অনেক টাকা হলে

আমি আপাতত বিভোর আছি, সৈয়দ সাহেবের পুরো সমগ্র হাতে বাগানোর। অ-নে-ক টাকা হলে আপাতত এটাই করার ইচ্ছে 'সল্ট আনিং ঠাণ্ডারাইস ফিনিশিং' আমার...

একটা কথা মনে পড়ে গেলো

"some people are so poor, all they have is money"

অ-নে-ক টাকা হলে ভাবছি তারেকানু হব

ভালো লেগেছে লেখাটি। আমি এখনো আজিজ এর বইগুলি ঘরে নেবার স্বপ্নতেই আছি। অনেক টাকা হলে ট্রাক ভরে বই নিয়ে বাড়ি যাব।

সৈয়দ সাহেবের পুরো সমগ্র কোই পাব? মুল্ল কত হতে পারে? তাহলে "অ-নে-ক টাকা " র এক্টা সিমারেখা বুঝ্তাম।

চুপি চুপি বলি আমারও এএই "অ-নে-ক টাকা " বিসয়ক শইশব , কইশরে অনেক অপুরণইয় ইচ্চা আচে যে

অনেক ভালো লিখেছেন। অনেক টাকা হলে দেখি কিছু সুখ কেনা যায় কিনা তার একটা ট্রাই দিমু।

ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

যখন পকেটে কম টাকা ছিল তখন ফাস্ট ফুডগুলো লোভাতুর দৃষ্টিতে দেখতাম। যখন তিনবেলাই সেই ফাস্টফুড খাওয়ার ক্ষমতা হল, তখন শরীর আর সেটা এলাউ করে না -- সেই লোভাতুর দৃষ্টি আর দীর্ঘশ্বাসই সাথে থাকে।

যখন বই পড়ার জন্য অফুরন্ত সময় হাতে ছিল তখন বই কেনার ক্ষমতা ছিলনা। যখন বই কেনা কোন ব্যাপারই না -- তখন পড়া তো দুরের কথা বইয়ের দোকানের রাস্তা দিয়ে ঘুরে যাওয়ারও টাইম নাই।

টাকা খুব খারাপ একটা জিনিস। এর অভাবে কত কষ্ট করলাম। এখন কিছুটা আছে হাতে, তাও মাঝে মাঝে শান্তি পাই না জীবনে। ইদানিং মনে হয়, টাকা কিংবা যেকোন একটা কিছুর পেছনে ছোটাই হয়ত জীবন। এই ছুটে চলাটাই উপভোগ করতে হয়। কারণ, যখন জিনিসটা হাতের নাগালে চলে আসে, তখন আর সেই রোমাঞ্চটা আর থাকে না। কি জানি কি লিখলাম। হয়ত আমিও জীবনটা বুঝি নি এখনও।

এইটা কী লিখলেন ভাই! মানুষের সাথে মানুষের এতো মিল হয় ক্যামনে? পড়ে মনে হলো আমার জীবনের কথাই লিখেছেন, যদিও খাওয়ার কষ্ট কখনোই সেভাবে পাইনি তবে হুবহু একই কাহিনী। আমি ও আপনারি মতো রান্না করে খাই বিদেশে বসে আর ভাবি স্টাইপেনের টাকাটা একটু বেশী হলে প্রতিবেলা বাইরে খেতাম

ভাল থাকুন, শুভকামনা, আমাদের প্রায় সবার ইতিহাসই এক।

এক লিটার আইসক্রিম কিনে দরজা বন্ধ করে পুরোটাই সাবাড় করার শখ ছিল। এখন সামর্থ্য আছে ঠিক কিন্তু শখটা মরে গেছে
আসলে কষ্ট করে হলেও সময়ের শখ সময়েই মিটাতে হয়। এখন তাই কষ্ট করে হলেও একটা লেন্স পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। এসব ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের ভাবনা না ভাবাই জ্ঞানীর কাজ

যা চাই তা পাই না, যা পাই তার চেয়ে ঢের চাই...
মানুষের জীবনটা এমনই।
দারুন টপিক নিয়ে লিখেছেন, ভাল লাগল।

অনেক টাকা হলে আমি পেলেন চালানো শিখব ।।।। অার একটা ডি এসেলার কিনব

অনেক টাকা হলে মেয়ে আর ভাগনীদের জন্যে একটা শিশুপার্ক বানিয়ে দেব!

অনেক টাকা হইলে আমি একটা টাইম মেশিন বানাবো। তাইলে টাকা আছে কিন্তু সময় নাই এই আপসুস আর থাকবে না। টাকা ফুরায় গেলে চুপি চুপি মোগল বাদশার রাজকোষ বা সুইস ব্যাংকে গিয়ে কিছু কিছু করে হাপিশ করে দিয়ে আসবো। মুহাহাহাহাহা!

মদের নেশা একদিন থিতিয়ে আসবে, যৌনতার নেশা বয়সের সাথে শেষ হয়ে যাবে কিন্তু টাকার নেশায় একবার পেয়ে বসলে তার পিছনে ছুটতেই থাকবেন। যারা টাকাওয়ালা তারা কিন্তু টাকাটা ভোগ করতে পারেনা। টাকার পিছে ছুটতে ছুটতে সময়ই পাননা। এভাবে একদিন দেখবেন, বৃদ্ধ বয়সে ঐ টাকা বাতের মালিশ কেনা ছাড়া আর কোন কাজে লাগছেনা। কাজেই যা আছে সেটাই হিসাব করে কাজে লাগান এবং এখনই। শখ না মিটিয়ে টাকা জমিয়ে রাখার ধারনাটাও বোকামি।
লেখা ভাল লেগেছে।

প্লেনের টিকেট কেটে সোজা আমাজন জঙ্গল - মাঝামঝি কোন কথা নাই।

অনেক টাকা হলে আনিসুল হকের "মা" কিনবো এক কপি।

অনেক টাকা হলে আমি বসে বসে টাকা গুনব কত টাকা হল দেখার জন্য

টাকা হইলে গান শুনমু- "টাকা তুমি সময় মতো আইলানা..."

ভাই আপনার অনেক টাকা হলে আমায় কিছু দিয়েন।

অনেক টাকা হলে আমি পিথিমির সব জাইঙ্গা কিনে পুড়িয়ে দেব। যা শালারা খাইটা খা, নিজের জাইঙ্গা নিজে বানায়া নে।

অনেক টাকা হইলে সকল ভাতই গুড় দিয়া মাখাইয়া খাইবো

অনেক টাকা হইলে আমি এক মাস ধইরা তিনবেলা ইলিশ মাছ খাবো, অনেক দিনের শখ

অনেক টাকা হলে একদিন ওর বাপরে দাওয়াত করে খাওয়াতাম!

আমার শৈশবে খুব যে টানাটানি ছিলো তা না, কিন্তু ওই শেলফের চকচকে বই বা নতুন আসা খেলনাটা হুট করে কিনে দেয়ার সামর্থ্য কখনো আসে নাই।

আচ্ছা, আমাদের সবার শৈশব কৈশোরের গল্পগুলোই কি একরকম?

সৈয়দ মুজতবা আলী। ধন্নবাদ জানানর জন্ন।

"আমাদের যাদের শৈশব কৈশোরের গল্প গুলো কাছাকাছি তারাই সচলায়তন এ ঘুরঘুর করে। একেবারে পড়াশোনার সুযোগ যার হয়নি, সে এখানে আসবে না। আবার খুব টাকাপয়সা থাকলে, তার না পাবার বেদনা গুলো আমাদের মত হবে না।"