ভাদ্র মাসের জীববিজ্ঞান (১৪২৫)

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Fri, 21/09/2018 - 9:52pm
Categories:

জীববিজ্ঞান হালখাতা
২ আশ্বিন, ১৪২৫

সচলে এই সিরিজটি লিখছি পাঠককে জীববিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণার হালনাগাদ জানাতে। প্রতি মাসে একটা পর্ব লেখার অভিপ্রায় আছে, লেখাগুলি হবে আগের মাসের প্রকাশিত আবিষ্কারগুলি নিয়ে। বঙ্গাব্দের হিসেবে হালখাতায় আবিষ্কারগুলি ধরা থাকবে।


ছাগলে সুখী মানুষকে পছন্দ করে

ছাগলে আসলে আমাদের মুখাবয়বের অভিব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারে এবং বুঝতে পারে কে সুখী আর কে অসুখী। তারপর তারা সেরকম বুঝে সুখী মানুষদের সাথে মেশার চেষ্টা করে। এ জিনিস লন্ডনের কুইন্স ম্যারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে। ২০ টি ছাগলকে যথাক্রমে রাগান্বিত এবং হাসিখুশী মানুষের মুখাবয়ব দেখিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হয়েছে। ছাগলকে ছেড়ে দিলে দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগ ছাগল সুখী চেহারা মানুষটির মুখের ছবির কাছে গিয়ে গা ঘষছে। উপরের ভিডিওটি দেখুন।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-08-goats-happy-people.html

জিনগত ত্রুটি মানুষকে বড় কিন্তু ঝুঁকিযুক্ত মস্তিষ্ক দিয়েছে

নতুন খুঁজে পাওয়া কিছু জিন থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে এসব জিনগুলি আদিম মানুষে ছিলো আর এরা আমাদের মস্তিষ্ককে বৃহদাকার দিয়েছে। এই আবিষ্কার আমাদেরকে মানুষের উদ্ভব নিয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা দিচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে প্রাইমেট প্রাণীজগতে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। একদল মানুষের উত্তরসুরীর মস্তিষ্কের আকার খুবই কম সময়ে বেড়ে যায়। এই উত্তরসুরীদেরকে আমরা চিনি অস্ট্রালোপিথেকাস নামে। বিজ্ঞানীরা বেশ ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন ব্যাপারটা নিয়ে। বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স ইনস্টিটিউটের একটা নতুন গবেষণা প্রকল্প মস্তিষ্কস্ফিতীর কারণগুলি খোঁজার জন্য কিছু জিনের পেছনে ছুটেছেন। তার বুঝতে পেরেছেন কিছু বিশেষরকম জিন ঐসময়ের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়, যা আগের ধরনের মানুষে (প্রায়মানুষ) ছিলোনা। বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন এই জিনগুলি আসলে নচ নামের (NOTCH) একধরনের জিনের অপভ্রংশ। মানে নচ জিনটার কিছু ত্রুটির কারনে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়েছে মানুষে, ফলে মস্তিষ্কের আকার বেলুনের মতো ফুলে গিয়েছে। কী অদ্ভুৎ, তাইনা?!

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-08-genetic-error-humans-evolve-bigger.html

আমাদের পাকস্থলীতে থাকা ব্যাকটেরিয়ারা চিনি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করে

আপনারা জানেন যে আমাদের পাকস্থলী ভর্তি আছে অসংখ্য ধরনের অণুজীব। এরা মূলতঃ ব্যাকটেরিয়া। খাদ্য পরিপাক থেকে শুরু করে আমাদের মানসিক অবস্থা, সবকিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ব্যাকটেরিয়ারা। এক কথায়, এদের ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতামন না। সুইডেনে লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ খুঁজে পেয়েছেন যে পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়ারা চিনিকে ভেঙে তড়িৎ উৎপাদন করতে পারে। গবেষণার ফলাফলটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে দুই কারনে - নতুন ঔষধ আবিষ্কারে আর জৈবশক্তি উৎপাদনে।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-intestinal-bacteria-electric-current-sugar.html

পুষ্টিমান পাকস্থলীর কোষের গঠন এবং ধরণকে প্রভাবিত করে

ফলের মাছির (ড্রোসোফিলা) উপর গবেষণা করে কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ বুঝতে পেরেছেন যে খাদ্যের পুষ্টির ধরণের উপর নির্ভর করতে পারে আমাদের অন্তঃস্থ অঙ্গগুলির কোষের গঠন - যেমন, পাকস্থলী বা জরায়ুর কোষগঠন। ব্যাপারটা পরিপাকের সাথে জড়িত। ফলমাছির পাকস্থলীতে আসলে তিন ধরনের কোষ থাকে - নিধিকোষ, হরমোন-তৈরিকারক কোষ এবং পুষ্টি-প্রক্রিয়াকরণ কোষ। এখানে নিধিকোষটি সবচেয়ে জরুরী, যারা বিভিন্নভাবে প্রোগ্রামকৃত হতে পারে। ফলে বিভিন্ন কোষ তৈরি করতে পারে। দেখা গিয়েছে যে পুষ্টিমান এবং ধরণ এই নিধিকোষের প্রোগ্রামিংকে প্রভাবিত করে।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-intestines-cellular-response-diet.html

ক্ষুদ্র জীবাশ্ম দেখাচ্ছে স্তন্যপায়ীদের বিবর্তনিক সাফল্যের জন্য কেন আকারে ক্ষুদ্র হওয়া জরুরী ছিলো

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণা দেখাচ্ছে কেন ক্ষুদ্রাকায় হওয়াটা স্তন্যপায়ীদের গত ২০ কোটি বছরের বিবর্তনের জন্য আবশ্যকীয় ছিলো। যদিও স্তন্যপায়ীদের উদ্ভবকে খুঁজে বের করতে সেই ২০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরদের সময়ে ফিরে যেতে হয়, তারপরও দেখা যায় যে, ডাইনোসরগণ যেখানে আকারে বিশাল হয়ে টিকে ছিলেন, সেখানে স্তন্যপায়ীগণ গত ১৫ কোটি বছরে শুধু ক্ষুদ্রাকায় হয়েছে বেঁচে থাকার জন্য। নতুন পাওয়া এক জীবাশ্মের সিটি স্ক্যান থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের চোয়ালের ছোট হওয়ার কারনে পুর্নগঠনের ফলে স্ট্রেস বা চাপ আগের মতো নিতে হয়না খাদ্যগ্রহনের সময়। এতে শক্তি কিছুটা কমলেও অপেক্ষাকৃত নরম জিনিসকে আমরা খেতে অভ্যস্ত হয়েছি। এই পরিবর্তনটা স্তন্যপায়ীর টিকে থাকার জন্য জরুরী ছিলো।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-tiny-fossils-reveal-essential-successful.html

৫৬ কোটি বছর আগের স্নেহ সর্বপ্রাচীন প্রাণীটিকে সনাক্ত করেছে

অস্ট্রেলিয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি এক আদিম প্রাণীর জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে বুঝতে পেরেছেন যে এই জীবাশ্মের প্রাণীটি আসলে এযাবৎকালের আবিষ্কৃত সর্বপ্রাচীন কোন প্রাণীর নমুনা। আসলে অতিপ্রাচীন জীবাশ্ম থেকে জৈবপদার্থ খুঁজে পাওয়াটা বেশ কষ্টকর বিষয়। এই গবেষকদল কিছু পর্বতের ঢাল খনন করে কিছু জীবাশ্ম পেয়েছেন যেখানে স্নেহপদার্থ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেই বিশ্লেষণ থেকে এই আবিষ্কার। জীবাশ্মটি ছিলেো Dickinsonia নামের এক আদি প্রাণীর। এ নিয়ে ভিডিও দেখে নিতে পারেন এখান থেকে -

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-fat-million-years-reveals-earliest.html

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-08-genetic-error-humans-evolve-bigger.html

এক অতি বিশেষরকম প্রোটিন তৈরির যন্ত্র

ঘুমরোগের নাম শুনেছেন হয়তো। ঐযে ৎসেৎসে নামের মাছির মাধ্যমে ট্রিপানোজোমা নামের একধরনের পরজীবি এককোষী প্রাণীর মাধ্যমে যে রোগ হয়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন যে এই পরজীবির মাইটোকন্ড্রিয়ার রাইবোজোম এক অদ্ভুত ধরনের রাইবোজোম, যা অন্য কোনধরনের জীবকোষে পাওয়া যায়না। মাইটোকন্ড্রিয়া হলো কোষের শক্তিতৈরি আর সঞ্চয়ের অঙ্গাণু। এর নিজস্ব ধরনের রাইবোজোম আছে যা কোষের সাধারন রাইবোজোমের চেয়ে ভিন্ন। আর রাইবোজোমের কাজ হলো কোষের জিনের হিসাব রাখা, কোষের জন্য প্রকল্প তৈরি করা আর সে অনুযায়ী জিন থেকে প্রোটিন সংশ্লেষ করা। তো সকল রাইবোজোমের ভর্তি থাকে আরএনএ নামক একধরণের জিনগত উপাদানে। ট্রিপানোজোমা রাইবোজোম ভর্তি আসলে বিভিন্নধরনের প্রোটিনে। প্রথমবারের মতো এমন রাইবোজোম পাওয়া গেলো। সুইস বিশ্বিবদ্যালয় ইটিএইচ জুরিখ আর বেন এর গবেষকগণ ক্রায়ো ইএম পদ্ধতির মাধ্যমে আবিষ্কৃত ফলাফলটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশ করেছেন গত সপ্তাহে।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-special-protein-synthesis-machinery.html

ক্রিস্পার-ক্যাস জিন সম্পাদনা পদ্ধতির নতুন নিবারক আবিষ্কার

ক্রিস্পার-ক্যাস জিন সম্পাদনা পদ্ধতির নাম শুনে থাকবেন। আণবিক জীববিজ্ঞানকে আমূল পাল্টে দিয়েছে এই পদ্ধতি। তবে আমেরিকার সরকার চিন্তিত এই পদ্ধতি আবিষ্কারের কারণে জৈবাস্ত্র আবিষ্কার সহজ হয়ে যাবে বলে। আর বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষাতেও এই পদ্ধতির একটা ইনহিবিটর বা নিবারক দরকার। এর পেছনে ছুটেছেন বিজ্ঞানীরা গত ৫ বছর ধরে। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে, ইউসিএসএফ আর ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের গবেষকগণ দুইটা পৃথক পরীক্ষায় দুইধরণের পৃথক নিবারক আবিস্কার করেছেন। ক্রিস্পার নিয়ে বহু আবিষ্কারগুলির ভিড়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক আবিষ্কার হলো এটা।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-unrelated-result-discovery-crispr-cas12a-inhibitors.html

মানুষের বিবর্তনে পাকস্থলীর অণুজীবের ভূমিকা

ওরেগন বিশ্বিবদ্যালয়ের নেতৃত্বে এক আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশান প্রকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে আমাদের পাকস্থলীর অণুজীবদের সাথে আসলে মানুষের বিবর্তনের সম্পর্ক কী। এমবায়ো সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রথম গবেষণাটি পাকস্থলীতে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে মানুষের বিবর্তনিক সূত্র ধরে বিভাগায়িত করেছে। অর্থাৎ কোন উত্তরসুরী থেকে আমরা কোন ব্যাকটেরিয়া পেয়েছি। এভাবে কোন ব্যাকটেরিয়াগুলি আমাদের টিকে থাকার সাথে জড়িত, আর কোনগুলি নয় তার একটা হিসেব পাওয়া যায়। ব্যাপারটা মানুষের বিবর্তনকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://phys.org/news/2018-09-gut-microbes-role-mammals-evolution.html

আমাদের পাকস্থলী মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি যুক্ত, নতুন আবিষ্কৃত স্নায়ুরজ্জু দ্বারা বোঝা যাচ্ছে

প্রায় ১০ কোটি স্নায়ুকোষ দিয়ে আমাদের পাকস্থলী আবৃত। সেজন্য বলাচলে পাকস্থলী আসলে একটা দ্বিতীয় মস্তিষ্ক! আসলে এই পাকস্থলীর মস্তিষ্ক মাথায় থাকা প্রথম মস্তিষ্কর সাথে কথা বলে হরমোনের মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ দিয়ে। এভাবে আমরা বুঝি কখন আমরা ক্ষুধার্ত ইত্যাদি। খাদ্যগ্রহণজনিত বিভিন্ন রোগ, মোটা হওয়া, বিষন্নতা ইত্যাদি রোগের সাথে এই যোগাযোগ ব্যবস্থাটির সম্পর্ক আছে। (বিষন্নতার সময় মানুষ বেশি বেশি খাচ্ছে বলে দেখা যায়)। রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সাথে পাকস্থলীর যোগাযোগে মোটামুটি ১০ মিনিট সময় লাগে বলে ধরা হয়। ডিউক বিশ্বিবদ্যালয়ের এক নতুন গবেষণা বলছে আসলে যোগাযোগটা আর দ্রুত হতে পারে, কারন পাকস্থলীর স্নায়ুকোষের সাথে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ সরাসরি যুক্ত একধরনের রজ্জুর মাধ্যমে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থাটা আসলে খুব আশ্চর্যের কোন ব্যাপারও নয়, যখন আপনি চিন্তা করবেন প্রায় ৬০ কোটি বছর আগে বিকশিত প্রাণীতে Trichoplax adhaerens তে একইরকম যোগাযোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে! এই আবিষ্কার নতুন অনেক গবেষণার দুয়ার খুলে দিয়েছে আমাদের সামনে।

বিস্তারিত পড়ুন -
https://www.sciencemag.org/news/2018/09/your-gut-directly-connected-your-brain-newly-discovered-neuron-circuit?utm_source=newsfromscience&utm_medium=facebook-text&utm_campaign=gut2brain-21578

https://phys.org/news/2018-08-genetic-error-humans-evolve-bigger.html


জীবন হালদার


Comments

অতিথি লেখক's picture

আপনার লেখাটা ভালো লাগলো জীবন হালদার। সময় নিয়ে লিংকগুলোতে ঢুঁ মারার ইচ্ছে রাখি। পনেরো ষোল বছর আগে পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফিউচারামা নামে একটা টিভি সিরিজে দারুণ একটা পর্ব দেখেছিলাম। ওই কার্টুনের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফ্রাই ভুল করে পচা খাবার খেয়ে ফেলেছিলো। খাবারের সাথে ঢুকে পড়া ব্যাকটেরিয়া গুলো ফ্রাইয়ের পাকস্থলীতে আস্তানা গেড়ে আমূল বদলে দিয়েছিলো তাকে। ফ্রাই হয়ে উঠেছিলো সুঠাম, উদ্যমী আর দারুণ বুদ্ধিমান।

---মোখলেস হোসেন

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

গুড জব জীবন হালদার! প্রতি মাসে এমন একটা ডাইজেস্ট পেলে বেশ হয়। তাহলে জীববিজ্ঞানে আগ্রহী পাঠকের অনেক খাটুনি কমে যায়। খবরগুলো শেয়ার করার সময় আপনার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ আরেকটু বেশি করে যোগ করার চেষ্টা করুন, তাহলে সাধারণ পাঠকের পক্ষে বিষয়টা আরও আকর্ষণীয় হয়।

আশা করি মাসখানেকের মধ্যে 'আশ্বিন মাসের জীববিজ্ঞান (১৪২৫)' পেয়ে যাবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু's picture

চমৎকার! আশ্বিন মাসের হালনাগাদের অপেক্ষায় রইলাম।

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

উত্তম প্রচেষ্টা। সাধু! সাধু!!

সোহেল ইমাম's picture

খুবই ভালো উদ্যোগ। সচল থাকুক বিজ্ঞানের এই পাতাটা। হাততালি

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অনার্য সঙ্গীত's picture

খুব ভালো উদ্যোগ।

কয়েকটা মন্তব্য,

সুইড Lund এর উচ্চারণ হবে লুন্ড।

ক্রায়ো ইএম হচ্ছে ক্রায়োজেনিক ইলেক্ট্রণ মাইক্রোস্কোপি। "ক্রায়োজেনিক" পদ্ধতি হচ্ছে জৈবিক নমুনাকে মাইক্রোস্কোপির জন্য প্রস্তুত করতে খুব দ্রুত অতি নিন্ম তাপে ঠান্ডা করে ফেলার প্রক্রিয়া। এটার প্রয়োজন কারণ, ইলেক্ট্রণ মাইক্রোস্কোপিতে নমুনার উপর ইলেক্ট্রেণ বর্ষণ করা হয়। তাতে বিশেষত জৈবিক অণু বিকৃত হয়ে যেতে পারে, পুড়ে যেতে পারে। ক্রায়োজেনিক নমুনা তৈরি করলে সেই বিকৃতি কমে যায়। এই প্রক্রিয়ার আবিষ্কাকরা গতবছর নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন।

পরের লেখায় কিছু কিছু স্থানে সামান্য ব্যাখ্যা করে দিলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা। যেরকম ষষ্ঠ পাণ্ডব বলেছেন।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আয়নামতি's picture

সাধারণ পাঠক হিসেবে পাণ্ডবদার সাথে আওয়াজ তুললাম। চলুক।

এক লহমা's picture

বাঃ! চমৎকার সংকলন, চমৎকার পরিকল্পনা। হাততালি
ষষ্ঠ পাণ্ডবের সাথে সহমত।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী's picture

আমাদের মতো আম পাঠকদের জন্য এমন ছোট্ট কিন্তু প্রয়োজনীয় সারাংশ দিয়ে লেখাটাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন বলে ধন্যবাদ জানুন। প্রতিটি পয়েন্টই চমৎকার। তার মধ্যে দুটো পয়েন্ট নিয়ে বলি-

১। তাহলে বলা চলে - নচ জিনটার কিছু ত্রুটির কারনে মানুষ পৃথিবী শাসন করার মতো যোগ্যতম প্রাণী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

২। পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া যে বিদ্যুত তৈরি করে সেই বিদ্যুতের সাথে মাইটোকণ্ড্রিয়ার ভিতরে অবস্থিত পাওয়ার হাউসের সাথে কোন যোগাযোগ আছে কিনা জানতে ইচ্ছে করে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.