সচলাভিধানঃ সচলায়তনের সুকুমারবৃত্তি বিষয়ক একটি প্রস্তাব

নাশতারান's picture
Submitted by nashtaran on Fri, 18/12/2009 - 3:23pm
Categories:

প্রায় একমাস আগের কথা। আমি আমার অসভ্য বুনো ডানা ঝাপটে সচলায়তনে সবেমাত্র উড়তে শিখছি। দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ত কলম ঘষটে লেখা বেরুতে চায় না। মেজে ঘষে যাও বা বেরোয়, পোস্ট করতে সংকোচ হয়। কতজন কতকিছু লেখে, কতভাবে লেখে! আমি ঈর্ষাতুর চোখে চেয়ে চেয়ে দেখি।

আমার জন্য সবই নতুন। এখানকার আবহ, মেজাজ আর সর্বোপরি কিছু শব্দ।

খোমাখাতা। অনেককেই এই শব্দ ব্যবহার করতে দেখি। মানে কী? ফেইসবুক!! কার আবিষ্কার? জানিনা।

WTF এর প্রতিশব্দ কস্কী মমিন !!! মগজের জট ছাড়িয়ে বুঝতে পারি এটা আসলে কস্ কী মমিন! কার উর্বর মস্তিষ্কে কবে কখন জন্মেছিল এই দুর্বার অনুবাদ তাও জানা নেই।

এমন শব্দ আরো আছে। পুরনো সচলরা ভালো বলতে পারবেন।

প্রতিনিয়ত শব্দ ভাঙ্গছে, আবার জোড়া লেগে নতুন শব্দ তৈরিও হচ্ছে। শব্দ নিয়ে লেগো খেলা। খেলতে খেলতে কেউ খেলনা গড়ে দিচ্ছে, অন্যেরা সেটা নিয়ে খেলছে। আর খেলাচ্ছলেই তৈরি হচ্ছে আনকোরা নতুন কিছু বাংলা শব্দ, একান্তই নিজস্ব ঢঙ্গে।

চলনে বলনে বাঙ্গালির আমদানিপ্রবণতা দিনে দিনে দুঃসহ মাত্রায় বেড়ে চলেছে। আগে কালেভদ্রে নেহাতই ঠেকায় পড়ে তেল-নুনের জন্য পড়শির দুয়ারে কড়া নাড়ার চল ছিল। ইদানীং নিজের রসুইয়ঘরের শিক তুলে দিয়ে পড়শিবাড়িতে হানা দেওয়ার রেওয়াজ চালু হয়েছে (কালোজাম নামের এক ধরনের মিষ্টি বাচ্চাকাল থেকে পছন্দ আমার, ওটার নাম নাকি এখন গুলাবজামুন)। এফ এম বেতারকেন্দ্রগুলো বাংলার গায়ে ইংরেজী এবং হিন্দীর স্টিকার লাগানো সংকর ভাষা বিপণনের অলিখিত ছাড়পত্র বিলাচ্ছে। আর আকাশসংস্কৃতির কল্যাণে ভারতীয় ভাষার প্রচ্ছন্ন প্রভাবটুকু প্রকট হচ্ছে ক্রমশ। ফেইসবুকে হিন্দী স্ট্যাটাসগুলো দেখে হাইড করা ছাড়া বিরক্তি প্রকাশের আর কোন পথ খুঁজে পাই না। এহেন পরিস্থিতিতে সচলায়তনের চলমান শব্দসৃষ্টি আর বাংলা ব্যাকরণে ইংরেজী শব্দের ব্যবহার (গুগ্লানো, পোস্টানো) দেখে স্বস্তি পাই।

একটা লেখা শুরু করেছিলাম। আরজে শব্দের যুৎসই বাংলা প্রতিশব্দ দরকার। মাথায় এলো রেডিওরাখাল, বেতারবাবা, বেতারবিবি। সবকটিই হিমু ভাইয়ের উদ্ভাবন। শব্দগুলোর স্বত্ব সংরক্ষিত নয়। চাইলেই ব্যবহার করা যায়। তবুও আরেকজনের সৃষ্টিতে নিজের নাম সেঁটে দিতে সংকোচ হচ্ছিলো। নিজের লেখায় স্রষ্টার নামোল্লেখের পথ খুঁজছিলাম। সে পথ ধরেই ভাবনাটা এলো।

সচলায়তনে ভূমিষ্ট শব্দ এবং প্রতিশব্দের একটা তালিকা কি তৈরি করা যায়? যার নাম হতে পারে সচলাভিধান
শব্দ, তার ব্যবহারিক অর্থ, উৎপত্তির ইতিহাস এবং শব্দশিল্পীর নাম থাকবে সেখানে।
হিমু ভাইয়ের কিছু তালিকা আছে, নিছক মজারু মেজাজের। আমি ওই ব্যাপারটাকেই আরেকটু কেতাবি কেতায় পরিবেশনের কথা বলছি।

বিশ্বায়নের সুবাদে, বিশেষত ইন্টারনেটের কল্যাণে নিত্য নতুন শব্দ সংযোজিত হচ্ছে আমাদের জীবনে। এস এম এস এ ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লেখার চল পুরনো। তাই উপযুক্ত বাংলা প্রতিশব্দের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না অনেকেই। সরাসরি ইংরেজি শব্দটা টাইপ করে দিলেই হলো।

চলমান এই পরিস্থিতিতে সচলের শব্দ-খেলুড়েরা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেন। নতুন কোন শব্দ বা প্রতিশব্দ খুঁজে পেলে সেটা সচলাভিধানে জুড়ে দেবেন তাঁরা। উপযুক্ত প্রতিশব্দের সঙ্কট অনুভব করলেই ঢুঁ মারা যাবে এই অভিধানে এবং পোস্টে লিঙ্কও দিয়ে দেয়া যাবে। ভাষায় অধিকার সবার। তাই শব্দের স্বত্ব সংরক্ষণের প্রয়োজন দেখিনা। তবে একটা সৃষ্টিশীল উদ্যোগের কৃতিত্বের দাবি তো সচলায়তন করতেই পারে। তাই না?


Comments

মাহবুব লীলেন's picture

শুধু সচলের শব্দ নিয়ে সচল অভিধান নয়
একটা বাংলা অভিধান/স্পেল চেকার দরকার

একার অরূপ ঝাঁপিয়ে পড়লো ওটা বানাতে
আমিও তাকে অনেকগুলো মেইল আর কয়েক লক্ষ কমেন্ট দিলাম বকবক করে
শব্দ তালিকা কম্পোজওক করালো

তারপর দুয়েকটা টুটাফাটা চেষ্টা করে সেও ঘুম দিলো কী একটা টেকি যুক্তি দেখিয়ে অথবা আরো কী কারণে

তারপর আর এগোলো না

০২

আমি আমার পিসিতে একটা বাংলা স্পেল চেকার ব্যবহার করি- শুদ্ধশব্দ
এটা বিজয় ছাড়া অন্য কিছু সাপোর্ট করে না
এটা তৈরি করেছিল জাহাঙ্গীরনগরের জাহিদুল ইসলাম রবি নামের সরকারও রাজনীতির একটা ছেলে
কিন্তু পাইরেসি এড়াতে সে এটার ইন্সটলমেন্ট এতো জটিল করেছে যে ওটাকে চালাতে হয়ে ইন্সটল করতে হয় দুটো ড্রাইভে

এবং তিন তিনটা লক এবং আনলক পাসওয়ার্ড লাগে
প্রতিটা লক পাসওয়ার্ড তাকে মেইল কিংবা ফোনে জানালে সে আনলক পাসওয়ার্ড পাঠায়

একবার সি ফর্মেট করলে পুরোটা আবার একই সিস্টেমে নতুন করে ইন্সটল করতে হয়

তার প্রথম দিককার ক্রেতা ছিলাম বলে সে নিজেই আমার পিসিতে প্রতিটা আপডেট করে দিতো এবং বলেছিল আমি সারাজীবন তার আপডেটগুলো পাবো

কিন্তু গত প্রায় তিন বছর ধরে সে নিখোঁজ। তার সবগুলো ইমেইল এবং কয়েকটা মোবাইলের কোনোটাতেই সে নেই...

স্পেল চেকারটা খুবই ভালো। কিন্তু জানামতে একমাত্র আমার পিসিতেই এখনও কাজ করছে স্পেল চেকারটা

আমার পিসিটা আপডেট/মেরামতের অভাবে ভয়াবহ রকমের সমস্যা করছে। কিন্তু শুধু এই স্পেল চেকার চলে যাবার কারণে আমি পিসিটা মেরামত করাচ্ছি না

এভাবে আর চলা সম্ভব না
চিন্তা করছি এবর বইমেলা পার করে রবির স্পেল চেকারকে গুডবাই জানিয়ে পিসিটা আপডেট এবং মেরামত করে ফেলব

কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি বিকল্প কোনো ভালো স্পেল চেকার পাইনি

০৩

ইন্সটলমেন্ট নষ্ট হয়ে গেলেও শুদ্ধশব্দের ডিফল্ট এবং কাস্টমডিকশনারিগুলো কপি পেস্ট করা যায় এবং পরেও কাজ করে (বিজয়ের ক্ষেত্রে)

আমি জানি না এটাকে অন্য কোনো স্পেল চেকারে যুক্ত করা যাবে কি না
করা গেলে এটা একটা বিশাল স্টক

০৪

সাম্প্রতিককালে শুনলাম অভ্র'র মেহেদী স্পেল চেকার বানাচ্ছে ইউনিকোডের জন্য

আমর প্রস্তাব হলো সবাই তাকে হেল্প করা উচিত একটা ভালো স্পেল চেকারের জন্য

কারণ গুতিয়ে গুতিয়ে আকার একার ঠিক করা কোনো কৃতিত্বের কাজ না
আর বেশিরভাগ বানানই ভুল হয় বেখেয়ালে অথবা কিবোর্ডে বেখেয়াল চাপে

এবং সচলের প্রতিটা পোস্ট করার সময় বাই ডিফল্ট বাধ্যতামূলকভাবে স্পেলচেকার যোগ করে দেয়া দরকার

মানে পোস্ট দিতে হলে অবশ্যই প্রত্যেককে স্পেল চেক করে দিতে হবে

এতে সচলের ভুলের পরিমাণ যেমন কমবে তেমনি একটা স্ট্যান্ডার্ড অভিধানও দাঁড়িয়ে যাবে

০৫

বাংলা বানান অভিধান চাই

তিথীডোর's picture

ধনেপাতা নিন বুনোহাঁস! প্রথমদিকটায় সচলীয় শব্দগুলো আমাকেও দ্বিধান্বিত করেছে... খোমাখাতা নিয়ে দিন তিনেক মাথা চুলকে শেষমেশ এক হাচলের কাছে ধর্না দিলাম, প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি!! --------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নাশতারান's picture

ধনেপাতার অর্থও মাথা চুলকে বের করলাম। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তিথীডোর's picture

নেট ঝামেলায় আছি, তাইই ...
--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শান্ত [অতিথি]'s picture

আপ্নার লেখা ভ্লাল্গো।

আমি লীলেন ভাইর সাথে একমত। একটা বাংলা স্পেল চেকার দরকার। যদি আমি কোন ভাবে কারো কোন কাজে লাগি, তাহলে আওয়াজ দিবেন। হয়তো কোডিং করতে পারবো না, সব বানান সঠিকভাবে বলতেও পারবো না। তারপরও হয়তো বা কোন কাজে লাগতে পারি।

শান্ত

নাশতারান's picture

বানান রীতি নিয়ে আগেও লেখালেখি হয়েছে। বানান বিভ্রাটগুলো কেটে ছেঁটে এর একটি ব্যবহারবান্ধব কোমল সংস্করণ (soft version) দাঁড় করানো প্রয়োজন। সফটওয়্যার প্রস্তুতে পারদর্শী সচলেরা এগিয়ে আসবেন আশা করি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আশরাফ মাহমুদ's picture

উত্তম প্রস্তাব। একটা বাঙলা বানান পরীক্ষক দরকার। বানায় কীভাবে সেটা জানলে আমিই শুরু করে দিতাম। তাছাড়া ব্লগসাইটগুলোতে বাঙলা বানানের নিয়ম ও ব্যকরণের আলাদা একটা সাহায্য-ট্যাব রাখা যেতে পারে। ব্যবহার-বান্ধব করে।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

অনেক অনেক স্মৃতি মনে করায়ে দিলেন... আহারে সেইসব দিনগুলা...

অভিধানটা হইলে খ্রাপ হয় না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ's picture

এনকার্টা, ব্রিটানিকা, ইত্যাদি বিশ্বকোষে দেখতাম উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি নিয়ে টাইমলাইন থাকে। তেমন কিছু একটা থাকলে মন্দ হতো না।

অনার্য সঙ্গীত's picture

সচলাভিধানও চাই বাংলা বানান পরিক্ষকও চাই। বাংলা বানান পরিক্ষক আগে চাই।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নাশতারান's picture

আমিও আপনার সাথে একমত। বানান পরীক্ষকটা বেশি জরুরি। ব্লগে ভুল বানানের ছড়াছড়ি। মাঝে মধ্যে নিজেই এমন কিছু বানান ভুল করি যে লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার উপক্রম হয়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত's picture

বুনো হাঁস,
তুমুল প্রস্তাব চলুক

এই বিষয়ে অভিজ্ঞ সচলেরা এগিয়ে আসবেন বলে আশা করছি।
সেই সাথে যদি কোন কাজে লাগতে পারি, জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

নাশতারান's picture

অনেক অনেক ধন্যবাদ, অনিকেতদা !

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রণদীপম বসু's picture

যে অভাবটা বোধ করি আমি সবসময়, সেটা নিয়েই তো আলোচনা দেখছি !
একেবারে স্পষ্ট দাবি, শব্দ-পরীক্ষক চাই।

পোস্টের জন্য উত্তম-জাঝা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নাশতারান's picture

ধন্যবাদ, রণদীপমদা হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আলমগীর's picture

@বুনোহাঁস
ব্লগিয় প্রতিশব্দের তালিকা আছে, সচলেই। শুধু একটু খুঁজতে হবে আপনাকে।

@যারা বাংলা স্পেল চেকার খুঁজছেন
গুগলে সার্চ করে নিন: Bangla spell checker

@লীলেন্দা
কাস্টম ডিকশনারি যদি খুব ভাল হয় তবে উপরের লিংকে যে সফটওয়ার পাবেন তার সাথে জুড়ে দিতে পারেন।

নাশতারান's picture

আলমগীর ভাই, পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

ব্লগীয় প্রতিশব্দগুলো আমি দেখেছি। আমি বলছিলাম একটা ক্রমবর্ধিষ্ণু অভিধানের কথা যেখানে সৃজনশীল বাংলা প্রতিশব্দ সংযোজিত হতে থাকবে। শব্দের প্রয়োজন হলে তাহলে আর খোঁজাখুঁজি করতে হতো না। অভিধানে উঁকি দিলেই হতো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক [অতিথি]'s picture

সব বাংলা ব্লগের নিয়মিত ও পুরান পাঠক হিসাবে বলতে পারি, সচলায়তনেই সবচেয়ে বেশি নতুন নতুন বাংলা শব্দ দেখা যায়। হয়ত সব শব্দ অমরত্ব পাবে না, তারপরেও কিন্তু এইসবের গুরুত্ব আছে।

আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি মনে হয় দিতে পারব।

অনেক সচলের মন্তব্য থেকে বুঝতে পারি, খোমাখাতা শব্দটার প্রথম প্রচলন করেন অধুনা হাওয়া হয়ে যাওয়া ব্লগার সংসারে এক সন্ন্যাসী। কস্কি মমিনের প্রবর্তক সম্ভবত আলমগীর। এছাড়া খ্রাপ, চ্রম জাতীয় শব্দগুলো সুমন চৌধুরি প্রথমে ব্যবহার করেছেন। আমার অবশ্য ভুলও হতে পারে। হলে সচলেরা আশা করি শুধরে দেবেন।

সাফি's picture

নতুন শব্দ ছাড়াও পুরাতন শব্দের অভিযোজিত ব্যবহার আছে, যেমন - কেনু কেনু কেনু?

অবাঞ্ছিত's picture

অতি উত্তম প্রস্তাব।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নাশতারান's picture

ধন্যবাদ। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অভ্রনীল's picture

ফায়ারফক্স ইউজারদের এ ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা আছে। ফায়ারফক্সের জন্য বাংলা অভিধানের একটা এডঅন পাওয়া যাবে এইখানে। অংকুরের করা এই অভিধানটা এখনো পরীক্ষামূলক আছে।
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

গৌতম's picture

যতটুকু মনে পড়ে, বাংলা স্পেলচেকার নিয়ে অনেকেই কাজ করেছেন এবং করছেন। অংকুর করছে, লীলেন ভাই একজনের কথা বললেন, শাব্দিক নাকে একটা স্পেলচেকার দেখেছিলাম, পরিচিত আরেকজনের কথা শুনেছিলাম যে স্পেলচেকার বানাচ্ছে, এখন শুনছি মেহদী বানাচ্ছে। কাজটা হচ্ছে, কিন্তু প্রত্যেকে আলাদাভাবে করছেন। একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ নাই। একটা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থাকলে এতোদিনে বাংলা বানানভিধান একটা পর্যায়ে যেতে পারতো।

যারা ইতোমধ্যেই কিছু না কিছু কাজ করেছে, তাদের ডেটাবেজ নিয়ে কিংবা তারা সবাই মিলে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেটিকে উন্নত করতে পারেন। এতে খুব তাড়াতাড়ি আমরা একটা বাংলা বানানভিধান পেতে পারি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক's picture

আমিও চাই। জাঝা শব্দের মানে এখনো জানি না!!!

বোহেমিয়ান

সুহান রিজওয়ান's picture

লোল্পুরুষ এবং লুল ফেলা- এইগুলান কি এই ক্যাটাগরীতে পরবো ?? লুলন্ডি।

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান's picture

এ ব্যাপারে আমার অন্য আরেকটা প্রস্তাব আছে।
আরেকটা অভিধান হবে "লুলাভিধান"। তাতেও নতুন নতুন শব্দ সংযুক্ত হবে।
লোল্পুরুষ এবং লুল ফেলা তো পুরান জিনিস। আরো হতে পারে। যেমনঃ লুলায়িত, লুলুপ্সা, লুলার্ত ইত্যাদি।
পরবর্তীতে একটা লুল্যাকাডেমী খোলারও উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তানবীরা's picture

বুনোহাঁস, গুলাব জামুন আর কালোজাম কিন্তু এক মিষ্টি নয়। আমাদের দেশে আমাদের ছোটবেলায় একটা মিষ্টিকে আমরা লাল মিষ্টি বলতাম সেটা গুলাব জামুন। এটা হালকা ভাজা আর কালো জাম কড়া ভাজায় তৈরী হয়।
আর খোমাখাতা কথাটা কিন্তু সচল ভাষা নয়। ওটা আরো অনেকেই নিজ থেকে শুরু করেছিলেন।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর's picture

Quote:
আর খোমাখাতা কথাটা কিন্তু সচল ভাষা নয়। ওটা আরো অনেকেই নিজ থেকে শুরু করেছিলেন।

খোমাখাতা শব্দটা যেদিন থেকে আমি শুনেছি সেদিন থেকে আর "ফেসবুক" শব্দটা ব্যবহার করিনাই। শব্দটার আবিষ্কারক "সংসারে এক সন্ন্যাসী"। খুব সম্ভবত সুমন চৌধুরীর এই লেখাটায় উনি প্রথম এই শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন। উল্লেখ্য সচলে বহুল ব্যবহৃত "খ্রাপ" শব্দটাও আমি প্রথম দেখি এই লেখায় সুমন চৌধুরীর মন্তব্যে।

খোমাখাতা সংসারে এক সন্ন্যাসীর আবিষ্কার এই ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ না থাকলেও একটু গুগল করে দেখলাম। আসলেই সংসারে এক সন্ন্যাসীর আগে এই শব্দটা কেউ ব্যবহার করেছেন কিনা। ১১ই জুলাই, ২০০৮ সালে সংসারে এক সন্ন্যাসী প্রথম এই "শব্দ" ব্যবহারের আগে এর অস্তিত্বের কোন প্রমান পেলাম না। [[গুগল সার্চ টার্মঃ খোমাখাতা/খোমা-খাতা/খোমা খাতা]]

মনে আছে আমরা সচলরা যখন খোমাখাতা ব্যবহার শুরু করি প্রথম দিকে, তখন "কপিরাইটঃ সন্ন্যাসী" উল্লেখ করে দিতাম। এখন প্রয়োজন পড়েনা, কারণ সবাই তো জানেই।

তানবীরা আপু, অনেক আগে থেকেই প্রচলিত থাকলে একটু দেখায়েন আমাকে!

তানবীরা's picture

রায়হান, গুগল সার্চ দিয়ে দেখানোর কেরামতি আমি জানি না, সেটা নিশ্চয়ই তুমিও বুঝতে পারো। টাইপ যে করতে পারি সেটাই আমার জন্যে অনেক।

আমি ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারীতে যখন ঢাকা ছিলাম তখন আমার ছোটবোনদের গ্রুপের কাছে "খোমাখাতা" শব্দটা শিখি ফেসবুকের বাংলা হিসেবে। যে গ্রুপে বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজাও আছেন। ওর নামটা উল্লেখ করলাম যে ওকে হয়তো অনেক দ্রুত চিনতে পারবে। এখন ওরা সন্ন্যাসীদার থেকে নিয়েছে নাকি ভাইসে ভার্সা আমি সেটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো না। তবে অনেকেই ঢাকায় খোমাখাতা শব্দটি ব্যবহার করে। ঢাকা শুদ্ধ সবাই সচলের পাঠক কি না সে আমি জানি না, তুমি ঢাকায় থাকো তাই তুমিই ভালো বলতে পারবে।

ভালো থেকো।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নাশতারান's picture

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গুলাব জামুন আর কালোজামের সূক্ষ বিভেদটুকু জানা ছিলো না। তবে ভাষার ভারতীয়করণকে অস্বীকার করা যায়না। খিচুড়ীকে খিচড়ি বলতেও শুনি আমি। এ দুইয়ের পাকপ্রণালীতে কোন পার্থক্য আছে কীনা জানিনা। চাল-ডাল সহযোগে প্রস্তুত খাবার যে কায়দাতেই রাঁধা হোক, তাকে আমি খিচুড়ীই বলব। এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে। একটা প্রতিষ্ঠিত বাংলা শব্দ থাকতে তাকে আরেকটি ভারতীয় শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপণের যুক্তি খুঁজে পাইনা।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাঈদ আহমেদ's picture

নতুন শব্দ (যেমন খোমাখাতা) আর শব্দবন্ধ (যেমন খ্রাপ) আলাদা থাকা উচিত।

সচলাভিধান হলে তাতে যেন শুধু নতুন শব্দই থাকে। যেসব শব্দবন্ধ নতুন শব্দের জন্ম দেয়, তাও থাকতে পারে (যেমন ব্লগোমন্ডল)।

কিন্তু নেহায়েত বানান পরিবর্তন করে ভাবকে দ্রুততর করার জন্য যে শব্দবন্ধ (যেমন মঞ্চায়, আপ্নার, ভ্লাল্গো, খ্রাপ) যেন তাতে ঠাঁই না পায়। এইসব শব্দ আনন্দ দানের জন্য ভালো, কিন্তু কিছুতেই যেন কোন অভিধানে চলো না যায়।

বঙ্কিম, মধুসুদন-এর অনেক যুক্তশব্দ আছে যা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে, কিন্তু নষ্ট করেনি।

কোথায় সমৃদ্ধকরণ হয় আর কোনটাতে নষ্ট করা হয় তা আমার চেয়ে সচলেরা অনেক ভালো জানেন। আমার বাংলার অবস্থাও খুব একটা ভালো না, তাই কয়েক সপ্তাহের বৈরাগী হয়ে বেশি বলতে চাই না হাসি

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

নাশতারান's picture

আপনার সাথে একমত।
আর আপনার বাংলার অবস্থা যে আসলেই খুব খারাপ তাও বেশ বুঝতে পারছি। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.