মোহিনী আবিষ্কার

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture
Submitted by Shashtha Pandava on Mon, 11/11/2019 - 9:08pm
Categories:

চলচ্চিত্র দেখার ধৈর্য চলে গেছে বহুকাল আগে। তবু কখনো কখনো এক-আধটা চলচ্চিত্র দেখা হয়ে যায়। গত তিন/চার বছরে যা চলচ্চিত্র দেখেছি তার বেশিরভাগ মনে নেই। বছর চারেক আগে মোহসীন মাখমালবাফের ‘সকৌত’ দেখেছিলাম। দেখার পর থেকে চলচ্চিত্রটা আমার মাথায় স্থায়ী আসন গেড়ে বসে আছে। এসব কথা নিয়ে একবার একটা লেখাও লিখেছিলাম। অল্পস্বল্প কিছু পাঠক সেটা পড়েছেনও। এর পর থেকে যেই চলচ্চিত্রই দেখতে নেই সকৌতের ভূত আমার মাথায় ঘাই মারতে থাকে। কিছু দিন আগে ফেসবুকে একজন ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ চলচ্চিত্রের একটা গান শেয়ার দেন। গানটা দেখার পর কেন যেন চলচ্চিত্রটা দেখার ইচ্ছে হলো।

তারপর রাতে ইউটিউবে চলচ্চিত্রটা খুঁজে বের করে দেখতে নিলে দিশা বললো, চলচ্চিত্রটা একটানা দেখো, নয়তো মজাটা থাকবে না।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি এই চলচ্চিত্র দেখেছো?
দেখেছি মানে, আরও পাঁচ বছর আগে দেখেছি, বাসায় ডিভিডিও আছে।
তুমি এটা দেখেছো অথচ কখনো এটার প্রসঙ্গে কিছু বলোনি কেন?
আমার কেন যেন মনে হয়েছিল চলচ্চিত্রটা তোমার কাছে ফালতু লাগবে, তাই কিছু বলিনি।

দিশা ঘুমিয়ে পড়ে, আমি চলচ্চিত্রটা দেখতে থাকি। মিনিট দশেকে প্রাথমিক জাড্যতাটা কেটে যাবার পর আমি আস্তে আস্তে করে প্রমিত আর অমিতের সাথে ‘মোহিনী’র সন্ধানে নেমে পড়ার অভিযানে ডুবে যেতে থাকি। কাহিনীর সাথে দৃশ্যায়ণ-চিত্রায়ণ,আবহসঙ্গীত,মূল সঙ্গীত, সম্পাদনা আর অভিনেতাদের সহজ অভিনয় মিলিয়ে চলচ্চিত্রটা একটা ভিন্ন অবস্থানে পৌঁছে যায়। সকৌতের পর এই চলচ্চিত্রটা আমার করোটিতে স্থান করে নেয়। সাধারণত ঋত্বিক চক্রবর্তীর অভিনয় আমার জুত লাগে না, কিন্তু এখানে মনে হয় ঋত্বিকই ঠিক আছেন।

মধ্যরাতেরও অনেক পরে ইউটিউবে চলচ্চিত্রটা শেষ হবার পর দর্শকদের মন্তব্য পড়তে গিয়ে প্রেমেন মিত্তিরের ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’-এর নাম জানতে পারি। রাত হয়ে যাওয়ায় আর তার খোঁজ করিনি, কিন্তু পরদিনই তার খোঁজ করে পড়ে ফেলি। আমি আরেকটা ধাক্কা খাই এই গল্প আমার কেন আগে পড়া ছিলোনা সেকথা ভেবে।

+++++++++++++++++++++++

‘মোহিনী’ গ্রামটা আমরা চিনি, অন্তত এই প্রকারের স্থানের কথা আমরা জানি। না, চলচ্চিত্রতে যেমন দেখিয়েছে - যেখানে গেলেই সবার প্রেম হয় অমন গ্রামের কথা বলছি না। নদীয়া জেলার কোন এক জায়গায় থাকা মোহিনী গ্রামের কথাও বলছি না। এই গ্রামটা আটলান্টিসের মতো হারিয়ে যাওয়া নয়, শাম্বালার মতো লুকিয়ে থাকা নয় (যদিও চলচ্চিত্রতে অবশ্য কিছুটা অমন দেখিয়েছে), ইসের মতো বিলুপ্ত নয়, অ্যাসফোডেল মিডোজের মতো পৌঁছানো দুরূহ নয়। এমনকি এল দোরাদোর মত ক্রমাগত অবস্থান পরিবর্তন করা নয়। আমাদের মোহিনী মাকোন্দো বা মালগুড়ির মতো একটা স্থান। সেটা আছে, কোথাও না কোথাও আছে। যখন কারো সত্যি সত্যি সেখানে যাবার প্রয়োজন হবে তখন আন্তর্মাত্রিক দ্বার খুলে যাবে আর মানুষটি অনায়াসে বর্তমান মাত্রা থেকে মোহিনীর মাত্রায় চলে যেতে পারবে।

+++++++++++++++++++++++

প্রথম মাত্রিক জগতের কোন কিছু দ্বিতীয় মাত্রিক জগতে যাবার পর ফিরে আসতে চাইলে তাকে শূন্য হাতেই ফিরতে হবে। তবে কখনো কেউ কেউ মাত্রা ভেঙে অন্য মাত্রায় যে চলে আসে না তা নয়। তাকে দেখলে আপনার Déjà vu‘র মতো কিছু হলে ভাববেন না যে সেটা অন্য কোন জন্মের ব্যাপার। কেউ মারা গেলে তার দেহ পঞ্চভূতে মিলিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। দেহ মিলিয়ে যাওয়ায় তার অণু-পরমাণুর আবার একত্রিত হতে পারে না, তাই জন্মান্তরও ঘটতে পারে না। নিজ মাত্রায় ফিরে আসার পর স্মৃতি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয় না, তাই মাত্রা ভেঙে আসা কাউকে দেখলে বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতি জাগ্রত হয়। নিজ মাত্রার কোন ঘটনাও এমনটা করতে পারে। তাই কখনো কখনো মনে হয় কী কাজ যেন করা বাকি ছিল, কাকে যেন কী কথা বলার ছিল, কোথায় যেন যাবার কথা ছিল।

এবং কাউকে কাউকে দেখলে মনে হয় এই তো সেই মানুষ! একে তো আমি জনম জনম ধরে চিনি। আমি তো এরই প্রতীক্ষায় ছিলাম।

+++++++++++++++++++++++

আপনি যদি এই ঘটনাকে প্রেমে পড়া বলেন তাহলে আপনাকে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে মোহিনী যে মাত্রাতে থাকুক, সেখান থেকে মাত্রা ভেঙে যে আপনার কাছে আসে সে মোহিনীতে আপনার সাথেই ছিল। আপনি যখন মোহিনীতে ছিলেন তখন এঁর সাথেই আপনার প্রেম হয়েছিল।

+++++++++++++++++++++++

তেলেনাপোতা আবিষ্কারে প্রটাগনিস্টের জ্বরে পড়ার আগ পর্যন্ত সবকিছু প্রথম মাত্রাতেই ছিল। অবশ্যম্ভাবী জ্বরে পড়া বুঝিয়ে দেয় যে বাহন তাদেরকে তেলেনাপোতাতে নিয়ে গিয়েছিল সেটা আসলে আন্তর্মাত্রিক দ্বার, এই চলচ্চিত্রতে যেমন সাইকেল ভ্যান। জ্বরে পড়ে তেলেনাপোতার স্মৃতি ক্রমাগত লুপ্ত হতে থাকা আরও বুঝিয়ে দেয় প্রকৃতি স্বউদ্যোগে আন্তর্মাত্রিক ভ্রমণের সুযোগ দেয় না। তাই প্রমিত ও অমিত দ্বিতীয় দফায় সাইকেল ভ্যানের জন্য অপেক্ষার তর সইতে পারে না। এবং একারণে মোহিনীতে পৌঁছুতে পারে না।

+++++++++++++++++++++++

চলচ্চিত্রর শেষ দৃশ্যে বর্তমান মাত্রায় প্রমিতের দয়িতার উপস্থিতি তার সৌভাগ্যকে নির্দেশ করে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমনটা সব সময়ে হয় না। এ’কারণে কিছু মানুষ কখনো প্রেমে পড়ে না,এবং কিছু মানুষের জীবন থেকে প্রেম হারিয়ে যায়।

+++++++++++++++++++++++

প্রেম, প্রেমে পড়া ইত্যাদি যদি সত্য হয় তাহলে মোহিনীর অস্তিত্ত্বও সত্য। এ’কথা বিশ্বাস না হলে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন …….. “নির্মলা সত্যিই কি মরিয়াছে? আমি দেখিতে পাইতেছি না – এই মাত্র!”


Comments

হিমু's picture

এ ছবিটা কি "তেলেনাপোতা আবিষ্কার" ভিত্তি করেই বানানো? এ গল্পটা থেকে মৃণাল সেন হিন্দিতে বানিয়েছিলেন খণ্ড‌্হর, দেখেছেন?

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

না, ছবিটা তেলেনাপোতাকে ভিত্তি করে বানানো নয়। এটা একটা ডকুফিকশন ধরনের ফুটেজ ফিল্ম বলতে পারেন। সময় থাকলে চেষ্টা করতে পারেন। খণ্ডহর দেখিনি, সম্ভব হলে শীঘ্রই দেখে নেবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

খণ্ডহর দেখলাম। ভালো সিনেমা, তবে এটা 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' হয়নি। খণ্ডহর হচ্ছে বাস্তবতা, আর তেলেনাপোতা হচ্ছে জাদুবাস্তবতা। আমি মৃণাল সেনকে দোষারোপ করছি না। আমার ধারণা, তেলেনাপোতা আবিষ্কারের চিত্রায়ণ সম্ভব না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী's picture
এক লহমা's picture

অনেকদিন আগে 'বাকিটা ব্যক্তিগত' দেখেছিলাম। ভাল লেগেছিল। যে কারণেই হোক মনে পড়ছিলনা। তোমার এই লেখা পড়ে আবার দেখে নিলাম। ইউটিউব থেকে। অন্যরকম ছবি। ভালো ছবি। তোমার রিভিউ পড়া থাকায় এবার দেখাটা আরো উপভোগ্য হল। হাসি

তেলেনাপোতা আবিষ্কারের গল্পটা মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আবার ঝালিয়ে নিলাম।

খন্ডহর অবশ্য-দ্রষ্টব্যের মধ্যে পড়ে। আমার আবার দেখতে ইচ্ছে করছে। ইউটিউব-এ একটা ঝাপসা প্রিন্ট পাওয়া গেছে। হাসি https://youtu.be/TmKrDH_R2as

তোমার রিভিউ পড়তে পড়তে মাহবুব লীলেন-এর অন্তর্যান গল্পটা মনে পড়ে গেল - নলীডোবা থেকে “চা পাতার মতো কড়া সবুজ এক নির্জন প্রকৃতি”-কন্যা প্রাপ্তির গল্প। অতি উপাদেয় গল্প। নিম নাখারা-তে আছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

'অন্তর্যান' আবার পড়লাম। শুধু এটা নয়, লীলেনের এমন আরও অনেক গল্প আছে - নিম নাখারা-তে, উকুন বাছা দিনে, সচলের পাতায়। আমি একবার তাকে বলেছিলাম তার এইসব গল্পগুলোর অনুবাদ হওয়া দরকার - ইংরেজি আর হিস্পানি ভাষায়। ঐ বলাই সার। এইভাবে ভাবা তো লীলেনের প্রকৃতি নয়, তাই অনুবাদ হয়নি।

আমরা ঘরের লোককে প্রাপ্য মর্যাদা দিতে পারি না। যদি সেটা পারতাম তাহলে লীলেন আর সচলের সত্যিকারের গল্পকারদের তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদাটা দিতে পারতাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ's picture

রিলিজ হওয়ার পরের বছরেই দেখেছিলাম, আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছিল।
ঋত্বিকের সাবলিল অভিনয়ও ভাল লেগেছিল (এর আগে ঋত্বিক অভিনিত কোন চলচ্চিত্র দেখিনি)। তবে আমার পরিচিত অনেকেই চলচ্চিত্রটা তেমন পছন্দ করে নাই।

তেলেনাপোতা আবিষ্কার পড়া হইয়নি, এর আগে নামই শুনি নাই। পড়তে হবে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

বাকিটা ব্যক্তিগত সিনেমাটা যদি লোকে পছন্দ করতো তাহলে এটা ব্যবসা সফল সিনেমা হতো। সিনেমাটা পড়ে ছিল, পরে সৃজিত নিজের নামের ছাপ্পা লাগিয়ে রিলিজের ব্যবস্থা করেছিল। তাতেও পয়সা উঠে আসেনি। এই সিনেমাতে অনিন্দ্য সুন্দর চক্রবর্তীর লেখা, সুর করা, পরিচালনা করা আর গাওয়া গানগুলোর বেশিরভাগ চমৎকার। সোহিনী চক্রবর্তীর গানও চমৎকার। বিশেষ করে বিদ্যাপতির গীতিকবিতা থেকে 'ই ভরা বাদর মাহ ভাদর'-এর মৈথিলী পার্টটা অসাধারণ হয়েছে।

তেলেনাপোতার নাম আমিও আগে শুনিনি। আপনাকে তেলেনাপোতা চেনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা's picture

"তেলেনাপোতা আবিষ্কার" গল্পটার কি কোনো লিংক আছে? এই গল্প কি প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা?

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা's picture

দুটো লিঙ্ক দিলাম। একটা না একটায় পড়তে পারা যাবে বলেই মনে হয়।

http://ebanglaschools.blogspot.com/2018/09/blog-post_6.html

আর

https://books.google.com/books?id=W8ykDwAAQBAJ&pg=PT162&lpg=PT162&dq=তেলেনাপোতা+আবিষ্কার&source=bl&ots=OWkOpRsagG&sig=ACfU3U3cWfCcqmbZXGHxTZH2CTs4WZRF_Q&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwirvZ-Ug-7lAhWkc98KHW4LAMMQ6AEwDXoECAgQAQ#v=onepage&q=তেলেনাপোতা%20আবিষ্কার&f=false

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা's picture

দুটো লিংকই খুলছে। অনেক ধন্যবাদ। পড়ে ফেললাম অসাধারণ গল্পটি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিসত্ত্বা আর গল্পকারসত্ত্বা এক হয়ে গেছে যেন এখানে। যেন এই কবিতাটার মতন ---

"কোনোদিন গেছ কি হারিয়ে,
হাট-বাট নগর ছাড়িয়ে
দিশাহারা মাঠে,
একটি শিমূলগাছ নিয়ে
আকাশের বেলা যেথা কাটে?

সেখানে অনেক পথ খুঁজে
পৃথিবী শুয়েছে চোখ বুজে
এলিয়ে হৃদয়।
শিয়রে শিমূল শুধু একা
চুপ করে রয়।

পথ খুঁজে যারা হয়রান
কোনোদিন সেই ময়দান
তারা পেয়ে যায়।
হঠাৎ অবাক হয়ে
আশেপাশে ওপরে তাকায়।

কোনো পথ যেখানেতে নেই
সেখানেই মেলে এক খেই
আরেক আশার
সব পথ পারাবার পর
বুঝি খোঁজ মেলে আপনার।

একদিন যেও না হারিয়ে
চেনা মুখ শহর ছাড়িয়ে
অজানা প্রান্তরে
একটি শিমূল আর আকাশ যেখানে
মুখোমুখি চায় পরস্পরে।"

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নীড় সন্ধানী's picture

'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' নিয়ে একটা ভালো বাংলা সিনেমা তৈরী হয়েছিল বলে মনে পড়ে। সম্ভবত ষাটের দশকে। সিনেমাটা কয়েক বছর আগে দেখেছিলাম ইউটিউবেই। নামটা মনে আসছে না। সিনেমাটি ভালো বানিয়েছিল। 'বাকীটা ব্যক্তিগত' দেখার তালিকায় ছিল, কিন্তু দেখা যে হয়নি তা আপনার লেখা পড়ার পর ক্লিক করে বুঝলাম। 

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু's picture

গতকাল দেখলাম, খুবই আবিষ্ট হয়ে আছি এখনো

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.