আমার পোষাক নিয়া অনেকে কথা বলে। কিন্তু আমি আমার যা ইচছা তাই পরি...যা পরলে রামছাগল কম মনে হয়...একটু গরু গরু লাগে...সেইটা পইরাই আমি রাস্তার কলার চুকলা খাইতে বারাই....খাওয়ার বিষয়ে আমার নজর বেশ নীচের দিকে... খাদ্য অখাদ্য যাই হোক, আমার পায়ের নীচে পড়লে ডাইল। তারপর কুড়ুৎ কুড়ুৎ করে আমি উদরস্থ করে ফেলি। আর নাইলে ভর্তা বানাই। রীতিমত শিং দিয়া গুঁতাইয়া আলুভর্তা। এইবার খাও..যত পারো।
মানুষে বলে ছাগলে কিনা খায়। ওরা জানে না রামছাগলে কিনা খায়। লঞ্চ তো খাইই, দিনার ও খাই। মাঝে মাঝে চাইনিজ দোকানে হানা দেই। ওরা তাড়া দেয় লাঠি নিয়া। কিন্তু আমার সাথে কি পারে? আমি একদম অলিম্পিক স্পিডে ফাস্ট ঢুকাইয়া দেই ফুড, মুখের মধ্যে। তারপর চাবা। মারলে একটা চিক্কুর দেই। ভ্যাঁ...............। আমি রামছাগল বইলা আমার কি বিদেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হইতে পারে না। ডিফারেনসটা বুঝতে অইবো না।
সবাই এখন রেস্টুরেন্টের মধ্যে বইসা খায়। আমার সুবিধা হয় না। তবে মাঝে মাঝে মানুষের বাচ্চাদেরকে রাস্তায় আইসক্রিম খাইতে দেখি। আমারে দেখলে ওরা ভয়ে দিয়া দেয়। কিন্তু আমার খাইতে বেশি ভালা লাগে না। ঠান্ডা। এইটা খাইলে মাথাটা বেশি ঠান্ডা মাইরা যায়। তখন মাইনষে ডান্ডা মারে। ব্যথা পাই। তবে মাথা বেশি গরম হইয়া গেলে লিটার লিটার খায়া ফালাই। লিটার কইতে আপনারা আবার ডাস্টবিনের কথা মনে আইয়েন না।
মাঝে মাঝে আমার ইংলিশে কথা কইতে ইচ্ছা হয়। বিশেষ কইরা প্যান্ট শার্ট পরা মেয়েদের দেখলে একটা রিয়েল ফ্রেন্ডশিপ করতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু আমারে সিম্পল দেখে তারা আর টাইম ওয়েস্ট করে না। আমার টাইম তো কবেই বেটাইম অইয়া গেছে। তবে মাইরের মত হিউমারও আমার ভালো লাগে। তবে সবচে ভালো লাগতো এমন যদি বন্ধু পাইতাম যে রামছাগল জানার পরও আমার বন্ধু অইতো। মাঝে মাঝে আমার ভ্যা ভ্যা সঙ্গীত মনোযোগ দিয়া শুনতো আর আমারে ছাগল কইয়া গালি না দিতো। তাইলে আমি আমার ছাগলামী-ভরা মনটা তারে দিতে পারতাম।
এইসব নিয়াই আমি খুব অসাধারণ একটা রামছাগল।
(বি:দ্র: একটা কথাও আমি বানাইয়া বানাইয়া কই নাই। বিশ্বাস না হয় আমার প্রোফাইল পইড়া দেখেন। কেউ তো পড়েন না রামছাগলের আত্মকাহিনী..তাই আবার লিখলাম। এখন কইন চাইন দেহি আমি কেডা?)
Comments
Post new comment