ঘুমিয়ে থেকে থেকে অনেক সময় গিয়েছে তোমার। ঘুমিয়ে থেকে আমারও সময় গিয়েছে অনেক। দেখছি, পাতাবাহারের দিনে শূন্যে কুণ্ডলি পাকাতে-পাকাতে একটি ঘাসফড়িং নেমে আসছে আমাদের দিকে। দেখছি, এক উদভ্রান্ত যুবক শূন্যে তর্জনী পাকিয়ে কথা বলছে সন্ধ্যার আকাশে। দেখছি, কয়েকটা পাখি ডানা ঝাপটিয়ে ছুটে গেল দ্বিকবিদিক।
কীভাবে মুদ্রণপ্রমাদের মতো উঠে এল সেইসব ধুলো-ওড়া দিন! একটা বিভ্রমের মধ্যে দাঁড়িয়ে তুমি-আমি দেখছি কোলাহল। দেখছি, একটি বালক কোলাহল থেকে আচমকা বের হয়ে এল কাঁদতে-কাঁদতে। কী গভীর অসুখ তাকে পেয়ে বসেছে!
নির্জনতার মধ্যে দিয়ে চিৎকার করতে-করতে আমাদের পলায়নপর সময় অনেক ঝড় আর বর্ষাকাল পেরিয়ে এসে শুয়ে আছে বৈঠকখানায়।
বাইরে বাতাস বইছে। খুব কাছেই কোথাও একটা মাকড়সা নিঃশব্দে জাল বুনে চলেছে...
Comments
এইসব বিষণ্ণতা ভালো লাগে!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সুন্দর
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। ভালো লাগলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনার এই লেখাটাকে কবিতা বলবো না কি কবিতার জালে জড়িয়ে যাওয়া বিষন্ন স্বগতোক্তি বলবো সে নিয়ে দ্বিধায় আছি। তবে ভালো যে লেগেছে সে বিষয়ে কোন দ্বিধা নেই। শুভেচ্ছা নেবেন।
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী।
অনেক ভালো হইছে
শীতের দুপুরে এই কবিতার প্রয়োজন আছে অনেক। _rob_inn_
কবিতাটির ব্যাখ্যা দেবেন প্লিজ?
সুন্দর। কিন্তু অসমাপ্ত মনে হল।
Post new comment