কিতাব আল গাইর-ইস্তিফাজ (ওয়ালিমাঃ ওয়াহিদ)

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture
Submitted by silent_watcher [Guest] on Sat, 06/02/2016 - 12:40am
Categories:


১।

ক’বছর আগে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে আসার পর প্রথম আফসোস ছিল বইমেলা নিয়ে। অথচ, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কি ভাবে যেন ঢাকায় কোনও না কোনও কাজ পড়েই যায়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রথম দিনে বিকেলের মাঝে সব কাজ সেরেই দৌড়। এবার বইমেলায় কি যেন একটা গড়মিল আছে। মেলার প্রথম দিন একটু অগোছালো ভাব, অসমাপ্ত স্টল, হাতুড়ির ঠুকঠাক এসব চলবেই। দেখতে ভালই লাগে, এবারও তারা উপস্থিত যথারীতি। অনুপস্থিত যিনি, তার নাম স্বতস্ফূর্ততা। প্রথম দু’দিন মেলায় গিয়েছি। এমন মৃতপ্রায় মেলা দেখিনি আগে। আপামর চাপাতিবাজেরা সফল বৈকি। পেন ইজ মাইটিয়ার দ্যান সোর্ড? ডাহা মিথ্যে কথা, ওসব বইয়ের পাতাতেই হয়। বাস্তবের চেহারা এবারের বইমেলার মতন কর্কশ আর একঘেয়ে।


২।

এবার বইমেলার আগে ডঃ কোপা সামসু যেভাবে উস্কানিমূলক আচরণ প্রত্যাহার করতে বলেছেন, তাতে আমি যারপরনাই আনন্দিত। লেখকগুলো ফি বচ্ছর উস্কানি করে, বেলেল্লাপনা করে, উগ্রতা করে। দিনশেষে কোপাকুপির মতন মোলায়েম ঘটনার ঝালটা যায় প্রশাসনের ওপর। এবার উনারা দারুণ ব্যাবস্থা নিয়েছেন। গর্দানের নিচে দাগদুগ নেই তো শেখাও নেই। মাথা নেই তো মাথাব্যাথাও নেই। স্টলগুলোও সেই আহ্বান বুক ভরে গ্রহণ করেছে। সবাই তো আর উগ্র নয়, কেউ কেউ উগ্র। তাই না? শুদ্ধস্বরের স্টলের অলংকরণ করা হয়েছে লাল-কালোর মিশেলে। কেমন আঁধার আঁধার ভাব। দেখলে ভয় লাগে। আগে এই স্টলে চেনাজানা একগাদা মুখ দেখতে পেতাম। গতবারও তারেক রহিম কিংবা এনকিদু (দুজনের চেহারা আমার কাছে একই রকম লাগে) হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাতেন ব্যাগ ঘাড়ে এক আধপাগলা ক্রেতাকে। এবার তারা অনুপস্থিত। উপস্থিতেদের দেখে কেবলই স্টলে বসার চাকুরীজীবী মনে হল, বইবিক্রেতার স্বতস্ফুর্ততা নেই। তাঁদের দোষ দিচ্ছিনা। আমার সামনেই এক প্রৌঢ় ভদ্রলোক ‘বিশ্বাসের ভাইরাসের’ কথা জিজ্ঞাসা করলেন। স্টলবাসীরা আমতা আমতা করছেন দেখে আমি মুখ ফসকে বলেই ফেললাম- ‘ওটা জাগৃতির স্টলে পাবার কথা, এখানে না।’ ভদ্রলোক সংক্ষেপে জানালেন- ‘জাগৃতিতে নেই।’


৩।

এবার বইমেলার ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’ অংশের মানচিত্র দেখতে কতকটা দাবার বোর্ডের মতন, তবে ছক কাটার সংখ্যা ৬৪’র বেশি। তাও আবার সমান্তরাল নয়। গতবারে মতন সীমানা বরাবর টানা স্টল নেই। বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মতন বেশ কিছু জায়গায় টিনের বেড়ার মাঝে চিচিং ফাঁক। অবশ্য হালাল বইমেলা তো, কিছু ঘটবে না বোধহয়। লাইটিঙের ব্যাবস্থা অতি খারাপ। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইলেক্ট্রিশিয়ান সম্ভবত ইঞ্জিনিয়ারিঙে বি.এ. কিংবা বি.কম. ডিগ্রি নিয়েছেন। তাঁর উর্বর মস্তিষ্কে নিয়ন্ত্রক স্বত্বা সদা জাগ্রত। কেননা সব স্টল এবং অস্থায়ী ল্যাম্পপোস্টে ‘অনুক্রম সংযোগ (সিরিজ কানেকশন)’, যেটি ‘সমান্তরাল সংযোগ (প্যারালাল কানেকশন)’ হবার কথা। ফলাফল, আটটা বাজার পর কারও কেনে আঙ্গুলের সামান্য হেলনে পুরো বইমেলা দুম করে অন্ধকার। কড়া নিরাপত্তার চাদর বৈকি! নান্দনিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আরিফ রহমানের বইটার নতুন সংস্করণ আসবে কি না? (আগের টা নেই, মনে হয় উসকানি মূলক বই। হাজার হলেও ধর্মভাইদের কড়া গণহত্যার কথা বলা আছে এতে! কি উগ্র বই!) বিক্রেতার উসখুসে আমতা-আমতা দেখেই বুঝে গেলাম যা বোঝার। এ বই আর আসছে না। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা আছে সব অন্ধকার, আগেই বলেছিলাম। আচ্ছা, আরিফ রহমান কি বইটির ই-বুক ভার্সনের কথা ভাবতে পারেন? এবারে বইমেলাতে অন্তত দুটো ই-বই এর স্টল দেখলাম। কারিগরি খুঁটিনাটি বুঝিনি। অভিজ্ঞরা দেখে জানাতে পারেন।


৪।

আগেই বলেছি, এবারের দাবার ছকের মতন স্টলবিন্যাস অতি জঘন্য। তার ওপর কোনও ক্রমিক নাম্বার নেই, পরে লেগেছে কিনা জানা নেই। ফলাফল, এক খানেই ঘুরপাক খেয়েছি সুতোছেঁড়া লাট্টুর মতন। বইমেলায় রোদেলার স্টল খঁজে পাইনি, সম্ভবত অনুপস্থিত। প্রথম দিন জাগৃতি খুঁজে পেয়েছি একেবারে শেষ সময়ে। অবস্থানটা দারুণ। একপাশে বাংলা একাডেমি’র স্টল, অন্যপাশে পুলিশের। একেবারে ভিয়াইপি নিরাপত্তা! এবারে জাগৃতি’র স্টলে দীপনদার ব্যাবহার্য+রক্তমাখা কিছু স্মৃতিচিহ্ন রাখা আছে। সেগুলো ভালভাবে দেখতে বকের মতন গলা বাড়িয়েছি, ঠিক এমন সময় আঁধার নেমে এল- আক্ষরিক অর্থেই। মেলার নিয়ন্ত্রকেরা তাদের কেন্দ্রীয় সুইচ অফ করে দিয়েছেন কোনও জানান না দিয়েই। সেদিনগুলিতেও কি এভাবেই নেমে এসেছিল অদ্ভুত আঁধার এক?


৫।

আগে মফস্বলের বইমেলাগুলোতে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত ডাঃ জাকির নায়েকের জোকস সমগ্র (অখণ্ড) কিংবা আবুল মক্সুদুল মু’মেনিন কিংবা মরণের পরে কবরে কি হবে কিংবা দাজ্জালকে চিনে নিন কিংবা জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস। একুশে বইমেলায় এই প্রাদুর্ভাব খুব প্রকটভাবে দেখি নি, কিছু স্টলে থাকত। এবার প্রায় প্রতিটি স্টলে এর উপস্থিতি দেখে বুঝলাম দিন বদলেছে। ব্যাপার না, আমরা তো এই বইমেলাই চেয়েছিলাম? কে হায় গর্দান হারিয়ে চাপাতি জাগাতে ভালবাসে, হুঁ? আর কেউ কি এই ব্যাপারটি খেয়াল করেছেন? কোপা সামসু এবার আনন্দে উদ্বাহু নৃত্য করতেই পারেন। প্রেক্ষাপট যাই হোক, তাঁর মতন এমন সফল নেতা আমরা কবে দেখেছি? জলপাই আমলে? তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক যেভাবে হুমায়নীয় (আজাদ না, আহমেদ) স্টাইলে সাফাই গেয়ে চলেছেন, তাতে একদা মা.আ. হানিফকে দেয়া গালাগালিগুলো থুতু চেটে খাবার মতন করে গিলে খেতে হবে কি? যাকগে, এখন তো নাকি আবার বাক-স্বাধীনতা নেই, যেটা ছিল মতি-মাহফুজের স্নেহধন্য জলপাই আমলে। এজন্যই কি মাহফুজ গং জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘অসত্য তথ্য উত্থাপনের শাস্তিযোগ্যতা’ অংশের তীব্র বিরোধিতা করে এসেছেন? যাক গে, লাইনে আসি। আপনারাও আসুন। লাইনে আসতে মাথা লাগে না, পা চালালেই চলে, বড়জোর হাত।

এবারে কিছু ছবি হোক। বুদ্ধমূর্তি নেই, পুস্তকমূর্তি নিয়েই খুশি থাকুন।
মূর্তি কথাটায় আবার কারও ভাবমূর্তি আহত হবে কি না, কে জানে?

১। উসকানি বিহীন বই দিয়েই শুরু করি। বিজ্ঞানের মানুষ তো বিজ্ঞানের বই পেলে লোভ সামলাতে পারি না, উসকানি বিহীন বিজ্ঞান হলে তো কথাই নেই। ডানের বইটা আরও চমৎকার। এটি আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণা করে পাকিস্তান হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বাংলা অনুবাদ। দারুণ না?

২। সময় আর বোরিস ইয়েলতসিনের হাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ছত্রখান হওয়াতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হেজেমনি কিংবা প্রলেতারিয়েতের কি লাভ-ক্ষতি হয়েছে জানি না। তবে ক্ষতি হয়েছে পাঠকের, ননী ভৌমিক বা দ্বিজেন শর্মার কড়া দারুণ রাশান অনুবাদগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের অনেকের শৈশব রাঙ্গিয়ে রেখেছিল এসব বই। এমন কয়েকটা রিপ্রিন্ট দেখে লোভ সামলাতে পারিনি।

৩। রোদেলা প্রকাশনী’র বই কেনা নৈতিক দায়িত্ব ভেবে কিনে ফেললাম। আপনিও কিনুন।

৪। কোনও ক্যাপশন নাই, গেলাম, পেলাম, কিনলাম। লাতিনে যাকে বলে ভিনি, ভিদি, ভিসি!

৫। এগুলো বিজ্ঞান আর গনিতের বই, উসকানিমূলক হলেও হতে পারে, ঠিক নিশ্চিত নই।

৬। এরও কোনও ক্যাপশন নাই, গেলাম, পেলাম, কিনলাম। হিয়েরোগ্লিফিক্সে একে বলে কাগু, হাগু, ছাগু!

৭। বহুদিনের হারানো কিংবা না পাওয়া কিংবা ছাপা-বহির্ভূত কিছু বই, বিশেষত ডানেরটা।

৮। আবারও ক্যাপশনবিহীন কিছু বই। বামের মূল কপি আমার আছে, অনুবাদ পেয়ে কিনলাম।

৯। জলপাই আমলে মাহফুজ আনাম যেমন ভুল করতেন, তেমন ভুল আমিও করে ফেলেছি। এগুলো প্রথমা’র সরবরাহ করা বই। তবে কি, পরে আবার বদলে যাবার আগেই এসব বইয়ের কপি রাখা দরকার। নইলে মতি মিয়া মাহফুজের মতন হংসচঞ্চু করে অবলীলায় অস্বীকার করে বসবে।

১০। ফেব্রুয়ারিতে জন্মানো দারুণ ব্যাপার। বই উপহার পাওয়া যায়। আর তা যদি হয় “The Boiling Rose” তাহলে তো কথাই নাই। ছোট বোন চরম উদাসের এই উসকানিমূলক বোলগ পড়ে লাইনে এসে এই বই কিনে দিয়েছে, গতবার দিয়েছিল জাকির নায়েক সমগ্র। আমি লাইনে এসেছি, আপনারাও লাইনে আসুন।

পরিশিষ্টঃ প্রতিবার ঢাকার পাশাপাশি আমার শৈশব কাটানো মফঃস্বল শহরটির একটুসখানি বইমেলাতেও অন্তত একবার ঢুঁ মারি। মেলাটি প্রতি বছর আরও প্রাপ্তবয়স্ক আরও পরিণত হয়ে উঠছে দেখতে ভালই লাগে। এবার বইমেলার হালাল কর্নারে জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস খুঁজলাম, নেই যদিও। একে হালাল কর্নার বলছি, কারণ এতে কোনও উসকানিমূলক বই নেই। এতে আপনি পাবেন মুরতাদ হত্যার যৌক্তিক কারণ, গণিমতের মাল ভাগাভাগির হিসেব, রাতে ব্যাবহারের জন্য বৌকে আলতো করে পেটাবার নিয়ম, তালাক, দাস এবং বিশেষতঃ দাসী ভাগাভাগি ইত্যাদি সহ সকল সমস্যার সমাধান। সম্পূর্ণ নিরাপদ ও উসকানিবিহীন। এই কর্নারেই পেলাম বিখ্যাত ফেসবুক সেলিব্রিটি শরীফ আবু হায়াতের একখানা বই। ছাপার মান বেশ ভাল। আপনাদের তো বলাই হয় নি, মেলায় বইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জমে ওঠে সন্ধ্যার পরে। তা, শরীফ শাহেবের বইটা হাতে নেবার সাথে সাথে মঞ্চের চিল্লানোসরাস এক গায়িকা গাইতে আরম্ভ করলেন- “ও আমার রসিয়াআআ, বোন্ধুউউউ রেএএএ, তুমি ক্যানো কোমরের বিছা হইলা না’য়াআআহ...”। চমকে উঠে বইটা প্রায় ফেলেই দিয়াছিলাম। একেবারে অলৌকিক ঘটনা!

পুনশ্চঃ এবারের বইমেলায় অনেক আঁধারেও এই এক চিলতে আলোটুকু ভালো লেগেছে। সকলকে, শুভ বইমেলা।


Comments

নজমুল আলবাব's picture

হতাশা ঝরা একটা লেখা। তবু ভালো লাগলো।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

'আমার বন্ধু রাশেদ' বইটাতে ক্যাম্প আক্রমণের রাতে মুক্তিযোদ্ধা কম্যান্ডারের একটা সংলাপ আছে- 'যখন ভয় পাওয়ার কথা তখন ভয় পেতে হয়'। এখন কার ব্যাপারটাও তেমনই, অপু ভাই। যখন হতাশ হওয়ার তখন হতাশ হতে হয়। মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রাতুল's picture

আপনার লেখার অনেক কিছুর সাথেই একমত, কিন্তু কিছু জিনিস খুবই বাজে লেগেছে। মেলাতে হালাল বই রাখার হার মনে হয় একটু বেড়েছে। কিন্তু এই জিনিশ কিন্তু সবসময় ছিলো, তাই না? জিনিষটা খুব বাজে সন্দেহ নেই, কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা আমাদের দেশে প্রকাশকদের লাভের মুখ দেখায় এইসব বইগুলোই। যখন ভালো বইয়ের পাঠক হবে, তখন আর প্রকাশকরা এই বইগুলো আর ছাপাবেনা, আমি নিশ্চিত।
আর যেই জিনিষটা খুব খারাপ লেগেছে লেখার সেটা হোলো একটা হতাশাবাদি সুর। আলো আসবেই, এইটা নিশ্চিত। হতাশা ছড়ানোর কোনো মানে হয়না। যেইটুকু ভালো সেটাই লিখুন, খারাপত সবাই বলতে পারে।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

Quote:
এই জিনিশ কিন্তু সবসময় ছিলো, তাই না?

Quote:
হালাল বই রাখার হার মনে হয় একটু বেড়েছে।

না

এত কিন্তুর ভিড়ে আলো আসার দরকারটা কি? অন্ধকারই ভাল। সব এক।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

এই অবস্থা একদিন কেটে যাবে, তাই না?
লেখা অসামান্য ভাল হয়েছে। ৫ তারায় ৫ তারা।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

বইমেলায় সুখদুঃখ চাপাতির খেলা/আশা তার একমাত্র ভেলা ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সোহেল ইমাম's picture

আবছা আঁধারের মুখভার করা একটা অনুভব, কিন্তু মানুষ গুলো এখনও আলো জ্বলজ্বলে। লেখককে ধন্যবাদ আপনাদের দেখেই আশা হারাইনা, বিজ্ঞাপনের মত হয়ে গেলেও বলবো আলো আসবেই চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

লেট দেয়ার বি লাইট...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

চমৎকার লেখা। মেলার দ্বিতীয় দিনে গিয়েই মেডিকেল পাশ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারের কেরামতি প্রত্যক্ষ করবার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার বিশ্বাস একটু সময় নিয়ে হলেও মেলা জমবে। এখনই হতাশ হচ্ছি না। দেখি সামনের দিনগুলোতে হতাশার জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আসে কি না।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনার বিশ্বাস সত্য হোক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আরণ্যক নীলকণ্ঠ's picture

ব্যঙ্গের সাথে হতাশা মিশিয়ে দিয়ে মনের কথা গুলোই বলেছেন। এজন্য ধন্যবাদ।

যে কেউ এখন বইমেলায় গিয়ে বুঝতে পারবে অপার্থিব যে আলো প্রতিবার বই মেলাকে ঘিরে থাকে সেটার দ্যুতি কমে গেছে।

যেমন বলেছেন-

Quote:
কে হায় গর্দান হারিয়ে চাপাতি জাগাতে ভালোবাসে?

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

সবার ওপরে চাপাতি সত্য, তাহার ওপরে নাই মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

দারুন লেখা। রাতুল এর মন্তব্যের সাথে একমত নই।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আমি আপনার সাথে একমত, কিন্তু আপনি কে ভাই? অচেনা মানুষকে বড্ড ডরাই।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

ভাই, আপনার বইমেলা নিয়ে প্রতিবারের লেখা গুলোই বেশ লাগে।যদিও এবারের মত তৃতীয় বারের মত মিস হচ্ছে মেলা। সামনে কখন পারবো তাও, জানি না। যাই হোক নিজের দু:ক্ষের কথা বাদ দিয়ে কাজের কথায় আসি। রাশান অনুবাদ গুলো কোন প্রকাশনি থেকে প্রকাশিত হয়েছে? আর রোদেলার স্টল তো বই মেলায় থাকবার কথা নয়, যত দূর মনে পড়ে, দুই বছরের জন্য তারা বইমেলায় স্টল করতে পারবে না বলে গতবছর ফরমান জারি হয়েছিল।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

রাশান বইগুলো তো রেখে এসেছি আরেকজায়গায়, দেখে জানাব। বইমেলায় ঢুকেই প্রথম দিকের বিচ্ছিন্ন একটা চারদিক-খোলা স্টল। আর রোদেলা'র বইগুলো বইমেলা থেকেই কেনা, তবে ঢাকা থেকে না। ঢাকায় রোদেলার স্টল খুঁজে পাইনি।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

পুনশ্চঃ রাশান বইগুলোর প্রকাশনীর নাম 'শোভা প্রকাশ'

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

দু:খিত, নাম দিতে ভুলে গেছি।..... অনন্যা

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাহবুব লীলেন's picture

এইটা একটা উৎকৃষ্ট হালাল লেখা হইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

শুকরিয়া!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

বর্ণনা পড়ে মনে হল বইমেলা লাইনে চলে এসেছে। এরকমটা মনে হবার একটা কারন হল জাগৃতির স্টলের অবস্থান আর সেই স্টলে বিশ্বাসের ভাইরাসের অনুপস্থিতি। ডঃ কোপা সামসু মনে হয় এবার কি বই ছাপতে হবে আর কোন বই প্রদর্শনীতে রাখতে হবে এই ব্যাপারে জাগৃতিকে আগে থেকেই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। অথচ পাঠক যে বিশ্বাসের ভাইরাস পড়তে চায় সেটাতো আপনার বর্ণনা থেকেই জানা যাচ্ছে।

সভ্যতার হাজার বছরের ইতিহাসের দিকে তাকালে সত্যের, প্রগতিশীলতার জয়ই দেখতে পাই, যদিও তার জন্য অনেক সময় মূল্য দিতে হয়েছে অনেক বেশী। আশেপাশের সবকিছু দেখে হুমায়ুন আজাদের একটা কবিতাই মনে পরে এখন - সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে

-আতোকেন

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

পিকে ছবিটাতে ভিনগ্রহী এলিয়েনটা স্পর্শকাতর সময়ে 'ধর্মানুভূতির স্টিকার' গালে লাগিয়ে নিত। সেলফ ডিফেন্স মেকানিজম। এটাও তাই। সবাই ডিফেন্স নিয়ে ব্যাস্ত। চাপাতির অফেন্স কারো মাথাতেই নেই।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দুনিয়া 's picture

কবে লিখবেন বা বলবেন লেট দেয়ার বি এ ফাইট !

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ফাইট ইজ অন...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

ধন্যবাদ সাক্ষী দা, আপনার উত্তরের জন্য। ছোট বেলার এই অনুবাদ গুলো আবার পড়ছি। তাই যেখানেই কারো কাছে দেখি, হামলে পড়ি হাসি
অনন্যা

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আনাড়ি সিরিজটা এসেছে, স্টলের নাম ভুলে গেছি! মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

কৌস্তুভ's picture

আপনি ফুটন্ত গোলাপ ক্রয় ও পাঠ করিয়াছেন, আপনার জীবন ধন্য। গুরু গুরু

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

কিনিনি তো, হাদিয়া পেয়েছি! রেগে টং

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর's picture

আমি এ জিনিস গত বছর ইবুক হিসেবে পড়েছি, ২০১৫ সালের শ্রেষ্ঠ অর্জন। শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

প্রথম ২টি বইয়ের রিভিউ পড়তে চাই। প্লিজ ব্রিং ইট অন।
-চিহুয়াহুয়া

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

বামপন্থী বইটা নিয়ে লেখা বেকার, ডানপন্থীটা নিয়ে লিখব।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

বাকারের পিতার পুত্র কাসেম ভাইয়ের বইটার নামকরনের অনুবাদ যথাযথ হয় নাই, তিনি দেখলে খুব কষ্ট পাইতে পারেন। আপনে ফুটন্ত অর্থে ফুটন্ত পানি, ফুটন্ত তেল, এইরকম অর্থ বুঝেছেন, ভুল! এটা ভীষণ রকমের ভুল!! কাসেম ভাই আসলে ফুটন্ত যৌবন, ফুটন্ত জবান, ফুটন্ত বসরাই গোলাপ( চোখ টিপি ), এইরকম অর্থে ব্যবহার করেছেন। ইয়ে, মানে...
সুতরাং নামকরনের অনুবাদ হওয়া উচিৎ ছিল- ব্লুমিং রোজ অথবা এ্যাব্লুম রোজ। আপনার আপত্তি না থাকলে এ ব্যাপারে কাসেম ভাইয়ের অনুমোদন নিয়ে দিতে পারি। চাল্লু

অতিথি লেখক's picture

ভাই, এটা স্যাটায়ার ছিল। তাছাড়া (বাকারের) যৌবনের ইন্টেন্সিটি বুঝানোর জন্য 'ব্লুমিং' এর চেয়ে 'বয়েলিং' বেশি যুতসই- হয়ত এমন চিন্তা থেকেই এটা এসেছে হো হো হো
-চিহুয়াহুয়া

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

আরে নাহ, কি যে বলেন! কাসেম ভাইয়ের বিষয় নিয়া সাক্ষী কোনরকম মস্কারি করবে, এটা হতেই পারে না চিন্তিত । এটা সাক্ষীর নেহাতই একটা মিস্টেক। আর হ্যাঁ, ভাইজানের নাম কিন্তু বাকার নয়, কাসেম। ওনার বাবার নাম হল আবুবাকার, মানে বাকারের বাপ)। বোঝেন এ্যালা!

এক লহমা's picture

আমারও তাই মনে হয়, সাক্ষীদির কিছু একটা মিস্টেক-ফিস্টেক হয়ে গেছে। ওনার মত সিরিয়াস মানুষ এই ধরণের মস্করা করতেই পারেন না। মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

এইজন্যই কই সময় থাকতে জায়গামত টিপি দ্যান। এই অনুবাদ আমারও না, গু-ট্রান্সলেটরেরও না। ৪৪ (আপাতত) নং মন্তব্যে ফারাসাত এই অনুবাদকর্ম করেছেন, আমি 'তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট' এর ব্যাবহারকারী মাত্র। চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দেবদ্যুতি's picture

লেখার শিরোনাম কোন ভাষার, আমি বুঝতারি না ক্যান? তবে একটা জিনিস ভালো হইছে, আপনি অনেক হারাম জিনিসের ভিড়ে ‘হালাল কর্নার’ খুঁজে পাইছেন- নাইলে কী হইতো কন তো!

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

গু-ট্রান্সলেটরের সাহায্য নিন, বাঁচতে হলে জানতে হবে! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.