আমাদের মিলিটারি জীবনেও এরকম বন্ধুদের গ্রুপ ধরে প্রেম করার মজার কাহিনী আছে।

Oldie's picture

হেহেহে, গোল্ডেন ইরার কথা মনে করায়া দিলি। রনি আর বিদ্যুত এর কাগজে ফোন নাম্বার লেইখা মেয়েবাহী রিক্সায় থ্রো করার কাহিনি জানতাম, এইটা জান্তাম না। আমার বাসায় লাইন স্লো ছিল দেইখা প্রায় রাত্রেই কাপুত এর বাসায় থাক্তাম ''গ্রুপ স্টাডি'' করার জন্য। সেই রনি এখন নিতান্তই আলুভাতে, আর কাপুত আম্রিকার ইলেক্শন নিয়া ইন্টেলেকচুয়াল অপিনিয়ন দেয়।

চরম উদাস's picture

চোখ টিপি

অতিথি লেখক's picture

এহহে!! পতিভার কি নিদারুন মিত্যু!! মন খারাপ (বিলাপ করিবার ইমো হপে)

onupma 's picture

গতকালকেই পড়েছিলাম। আজকে মন্তব্য করতে এবনং পরতে ফিরে আসলাম। যে রকম মন্তব্য সেই রকম উত্তর চউদার গুল্লি

বাসায় কানেকশন নেয়ার পর যে পরিমান চাট করেচি যে বলার নয়। ১ম বার কথায় পরে বলে, লওল। আমি যিগায় লোল মানে কি? কয় যে, আই লাইনে নতুন? ভয় পেয়ে অইটা বাদ,।।।
একটা ঘট্না এখনও মনে আচে, নতুন জব পেয়েচি। অফিসে বসে বেটা কলিগসহ তিনজন একসাথে চাট করচিলাম লান্ চ টাইমে। অপসিট র বেটা ভিডিও দেখতে চায়। আমরা বললাম তোমার টা আগে দেখাও। বেটা বলে দেখাচি, যেই ভিডিও অন করলো, আমি চিত্কার দিয়ে বললাম ভিডিও ওফফ করো। (ঐ বেটা আমাদের তার আইসা পড়ো বেইবে... "ইয়ে" টা দেখাচিল শয়তানী হাসি তারপর থেকে চাট রমে আর ডুকিনা এবনং চাট করার উত্সাহ কমে গেচে। আর এখন ফরহেজগার হয়ে গেচি লইজ্জা লাগে

চাট করাকালিন আরেকটি ঘট্না। এক বেটাকে "কিস' করার সাইন দিয়েচিলাম ফাজলামি করে। পরে অই বেটা অতীব ভালমানুশী করে ক্থা বলায় ২ বচর অই বেটার সাথে কথা বলেচিলাম। পরে জেনেচি অই বেটা ক্যডেট ( কোন ক্যডেট বললাম নাহ গড়াগড়ি দিয়া হাসি ) এখ্ন লস এন্জেল্স এ থাকে ইইই র।
এইটা পড়এ ভাব্চিলাম জে এটা চউদা, যাইহোক অসাধারন লিখার জনন্য গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

লা হাওলা ওয়ালা কুয়াত লইজ্জা লাগে
সব চ্যাট পাপীদের কর্মকান্ড বের হচ্ছে আস্তে আস্তে খাইছে

বদলোকmamdud@hotmail.com's picture

চ্যাট এর একখানি শুদ্ধ বাংলা মানে আছে।

চরম উদাস's picture

ইয়ে, মানে...

আশালতা's picture

হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

চরম উদাস's picture

নতুন লেখা না দিয়ে কেলাচ্ছেন যে বড় চিন্তিত , লেখা কই ?

পাগলা দাশু's picture

ভাই রে, 'পাকিস্তান কি আমাদের ভাই না চুদির ভাই' কথাটা তো আপনার না। বহুত দিন ধইরা এইটা ফেসবুকে কত বার যে দেখছি। সেইটা ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু এই বাক্যের প্রশংসা কেমনে নিজে গ্রহন করতেছেন? কথাটা ধার করা স্বীকার করলে আপনার সম্মান তো কমে না ভাই।

চরম উদাস's picture

পাকিস্তান আমাদের ভাই তো বটেই তবে চুদির ভাই , এটা মনে হয় এক বছর আগে আমিই পাকিস্তানকে ভালুবেসে বলে ফেলেছিলাম। তারপর ফেসবুকে বেশ ছড়িয়েছিল। তবে আগে বা পরে অন্য কেউ একই কথা বলে থাকলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আমার সম্মানটা আরো বাড়িয়ে ফেললাম। দেঁতো হাসি
(আমি জ্ঞানী লোক তো, তাই যাই বলি লোকে বেশ কোট করে। তবে আমার সব জ্ঞান স্বপ্নে পাওয়া ওপেন সোর্স জ্ঞান, কেউ ব্যবহার করলে স্বীকার ফিকারের দরকার নাই)

অতিথি লেখক's picture

"নিশ্চয় জ্ঞানী ব্যাক্তিগন গানাতে জন্মগ্রহন করে"!! এইটা কইলাম আমার পেটেন্ট করা ডায়লগ; যেখানেই কইবেন আমার নাম নিয়া তারপর কইবেন। "ডরাইলেই ডর" - এইটা কওইয়ার আগে বিসমিল্লাহ বইলা দলছুটের নাম নিয়া তারপর কইবেন!

"পাগলা দাশু" যে সুকুমার রায়ের একটা বইয়ের নাম সেটা অবশ্য না বল্লেও চলবে, কারণ সেইটাতে সুকুমার রায়ের সম্মান বৃদ্ধি পাইসে, যে ব্যাবহার করতেসে তার না। দেঁতো হাসি

ফারাসাত

চরম উদাস's picture

খাইছে
আর বইলেন না, লোকজন দেখি আজকাল কাগু হয়ে কপিরাইটের ভয় দেখায় ইয়ে, মানে...

জোহরা ফেরদৌসী's picture

ভয়াবহ গুরু গুরু গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাততালি

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তমসা 's picture

তারে আমি চোখে দেখিনি
তার অনেক খিচুড়ি চেখেছি।
খিচুড়ি চেখেই তারে আমি
অল্প অল্প .......................... চোখ টিপি

চরম উদাস's picture

চোখ টিপি

শাওন's picture

জগাখিচুড়ি - ৭ পড়ার পর , এক নি:শ্বাসে আপ্নার জগাখিচুড়ি ১- ৭ পড়ে ফেল্লাম !! গুরু গুরু গুরু গুরু গুল্লি লেখা -গুড়- হয়েছে হাততালি (waiting for the next) এর একটা ইমো থাকলে ভাল হৈত !!

চরম উদাস's picture

হে হে, অনেকদিন পরে আসলে খিচুড়ি পাকাতে মন চাইলো। খিচুড়ি লেখা আসলে সোজা, যা খুশী মনে আসে লিখে ফেলি। তালগোল পাকালে পাবলিক মাইণ্ড করেনা, খিচুড়িই তো।

খেকশিয়াল's picture

হো হো হো

আপনে যে মহাচ্যাটারু, আপনের লগে প্রথমদিনের আলাপেই বুঝছিলাম। আহারে আই আর সি, একটা সময়ই ছিল রে ভাই, কত কষ্ট কইরা যে সেই নেশা কাটাইছি।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস's picture

খাইছে
সেইদিন কি আর আছে

তাপস শর্মা's picture

চ্যাটের সুখ জীবনে বেশী একটা নিতে পারি নাই মন খারাপ

অনেক দিন পর জগাখিচুড়ি খেলাম পেট ভরে দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

আপনের লেখা টেকা কম দেখি আজকাল।

অতিথি লেখক's picture

আমি অতি ভদ্র। কখনো চ্যাট চুট করিনি। একদম ক্লিন রেকর্ড।

জামাতের কাছ থেকে সরি শোনার ইচ্ছাও আমার নাই।
-রু

চরম উদাস's picture

LOL খাইছে

জামান's picture

ওনেক ভালো লাগলো হাসি

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ripon sarkar's picture

নেক্সট লেখা কবে পাব ভাই

চরম উদাস's picture

চা চু খাই তো

দেশি বলদ's picture

বৃষ্টি রুমানার খুব প্রিয়
আর ব্লগ রুমানার খুব ই অপ্রিয়

অতিথি লেখক's picture

ল্যাখা পইরা কইলাম চউক্ষে পানি আইতে নিসিলো। আহা কি সব দিন। আমি মফস্বলের পাব্লিক। চ্যাট শব্দটার যে ১টা সুশীল ব্যভার আছে তা জানতে পারলাম ৯৬এর দিকে, ঢাকা আসার পরে। চাচার বাসায় থাকতাম। মাঝ রাইতে বড় চাচাতো বোনের জন্য নেট এর কার্ড কিনতে কিনতে কৌতুহলবশতঃ এই দুনিয়ায় প্রবেশ। তারপরের ঘটনা তো ইতিহাস। তবে দিগ্বিজয়ের ঘটনায় সামান্য কালির দাগ আছে। কোনো অজানা কারনে বাঙালি বালিকা'রা আমাকে পাত্তা দিতেই রাজি হয় নাই ইয়ে, মানে... । তবে ফিলিপিনো, ইন্দোনেশিয়ান, মেক্সিকান এবং টার্কিশ মহলে আমার নাম-ডাক ভালই ছিলো। সেসব বালিকারা আবার আপনার ভাষায় কিঞ্চিত ইয়ে ছিলো আর কই! মনে আসে আমার সাময়িক অনুপস্থিতির সুযোগে আপু আমার চ্যাট উইন্ডো পড়তে গিয়া আল্লাগো কইয়া ১ চিক্কুর দিয়া ফেরত আইছিল। বেশীরভাগ সময় এমআইআরসি ক্যাফে আর বাংলাক্যাফে তেই পইরা থাকতাম। জীবনে যতবার ASL জিগাইসি ততবার খোদার নাম লইলে বেহেস্তে ছোটোখাট এক্কান ফ্ল্যাট কনফার্ম হয়া যাইতো হাহা

আলতাইর

অতিথি লেখক's picture

সামহয়ার ব্লগ এ নি‌য়মিত লিখলেও সচলায়তনে আপনার লেখা নিয়মিতই পড়ি।
যেহেতু আমি যথেষ্ট পরিমাণ অলস তাই সচল এ লেখার নিয়মাবলী পড়ার তোয়াক্কা না করেই একাউন্ট এক্টিভেট করার ব‌্যার্থ চেষ্টা করতাম!!
খাইছে
যাই হোক,আজ পড়লাম এবং জানতে পারলাম।
বরাবরের মতই জগাখিচুরি বড়ই মসলাদার এবং মজাদার হয়েছে!
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক's picture

বরাবরের মতই অসাধারণ!!
গড়াগড়ি দিয়া হাসি

উড়াল পঙ্খী

হিমাগ্নি's picture

অস্থির এক সময়ের কথা মনে করায়ে দিলেন। স্কুল পালায়ে সাইবার ক্যাফেতে থাকতাম চ্যাট করার জন্য। ধরা খাইয়া বাসায় যে কি মাইরটাই না খাইছি।
asl, lol, brb শুইনা হা কইরা থাকতাম । পরে বলদ কইয়া কথা শেষ কইরা দিত। কলেজে পড়ার সময় কত রাত যে কাটাইছি ফোনে চ্যাটাইয়া তার কোন ইয়ত্তা নাই। তখন অবশ্য অপরিচিত মানুষজন অনেক কথা কইত। এখন সবার পার্ট বাড়ছে। কেউ রিপ্লাইয়ে গালিও দেয় না ফেবুতে।

জোস্‌, চালাইতে থাকেন।

হিমাগ্নি

রাত-প্রহরী's picture

বুলেট গতিতে পড়ে ফেললাম। হাসলাম অনেক।
আরো একটি অসাধারণ লেখা।
আপনার লেখা পড়ে উৎসাহ পাচ্ছি বলে নিজেও লেখার চেষ্টা করছি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা দাদা।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.