মোহাম্মাদপুর প্রিপারেটরি স্কুলঃ ছাত্রী যৌন নির্যাতন আর কিছু সতর্কতা (আপডেটেড ১৭ই মে)

দুষ্ট বালিকা's picture
Submitted by ishshire on Thu, 14/05/2015 - 12:15pm
Categories:

নিজস্ব গেঁয়ো ভাবের কারণে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যাবহার করিনা। তাই ফেসবুকিং এর সময় পাওয়া যায় কেবল রাতে, বাড়ি ফিরে। গতকাল রাতে হোমপেইজ ঘাটতে গিয়ে নিজের প্রাক্তন স্কুলের এক খবর দেখে মাথা আউলে গেলো। স্কুলে প্রথম শ্রেণীর একজন আর পঞ্চম শ্রেণীর একজন ছাত্রী উপরে নির্যাতন হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার আর হাসপাতালে ভর্তি। (পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, এই গুজব রাটিয়েছে কারা তা এখনও জানিনা, তবে অভিভাবকদের মাথা গরম করিয়ে দেবার জন্য এটা যথেষ্ট ছিলো!)

বিস্তারিত জানার জন্য স্কুলের কিছু বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করলাম, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলাম, কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেনা। তবে একটা বিষয়ে সবারই এক কথা, স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছেন। আলোচনা করতে করতেই বড় আপু একটা পাবলিক স্ট্যাটাসের লিঙ্ক দিলো, সেখানে দেখি যে পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাটা আইসিইউ তে মারা গেছে! এই খবরের সত্যতাও কেউ জানাতে পারছেনা। বড় অসহায় লাগছে। পরিবারের প্রায় সব মেয়েরাই এই স্কুলের ছাত্রী, নিজেও এক যুগের বেশী এই স্কুলে কাটিয়েছি। আমাদের এতো ভালোবাসার এতো গর্বের এই স্কুলে এরকম একটা ঘটনা আর সেই ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছেন বর্তমান অধ্যক্ষ বেলায়েত স্যার, যিনি আমাদের গণিতের শিক্ষক ছিলেন, সবাইকে মা বলে সম্বোধন করতেন! এটাও দেখতে-শুনতে-বিশ্বাস করতে হলো? চেয়ারের লোভ-দায়-বশ্যতা তাকে তার মায়েদের নিরাপত্তা নিয়েও খেলতে শিখিয়ে দিয়েছে? অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী, তাদের বাঁচানোর জন্য এতো চেষ্টা কেন? স্কুলের প্রাণ স্কুলের বাচ্চারা, তাদের নিরাপত্তার চিন্তা করার দায়ীত্ব কার?

এই ঘটনার গভীরে যেতে চাই, আর দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। স্কুলের এলামনাইদের সাথে যোগাযোগ করছে আমার স্কুলের ছোটবোন দিঠি, স্কুলের কয়েকজন টিচারের সাথে যোগাযোগও করবো আমরা। আমার ছোট বোন প্রিপারেটরির ক্লাস ফাইভে পড়ে, আমার বোনটার সাথেই এটা হতে পারতো! আজ হয়নি বলে গালে হাত দিয়ে বসে থাকার আর সময় নাই, কালকের দিন কি নিয়ে আসবে আমরা জানিনা!

সচলে নারী সপ্তাহ চলছে, ব্যস্ততার কারণে নিজের দুই আনা যোগ করা হয়নি। এই নিয়ে দুঃখ আছে। তবে নিজের প্রিয় স্কুল নিয়ে এইভাবে নারী সপ্তাহের লেজে টান দিবো এটা জন্মেই ভাবিনাই! মন খারাপ

আপডেটঃ
আমার নিজের মামাতো বোন ক্লাস ফাইভে পড়ে। খানিক আগে ওর সাথে আর মামীর সাথে কথা বলে আসলাম। ক্লাস ওয়ান, ফোর আর ফাইভের তিন বাচ্চাকে স্কুলের ভিতরেই সিকিউরিটি/ক্যান্টিন বয়/নির্মান শ্রমিক যৌন নিপীড়ন করে। ঘটনা কতোদূর গড়িয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা কারন ক্লাস ফোর আর ফাইভের বাচ্চার বাবা-মা অভিযোগ করেননি। আরও জানলাম যে লিখিত অভিযোগ করেছিলো ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাটার মা বাবা, যেটা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেননি। মঙ্গলবারে প্রায় তিনশত অভিভাবক স্কুল ঘেরাও করে আর তারপরে প্রধান শিক্ষক তিনদিন সময় চান ঘটনা তদন্ত আর অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে।

এর সাথে আরও কিছু কথা শুনলাম, স্কুলের রেক্টর অভিভাবকদের বলেছেন, "যেখানে মধু থাকবে সেখানে ভ্রমর আসবেই।" এই কথা এতো বেশী মুখে মুখে ছড়চ্ছে যে এই নিয়ে আর কিছু জিজ্ঞেস করার রুচী হয়নাই। শফি হুজুরের তেঁতুল থিওরি আজকাল একটা মেয়েদের স্কুলের রেক্টর তার ছয় থেকে দশবছরের বাচ্চাদের নিয়েও ভাবে এটা ভাবতেও ঘেন্না হয়!

আজকে স্কুলে ক্লাসের মাঝে কয়েকজন করে শিক্ষক শিক্ষিক এসে বাচ্চাদের অচেনা লোকদের সাথে কথা বলা নিয়ে সাবধান করেন। তারা খোলাখুলি ভাবে কিছু ব্যাখ্যা না করলেও অপরিচিত মানুষের সাথে ব্যাবহারবিধি নিয়ে বাচ্চাদের কিছু সময় বক্তৃতা দিয়েছেন বলে আমার বোন জানায়। চোর পালালেই বুদ্ধি খোলে তবে?

কিছু সতর্কতা এখনই বাচ্চাদের শিখিয়ে দেই চলুন। একটা বাচ্চার উপরে এরকম একটা ঘটনার যে মানসিক ট্রমা তা কতোটা ভয়াবহ তা আমি জানি। নিজের এই অভিজ্ঞতা আছে তাই। একটা ছোট্ট বাচ্চা এই কথাগুলো কাউকে বুঝিয়েও বলতে পারেনা, আর আমাদের সমাজের মানুষগুলো এরকম ঘটনাগুলো ঢেকে ফেলার মানসিকতা নিয়ে সেই শিশুটিকেই ধমকায়, হুমকি দেয়। ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে বা ছেলেটার সেই নিগ্রহে কুকঁঅড়ে ছোট হয়ে যাওয়া মানসিকতার খেয়াল কেউ করেনা তখন। সেই নিগ্রহটা করে অনেক সময়েই নিজের কাছের মানুষেরা!

এর চেয়ে আসুন, নিজে সাবধান হই আর আমাদের শিশুদের নিরাপদে রাখি।

* নিজের সন্তানকে সবসময় আগলে রাখা যায়না জানি, কিন্তু পরিবারের অন্য আত্মীয়দের কোলে যখন থাকবে তখন সতর্ক নজর রাখুন।
* শিশু যদি কোনও আত্মীয় বা বন্ধুর কাছে/কোলে যেতে না চায় তাহলে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন আর তার এই অনীহার কারন কৌশলে বের করে আনুন।
* শিশুর বয়স তিন/চার হয়ে গেলে তাকে তার শরীর সম্পর্কে জানান। তার যৌনাঙ্গ যেন সে কখনই অন্য কারও সামনে না উন্মুক্ত করে বা ধরতে দেওয়া বা কেউ হাত দিলে সে সম্পর্কে আপনাকে জানায় এই নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবে শিশুকে বুঝান।
* ভালো ছোঁয়া, খারাপ ছোঁয়া সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন।
* তিন-চার-পাঁচ বছরের বাচ্চাদের মনে 'বাবুরা কোত্থেকে আসে?' এই ধরনের প্রশ্নে বিব্রত হবেন না। খুব বেশী ব্যাখ্যা করতে না পারলে সাধারন ভাবেই বলুন যে মায়ের পেটে জরায়ু বলে একটা অঙ্গ আছে, বাইরে থেকে দেখা যায়না, বাবুরা সেখানেই তৈরী হয়, ততোদিন পর্যন্ত যতোদিন না জন্মানোর মতো বড় হচ্ছে। যখন বাবুটা জন্মানোর মতো বড় হয়ে উঠে তখন জরায়ু চাপ দিয়ে মায়ের যৌনাঙ্গ দিয়ে বাচ্চাটাকে পেটের বাইরে বের করে আনে।
* পাঁচ-ছয়-সাত বছরের বাচ্চাদের জন্য ব্যাখ্যাটা আরেকটু বড় হতে পারে। তাদের একটা সাধারন ধারণা দিতে পারেন যে বাবা আর মা মিলেই তাকে তৈরী করেছে। বাবার শরীরে ছোট্ট একটা কোষ যার নাম স্পার্ম সে আর মায়ের শরীরের ছোট্ট একটা কোষ যা হলো এগ তা মিলে মিশে এই ছোট্ট বাবুটা তৈরী হয়েছে।
* সাত-আট-নয়, এই বয়সের বাচ্চাদের ইন্টারকোর্স বা সঙ্গমের প্রাথমিক ধারনা দিন। খুব সামান্য ভাবেই বলতে পারেন যে নারীদেহ আর পুরুষ দেহ প্রকৃতি একটা পাজল পিসের মতো তৈরী করেছে লিঙ্গ আর যোনী পরস্পরের সাথে পাজলের মতো জোড়া লেগে যায় সঙ্গমের সময়। তখন স্পার্ম বাবার লিঙ্গ থেকে বের হয়ে ব্যাঙ্গাচির মতো মায়ের যোনী পার হয়ে জরায়ু পর্যন্ত পৌছে মায়ের এগ এর সাথে মিশে বাবুটাকে তৈরী করে।
* সঙ্গমের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে জানান। আর এর জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি কতোটা জরুরি তাও বুঝিয়ে বলুন। আর তখন তাকে রেপ সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। পরস্পরের সম্মতি না থাকলে কেউ জোর করে অন্যের সাথে সঙ্গম করলে সেটা ধর্ষন আর সেটা একটা অপরাধ, এটা বুঝিয়ে বলুন।
* শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বাংলা নামে কথা বলতে নিজের ভালো না লাগলেও বাংলা ও ইংরেজী দুইটি নামই শিশুকে জানান, নাহলে আশেপাশে উপস্থিত চটি প্রেমিরা তার মাঝে বাংলা শব্দগুলো নিয়ে নোংরা আলোচনার বীজ বপন করতে পারে।
* বয়স ৮-১০ বছর হলে যৌনতা নিয়ে আলোচনা করুন। এই বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা লাগলে তাও নিজেকে প্রস্তুত করুন, কারণ আপনার শিশুর জন্যেই জিনিসগুলো সঠিকভাবে জানা দরকার।
* এসময়েই পিউবার্টি নিয়ে বুঝিয়ে বলুন। তার শরীরে যে পরিবর্তনগুলো আসছে তার ব্যাখ্যা দিন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোমের আধিক্য বেড়ে যাচ্ছে কেন বুঝিয়ে বলুন। মেয়ে বাচ্চা হলে পিরিয়ড সম্পর্কে জানিয়ে দিন যেন সে ভয় না পায়। ছেলে হলে মর্নিং উড আর স্বপ্নদোষের ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিন।
* কোনও নির্যাতনের খবরে, ধর্ষনের খবরগুলোকে সবসময় মনোযোগের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে না দিয়ে বাচ্চার সাথে আলোচনা করুন। তার মানসিক স্বাস্থ্যের গঠন অনেকটাই কিন্তু আপনারই হাতে।

নিচে সেই পাবলিক স্ট্যাটাসের স্ক্রিন শট -

এই খবরটি সম্পূর্ন সত্য নয়, এই স্ট্যাটাসের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জানলাম রেপ নয় সবগুলো নির্যাতনই মলেস্টেশন পর্যন্ত।

আরেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর -

আর গুগোল করে যে খবরগুলো পেলাম নানা অনলাইন পত্রিকায় তার লিঙ্ক -

সময় নিউজ

জয়পরাজয় ডট কম

বাংলা ডট উত্তরানিউজ২৪ ডট কম

জাতির কন্ঠ ডট কম

ক্যাম্পাস লাইভ

প্রাইম নিউজ ডট কম

আপডেট ২

আগামীকাল, মানে শনিবার, ১৬ই মে দুপুর বারোটায় স্কুলের এলামনাইরা প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলতে যাবে। আশেপাশে যারা থাকেন তারা অনুগ্রহ করে সময় বের করে একবার আসুন। আমাদের সবার সামান্য উপস্থিতি হয়তো ঘটনার তদন্তে সাহায্য করবে।
ইভেন্টের লিঙ্ক

আপডেট ৩ -
গতকাল মানে ১৬ই মে সকালে যখন ক্লাসের যাচ্ছি তখন অভিভাবকদের একটা মাঝারি আকারের মিছিল ঘুরে যায় একবার বাসার সামনে থেকে। অপরাধীদের শাস্তির দাবী চেয়ে শ্লোগান দেওয়া অভিভাবকেরা পুরো ইকবাল রোড চক্কর দিয়ে স্কুলে ভিতরে অবস্থা নেয় সকাল সাড়ে আটটার দিকে।

মানববন্ধন ছিলো দুপুর বারোটায়। সেটা মিস করি ক্লাস থেকে বের হতে দেরী করায়। এসে পৌছাই বারোটা দশে। বাসার পাশেই স্কুল বলে আম্মুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে আপডেট নিচ্ছিলাম। বারোটার আগেই আম্মু জানায় কিছু একটা গ্যাঞ্জাম হইসে আর সব মেয়েরা ভিতরে চলে গেছে। মানববন্ধন আর সমাবেশ ছিলো মূলত এলামনাই দের পরিকল্পনা। এলামনাইদের সাথে কথা বলে জানি স্কুলের প্ররোচনায় ছাত্রলীগের কিছু বখাটে এসে মানববন্ধনে ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করছিলো বলে উনারা ভয় পেয়ে স্কুলের ভিতরে চলে এসেছেন।

যেহেতু মেয়েরা ভিতরে তাই আমি স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে দারোয়ান বাধা দেয়। খানিকখন তর্ক করে আমি অন্য একটা গেট দিয়ে ঢুকে পড়ি। ছোটবোন দিঠি ছিলো ভিতরে। ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলো তখন। কথা শেষ করে সব অভিভাবক আর প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা মাঠে অবস্থান নেয়। এরপরে মাঠে ঢুকে দেখি অভিভাবকদের নানা জটলা থেকে নানারকম কথা হচ্ছে। এক অভিভাবক হাত পা নেড়ে নেড়ে বলছেন আরে ভাই বুঝলেন না, ঘি আর আগুন পাশাপাশি রাখলে কি আর হবে! শুনে তার পারমিশন চাইলাম ছবি তোলার জন্য, থতোমতো খেইয়ে উনি জিজ্ঞেস করলেন কেন, বললাম যে যেই বাবা তার মেয়ের বয়সী একজন কে নিয়ে এরকম কুরুচিকর কথা বলেন তার ছবি সবার দেখা দরকার। উনি আমাকে ঠেলে বের হয়ে গেলেন।

একজন ছাত্রীর মুখে শুনলাম ক্লাস নাইনের ছাত্রীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবেনা যদি ওরা মিডিয়ার সামনে আসে, আর কারো চেহারা কোনও চ্যানেলে দেখা গেলেই তাকে টিসি দেওয়া হবে। এগুলো তাদের ক্লাসে ক্লাসে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরেক জায়গায় ততোক্ষনে ভীষণ চেঁচেমেচি শুনে গিয়ে দেখি স্কুল থেকে একজন সবাই এতো উশৃংখল কেন ইত্যাদি নিয়ে মানুষজন তাতাচ্ছেন। ঠেলে ধাক্কিয়ে একেবারে তার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে দুপুর বারোটায় বেলায়েত স্যারের বিবৃতি দেবার কথা উনি কই? উনি বললেন উনি একটু ব্যস্ত আছেন, আসবেন। জিজ্ঞেস করলাম যে তার স্কুলের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে বাচ্চাদের বাবামায়েরা তার কথা শুনার জন্য অপেক্ষা করছেন, উনার কাছে এই মুহুর্তে এর চেয়ে বেশী গুরুত্বের কাজ কি হতে পারে? আশেপাশে থেকে আন্টিরা তখন খেপে গিয়ে চিৎকার করছেন, আমাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন আমি কে, বললাম এখানকার প্রাক্তন স্টুডেন্ট আর আমার বোনের গার্জিয়ান। প্রাক্তন স্টুডেন্ট শুনেই ঐ ভদ্রলোক খেপে গেলেন। মাইক হাতে নিয়ে বলা শুরু করলেন যে আজকাল সবাই ফেসবুকে কিসব লেখে বেরাচ্ছে দেখতেসি। আরে আপনারা আসছেন আজকে। আর আমরা সেই প্রথম দিন থেকে এইখানে আছি, যান যান, আপনারা দূরে সরেন। তখন আশেপাশের আন্টিদের সাথে কথা বলে সবাই মিলে গার্জিয়ানদের মাঝে দ্বিধাবিভক্তি তৈরী করতে না বলতে গেলে উনি কথা ঘুরিয়ে ফেলেন। আর মাইক সরিয়ে নেন। এলামনাইদের একজন যখন মাইক জোর করে নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, তখন আবার উনারা শুরু করেন যে উটকো এই মেয়েগুলো কোত্থেকে এসে ঝামেলা শুরু করেছে! গার্জিয়ান ছাড়া আর কেউ কথা বলতে পারবেনা। তখন আবার ঝগড়াঝাটি শুরু হয়ে গেলে বের হয়ে আসি সেই জটলা থেকে। অনেক গুলো মিডিয়া আর তাদের প্রতিনিধিরা তখন নানাভাবে লাইভ টেলিকাস্ট করে চলেছেন।

আমাদের কয়েকজন সচলের বাচ্চাকাচ্চা পড়ে প্রিপারেটরিতে, তাদের কয়েকজনের সাথে দেখা হয়। বিভিন্ন জটলা ঘুরে ঘুরে তখন আমরা কর্তৃপক্ষের কিছু দালাল আইডেন্টিফাই করতে পারি, যারা নানারকম কথা বলে গার্জিয়ানদের উস্কে দিচ্ছে। রেগে যাওয়া বাবামায়েরা রেক্টরকে খুঁজতে উনার রুমের সামনে গিয়ে জোরে দরজা ধাক্কানো শুরু করে, একপর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। এই কাজটা করা উচিৎ হবেনা এটা বুঝানোর অনেক চেষ্টা করে একসময় হজাল ছেড়ে দিয়ে সরে আসি। এরপরে বেলায়েত স্যার এলে মোটামুটি একটা রাগী মবের মাঝখানে পড়ে যান। উনি কি বলেছেন তা কেউ বুঝেনাই, একটা পর্যায়ে গিয়ে বুঝতে চেষ্টাও আর করেনাই। দালাল ধরনের মানুষগুলো যখন আবার কথা বলা শুরু করে তখন ক্ষিপ্ত গার্জিয়ানরা উনাদের সরিয়ে নিয়ে যান। বেলায়েত স্যারকে তখন রেক্টর জিন্নাতুন্নেসা ম্যাডামকে সামনে আনতে বলা হয়। উনি ফোন করার চেষ্টা করলে পুলিশে ফোন করছেন কিনা এই নিয়ে তর্ক লেগে উনাকে ফোন করতে দেওয়া হয়না। উনি জানান রেক্টর তিনতলায় আছেন, তখন উনাকে নিয়ে সবাই রওনা হয় তিনতলার দিকে। মাঝপথে হঠাৎ ধাক্কাধাক্কি লেগে গেলে জটলা থেকে সরে এসে দূরে দাড়াই। তখন শুনি স্যারের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসটা মেনে নিতে পারিনাই আর এটাকে সাপোর্ট করতে পারছিনা বলে কি করবো বুঝতে না বুঝতেই কিছু আজব মানুষের জটলার মাঝে পড়ি। উনারা এই সামান্য একটা ইস্যুকে কেন এতো বাড়ানো হচ্ছে এইসব বলে অন্যদের সাথে ঝগড়া করছিলেন।

এরপরে পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চার ঘটনা তুলেন এক ভাবী, চারজন মিলে রেপ করসে বাচ্চাটাকে, বাচ্চাটা সিসিইউতে আছে, অবস্থা ভালো না। জিজ্ঞেস করি কোন সেকশন, রোল কতো? নাম বলতে হবে না। কেউ জবাব দিতে পারেনা, কিন্তু সবাই শুনেছেন। আমার বোন বাংলা মিডিয়ামের পঞ্ছম সেকশনে, ও আমাকে জানিয়েছে এরকম কিছু হয়নাই। ও নিশ্চিত। ইংলিশ ভার্সনে জিজ্ঞেস করেও এরকম কোনও বাচ্চাকে আইডেন্টিফাই করতে পারিনাই। এরপরে ভাবীদের জিজ্ঞেস করি যে ৪-৫ জন বাচ্চাটাকে রেপ করলো কখন আর কোথায়? স্কুলে ফাকা রুমতো নেই, বাথরুমে? খালারা কই ছিলো? বাচ্চাটা যদি স্কুলের মধ্যে ক্লাসের সময় বের হয় তাহলে বাথরুম যাবার জন্যেই বের হবার কথা, তাহলে একটা বাচ্চা ২০-২৫ মিনিট ধরে ক্লাসে নাই, শিক্ষিকা নোটিস করবেন না? তখন সবাই চিন্তিত হয়ে গেছেন। তখন সবাই মিলে আলোচনা করে বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা গুজব/বানোয়াট। ঝামেলা আরও বাড়াতে এইটা তৈরী করা হয়েছে।

পুরো জিনিস ততোক্ষনে অনেকভাবে পেঁচিয়ে গেছে। ইভেন্ট যারা হোস্ট করেছিলেন তাদের ছাপিয়ে একজন এসে কর্মসূচী পরিবর্তন করে মিডিয়ার সামনে অনেক কিছু বলে গার্জিয়ানদের মাঝে বিভক্তি তৈরী করে ফেলেছে। স্যারকে রুমে বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো, পুলিশ আসলো, একগাদা ছেলে স্কুলে ঢুকলো, তারপরে দেখি চিৎকার চেঁচামেচি আর ঝগড়া হচ্ছে অনেক। প্রায় তিনটা বাজে তখন, অনেক গার্জিয়ানের বক্তৃতা চলছে তখন, আর শিক্ষকদের প্রেস ব্রিফিং। খানিকক্ষন দেখে সোয়া তিনটার দিকে বের হয়ে আসি স্কুল থেকে।

আজ থেকে স্কুল বন্ধ। রেক্টরকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ক্যান্টিন বয় গোপাল্কে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। তিন দিনের সময় সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এর মধ্যে কিছু একটা হবে।

চারপাশে দেখে শুনে এই পোস্টটার কথা বার্তা বিশ্বাসযোগ্য লাগছে।


Comments

শেহাব's picture

শুরু করার জন্য ধন্যবাদ!

দুষ্ট বালিকা's picture

ভাই, শুধু শুরু না। এটা নিয়ে ফলপ্রসূ কি করা যায় তা নিয়ে একটু সাহায্য করবেন প্লিজ?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তানিম এহসান's picture

এই দেশে এখন নানানরকম সমাজ, শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক সমাজ, আইনজীবী সমাজ, সুশীল সমাজ ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিটি সমাজ তার সমাজ ভুক্ত প্রতিটি মানুষের যে কোন ধরনের অন্যায় ধামাচাপা দিতে তৎপর, পাছে সবার শরীরে কালি লাগে-- মানুষের বেহায়াপনা তুলনা করার জন্য পশুজগতে-ও আর কেউ নেই।

আমি এইটা জায়গামত শেয়ার করবো, দেখি কিছু হয় কিনা। বিদ্যালয়ের ভেতর যদি এই ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটে থাকে আর এই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা --- ঘৃণা!

দুষ্ট বালিকা's picture

আজকে বাড়ি ফিরে আরও ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবো, আম্মুকে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম, কেউ কিছু বলতে চায়নাই। জাবির নারী নির্যাতন প্রতিরোধ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সাথে যোগাযোগ করচি। দেখি কি হয়।

অনেকে মানব বন্ধনের কথা বলছেন। মানব বন্ধন-শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপরে আর তেমন বিশ্বাস নেই। এছাড়া আর কিভাবে এগোনো যায় জানাবেন প্লিজ!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তানিম এহসান's picture

ফেসবুক, টুইটার আছে।

দুষ্ট বালিকা's picture

লেখা আপডেট করলাম।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

খবর দেখি সময় টিভি ছাড়া আর কোন প্রথম সারির মিডিয়াতে আসেনি। পঞ্চম শ্রেণীর মেয়েটির মারা যাবার তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারবে? যদি মারা যাবার ব্যাপার হয়ে থাকে তাহলে তো হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে এবং এটা নিয়ে দিল্লীর মতো ব্যাপক আন্দোলন করতে হবে।

কেউ দেখি অপরাধীদের নাম, পদবী বলে না। এগুলো জানার চেষ্টা করো। অপরাধীদের নাম ও ছবি মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়া উচিত। অপরাধীদেরকে যারা বাঁচানোর চেষ্টা করছে তাদের নাম ও ছবিও মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়া উচিত।

লেখাতে হয়তো, সম্ভবত, মনে হয় জাতীয় কোন কিছু না রেখে যত বেশি পারো তথ্য যোগ করো। যারা স্কুলের কাছে থাকেন, যাদের পরিবারের মেয়ে এখন ঐ স্কুলে পড়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ঘটনাপ্রবাহ আর অপরাধীদের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুষ্ট বালিকা's picture

আম্মুকে পাঠিয়েছিলাম স্কুলে। কেউ কথা বলতে রাজী না। স্কুলে রোজকার মতোই ক্লাস হয়েছে। বাসায় ফিরে বোনের সাথে কথা বলে খবর নিশ্ছিত করবো। আর মনে হয় লিখতে বাধ্য হয়েছি কারণ কোনও নিশ্চিত খবর পাচ্ছিনা ভাইয়া! আর এই একজন ছাড়া মেয়েটা মারা গেছে কিনা সেটাও কেউ বলতে পারছেনা!

আরও ভালো করে জেনে লেখা আপডেট করবো!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

মেয়েদের স্কুলের কর্তৃপক্ষ যদি মধুতত্ত্ব দেয়, তাইলে আর কিছু বলার নাই।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দুষ্ট বালিকা's picture

আসলেই। মন খারাপ বাচ্চাদের এক্সক্লুসিভলি মেয়েদের স্কুলে দিয়েও শেষরক্ষা হয়না এখন!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

ভাবা যায় না ব্যাপারগুলো। একটা ভয়াবহ অপরাধ ঘটে যাবার পর ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টা আমি বুঝতেই পারি না। সব অপরাধের বিষয়েই এইরকম ডিনায়ালে চলে যাচ্ছি কেন আমরা, কে জানে! অপরাধ্মুক্ট সমাজ গঠন করা সম্ভব না হয়ত। কিন্তু একটা অপরাধ হবার পর সবাই মিলে সেটাকে অস্বীকার করার ব্যাপারটা কেন? একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সে তো আর ভোটে দাঁড়াবে না যে সে ফাইন লাইনে দাঁড়ায় আছে। আমি ডিনায়ালের ব্যাপারটা আমার মাথায় ঢোকে না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দুষ্ট বালিকা's picture

এই ডিনায়াল জিনিসটা আসলে নিজের চেয়ার পরিস্কার রাখতে। আর এই বিষয়ে ডিনায়াল পরিবারেই হয়! আমার সাথেও হয়েছে, আর স্কুল তো অনেক দূরের ব্যাপার!

তার আমলে এইরকম ঘটনা তার রেপুটেশন নষ্ট করবে এমনটা ভাবা হতে পারে।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তারেক অণু's picture

শনিবার ঘেরাও হবার কর্মসূচী আছে বলে শুনেছিলাম?

দুষ্ট বালিকা's picture

না, ঘেরাও না। এলামনাইরা কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে যাবে। কোনও বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেই এখনও পর্যন্ত।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ's picture

ছবিতে "তালিকা" টিক চিহ্ন তুলে দিলে দু'দুবার করে দেখাবে না।

দুষ্ট বালিকা's picture

ধন্যবাদ ভাইয়া! তুলে দিচ্ছি! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আয়নামতি's picture

বিষয়টা এখন কোন পর্যায়ে আছে?
আপনারা এ ব্যাপারে কি করতে চাচ্ছেন বা করবেন বলে ঠিক করলেন?

দুষ্ট বালিকা's picture

আগামীকাল এলামনাইরা স্কুলে যাবে। প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে কথা বলতে। এতো বেশী গুজব ছড়াচ্ছে ব্যাপারটা নিয়ে যে সব কিছু গ্যাঞ্জাম লেগে যেতে বাধ্য।

কাল গিয়ে আগামীর কর্ম পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। কাল আপডেট করবো।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ's picture

বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে বলার ব্যাপারে একটা ইন্টারেস্টিং ভিডিও দেখেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা's picture

সুন্দর ভিডিও ভিরু! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সুবোধ অবোধ's picture

কর্মসূচির আপডেট জানিয়েন এখানে। চেষ্টা করব উপস্থিত থাকার। ব্যাপারগুলো সহ্যের বাইরে চলে গেছে।

দুষ্ট বালিকা's picture

অসহ্য বোধ হওয়ায় আমি সোয়া তিনটার দিকে চলে এসেছি। আমি জেনে তথ্য দিচ্ছি।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নীড় সন্ধানী's picture

Quote:
স্কুলের রেক্টর অভিভাবকদের বলেছেন, "যেখানে মধু থাকবে সেখানে ভ্রমর আসবেই।"

কী সাংঘাতিক!!!!! এই কথাটা যদি সত্যি হয়, তার মতো ভয়ংকর কিছু হতে পারে না। এই রেক্টরের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া উচিত। খুব বেশী না হলেও কষে একটা লাথি!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দুষ্ট বালিকা's picture

রেক্টরকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। উনার অবসরে যাবার সময় কাছিয়ে এসেছে, দেখা যাবে উনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

হাসিব's picture
দুষ্ট বালিকা's picture

আপডেট করছি হাসীব্বাই। একটু একটু করে।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আয়নামতি's picture

এত গ্যাঞ্জম হলে সমস্যার সমাধান কেম্নে হবে রে! ইয়ে, মানে...

দুষ্ট বালিকা's picture

জানিনা। মন খারাপ

গতকাল স্কুলে গিয়ে খুবই খারাপ লেগেছে! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

আমার বন্ধু ওই স্কুলের শিক্ষক। ওর সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো কাল। স্কুলের ভিতরে নাকি চরম কড়াকড়ি, এমনকী সব শিক্ষককে পর্যন্ত ঘটনার আপডেট দেয়া বারণ। গোপাল নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শুনলাম ওর কাছ থেকে, গোপালের নামটাও ওরা কালকে মাত্র শুনেছে। আর পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চাটার ঘটনা বানোয়াট হওয়ার কথা সে-ও বলল।

দেবদ্যুতি

দুষ্ট বালিকা's picture

স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হছে, গোপাল পালিয়ে গেলে এর জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ! আমি বুঝতে পারছিনা যে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর জন্য তাদের এতো কেন প্রেম!

স্কুলের টিচারেরা ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে বয়ান দিচ্ছে শুনলাম আমার বোনের কাছে! আমাদের এতো গর্বের-ভালোবাসার স্কুল, তা এই আস্তাকুঁড়ে পরিণত হবে কে জানতো! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ফাহিম হাসান's picture

বিভিন্ন রকমের কথা-বার্তা চারিদিকে। ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করা মুশকিল। ফেইসবুকে দেখলাম আন্দোলনরত অভিভাবক ও ছেলেমেয়েরাও সঠিক জানে না বর্তমান অবস্থা কী। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ক্লাস ফাইভ ও ক্লাস ওয়ানের দুইজন মেয়েকে ধর্ষণ/ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। একজনের মারা যাওয়ার ঘটনা শুনলাম, পরে দেখলাম তাও সত্যি না।

স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য একেকবার একেকরকম! মন খারাপ

শিশুদের নিরাপদে রাখার অংশটুকু ছড়িয়ে দিচ্ছি ফেইসবুকে, এই ব্যাপারে সচতনতা বাড়ানো জরুরী।

দুষ্ট বালিকা's picture

প্রথম যে স্ট্যাটাসটা দেখেছি, যেটার ছবি দেওয়া আছে উপরে সেটা সম্পূর্নভাবে ঘটনাতে প্যাঁচ লাগানোর জন্য তৈরী করা! স্পর্শকাতরতা বাড়াতে শুরুতেই ক্যাপস লকে রেপ দিয়ে শুরু করেছে যেন সবাই একবার পড়ে দেখে। মজার ব্যাপার হলো এই মেয়ের সাথে অনেক ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নাই, পরিচিত কোনও ব্যাচের কেউ তাকে চিনেনা, ইভেন্টেও তার কোনও সাড়াশব্দ নেই।

তবে ইভেন্টের দিনে যা বুঝেছি তা হলো রেক্টরের নানা আজেবাজে কথায়/ব্যবহারে আর স্কুলের বিভিন্ন অসঙ্গতিতে অভিভাবকেরা অনেক দিন ধরেই খুব ক্ষুদ্ধ ছিলেন, সেই চাপা আগুনে এবার কেবল ঘি পড়েছে!

শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য সচেতনতার ব্যাপারগুলো নিয়ে অনেকদিন ধরে পড়াশুনা করছি। এই অংশটা আলাদা করে আরেকটি ব্লগ পোস্ট করবো নাকি ভাবছি, কিন্তু সেটা আবার কোনও আইনের আওতায় এসে ঘ্যাচাং হবে নাকি তা আগে জেনে নেই।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.