আমাদের গল্প (১ম পর্ব)

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Sun, 13/04/2014 - 10:35pm
Categories:

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বেদনাদায়ক ইতিহাস আছে । আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । বাংলার ইতিহাস সুপ্রাচীন । বাঙালির অতীতগাথা অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আমাদের ভাষারীতি উঁচুমানের । বাঙালির আরও আছে শিল্পকলা আর সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা । তবুও আমাদের একটি বড় অপ্রাপ্তি ছিল, স্বাধীনতা নামক এক মুকুটমণির অভাব ছিল । প্রায় দু’শ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙলা তথা ভারতমাতা বৃটিশদের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে । মানচিত্রে বাঙলা দেশের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ । একদা সম্পদশালী উপমহাদেশের পূর্ব কোণে এর অবস্থান । দক্ষিণে আছে এক সাগর, নাম তার বঙ্গোপসাগর । ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, সম্পদের প্রাচুর্য, সুগঠিত সংস্কৃতি ইত্যাদি পাশ্চাত্যের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত করে বাঙলাকে । ভারতের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট পশ্চিমিরা এর ওষ্ঠ বাঙলাকে চুমেই ক্ষান্ত থাকেনি, নজর দিয়েছে উপমহাদেশ নামক এক সুলোচনার সর্বাঙ্গে । অপরাধের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, আবার বিচার ব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করেছে । যে ভাষা-সংস্কৃতি আমাদের সভ্যতার মুক্তমণি তাকে তাড়িয়ে বিজাতীয় কৃষ্টির প্রচলন ঘটাবার চেষ্টা করেছে । তাদের উন্নত জীবন প্রণালি গ্রহণে আপত্তির কিছু ছিলনা, কিন্তু বিপদ ঘটেছে যখন এসবের মাধ্যমে বিভক্তি সৃষ্টিতে মত্ত হয়েছে । একসময় মহতী ভারতমাতার সন্তানেরা নানা ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে দেশমাতাকে শোষকের হাত থেকে নিবৃত্ত করেছে । ভক্ত সন্তানের চেষ্টায় ১৯৪৭ সালে মুক্তি লাভ করেছে উপমহাদেশ । তারা দেশের বুকে নতুন সূর্যের উদয়ে অমিত সম্ভাবনার হাতছানি দেখেছে । তবে মহা-অশ্বথকে অঙ্গহানি থেকে রক্ষা করতে পারেনি, সে না হয় হল, তাতে আপত্তির কিছু নেই বরং ভালোই হয়েছে, যা হবার তাই হয়েছে । রাষ্ট্র তো বৃক্ষরূপ, এর অঙ্গজ প্রজনন ঘটে । বাঙলার ঠিকই মাথা গড়ে উঠবে, হৃৎপিণ্ড সৃষ্টি হবে, ওর বুকে প্রাণ সঞ্চার করবে নিজ সন্তানেরা-বাসিন্দা মানুষেরা । কিন্তু ঘটলো এক হাস্যকর ঘটনা । ’৪৭ এর দেশ ভাগ বাঙলার সন্তানদের নিজ মাতাকে নিজ হাতে সেবা-শুশ্রূষা করার অধিকার কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয় পর সন্তানের হাতে । নবদুর্ভাগ্যের সুচনা তার ! বিভুঁইয়ানের দল তার ভাষা কেড়ে নিতে চাইল । শুরু হল নির্যাতনের প্রথম ধাপ, তবে তারা ধোপে টিকলো না । প্রেমী-ভক্ত সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে মায়ের ভাষা রক্ষিত হল। তাতে কি হয়েছে ? ভাষা তো মূল লক্ষ্য নয় ! চাতকের দৃষ্টি-স্বপ্ন বাঙলার সম্পদপানে । এদিকে ভক্ত সন্তান কি তা সহ্য করে ? হাজার বছরের ঐতিহ্য, অর্জিত সম্পদ কি বিনালড়াইয়ে হাতছাড়া করে কেউ ? শুরু হল এক স্বপ্নকে বর্তমান করার সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম,‌ প্রকৃত মুক্তির সংগ্রাম । বাংলার সব অপত্যই যে সুসন্তান এমন তো নয় ! বজ্জাতগুলো নিজ ভাই-ভূমি রেখে দূরাত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক গড়লো । দ্বি-শতক ধরে বন্দি মা প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়ার সুযোগের আগেই লক্ষ্য করল নিজ সন্তানদের মাঝে হানাহানি, দেখল লক্ষী-শান্ত খোকাদের ঠকাতে যাবতীয় কূটকৌশলের সমাবেশ । পরের সাথে লড়া যায়, ঘরের শত্রুর সাথে তা বড্ড কঠিন হয়ে যায় । কারণ সে জানে কোথায় কি আছে, বাড়ির লোকের সবল দিক কিংবা দূর্বলতা । প্রায় ২৪ বছর হয়ে গেল, আত্মীয়-অনাত্মীয়ের দ্বিমুখী আক্রমণে বাঙলার অবস্থা মরণাপন্ন, বাঁচতে হলে গা ঝাড়া দিয়ে উঠতেই হবে নইলে বিনাশ অবশ্যম্ভাবী । তবুও শেষ চেষ্টা যদি বিনা রক্তে কিছু হয় ! হল না, কিন্তু এভাবে আর কতদিন ? শুরু হয় লড়াই, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে দেশমাতার পূজারিরা ৯ মাস লড়াই করে মুক্ত করে প্রিয় জন্মনক্ষত্রকে । অনেক মূল্যের বিনিময়ে, মেধার বিনিময়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে লব্ধ হল স্বাধীনতার পুণ্যপীযুষ । মায়ের অন্তর ভালবাসাময়, সে ভেবেছিল যা হয়েছে তা অতীত, না হয় ওরা একটু ‘এড়ো’ ধরণের, একসময় বুঝবে, ভালো হয়ে যাবে । হায় (!), কল্পনা আর যাই হোক বাস্তব তো নয়, তাছাড়া ভালোবাসাকে অনুভব করার ক্ষমতা ক’জনের থাকে ? যুক্তিতে ভ্রান্তি ছিল, দুষ্ট প্রজাতির সূক্ষ্ম হুলের কামড়ে বিষাক্ত মাতালপ্রায় জ্ঞাতিভাইদের দূরভিসন্ধি ছিল । অনাকাঙ্ক্ষিত-অপ্রাপ্য ক্ষমা পেয়েও বজ্জাতগুলো বুঝল না, মায়ের মায়াকে দুর্বলতা ভেবে পরের মা’কে আপন করল, ঠিক আপন নয় আপন করার ভান করল । ন’মাসের যজ্ঞে ওদের তুষ্টি মেলেনি, ওরা এ মুক্তি মানেনা তাই আবার ফিরিয়ে আনতে চায় তাদের প্রেতাত্মাবঁধুদের (বন্ধু) । সার কথা হল ওরা লোভী, ভালোবাসার আবেদন তাদের মনে কাটেনা, অর্থ আর ক্ষমতা ওদের মোক্ষ আর এজন্য নিজ মাতার সুস্থ্যতা বিনষ্ট করতে- দেশীয় আচারকে ধ্বংস করতে, ইচ্ছাপ্রণোদিতভাবে আক্রান্ত করতে তাদের বাধে না, বঙ্গমাতার বুকে ক্ষত সৃষ্টি করতে লজ্জাবোধ হয়না, বাধেনা মাতৃভক্ত বুদ্ধ সহোদরের প্রাণ নিতে । হায় কপাল, হত্যা যে মহাপাপ ! পরমেশ্বরের এ বাণীকে অগ্রাহ্য করে পরাশ্রয়ীরা বজ্জাতির সীমা ছাড়িয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকে ধ্যান-জ্ঞান করেছে, নিত্য নতুন উপায়ে করছে । যাবতীয় উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে গায়ে চাপিয়েছে এক শ্বেত-শুভ্র লেবাস । মুখে তাদের সর্বশক্তিমান প্রেরিত মহান জীবনাদর্শকে বাস্তবায়ন করার শব্দ স্বরিত, ঐহিক ও পারত্রিক জীবনে শান্তির সুবাতাস লাভের পথ দেখানোর অমোঘ বাণী । আহাদের জগত প্রেমময়-পবিত্র, অথচ পবিত্র এ অনুভূতিকে তারা বাজারের পণ্য করছে, করছে তার অশালীন বিপণনে মোক্ষ লাভের চেষ্টা-ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা, অর্থ উপার্জনের চেষ্টা । আবার ঢাল করেছে মহান শক্তি সৃজিত সুশোভিত ফুলের মালা ছিড়ে তার সুতো দিয়ে গড়া দড়ির বর্মকে । কপাল (!), এত কিছুতেও রক্ষা মেলে না । শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না এ প্রবাদ তো মিথ্যা নয় ! ওরা ভুলে গেছে বাংলাদেশের মানুষেরও ধড়ের উপর মস্তক স্থাপিত আছে, আর তা অচল না । জাতির বিবেকাত্মা মূক-বধির নয় । আমাদের আজ সুদিন যে, পাপের দায়ে আইন-আদালত আজ ধড়িবাজদের ঘর-বাহির । পরের স্বার্থে স্বজাতিকে অপমান করার দায়ে, আত্মীয়কে হত্যা করার দায়ে, ভগিনী নির্যাতনের দায়ে, বাঙলা মায়ের বুকে সন্ত্রাস করার দায়ে আজ সহোদরের হাতে প্রাণ ত্যাগ করতে হচ্ছে, অবশ্য সহোদর কি করে বলি (?), ওরা তো পরভৃত্য-বজ্জাত-বরাহ বরাঙ্গ ! তবুও কি ওরা থামে, ওরা যে কেউটে; মরণ কামড় দেওয়া ওদের স্বভাব । তাই বলি- ‘তুই ঘৃণ্য, তুই রাজাকার’।

কায়সুল খান অনাবিল

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


Comments

অতিথি লেখক's picture

লেখার বিষয় বস্তু আগ্রহ উদ্দীপক কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে তাল কেটে গেছে। ৪৭ থেকে ৭১ এ চলে এলেন এত সংক্ষেপে যে ইতিহাসের অজ্ঞ কারো পক্ষে কিছুই বোঝা সম্ভব নহে। যদি ইংরেজ আমল থেকে শুরু করে ভারতবর্ষ ভাগ এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সব কিছুই লেখতে চান, তবে আরো বিস্তারিত আকারে ঘটনার পর ঘটনা লেখতে হবে। ফলে পাঠক ধারাবাহিক ভাবে ইতিহাস টাকে জানতে পারবে।

লেখাগুলোকে এমন এক প্যারায় না লেখে, কয়েক টা ভাগে লেখেন। একটানা লেখলে পড়তে ক্লান্তি লাগে। লেখা চলুক, শুভেচ্ছা হাসি

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক's picture

সময় করে পড়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ । লেখাটা একটু কঠিন হয়ে গিয়েছে সত্য তাছাড়া ইতিহাসের বর্ণনায় ধারাবাহিকতা নেই তা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই কিন্তু আমি আশা করে নিয়েছি বাঙালির এই সামান্য অতীত পাঠক মাত্রই জানেন, তাই আর নতুন করে বলবার দরকার বোধ করিনি । তবে ভবিষ্যতে কথাটি বিবেচনা করব । সব পাঠকের জন্য আরামদায়ক হয় তেমনভাবেই লেখার চেষ্টা থাকবে । ভালো থাকুন । নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন ।

কায়সুল খান অনাবিল

মেঘলা মানুষ's picture

বাহ, অর্থনীতির লোক হয়েও আপনি তো বাংলা চমৎকার লেখেন।

Quote:
তবুও কি ওরা থামে, ওরা যে কেউটে; মরণ কামড় দেওয়া ওদের স্বভাব । তাই বলি- ‘তুই ঘৃণ্য, তুই রাজাকার’।

-খুব ভালো লাগলো এই এই পর্বের সমাপ্তির লাইনগুলো হাততালি

এবার একটু অন্য কথা:

প্যারা গুলো আলাদা করে লিখলে চোখের জন্য আরামদায়ক হয়। লেখার পর প্রিভিউ দেখে নিন।

আরেকটা জিনিস, এটা যদি 'গল্প' হয়ে থাকে, তাহলে আরেকটু সহজ ভাষায় লিখলে আমার মত সাধারণ পাঠকদের পড়তে আরেকটু ভালো লাগত। আপনার লেখা গল্প তাই অনেক জায়গাতেই প্রবন্ধের মত লেগেছে।

Quote:
দেশমাতার পূজারিরা ৯ মাস লড়াই করে মুক্ত করে প্রিয় জন্মনক্ষত্রকে । অনেক মূল্যের বিনিময়ে, মেধার বিনিময়ে, সম্ভ্রমের বিনিময়ে লব্ধ হল স্বাধীনতার পুণ্যপীযুষ ।

- লাইনগুলো অনেক অনেক সুন্দর :)। কিন্তু, এরকম অনেকগুলো লাইন পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বাংলা সাহিত্যের পরীক্ষার উত্তর। ইয়ে, মানে...

পাঠক হিসেবেই বললাম, সাহিত্যবিশারদ হিসাবে নয় (সে যোগ্যতাও নেই)। খালি বলতে চাইছিলাম, সহজতর ভাষায় লিখলে আম পাঠকের হৃদয়ের কাছাকাছি বেশি পৌঁছানো যায়। (আমি নিজেও অনেক সময় সহজ ভাষায় বলতে পারি না -আমারও দুর্বলতা আছে) হিমু সাহেবের লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন, তিনিও কঠিন কঠিন শব্দ টেনে আনেন বটে, কিন্তু তারপরও লেখা বাক্যগুলো সহজপাঠ্য + সহজপাচ্য থাকে।

আরেকটা পোস্টেও এই ধরণের একটা মন্তব্য করে এসেছি, নিজেরই খারাপ লাগে এরকমভাবে বলতে যেখানে আমি নিজেই লেখালেখিতে আনাড়ি। আবার ভাবি, আমরা পাঠকরা যদি প্রতিক্রিয়া না জানাই, তাহলে লেখকরাইবা 'ফিডব্যাক' কোথা থেকে পাবেন?

আশা রাখছি কিছু মনে করেন নি, আপনার থেকে চমৎকার একটা পরের পর্ব আশা করছি।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক's picture

লেখাটা প্যারা করে লিখলে পাঠকের চোঁখের জন্য আনন্দদায়ক হয় । আসলে আমি প্যারা করেই লিখেছিলাম । সত্য বলতে কি ফেসবুকে নোট আকারে প্রকাশ করেছি যার দ্বরুন প্যারা নষ্ট হয়ে গিয়েছে । আলস্য বশত ওয়ার্ড ফাইল থেকে কপি না করে ফেসবুক থেকেই লেখাটা প্রকাশ করেছি । তাছাড়া লেখাটি এক বছর আগের । সচলের মত সাইটে মূলত পরীক্ষামূলকভাবে লেখাটি দিয়েছি । প্রকাশিত হওয়ার পর নিজের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি পেল, ভবিষ্যতে পাঠকের জন্য সহজবোধ্য ভাষা ব্যবহারে সচেষ্ট থাকব বলে কথা দিচ্ছি ।

অনেক সময় নিয়ে লেখাটি পড়েছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আমি ক্ষুদ্র মানুষ, অর্থনীতির মত কাঠখোট্টা বিষয় নিয়ে পড়াশোনার মাঝে নিজেকে একটু হালকা করা কিংবা শখের বশে লিখে থাকি । আমার ভাষা হয়তো একটু কঠিন কিন্তু ছোটবেলা থেকেই কঠিন ভাষার বই নিয়ে নাড়াচাড়ায় অভ্যস্ত হওয়ায় ব্যাপারটি আমি অনুধাবন করতে পারি না । আমার কাছে সড়গড়ই মনে হয় ।

সবশেষ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । হয়তো খুব শীঘ্রই নতুন কোন লেখা নিয়ে আবার হাজির হয়ে যাব হাসি

কায়সুল খান অনাবিল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

আপনার ভাষার কারিকুরি নজর কেড়েছে। কিন্তু লেখাটা কেমন যেন অগোছাল মনে হলো। লেখাটার মূল বক্তব্য কি সেটাই ধরতে পারলাম না! হয়তো আমারই ব্যর্থতা।

আরো লিখুন। ভাষার ব্যবহার পরিশীলিত হলে পাঠকের উপর চাপ কমবে।

____________________________

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ । আপনার বক্তব্যকে সম্মান করার চেষ্টা করব । শুভ নববর্ষ হাসি

কায়সুল খান অনাবিল

হাসিব's picture

Quote:
অপরাধের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, আবার বিচার ব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করেছে । যে ভাষা-সংস্কৃতি আমাদের সভ্যতার মুক্তমণি তাকে তাড়িয়ে বিজাতীয় কৃষ্টির প্রচলন ঘটাবার চেষ্টা করেছে ।

অপরাধের রাজত্বের জন্য কি ইংরেজরা এককভাবে দায়ি? একই প্রশ্ন বিজাতীয় কৃষ্টি বিষয়ে।

অতিথি লেখক's picture

প্রায় ২০০ বছর শাসন করেছে ইংরেজরা, আমাদের উন্নত সভ্যতার সাথে পরিচয় করানোর পাশাপাশি বিজাতীয় কৃষ্টির প্রচলন ও অপরাধের রাজত্ব কায়েমের দায়িত্ব তাদের উপর পড়েই । লেখাটি ধারাবাহিক, এখানে মূলত ব্রিটিশদের নিয়েই লেখা হয়েছে । ১৯৪৭ পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইল । ধন্যবাদ হাসি

কায়সুল খান অনাবিল

হাসিব's picture

ঐতিহাসিকভাবে এই তথ্য সঠিক না যে বৃটিশরাই বিজাতীয় কৃষ্টির প্রচলন করেছে ও অপরাধের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমাদের দেশ বহু আগে থেকে মোঘলদের শাসনাধিন ছিলো। সিরাজউদ্দৌলা নিয়মমাফিক উপঢৌকন না পাঠিয়ে গোয়ারের মতো সিংহাসন আকড়ে ধরে রাখলেও তারা আমাদের ভাষায় পর্যন্ত কথা বলতো না। লেখা তো দুরের কথা। পোষাক আশাক খাবার দাবার বহু কিছুই আমাদের মধ্যে আছে যেগুলো মোগলদের মারফত আমাদের কাছে এসেছে। বৃটিশদের প্রবর্তিত অনেক কিছুর পাশাপাশি সেগুলোও বিজাতীয় কৃষ্টি। আর বৃটিশদের আগেও এ অঞ্চলে অপারাধের রাজত্ব ছিলো আইনের শাসন বেশীরভাগ জায়গায় পৌছাতো না।

এক লহমা's picture

সহমত। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক's picture

চলুক সহমত

আধুনিক স্বাদেশিক বোধ ও স্বাজাতিক চেতনা নিয়ে মুঘল সুবাদার অবাঙালি সিরাজউদ্দৌলাকে জাতীয় বীর ও বাঙলার স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে গ্রহণ করলে ইতিহাসের তথ্য ও মর্যদা লঙ্ঘন করাই হবে।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক's picture

বৃটিশরা এদেশে ভাল কিছুর পাশাপাশি, মন্দ অনেক কিছুই নিয়ে এসেছে একথা তো স্বীকার না করে উপায় নেই । নবাবের আমলে আইনের শাসন ছিলনা সত্য, কিন্তু শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে ছিল এটা স্বস্তির বিষ্য ছিল কিনা হাসি

কায়সুল খান অনাবিল

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

অনেক অনেক লিখুন। নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিন। হাসি

অতিথি লেখক's picture

আমাদের গল্প নামে প্রকাশিত দেশচিন্তা বিষয়ক আমার লেখা ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হল সচলায়তনে । বন্ধুদের পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি ।

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/52010

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.