দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং পড়ালেখার বাস্তবতা

গৌতম's picture
Submitted by goutam on Thu, 17/11/2011 - 4:28pm
Categories:

পড়ালেখা দিন দিন ধনীদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে একটা আক্ষেপ নানা সময় শোনা যায়। বিশেষ করে যখন থেকে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা মোটামুটি প্রাইভেট ও কোচিংনির্ভর হতে শুরু করলো (প্রাইভেট বা কোচিং এদেশে সবসময়ই ছিল, তবে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এর মাত্রা চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে থাকে), তখন ধনীরাই কেবল অতিরিক্ত টাকাপয়সা দিয়ে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বাইরেও পড়ানো শুরু করলো। ধনী বলতে এখানে মূলত তাদেরকেই বুঝানো হচ্ছে যারা সংসারের যাবতীয় খরচ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যয় করেও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত রাখতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় ধনী মানুষ যতো, তার চাইতে অনেক বেশি হচ্ছে ধনীদের কাতারে উঠতে চাওয়া মানুষজন। সন্তানদের প্রাইভেট পড়ানো কিংবা বিদ্যালয়ের বাইরে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো আস্তে আস্তে তাদের কাছে স্ট্যাটাস সিম্বলেও পরিণত হয়েছে। ফলে যারা ধনী নন, তাদেরকেও নানা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপের সন্তানদের পড়ালেখার পিছনে বেশি খরচ করতে হচ্ছে।

আর এই ফাঁদে ঝামেলায় পড়ে গেছে নিম্নআয়ের মানুষজন। মধ্যআয়ের মানুষজনও যে খুব স্বস্তিতে আছে তা বলা যাবে না, কারণ ঘরে পড়ালেখার উপযোগী দুটো সন্তান থাকলে তাদের পেছনে বিশাল অংকের টাকা খরচ হয়। অনেক পরিবারেই সন্তানের পড়ালেখার পেছনে খরচ করতে গিয়ে সংসারের নানা দিক টেনেটুনে বা বাদ দিয়ে চলতে হয়। অনেকক্ষেত্রে অবস্থা এমন যে, সন্তানের পড়ালেখার পিছনে যে পরিমাণ খরচ হয়, খাওয়াদাওয়ার পিছনেও সেরকম খরচ হয় না।

যাদের টাকা আছে তারা স্বভাবতই সন্তানকে বেশি পড়ানোর সুযোগটা নিতে চাইবে। বিদ্যালয়ের বাইরের অতিরিক্ত পড়াশোনা সন্তান গ্রহণ করতে পারছে কি পারছে না অভিভাবকরা এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না। আর দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যেহেতু মুখস্থবিদ্যার ভিতের ওপর দাড়িয়ে আছে, সুতরাং বেশি বেশি জায়গায় পড়া মানে একই বিষয় নানাভাবে গুলিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বারবার পড়তে হয় বলে সেগুলো তাদের মুখস্থ হয়ে যায়। ফলে তারা যখন ভালো ফলাফল করে, তখন তার কৃতিত্ব খানিকটা প্রাইভেট বা কোচিং-এরও হয়।

টাকা-পয়সা বেশি থাকলে সন্তানের পড়ালেখা ভালো হয়- এই ধারণাটিকে অনেকের কাছে অতি-সরলীকৃত মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে বাস্তবতা তাই। যে পরিবারের টাকাপয়সা বেশি আছে, তারা তাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারে, নানা ধরনের খেলনা কিংবা শিক্ষা-উপকরণ কিনে দিতে পারে। এতে তাদের মানসিক ও শারীরিক- দুটোরই যথাযথ বিকাশ ঘটে। ছোটবেলাকার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ একটি মানুষকে ভালোভাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। তাছাড়া শিক্ষা-উপকরণের প্রাচুর্য শিশুকে বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস গড়তে যেমন সহায়তা ভূমিকা পালন করে, তেমনি তা তাদের শিখনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের টাকাপয়সা বেশি আছে, তাদের শিশুদের ঘরের কাজ করতে হয় না, পড়ালেখা থেকে ঝরে যাবার চিন্তা নেই- মানে সব মিলিয়ে বাদবাকি চিন্তা তাদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করে না। যে সমস্ত পিতামাতা তাদের সন্তানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দেয়ার ক্ষমতা আছে কিন্তু মাস শেষে টানাটানি করে বা সামান্য হলেও ধার করতে হয়, সেসব পরিবারের শিশুদেরও কিন্তু এসব বৈষয়িক বিষয়ে কিছু না কিছু ভাবতে হয়। এসব পরিবারের একটি শিশুর বই কোনো কারণে নষ্ট হয়ে গেলে ভয়ে ভয়ে তাদের পিতামাকে বলতে হয় নতুন বই কিনে দেওয়ার জন্য। শিশুর মধ্যে থাকা এসব ছোটখাট ভয় কিংবা চিন্তা তাদের পড়ালেখায় বেশ প্রভাব পড়ে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে, টাকাপয়সা থাকা বা না থাকার সাথে পড়ালেখার সম্পর্কটা পুরোপুরি নির্ভরশীল। এটি বর্তমানে এমনভাবে প্রভাব ফেলছে যে, পিতামাতাকে এখন মাসের শুরুতে সবার আগে ছেলেমেয়ের পড়ার খরচের কথা চিন্তা করতে হয়। দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি আমরা দেখি- এর প্রভাব অন্য সবকিছুর সাথে এই সেক্টরেও পড়েছে। আগে যে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতো ৩০০ টাকা দিয়ে, এখন সেখানে ৫০০ টাকার কমে ভাবা যায় না। প্রাইভেট পড়তে যাওয়া এবং আসার খরচ আছে, আছে নানা জায়গায় মডেল টেস্ট দেওয়ার খরচও। পরিবারের একাধিক সন্তান পড়ালেখা করলে খরচ মোটামুটি আনুপাতিক হারেই বাড়ে। পড়ালেখার এসব বাড়তি খরচ মোটামুটি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, গরীব পরিবার তাদের সন্তানদের পড়ালেখার কথা ভাবলে হতাশায় নিমজ্জিত হয়, নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত টেনশনে থাকে সর্বদা। এরকম পরিস্থিতি শহরে এলাকার জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য হলেও গ্রামেও আজকাল এমনটি প্রায়ই দেখা যায়।

তাছাড়া পড়ালেখার খরচ শুধু বিদ্যালয় বা কোচিং-এর বেতন, পরীক্ষার ফি বা যাওয়া-আসা ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। পড়ালেখার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খাতা, কলম, বই বা অন্যান্য স্টেশনারি দ্রব্য কিনতে হয়। সেগুলোর পরিমাণও নেহায়েত কম না। খাতার দাম দিন দিন বাড়ছেই। যে বইগুলো বিনামূল্যে দেওয়া হয় না কিন্তু কিনতেই হয় (যেমন- ব্যাকরণ বই), সেগুলোর দাম নেহায়েত কম না। তাছাড়া বাংলাদেশের পড়ালেখার বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের গাইড বই বা টেস্ট পেপার ইত্যাদি কিনতে হয়। সেসব বইয়ের দাম দেখলে রীতিমত আঁতকে উঠতে হয়। স্টেশনারি দ্রব্যের দামও উদ্বেগজনক। একটি ভালো মানের পেনসিল ১৫ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। একমাত্র কলমের দামটাই সহনীয় মাত্রার মধ্যে, বাদবাকি সবকিছু তো একপ্রকার নাগালের বাইরে- বিশেষত নিম্নমধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তের জন্য এবং তাদের সংখ্যাই এদেশে বেশি। এই ছোটখাট খাতা, কলম বা স্টেশনারি দ্রব্য কিনতে গিয়ে প্রতি মাসে যে খরচ হয়, সেগুলো একেবারেই কম না। বরং গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবারের শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বিদ্যালয়ে পড়তে পারলেও এসব অতিরিক্ত খরচের কারণে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে পড়ালেখা নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। সন্তানকে তো পড়াতে হবে কিন্তু সংসারের যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে এই বাড়তি খরচ কে যোগাবে- অভিভাবকদের এই উদ্বেগ আস্তে আস্তে সঞ্চারিত হয় সন্তানদের মধ্যেও। বিদ্যালয়ে অনেকের বেতন বা ফি মওকুফ করা হয়, অনেকে সরকার থেকে বৃত্তি বা উপবৃত্তি পায় কিংবা সরকার অনেক বই শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে দিয়ে থাকে- কিন্তু এসব ছাড়াও পড়ালেখার অন্যান্য বাস্তবতা খুব একটা কম নিষ্ঠুর নয়। দিন দিন অবস্থা এতো খারাপের দিকে যাচ্ছে যে, কিছুদিন পর হয়তো দেখা যাবে নিম্নমধ্যবিত্তের সন্তানরাও আস্তে আস্তে পড়ালেখা বাদ দিচ্ছে। সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে স্বাক্ষর করা কিংবা বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন করার কারণে দেশের সব শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার একপ্রকার বাধ্য। অপরদিকে সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাড়াতে যাচ্ছে। সরকারকে যদি দুটো বিষয়ই নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে বর্তমান শিক্ষাবাজেট দিয়ে এ কাজটি যে করা সম্ভব হবে না তা বলাই বাহুল্য। সরকারকে একদিকে যেমন দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত উপকরণে ভর্তুকি দেয়া যায় কিনা- সেই বিষয়টিও সরকারকে জোরেশোরে ভাবা উচিত। একটি দেশের জাতীয় আয়ের আট ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়। আমাদের সরকার অন্তত সেটুকু বরাদ্দ যদি করতে পারে, তাহলে এটি দিয়ে অন্তত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে গুণগত পরিমাণ আনা সম্ভব। কোনো সন্দেহ নেই, বিদ্যালয় ব্যবস্থার অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতার কারণে প্রাইভেট বা কোচিং-সম্পর্কিত ব্যয় বাড়ছে। সরকার বিদ্যালয়েই যথাযথ শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে অভিভাবকদের হয়তো এ খাতে ব্যয় কমবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এ সময়ে সরকারের উচিত হবে অন্তত পরোক্ষ উপায়ে শিক্ষার ব্যয়গুলো যাতে কমে- সেরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


Comments

ব্যাঙের ছাতা's picture

ধন্যবাদ। সময়োপযোগী লেখা। চলুক

গৌতম's picture

পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনার্য সঙ্গীত's picture

টাকা পয়সা বেশি থাকলে পড়াশোনা ভালো হওয়ার তুলনামূলক বিচারটা বোধহয় দুটি সম মানসিকতার পরিবারের মধ্যে করা যেতে পারে। এমনিতে গ্রামেগঞ্জে আমি তুলনামূলক অনেক ধনী পরিবারই দেখেছি যেখানে আগামী তিনপুরুষেও পড়ালেখার ঠাঁই হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ সরকার দেয়। যার সামর্থ নেই তার থাকা খাওয়ার খরচও। মানে থাকা খাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমান টাকা সরকার দেবে মাসে মাসে তবে ওই টাকার অর্ধেকটা চাকরি পেয়ে আস্তে আস্তে শোধ করে দিতে হবে। সরকার যত টাকা দিয়েছে সেটার পরিমাণ যতি ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয় তাহলে সেই বেশী'টা কখনো শোধ করতে হবেনা। মানে ঋণ যতই হোক শোধ করতে হবে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা।

সরকারী ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থাটা 'বাস্তব' করা দরকার। সরকার এখন যে সাহায্যই দিক, এটা বাস্তব যে পরিবারের সামর্থ না থাকলে এই দেশে লেখাপড়া করা সহজ নয়।

এবং অবশ্যই বাজেটে শকুনের বরাদ্দ খানিক কমিয়ে শিক্ষাখাতে দেয়া হোক।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিন্দ্য রহমান's picture

শকুনের বরাদ্দ টার্মটা নোট রাখলাম হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

গৌতম's picture

ভাইরাস, সমমানসিকতার বিষয়টি এখানে বিবেচনা করা হয় নি কারণ ছোট লেভেলে অনেক ভ্যারিয়েশন থাকতে পারে এবং সেটি ভিন্ন আলোচনার বিষয়। এই ইকুয়েশনটা করা হয়েছে মূলত বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এই বিষয়টির ওপর কিছু গবেষণা করা হয়েছে, তাতেও মোটামুটি একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

মাঝে মাঝে এইরকম অন্য দেশের তথ্য দিলে ভালো লাগে- তাতে দেশের শিক্ষার সাথে অন্য দেশের শিক্ষার একটা তুলনামূলক আলোচনা করা যায়। সরকারি ঋণের কথা বাদ দিলাম, কারণ বাংলাদেশ সরকারের সাথে জার্মান সরকারের তুলনা করা যায় না; কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা থাকে- যেটি বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে কোনো ব্যাংক পড়ালেখার জন্য ঋণ দেয় না। সরকার যদি অন্তত এটার ব্যবস্থা করে দিতে পারতো, তাহলে উচ্চ শিক্ষায় অন্তত অনেকের একটা গতি হতো!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নৈষাদ's picture

কিন্তু সাবসিডি দিয়ে তো উচ্চ শিক্ষাকে খুবই সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আপনি বিতর্ক করতে পারেন যে যথেষ্ট সুযোগ আছে কীনা, কিন্তু সুলভ তো করা হয়েছে। বিদেশে 'ঋণের' ব্যবস্থা আছে, কিন্তু উচ্চ শিক্ষা সুলভ না।

গৌতম's picture

...সুলভ ঠিক-ই, কিন্তু তুলনামূলক ব্যয় বাড়ছে প্রতিনিয়তই। আর যে ধরনের সুলভ, সেই ধরনেরই আউটপুট কিন্তু পাচ্ছি আমরা! এক্ষেত্রে সুলভটাকে আরেকটু অ্যানালাইসিস করা দরকার।

আমার পরিচিত কয়েকজন আছেন যারা এই সুলভ-এও পড়ালেখা ঠিকমতো চালাতে পারছে না। এদের একজন একবছর পড়ালেখা করে, আরেক বছর বাড়িতে গিয়ে কাজ করে টাকা জমায়- এভাবে মোট তিন বছর গ্যাপ দিয়ে ফাস্ট ক্লাশ পেয়ে বেরিয়েছে। সে বলছিল, আমাকে ব্যাংক একটা ঋণ দিলে আমি আরো আগেই পাশ করে ঋণ শোধ করতে পারতাম। সে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গিয়েছিলও এই পারপাসে, লাভ হয় নি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দ্রোহী's picture

আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জিনিসটা একটা বিলাসী পন‌্য। স্বভাবতই এতে বড়লোকদের দখল বেশি।

গৌতম's picture

...কিন্তু পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত তো এটাকে অবিলাসী বলা হয়েছে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

উচ্ছলা's picture

খুব গোছান লেখা বরাবরের মতই। ভাল লাগলো চলুক

গৌতম's picture

অনেক ধন্যবাদ। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শমশের's picture

চমৎকার লেখা।
একটা বিষয়ে একটু দ্বিমত পোষন করি।
একটু টানাটানির মধ্যে থাকলেই বোধহয় ছাত্ররা প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রনোদনা পায়।
নিজের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি, বেশী বড়লোকের ছেলেদের যেহেতু উচ্চশিক্ষার অপশন (দেশে-বিদেশে) অনেক বেশী আর চাকরীর বাজারেও পারিবারিক প্রভাব খাটানোর সুযোগ আছে, তাই পড়াশোনার মানের চেয়ে সার্টিফিকেট অর্জনের উপরই জোর দেয়।

গৌতম's picture

টানাটানির মধ্যে থাকলে শিক্ষার্থীরা প্রাপ্ত সুযোগসুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রণোদনা পায় কিনা সেটা আমার জানা নেই। গবেষণা কিন্তু উল্টোটা বলে। আপনি যদি এ ব্যাপারে কোনো লিংক বা লেখার রেফারেন্স দিতে পারেন, তাহলে উপকৃত হই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নিটোল's picture

কোচিং সেন্টারগুলোর দৌরাত্ম বাড়ার নানা কারণের মধ্যে একটা সম্ভবত শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাসহীনতা। আমি দেখেছি যে পড়াটা একজন ছাত্র বই থেকে নিজে পড়ে নিলেই পারবে তা সে পড়েই দেখেনা, অপেক্ষা করে কখন কোচিং এর ভাইয়ারা পড়াবে। কোনো কিছু নিজে নিজে পড়ে বুঝব- এই বিশ্বাসটুকুর অভাব আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঝে।ফলে কোচিং এর উপর বাচ্চাগুলোর নির্ভরতা বাড়ছেই। তবে এখানে তাদের দোষ নেই, ছোটবেলা থেকেই তো তাদেরকে এমনিভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে ব্যাপারটা হলো অভ্যাসের।

আর স্টেশনারি দ্রব্যের ক্ষেত্রে যা বললেন তা খুবই সত্য। শিক্ষা-উপকরণের দাম যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে অনেক ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়ার আশংকা আছে। তবে এক্ষেত্রে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকার তো এখন বিনামূল্যে বই দিচ্ছে, তাহলে বাজেট আরেকটু বাড়িয়ে এসব শিক্ষা উপকরণও দেয়ার চিন্তাভাবনা করতে পারে। গ্রামাঞ্চলের ছাত্রদের জন্য পুরস্কার হিসেবে এসব দেয়া যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে দেয়া যায়। যেমন- বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে অনেক সময় প্লেট-গ্লাস ধরিয়ে দেয়া হয়।এসব ক্ষেত্রে খাতা-কলম-পেন্সিল ইত্যাদি উপহার দিতে পারে। ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড হলে সারা বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাপোকরণ মাসে মাসে দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় আগ্রহী হবে। ৯০% এর বেশি উপস্থিতির জন্যও এসব জিনিশ পুরস্কার দেয়ার প্রথা চালু করতে পারে সরকার। আরো নানান বুদ্ধি খাটানো যায়।

_________________
[খোমাখাতা]

গৌতম's picture

শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে কোচিং সেন্টারের জন্ম হয় নি; কোচিং সেন্টারের লাগামহীন বৃদ্ধি ঘটতে দিয়ে এ অবস্থাটা আমরা সৃষ্টি করেছি। এর সাথে রয়েছে বিদ্যালয়ের মানহীন পড়ানোর বিষয়টি।

পুরষ্কারের ব্যাপারে আপনার মতামতটা চমৎকার। সরকারে যারা কাজ করছেন তারা যে এগুলো নিয়ে ভাবেন না তা নয়; কিন্তু উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবাইকে যেন পিছু টানে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিশিরকণা's picture

Quote:
কোনো কিছু নিজে নিজে পড়ে বুঝব- এই বিশ্বাসটুকুর অভাব আজকালকার ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঝে।[\quote]
এমনও শুনেছি মেট্রিকের ১১টা বিষয় জন্য ১৪টা টিচারের কাছে পড়তে যায়। তাও সেটা ১২ বছর আগের কথা বলছি। ৫০০টাকা দিয়ে কোন টিচার পড়ায় আজকাল?? সেই দশ বছর আগেই ১০০০টাকার নিচে কোন টিচারের বাসায় পা দেওয়া যাইত না। এখন যে কত আল্লাহই মালুম।

পড়াশুনা মুখস্ত কেন্দ্রিক থেকে অন্যপথে ঘুরানো সহজ হবে না। কারন তেমন শিক্ষকই তো নেই। সবাই মুখস্ত করে পাশ করা, ঐ সার্টফিকেটের জন্য। সব কম্পিউটারের ফ্ল্যাশ মেমরি, কেউ প্রসেসর না।

অনেক অনেক আগে (২০ বছর?) সরকারী বা কোন বিদেশী সংস্থার প্রকল্পের অংশ হিসেবে, গ্রামের স্কুলের বাচ্চাদের একটা চটের ব্যাগ, তাতে দুটা খাতা, পেন্সিল আর রাবার দেয়া হত। এটুকুও তো অনেক গরীব বাবা মার জন্য।
প্লেট গ্লাস পুরস্কারের ব্যাপারে একমত। থালা বাটির চে একটা রঙ পেন্সিলের বাক্স পেলে যেকোন বাচ্চা অনেক অনেক বেশি খুশি হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

গৌতম's picture

...এখন কোথাও কোথাও টিফিন হিসেবে বিস্কুটা বা এজাতীয় খাবার দেয়া হয়। অন্যদিকে দাতাসংস্থাগুলো প্রত্যক্ষ সাহায্য কমিয়ে পরোক্ষ সাহায্যের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে হচ্ছে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

গৌতম's picture

হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মণিকা রশিদ's picture

আসুন, ধনী হই। পড়াশোনার দরকার নাই।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

গৌতম's picture

আমি ধনী হলে আমার সন্তানের লাভ। আমার সন্তান ধনী হলে তার সন্তানের লাভ। ভাগ্যিস, সৃষ্টিকর্তা পিতা নির্বাচনের কোনো অবকাশ রাখেন নি!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তুষার কাওসার's picture

চলুক

রাব্বানী's picture

ধনী হবার চেষ্টা করছি, কিন্তু পড়াশুনার দ্বারা (মনে হয় এটা ভুল মাধ্যম)!

গৌতম's picture

মাধ্যম ভুল না, পড়াশুনা করে অনেকেই কিন্তু ধনী হয়েছেন! হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রু (অতিথি)'s picture

বড় বড় দুইটা মন্তব্য করলাম, ওয়ার্ড ভেরিফিকেশনের চোটে পোস্ট হোলনা। এটাও শেষ পর্যন্ত যাবে কিনা জানি না। লেখা খুব ভালো লেগেছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে সহমত।

গৌতম's picture

আপনার মন্তব্যগুলো আবার করবেন? এক্ষেত্রে প্রথমে ওয়ার্ডে লিখে পরে এখানে পেস্ট করতে পারেন।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। তবে আপনার মন্তব্যগুলো জানার আগ্রহে আছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফারুক হাসান's picture

অবস্থা আসলেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারের যেমন উচিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধনীগরিব নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য সহজলভ্য করা, তেমনিভাবে আমাদেরো উচিত আমাদের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা যথাযথ নিয়মে চলছে কিনা সেটা খেয়াল রাখা। কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ম এত চরম পর্যায়ে পৌছানোর পেছনে ক্লাশরুম শিক্ষার অবনতি একটা প্রধান কারণ। স্কুল শিক্ষকরাও এখন ক্লাশরুমেক ঠিক মত না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়াতে উৎসাহিত করেন।

আমাদের এমনিতে স্বেচ্ছাশ্রমের প্রতি আগ্রহ কম। অনেক সময় একে আবার বাঁকা চোখেও দেখা হয়। কিন্তু গরিব শিক্ষার্থীদেরকে সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাশ্রম হতে পারে একটা ভালো উপায়। যারা শিক্ষিত তারা তাদের অবসর সময়ে গরিব শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাতে পারেন বিনে পয়সায়। বাড়ির বয়ষ্ক যারা অবসর যাপন করছেন তারা এই কাজটি করতে পারেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ছুটিতে প্রতিবেশী বাচ্চাদের ফ্রি কোচিং দিতে পারেন। একজন বয়ষ্ক মানুষ যদি সপ্তাহে দুই ঘন্টাও একজন গরিব শিক্ষার্থীকে দেন তাহলে সমষ্টিগতভাবে তা কিন্তু একসময় অনেক হয়ে দাড়াতে পারে। টাকার বিনিময়ে পাওয়া কোচিংয়ের বিকল্প হতে পারে এই স্বেচ্ছাশ্রম।

অভিভাবকদেরকে আরো সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোচিং সেন্টার এমন কোনো ম্যাজিকবক্স না যে সেখানে গিয়ে ঢুকলেই একসময় সবাই সব জ্ঞান অর্জন করে ফিরবে। অভিভাবকদেরকে নিজের সন্তানকে পাঠ্যবইয়ের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে উৎসাহ দিতে হবে। নিজেরাই যাতে নিজের সন্তানকে পাঠে সাহায্য করতে পারেন সেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।

ফারুক হাসান's picture

অবস্থা আসলেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারের যেমন উচিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধনীগরিব নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য সহজলভ্য করা, তেমনিভাবে আমাদেরো উচিত আমাদের সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা যথাযথ নিয়মে চলছে কিনা সেটা খেয়াল রাখা। কোচিং সেন্টারের দৌরাত্ম এত চরম পর্যায়ে পৌছানোর পেছনে ক্লাশরুম শিক্ষার অবনতি একটা প্রধান কারণ। স্কুল শিক্ষকরাও এখন ক্লাশরুমে ঠিক মত না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করেন।

আমাদের এমনিতে স্বেচ্ছাশ্রমের প্রতি আগ্রহ কম। অনেক সময় একে আবার বাঁকা চোখেও দেখা হয়। কিন্তু গরিব শিক্ষার্থীদেরকে সাহায্য করার জন্য স্বেচ্ছাশ্রম হতে পারে একটা ভালো উপায়। যারা শিক্ষিত তারা তাদের অবসর সময়ে গরিব শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাতে পারেন বিনে পয়সায়। বাড়ির বয়ষ্ক যারা অবসর যাপন করছেন তারা এই কাজটি করতে পারেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ছুটিতে প্রতিবেশী বাচ্চাদের ফ্রি কোচিং দিতে পারেন। একজন বয়ষ্ক মানুষ যদি সপ্তাহে দুই ঘন্টাও একজন গরিব শিক্ষার্থীকে দেন তাহলে সমষ্টিগতভাবে তা কিন্তু একসময় অনেক হয়ে দাড়াতে পারে। টাকার বিনিময়ে পাওয়া কোচিংয়ের বিকল্প হতে পারে এই স্বেচ্ছাশ্রম।

অভিভাবকদেরকে আরো সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোচিং সেন্টার এমন কোনো ম্যাজিকবক্স না যে সেখানে গিয়ে ঢুকলেই একসময় সবাই সব জ্ঞান অর্জন করে ফিরবে। অভিভাবকদেরকে নিজের সন্তানকে পাঠ্যবইয়ের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে উৎসাহ দিতে হবে। নিজেরাই যাতে নিজের সন্তানকে পাঠে সাহায্য করতে পারেন সেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।

গৌতম's picture

আপনার স্বেচ্ছাশ্রমের কাজটি একটি দারুণ উদ্যোগ হতে পারে। আমার নিজেরই এটি মাথায় আসে নি। ...একটা ট্রাই করে দেখতে পারি। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিকেত's picture

চমৎকার লেখা গৌতম'দা!
মতদ্বৈততার কোন অবকাশ রাখেননি লেখায়---

শুভেচ্ছা নিরন্তর

গৌতম's picture

ধন্যবাদ অনিকেত দা। আপনি যেখানে থাকেন সেখানকার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারেন?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দুর্দান্ত's picture

যেটা প্রয়োজন, সেটা হল বিনা বেতনে কারিগরি শিক্ষা আরো বড় পরিধিতে ও আরো উচু ইজ্জতে বিতরন করা। মান নিয়ে আপাতত কথা না বলি।

দেশের ভোগ্য়্পণ্য় (এর মধ্য়ে মোবাইলফোন ও খুচরা ব্য়ান্কসেবাও আছে), রিয়েল এস্টেট আর গাররমেন্ট্স শিল্পের দিকে তাঁকাই প্রশিক্ষিত কারিগরের একটি বিশাল অভাব আছে, যে কাজটা আসলে 'প্রশিক্ষিত কোদালের' - সেটা করছে 'উচ্চশিক্ষিত এক্সকেভেটর', 'প্রশিক্ষিত ক্য়ালকুলেটর' এর জন্য় বিগ্গাপিত চাকরির জন্য় দরখাস্ত আসছে 'উচ্চশিক্ষিত কম্পিউটার' এর কাছ থেকে।

সারা ঢাকা শহরে একমাত্র বিগ্গান কলেজেই বোধ হয় উচ্চ মাধ্য়মিকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন পড়আনোর ব্য়াবস্থা আছে। হাজারিবাগের চামড়আ, তেজগাওয়ের টেক্সটাইল আর মোহম্মদপুরের টেকনিকেল (সেটা কি টেকনিক - জানিনা) কলেজগুলোর অবস্থা আর স্থানসন্কুলানের অবস্থা দেখলে দেশের ৭% ক্রমাগত প্রব্ররিদ্ধির কথা বিশ্বআস হয়না।
দেশের প্রতিটি ক্য়ান্টনমেন্টেই কোন না কোন বেসামরিক প্রযুক্তির কারিগরি প্রশিক্ষণের (মোটর যানবাহন, পোঊরকোঊশক, এমনকি ব্য়ান্ডপাররটিরও) ব্য়াবস্থা আছে। কিন্তু হায় সেখানে দেশের পাবলিকের কোন লাভ নেই। এইসব প্রশিক্ষন আফ্রিকার গ্রামে সাইনবোররড বানাতে বা ১৬ ই ডিসেম্বরের মাররচপাস্টের জন্য় বরাদ্দক্ররিত।

১২ ক্লাশ পড়আর পরের যে ডিজিটাল গন্তব্য় - ড্রপ আউট বা বিশ্ববিদ্য়াল্য় - এটার পরিবররতন দরকার।

গৌতম's picture

আমাদের মতো অর্থনৈতিক অবস্থাপন্ন দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে মাথা ঘামায় সবচেয়ে কম। সর্বশেষ শিক্ষানীতিতে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল দেখে আশাবাদী হয়েছিলাম, কিন্তু দিনকে দিন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দেখে হতাশ হয়ে যাচ্ছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তানিম এহসান's picture

চলুক

গৌতম's picture

ধন্যবাদ হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তারেক অণু's picture

আইয়ুব খান সরকারের ফালতু শিক্ষা নীতির কথা মনে পড়ল যেখান শিক্ষা হচ্ছে একটা বিনিয়োগ মাত্র, অর্থাৎ যার বাবার টাকা আছে কেবল মাত্র সেই পড়তে পারবে।

গৌতম's picture

শুধু আইয়ুব খানরে দোষ দিয়ে লাভ নাই; আইয়ুব খান তো শেষ! আমরা নিজেরা এখন কী করছি? মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে সেই আইয়ুব খানের কথাই তো আমরা আবার বলছি!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তুষার কাওসার's picture

ভালো লাগল চলুক

গৌতম's picture

ধন্যবাদ। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.