ছোট্ট নীলার জীবন কাব্য

সাবরিনা সুলতানা's picture
Submitted by sabrina sultana on Mon, 31/05/2010 - 11:17pm
Categories:

`Muscular Dystrophy’তে আক্রান্ত ছোট্ট নীলা ক্লাস সেভেনে এ পড়ে, থাকে চট্টগ্রামের হালিশহরে । এই রোগে আক্রান্ত হওয়াতে ওর শরীরের মাংসপেশীগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে খুব ধীরে ধীরে । যার ফলে স্বাভাবিক নয় হাঁটাচলা, সিড়ি বেয়ে উঠতেও অনেক কষ্ট । এই এলাকায় বর্ষাকালে পানি উঠে বলে নিচতলাতেও থাকা যাচ্ছিলো না। তাই বাধ্য হয়েই নীলার ¯কুলে আসা যাওয়ার সুবিধার্তে তার অভিভাবকগণ নিজস¦ পাঁচতলা ভবন ছেড়ে ভাড়াবাড়িতে উঠেন, কারণ নীলার বাবা বাড়ি তৈরীর সময়ে স্বপ্নেও ভাবেননি তার মেয়ের পক্ষে একসময়ে সিড়ি বেয়ে উঠা নামা অসম্ভব হয়ে পড়বে । ভাড়াবাড়িতে উঠার সময়ে বাড়িওয়ালাকে বার বার বলা হয় লিফটের সুবিধার্তেই বাসাভাড়া নেওয়া । কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় নীলা স্কুলে যাওয়া আসার সময় ইলেকট্রিসিটি না থাকলে কেয়ারটেকার জেনারেটর চালু করতে খুবই বিরক্ত (!?) বোধ করে । বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামলেই মানুষ (!) হাঁ করে তাকিয়ে থাকে....যদি সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় রাস্তায় ..... সাহায্য করার বদলে হেসে উঠে সবাই । নীলার প্রচন্ড খারাপ লাগে..... কান্না পায়.... মানুষগুলো (!?) তাকে দেখে এমন সব মন্তব্য কেনো করে ???

নীলার রোগ ধরার পর কোনো স্কুল কতৃপক্ষই তাদের স্কুলে তাকে ভর্তি করাতে রাজি হচ্ছিলেন না । এমনকি কিছু স্কুলের সম্মানিত প্রিন্সিপালগণ এমনও পরামর্শ দেন নীলাকে বিশেষ স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য ! নীলা শুধু মাত্র স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারে না । কিন্তু ওর চিন্তাশক্তি আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই সচল । পরীক্ষায় প্রথম হতে না পারলেও বরাবরই ভালো রেজাল্ট করেছে, সবসময়ে প্রথম ছ’-সাতজনের মধ্যে থেকেছে । এইটুকুন বয়সেই খুব ভালো ইংলিশ রপ্ত করেছে সে । জেনে বুঝে কেউ বিশেষ করে তিনি যদি হয়ে থাকেন একজন ’মানুষ গড়ার কারিগর’ তার কন্ঠে এমন কথা কিভাবে উচ্চারিত হতে পারে তা আজো বোধগম্য নয় আমার কাছে !!

তার অভিভাবকগণ অনেক স্কুলের দ্বারে দ্বারে ঘুরে শেষপর্যন্ত একটি স্কুলে ভর্তি করাতে সমর্থ হন । স্কুল প্রিন্সিপাল বছরের শুরুতে সপ্তমশ্রেণী কক্ষটি দ্বোতলা থেকে নীচতলায় নামিয়ে আনেন নীলা সিড়ি বাইতে পারবে না বলে । এখন বছর শেষে অষ্টমশ্রেণী কক্ষটি নীচে নামিয়ে আনতে রাজি নন সম্মানিত প্রিন্সিপাল সাহেব । তার যুক্তি বাচ্চারা প্রতিবছর একি ক্লাসরুমে পড়তে চায় না । এ কেমন যুক্তি ! শারিরিক প্রতিবন্ধকতা কি নীলার অপরাধ ? তাই বলে কি তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে ? অবশেষে নীলার বাবা মা স্কুল কতৃপক্ষকে রাজী করাতে সমর্থ হলেন । অষ্টমশ্রেণী কক্ষটিও নিচতলায় নামিয়ে আনা হলো । কিন্তু এভাবেও আর কতদিন ! আগামী বছরও কি একই সুবিধে দেবেন স্কুল কতৃপক্ষ? যদিবা কোনো সুয়োগ দেনও, এই স্কুলে যতদিন আছে ততদিন হয়তো নিশ্চিন্ত । তারপর? অন্য কোথাও ওকে ভর্তি করানো যাবে তো !? আর দশটি ছেলে মেয়ের মতোই পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ের নিচে শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারবে তো নীলা?

যতদিন যাবে ওর শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হবে । এখনো ও নিজে হাঁটতে পারছে আর ক’দিন বাদে সেটাও সম্ভব হবে না, তখন? কোলে করে সবার সামনে দিয়ে ওকে আনা নেওয়ার সময়ে মানুষের তির্যক চাউনি এবং সেই সাথে কটু মন্তব্য যে কতটা ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক! সাধারণ মানুষ যদি এর মর্ম কিছুটা বুঝতো! এই অবস্থার কি কোন পরিবর্তন নেই? তাহলে কি প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেঁচে থাকা অভিশাপ হয়ে দাঁড়ালো ছোট্ট নীলার জন্যে !? বাংলাদেশের আর দশজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের যা নাগরিক অধিকার অথচ এই দেশেরই নাগরিক প্রতিবন্ধী মানুষেরা তা থেকে কেনো বঞ্চিত হবে? কেনো এমন বৈষম্যমূলক আচড়ণ ???

প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প হলেও কিছু বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্যে আর তা হলো অন্ধ প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্যে ব্রেইলী পদ্ধতির বিশেষ ব্যবস্থা, বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্যে ইশারাভাষা পদ্ধতি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধি শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে কিংবা তাদের বেড়ে উঠার স্বাভাবিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রয়েছে বেশ কিছু বিশেষ বিদ্যা নিকেতন । কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধি শিশুরা না পারে বিশেষ স্কুলে যেতে না পায় স্বাভাবিক স্কুলে যাওয়ার যথাযথ পরিবেশ । আমাদের দেশের মানুষের মাঝে একটা ধারনা বদ্ধমূল প্রতিবন্ধি শিশুরা বিশেষ স্কুল ছাড়া স্বাভাভিক স্কুলে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে পড়তে পারবে না । এই ধারনাটি একেবারেই ভুল । শারীরিক প্রতিবন্ধি শিশুদের শুধুমাত্র সর্বোচ্চ প্রবেশের সুবিধেটুকু প্রয়োজন হয় আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা নয় । লিফটের সুব্যবস্থা না থাকলেও শারীরিক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্বল্প খরচে র‌্যাম্প বা ঢালু পথ এবং বাথরুম সংলগ্ন একটি শ্রেণীকক্ষ যদি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৈরি করা যায় হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্যে অতি সহজেই প্রবেশগম্যতা তৈরি হয় । আমার জানা মতে সরকারি কিছু সংখ্যাক স্কুল এবং ঢাকায় দু’একটি বেসরকারি স্কুলে ছাড়া কোথাও র‌্যাম্প নেই । আমাদের দেশে শুধুমাত্র স্বাভাবিক প্রবেশগম্যতা নেই বলে শারীরিক প্রতিবন্ধি শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । বঞ্চিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাপনের আনন্দ থেকে ।

সাবরিনা সুলতানা


Comments

অতিথি লেখক's picture

নীলার জন্য শুভ কামনা। সরকারের প্রতি অনুরোধ নীলাদেরকে স্বাভাবিক মানুষের মত লেখাপড়ার সুযোগ করে দিন। আসুন আমরা সবাই নীলাদের দেখে না হেসে সহমর্মী হই, সাহায্যের হাতটা একটু প্রশস্ত করি। ধন্যবাদ শেয়ার জন্য। আল্লাহ যেন নীলাকে সুস্থ করে তুলে।

কামরুজ্জামান স্বাধীন।

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ হাসি

সাবরিনা সুলতানা

অনার্য সঙ্গীত's picture

সুস্থ শিশুরাই এদেশে শিক্ষার সুযোগ পায় না, আর অসুস্থরা !!! (এটা কোন দায় এড়ানোর অজুহাত নয়, কেবল হতাশা।)

নীলা'রা ভাল থাকুক। মানুষের মাঝে মানুষ হয়ে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক's picture

আপনার কথায় যুক্তি আছে মানি । কিন্তু (একটুখানি ভেবে দেখুন তো) তাই বলে কি আমাদের হতাশ হলে চলবে !?
ধন্যবাদ হাসি

সাবরিনা সুলতানা

আলমগীর's picture

হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। মানসিকতার পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে। চেষ্টা করে যাওয়া ছাড়া আর কীই বা করার আছে? নীলার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

লেখাটা কোথাও কি পড়েছি আগে?

অতিথি লেখক's picture

নীলার স্কুলের সমস্যা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি । অন্য ব্লগে হয়ত পড়ে থাকবেন । তবে নীলার জীবন কাব্য এটাই প্রথম ।
ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক's picture

মন খারাপ হয়ে গেল। এখানে আমার নিজের একটা কথা বলতে চাই। কলেজে পড়ার সময় (সেকেন্ড ইয়ারে) আমার চোখ থেকে ইনফেকশন জনিত কারনে পানি পড়ত, বিশ্বাস করেন শুধু পানি,অশ্রু অন্য কিছু না।তাতেই আমি প্রায় একঘরে হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার অনেক কাছের বন্ধুদের আচরন আমূল বদলে গিয়েছিল।।।
নীলা, আমি তোমার কষ্টের এক ছোট্ট অংশীদার। ভালো থাকুক নীলা'রা।

পুনশ্চঃ আমাদের চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা যত দিন না বদলাবে, এই দেশের ভবিষ্যত তত দিন ওই অন্ধকারেই থেকে যাবে।
>>>আইজুদ্দীন<<<

অতিথি লেখক's picture

Quote:
আমাদের চিন্তা-ভাবনা, মানসিকতা যত দিন না বদলাবে, এই দেশের ভবিষ্যত তত দিন ওই অন্ধকারেই থেকে যাবে।

আপনি তো বুঝতেই পেড়েছেন কি করতে হবে আমাদের তাহলে আর মন খারাপ কেন হাসি
ধন্যবাদ আপনাকে ।

সাবরিনা সুলতানা

বইখাতা's picture

ছোট্ট নীলার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার, তা না হলে কিছুই বদলাবে না।

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ আপনাকে হাসি
ভালো থাকুন । পাল্টে দিন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ।

সাবরিনা সুলতানা

অনিন্দ্য রহমান's picture

প্রয়োজনীয় পোস্ট
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ হাসি

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক's picture

মন খারাপ করে দেওয়া লেখা, নীলা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক; সেই সাথে সুস্থ হউক আমাদের অসুস্থ মানসিকতা।
--শফকত মোর্শেদ

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

সাবরিনা সুলতানা

মর্ম's picture

পরিবর্তনটা আসবে কীভাবে?

এ নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি একটা উপায় হতে পারে।
আপনার চেষ্টাগুলো ভাল লাগছে।
সাফল্য আপনাকে খুঁজে নিক,
অনেক শুভকামনা রইল।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক's picture

Quote:
পরিবর্তনটা আসবে কীভাবে?

এ নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি একটা উপায় হতে পারে।

একেবারে ঠিক কথাটি বলেছেন । আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি বড় বড় লেখকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অনুরোধ করে যাচ্ছি এ বিষয়ে লেখার জন্যে । কারণ আমার মত সাধারণ মানুষের লেখায় যতটুকুন না হবে তারচেয়ে বেশি হবে তাদের লেখায় । জানি না আমার প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হবে কিন্তু আমি চেষ্টা করেই যাব .........
ভালো থাকুন ।
ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

সাবরিনা সুলতানা

দৃশা's picture

আমরা সবাই জানি আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন, আমরা বলিও সেটা। কিন্তু আদৌপে কি তা হচ্ছে? কিংবা কবে হবে তা কি আমরা জানি? না। সেক্ষেত্রে নীলাকে অনেক শক্ত হতে হবে মনের দিক থেকে, আর সেই সাহস যোগানোর দায়িত্বটা নীলার বাবা মা ভাই বোন, কাছের আপনজনদের। কিছুতেই যেন নীলা এই সমাজের নির্বোধ, মনগড়া, নিষ্ঠুর সমাজব্যবস্থার কাছে হেরে না যায় তার জন্য নীলার বাবা মাকে প্রতিনিয়ত লড়তে হবে, মনের দিক থেকে অনেকের চেয়ে অনেক বেশী শক্ত হতে হবে। কথাগুলো বলা জানি অনেক সহজ, কিন্তু তা প্রমান করাটাও যে অনেক বেশী জরুরী।

পোস্টটির লেখিকাকে ধন্যবাদ দিতে চাই বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য। আরো বলতে চাই যদি আপনার নীলার সাথে দেখা হয় তাহলে তাকে অবশ্যই বলবেন পৃথিবীতে অনেক মানুষ যেমন আছে যারা তাকে অবজ্ঞা করে, তেমনি এমন অনেক মানুষও আছে যারা অবিরত তার সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করবে, যেকোন পরিস্থিতিতে তাকে সাহস সুযোগ দু'টোই দেবে প্রয়োজনে। নীলা যেন ঘাবড়ে না যায়।

পরিশেষে এটাই কামনা করি যেন আমাদের সকলের মন মানসিকতা শুদ্ধ হয়, সুন্দর হয়। সরকার যেন দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় এই বিষয়গুলোতে।

দৃশা

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।
নীলা এত সহজে ঘাবড়াবে না জানি কারণ নীলার পাশে আমি আছি । নীলা আমারি ছোটো বোন । আমার অনেক আদরের । আমি যা পাইনি তা থেকে ওকে বঞ্চিত হতে দেব না আমি । নীলার জীবনটাকে কিছুতেই অভিশাপে পরিণত হতে দেব না আমি । শুধু মাত্র ওর জন্যই আমার এই অসম যুদ্ধে নামা । কারণ, নীলার মায়াময় চেহারার মাঝে আমি হাজারো নীলার আকুতি দেখতে পাই ।
তবে একটা কথা না বলে পারছি না । সরকারের আশায় আমাদের বসে থাকলে চলবে না । আমাদের প্রত্যেক কে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে । নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন আমরা নিজেরাই তো ভালোভাবে করতে পারি ।
ভালো থাকুন ।
ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

সাবরিনা সুলতানা

দুষ্ট বালিকা's picture

বড়ই দুঃখ পেলাম... মন খারাপ আশা করি সব প্রতিকূলতার অবসান ঘটবে...।

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক's picture

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক's picture

শুধু নামেই মানুষ- মানুষ গুলোর জন্য আমার শুভ কামনা থাকল... যাতে তারা কিছু করতে নাইবা পারুক, সত্যিকার মানুষের মত অন্তত চিন্তা করতে শেখে...
আর নীলারা শুধু শুভকামনার জোরে না, নিজের ইচ্ছাশক্তির জোরেই অনেক বড় কিছু হওয়ার সামর্থ্য রাখে বলে আমি বিশ্বাস করি...

''চৈত্রী''

অতিথি লেখক's picture

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

আপনার আগের লেখাটা পড়ে চুপে চুপে ৫ দাগিয়ে চলে গেছিলাম। কিছু বলার সাহস পাইনি।
এখানেও কিছুই বলার নেই আসলে... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক's picture

কিছু বলার কি দরকার আছে ভাইয়া? আমি তো মন্তব্য পাবার আশায় এসব লিখছি না .....আপনারা জানেন না অনেক কিছুই । কিংবা অনেকে জেনেও না জানার ভান ধরে থাকেন । আর বেশিরভাগ মানুষ-ই আছেন ঘুমিয়ে । আমি তাদের জানানোর উদ্দেশ্যে লিখছি । মানুষের বোধটাকে জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে লিখছি । এই ছোট্ট নীলার মত কষ্ট যেনো আর কোনো নীলাকে পেতে না হয় সেই উদ্দেশ্যে লিখছি .....

মন্তব্য চাই না আমার ।
আপনারা জেগে উঠলেই আমার লেখার সার্থকতা । হাসি

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

প্রভা প্রহেলিকা [অতিথি]'s picture

মনটা খারাপ হয়ে গেল।

যারা আমাদের দেশের মাথা তারা কি এই বিষয় নিয়ে কিছু ভাবেন...???!!!

অতিথি লেখক's picture

মন খারাপ না করে আপনারা ভাবুন । দেখবেন যারা দেশের মাথা তারা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে হাসি

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

সাবরিনা সুলতানা

মহাস্থবির জাতক's picture

আপনার লড়াইয়ের ক্ষমতা আর মানসিকতার প্র্রতি হাজারো সেলাম জানিয়ে গেলাম।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.