কাক ভেজা দিনদুটি

শাব্দিক's picture
Submitted by shabdik [Guest] on Fri, 10/07/2015 - 5:08am
Categories:

পার্টনার’স ইন ক্রাইম বলতে যা বোঝায় মৌলী আমার জীবনে তাই। সেই স্কুলে থাকতে লালমাটিয়ার ভাঙা বাড়ির কালো বিড়ালের রহস্য উদ্ঘাটন থেকে শুরু করে হিল্লিদিল্লী হয়ে রাজস্থান ঘুরাঘুরি সব তার সাথে। কোন এক ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যায় ভিজে ভিজে গেলাম তার অফিসের সামনে চা আর সিঙ্গারা খেতে। চা খেয়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরব দুইজনে এই রকমই প্ল্যান ছিল।

হঠাৎ উনার মাথা ভুত চাপল আজ রাতে সিলেট গেলে কেমন হয়? আজ রাতে? কেম্নে কি? বলল, যাবি কি না বল। আমি কনফিউসড ভঙ্গীতে মাথা নাড়লাম, যার অর্থ হ্যাঁ বা না দুইই হতে পারে। যেতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু এরেঞ্জ করা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। মৌলী বলল, সেটা আমার উপর ছেড়ে দে। দেখি কাকে কাকে জোগাড় করা যায়। সাথে শর্ত জুড়ে দিল ডিএসএলআর ক্যামেরা সাথে নেয়া যাবে না। মৌলী আমার ফটোগ্রাফার হবার ইচ্ছাটার ব্যাপারে খুবই বিরক্ত। ওর ধারণা আমি মোটেও ছবি তুলতে পারি না। বরং যখনই কোথাও যাই ছবি তোলার পিছনে প্রচুর সময় নষ্ট করি, তাতে করে ঘুরাঘুরির মজাটা নাকি অর্ধেক মাটি হয়ে যায় এবং আর ক্যামেরা নিয়ে প্রচুর টেনশান করি, যাতে করে বাকি অর্ধেক মজাও মাটি হয়ে যায়। তো কথা হল এইবার সিলেট ভ্রমণের মুল উদ্দেশ্য হবে বর্ষা বিলাস।

মৌলী তার অফিসের দেয়া মোবাইল ফোনের যথেচ্ছ ব্যবহার করে ঘন্টা খানেক পরে বলল, যাও বাড়ি গিয়ে ব্যাগ গোছাও। আমরা ছয়জন যাচ্ছি জইন্তাপুর, আজ রাতের বাসে। এইজন্য এই মেয়েটাকে আমি স্মার্ট বলি। আর ওর দেয়া হাবিজাবি শর্তগুলিও মেনে নেই। ডিএসেলার নিতে না পারলেও ব্যাগের ফাঁকে চুপচাপ একটা Canon IXUS 105 ক্যামেরা ঢুকিয়ে ফেললাম। এই পোস্টের সব ছবিগুলি এই ক্যামেরায় তোলা।

সিলেট থেকে আরও ৪০ কিলোমিটার দূরে জইন্তাপুর একেবারে বাংলাদেশের বর্ডারে। সিলেটে পৌঁছে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে জইন্তাপুর যাওয়া হল। রিসোর্টটার এক পাশ থেকে পাহাড় আর দুটো ঝর্না দেখা যায়, দুটাই বর্ডারের ওইপাশে, মানে ভারতে। রিসোর্টএ পৌছেই আমরা সব নেমে পড়লাম বৃষ্টিতে ভিজতে। পাহাড়ী বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা।

খুব বেশি বর্ণনা দিতে পারি না বলেই এবার সেফ সাইডে থাকার জন্য ছবিব্লগ ট্যাগায় দিলাম।


জইন্তাপুর রিসোর্ট এর সামনের পাহাড়


রিসোর্ট এর অন্যপাশে


অবাক হয়ে বৃষ্টি দেখা আর হা করে বৃষ্টির পানি খাওয়া

সময় বেশি নেই, তাই সেদিনই সারাদিন নৌকায় বৃষ্টি ভিজব ঠিক হল। লালাখালের পানি কিছুটা লালচে রঙের বলেই মনে হয় এই নামকরণ। লালাখাল পর্যন্ত একটা টুকটুকি ভাড়া করা হল। লালাখালে নৌকায় ঘুরতে প্রায় ঘন্টা চারেক লাগে।


ভেসে যাওয়া ভেলা


ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা


খাল দেখা আর কলা বেঁচা


মাঝিও নাই বৈঠাও নাই, তাই মন মাঝিই সই


ঢেউয়ের তালেই বাজানো নাও


টাল মাটাল গুলুই


১০ বৃষ্টির সাথে মিশে যাওয়া কিশোরের স্বপ্ন


১১ ক্লান্ত মাঝি

নৌকার ছইয়ে উঠে সবাই বৃষ্টি ভিজছি, অসাধারণ অনুভূতি। একটু বৃষ্টি কমে আসলে এক চা তৈরির কারখানা ঘেঁষে আমাদের নৌকাটা থামল।


১২ কারখানার শ্রমিকদের প্রাত্যহিক দিন


১৩ পাহাড়ের বাঁকে তাদের পথ


১৪ মেঘ পাহাড়ে মিশে একাকার


১৫ বৃষ্টি স্নাত নাও


১৫ জাফলং যাবার পথে


১৬ তার এই পথ চলাতেই আনন্দ


১৭ গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা


১৮ কূলে আমি বসে একা, নাহি ভরসা

রাতের বেলা রিসোর্টএ জমে উঠল ভুতের গল্প। আমি বেশ চশমার ফাঁকে একে একে মুখগুলি দেখে শুরু করলাম এইভাবে, ধরা যাক এইখানে আমরা আর ওই দারোয়ানটা ছাড়া আর কেউ নেই। বলতে বলতে খেয়াল করলাম আসলেও আসার পর থেকে ওই লোকটা ছাড়া আর কাউকে দেখি নাই। এমনি সময় চলে গেল ইলেক্ট্রিসিটি আর জোর বিজলী চমকানো। এরপর আর গল্প কি বলব, আমি নিজেই আমার হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি, আস্তে করে ঢোক গিললাম যাতে ওরা বুঝতে না পারে। একটু পর আরও একদল লোকজন গাড়ি থেকে নামতে দেখে ঘাম দিয়ে ভয় ছাড়ল।


১৯ রাতের বেলা রিসোর্ট এ

পরের দিন ফেরার পালা, পথে জইন্তা রাজবাড়ি ঘুরে সিলেটের পথ ধরলাম।


২০ রাজবাড়ি প্রধান ফটক


২১ যথেষ্ট ভগ্নদশা রাজবাড়ির


২২ রাজবাড়ির অন্যপাশে


২৩ কুড়িয়ে পাওয়া রঙ

আর শেষমেশ আমার এই জীবনের কুড়িয়ে পাওয়া রঙ, এমন বর্ষা বিলাস সত্যি বিরল।
এরজন্য ধন্যবাদ মৌলীকে, জানি আলসেমি ছেড়ে মোটেও মন্তব্য করবি না লেখায়। কষ্ট করে ছবিগুলি দেখলেই হবে, দেখ ডিএসেলার ছাড়াও ছবি তোলা যায় খাইছে


Comments

মেঘলা মানুষ's picture

আমাদের ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ।
ঘোরাঘুরি জারি থাকুক।

শুভেচ্ছা হাসি

ছবিগুলোর বিষয়ে দু'চারটা কথা বলি (সাধারণ দর্শক হিসেবে, বোদ্ধা হিসেবে নয়)।
১) প্রথমেই বলি, বেশিরভাগ ছবিই চমৎকার লেগেছে। হাততালি
২) নম্বর ৮ এর সিলেক্টিভ কালার খানিকটা ঘাসের উপরও পড়েছে।
৩) নম্বর ১২, ২২ বেশি বেশি প্রসেসড লেগেছে।
৪) নম্বর ১১, ১৭ এর প্রশংসা করতে হচ্ছে আলাদাভাবে। হাততালি হাততালি

শাব্দিক's picture

ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য আর অনেক মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন ছবিগুলি সেজন্য। আসলে আমার নিজের কাছেও অধিকাংশ ছবি ওভার প্রসেসড মনে হয়েছে। ডাইনোসরযুগের ক্যামেরা হওয়াতে ছবির কোয়ালিটি বেশি ভাল ছিল না, তাই ঘষা মাজা একটু বেশি হয়ে গেছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর's picture

১১ আর ১৪ নং ছবি ভাল লেগেছে। হাসি

টু বি ভেরি অনেস্ট, তোমার পোস্ট প্রসেসিং আমার সব সময়েই বাড়তি মনে হয়। বিশেষত saturation এত চড়ি‌য়ে দাও, চোখে লাগে।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক's picture

ভেরি অনেস্ট মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি
আমার পোষ্ট প্রসেসিং নিজের কাছেও সুবিধার লাগে না। ফটোগ্রাফিতে প্রকৃত পক্ষে আমি পোষ্ট প্রসেসিং এর পক্ষপাতি নই। তবে কিনা সেলফির যুগে বেশিভাগ মানুষের চোখে আজকাল এডিটেড ছবিই ভাল লাগে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর's picture

সেলফি ট্রেন্ড আর পোষ্ট প্রসেসিং কিন্তু এক পাল্লায় মাপার জিনিস হলো না।
প্রপার ব্যালেন্স রাখতে জানলে এডিটিং একটা চমৎকার ব্যাপার। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক's picture

সবই ফেবু দুনিয়া।
এডিটিং নিঃসন্দেহে একটা চমৎকার আর্ট, তবে ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ক্যামেরার কাজের বাইরের কারসাজি সবক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য নয়। আমি ভাল র-ছবি বেশি পছন্দ করি, এডিটেড ছবির চেয়ে। যতবার কম্পিটিশানে ছবি দিয়েছি বেশিভাগ র-ছবি চেয়েছে। এখনো অনেক ফটোগ্রাফারদের কাছে র-ছবিই গ্রহনযোগ্য।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফি's picture

এই রিফাতকেই কি আমি ছবির এডিট নিয়ে বকা ঝকা করতাম এক কালে?

সাফি's picture

১১ আর ১৭ খুব ভালো লেগেছে। ১৭ একটু বেশী ভাল লেগেছে, তবে শ্যাডো এর ডিটেইল নাই। ১০ অনেক প্রমিজিং ছিলো, কিন্তু ফ্রেমিং ভালো লাগেনাই, বাঁকা মনে হয়েছে।

এডিটের কারণে আর্টিফিশিয়াল লাগে যেগুলো, সেগুলো আমার ভাল লাগেনা। যেমন - ২৩, ১৮।

কিছু ছবির এসপেকট রেশিও বেশ উদ্ভট। বেশী লম্বা বা বেশী চওড়া।

RR এ কী হয়?

শাব্দিক's picture

ধন্যবাদ সাফি ভাই, আপনার ডিটেল এ্যনালাইসিস ভাল পাই।
ছবিগুলি যদিও খুব বেশি মনোযোগ সহকারে অথবা খুব ভাল ক্যামেরায় তোলা নয়, আগেই বলেছি।
তাই কাটাকাটি করে আজব রেশিও দাড়িয়েছে।

রাত ও রাত্রি (RR) দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক's picture

চলুক বেশ ঘুরেছেন বোঝা গেল, বেশ লাগলো লেখাটা

দেবদ্যুতি

শাব্দিক's picture

অনেক ধন্যবাদ দেবদুত্যি।
সত্যিই অসাধারণ ছিল সে অভিজ্ঞতা।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

দেবদুত্যি !!! হুমমম... চাল্লু
( পোকিতির পোতিশোদ ?? )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
সাক্ষী, একটা মাইরও বাইরে পড়বে না। হো হো হো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আঁই কি কইচ্চি? অ্যাঁ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

মন্তব্য লাফাং, ঘ্যাচাং

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

আন্নের কী করেছি আমি, সাক্ষী দা’ মন খারাপ ? আন্নেরে কতো ভালু পাই, সেই আন্নেই এইটা কী কইলেন? হু হু হু (কান্নার ইমো)

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আরে, আমি তো উদ্ধৃতি দিলাম! ভয় নাই, আমার (আয়না)মতিভ্রম হয়নাই। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

ছবি গুলো ভালো লেগেছে। আরও ভালো লেগেছে সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়ন।
Jaraahzabin

শাব্দিক's picture

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তগুলি মানুষ সম্ভবত হুট করেই নেয়।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

Sagar's picture

ঢাকা থেকে লালা খাল যেতে কত সময় লাগে? দেখে ও পড়ে ভাল লাগল। যেতও ইচ্ছা করছে।

শাব্দিক's picture

আমরা রাতের বাসে সিলেট গিয়েছিলাম, সেখান থেকে ঘন্টা দেড়েক লেগেছে জইন্তাপুর। জৈন্তাপুর থেকে আধাঘন্টার পথ লালাখাল।
ডিরেক্ট ঢাকা থেকে লালাখাল যেতে হয়ত সব মিলিয়ে ১০ ঘন্টা লাগতে পারে, তবে নির্ভর করবে কোথায় কতক্ষন থামা হচ্ছে এবং ট্রাফিক জ্যাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নিলয় নন্দী's picture

চমৎকার সব ছবি। কিন্তু বাড়তি রঙ চড়ানোতে একটু বেখাপ্পা লাগছে।
চলুক

শাব্দিক's picture

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নজমুল আলবাব's picture

এটাতো নদী, সারী নদী। বৃষ্টি দিয়েছে বলে পানি লাল বা ঘোলা লেগেছে হয়তো। নয়তো এ নদীর পানি সবুজ রঙের থাকে। টলটলে সবুজ, তলদেশ পর্যন্ত দেখা যায়।

শাব্দিক's picture

সিলেটবাসী যখন বলছেন, ঠিকই বলছেন নিশ্চয়। হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

জিপসি's picture

সব ছবি কি একই ক্যামেরাতে তোলা ? ক্লান্ত মাঝি চাচার ছবিটা কিন্তু অসাধারণ লেগেছে।

------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ

শাব্দিক's picture

ধন্যবাদ জিপসি মন্তব্যের জন্য। সব ছবি একই ক্যামেরা দিয়ে তোলা, প্রথমযুগের ডিজিটাল ক্যামেরা। হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

মাহবুব লীলেন's picture

মুই কিন্তু জৈন্তাপুরি
০২
লালাখাল চা বাগান আমার বাপের শেষ কর্মস্থল; বাগানি মানুষ আছিলেন তিনি। আমারো জন্ম চা বাগিচায়
০৩
আমরা লোকাল গরিব মানুষ তাই রিসোর্ট ফিসোট খালি দূর থাইকা দেখতাম। জীবন্ওে ভিতরে যাওয়ার সাহস হয় নাই
০৪
পানির যে ছবিটা; সেইটা কিন্তু সারি নদীর (অপু বলেছে) লালাখালের নয়। লালাখাল জায়গার নাম
সারি নদী কিন্তু অদ্ভুত; বৃষ্টি ছাড়া্ও তার পানি রাস্তার উপর দিয়ে গড়ায়; আমরা বলি গোলা নামে
গোলা মানে উপরের পাহাড়ে বৃষ্টি; সাই সাই শব্দ করে আধা ঘণ্টার মধ্যে সব ভাসিয়ে নিযে যায়
০৫
যত কাল সিলেটে ছিলাম; ঢাকাইয়া মানুষদের জাফলং দেখার বান্ধা গাইড আছিলাম আমি; প্রায় প্রতি মাসেই পড়ত একেকটা চক্কর। কিন্তু মোবাইল ক্যামেরা ব্লগ কিছুই ছিল না বলে কোনো প্রমাণ নাই; তাই আবার নিজের পরিচিত জায়গাগুলোকে নতুন করে দেখা

০৬
অনেক ভাল্লাগলো ছবিগুলো

শাব্দিক's picture

আরে বাহ!
সিলটি ফোয়াদের পদধূলি পেয়ে পোস্ট সার্থক। হাসি
০২
নিজের জায়গার ছবি আসলে তোলা হয় কম। এমন অদ্ভুত সুন্দর জায়গায় বড় হয়ে আপনার মনটাও তাই সুন্দর হয়েছে।
০৩
রিসোর্টটা খুব বেশিদিনের নয়। যাওয়ার আগে যদি আপনার বাড়ি চিনতাম তাহলে কি আর পয়সা দিয়ে রিসোর্ট এ থাকতাম।
০৪
নদীটার নাম মাঝি বলেছিল, আমি ভুলে গেছিলাম। অপু ভাই বলার পর মনে পড়ল। আসলেই অসাধারণ। ছবিতে এর সৌন্দর্য ধরে আনা অসম্ভব।
০৫
পরিচিত জায়গা অন্য চোখে দেখার মজাই আলাদা। ভাল লাগছে আমার ছবিগুলিতে আপনার শৈশব স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পারায়।
০৬
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ লীনেন'দা।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সুমিমা ইয়াসমিন's picture

ছবিগুলো দেখতে দেখতে মন উচাটন হয়ে গেল! বেরিয়ে পড়বো কিনা ভাবছি।

শাব্দিক's picture

তুমি তো আমারে ফাঁকি দিলা, তোমারে নিয়াই তো সিলেট যাবার কথা ছিল খাইছে

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শাব্দিক's picture

আমিও পপ্পন খাই। খাইছে

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তাহসিন রেজা's picture

চমত্‍কার সব ছবি। ভাবছি আজকে রাতেই বেরিয়ে পড়ব কিনা দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

শাব্দিক's picture

ধন্যবাদ তাহসিন।
বেরিয়ে পড়, কি আছে জীবনে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

এক লহমা's picture

ভাল লাগল হাসি
সাদা-কালো ছবিগুলোয় রং-এর কোন সমস্যা নাই, তাই উপভোগেও ঝামেলা নাই। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

শাব্দিক's picture

এখন থেকে তাইলে সব সাদাকালা ছবি দেয়া হবে। হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.