জিনিভার জলরং-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী's picture
Submitted by ShohailMC on Sat, 23/09/2006 - 12:29am
Categories:


জিনিভা লেকের ওপারে পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে পুরনো জিনিভা শহর। সিঁড়ি ভেঙ্গে নানা কসরত করে পুরনো শহরের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাবারের খোঁজে। সবকিছুরই দাম এখানে একটু বেশি। লন্ডনের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের পাশের টেবিলে রাখা রম্নটির টুকরোগুলো নিশ্চিনত্দে খাচ্ছিল কয়েকটি চড়ুই। ওদের নিশ্চিনত্দভাব দেখে বুঝলাম এদেশে পাখির দিকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে না। সেরকম কোনো আতংক বা সতর্কতা ওদের আচরণে দেখা গেল না। জিনিভা শহর তেমন বড় নয়, পুরনো শহরটা আরো ছোট। সেখান থেকে আমরা ফিরে আসলাম নতুন শহরে টু্যরিস্টদের প্রিয় জায়গাগুলোয়। খুব সুন্দর করে বড় বড় কাঁচের জানালায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন সুইস পণ্য। 150 বছর ধরে পর্যটন ব্যবসা করে খাচ্ছে ওরা। সুতরাং কাজটা ওরা ভালোই জানে। সুইস পণ্য বলতে অবশ্য অল্প কয়েকটা জিনিস; ঘড়ি, চাকু আর চকলেট। ঘুরে ফিরে শহর জুড়ে শুধু এগুলোরই দোকান। বিভিন্ন আকারের আকর্ষণীয় সব ঘড়ি দিয়ে সাজানো দোকানের জানালা। সুইজারল্যান্ডের কৃষকরা নাকি হাতে কাজ না থাকলে ঘড়ি বানায়। তবে ওরা বানায় শুধু দামী আর বিলাসী ঘড়ি। সবচে' বিখ্যাত হয়েছিলো তাদের কুক্কু ঘড়ি (সেই যে ঘন্টা বাজার সময় হলে কাঠের ঘর (শ্যালে) থেকে কোকিল বের হয়ে এসে ডাকে)। সু্যভেনির শপে এই কুক্কু ঘড়ির রমরমা ভাব। ঐশ্বরিয়া রায়-ও মায়াবী তাকিয়ে থাকে জানালায় ঘড়ি নিয়ে। এক মার্কেটে রাত নয়টায় দেখলাম বিভিন্ন সুর-মূচ্র্ছনায় বেজে উঠলো একটি ঘড়ি। তাতে একদল পুতুল সৈন্য মার্চপাস্ট করে ঘড়ির একদিক থেকে আরেক দিকে যাচ্ছে (ছবি দেখুন)। আমাদের সাথে ভিড় করে আরো কিছু পর্যটক এটা দেখলেন। শহর দেখার কিছু নেই। তাছাড়া হাতে আছে সুইস পাস। তাই ঠিক করলাম কাল রওয়ানা দেব ইন্টারলেকেনের দিকে। সুইজারল্যান্ডের সব সৌন্দর্য নাকি ওখানে। দুটি লেকের মাঝামাঝি জায়গা ইন্টারলেকেন। আর ওখান থেকেই যাওয়া যায় সব টপ অব দ্য ইউরোপে।


Comments

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.