শুধু বল নয়, আমার প্রিয় একটা ফুটবলের দলও ছিল। তারা আকাশী নীল রঙের জামা পরে খেলতে নামতো। ওদের খেলার দিনে রাস্তায় রাস্তায় আকাশী রঙের পতাকা উড়তো। যেদিন ওরা সাদা-কালোদের সাথে খেলতো - পুরো শহর জুড়ে উল্লাস আর উত্তেজনা থাকতো। মোড়ে মোড়ে আলোচনা হতো। সেই উত্তেজনার অংশ নিয়ে আমরা রেডিও ছাড়তাম, একটু বড় হওয়ার পরে স্টেডিয়ামে যেতাম। দুপুর বারোটার মধ্যে না ঢুকলে গ্যালারিতে ঠাঁই মিলবে না। ওদের খেলার সময়ে এখন গ্যালারি প্রায় ফাঁকাই থাকে। ফুটবলের স্বর্ণযুগ এখন শুধু মানুষের স্মৃতিতে, শৈশবের প্রায় সব কিছুর মতো ওরাও আজ বিতাড়িত, বলে লাথি মারার আনন্দটাও হারিয়ে গেছে কোথায় যেন।
আমার নিজের একটা ঘর ছিল। সেখানে পড়ার বই ছিল, ছিল গানের ক্যাসেট। সময়ে-অসময়ে সাগর সেন আপন মনে গেয়ে উঠতেন, তিনি বিরক্ত হয়ে গেলে মকসুদের হেঁড়ে গলা শোনা যেত। মৌসুমির ভালোবাসা নিয়ে বড় ব্যাকুল ছিলেন তিনি সেই সময়টাতে। আমার সেই ঘরটা একসময় বারান্দা ছিল, জানালাময় সেই ঘরে শুলেই একটা বড়সড় আকাশের দেখা মিলতো। সেই আকাশে মেঘ ছিল যেমন-তেমন – কখনো ঘন কৃষ্ণবর্ণ, কখনো সোনালী, কখনো সাদা। নারিকেল গাছের শোভাময় সেই ঘরটা থেকে পুকুর দেখা যেত, দূরের সঙ্গীতের মতো শোনা যেত রাস্তার কোলাহল। মাঝে মাঝে রাতের বেলা স্টেশন রোড থেকে ভেসে আসতো বাঁশির আওয়াজ। সেই ঘরে স্বপ্ন দেখা বারণ ছিল না। শৈশবের আর সব জিনিসের মতো সেই ঘরটাও নেই হয়ে গেছে আর স্বপ্নগুলো সব পলাতক। আমি সেই আকাশ সমেত সেই ঘরটাকে হারিয়ে ফেলেছি এই নির্বাসনের দিনে।
ঘর শব্দটি কবিতার মধ্যে এলে আমি তার দরজা দেখতে পাই না
অথচ দরজা শব্দটির একদিকে ঘর, আর একদিকে বারান্দা
বারান্দার পাশেই নিম গাছ
আমার শৈশবের নিম গাছের স্মৃতির ওপর বসে আছে একটা ইস্টিকুটুম পাখি...
(আঙুলের রক্ত / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
আমার অনেক বই ছিল। কিছু নিজের কেনা, কিছু উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত, কিছু লুট করে আনা। ওরা আমাকে গল্প শোনাতো, কবিতা শোনাতো, আমার আলস্যের সহগামী হয়ে থাকত গভীর রাত অব্দি। আমার থেকে কখনো ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয় নি। বরং আমিই লেখাপড়া শিখে ক্রেডিট কার্ডময় এক দেশে এসে ওদের কথা একদম ভুলে গেছি। মোটাসোটা কোনো বই দেখলে আগে আমোদিত হতাম, এখন হই আতংকিত। শৈশবের অন্যসব জিনিসের মতো ওরাও বাস করে আমার দীর্ঘশ্বাসে।
আমার একটা শহর ছিল। সেই শহরের রাস্তাগুলো জমজমাট থাকতো। সেই শহরে বন্ধুত্ব ছিল, প্রেম ছিল, ঝগড়া ছিল, রাগ ছিল, বিরহ ছিল, দল বেঁধে আড্ডা ছিল, নীরব হোটেল ছিল, লেকের পাড়ে ফুচকা ছিল, পাড়ায় পাড়ায় শৈশবের হল্লা ছিল। শৈশবের আর সব জিনিসের মতো সেই শহরটাও আজ অচেনা হয়ে গেছে। ঐ শহরের মানুষের সব্বাই মিলে ঠিক করেছে যে আমার শৈশবের স্মৃতিচিহ্নগুলো ওরা একে একে উপড়ে ফেলবে, নির্বাসনে দেবে সবুজকে, একখন্ড জমি ফেলে রাখবে না অর্বাচীন শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য। আমার প্রিয় শহরটাকে কোথায় খুঁজে পাই আর?
আমার বাবা রীতিমত যুবক ছিলেন। আমি তাঁর ছেচল্লিশ বছরের জন্মদিনে জন্ম নেওয়া সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। সত্তর বছরেও বার্ধক্য তাঁকে স্পর্শ করেনি, সদা কর্মচঞ্চলতা তাঁকে ব্যস্ত রাখতো প্রতিদিন। আমাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান তিনিই করতেন – বলা যায় আমাদেরকে কোনোদিনই বড় হতে দেননি তিনি। সেই যুবকটাও কোথায় যেন চলে গেছে - কালের ভারে আমার বাবা আজ প্রায় গৃহবন্দী। শেষ পর্যন্ত বার্ধক্য তাঁকেও স্পর্শ করেছে। ফোনে তিনি কুশল জিজ্ঞেস করেন, শরীরের যত্ন নিতে বলেন, আবহাওয়ার খবর নেন – এরপর তিনি খেই হারিয়ে ফেললেও আমি শুনতে পাই জমাট বাঁধা মমতা। তাঁর বার্ধক্য যেন হাহাকারের মতোই বাজে আমার বুকে। আমি টের পাই - আর সবকিছুর মতো বৃক্ষর ছায়ারাও এক সময়ে সরে যায় মাথায় ওপর থেকে।
আমার অনেক বন্ধু ছিল। ওদের সাথে থাকলে সময় কেটে যেত অতি দ্রুত। এক সময়ে সারা দিনরাত কেটেছে তাদের সংসর্গে। আমরা ভাবতাম – এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না । ওরা সব্বাই খুব ব্যস্ত আছে। যে ধর্মকে নিয়ে ব্যঙ্গ করত প্রতিদিন – সে সকাল বিকাল ধর্মের মাহাত্ন্যই বর্ণনা করে যায় আজকাল - লম্বা দাঁড়ি, পকেটে রেডি আছে টুপি। বউয়ে সাধ মেটানো, ভোরে উঠে অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, বাচ্চাদের পড়াশোনার খবর নেওয়া, কোরবানীর জন্য গরু কেনা - ওরা যেন সবাই কেমন হয়ে গেছে। অথচ আমাদের সারাজীবন ক্লাস এইটে পড়ার কথা ছিল। হঠাৎ কখনো ক্লাস এইটে উঁকি দিলে মনে হয়, আমি যেন ওখানে একাই বসে আছি, বাকি বন্ধুরা পালিয়ে গেছে জীবনের গলিপথে। আমিও কি অচেনা হই নি ওদেরই মতো?
হে সময়, কখনো তোমার প্রতি উদাস বিলাপ
করি নিবেদন।
ভাঙা মিছিলের মতো একেকটি আমি
দিকচিহ্নহীন পথে পলাতক, আজ অন্য আমি হ'য়ে আছি।
(ছেলেবেলা থেকে /শামসুর রাহমান)
আমার হারিয়ে যাওয়া জিনিসের তালিকাটা নেহাৎ ছোট নয়। ওতে শৈশব আছে, ধূলোমাখা মাঠ আছে, ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে যাওয়া স্বদেশ আছে, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া অনেক প্রিয়মুখ আছে, অলস দুপুরবেলা আছে - দিনে দিনে লিস্ট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েই চলছে। ফিরে পাওয়ার আশাটাও হারিয়ে গেছে, ওটাকেও আর খুঁজে পাচ্ছি না সম্প্রতি।
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই—থাকে না, নিরুপায়—
যে আসে সে-ই জানে—ভুলের দামে কিনে
আনে সে প্রিয় ম্যাপ—পথিক ম্রিয়মাণ,
উল্টোরথে চ'ড়ে চলেছে মূল পথ!
(বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে/ রফিক আজাদ)
####
Comments
তখন আমার বয়স বড়োজোর পাঁচ কি ছয়, দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ি, থাকি টাঙ্গাইলের একটি মফস্বল এলাকায়। বৈশাখী মেলাতে যেয়ে বাবার কাছে বায়না করে একটি ছোট্ট লঞ্চ কিনেছিলাম। অদ্ভুৎ একটি খেলনা ছিল সেটি, লঞ্চটিতে কেরসিন তেল ভরে একটি শিখাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হতো আর সেটি ভট ভট করে পানিতে চলতে থাকত।
মেলা থেকে কিনে আনার পর বাবা বাসার সামনে ছোট একটি গর্ত করে সেখানে পানি জমিয়ে লঞ্চটি ভাসিয়ে দিল। আগুন ধরাবার পরে লঞ্চের পানিতে চলতে থাকা দেখে আমার সে কী আনন্দ।
কিছুদিন পরে বর্ষার পানিতে আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে, উচু রাস্তার ধারে, যেখান থেকে মাটি কেটে রাস্তা উচু করা হয়েছে, সেখানে পানি জমে বেশ একটা হ্রদ হ্রদ ভাব হয়েছিল। আমার ছোট্ট মনে তখন সেইখানে লঞ্চটি চালানোর বাসনা। বাবা মায়ের বারণ না শুনে সেখানেই একদিন তেল ভরে চালিয়ে দিলাম লঞ্চটি। সেদিন ছিল হাটবার, রাস্তা দিয়ে অনেক লোক যাচ্ছিল আর দেখছিল, হয়ত এদের ভীরে কিছু দুষ্ট ছেলে পেলে ছিল। তাদেরই একজন ঢিল ছুড়ে আমার লঞ্চটি ডুবিয়ে দিয়েছিল। আর কখনো পাইনি সেটি। এখনো মাঝে মাঝে সেই দিনের স্মৃতি মনে পড়ে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভটভট লঞ্চগুলোর কথা মনে আছে। মহরমের মেলায় গেলে কিনতাম। জিনিসটা আসলেই বিস্ময়কর ছিল।
ধন্যবাদ জাহিদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই দিল মহর্মের মেলার কথা মনে করিয়ে! পল্টন না কিনলে আমার মেলা দর্শন পুরো হোতনা। কমলা রঙের লেউড়ি, চিনির খেলনা। আহারে! আজিম্পুরে এখন আর মহররমের মেলা বসেনা শুনেছি।
আমি কিন্তু এখনো মেলায় গেলে হাওয়াই মিঠাই খাই। হাওয়াই মিঠাই না খেলে আমার মেলা দেখা পূর্ন হয়না।
ভটভট লঞ্চটা কেনার স্বপ্ন আমার আজো পুরন হলো না। ভাবছিলাম বড় হয়ে কিনবো। কিন্তু বড় হতে হতে বিলুপ্ত হয়ে গেল লঞ্চটা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমাকেও কিনে দেয়নি
আমি একটা চাই!! এই জিনিসের ছবি আছে কারো কাছে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমিও এই রকম খেলনা দিয়ে খেলেছি অনেক ছোটো থাকতে।
এই লঞ্চ আইজো খুজতেছি
আমারও কিনে দেয়নি
শাফি।
তাসনীম আপনার লেখা পড়লে মুখে হাসি আর চোখে জল, দুটোই একসাথে আসে; একটা-দুটো নয়, সব লেখার ক্ষেত্রেই। চারপাশের অনেক মলিনতার মাঝে আপনার এই লেখাগুলোকে বছরের প্রথম বৃষ্টির মতই নিষ্কলুষ মনে হয়।
ভাল থাকবেন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সদানন্দ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটা সময়ের পর সব বয়সই মন খারাপের বয়স...
মন খারাপ হলো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুম। একটা থ্রেশোল্ড বয়েস আছে নিশ্চয়। সেটা অবশ্য ফিক্সড নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর। নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
নিজের জীবনের পিছনের অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে প্রায় হুবহু মিলে গেলো।
ধন্যবাদ আপনাকে শমশের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি নস্টালজিয়ার গুরু।
ধন্যবাদ দিগন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়ে, ক্লাস এইটের অঙ্ক অনেক কঠিন ছিল!
আমি আজীবন ক্লাস ফোরে থাকতে চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_________________
[খোমাখাতা]
ধন্যবাদ নিটোল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ দ্যা রিডার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
গান ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ উচ্ছলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নিজেকে হারিয়ে বসার যুগ এখন, আর আর সব জিনিস তো হারাবেই।
মন খারাপি নস্টালজিক লেখা, ভাল না লেগে উপায় নেই আসলে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় লেখাটা চোখে পড়ল।
কবিতামাখা নস্টালজিক পোস্ট আমার সবসময়-ই প্রিয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই ব্লগের কবিতা সাপ্লাইয়ের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। বহু কবিতা তোমার কারণে পড়া হয়েছে।
আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে "কবিতা মন্ত্রণালয়ের" প্রতিমন্ত্রী করে দেব তোমাকে। বয়েস একটু কম বলে পুরো মন্ত্রী প্রথম টার্মে করছি না - পরের বার ক্ষমতায় এলেই ইনশাল্লাহ তুমি ফুল মন্ত্রী - দৌড়-টৌড় ছাড়াই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ক্লাস সেভেন থেকে এইচ এস সি পর্যন্ত খুব সুন্দর সময় কেটেছে। বাবার কথা বলে মন খারাপ করায় দিলেন। আমার আব্বুকে নিয়ে খুব চিন্তায় থাকি। বয়স হয়েছে, শরীর ভেঙ্গে পড়েছে, আমরা বুঝি কিন্তু আব্বু এখনো জানে না।
আশা করছি আপনার বাবা আরো অনেক অনেক সুস্থ থাকবেন। আপনি ওনার থেকে কতদূরে থাকেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হারিয়ে গেছে অতীতের সেই
ছুটে বেড়াবার দিনটা,
হারিয়ে গেছে শৈশবের সব
গাঁজাখুরি চিন্তা।
হারিয়ে গেছে দুপুর বেলায়
পুকুরে ঝাঁপ মারাটা,
হারিয়ে গেছে হা-ডু-ডু খেলায়
গো হার হারাটা।
হারিয়ে গেছে ইশকুলের
ছুটির সেই ঘন্টা,
হারিয়ে গেছে অজানাকে
জানার সেই মনটা।
হারিয়ে গেছে অনেক কিছুই
অনেক জিনিস দামি,
হারিয়ে যেতে যেতে একদিন
হারিয়ে যাব আমি।
ধন্যবাদ রূপক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
Memory
Age gnaws at life
Without respite –
Incessantly; insidiously;
Unnerving in its non–rhythmicity:
Irregular pendulums–
Not on clocks–
Dump cold milestones:
Another wrinkle; another grey hair;
Another memory…
I stoked the fire.
A cackling ember broke ranks,
Deluded by escape.
I killed it–
As I do a memory.
It’s the pain you see–
The memory bears the pain:
It hurts my gut, my heart,
My eyes…
I up the volume–
Let the hi-fi sing
A solemn Herbert Howells–
Drowns the memory, see.
I turn to stoke the fire again,
Staying the blankness.
****************************************
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব হূদয় স্পর্শি লেখা। পড়তে পড়তে একটা ছবি ভেসে উঠল, আপনি বসে আছেন দুই কন্যাকে পাশে নিয়ে একটা শিউলি গাছের নিচে, তারা আপনের কমলা বলটা নিয়ে খেলছে... আর অজস্র শিউলি ফুল ঝরে পরছে তো পরছেই।
বাহ চমৎকার। ধন্যবাস সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-- তবে একটা জিনিষের কথা বাদ দিয়েছেন বোধহয়। আপনার শহরে বেশির ভাগ এলাকায় বা মহল্লায় তখন অন্তত দু'য়েকটা ছোট-বড় পুকুর থাকতো। এখন? এখন 'পুকুর' নামক জিনিষটা মিউজিয়ামেও নাই।
-- আমারও প্রিয় একটা ফুটবলের দল ছিল। সেখানে খেলত সালাউদ্দিন, চুন্নু, আনোয়ার, হেলাল, পিরিচ (গোলকিপার) - নামের কিছু খেলোয়াড়। এই নামগুলি কি আপনার স্মৃতিকোষের ফায়ারপ্লেসে ঝিমিয়ে পড়া আগুনকে উস্কে দেয় কোনভাবে ?
****************************************
পুকুর একদম বাসার পাশেই ছিল।
সালাউদ্দিন, চুন্নু, আনোয়ার, হেলালের সাথে সাথে টুটুল, নান্নু, মঞ্জুর নামও চলে আসে। ফুটবলের উন্মাদনা ছিল প্রবল। মনে আছে ফুটবল খেলতে গিয়ে জেল খেটেছিলেন চার ফুটবলার? সামরিক আদালতে শাস্তি বড় কঠিন জিনিস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী যে ভাল লাগল লেখাটা পড়ে! বাবাকে বেশ ক'দিন ফোন করিনা, আমার হারিয়ে যাওয়া জিনিসগুলো, হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে ফিরে পাবার আকুতিটা বাড়িয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ সুমাদ্রি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
্তাসনীম ভাই, শুধুমাত্র আপনার লেখার পরেই প্রথমবারের মত সচলায়াতন এ কিছু লিকছি। আপনার লেখা গুল পরে গলা টা ধরে আসলো। ছোট বেলার কতো কথা এক সাথে ভেসে উঠল চোখের সামনে (জুন মাসের এক দুপুরে আপনার পুরো ঈ-বুক পরে শেস করেছিলাম)
এটা কি অতনুর ছোট ভাই অঙ্কন?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার কি মনে হয় জানেন? যখন আমরা বাবা মা হয়ে যাই, তখন থেকে আমাদের স্মৃতিরা থ্রেশল্ড পেরিয়ে যায়। আমাদের জায়গা হয় তখন আমাদের বাচ্চাদের শৈশব স্মৃতিতে... স্মৃতিগুলো আর তখন শুধু আমাদের নিজেদের থাকে না... বোঝাতে পারলাম?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এটা হয়ত একটা কারণ। তবে যাঁরা বাবা-মা হননি তাঁদের কি থ্রেশল্ড পেরুয় না কখনো?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ আপানার এই মন্ত্রমুগ্ধ লেখার মাধ্যমে সাত সকালে অদ্ভুত নস্টালজিয়ায় বুঁদ হয়ে রাখার জন্য...
ধন্যবাদ বাউণ্ডুলে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন পেছন ফিরে তাকালেই, হিসেব মেলাতে কষ্ট হয়। কতকি হারিয়েছি আর কিইবা পেয়েছি। শৈশবের ফুটবল, বন্ধু, শৈশবের ভাললাগা... কালের আবর্তে ফিকে হয়ে আসা স্বপ্নের মত ম্লান হয়ে গেছে। এক সময়ের অসীম ভাললাগা গুলো ধোঁয়াটে ধুসর স্মৃতির মত মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে চলে যায়, আমি পরে রই এত ব্যস্ততা আর কর্তব্যের ভারে ন্যুজ... আমার স্বপ্নাহত চোখ তবুও নিজেকে ফিরে পাবার অপার্থিব স্বপ্নে বিভোর।
অচেনা আগুন্তুক
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হে আগুন্তুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুত সুন্দর লেখেন আপনি!
লেখাটা পড়ে কত কত স্মৃতি মনে উঁকি দিয়ে গেল। আহারে কী অসাধারণ একটা জীবন ছিল আমার।
মাঝে মাঝে আমারও তা-ই মনে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রাত দুপুরে এভাবে স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত করলেন
কি দারুণ লেখা, কি মনকাড়া শব্দাবলী ! ইস, আমরা যদি কেবলমাত্র ক্লাস এইটেই থাকতাম।
সেই ক্রেডিট কার্ডের দেশের লোকদেরও কিন্তু এমন হয়, মন টানে ফেলে আসা দিনগুলির জন্য, আসলে সবারই হয়।
facebook
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তারেক অণু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব খুব খুব মন খারাপ করা একটা লেখা। আপনি মানুষ ভালো না তাসনীম ভাই। নইলে এত্ত মন খারাপের কথা কেউ লেখে । এইবার যেহেতু গুনাহ করেছেন তার উপযুক্ত বিধানও চাই। আর এর উপায় হল একটা মার্কিন মুল্লুক ছাড়েন জলদি
এগুলো সগীরা গুনাহ। মার্কিন মুল্লুকে আসবে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখাটা পড়তে শুরু করেই মনে পড়ে গেল আমার আকাশী আর সাদা মেশানো কি চমৎকার একটা ফুটবল ছিল। বাবা বিদেশ থেকে এনেছিলেন। যেদিন প্রথম খেলতে যাই বলটি নিয়ে, সেদিনই হারিয়ে যায় বলটা কোন দুষ্টু ছেলের চক্রে। আজো মন খারাপ হয় সেই বলটির কথা মনে হলে। স্মৃতিকথা এত রসালো করে কিভাবে লেখেন একটা টিপস দেন তো!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অভ্র দিয়ে লিখুন
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সে কবেকার কথা। আকাশী নীল জার্সির দলটির সাথে শুরু থেকেই ছিলাম। মনে পড়ে, তখন আমারা সংখ্যায় ছিলাম অল্প। তাই আমাদের জায়গা ছিল ভি, আই, পি, গ্যালারী। মারও খেয়েছিলাম একদিন। ইষ্ট-এন্ড ক্লাবের সমর্থকদের হাতে। তারা ভি, আই, পি, গ্যালারীতে ঢুকে আমাদেরকে মারধোর করেছিল।
আমার বয়সের মত আমাদের ফুটবলটাও বুড়ো হয়ে গেছে। তার জৌলুস, চিকনাই প্রায় সবই শেষ। বহুদিন আর ষ্টেডিয়ামে যেয়ে খেলা দেখা হয়না।
ভট ভটি লঞ্চের কথায় মনে পড়ল, বড় ছেলেটির জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে কিনে এনেছিলাম।
পড়ন্ত বেলায় যৌবনকে মনে করিয়ে দিলেন। কত কথা, কত মুখ মনে পড়ে গেল। অনেকেই চিরতরে হারিয়ে গেছে।
ভাল থাকবেন। আর হ্যাঁ, আপনার লেখা সব সময়ই হৃদয়ে নাড়া দেয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আকাশী নীল বনাম সাদা-কালোর খেলা কয়েক বছর আগে টিভিতে দেখেছিলাম। গ্যালারি দেখি অনেকটাই ফাঁকা।
আকাশী নীলের সমর্থকদের নিজের দলেরই মনে হয়।
ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক জিনিষই আমাদের হারিয়ে গেছে, আরোও অনেক জিনিষ আমরা নিজেরাই হারিয়ে ফেলছি।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী সুন্দর একটা লেখা!
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! সেইসব দিন। আমাদের শৈশব অনেক সমৃদ্ধ ছিলো। শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ তানিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার তাসনীম ভাই। খুব সুন্দর
ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারও একটা লাল সাদা স্ট্রাইপের ফুটবল ছিল। একদিন দুপুরের ঘুম থেকে উঠে খেলতে যাবার সময় দেখি কে যেন বলটাকে ছুরি দিয়ে ফানা ফানা করে রেখেছে। মনে আছে, সেই ফুটবলটাই এক মাত্র খেলনা যার জন্য প্রথম কেঁদেছিলাম।
আমাদের সব্বারই হয়তো হারিয়ে যাওয়া জিনিসের লিস্টি এতো লম্বা যে এই রকম লেখা পড়লে সব্বারই মনে হবে এরকমটা আমারো...
এমনিতেই স্মৃতিমেদুর আজ ক'দিন ধরেই তার উপরে এই সব হাবিজাবি লিখে মন আরো উতল করে দিলেন
ধন্যবাদ বন্দনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী চমৎকার লেখা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিছুক্ষণ সময়কে স্থির করে রাখলেন যেন!!! কী মায়ায় লেখেন.........
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অস্বাধারন সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া.....
ধন্যবাদ অরিত্র।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া, আপনি কি ভেবেছেন, এটা আমার লেখা?
একটা পুতুলের খুব শখ ছিলো। মুখের মধ্যে ফিডার দেয়া পুতুল। ফিডার বের করে নিলে ওয়া ওয়া করে কাঁদতো। মার্কেটের মধ্যে সেই পুতুলের কান্না দেখে আমি চোখ মুখ উজ্জল করে বললাম আমি এই বাবুটার মা হবো। আমাকে বাবু কিনে দাও। কিন্তু ৮০০ টাকার পুতুল কিনে দেবার অবস্থা আব্বুর ছিলো না। কি কান্না আমার। সেই পুতুলের দুঃখ আমার কোনদিন গেলো না।
ছোটবেলার শখের জিনিসগুলো এমনি। না পাওয়া গুলো এমনি। সারাজীবন মনের মধ্যে দাগ রেখে যায়।
অসাধারণ মন খারাপ করা লেখার জন্য সাধারণ মাপের ধন্যবাদ দিতে বাঁধছে। পারলে কোনদিন অসাধারণ মাপের ধন্যবাদ দেবো তাসনীম ভাই।
সুন্দর এই মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ মেঘা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লাইনটাই সমস্ত শৈশব কৈশোরকে উস্কে দিল !
টাইপো হয়ে গেল। 'অথচ' হবে...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয়ম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার একটা বন্ধু ছিলো। যখন বাড়ি থেকে যখন তখন বেরোনোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো, ও বকা খাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে ছুটির দিনের দুপুরগুলোয় আমার ঘরের জানালায় এসে সারা শহরের খবর শুনাত। বাড়ির পেছলে একটা কদম গাছ ছিল, একটা ঝুল-বারান্দা ছিল।আমরা দুই বোন রাত পার করে দিতাম সেই বারান্দায় বসে বসে গল্প করে। বন্ধুটি কোথায় আছে জানিনা। বোনটির আমার কথা খুব মনে পড়ে না। ঝুল-বারান্দাটার কথা সবাই ভুলে গেছে। আর বাবা বাড়ি নোংরা হয় বলে কদমগাছটি কেটে ফেলেছে। আমার শৈশব এবং আমার কৈশর কিছুই এখন আর নেই, কোথাও নেই!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
এই উপলব্ধিটা আমাকেও পীড়া দেয় খুব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বড়ই নস্টালজিক লেখা, ভাল লাগল।
ধন্যবাদ নাসাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার একটা টিয়া পাখি ছিলো। আর সে সত্যিই আমার নাআআম ধরে ডাকতো। আমিও তখন এইটে পড়ি। ........
ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখার জন্য।
ধন্যবাদ রীপা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন লেখা তাসনীম ভাই
ধন্যবাদ সাফি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ক্লাস এইটটা আসলেও খুব ভাল ছিল।
আসলেই...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন লেখা
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক কিছুর সাথে কখনও কখনও আমরা নিজেকেও বোধ হয় একটু একটু করে হারিয়ে ফেলি...তারপর খুঁজতে খুঁজতেই জীবন শেষ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আসলেই তাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়ে কেনো যেনো চোখ ভিজে উঠল...
দাঁড়ান! কাজকর্ম একটু গুছায়া নেই, আমিও আমার ছোটবেলার কাহিনী লেখুম। চোখে পানি আইনা ফালামু মিয়া আপনারো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আহা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভাবেই আসলে একদিন সব স্মৃতি হয়ে যায়...
লেখাটা ভালো লাগলো খুব। পড়তে গিয়ে আমার খুবই প্রিয় একটা কবিতার কথা মনে পড়ে গেল। হয়ত প্রাসঙ্গিক হবে লেখাটার সাথে:
"One Art"
Elizabeth Bishop (8 February 1911 – 6 October 1979 / Worcester, Massachusetts)
The art of losing isn't hard to master;
so many things seem filled with the intent
to be lost that their loss is no disaster,
Lose something every day. Accept the fluster
of lost door keys, the hour badly spent.
The art of losing isn't hard to master.
Then practice losing farther, losing faster:
places, and names, and where it was you meant
to travel. None of these will bring disaster.
I lost my mother's watch. And look! my last, or
next-to-last, of three beloved houses went.
The art of losing isn't hard to master.
I lost two cities, lovely ones. And, vaster,
some realms I owned, two rivers, a continent.
I miss them, but it wasn't a disaster.
-- Even losing you (the joking voice, a gesture
I love) I shan't have lied. It's evident
the art of losing's not too hard to master
though it may look like (Write it!) a disaster.
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবিতা দেখলেই সবাইকে "কাঁচকলা" দেখাচ্ছেন মনে হয়!
সেই রকম হলে গদ্যেও কাঁচকলা দেখাই আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাহলে আমি আর একটা পদ্য দেই? আশা করি এত পদ্যতে বিরক্ত হবেন না। আমার তরফ থেকে এই শেষ। তবে এই পদ্যটা একেবারে নস্টালজিয়ার মাস্টারপীস - মানে, প্রায় ৭০০ বছরের নস্টালজিয়া আরকি! পড়ে আপনার লেখার সাথে মিলাতে গিয়ে খুব মজা লেগেছে।
Nostalgia
Remember the 1340's? We were doing a dance called the Catapult.
You always wore brown, the color craze of the decade,
and I was draped in one of those capes that were popular,
the ones with unicorns and pomegranates in needlework.
Everyone would pause for beer and onions in the afternoon,
and at night we would play a game called "Find the Cow."
Everything was hand-lettered then, not like today.
Where has the summer of 1572 gone? Brocade and sonnet
marathons were the rage. We used to dress up in the flags
of rival baronies and conquer one another in cold rooms of stone.
Out on the dance floor we were all doing the Struggle
while your sister practiced the Daphne all alone in her room.
We borrowed the jargon of farriers for our slang.
These days language seems transparent a badly broken code.
The 1790's will never come again. Childhood was big.
People would take walks to the very tops of hills
and write down what they saw in their journals without speaking.
Our collars were high and our hats were extremely soft.
We would surprise each other with alphabets made of twigs.
It was a wonderful time to be alive, or even dead.
I am very fond of the period between 1815 and 1821.
Europe trembled while we sat still for our portraits.
And I would love to return to 1901 if only for a moment,
time enough to wind up a music box and do a few dance steps,
or shoot me back to 1922 or 1941, or at least let me
recapture the serenity of last month when we picked
berries and glided through afternoons in a canoe.
Even this morning would be an improvement over the present.
I was in the garden then, surrounded by the hum of bees
and the Latin names of flowers, watching the early light
flash off the slanted windows of the greenhouse
and silver the limbs on the rows of dark hemlocks.
As usual, I was thinking about the moments of the past,
letting my memory rush over them like water
rushing over the stones on the bottom of a stream.
I was even thinking a little about the future, that place
where people are doing a dance we cannot imagine,
a dance whose name we can only guess.
..................................................
সূত্র
****************************************
আমাদের তো স্মরণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলার মত একটা শৈশব-কৈশোর আছে। এখনকার ছেলেমেয়েদের আনন্দের উৎস কেবল কম্পিউটার গেম। এরা কি আমাদের মত তাদের ফেলে আসা দিনকে এমন মিস করবে?
লেখা খুব ভাল লাগল।
শাদা ঘুড়ি রঙিন বল
এইদুটো সম্বল। __চন্দ্র বিন্দু
তৌফিক জোয়ার্দার ও রিয়েল ডেমোনকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, দ্বিতীয় প্যারায় "যেতাম " হবে বোধহয়।
আপনার স্মৃতি গুলো মন ছুঁয়ে যায়।
ধন্যবাদ আরিফ, বোঝাই যাচ্ছে আপনি মনযোগী পাঠক। ভুল ঠিক করলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত কম কথায়, এত সুন্দর করে কী করে লেখে! প্রতিদিন আমার শহর বদলে যায় আমার চোখের সাম... আমার ছেলেবেলা বদলে গেছে কত আগেই, ছোট ভাইবোনদের চোখে দেখেছি অন্য গল্প, এখন দেখি ভাগ্নে ভাগ্নীদের চোখে... আমার শহরের গল্পগুলো আমাদের ছেলেবেলার কথাগুলো লেখার আগেই বদলে যাচ্ছে কত দ্রুত... ছোটকালের বন্ধুরাতো বদলে গেছে কবেই!
পুরাতন আরেকটা পোস্টের কথা মনে পড়িয়ে দিলো...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সব কিছুই কি দ্রুতই না পালটে যায়...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বড় হওয়ার পর থেকে শুধু হারিয়েই যাচ্ছি, সবারই হয়ত তাই হয়। যত দিন যাচ্ছে লিস্ট বড় হচ্ছে । ইদানীং আমারও মনে হয় ফিরে পাওয়ার আশাটিও আর খুঁজে পাচ্ছি না। আপনার লেখাটা পড়ে আর একবার মন খারাপ হল।
আশা হারিয়ে ফেললেই সব শেষ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আজ মনের মুকুরে এক যুগ আগের এই লেখাটা ভেসে উঠলো। লেখাটা পড়তে নিয়ে বুঝলাম, এই লেখাটা আগে এক বার নয় অনেক বার পড়া হয়েছে। আমি লেখার নিচে আমার করা মন্তব্য খুঁজছিলাম - দেখলাম নেই। অথচ এক যুগ আগে সচলে ভালো লাগার প্রতিটি লেখাতেই আমার মন্তব্য থাকতো। তাহলে এই লেখায় আমার মন্তব্য নেই কেনো? আমি সম্ভবত তখন কী মন্তব্য করবো সেটা ভেবে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। লেখাটা এতো এতো সব স্মৃতি উসকে দেয়! এই লেখাটা আসলে একটা বিশাল লেখার সারাংশের মতো। 'রোদের ঘ্রাণ আর বাতাসের রঙ'-এর তিন চারটা পর্ব মিলিয়ে আমি যা লিখতে পারিনি এই একটা লেখা সেসব ধারণ করে ফেলেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
Post new comment