সেইন্ট পিটার্সবার্গের প্রতীক— ক্ষরিত রক্তের গির্জা

তারেক অণু's picture
Submitted by tareqanu on Sun, 30/10/2011 - 7:52am
Categories:

IMG_5265
রাশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী সেইন্ট পিটার্সবার্গের ( লেনিনগ্রাদ) ইতিহাসময় সৌন্দর্যমাখা খালে মোড়া অলিগলি মাড়িয়ে চলেছি নতুন রোমাঞ্চের সন্ধানে, পথের এক বাঁকে এ যাত্রার পথপ্রদর্শক পুরনো বন্ধু স্থানীয় তরুণী নাতালিয়া ক্রাভচেঙ্কো হঠাৎ করেই কণ্ঠস্বরে জরুরী ভাব ফুটিয়ে তুলে বলল, জলদি আমার হাত ধর আর চোখ বন্ধ কর! আজব ব্যাপার, দিনে দুপুরে এভাবে হাত পাকড়ানোর আছে টা কি, তার উপর চোখ বন্ধ করে? কিন্তু পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে! তার শহরে এসেছি, কাজেই যম্মিন দেশে যদাচার বাক্যের মর্যাদা রাখতে কথা রাখতে হল অক্ষরে অক্ষরে। দুচোখ বন্ধ করে কয়েক পা ঢিমে তালে এগিয়েই বোঝা গেল এক মোড় ঘুরছি, সেখানেই নাতালিয়া বলল- এইবার নয়ন সার্থক কর! চোখ খুলতেই রূপকথার রাজ্য থেকে উড়ে আসা এক ভুবনবিদিত আলো ঝলমলে স্থাপত্য যেন জন্ম নিল ইতিহাসের কোচড় থেকে আমাদের সম্মুখ পানে- সেইন্ট পিটার্সবার্গের প্রতীক, সেই সুবিখ্যাত ক্ষরিত রক্তের গির্জা।
IMG_0167
P1220664
বিশ্বের গুটিকয় শহরে মানবজাতির অসাধারণ মননশৈলীর পরিচয় নিয়ে কিছু স্থাপত্য ঠাই দাড়িয়ে থাকে, যেগুলো দেশ কাল সীমানা ছাড়িয়ে পরিণত হয় সেই শহরের প্রতীকে, দেশের গর্বে, সর্বোপরি বিশ্ব সম্পদে। এই তালিকায় যেমন আছে কায়রোর পিরামিড, এথেন্সের অ্যাক্রোপোলিস, রোমের কলোসিয়াম, প্যারিসের আইফেল তেমনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র রাশিয়ার মস্কোর ক্রেমলিন এবং সেইন্ট পিটার্সবার্গের ক্ষরিত রক্তের গির্জা। চলুন বন্ধুরা, স্বল্পক্ষনের জন্য ঘুরে আসি এই মোজাইক বিস্ময় থেকে।
IMG_0063
IMG_0070
এই বিশেষ গির্জাটিতে ৭৫০০ বর্গ মিটার মোজাইকে আবৃত যা দীর্ঘকাল বিশ্বের বৃহত্তম মোজাইক আবৃত গির্জা ছিল ( বর্তমানে ২য় বৃহৎ) কিন্তু এর ভিতরের চেয়ে দর্শনার্থীদের কাছে অনেক বেশী পরিচিত এত বাহিরের অবয়ব যেখানে আকাশ ছোঁয়ার এক অন্যন্য প্রতিযোগিতায় মেতেছে নয়নাভিরাম গম্বুজ টাওয়ারগুলো( রাশিয়ার বিখ্যাত ওনিয়ন ডোম বা পেয়াজাকৃতির গম্বুজ) ।
IMG_0055

আপাতদৃষ্টিতে এদের অনেকগুলোই প্রায় একধরনের মনে হলেও খানিকটে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় প্রতিটি গম্বুজের সৌকর্য আলাদা, ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত প্রত্যেক চুড়ো, সেই সাথে সাথে নির্মাণ সামগ্রীও আলাদা।

IMG_0074
IMG_0077
IMG_0072
IMG_0060
IMG_0059
ইংরেজিতে এই গির্জা Church of the Savior on Blood নামেই পরিচিত । এমন নামকরণের পিছনের ইতিহাস বড় বেশী গোলাবারুদে ঠাসা, ১৮৮১ সালে জার ২য় আলেক্সান্ডারের উপর ককটেল হামলা চালানো হয় জীবননাশের উদ্দেশ্যে, প্রথম বিস্ফোরণে কিছু না ঘটলেও ২য় বিস্ফোরণের আঘাতে জার অত্যন্ত আহত হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণের পর প্রায় নির্জীব হয়ে পড়ে থাকে এই চত্বরে গ্রিবয়দভ খালের পাশে, পরবর্তীতে হার্মিতাস প্রাসাদে তার চিরপ্রস্থান ঘটে।
জারের সেই আহতাবস্থায় রক্তক্ষরণের স্থানেই ১৮৮৩ পরবর্তী জার ৩য় আলেকজান্ডারের উদ্যোগে তার পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই মহা নির্মাণযজ্ঞ শুরু হয়, ১৯০৭ সালে এর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘটে, তখন রাশিয়ার সিংহাসনে ইতিহাসের শেষ জার ২য় নিকোলাস।
১৯১৭ সালে সংঘটিত বিপ্লবের পর থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনামলে বিভিন্ন মালপত্রের বিশেষ করে আলুর হিমাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত এই স্থাপনা যাতে এর সমূহ ক্ষতিসাধন ঘটে, পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে হাতে নেওয়া এক মহা পরিকল্পনায় প্রায় তিন দশকের পুনর্নির্মাণ কাজ শেষে তা বর্তমান অবস্থায় ফিরে আসে।
IMG_0053
যদিও গির্জাটি ঠিক খ্রিস্টীয় উপাসনার কাজে নিয়মিত ব্যবহৃত হয় না বরং তা পরিণত হয়েছে সেইন্ট পিটার্সবার্গের পর্যটকদের জন্য মূল আকর্ষণে। যে কারণে এর সদর দরজায় সবসময়ই থাকে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় আর সেই সাথে উচ্চমূল্যের টিকিটের সাথে সাথে ঘণ্টা দুয়েক চলে যায় লম্বা লাইন ধরে ভিতরে প্রবেশ করতে করতেই!
কিন্তু দিনটি ছিল অন্য ধরনের, মূল ফটক থেকে জানা গেল রাশান অর্থোডক্সদের বিশেষ অনুষ্ঠানের কারণে আজ গির্জাটি জোব্বা পরা যাজকদের কবলে, তবে আমরা চাইলে সেই স্থানের গাম্ভীর্য ও তথাকথিত পবিত্রতা বজায় রেখে এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারি, তাও মুফতে! নাতালিয়া চোখ কপালে তুলে জানাল এই বিনামূল্যে প্রবেশের দিন কয়েক বছরে মনে হয় একবার আসে, আর আমরা সেই দিনেই হাজির হয়েছি গির্জা প্রাঙ্গণে!
IMG_0061
ঢুকে পড়লাম সদলবলে, ভিতরে মনে হচ্ছে হলিউডি কোন চলচ্চিত্রে বিশেষ দৃশ্যের শুটিং চলছে, দামি আলখেল্লা পরা যাজকরা মন্ত্র পড়তে পড়তে তাদের রীতিনীতি পালন করছে আনুষ্ঠানিকতা বজায় রেখে, কিন্তু ছবি তোলা নিষেধ! কি দারুণ গির্জার ভিতরের দিকের দেয়ালগুলো, মনভুলানো কারুকার্য সমৃদ্ধ। এমন জায়গায় আসলে সেই স্মৃতি ফ্রেমবন্দী না করে কি পারা যায়, তা যতই নিষিদ্ধ হোক?
IMG_0065
IMG_0066
IMG_0067
IMG_0068
অল্প পরেই অসামান্য মুহূর্তগুলো স্মৃতির মণিকোঠায় রেখে গির্জার পাশের সেই খাল ধরে চললাম পরের গন্তব্যে- জারের প্রাসাদ জাদুঘর হার্মিতাসের পানে।
IMG_0089


Comments

কল্যাণF's picture

ওয়াও...

তারেক অণু's picture

মিয়াঁও

মানব's picture

হালুম ,
আপনার গোটা পোষ্টিই অন্তরস্থ করলাম

মানব's picture

হালুম,
আপনার গোটা পোষ্টিই অন্তরস্থ করলাম

তারেক অণু's picture

হালুম, হালুম, ইমো আসে না, নাইলে একটা ঠুস দিয়া দিতাম।

তদানিন্তন পাঁঠা 's picture

গুরু গুরু আমারেও সাথে নিও; নেবেতো আমায়? বলো নেবেতো আমায়?

আপ্নার লগে জাইতে মঞ্চায়। ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু's picture

তইলে আর কি, চইল্যা আহেন--

তদানিন্তন পাঁঠা 's picture

পালে হাওয়া দিয়েন নারে ভাই। অতীতে একাধিক রেকর্ড আছে গৃহত্যাগী হওয়ার। সমস্যা হলো তখন মা-বোন-ভাই মেনে নিত; কিন্তু এখন বউ-বাচ্চারে খাওয়াইতে পড়াইতে হয়। এটুকু না থাকলে ঠিকই হাজিরা দিতাম। (আমার এখানে ইমোগুলো কাজ করছে না। কান্নার ইমো হবে।)

বিঃ দ্রঃ মডুরা একটু দেখবেন কি? নাকি আমার ব্রাঊজার এর সমস্যা? ইমোতে চাপ দিলে বলে - "TypeError: BUE.smlyWrap is not a function"

তারেক অণু's picture

হুমম। সবই মায়া!

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

কয়েকদিন আপনার লেখা না দেখে ভাবলাম ডায়রিয়া টায়রিয়া হল নাকি? যাক ফিরছেন তাইলে। দাড়ান পইড়া দেখি লেখা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু's picture

না রে কবি ভাই, বেশী দৌড়ের উপরে ছিলাম-

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

আপনারে দৌড়ের উপ্রেই রাখা দরকার দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু's picture

কদিন পরে আর দৌড় না, উড়ার উপরে থাকব!

সাফি's picture

হে হে আমার তো ধারণা আপনি দৌড়ের উপরেই থাকেন, নৈলে এতকিছু দেখেন কেমতে?

সাফি's picture

নাতালিয়ার হাত ধরতে এত আপত্তি ক্যা? আমারে কৈলে তো, থাউক বৌ মাঝে মাঝে সচল পড়ে, এই বয়সে আর হাড্ডি ভাঙতে চাইনা। যাউকগা একটা ওয়াইড এঙ্গেল কিনেন না বস? এই ধরেন ক্রপ সেন্সরের ১৪-২৪ জাতীয় ফোকাল লেংথের?

তারেক অণু's picture

আরে দাদা, ফটোগ্রাফির ফ ও শিখতে পারলাম না, আপনি আছেন ওয়াইড এঙ্গেল, ফোকাল লেংথ নিয়ে!
হাড্ডি ভাঙ্গবে না, কইয়া ফ্যালান!

রুমঝুম ১'s picture

অসাধারণ।

তারেক অণু's picture

অনেক ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

অতি চমৎকার।

তারেক অণু's picture

অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রকৃতি নিয়ে আরও বেশী করে লিখব এখন থেকে।

দ্রোহী's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

বুঝতে পারলাম আপনারে ঈর্ষা করে কোন লাভ নাই। তাই আজ থেকে আপনে আমার অহিংস লিস্টের লোক।

তারেক অণু's picture

অতি অবশ্যই, আরে আয়ারস রকে আসলে একসাথে ঘোড়া দাবড়াব বলে কথা হল না !!
ইমোগুলো কাজ করছে না , না হলে কোলাকুলির ইমো দিতাম।

শাব্দিক's picture

বাপরে, এতো পুরাই রূপকথার প্রাসাদ, তো পেলেন নাকি ভিতরে কোন ঘুমন্ত রাজকন্যা

তিথীডোর's picture

Quote:
এতো পুরাই রূপকথার প্রাসাদ, তো পেলেন নাকি ভিতরে কোন ঘুমন্ত রাজকন্যা?

মন্তব্যে লাইক! চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু's picture

রাজকন্যা তো সাথেই ছিল !!

মুহিত হাসান's picture

নাতলিয়া ক্রাভচেঙ্কো দেঁতো হাসি

শাব্দিক's picture

ওহো, নাতালিয়া! অ্যাঁ এই তাহলে ঘটনা। হাসি

তারেক অণু's picture

আরে ভাই, রাশান অর্ধেক মেয়ের নাম নাতালিয়া ( নাতাশা) আর বাকি অর্ধেকের নাম তাতিয়ানা ( তানিয়া) এর ফাকে ঢুঁকেছে গুটিকয়েক ওলগা, মারিয়া( মাশা), ইরিনা (ইরা), শ্বেতলানা, আলেকজান্দ্রা ( সাসা), ছেলেদের নামও একই ধরনের ভ্লাদিমির, ইগর, পাভেলে বোঝাই!

শাব্দিক's picture

নাম যাই হোক ওই বুড়োটা যে আপনি গাইবেন বলে এই গান লিখেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই,
"ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে ,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী ।।

তারেক অণু's picture

হক কথা, কিন্তু বুড়ো যাকে নিয়ে লিখেছিল তার দেশের টিকেট কেটেছি কেবল গত রাতে, এখন জানুয়ারীতে আর্জেন্টিনায় বন্দরে হেঁড়ে গলায় ধরব-
"ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে ,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী ।।

জাবেদুল আকবর 's picture

অসাধারন !! ভালো লাগলো পড়ে হাসি

তারেক অণু's picture

শুনে ভাল লাগল।

রু(অতিথি)'s picture

আসলেই রুপকথার প্রাসাদ। খুব ভালো লাগলো। ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ।

তারেক অণু's picture

রূপকথার প্রাসাদের দিকেই তো যাচ্ছিলাম, পরে কোন সময়ে জানাব সেই গল্প!

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

আপনার বর্ণনাতো বরাবরের মতই বিষয়ভিত্তিক ও সুখপাঠ্য। আর গির্জার আভ্যন্তরীন ছবিগুলোতো অসাধারন। নিয়ম অমান্য করার সাহস প্রদর্শন করায় আপনাকে বাঘের বাচ্চা

প্রৌঢ়ভাবনা

তারেক অণু's picture

অনেক ধন্যবাদ। কারো ক্ষতি না করে নিয়ম অমান্য করলে সমস্যা কি, যদি তাতে অনেকেরই ভাল লাগার উপাদান জোগাড় করা যায়। ছবি তোলা নিষেধ- এই বিজ্ঞপ্তি দেখলেই মহা বিরক্ত লাগে।

পথের ক্লান্তি's picture

চমৎকার চমৎকার...
স্থাপনাগুলো ঠিক যেন জাত্যাভিমানী রুশদের মতই গৌরব আর অহঙ্কারের মুখ উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইয়া লিবলিউ রাশিয়া!

আচ্ছা, আপনি কি দুনিয়ার কোনও জায়গাই বাদ রাখেননি? সত্যিই হিংসা হয় আপনার ব্লগটা দেখলেX(

তারেক অণু's picture

দুনিয়ার সবই বাকী! আসলেই সব, কিন্তু সত্য কথা কেউ মানতে চাই না!

কাশফুল's picture

অপূর্ব। একশত ভাগ খাঁটি রূপকথার প্রাসাদ। দেঁতো হাসি গুরু গুরু

আমার জীবনটা যে তেজপাতা, কচুপাতা এটা আপনারে দেইখা আরও বেশি কইরা মনে পইরা গেল। ওঁয়া ওঁয়া =((

তারেক অণু's picture

তেজপাতাকে হেয় জ্ঞান কইরেন না! এর খুশবুতেই ইউরোপিয়ানরা কলোনি গাড়তে এশিয়া গেছিল, মানে মসল্লার খোঁজে!
আরে না, আমরা আমরাই তো, আসেন হাসি, ক্যামেরা ১ ২ ৩===

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

রূপকথার রাজ্যে ঘুরিয়ে আনলেন দেখি, অণুদা!!! অসাধারণ!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু's picture

আপনি এত দিন কোন রাজ্যে ছিলেন ! কোন টিকির দেখা পেলাম না যে বড়!!

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

ছিলাম তো অণুদা, একটা হলেও মন্তব্য করেছি প্রতিদিন, তবে ভীষণ দৌড়ের উপর ছিলাম সেও ঠিক....... দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু's picture

যাক, এসেছেন শেষ পর্যন্ত, ভাল আছেন, এইটাই আসল কথা!

অনার্য সঙ্গীত's picture

অসাধারণ। আপনার পোস্টে দেয়ার জন্য আলাদা ইমো দরকার!
একদিন ঠিকই যামুগা আপনের লগে দেইখেন! আপনের না আওনের কথা? কই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু's picture

তা তো যাবেনই। সামনে বছর দেখা যাক ভাইডি, যদি ড্রেসডেনে যায়, আপনের ঐখানে তখন উঁকি মারার ইচ্ছে আছে।
ইমো যদি আপনের মাথা থেকে আসে তাহলে কেমন হতে পারে তা নিয়ে চিন্তায় আছি, দেখা গেল দেড় খান অ্যামিবা !

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

Quote:
ইমো যদি আপনের মাথা থেকে আসে তাহলে কেমন হতে পারে তা নিয়ে চিন্তায় আছি, দেখা গেল দেড় খান অ্যামিবা ! হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

সুহান রিজওয়ান's picture

নেহাতই বাজে গপ্পো। এসব ছবি নেট থেকে মেরেকেটে বসিয়ে দেয়া যায়, সাথে আর কতক রাশান নাম বসিয়ে দিয়ে গপ্পো ফাঁদা হচ্ছে- ...

এ পর্বে লেখা কম। আর ছবি গীর্জার বাইরের অংশটা যত ভালোভাবে ফুটিয়েছে, ভেতরের অংশ ততটা নয়। গীর্জার প্রশস্ততা ভেতরের ছবি দেখে বোঝার উপায় নাই।

যান, এবার মাচুপিচুর ছবি নেট থেকে নামিয়ে ভ্রমণকাহিনী বানান দেঁতো হাসি

তারেক অণু's picture

হৈ মিয়া, খবরের কাগজের ভ্রমণ কাহিনীগুলোতে যে একটা ছবি থাকলে লেখকের মুখে কৃত্রিম গাম্ভীর্য আনা, বা পকেটে হাত ঢোকানো , একটু হেলে ছবিটাই থাকে, সেই পথে হাঁটছি না, তাই পছন্দ হচ্ছে না !
মাচু পিচুর কাহিনী ফেব্রুয়ারির আগে মনে হয় পারব না, যদি বেঁচে থাকি তারপর।

guesr_writer rajkonya's picture

আরে, তারেন অণু ভাই!!! আপনি আবার কবে আমার পুরুনো প্রাসাদে গিয়েছিলেন? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আগের জন্মের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য। আহ, কী সুন্দর ছিল আমার প্রাসাদের দিনগুলি! দেঁতো হাসি

তারেক অণু's picture

ভুল করলেন রাজকন্যা, আর কটা দিন অপেক্ষা করলেই আসল রূপকথার প্রাসাদদুর্গে নিয়ে যেতাম ! কিন্তু রাজকন্যাকে অপেক্ষা করতে বলি কি করে!

মেঘা's picture

এখানে অনেকগুলো কান্নার ইমো হবে। আমি জীবনে কিছুই দেখতে পারলাম না অথচ জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ছবি আর বর্ননা অসাধারণ লাগলো।

অ.ট ইমো কাজ করছে না কেন? ইমো দিতে গেলে TypeError: BUE.smlyWrap is not a function এটা বলে

তারেক অণু's picture

আরে, জীবন শেষ না! কখনোই না । আমার সাথে তিব্বতে এক জাপানীর পরিচয় হয়েছিল, ৬৩ বছর বয়সে অবসর নেবার পরই বিশ্ব ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৭২ !

মেঘা's picture

আর আমার এখন ২৩ মন খারাপ তাতেই আমার মনে হচ্ছে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে মন খারাপ আমি তো এখনো কিছুই দেখলাম না। নিজের দেশটাও না।

তারেক অণু's picture

দেখবেন। কেবল দেখার ইচ্ছাটা ধরে রাখেন!

কল্যাণF's picture

ভাল কইছতো, তাইলে আমারো আশা আছে খ্যাক (যদি তদ্দিন বাইচ্যা যাই আরকি)

তারেক অণু's picture

যুমার's picture

অনেক বার টেরাই দিছি মন্তব্য করার জন্য।
সাধু,সাধু!!!

তারেক অণু's picture

হ, সমস্যাটা কি! ইমোও দেখি আসে না !

ডাঁশপোকা 's picture

ভাই, আপনি করেন কি? এতো জায়গায় ঘুরাঘুরি করার সময় পান কিভাবে? সাংবাদিক নাকি আপনি? নাকি শখের বশেই?

তারেক অণু's picture

কিছুই না করার চেষ্টা করি ! সত্য কথা বললাম। সাংবাদিক না , কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয় ঐ লাইনটা ভালই।
শখ না , শখ না, নেশা !!

সুমাদ্রি's picture

প্রথম ছবিটা দুর্দান্ত। এই গীর্জাটাই কি সেন্ট বাসিল? দেখতে একই রকম। কোপাও মামা...

তারেক অণু's picture

ধন্যবাদ, ঐ একবারই সেই মেঘলা দিনে সূর্যদেব করুণা করেছিল।
সেন্ট বাসিল মস্কোতে, কিন্তু দেখতে অনেকটা একই রকম, ঠিক ধরেছেন।

রোমেল চৌধুরী's picture

অনেক দিনের পরে সচলের পাতায় চোখ রাখতেই নয়নাভিরাম গম্বুজের বহুবর্ণা অসাধারণ হীরকদ্যুতি এই দু'চোখকে আরবার ধন্য করলো। ভেতরে ঢুকে দেখি বর্ণনাতেও বিস্ময়কর বিভা সত্যিই পোষ্টটিকে ঈর্ষনীয় করে তুলেছে। হে ব্রক্ষ্মচারী, তোমায় সেলাম!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু's picture

কি ভাষা আপনের রোমেল দা, একেবারে খাসা।
এত উৎসাহ দিচ্ছেন যখন, সিন্দুকে থাকা গুটিকয় ধূসর কবিতা দিয়েই দিব নাকি সচলে!

রোমেল চৌধুরী's picture

দিয়ে ফেলুন। বের করুন সিন্দুকে পুরে রাখা 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মন মাঝি's picture

ফ্যান্টাস্টিক! ফাটাফাটি!! যেমন ছবি, তেমন লেখা।

ছবিগুলি খুব ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় বই "রূশদেশের উপকথার" পাতায় থাকা সেই যাদুকরী, রূপকথাময়, মায়াবী সৌন্দর্যের প্রাসাদগুলির কথা মনে পড়িয়ে দিল। তখন ভাবতাম ঐ ছবিগুলি কাল্পনিক, এখন দেখছি ঐগুলি নেহায়েৎ কাল্পনিক ছিল না। আপনার তোলা ছবিগুলি রূপকথার মতই লাগছে। শুধু, আপনার সঙ্গিনীর নাম নাতালিয়া না হয়ে 'ভাসিলিসা' হলে আরো জমত! হাসি

****************************************

তারেক অণু's picture

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই বইগুলি খুব মনে পড়ে।

শামীমা রিমা's picture

কি চমইতকার দেখা গেল.......

তারেক অণু's picture

লেনিনগ্রাদ চইল্যা আইল--

শামীমা রিমা's picture

আরও কিছু লইয়্যা আইবেন......

তারেক অণু's picture

আসিতেছে--

বন্দনা কবীর's picture

সত্যি-ই, ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। রাশান/ সোভিয়েত ইউনিওনের বই খুব পড়তা তখন। ছবিগুলো দেখে সেই বইগুলোর জন্য একচোট দুঃখ করে নিয়ে লেখা পড়লাম। কি আর বলবো? এক কথা বার বার বলতে ভাল লাগেনা, তাও বলি, হিংসেও হয় না আর। শুধুই আশির্বাদ। ভাল থাকা হোক।

তারেক অণু's picture

বইগুলোর জন্য খুব দুঃখ লাগে।
ভাল আছি, ভাল থেকেন!

মানিক চন্দ্র দাস's picture

চলুক অনু ভাই চলুক।
আপনার চোখেই না হয় আপাতত দেখি...সাধ্য নাই তাই ঘরের কোনে মুখ গুঁজে থাকি। সাধ্য হলে সেই ৬৩ বছরেই না হয় বেরিয়ে পড়বো।

তারেক অণু's picture

আরে না, তার আগেই দেখা হয়ে যাবে ময়দানে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

ধুর, এটা একটা ব্যাপার হলো? আমগো মহল্লার মসজিদেই তো এরচেয়ে চক্রাবক্রা মিনার গম্বুজ আছে চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রু (অতিথি)'s picture

আর পাশে ড্রেনের পানি বয়ে চলে যায়, তাই না?

অনার্য সঙ্গীত's picture

হ! আর তাছাড়া গম্বুজ দেখতে রাশিয়া যাওয়া লাগে নাকি! যতসব!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

বিদেশ বিদেশ কইরা অণু পোলাটার মাথা আউলায়া গেছে... দেশে যে কতো ভালু ভালু জিনিস আছে তার মর্মই বুঝলো না...
খাড়া বান্দরবনের পাহাড়ের উপরে বরফ ছিটায়া আমি ছবি তুলে এইখানে পোস্টামু... দেখি অণু তখন কী করে চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু's picture

ও নজু ভাই, আপনাদের বয়সে ( থুক্কু, বেয়াদবি নিয়েন না) দেশ ভাজা ভাজা করেছি। দাঁড়ান, ছবি বেশী নাই বলে লেখা দিচ্ছি না।
ও আমার দেশের মাটি-----

উচ্ছলা's picture

চক্ষু ঝলসায়া গেল রে! পোস্টের দিকে চাওন যাইতেছে না!!

অনুরে 'বাটি চালা' দিয়া বান মারতে হবে!!!

তারেক অণু's picture

ঐ ফাজিল, চক্ষু ঝলসালে সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢেকে পড়তে বস!
আমি অর্ধেক তিব্বত ফেরত তান্ত্রিক, বাটি চালা দিলে, ফিরে যেয়ে চালানওয়ালাকে ধরবে। সাধু সাবধান!

স্বপ্নহারা's picture

সব মায়া, সব ফটোশপ... বিশ্বাসযোগ্য ছবি ও ভিড্যু না থাকলে হবে না...হাসি যদি থাকে তাইলে ওইটা আপ্নের কোন লুক-এলাইক...আপ্নে না। ডিএনএ টেস্ট করুম! একজনের পক্ষে এত জায়গায় যাওয়া সম্ভব না... আপ্নের মত বাদাইম্যা-রে কেউ মেয়ে দিবো না, কেউ না...খাইছেখাইছে:P

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তারেক অণু's picture

ইস্যিরে, ভিডিও ভিডিও করে কান ঝালাপালা করে দিল।
আরে ভাই, কিছু কিছু জিনিস কেউ কি আর দেয়, নিয়ে নিতে হয় !

ব্যাঙের ছাতা's picture

ইমো দিতে পারছিনা। বুঝে নিয়েন, কেমন লাগলো।

তারেক অণু's picture

ইমো দেখি এখনো কাজ করে না !

যোগ's picture

ছবি বরাবরের মতই চমৎকার। তবে পোস্টটা আরও বড় হলে খেয়ে আরেক্টু বেশি মজা পেতাম। আর ইয়ে একটা কথা.............মানে আরকি বলতে চাছিলাম নাতালিয়া আপার একটা ছবি হলে মন্দ হতনা আরকি........

তারেক অণু's picture

এইটাই লেখা কম আসলেই। বেশী ইতিহাস দিতে চাই নি। পরেরগুলোতে আসছে--

চরম উদাস's picture

নাতালিয়ার জন্য তালিয়া আর আপনের জন্য গালিয়া।

Quote:
আজব ব্যাপার, দিনে দুপুরে এভাবে হাত পাকড়ানোর আছে টা কি, তার উপর চোখ বন্ধ করে? কিন্তু পড়েছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে!

কি কি খানা খাইলেন জাতি জানতে চায়।

কল্যাণF's picture

হ, জাতি জানতে চায়, বলতে হবে, নাইলে ক্যামেরার ইমেজ সেন্সরে ধুলা-বালি লাগাইয়া দিমু, লেন্সে ঘসা দিয়া দিমু।

তারেক অণু's picture

এই তো কালো রুটির সাথে নোনতা ক্যাভিয়ার, টক শসার সালাদ, চীজ, আর মানে মানে একটু ঠাণ্ডা পড়েছিলতো তাই ভ দিয়ে শুরু বিখ্যাত রাশান পানীয়( ভোদাই না তাই বলে)

কল্যাণF's picture

তাপ্পর তাপ্পর...

তারেক অণু's picture

জ্ঞানীর জন্য কি জানি যথেষ্ট!

কৌস্তুভ's picture

ঐ ঐ, ছবিটবির নিয়ম ভঙ্গ করুন, আপনাকে ধরে নিয়ে গিয়ে জেলে পুরে দিক, তাহলে অগুন্তি লোকে একটু ঈর্ষামুক্ত হয়ে শান্তি পায়...

তারেক অণু's picture

দাঁড়ান যাচ্ছি স্বেচ্ছা নির্বাসনে---সাইবেরিয়ার দিকেই যাব মনে হচ্ছে-

আশালতা's picture

অণু, অনেক অনেক ধন্যবাদ এই পোস্ট সহ আর সবগুলোর জন্যেই। এগুলো না দেখলে তো কখনওই দেখা হতোনা এই জায়গাগুলো, আপনার চোখে আমারও দেখা হয়ে গেল। কৃতজ্ঞ বোধ করলাম তাই পোস্টটা পড়ে।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু's picture

আরে না, ভাল জিনিসগুলো সবার সাথে ভাগাভাগি করার মজাই আলাদা, আনন্দ কত গুণ বেড়ে যায়!

বন্দনা's picture

ছবিগুলা যাকে বলে ঠিক ছবির মতই সুন্দর। আপ্নারে হিংসা করতে করতে আমার স্টক শেষ হয়ে গেছে।

তারেক অণু's picture

আরে, এর পরের বার ইউরোপে আসলে জানিয়েন। একসাথে কজনা মিলে প্ল্যান করা যাবে।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.