দৈনতা

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Fri, 05/11/2010 - 8:40pm
Categories:

দৈনতা
মো: সহিদুর রহমান সুমন (কীরণ)

জ্ঞানী বোঝে জ্ঞানের কদর, মানী মানীর মান,
মূর্খ কি আর তফাৎ বোঝে, ভাবে সব সমান।
সহজ কথা সহজ করে বুঝতে ক’জন পারে?
সহজ জিনিস পেঁচিয়ে তারা শুধুই জটিল করে।
জটিল বিষয় সহজ করার সাধ্য আছে কার?
উদরে বিদ্যা মাথায় বুদ্ধি সাধনার দরকার।
প্রশ্ন কঠিন জবাব সহজ “আমি জানি না”,
তাল গাছটা না পেলে বিচার মানি না।
সাধ্য হয়নি নিজেকে জানার তর্ক করা চাই,
ভরার চেয়ে খালি কলস বাজে বেশী বুঝি তাই।
গুরুর চেয়ে শিষ্য যদি হামেশাই বেশী জানে,
শিষ্য কি আর সেই গুরুকে বেশী দিন ধরে মানে?
কর্তা যখন কর্ম ফেলে ফাঁকি দিয়ে যায়,
সময়ের কাজ অসময়ে হলে কর্মীর যত দায়।
পানির ধর্ম বাধা না পেলে নিচেতে গড়ায়,
পুকুর চুরি ধরতে নারি গরীবের প্রাণ যায়।
অপরের কাঁধে দায় চাপাতে সবারই ভালো লাগে.
আপনার কাঁধে চাপলে সে দায় বুদ্ধি হত রাগে।
নিজের দোষটা কেউ দেখেনা অন্যের খুত বাছে,
বাড়িয়ে গলা চালুনি বলে সূঁচের ছিদ্র পাছে।
মেঘ না চাইতে বৃষ্টি এলে মূল্য থাকেনা তার,
পরের ধনে ধনী হতে তবু সাধ জাগেনা কার?
খ্যতির বেলায় নিজেই নিজের ঘোষিত কর্নধার,
অপূরনীয় সাধের বেলায় যত দোষ বিধাতার।
কড়ি ফেলে তেল মাখতে নারাজ শুধু চাই ফাও ফাও,
যতই দেবে ততই নেবে ফুড়াবেনা দাও দাও।
পরের ঘরনী বড় রূপবতী নিজের অতটা নয়,
চরিত্র পবিত্র সকলেরই শুধু মাঝে মাঝে লোভ হয়।

আপন স্বার্থ সকলে বোঝে বুঝে নেয় ষোল আনা,
একই বিচার অপরের বেলা করতে শুধু মানা।
উলু বনে মুক্তো ছড়িয়ে কি লাভ হবে আর,
লজ্জাহীনের কাছে মূল্য আছে কি লজ্জার?
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে গেলেও দোষ,
পড়শী স্বজন, অচেনা যে জন সকলেই নাখোশ।
নন্দ ঘোষের দোষের অভাব ছিলনা কোন কালে,
কি আর হবে তার সাথে আর দু চারটা যোগ হলে।


Comments

মূলত পাঠক's picture

নামকরণেই ভুল থাকলে দেখে খারাপ লাগে: হয় লিখুন দৈন্য বা দীনতা। দৈনতাটা কী জিনিস? বিশেষণের বিশেষণ?

অতিথি লেখক's picture

ইংরেজীর ছাত্র বিধায় বাংলা কম পারি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ইংরেজী পড়েছি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বরার জন্য।

মূলত পাঠক's picture

আপনি ইংরেজীর ছাত্র, সম্ভবতঃ সাহিত্যের, হয়ে বাংলা না পারলে আমরা বিজ্ঞানের ছাত্ররা তো বাংলা ইংরেজি কোনোটাই পারবো না। তাহলে কি এবার সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে আমরা লেখালেখি করবো?

বাংলায় লিখতে গেলে বাংলা জানতে হবে। আর ছড়া লিখতে গেলে ছন্দ। ভুল হবে না এমনটা নয়, কিন্তু ঠিক করার ইচ্ছে আর চেষ্টাটা থাকলেই হল। পাঠকের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি সেই সংশোধনের পথে বাধাস্বরূপ। তার চেয়ে সমালোচনা চলুক না বরং, আপনিও ওদিকে রেগেমেগে একেবারে নির্ভুল কী করে লেখা যায় সেই চেষ্টায় ব্যপ্ত হয়ে যান।

স্নিগ্ধা's picture

Quote:
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ইংরেজী পড়েছি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বরার জন্য।

এ কথাটার মানে কী?! আসলেই জানতে চাচ্ছি।

হরফ's picture

"আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ইংরেজী পড়েছি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বরার জন্য।" আপনার কনফিডেন্স দেখে আমি ভয়ানক চমৎকৃত হলাম।

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

স্পর্শ's picture

ইংরেজী ছাত্র মানে ইংরেজী মিডিয়ামের ছাত্র বোঝাচ্ছেন বোধ হয়।

Quote:
"আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ইংরেজী পড়েছি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বরার জন্য।"

বিশ্বাস অটুট থাক।
তবে, বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ করতে হলে বাংলাসাহিত্যও চর্চা করতে হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ's picture

আচ্ছা গীতিকাব্যের মত করে এই কবিতাটার প্রকারকেও একটা নাম দেওয়া যেতে পারে।
'নীতিকাব্য'


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মর্ম's picture

এটা নিয়ে আপনার তিনটা লেখা পড়লাম। তার ভিত্তিতেই বলছি-

১। লেখার দৈর্ঘ্য কি কমানো যায় না? ধৈর্য ধরে রেখে এত বড় লেখা পড়া একটু কঠিন।

২। লেখায় প্রতি প্যারার পর একটু 'স্পেস' দিলে দেখতে এবং পড়তে সুবিধা হয়।

৩। মূলোদা'র কথাগুলো মনে রাখা অপরিহার্য।

৪। লেখা পোস্ট করার আগে কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিতে পারেন একবার, অনেক ভুল আগেই শুধরে নিতে পারবেন।

আপনার সচল-যাত্রা শুভ হোক। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মাহবুব রানা's picture

ক্যাটেগরীতে লিখসেন ছড়া, কবিতা।

Quote:
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমি ইংরেজী পড়েছি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বরার জন্য।

কবিতা/ছড়ার মতোই মজা লাগলো আপনার এই মন্তব্য।

শাহেনশাহ সিমন's picture

হে বিনয়ী, শুধু আপনার জন্যেই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সুমন চৌধুরী's picture

মূলোদা দ্রষ্টব্য



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক's picture

সকল দেশের সকল সাহিত্যের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট থাকে, কিছু এমন কাহীনি থাকে যা অনুদিত / অনুকরণকৃত হলে স্বীয় সাহিত্য কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ হয়।
২) সকল লেখকেরই নিজস্ব রচনা শৈলি থাকে এবং এটাই স্বাভাবিক, আমার রচনায় তথাকথিত ঐ ত্রুটিগুলোকে কি নতুন শৈলি ভাবা যায়? আর সত্যি বলতে কি আমি ব্যকরণ মেনে লিখতে পারিনা।
সকল পাঠক ও মন্তব্যকারীদের পূনরায় আন্তরিক ধন্যবাদ।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.