তিন কুটি পাউন্ড আমায় দিলে

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Sun, 20/05/2018 - 9:21pm
Categories:

রাজনাতি হেরি
কুথা হতে জুটায়াছে শ্যামাঙ্গিনী এক সুন্দরী
বেগানা নারী, মেগানা তার নাম।
রামাদানের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করে আজ তারা সারাটি দিন ব্যাস্ত বনবাসী বনবোর ন্যায়
উদ্দাম ধস্তাধস্তি জাবরদস্তি লিঙ্গমস্তিতে।

সারাটি দুনিয়া তাদের এই পাউন্ডের হোলিখেলা দেখিতে অজ্ঞান।
হোসনে আরা সারাটি ছুটির দিন লইল সাধের মেকবুকটির দখল
বেন্ডুইথ পুড়াইয়া দেখিল উহাদের বখাটেপনা।
আমায় নিকটে পাইয়া সরোষে কহিল বিবি, কেট মিডেল্টন এ বতসরও বাচ্চা বিয়াইল। আর তুমি?
আমি যবে আকাশ হইতে পড়িয়া গা হাত পা ঝাড়িয়া কহিলাম, কসম আসমান অওর জমিন, উহাতে আমার কুন ভূমিকাই নাই
দাতে দাত পিষিয়া সে কড়মড় তুলিল আওয়াজ আর টেলিভীষন হিন্দিতে কহিল নিকালো হিয়াসে।

ধীরে ধীরে চুপিচুপি দুখাকুল মনে গেনু বৈঠকখানায়,
কিছুক্ষণ ভোলাটা দাড়িয়ে হোথা হয়ে শেষে কুন্ডলী পাকাইয়া সোফায়
ভাবিলাম ঐ তিন কুটি পাউন্ড আমায় দিলে
সভ্যতার হত উপকার।

প্রথমেই কিনিতাম একটি দুই কাঠার ইয়ট, "হোসনের হাহাকার" নামখানি এক পাশে লেপিয়া
কেরাসিন ভরিয়া উহায়
চলিতাম কেরিবিয়ান সাগরে।
প্রিয়াংকা বিয়াংকা ইভাংকা সকলকেই দাওয়াত দিয়া তুলিতাম তায়।
বারমুডা অঞ্চলে ঘুরপাক দিয়া করিতাম ট্রায়াংগেল গবেষনা। দিনরাত।
ইতস্তত দ্বীপকুলে পানি কেরাসিন চিড়ামুড়ি সিভিটা ও বড়দের টেবলেট ক্রয় করিবারে থামিয়া স্থানীয় তরুনীদিগে
ফুসলাইয়া কহিতাম বেবিজ তুমরা কি চাও স্পার্ম হোয়েল চাক্ষুষিবারে?
তারপর মাঝসাগরে উহাদের নিয়া গিয়া করিতাম মধুর প্রতারনা।

সাগরের হাওয়ায় গেঞ্জিপেন্ট প্রভৃতি না শুকাইলে চলিয়া যাইতুম নেভাদায়
মরুমধ্যে অপবিত্র ভেগাস নগরী গিয়া
কিছুদিন খেলিতাম পোকার রুলেত
উদার হস্তে বখশিশ বিলাইতাম ডানে বাঁয়।
হোটেল কামরায় জমাইতাম উদ্দাম অভিজাতীয় পার্টি।
মার্কিন পাপীরা তুলিয়া চক্ষু কপালে, শুধাইত, আরে কে এই জলসা-জানোয়ার? এ যে পেশাদার ধনী খেলায়েত, নো?
পর্যটক কুন তেলখনি শেখ জবাবে ফেলিয়া ঈর্ষান্বিত ফোসফাস দীর্ঘশ্বাস
বলিত, আলাদিন!

এভাবেই সম্বৎসর
সাগরে সাগরে ধরিতাম সামুদ্রিক পুটিমাছ
কেপ্টেন নিমোর ন্যায় কদাচিত নীল তিমির চোরাই দুগ্ধ অকস্মাৎ আনিতাম দোহন করিয়া
সোলার সেল, উইন্ড মিল ও পাথরকুচির পাতা দিয়া করিতাম সবুজ কারেন উতপাদন।
আর সেন্ডো গেঞ্জি পরিহিতা রমনীদিগের ধরিয়া সারা গায়ে সানস্ক্রিন মালিশের পাশাপাশি পাঠ করিয়া শুনাইতাম আমার কবিতা।
বকরি ঈদে বন্ধুভাবাপন্ন কুন ডলফিন হালাল দিয়া চালাইতাম কাজ।
কেপ্টেন নিমোরই ন্যায় নটীলাস্যে কাটিত জীবন।

সভ্যতার নাম কি ফাটিত না তায়?
অথচ ঐ তিন কুটি পাউন্ড বহিয়া চলিয়া গেল বিলেতের ছাতাপড়া নালা নর্দমায়
অকারন।

============

নামঃ খেলায়েত
পেশাঃ কবি


Comments

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

কবিতা পড়ে বিরাট চিন্তায় পড়ে গেলাম। হোসনে বিবির লাথি খাইয়া হউক আর আগে থেকে হউক, খেলায়েত খাঁ'র 'ক্ষমতা' কিছু অবশিষ্ট আছে বলে তো মনে হচ্ছে না। এই লোককে তিন কোটি পাউন্ড দিয়ে কী লাভ! এর পক্ষে 'ট্রায়াংগেল' গবেষণা বা ক্যারিবিয়ান বেইবিদেরকে 'স্পার্ম হোয়েল' দেখানো সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। এই লোকের দৌড় স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিতা রমণীদের গায়ে সানস্ক্রিন মালিশের করতে করতে কবিতা শোনানোর চেয়ে বেশি কিছু নয়। নয়তো কেট মিডলটন-৩ হোসনে আরা-০ হয় কী প্রকারে?

পুনশ্চঃ কবি খেলায়েত খাঁ'র কবিতাগুলোর ক্যাটেগরিতে 'খেলায়েত' ও 'হোসনে আরা' ট্যাগ যুক্ত করে দেবার জন্য মডুদের প্রতি অনুরোধ থাকলো। এতে পাঠকদের পক্ষে খেলায়েতের সব কবিতা সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

খেলায়েত's picture

জনাব আপনি কি আমার শশুড়বাড়ি অঞ্চলের লুক? যদি তাই হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ফাসি দাবী করছি। আর তা না হলে একদিন কুন পিজ্জারিয়ায় পিজ্জা খাওয়াইলেই মাফ করে দিব। আপাতত লাইক দিয়ে পাশে থাকুন।

কবিদের ক্ষমতা স্বীয় পত্নীর উপর অধুনা কম প্রযুক্ত হয়। সে আমলে ফেসবুক থাকলে রবী ঠাকুরের পাচটি সন্তান হত না, এ কথা মার্ক জাকারবার্গও কংগ্রেসে অজুহাত দিতে গিয়া স্বীকার করেছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

আপনার বিবি হোসনে আরা'র মুবাইল নাম্বারটা আমারে দেন। তার সাথে একটু সুখদুখের গপ কইরা দেখি তিনি আমাদের অঞ্চলের কিনা। আর আমার ফাঁসি দাবী করা যাবে কি যাবে না সেটা বিচারের ভার আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের (মানে হোসনে আরা'র) হাতে থাকুক।

খানা যার যার নিজের হাতে খাইতে হয়। এক ব্যাটাছেলে আরেক ব্যাটাছেলেরে পিজ্জা খাওয়াইতাছে এই বীভৎস দৃশ্যটা চিন্তা করতেও বমি পায়।

রবিবুড়ার সন্তান সংখ্যা কয়টা সেইটা বুড়া নিজে কি ঠিক ঠিক জানে? ফেসবুক থাকুক আর নাই থাকুক; আয়ত্বে স্বস্ত্রী থাকুক আর পরস্ত্রী থাকুক যার ক্ষেমতা আছে সে ঘরে বাইরে গোল দিয়ে একাকার করে ফেলে। টাকলু উইলির কাছে ৩-০ গোলে হারে না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক's picture

আপনি আমার শশুড়বাড়ি অঞ্চলেরই লুক। কুন সন্দেহ নাই আর।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

কইলাম হোসনে বিবি'র মুবাইল নাম্বারটা দিতে। সেইটা রাইখা খালি নানা আশকথা পাশকথা। রেগে টং


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক's picture

"জলসা-জানোয়ার" শব্দটা মনে ধরছে ।

Quote:
ফুসলাইয়া কহিতাম বেবিজ তুমরা কি চাও স্পার্ম হোয়েল চাক্ষুষিবারে?
তারপর মাঝসাগরে উহাদের নিয়া গিয়া করিতাম মধুর প্রতারনা।

হো হো হো

মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি

খেলায়েত's picture

ধন্যবাদ। কখনও খারাপ খারাপ কথা বলে নারীর মন জয় করতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমার কবিতার হাদিয়া কিন্তু কম না। আবার আসবেন।

অনার্য সঙ্গীত's picture

কবি খেলায়েত কোনো কারণে কখনোই পাঠকের মন্তব্যের জবাব দেন না। এই মনোভাবটা আমার কাছে ঠিক "ব্লগীয় আচরণ" বলে মনে হয়না। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশেষত ব্লগে কারো এরকম মনোভাবে খুব বিরক্ত হই। সেই বিরক্তিটা প্রকাশ করে গেলাম মন্তব্য।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক's picture

খেলায়েত সাহেব জাফর ইকবাল স্যারের লাইনের লোক । পাঠক কি ভাবিলেন তাহাতে তার কি বা আসে গেল চোখ টিপি

মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
========================
mamun babu ২০০১ at gmail.com
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি

সত্যপীর's picture

হোসনে আরার কাছে ধরা খায়া খেলায়েত সা'ব পেশাই ছাইড়া দিছেন সেই সম্ভাবনাও উড়ায় দেওয়া যাইতেছে না মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

উনার প্রথম কবিতাতে উনি পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি একেবারে প্রতিক্রিয়াহীন। কিছু মহারথী অতীতে সচলায়তনে কিছু পোস্ট দিয়েছিলেন, কিন্তু কখনো কোন পাঠকের মন্তব্যের জবাব দেননি। যেহেতু সচল অনলাইনে লেখকদের সমাবেশ তাই অন্য লেখকদের অবজ্ঞা করা সেসব মহারথীর মহাভার সচল বহন করেনি। এখনো অনেককেই দেখি পাঠকের পরিশ্রমলদ্ধ প্রতিক্রিয়ার কখনো সখনো দায়সারা উত্তর দেন অথবা একেবারেই উত্তর দেন না। এই প্রকার লেখকদের পোস্টে আমি আজকাল মন্তব্য করা বন্ধ করে দিয়েছি। পাঠকের সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় অভ্যস্থ হতে অনাগ্রহীদের ভার সচল আর না বইলে খুশি হবো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনার্য সঙ্গীত's picture

আমার খেলায়েত পাঠ কুয়ান্টাম কাজের ছেলে থেকে। সেইজন্য প্রথম লেখায় মন্তব্যের ব্যপারটা জানা ছিলনা।

সচলের অনেক লেখকও পাঠকের মন্তব্যের জবাব দিতে উদাসীন। আমি নিজে এই কাজটা করেছি দুয়েকটা লেখায়, তবে সেটা মূলত পরিস্থিতির প্রয়োজনে, না পেরে।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, কেউ কেউ পাঠক এবং পাঠকের মন্তব্যের উঁচু/নিচু মানে বিশ্বাসী। উঁচুদরের পাঠকের উঁচু মন্তব্যের বিশেষায়িত জবাব হয়। নিচু পাঠকেরা অগ্রাহ্য থাকেন। এতো নিয়মনীতি/রাজাউজির জোলাশুদ্র দুনিয়াতে না থাকলেই ভালো হতো। সে যখন হয়না, তাই মনে/মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করে যাই।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আয়নামতি's picture

চলুক

সবজান্তা's picture

এমন কি হইতে পারে যে, খেলায়েত সাহেব আসলে নিজের পরিচয়টা লুকায়ে রাখতে চান? বেশি কমেন্ট করলে সেইটা হয়তো বের হয়ে যাইতে পারে।

আমি পার্সোনালি খেলায়েত সাহেব যদি মন্তব্য না করে শুধুই কবিতা লিখে যান, তাতেও বেজায় খুশি।

মন মাঝি's picture

--ঘ্যাচাং--

****************************************

Rasha's picture

ভালোলাগলো

অতিথি লেখক's picture

বরাভো বরাভো

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.