বাংলাদেশের সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। সরকারী কর্মকমিশনের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিয়ে পছন্দমাফিক প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে নিয়মিত। পুলিশ-প্রতিষ্ঠানও এর বাইরে নয়। বরং এখানে নিয়োগে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের পরিমাণ আরো বেশি। যেহেুতু এখানে চাকুরি পেলে, সমাজে প্রতিপত্তি বাড়ে, বাড়তি টাকা পাওয়া যায় সেজন্য এ বাহিনীতে কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক লোকের কোনো অভাব নেই। তারা বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই পেশায় আসতে আগ্রহী। কারণ বিনিয়োগের বিনিময়ে এখানে মুনাফার পরিমাণ বেশি।
দুর্নীতির পথ ধরে নিয়োগপ্রাপ্তরা যে পরে দুর্নীতির জটাজালে আটকা পড়বেন তাতে বিস্ময়ের কি আছে? চট্টগ্রামের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আকবরের ক্ষেত্রেও বাঁকা পথে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত হামলার সাথে জড়িত সব পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষেত্রেই বিষয়টি একই রকম বলে অজস্র প্রমান পাওয়া যায়।
পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই অনিয়ম, দুর্নীতি, খামখেয়ালিপনা অবশ্য ই বন্ধ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার প্রতি নীতিগতভাবে শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিকেই পুলিশে নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রক্রিয়াটি হতে হবে দুর্নীতিমুক। নিয়োগের প্রক্রিয়াকে কলুষমুক্ত না করলে 'জনগণের বন্ধু' পুলিশ পাওয়ার আশা আমাদের কখনই পূরণ হবে না।
Comments
Post new comment