আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি

তারেক অণু's picture
Submitted by tareqanu on Wed, 28/08/2013 - 4:35pm
Categories:

উম্মাতাল কৈশোর থেকে বুনো তারুণ্যের পথে এগোনোর সময় মেঘপিয়নের সাথে সখ্য গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে থাকে প্রতি পশলায়, কুমারী আদ্র ভূমি থেকে প্রথম মিলনের চমকময় তৃপ্ত আদ্রতা ভাপের রূপ নিয়ে ওঠে জলশরের মৃদু স্পর্শে, যে আক্রমণ অতি প্রতীক্ষিত, অতি মোহময়, আবেদন জাগানিয়া।

কলেজ ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি, নতুন চকচকে রেসিং সাইকেলে করে বাড়ী থেকে কয়েক মাইল দূরের বিদ্যানিকেতনে যাওয়া হয় নিয়মিত, কখনো ধাবমান বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে, কখনো বা বহমান সময়ের সাথে। মায়াবী এক মেঘলা সাঁঝবেলা মেঘদূতের দল আদিগন্ত দখল করে এসেও মৃদু ধারায় জানান দিতে থাকে তাদের সজল অস্তিত্ব, তিরতির কাঁপন ধরানো উল্লাসময় স্পর্শ, ধীরে ধীরে পবিত্র ফোঁটার আকার বড় হতে থাকে, ভারী হতে থাকে তাদের অস্তিত্ব, চুল ভিজিয়ে কপোল পর্যন্ত আপ্লুত হয়ে যায় তাদের আদরে, পারদ রাস্তার পাশেই সাইকেল থামাতে হয় কপাল ও কপোলের জল মোছার জন্য, মনে মনে প্রস্তুতি নিতে থাকি রেকর্ড সময়ে প্যাডেল চালিয়ে বাড়ীতে পৌঁছাবার, আকাশ ছোঁয়া রেইন-ট্রির ঘন বিস্তার, দৃঢ় অস্তিত্ব ভেদ করে জানান দেয় ব্রজ দেবতার ঝলসে ওঠা অস্ত্র, কড়াৎ শব্দে জলচাদরে আচ্ছাদিত গ্রহের এক অন্য রূপ ধরা দেয় কৈশোরের মুগ্ধতাময় চোখে। মুহূর্তের মাঝেই সিদ্ধান্ত বয় অন্য বাঁকে।

বাকীটা রাস্তা সাইকেলসহ হাঁটতে হাঁটতেই চলি কাছের গন্তব্যকে অন্তত সময়ের দিক থেকে দূর করার মানসে। ভিজি, সিক্ত হই, চশমার ফাঁক দিয়ে তারিয়ে তারিয়ে দেখি আমার বৃষ্টিভেজা আশৈশব শহরকে, শরীরের প্রতিটি রোমকূপ উম্মুখ হয়ে গ্রহণ করে আকাশদেবতার কৃপাবর্ষণ। ভালো লাগে অপার, সেই ভালো লাগাকে প্রলম্বিত করতে ইচ্ছা করে নশ্বর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, তাতেও হয়ত মেলে অমরত্বের আনন্দ!

IMG_8132

বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলো
কূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বলও
নেই নিকটে - হয়তো ছিলো বৃষ্টি আসার আগে
চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি মনে জাগে
পোড়োবাড়ির স্মৃতি? আমার স্বপ্নে-মেশা দিন ?
চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি,চলচ্ছক্তিহীন।

বৃষ্টি নামলো যখন আমি উঠোন-পানে একা
দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম তোমার পাব দেখা
হয়ত মেঘে-বৃষ্টিতে বা শিউলিগাছের তলে
আজানুকেশ ভিজিয়ে নিচ্ছো আকাশ-ছেঁচা জলে
কিন্তু তুমি নেই বাহিরে - অন্তরে মেঘ করে
ভারী ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে!

তারপর আকাশ সুখ ছড়িয়েছে অনেক অনেক বার, পদ্মা দিয়ে বয়ে গেছে এক সমুদ্র জল, দিনটা রয়ে গেছে। কিউবার স্বর্গ উপত্যকা ভিনিয়ালেসে ক্রান্তীয় ঝড়ের স্বাদ ফিরিয়ে নিয়ে গেছে কৈশোরের উম্মাতাল বৃষ্টিময় স্মৃতিতে, অবাক হয়ে দেখেছি পৃথিবীর অন্য প্রান্তেও ঝড়ের বাতাসে আম গাছের একই রকম কাঁপন, বজ্রদেবতার হুংকার, পাতার নাচন, ফিরে গেছি নিজের কাছে, বারংবার।

বৃষ্টির কাছে চিরঋণী হয়ে গেছি।

সারাজীবনের পরিচিত সবুজ শ্যামল দেশটি ছেড়ে যখন উত্তুরে তুষারময় ঊষর ভূখণ্ডে আসতেই হল, সেখানের বন, পাহাড়, হ্রদ আপন করে নিল আমায়, কিন্তু বৃষ্টি ঝরে না এখানে একই ধারায়, মনের মাঝে অন্য ধরনের অসুখ বাজতেই থাকে। ২০০৩র গ্রীষ্মের এক দুপুরের ঘুম ভাঙল, জলের ছিটায়! সে কী উত্তাল প্রকৃতি, ঝড় নিয়ে বৃষ্টির আগমন উত্তরতম প্রান্তে, হয়ত আমারই খোঁজে। বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি পড়ে, মনের মাঝে আনন্দের ঝঙ্কার, আর কী সূক্ষ তার কারুকার্য! ফিনকি দেয়া জ্যোছনার রাতে সরোদের সর্বগ্রাসী সুরলয়ের সাথেই এর কিছুটা তুলনা চলে হয়ত, যাতে বিশ্ব চরাচর বিলীন হয়ে যায় আপনা থেকেই অতলস্পর্শী লেলিহান মুগ্ধতায়। সেই থেকে এই দেশটা আপনার হয়ে গেল।

বুঝে গেলাম বৃষ্টি আমার লাগবেই, হোক সে বিলেতের টিপটিপ পশলা , বা মেক্সিকোর টিলাটকের রুদ্র নৃত্য। অঝোর ধারায় ঝরতে থাকা রিমঝিম জলধারা আসলে আবদ্ধ কৈশোরস্মৃতি, রত্নরাজি, জীবনদাত্রী।

প্রিয় মহুয়া,

বিশ্বে দুই ধরনের মানুষ আছে, একদল সিলেটের সবুজ বর্ষার ঘন ঘোরে মোহাবিষ্ট হয়েছে, আরেকদল সেই স্বর্গে অবগাহনের সুযোগ থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত।

দুর্ভাগা আমি সেই দ্বিতীয় দলে।

সামনের বর্ষায় ভিজতে যাব সিলেটের সবুজ বারিধারায়। যাবে সাথে? হাতে হাতে, চোখে চোখ, ঠোঁটে –

এই বিকেলে যাবার ছিল তোমার
কাছে যাবার ছিল তোমার সাথে
যাবার ছিল
এখন আমি একলা আছি যেমন ছিলাম এরও
আগে কিন্তু আমার যাবার ছিল
পাবার ছিল উষ্ণতাকে দেখার ছিল
চাঁদের হাসি বলার ছিল ভালবাসি।


Comments

রকিবুল ইসলাম কমল's picture

প্রায় একই ধরনের অনুভুতি নিয়ে ঠিক এই শিরোনামটা দিয়েই আমি একটি লেখা শুরু করেছিলাম দুদিন আগে আগে! যদিও লেখাটি শেষ করা হয়নি। অদ্ভুত লাগলো।

তারেক অণু's picture

আহাহা !

লেখাটা শেষ করে শেয়ার দেন রে ভাই।

বেচারাথেরিয়াম's picture

Quote:
প্রিয়া মহুয়া,

বিশ্বে দুই ধরনের মানুষ আছে, একদল সিলেটের সিলেটের সবুজ বর্ষার ঘন ঘোরে মোহাবিষ্ট হয়েছে, আরেকদল সেই স্বর্গে অবগাহনের সুযোগ থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত।

আমি সেই দ্বিতীয় দুর্ভাগার দলে

আহা কি লিখলেন-উদাস হইয়া গেলাম। কালকেও শুনলাম দেশে বৃষ্টি হচ্ছে ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু's picture

হ, আমিও শুনলাম ওঁয়া ওঁয়া

চিলতে রোদ's picture

ছবিটি দেখে পাহাড়ের কোলে সমতল জমিতে চট্টগ্রামে শৈশবের সেই টিনের বাড়িটি কথা মনে পড়ে গেল। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ, আর বিন্নি চাউলে রান্না করা দাদীর হাতে 'মধু-ভাত' নামের পায়েস। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বৃষ্টির শব্দের সাথে হালকা আলোয় হয়ত পড়ছি তিন গোয়েন্দার 'ভীষন অরণ্য' বা 'অথৈসাগর'।, মৌসুমী বৃষ্টির শব্দ যেন আমার কল্পনার জগতের ছন্দ মেলাচ্ছে! আমি ছুটে যাচ্ছি আমজন জঙ্গলে, অথচ আমার কল্পনা গড়ে দিচ্ছে বঙীয় ব-দ্বীপের মাটির সুঘ্রান আর বৃষ্টি! বড়ই অদ্ভুত আর এলেবেলে অনূভুতি! বোঝানোর সামর্থ্য নেই!

তারেক অণু's picture

ইশ, কী দারুণ সব দিন!
ছবিটা কিউবার এক উপত্যকায় তোলা, এক্কেবারে বাংলা মা !

তিথীডোর's picture

চরম।
বয়স কম ছিল যখন, মেঘলাদিনে নানা জাতের ভাবের কবিতা হোমফিডে দেখলে উদাস উদাস লাগতো।
এখন বিরক্ত লাগে। জালিম দুনিয়ায় ভাবের বেইল নাই যে।

তবে বৃষ্টিম্যানিয়া পুরোপুরি কাটতে বোধহয় এখনো বাকি জীবন বাকি।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু's picture

আহারে চোখ টিপি কাটাবার দরকার কী ! ভালো বেরসিক দেখি আমাদের তিথী!

সুমিমা ইয়াসমিন's picture

বৃষ্টিময় লেখা, এই বৃষ্টিদিনে! ভালো লাগলো। হাসি

তারেক অণু's picture

আমার এখান রোদ্দুর ! খটখটে !

তাপস শর্মা's picture

বর্ষা-বিলাস ভাল লাগল অণু

আগের মতো বৃষ্টি আমাদের পাহাড়েও এখন নাই, আগে টানা এক মাস বৃষ্টি শুরু হলে থামত না এমন হত, কিন্তু এখন আর সেই শৈশবের বৃষ্টিমুখর দিনগুলি নেই। এই বছর আমাদের এই পাহাড়ি রাজ্যেও শ্রাবণ গত, কিন্তু এখনো বর্ষা যায়নি। বরং গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ঝড়ছে। বহু বছর পর এইদিকে এত ভাল বৃষ্টি হচ্ছে

বৃষ্টির আনন্দকে ভাগ করে নিতে একটা প্রিয় গান শেয়ার করে গেলাম

তারেক অণু's picture

থ্যাঙ্কু, থ্যাঙ্কু! আসতাছি তোমার পাহাড়ে, গেট রেডি !

ব্রুনো 's picture

এইটা চিটাগাং যাওয়ার রাস্তায় তোলা না অ্যাঁ
প্রথমবার চিটাগাং যাচ্ছি। এইরকম এক পাহাড়ের পাশে (বোধহয় বেশ দূরেই ছিলো, মনে হচ্ছিলো কাছে) গাড়ি জ্যামে পড়লো। আমি পাহাড়টা বেশ ভালো ভাবে দেখে-টেখে ঘুম দিলাম। ঘন্টা দেড়েক বাদে উঠে দেখি বাস সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে, পাশে সেই পাহাড়ও যথারীতি দণ্ডায়মান। সেই প্রথম ভয়াবহ জ্যামে পড়েও খুব একটা খারাপ লাগলো না।

আপনার ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে সেই বাসটা সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে, নতুনের মধ্যে শুধু বৃষ্টিটাই যা নেমেছে হাসি

তারেক অণু's picture

কিউবার এক বিখ্যাত উপত্যকা আছে, নাম ভিনিয়ালেস, পিনার দের রিও রাজ্যে, সেইখানের ছবি

ইমা's picture

দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি মিস্ করেছি বৃষ্টি। তাই এখ্ন ইচ্ছে মতন দেখি আর উপভোগ করি। আজও বিকেলটা কাটিয়ে এলাম বৃ্ষ্টি ভেজা পাহাড়ে। আহ্ জীবন!

ইমা

তারেক অণু's picture

করেন এঞ্জয় ! আর কীই বা বলুম! আর মার্কিন দেশের লেহা দ্যান জলদি

ইমা's picture

সবাই লিখলে পড়ার জন্য বাকি থাকবে কে! হাসি

তারেক অণু's picture

সেইটা নো চিন্তা !

নজমুল আলবাব's picture

Quote:
বিশ্বে দুই ধরনের মানুষ আছে, একদল সিলেটের সবুজ বর্ষার ঘন ঘোরে মোহাবিষ্ট হয়েছে, আরেকদল সেই স্বর্গে অবগাহনের সুযোগ থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত।

এইযে এখন, হালকা চালে ঝরছে...

তারেক অণু's picture

অপু ভাই নামেই বাউল, আসলে খ্রাপ লুক মন খারাপ

নজমুল আলবাব's picture

ইতর টাইপ মানুষ। বদবিশেষ। শয়তানী হাসি

তারেক অণু's picture
নজমুল আলবাব's picture

আরে মুখ ত্যাড়া করেন ক্যা? আপনারে বলিনাইতো। অপুর কথা বল্লাম চোখ টিপি

তারেক অণু's picture

বড় ভাই যে !

মন মাঝি's picture

****************************************

তারেক অণু's picture
অতিথি লেখক's picture

গত পরশু হাসপাতালের চেম্বার থেকে লোভি লোভি চাহনিতে বৃষ্টি দেখছিলাম!!! পরিস্থিতির কারণে অতি কষ্টে লোভ সামলাতে হয়েছে!!
লেখা দারুণ হয়েছে। আর ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর!!!

--------------------------
সুবোধ অবোধ

তারেক অণু's picture

ইস, কী যে কষ্ট বৃষ্টি দেখেও না ভেজা !

অতিথি লেখক's picture

বিষন্ন বিষন্ন মিষ্টি বৃষ্টি।
সংগীতা

তারেক অণু's picture
তমসা's picture

ঘুম ভেঙ্গে চোখ রগড়ে তাকাও ভিজে ছবি-ভোর
মেঘলা মলিন জানালার কাচে বৃষ্টিবাউল
আলতো আওয়াজে ছড়া কেটে যায়। পটের উপর
জলতুলি আঁকা নগ্ন করুণ প্রেয়সী পুতুল।
জল-শাড়ি পরা এমন সুরেলা সকাল বেলায়
কাকে একাঘরে ভালোবাসি, মন?
মুখোমুখি কার সাথে মাতি বলো বিন্তি খেলায়
নানা হৃদয়ের তাসে উন্মন?
(কাকে ফাঁকাঘরে ভালোবাসি মন?)

আজ দিনটাই শুরু হয়েছে এইভাবে।আর শেষটা হচ্ছে আপনার মনভেজানো লেখা আর ছবিটা দিয়ে।
"বাইরে এখনো বর্ষা-বিশাল-বৃষ্টি-রেখা, হ্রস্বদীর্ঘ চিন্তায় নীল "

তারেক অণু's picture

"বাইরে এখনো বর্ষা-বিশাল-বৃষ্টি-রেখা, হ্রস্বদীর্ঘ চিন্তায় নীল "

মইনুল রাজু's picture

সাহিত্যমানের দিক থেকে লেখাটা একটু ব্যতিক্রম, বেশ ভালো। চলুক

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

তারেক অণু's picture

ধন্যবাদ

অনিকেত's picture

আমি বৃষ্টি-পাগল মানুষ---তোমার কথা মত, প্রথম ধারার লোক। জন্ম সিলেটে। ঘোর বর্ষায় ভিজে ভিজে কাটিয়েছি আমার শৈশব। তাই এখনো যেকোন দিন এক মুঠো বৃষ্টির জলের দামে বিক্রী হয়ে যাই মুহূর্তের মাঝে---

তোমার আর সকল লেখার থেকে এই লেখা আলাদা--
তোমার এই লেখা বৃষ্টি নিয়ে--
তাই তোমার এই লেখা আমার কাছে তোমার শ্রেষ্ঠতম লেখা হয়ে রইল---
তোমার এই লেখা বৃষ্টি নিয়ে--
তাই নিজেকে অনিঃশেষে বিকিয়ে দিলাম লেখাটার কাছে ---

শুভেচ্ছা নিরন্তর---

তারেক অণু's picture

ওরে বাবা, পালালাম রে ভ্রাত !
আচ্ছা, ভালো আছি ভালো থেকো গানটা গাওয়া সম্ভব কি?

অনিকেত's picture

Quote:
ভালো আছি ভালো থেকো গানটা গাওয়া সম্ভব কি?

---প্রশ্নটা বুঝলাম না বস। গানটা নিশ্চয়ি কঠিন কোন গান নয় যে গাওয়া যাবে না--কাজেই আশা করি সেইটা জিজ্ঞেস কর নাই! ভাল কথা, যদি তুমি কোথাও গানটা গাইতে চাও, আমি এই গানটার যে ব্যাকগ্রাউন্ড ট্র্যাক তৈরী করেছিলাম, সেইটা পাঠিয়ে দিতে পারি---তুমি তখন সেইটার সাথে গাইতে পারবে---বিশদ আলুচনার জন্যে সর্বজনাব tarequeaziz এট gmail ডট কম -এ মেইল করতে পারো---

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা

তারেক অণু's picture

জি না, আপনার গলায় শুনতে ইচ্ছে করে গানটা। গেয়ে শোনান, এক দফা, এক দাবী

শাফায়েত's picture

গত বছর বান্দরবনে টানা প্রায় ৩দিন ভিজেছি, ঘুম-খাওয়ার সময় ছাড়া বাইরে যতক্ষণ ঘুরেছি প্রতিটা সময় বৃষ্টি ছিলো, পাহাড়ে উঠার আগেও বৃষ্টি, পরেও বৃষ্টি, বান্দরবন থেকে কক্সবাজারে গিয়েও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই, প্রথম দিকে খুব মজা লাগলেও ৩দিনের দিন ব্যাপক বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, পাহাড় ধ্বসে সেবার অনেক মানুষ মারা গিয়েছিলো। তারপরেও সব মিলিয়ে উপভোগই করেছি। বৃষ্টির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটাও (ঢাবি) অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যায় যদিও ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের ১২টা বেজে যায়, প্রকৃতির এই একটা জিনিস মানুষ এখনও উপভোগ করে, ক্যামেরার অত্যাচারে বেশিভাগ সুন্দর জায়গায় গিয়েই মানুষ চোখে উপভোগ করার আগে দলবেধে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যায়। আমার অভ্যাস হলো ঝরনা-পাহাড় কোনো কিছুর দিকে অন্তত আধাঘন্টা তাকিয়ে না থাকলে মন ভরে না দেঁতো হাসি

তারেক অণু's picture

ঝরনা-পাহাড় কোনো কিছুর দিকে অন্তত আধাঘন্টা তাকিয়ে না থাকলে মন ভরে না হাসি

অতিথি লেখক's picture

দুরন্ত ছবি।
লেখা বড় তাড়াতাড়ি শেষ হল! সবে ভিজতে শুরুকরেছিলাম কি না! হাসি
- একলহমা

তারেক অণু's picture

একপশলাই থাক আপাতত !

অতিথি লেখক's picture

কোনটার কথা বলবো?- ছবিটার কথা, না কি লেখা? দুটোতেই সাত তারা (আউট অফ সাত)।

-নিয়াজ

তারেক অণু's picture
বন্দনা's picture

বৃষ্টি নিয়ে লিখা বড় মিষ্টি হয়েছে।

তারেক অণু's picture

রিম ঝিম রিম ঝিম

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

এসো নীপবনে... ছায়াবীথি তলে এসো...

বিভূতায়িত বর্ননায় (গুড়)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু's picture
সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আমার গুড় যায়না কেনু? মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু's picture

জলে গলে গেছে দেঁতো হাসি

কড়িকাঠুরে 's picture

বৃষ্টি একটা অমানুষ! মন খারাপ

তারেক অণু's picture

তাহলে মরুভুমি!

কড়িকাঠুরে 's picture

কষাগু রেগে টং

তারেক অণু's picture
ধুসর গোধূলি's picture

আহা, পুরাই নস্টালজিক করে দিলেন দেখি...
ইশকুল থেকে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে কাদাকুদা সম্বলিত মাইট্যা রাস্তায় সাইকেল চালায়া বাড়ি ফিরে ক‌্যাসেট প্লেয়ার ছেড়ে এই গান শুনতাম আর গোলগাল হলদেটে মুখের কথা স্মরণ করে টিনের চালে বৃষ্টির ছন্দে উদাস হয়ে যাইতাম। গানটা এইখানে যোগ করে দিলাম যাতে এই গান শুনে আপনের মহুয়া আপনের 'হাতে হাত, চোখে চোখ, ঠোঁটে...' রাখার জন্য বৃষ্টিস্নাত পিছলা রাস্তায় আছাড় খাইতে খাইতে সিলেট চলে আসে।

তারেক অণু's picture
ফাহিম হাসান's picture

ছবিটা ভাল্লাগছে

তারেক অণু's picture
অতিথি লেখক's picture

Quote:

বৃষ্টির কাছে চিরঋণী হয়ে গেছি।

র.নাহিয়েন

তারেক অণু's picture
স্যাম's picture

বৃষ্টি নিয়ে সিরিজ চাই
রবীন্দ্রনাথ নিয়েও চাই

তারেক অণু's picture

বলচেন?

অতিথি লেখক's picture

দেশ তো দেশ এই বিদেশ বিভূঁইয়েও আজ পর্যন্ত ছাতা হাতে নেইনি!!

শাকিল অরিত

তারেক অণু's picture

সাবাশ

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.