আট বছর পরে আজ

শাহেনশাহ সিমন's picture
Submitted by simon on Sun, 22/11/2015 - 1:35am
Categories:

আট বছর আগে একদিন হুট করেই একটা কাজ শুরু করেছিলাম। দ্রুতই তিন ধরনের তিন চাকুরি, সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে ভিন্নভিন্নভাবে তৈরী করা, অনভ্যস্থতা, ভুল করা, বিরক্তি- সে সময়ের এক মাত্র ‘বিনোদন’ ছিল রাতভর বিভিন্ন ব্লগে কমেন্ট। রাতভর কীবোর্ডে ঝড় তুলে তারপর সকালে ঘুম ঘুম চোখে অফিস, সেখানে কফির পর কফি পান সটান থাকার জন্য। সেই অনুভূতিকে আরেকটু বাড়ানো গেলো রাস্তায় স্টিকার লাগিয়ে। সচলের কয়েকজন মিলে চাঁদা তুলে স্টিকার ছাপানো হলো ২০১০ সালে। খুব সাধারন স্টিকার, হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে কালো হরফে লেখা ‘যুদ্ধাপরাধের শাস্তি চাই’। বাসের জানালায়, রিকশার পেছনে, সিয়েনজির মিটারের পাশে কিংবা কোন বাড়ির সদর দরজাতে। স্বাভাবিকভাবেই অনেকগুলো স্টিকার দুই দিন ও টিকত না। তবে এক সিয়েনজি ড্রাইভারের সিয়েনজির দেখে চমকে গিয়েছিলাম, বোধহয় ২০১২ সালে! একটা স্টিকার, মলিন হয়ে গেছে, কিছুটা তেল চিটচিটে, উপরে স্বচ্ছ স্কচটেপ লাগানো। প্রায় অক্ষত। জিজ্ঞেস করলাম কে লাগিয়েছে, কী ব্যপার। বললো যে তার মালিক এটা রেখে দিয়েছে। শুরুতে আঠা ছুটে যাবার সময় আইকা লাগিয়ে দিত। পরে যখন দেখল মলিন হয়ে যাচ্ছে, তখন স্কচটেপ দিয়ে রেখেছে। ততোদিনে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ হয়েছিল, এটার বিচার হবার দরকার, সে বিষয়ে সবাই জেনে গেছে। প্রচুর মানুষ এর পক্ষে কথা বলছে, বিপরীতে আরো অনেক মানুষ বিভিন্ন আবদারে ভরা ‘যুক্তি’তে এর বিরোধীতা করে যাচ্ছে। ট্রাইবুনাল হয়েছে, সেটা আইওয়াশ, কিস্যু হবেনা এই জাতীয় কথা শুনে যাচ্ছি। অনলাইন, বিশেষত ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তি, সেলিব্রিটি ও পীরের জন্ম হলো যাদের কেউ চায় বিচার হোক, কেউ চায় বিচার না হোক। প্রত্যেকেই নিজ ও দলীয় অবস্থান থেকে লিখে যাচ্ছেন, পেজ তৈরী করছেন। যারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, তারা হুঙ্কার দিয়ে বলছে যে দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। ট্রাইব্যুনাল নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মিম, যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর মিলে-মিশে থাকার মন্ত্র আর অর্থের ঝনঝনানির ফাঁকে এলো ২০১৩ এর পাঁচই ফেব্রুয়ারি। বাকিটা প্রায় সকলেই জানে, যারা জানেন না, তাদের হয়ত জানবার ইচ্ছে নেই। আর যাদের আছে, তারা পড়ে নেবেন সেই উত্তাল সময়ের দিনলিপি বিভিন্ন মানুষের লেখনীতে আর শুনানীতে। নিজস্ব বিবেচনাবোধ খাটিয়ে নিজেকে মানুষ অথবা ছাগু- কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন সেটা আপনার উপরেই ন্যস্ত।

আট বছর আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের পরিস্থিতি দেখেছি আমরা। মুক্তিযোদ্ধাদের বেজবল ব্যাট দিয়ে পেটানোর হুমকি, ছাগুরাম থেকে ছাগু নামকরন আর তারপর ছাগুকে একটা জনঁরা হতে দেখা, সুশীল মানুষ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অথচ সে চায় রাজাকারদের ফাঁসি না হোক- কীবোর্ডের কালি ফুরিয়ে যেতে পারে এত লম্বা লিস্ট! ধীরে ধীরে উন্মোচন হয়েছে প্রচুর মানুষের মুখোশের আড়ালের চেহারা। পাঁচ ফেব্রুয়ারির পরবর্তী সময়টা হুট করে বদলে গেছে অনেকের। নিশ্চিতভাবে নিজেরটা বলতে পারি, আশপাশে এত মানুষ যে মুখোশধারী, সেটা আত্মীয়-বন্ধু কিংবা সামান্য পরিচিত অনেকেই সেটা কাদের মোল্লার ভি সাইন না দেখালে জানতেও পারতাম না! ২০১৩ সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি থেকে যারা একটিভিস্ট হয়েছেন, তারা জানেন ও না যে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা বলাতেও ছিল কি রকমের নিষেধাজ্ঞা। যেদিন কাদের মোল্লার ফাঁসি, সেদিন হাসপাতালের বেড এ শুয়ে ভাবছিলাম, অবশেষে শুরু হলো। মিলেমিশে থাকার মত অশ্লীল ধারনার মুখে চপেটাঘাত করা গেলো তবে! আর আজ সাকা ও মুজাহিদ- গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড লাগানো দুই রাজাকার এর ফাঁসির পরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আমরা বলতে পারব, অতীত খুঁড়ে আনা যায়। ৪৪ বছর আগে কোন গন্ডগোল হয়নি, গণহত্যা হয়েছিল, যুদ্ধ হয়েছিল। মানুষের চোখ উপড়ে বস্তায় রেখেছিল, পেরেক শরীরে ঠুকে নির্যাতন করেছিল, আঙুল কেটে ফেলে দিয়ে সেই জায়গায় পেরেক ঢুকিয়েছিল। এমন অনেক নৃশংসতার কথা পড়েছি আমরা অনেকে, যা ভাবলে আজো শিউড়ে উঠতে হয় । এই নৃশংসতা যারা করেছে, দম্ভোক্তি যারা করেছে, যুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহতদের নিয়ে তামাশা করেছে, বছরের পর বছর সাজার হাত থেকে রেহাই পেয়ে এসেছে তারা একে একে ফাঁসিতে ঝুলুক। সাকা আর মুজাহিদ সেই গণনার শুরু মাত্র।

আজকের ফাঁসি নিয়ে শুধু একটা বাক্যই বলব (চরম উদাস থেকে ধার করে) ফাঁসি যখন নিশ্চিত, তখন তা উপভোগ করাই শ্রেয়। আশা করি 'হাইপ্রোফাইল' দুই রাজাকার উপভোগের সাথেই ফাঁসিতে ঝুলেছে। ইতিহাসের খাতায় বাইশে নভেম্বর ২০১৫ কলঙ্কমোচনের এক মাইলস্টোন হিসেবে আখ্যায়িত হবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর তাই আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন। অনেক স্বস্তির একটা দিন।


Comments

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

কোলাকুলি জয় বাংলা!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব's picture

আরো লিখতে পারতি। তবু যা লিখলি তাইতো অনেক। চলুক

তারেক অণু's picture

দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই, অন্তত মুজাহিদ নামে নেই।। জয় বাংলা।

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

Quote:
অন্তত মুজাহিদ নামে নেই।। জয় বাংলা।

সাকাও নেই।

সো's picture

জয় বাংলা!

হিমু's picture

জয় বাংলা!

তিথীডোর's picture

জয় বাংলা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মাসুদ সজীব's picture

গুল্লি জয় বাংলা

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো জয় বাংলা।

আতোকেন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ's picture

এর পরেও বরাহ শাবকদের লাফানি দেখলে বিরক্ত লাগে। রেগে টং

অতিথি লেখক's picture

টিভিতে এমনই এক সন্তানকে দম্ভ করে বলতে দেখলাম, তার বাবাকে লোকে বাংলার বাঘ বলে চিনে, তাই তার বাবার ক্ষমা চাওয়ার নাকি প্রশ্নই উঠে না। দম্ভোক্তিটি করার সময় তার মুখ তার বাবার মতই কুৎসিত দর্শন হয়ে উঠেছিল, আর মুখের বিদ্রুপ হাসিটুকু হয়ে উঠেছিল খাটি দানবীয়! অবশ্য তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করেনি, তাহলে কেন তিনারা তিনদিন লাগালেন এই সত্যটুকু প্রকাশ করতে যে, তাদের বাঘ-বাবা ক্ষমা চাইবেন না! কেন এই সত্য ফাঁসি কার্যকরের ঠিক আগেই এল? কেনই বা কেউ কেউ আবার একুশে আগস্টের মামলার রায় পর্যন্ত বেঁচে থাকার সুযোগ পেতে কাতর মিনতি জানিয়েছিল?

......
অনিত্র

অনিকেত's picture

এমন একটা দিনে এমনই একটা লেখার দরকার ছিল !! গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

এই বাংলার বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া দুই নর-পিশাচ কে নির্মুল করা গেছে। বাংলার মানুষ গুলো এখন আরেকটু পবিত্রতর বাতাস পাবে নিঃশ্বাস নেবার জন্যে!!

অভিনন্দন বাংলাদেশ !!
জয় বাংলা !!!!

অরূপ's picture

জয় বাংলা!
তোমার ফোন নাম্বার দিয়ে আমাকে এক্টা ইমেইল কর পারলে
arup ডট kamal অ্যাট জিমেইল


অরূপের ব্লগ @ http://etongbtong.blogspot.com
অরূপের ফ্লিকার @ http://www.flickr.com/photos/harvie-krumpet

রিসালাত বারী's picture

জয় বাংলা

ধুসর জলছবি's picture

আগে যখন যুদ্ধপরাধ, রাজাকার এসব নিয়ে কথা বলতাম, আমার বেশিরভাগ বন্ধুরা হাসত, ধুর এসব নিয়ে মাথা ঘামাস কেন?- এটা ছিল সবচেয়ে বেশিবার শুনা ডায়ালগ। যুদ্ধপরাধিদের ফাঁসিতে ঝুলাতে চাই এই কথা শুনে মুখের উপর হেসেছে বহু লোক। আমি ছোটবেলা থেকে অসংখ্যবার এই হাসি, তাচ্ছিল্য দেখেছি। অসহায় লাগত, নিজেকে দলছুট লাগত। ঘুরতে ঘুরতে সচলে এসে দেখেছি এখানে সবাই আমার মতই বলছে। তাই মুহূর্তেই আপন হয়ে গিয়েছিল সচলায়তন।
গত কয়েকটা বছর ধরে যে প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা তাতে অনেকের মুখোশ যেমন খুলেছে আবার রাজাকারদের প্রকাশ্যে ঘৃনা করার মত একটা পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। আমার স্কুল পড়ুয়া কাজিনরা এখন রাজাকারদের ফাঁসিতে উল্ল্যাস দেখাচ্ছে, যে দেখাচ্ছে না তাকে কথা শুনিয়ে দিচ্ছে, আমরা স্কুলে পড়ার সময় তো এসব নিয়ে কথা বলাই একরকম নিষেধ ছিল। আজ অফিসে এসে দেখি সবাই খুশি দেখাচ্ছে। যে মনে মনে খুশি না সে সেটা দেখানোর সাহস পাচ্ছে না দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি । অথচ ৫/৬ বছর আগেও পরিবেশটা পুরো উল্টো ছিল।
দাম্ভিক রাজাকারের বাচ্চাগুলাকে ধরে ধরে ঝুলাচ্ছি, সেটা নিয়ে আনন্দ করছি, কেউ ফালতু কথা বলতে আসলে ঝাড়ি দিয়ে কথা থামিয়ে দিতে পারছি, আমার কাল রাত হতে থেকে থেকে মনে হচ্ছিল ‘ইয়েস, উই ডিড ইট”

"জয় বাংলা" কোলাকুলি

অনুসন্ধিৎসু's picture

জয় বাংলা ।
জাহান্নামের আগুনে পুড়ুক শুয়োরদের প্রেতাত্মা । চিরকাল ।

Dr.Esrat Jahan's picture

জয় বাংলা গুরু গুরু

ইসরাত

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

জয় বাংলা

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কল্পনা আক্তার's picture

সেই ষ্টিকার এর একটি কপি এখনো আমার অফিস ফাইলে লাগানো আছে! আমার আগের বাসার দরজায়ও লাগানো ছিল কিন্তু কেউ কোন দিন ছিড়ে ফেলেনি।

জেট লেগ এর কারণে কাল রাতেই খবরটা জানা হয়নি আজ সকালে মা ঘুম থেকে উঠাতে গিয়ে বিশাল এক হাসি দিয়ে বললো “দুই যুদ্ধঅপরাধীর ফাঁসি হয়ে গেছে” সাথে সাথেই আমার বত্রিশ দাঁত বের হয়ে গেল! ঘুম তখনও পুরো চলে যায়নি তারপরও চোখ কচলাতে কচলাতে বুক সেল্ফের সামনে গিয়ে শহীদ জননী জাহানার ঈমাম এর একাত্তরের দিনগুলো সহ স্বাধীনতা যুদ্ধের যতগুলো বই ছিলো আর যতগুলো আমার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরতে পেরেছি তার সবগুলো ধরেই ”জয় বাংল“ বলে চিৎকার করে চলেছি আর বলে চলেছি যে এই তো শুরু মাত্র্!

অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য সিমন হাসি


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

মুস্তাফিজ's picture

জয় বাংলা!

...........................
Every Picture Tells a Story

কনফুসিয়াস's picture

ঠিক ঠাক মনের কথা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক's picture

মুজাহিদ বা কাদের মোল্লার রায় বা কার্যকর আমার এবং আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। কারণ যখন এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাগুলো বলেছে। ২০০৭ সাল। সে সময় আমরা গুটিকয়, এ বক্তব্যের পরপর, একটা পথ নাটক করি। তাদের বক্তব্য আর তাদের মূল ভূমিকা। এ দুইকে সংশ্লেষ ঘটিয়ে। সে নাটকের ১৪টা শো এর একটাও মিস করেনি সে সময়ের শিবির সভাপতি মির্জা গালিব।

যাক আমাদের সে নাটকের দলের একজন এবং খুব কাছের একজন বন্ধু কয় বছর ক্যান্সারে ভুগে মরে গেল কয়দিন আগে। গতকাল কার্যকর হওয়ার পর তার নাম্বারটা ডায়াল করলাম ভুলে। আনন্দিত। কিন্তু কোথায় যেন খচ করে বিঁধলো, বিঁধে আছে এখনো। আমরা সবাই আছি, আমাদের বন্ধুটা নেই।

স্বয়ম

অতিথি লেখক's picture

জয় বাংলা। কি পরিমান আনন্দ হচ্ছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত যথেষ্ট নয়। জামাত শিবিরের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালেখি এতদিনে সার্থক মনে হচ্ছে। কলম এভাবেই চলবে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

কেমন স্বপ্নের মত মনে হয়! জয় বাংলা!!

বাদুর পাগল's picture

অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম । অপেক্ষা শেষ হইলো । সাকা-মোজা ঝুলে গেল; ঠিক তারপর থেকে কেমন জানি একটা অন্যরকমের ভালো লাগা শুরু হল । হাসি পরবর্তী প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশে বড় হতে পারবে । দেঁতো হাসি

তানিম এহসান's picture

জয় বাংলা!

অতিথি লেখক's picture

স্বাধীন দেশে রাজাকারদের আর তাদের দলের ও জোটের আস্ফালন দেখতে দেখতে ঘরপোড়া গরুর মত সর্দাই মনে একটি আশঙ্কা কাজ করছিল, এই বুঝি সাকা-মোজাহিদ নূতন কোন কুটচাল চেলে ফাঁসিটি স্থগিত বা বানচাল করে দিল। ফাঁসিটি হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনভাবেই স্বস্থি পাচ্ছিলাম না। শনি-রবিছুটি। সারাদিন অনলাইন পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে আপডেট জানছিলাম। নরপিচাশ সাকা-মোজাহিদ পরিবারকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেয়ার কথা শুনে প্রথমে বিরক্ত হচ্ছিলাম। পরে ভাবলাম, এর মাধ্যমে আবারও প্রমান হয়েছে যে, এসব নরপিচাশরা বিচার প্রক্রিয়ায় সকল অধিকার ভোগ করেছে। ঠিক কটার সময় অনলাইন পত্রিকায় পিচাশ দু’টিকে ঝুলিয়ে দেয়ার খবর প্রথম চোখে পড়েছিল তা সঠিকভাবে খেয়াল করা হয়নি। সংবাদ দেখে এতই উদ্বেলিত হই আর স্বস্থি অনুভব করি যে সাথে সাথে সম্ভব সবার সাথে স্বস্থির খবরটি সহভাগিতা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তুলনা করার মত এমন খুশির খবর আর খোঁজে পাচ্ছিলাম না।
জীবন বাজি রেখে যেসব ভাই-বোন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদের আমরা নূতন দেশে উল্লেখ করার মত তেমন কিছুই দিতে পারিনি। সেসব অকুতোভয় মহান বীর সেনানীদের রাজাকারের বিচার করার মত এমন একটি পুরস্কার দিতে পারার কথা মনে করে যারপরনাই তৃপ্তি অনুভব করলাম। এ পর্যন্ত যতজন মুক্তিযুদ্ধাকে জিজ্ঞেস করেছি বা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, নূতন দেশে আপনার প্রত্যাশী কি? তাদের সবায় বলেছেন, স্বাধীন দেশে রাজাকারদের বিচার হয়েছে তা জীবদ্দশায় দেখে যেতে চাই। বকেয়া থাকা সকল দাগী রাজাকারের বিচার সম্পন্ন করে মহান মুক্তিযুদ্ধাবৃন্দের প্রত্যাশা পূরণ করার প্রতিজ্ঞা হোক দেশের সকলের সপথ।

- পামাআলে

এক লহমা's picture

আমার চারপাশের মানুষদের মাঝে কয়েকটি পরিবার আছেন বাংলাদেশ থেকে আসা। তাদের কারো কারো সাথে কাল দেখা হয়েছিল - আনন্দ করেছি। জয় বাংলা!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

স্যাম's picture

এই স্টিকার?

সচলায়তন থেকে পাওয়া প্রিয় অনেককিছুর মধ্যে এটা অন্যতম।

আর দুর্দান্ত কিছু শব্দমালা, যার মধ্যে এখনকার ব্যানারেরটি একটি-

Quote:
শহীদের খুনীদের মুখে যতো হাসি
মুছে দিয়ে হোক তবে ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি!

২০১৩ এর এই লেখাটা দেখেছিলাম শাহবাগে সচলের ব্যানারে - যখনই পড়ি একটা অন্যরকম অনুভূতি হয়, শক্তি যোগায়, মনে করিয়ে দেয় আমাদের প্রতিজ্ঞা - সম্ভবত আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা

Quote:
বাতাসের হিমে তিরিশ লক্ষ শহীদের করতল
জনপদ জুড়ে হাওয়ার কোরাসে আহ্বান অবিচল
আমাদের বুকে রৌদ্র লিখেছে নিহতজনের নাম
গণহত্যার বিচার করবো, প্রতিজ্ঞা করলাম!

কল্পনা আক্তার's picture

জ্বি এই সেই ষ্টিকার!

সত্যিই প্রতিটি শব্দই এক অদ্ভুত শক্তি যোগায়, আপন মনেই এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ করে ফেলে!


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

কবিতা দুটো কার/কাদের লেখা?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রানা মেহের's picture

জয় বাংলা

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

Laila Mahmuda Shilpi's picture

ধন্যবাদ শাহেনশাহ ।
জ...........................য় বাংলা

তাহসিন রেজা's picture

জয় বাংলা

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

ধন্যবাদ -

____________________________

অতিথি লেখক's picture

সাকা আর মুজাহিদ সেই গণনার শুরু মাত্র।

চলুক

ইয়ামেন's picture

জয় বাংলা। বাংলার বাতাসের দূষণ অনেকটাই কমে গেছে নভেম্বরের ২১ তারিখ থেকে।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

নীলকান্ত's picture

অনেক রথীমহারথীর নাম দেখলাম কমেন্টে অনেকদিন পর। অনেক ভাল লাগলো।


অলস সময়

নিটোল's picture

জয় বাংলা! ধইরা ঠুয়া দিয়া দিমু...

_________________
[খোমাখাতা]

অতিথি লেখক's picture

জয় বাংলা !
আমি কালপুরুষ

এনকিদু's picture

Quote:
খুব সাধারন স্টিকার, হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে কালো হরফে লেখা ‘যুদ্ধাপরাধের শাস্তি চাই’।

ভাল জিনিস মনে করিয়ে দিলেন।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতিথি লেখক's picture

হাততালি

দেবদ্যুতি

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.