আগের পর্বে কথা বলছিলাম Expression নিয়ে।
তুমি চলে গেলে, কিছু না বলে। আমি এখন একা, ভীষণ একা...... কান্না পায়, তবে জল আসেনা। বাইরে একটু একটু বৃষ্টি হচ্ছে। ইলশেগুঁড়ির অভিমুখে তাই আমার একটাই চাওয়া... প্লিজ চোখে একটু জল দাও..................। এক বৃষ্টির রাতে এই কথাগুলো লিখেছিলাম। আবেগের Expression ছিল। এখন ভাবলে হাসি পায়। সত্যিই তো কি ছেলেমানুষিই না একসময় করেছি। তবে সত্যিই সেই সময়ের Expression গুলো আজ সত্যিই অনুপস্থিত।
ছবি তোলা আমার শখ, পেশা নয়। একটা ভালো লাগার প্রকাশ কিংবা অকাজ – যাই বলা হোক না কেন, তার কোনো ভাষা নেই। এক সাধুবাবাকে একবার প্রশ্ন করেছিলাম যে, আপনার ঈশ্বর মানুষকে পঙ্গু করে দেয়, বধির করে দেয় - আপনি তা স্বীকার করেন। জবাবে উনি এতটাই উত্তেজিত হয়েছিলেন যে আমাকে শাপ-শাপান্ত করেছিলেন রীতিমতো। যদিও এই টোয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরিতে উনার মুখ দিয়ে কিংবা চোখ দিয়ে অগ্নি নিক্ষেপ হয়নি!!
আর তাই আমার কাছে ঈশ্বরের Expression মানেই হল - পৃথিবীর যাবতীয় কলুষতাকে একত্রিত করেই জন্ম নেয় মৌলবাদ এবং ধর্মীয় ভণ্ডামি। মন্দিরে বসে লোলুপ হারামজাদা পুরোহিত আর মসজিদে লুঙ্গিসেবক খোদাবন্দ। সব হারামি। ধর্মব্যাবসার ভিত্তি ভূমি এবং হেড অফিস হল এই মন্দির এবং মসজিদ। এবং তার পেছনের কুৎসিত রূপ।
পথে চলতে চলতে কিছু Expression এর সম্মুখীন
তবে এমন নয় যে আমি কোনো মন্দিরে যাইনি। ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরে একটি মন্দির আছে। এর নাম – ভুবনেশ্বরী মন্দির। রবীন্দ্রনাথের সেই ‘রাজর্ষি’ এবং ‘বিসর্জন’ এর প্রেক্ষাভুমি। প্রথমবার গিয়ে যে অনুভূতি হয়েছিল তারপর আরও তিনবার এই জায়গাটা আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। সত্যি বলতে আমি অনুভব করছিলাম সেখানে গিয়ে, একটা ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। বিখ্যাত দুটি সাহিত্য ভাণ্ডারের ভিত্তিভূমি বুঝি এই মন্দির। পাশেই বয়ে যাচ্ছে সেই গোমতী নদী। যেখানে বিসর্জন হয়েছিল ঈশ্বরের। সেই মন্দিরে ভগবানের কিংবা ঈশ্বরের Expression নেই। হাসি-তাতারা তাই সেখানে মহানন্দে হৈচৈ করে বেড়ায়। মনে হয় রবীন্দ্রনাথ সেখানকার প্রতিটি জিনিষকে স্পর্শ করে প্রাণের স্পন্দন বইয়ে দিয়েছেন।
২.
জীবনের সবচেয়ে ভালো Expression এর সম্মুখীন হয়েছিলাম নব্বই এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। তখন ‘কচিডাব’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা আমাদের এখান থেকে প্রকাশিত হত। সেই ছোটকাগজে আমিও কিছু লেখালেখির সুযোগ পেয়েছিলাম। বাচ্চাদের পিচ্চি সাহিত্য। লেখার যা অবস্থা ছিল, তা বলে লাভ নেই। ভাবলে এখনও হাসি পায়। সেই কাগজেই আমার লেখা দেখে এবং অন্য কি খোঁজ নিয়েই জানিনা সমন্বয় নাট্য সংস্থার কর্ণধার রবীন্দ্র সরকার আমাকে ডেকে পাঠান একদিন। উনি আবার আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ডের বড় ভাই। এবং সে বন্ধুর সাথে আমার বিশেষ সখ্যতার খবর পুরো স্কুলই জানতো। যদিও আমরা নিছক বন্ধুই ছিলাম। সুনয়না এই বান্ধবীর পেছনে অনেকেই সে সময় লাট্টু ছিল। যাই হোক উনি যে আমাকে ডেকে পাঠালেন, আমার মনে ভীষণ ভয় ছিল। কি না কি বলে। আমি ওকে ( বন্ধুটিকে) জানালাম ঘটনার কথা। ও বলল – যাও না গিয়ে দেখা কর। অগত্যা গেলাম। নাট্য সংস্থার ঘরটা সে সময় ভালো ছিলনা। এর কয়েক বছর আগে মূল যে ভবনটা ছিল তাতে আগুন লেগে সব কিছু নষ্ট হয়ে যায়। তারপর আর আর্থিক অবস্থার জন্য তা আর ভালো করে গড়া হয়নি। সরকার প্রদত্ত একটা পুরোনো অফিস রুমে আপাতত রিহার্সাল হয়। এবং ওটাই অফিস ঘর।
আমার আজও মনে আছে এমনই শীতের এক সন্ধ্যায় আমি সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই। রবীন্দ্র সরকার মানে পরে আমার রবি কাকা সেখানে বসে আছেন। আমাকে দেখে বসতে বললেন। উনি অন্য আরেকজনের সঙ্গে আলোচনা সারছিলেন। অন্যারাও আসছে ধীরে ধীরে। কেউ কেউ বাইরে বিড়ি ফুকছে। ইতিউতি অনেকেই আমার দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে দেখছিল। তখন আমি সদ্য মেট্রিক পাশ করে একাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগের ছাত্র। লজ্জা লাগছিল ওরা যে এভাবে আমার দিকে দেখছে। আমি মাথাটা নিচু করে বসে আছি। হঠাৎ উনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন – তোমাকে কেন ডেকেছি জানো। আমি মাথা নেড়ে বললাম – জ্বী, না। উনি বললেন – আমাদের নাট্য দলে কিছু নতুন ছেলে নেওয়া হচ্ছে। তুমি আসতে চাও? আমি তো কি বলব তা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। কারণ আমি ভেবে এসেছিলাম উনি অন্য কিছুর জন্য আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তখন যে বুকের মধ্যে কি সব উথাল পাথাল হয়েছিল সে অনুভূতি আজ এতোদিন পরও স্পষ্ট টের পাই। আমি হ্যাঁ বলেছিলাম। একে একে সবাই চলে এলে উনি সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। দু একজন আমার আগে থেকেই চেনা। সেই দিন আমি বসে বসে নাটকের রিহার্সাল। দেখলাম। ভয়ানক ডিসিপ্লিন মেন্টেন করতেন তিনি। উনার অভিনয় আমি বহুবার দেখেছিলাম মঞ্চে। সেদিন কাছে থেকে রিহার্সাল দেখলাম। ‘রক্তকরবী’ নাটকের প্রস্তুতি চলছিল। রাজার ভূমিকায় স্বয়ং রবীন্দ্র সরকার।
সেদিন রিহার্সাল এর শেষে উনি আমাকে বললেন, পরের দিন আমি যেন টাইম মতো চলে আসি। আমাকে একটা রোল দেওয়া হবে। আমি মাথা নেড়ে বিদায় নিলাম। পরের দিন যথা সময়ের অনেক আগেই আমি উপস্থিত। উনি সন্তুষ্ট হলেন। আমাকে দেওয়া হল যক্ষপুরীর এক পেয়াদার রোল। ওই দিন রাতে আসার পথে উনি আমাকে মূল স্ক্রিপ্টটা দিয়ে দিলেন পড়তে। কারণ মূল রক্তকরবী থেকে খানিকটা আলাদা করার চেষ্টা ছিল নাটকটায়। রবীন্দ্র সরকার রক্তকরবীর Deconstruction করতে চেয়েছিলেন। আর তাই উনার মতে স্ক্রিপ্টটা সবার পড়া থাকলে ভালো। ইভেন সব্বাইকে স্ক্রিপ্টটা মুখস্থ রাখতে হবে – এই রকম ইন্সট্রাকশন ছিল। যাই হোক আমার চরিত্রটা মঞ্চে তিনবার আসে একবার লাঠি হাতে, আরেকবার হ্যারিকেন হাতে আর শেষে মিছিলের সাথে। কোন সংলাপ নেই আমার। যদিও আমি যে সেই ভূমিকায় খুব খুশি হয়েছিলাম তা কিন্তু নয়। কিন্তু কি আর করা যায়। অগত্যা এই লাঠি এবং হ্যারিকেন হাতেই পাক্কা ছয়মাস রিহার্সাল দিলাম। নাটকটা সে বছর আটবার মঞ্চস্থ হয়েছিল এবং বলতে হচ্ছে সফল ভাবেই। জনপ্রিয়ও হয়েছিল। কারণ রক্তকরবীকে এর আগে কেউ এভাবে মঞ্চস্থ করেন নি। গোটা নাটকটাই প্রায় সংলাপহীন। শুধুমাত্র অভিব্যাক্তির উপর আধারিত ছিল। সংলাপ খুবই কম। পরে থার্ড থিয়েটার নিয়ে উনি অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। এটাই আমার জীবনের প্রথম বড় প্রযোজনার পথে প্রথম পদক্ষেপ ছিল। এর তিন বছর পর আবারও নতুন রূপে রক্তকরবীর মঞ্চায়নে আমি রাজার ভূমিকায় ছিলাম......
------------------------------*------------------------------
পেছনে ফিরে দেখাঃ এইতো জীবন। পর্ব – ১, এইতো জীবন। পর্ব – ২, এইতো জীবন। পর্ব – ৩ , এইতো জীবন। পর্ব – ৪ , এইতো জীবন। পর্ব – ৫, এইতো জীবন। পর্ব – ৬, এইতো জীবন। পর্ব – ৭ , এইতো জীবন। পর্ব – ৮
===================================
তাপস শর্মা
আমার শহর
ডিসেম্বর ০৭ । ২০১১।
Comments
রক্তকরবীর রাজাকে নিয়ে লিখুন শীগগির। দুই নম্বর ছবিটা মনে ধরসে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পথিক পরাণ। থিয়েটার পর্ব নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে। সত্যি মঞ্চের সে সব চঞ্চল দিন গুলোকে খুবই মিস করি।
এত নির্লিপ্ত expression দিয়ে লেখেন কেম্নে?...দারুন ভাল লেগেছে।
গাছ ভর্তি কাঁটা, পাতাজুড়ে কাঁটা...ঐ ছবিটা খুব পছন্দ হয়েছে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলা ম্যাডামজী আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও অনেক ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিয়েন। আর আপনার প্রোফাইল পিকটা রিয়েলি রক হইছে
love the life you live. live the life you love.
অনেক ধন্যবাদ
দুনম্বর ছবিটা একটা ক্লাসিক ছবি।
আপনাকে ধন্যবাদ সুমাদ্রি। ঐ ছবিটা তুলতে গিয়ে কাদা কাদা হতে হয়েছিল। নদীর চর বেয়ে গিয়ে একটা ছোট্ট ছরা ( আমাদের এখানে এগুলোকে ছরা বলে) থেকে তোলা এই ছবি।
একই অঙ্গে এত রূপ! সাধু!!
রণ'দাকে কোট করে কই - এভাবে বেইজ্জত করলেন
বাহ বাহ চলুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ কবি। আশা করি যতদিন লিখতে পারি এই সিরিজটা সচলে ততদিন চলতে থাকবে, জীবনে যা দেখি যা করি তাই এই সিরিজে লিখে যেতে চাই......
হাতে হারিকেন,...লাঠি।
লেখা ও ছবি খুবই ভাল লেগেছে।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা।
বাসের ছবিটা দারুণ!
facebook
ইয়েস, বাসের ছবিটা আমারো ভালো লাগছে।
-মেফিস্টো
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মেফিস্টো
অনেক ধন্যবাদ অনু
সুন্দর!!!
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক ধন্যবাদ অলি। তোমার দেওয়া গানটা সত্যিই ওসাম ছিল।
ডিমওয়ালার ছবিটা কোথায় তোলা? ২নং ছবিটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ সাফি ভাই।
ডিমওয়ালার ছবিটা ( ১ম ছবিটা ) ত্রিপুরা রাজ্যের (দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার) সীমান্তবর্তী শহর বিলোনীয়ার অন্তর্গত কলাছড়া পার্ক ( জোলাইবাড়ি বলা হয় জায়গটাকে ) থেকে তোলা। খুবই দুর্দান্ত সেই পার্ক। শহর থেকে অনেক দূরে প্রকৃতির মনোভূমি বলতে পারেন... ঐ অঞ্চলটা কলা উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। বাই দ্যা ওয়ে সেখানে বিস্তীর্ণ পাহাড়ী অঞ্চল জুড়ে বুনো হাতির সমাগমও দেখতে পাওয়া যায়। যদিও তা ভাগ্যের ব্যাপার। যদি কোনদিন এখানে আসেন তাহলে আওয়াজ দিয়েন...
আগরতলা গিয়েছিলাম সেই কবে! আখাউড়া হয়ে বিনা পাসপোর্টে। ৭২ এর জানুয়ারীতে। তখন কয়েকটা হিন্দি সিনেমা ছাড়া কিছুই দেখা হয়নি। না, দেখা হয়েছিল বটে কিছু নৃগোষ্ঠীর মানুষকে। যাঁদেরকে সাধারনত ওছ্যুৎ হিসাবেই বিবেচনা করা হয়।
অনেক ভালো লাগলো জেনে যে আপনি এখানে এসেছিলেন। আবারও আসবেন আশা করি।
কিন্তু
- বলতে আপনি ঠিক কি বলতে চেয়েছেন তা আমি বুঝতে পারলাম না। যদিও ৭২-এ আমার জন্ম হয়নি। কিন্তু এরাজ্যে কাউকে ওছ্যুৎ হিসেবে গণ্য করা হয় বলে আমার জানা নেই। কিছু জনজাতিরা আছেন ( সাধারণের ভাষায় ওরা উপজাতি )। কিন্তু ওদের ওছ্যুৎ তো কেউ বলেনা। আর বলতে যাবেইবা কেন ? আসলে ৪৭ এর আগে তো এখানে বাঙালিরা প্রায় ছিলোই না। ৪৭, এবং ৭২ এবং এর পর ৯২ এ আমরাই তো এখানে এসে ভিড় জমালাম। আমরা তো আসলেই পূর্ব বঙ্গের লোক। তাছাড়া এখানে অন্যান্য ভারতীয় সম্প্রদায়ের কিছু মানুষও আছেন। কিন্তু মাফ করবেন আমার জানামতো তো এদের কাউকে এখানে 'ওছ্যুৎ' হিসেবে গণ্য করা হয়না। দেশটা তো সবার। রাজ্যের ইতিহাসের কোথাও কোনো 'ওছ্যুৎ' বর্ণের মানুষের কথা আমি পাইনি।
হ্যাঁ। এটা ঠিক যে একসময় ( রাজন্য শাসনে ) সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের দূরত্ব ছিল বটে, কিন্তু সেই 'ওছ্যুৎ' 'নৃগোষ্ঠীর' কোনো মানুষের কথা আমার জানা নেই। কিংবা ইতিহাস ও সমকালের কোন পাতায় আমি এমন বর্ণনা পাইনি যা আপনি বলছেন।
এটা হয়ত আমারই ভুল। যাঁদের সাথে আমি আগরতলা গিয়েছিলাম তাঁরা ছিলেন চট্টগ্রামের তদানিন্তন উচ্চ বংশীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। আর আমারও অতশত বোঝবার বয়স বা জ্ঞান তখনও হয়নি। আমাকে নৃগোষ্ঠীর মহল্লায় নিয়ে গিয়েছিল সদ্যই পরিচিত আগরতলারই করেকটি ছেলে। আমার এই যাওয়াটি আমার চট্টগ্রামের বন্ধুরা পছন্দ করেনি। তারাই আমাকে এধরনের একটি ধারনা দিয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার ভুলটা শুধরে নেবার সুযোগ করে দেবার জন্য।
এইতো জীবন
ভালু পাইছি
আর ভাই হাসা কতা কন তো এ আজব জিনিষ গুলো কিনেন কিত্থেইক্কা। আমারও কিনতে মঞ্চায়।
ভাল লেগেছে...
কর্ণজয় দাদা অনেক ধন্যবাদ।
দুই নম্বর ছবিটা আর রাস্তার উপর দিয়ে বাস এর ছবিটা খুব ভালো লেগেছে।
ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তৃষা
ছবিগুলি পছন্দ হয়েছে।
সিরাজুল লিটন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো...
Post new comment