জাফর ইকবালের সমিস্যা সমূহ

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Tue, 01/09/2015 - 4:46am
Categories:

এক জ্ঞানী লোকের পশ্চাৎদেশে একবার ইয়া বড় এক ফোঁড়া হল। বেচারা কোথাও গিয়ে বসতে পারেনা। শিষ্যরা তাকে বসার জন্য কাঠের চেয়ার এনে দিলে সে বলে, এইভাবেই দেশের সমস্ত কাঠ কেটে ফেলা হচ্ছে। বন জঙ্গল উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। মানিনা মানবো না। কাঁচুমাচু হয়ে শিষ্যরা ষ্টীলের চেয়ার এনে দিলে বলে, এইভাবে ষ্টীল মিল বানিয়ে দেশ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। কলকারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিক দূষিত করে ফেলছে। মানি না মানবো না। ভয়ে ভয়ে এবার তাকে প্লাস্টিকের চেয়ার এনে দিলে সে চিৎকার করে বলে, প্লাস্টিক শিল্প দেশ ধ্বংসের মূল কারণ। প্লাস্টিক গলে না, পচে না, দিনের পর দিন পরিবেশ নষ্ট করে যায়। মানি না, মানবো না।

ডক্টর জাফর ইকবাল বাংলাদেশের বহু ধান্দাবাজ মানুষের জন্য একটা ফোঁড়া ছাড়া আর কিছু না। এই ফোঁড়ার জন্য তারা আরাম করে বসতে পারেনা, এটাই তাদের সমস্যা। বন জঙ্গল কাটা, কলকারখানার ধোঁয়া, প্লাস্টিক এগুলোর কোনটাই তাদের সমস্যা না, ফোঁড়াটাই সমস্যা।

অনেক আগে ডক্টর জাফর ইকবালকে নিয়ে একটা ফিল্টার বানিয়েছিলাম।তাকে কে কিভাবে গালি দেয়, বা তাকে নিয়ে কার কিরকমের চুলকানি হয় দেখে চট করে তার ন্যাজখানা আইডেন্টিফাই করে ফেলা যায়।

Zafor Iqbal Filter

ফিল্টারের টেকনিক্যাল ডিটেইলস
ফিল্টার ব্যান্ডউইথ - লছাগু টু গছাগু
স্যামপ্লিং ফ্রিকুইয়েন্সি - ১ মেগাছাগু/সেকেন্ড
ফিল্টার টাইপ - IIR (Infinite Idiot Response)
স্টপব্যান্ড attenuation - জাফর ইকবাল এর পেপার সংখ্যা কয়টা থেকে Nastik Zafar er pussy cai পর্যন্ত

তবে কালে কালে এই ফিল্টারের ব্যান্ডউইথ লছাগু গছাগু ছাড়িয়ে আরও অনেক বড় হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য ডক্টর জাফর ইকবালের অবদান কতটুকু সে কথা বাদ দেই। তবে ফেসবুকে জামাত, বামাত, সুশীল, কুশীল থেকে শুরু করে নানা পদের মানুষ ডিটেক্ট করার জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশে আগে ঈদ হতো বছরে দুইবার, রোজার ঈদ আর কুরবানির ঈদ। এখন সেটা বেড়ে বছরে চার পাঁচ বা তার বেশী হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সকল ঈদের নাম 'নাস্তিক মুরতাদ জাফর ইকবাল কুরবানি ' ঈদ। ডক্টর জাফর ইকবালকে নিয়ে কোন একটা ঘটনা হয়। আর সাথে সাথে 'আজ ঈদ, মদিনার ঘরে ধরে আনন্দ' বলতে বলতে জামাত, বামাত, হেফাজত, আনসার, আম্লিগ, বিএনপি দৌড়ে এসে একে অপরের সাথে কুলাকুলি করে। প্রতিবার যখন কোন একটা বিষয় নিয়ে ডক্টর জাফর ইকবালের উপর হামলা হয়, আমি চুপচাপ বসে বসে খালি দাঁত গুনি। কার কয়টা দাঁত বের হল দেখে তার মনে কত ফুর্তি হচ্ছে সেটার একটা ধারণা পাওয়া যায়। এই ঈদ উৎসব করা মানুষগুলোকে মোটামুটিভাবে চারভাগে ভাগ করা যায়।

প্রথম ভাগ - দাঁত সংখ্যা দুই বা তার থেকে কম

Goat Teeth 1

সবচেয়ে কম দাঁত বের করে দেশের আন্তর্জাতিক-নিরপেক্ষ-নির্দলীয়-সচেতন-সুশীল-নাগরিক কমিটির (আনিনিসসুনাক)মানুষেরা যারা সবসময় দেশের গুম-হত্যা-গণতন্ত্র-আইনশৃঙ্খলার অবনতি-যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনাল নিয়ে ব্যাপক চিন্তিত। তবে দেশের নিরপেক্ষ মানুষ যে আসলে কারা এটা ঠিক বুঝে উঠা মুশকিল। দেশে আগে দুইটা দল ছিল আওয়ামীলীগ আর বৃহত্তর জামাত। আর এখন দেশের দুই দল হচ্ছে, আওয়ামী আর নিরপেক্ষ। বিএনপি জামাতের সবাই গেল ঠিক কোথায় বুঝে উঠতে পারিনা। মনে হয় সেই গুমই হয়ে গেছে আসলে। নিরপেক্ষ মানুষগুলোর বুদ্ধিমান হবার কারণে অল্প পরিমাণে দাঁত বের করলেও কি এক আছায্য কারণে তাদের জ্বলুনিটাই সবচেয়ে বেশী মনে হয়। সাধারণত জাফর ইকবালক কোন বাটে পড়লে এরা এগিয়ে এসে একটু আহা উহু করেন প্রথমে। তারপর একটা 'কিন্তু' বসিয়ে বাকি আলাপ শুরু হয়। কথাবার্তার নমুনা মোটামুটি এই ফরম্যাটে বাঁধা, সংক্ষেপে যাকে বলা যায়ঃ হাঁসট্যাগ বালের আলাপ - কিন্তু - হাঁসট্যাগ আসল আলাপ।

(# বালের আলাপ ... ...) কিন্তু যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে আপনি আজকে (# আসল আলাপ ... ...)
(# বালের আলাপ ... ...) কিন্তু দেশপ্রেমের নামে আজকে যেই গুম-হত্যা-লুটপাট-দুর্নীতি চলছে (# আসল আলাপ ... ...)
(# বালের আলাপ ... ...) কিন্তু ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আপনি যখন (# আসল আলাপ ... ...)
(# বালের আলাপ ... ...)কিন্তু তিনি যদি ছোটবেলা থেকে সাদাকে সাদা, আর কালকে কালো বলতে শিখতেন তাহলে আজকে বড়বেলায় এসে তাকে (# আসল আলাপ ... ...)

দ্বিতীয় ভাগ - দাঁত সংখ্যা তিন থেকে ত্রিশ

Goat Teeth 2

এরচেয়ে খানিক বেশী দাঁত বের করে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ পাণ্ডারা। মাত্র কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল তাদের হবু নেতা জয়ের সমালোচনা করেছেন। মুখের উপর বলে দিয়েছেন, এ ধরণের মেরুদণ্ডহীন আচরণ মৌলবাদকে আরও উস্কে দিতে পারে। নেতার কথার এমন সমালোচনা কি সহ্য হয়? তার মধ্যে এই সরকারের শিক্ষানীতি, প্রশ্ন ফাঁস এগুলো নিয়ে দিনরাত তার প্যানপ্যান তো লেগেই আছে। তাদের কথাবার্তার নমুনাতে সরকারের প্রতি আহ্লাদ আর তেল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে।

(# দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধার উপদেশ) দেশ যখন শা শা করে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারের প্রগতিতে বাঁধা দেয়া ঠিক নয়
(# সরকারের গুণগান ও তেল)

(# দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধার উপদেশ) আবেগ দিয়ে দেশ চলেনা, দেশ চালানোর জন্য দরকার আওয়ামীলীগ সরকার। (# সরকারের গুণগান ও তেল)

তৃতীয় ভাগ - দাঁত সংখ্যা বত্রিশ

Goat Teeth 3

লাজ শরমের মায়রে বাপ করে বত্রিশ বা ততোধিক দাঁত বের করে ফেলে দেশের আপামর ছাগু সম্প্রদায়। একদিক থেকে চিন্তা করলে এরাই সবচেয়ে সৎ। এরা কোনরকম তবে কিন্তু মার্কা ত্যানা প্যাঁচানোতে যায়না। এরা একেবারে প্যান্ট খুলে নাস্তিক মুরতাদ থেকে শুরু করে কুত্তার বাচ্চার পুসি চাই টাইপের গালাগালিতে চলে যায়। অনেকটা এরকমের ফরম্যাটে -

(# নাস্তিক মুরতাদ কুত্তার বাচ্চা ) এই চেতনা ব্যবসায়ী দেশ ধ্বংসকারী লোকের কারণে আজকে (# পুসি চাই, পুসি চাই )
(# নাস্তিক মুরতাদ কুত্তার বাচ্চা ) ঢিং কা চিকা ... ঢিং কা চিকা ... ঢিং কা চিকা (# পুসি চাই, পুসি চাই )

চতুর্থ ভাগ - দাঁত সংখ্যা বেয়াল্লিশ বা ততোধিক

Goat Teeth 4

আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে মনে হয় জাফর ইকবাল ইস্যুতে নিরপেক্ষ, আম্লিগ, ছাগু সবাইকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশী ক্যালানি দেয় এক শ্রেণীর বামেরা। এদের কথাবার্তা তেল গ্যাস গুম নিয়ে শুরু হলেও এক পর্যায়ে এসে আনন্দ আর লুকিয়ে রাখতে পারেনা। ওরে উইকেট পড়ছে রে পড়ছে বলে খুশীতে আত্মহারা হয়। কারণ কি? জানিনা আসলেই। আমার কাছে এটা এখনও এক আছায্য বেফার! জাফর ইকবাল কোন পীর না। তার ১০১ টা দোষ আছে, সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু জাফর ইকবাল যখন কষ্ট নিয়ে উচ্চারণ করেন হামলাকারীরা তার ছাত্র হলে তার গলায় দড়ি দেয়া উচিৎ বলে। তখন যেই বামছাগলকে দেখি এর আসলে গলায় দড়ি দেয়াই উচিৎ বলে নাচতে নাচতে দড়ি এগিয়ে দিতে তখন খানিকটা হিসাব মিলে। সেই পুরনো কথা আবার নতুন করে মনে হয়, রামছাগল আর বামছাগল এর মধ্যে পার্থক্য একটা ফুটার। প্রথমটার নিচে ফুটা আছে বলে যখন খুশী পুটুর পুটুর ল্যাদাইতে পারে। দ্বিতীয়টার নিচে ফুটা নাই বলে ল্যাদাইতে পারে না, ল্যাদা জমতে জমতে নিজেই পুরা ল্যাদা হয়ে যায় একসময়। আবার মাঝে মাঝে এইসব বামেদের আমার কাছে চিংড়ি মাছের মতো মনে হয়। মাথা ভর্তি গু, কোন মেরুদণ্ড নাই। তারপরেও এদের বাজার দর বেশ ভালো।

people_prawns

রাজনীতির এই চারভাগের বাইরেও আরও নানা খণ্ড খণ্ড ভাগ আছে। যাদের সবাই আজকে ও মন রমজানের ওই শেষ এলো খুশীর ঈদ বলে গীত ধরেছেন। প্রথম আলো খুলে মনে হল তাদের মাঝে বেশ একটা ঈদ ঈদ ভাব। গোটা তিনেক নিবন্ধ পেলাম জাফর ইকবালকে নিয়ে। সব কয়টার মূল প্যাঁচাল, মূল উপদেশ একই সুরে বাঁধা। জাফর ইকবাল যদি লাইনে থাকতেন, খালি জামাত শিবির আর মৌলবাদীদের গালাগালি না করে সবাইকে সমান করে বকাবকি করতেন তবে তার এই দিন দেখে হতো হতো না, ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকের আমরাও কি পারিনা বাল ফালাতে আন্দোলনের পথিকৃৎ হাগুর হাগুর লাইক পাওয়া ইয়া বড় সেলেব্রিটি মানব এসে উপদেশ দিচ্ছে, জাফর ইকবাল যদি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে শিখতেন তবে তাকে আজকে এই দিন দেখতে হতো না। সেই সেলেব্রিটি মানব নিজে জীবনে সাদাকেও সাদা বলেন না, কালোকেও কালো বলেন না, সাদা কালো দুইটাকেই বলেন গোলাপি। তাই তার বরং জাফর ইকবালকে উপদেশ দেয়া উচিৎ ছিল এই বলে, আমরাও কি পারিনা সাদা কালো একসাথে মিলে সবাই গোলাপি হয়ে যেতে? চাই শুধুমাত্র একটু ইচ্ছা। আসুন আজকেই গিয়ে আমরা আমাদের দশ প্রতিবেশীকে (সে জামাত হেফাজত আম্লিগ বিএনপি যাই হোক না কেন) দশটি গোলাপ উপহার দিয়ে বলি, আজকে থেকে ওগো তুমি গোলাপি। সেই দশ প্রতিবেশীর প্রত্যেকে আবার আরও দশজনকে খুঁজে বের করে দশটি গোলাপ দিবে। এইভাবে আমরাও কি পারিনা দেশের সব সাদা কালো মানুষকে গোলাপি বানিয়ে ফেলতে?

সে যাই হোক। লেখার মূল অংশে ফিরে আসি। জাফর ইকবালের সমিস্যা কি?ডক্টর জাফর ইকবালের যে সমিস্যা আছে এটা আজে থেকে বারো তের বছর আগে আমি প্রথম শুনি আমার এক বন্ধুর কাছে। আমার কাছে জাফর ইকবাল তখন এক রূপকথার নায়ক। যে লোক হাত কাটা রবিন লিখেন, টাইট্রন একটি গ্রহের নাম লিখেন সে আবার আমেরিকার নিশ্চিন্ত জীবন ছেড়ে দেশের এক অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যোগ দিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে আবার ধাইধাই করে টেনে তুলার স্বপ্ন দেখেন। অধিক উচ্ছ্বসিত হয়ে এক আড্ডায় তার বেশী প্রশংসাই করে ফেলেছিলাম বোধহয়। শাহজালালে অধ্যয়নরত আমার বন্ধু মুখ অন্ধকার করে বলল, উনার সমিস্যা আছে। আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে জিজ্ঞেস করি, কি সমিস্যা? বলে, আছে, এইসব পলিটিক্স এর ব্যাপার, তুই বুঝবি না। আফসোসের ব্যাপার, সেই সমিস্যাটা কোথায় এত বছর পরে আজ ঠিক বুঝলাম না। তবে আমি টিউব লাইট হলেও দেশের জনগণ টিউব লাইট না। এই লোকটার যে ভয়ঙ্কর সমস্যা আছে সেটা তারা বুঝে ফেলেছে। গবেষণা করে বুঝলাম মোটের উপর জাফর ইকবালের সমিস্যা এক হাজার। তার মাঝে শতকরা আশি ভাগ সমস্যা তিনি কি করেছেন সেটা নিয়ে না, তিনি কি করেন নাই সেটা নিয়ে।

১) কেন তিনি গুম হত্যা নিয়ে কথা বলেন না?
২) কেন তিনি তেল গ্যাস নিয়ে কথা বলেন না?
৩) কেন তিনি বিএনপি-জামাতকে 'আসো বাবু খাও' বলে নির্বাচনে ডেকে আনেন না?
৪) কেন তিনি মতিঝিলে কুটি কুটি শহীদ হওয়া হেফাজত কর্মীদের জন্য কান্নাকাটি করেন না?
৫) কেন তিনি সিলেটের মানুষদের দেশের বাকি সব মানুষ থেকে আলাদা করে দেখেন না ?
৬) ৯৯.৯৯৯৯ পৌনঃপুনিক ভাগ মুসলমানের দেশে বসে তিনি কোরআন হাদিসকে ফিল্টার না বানিয়ে কেন তিনি মুক্তিযুদ্ধকে ফিল্টার বানাতে চান?
৭) কেন তিনি বসে বসে খালি সায়েন্স ফিকশন আর বিজ্ঞানের পেপার না লিখে দেশের ব্যাপারে নাক গলান?
৮)কেন তিনি জামাতকে যত পরিমাণ বকাবকি করেন, আম্লিগকে তার চেয়ে বেশী পরিমাণ বকাবকি করেন না?
৯) সব বুদ্ধিজীবী যখন নিজের শিশ্ন নিজের মুখে পুরে মুখ বন্ধ করে বসে থাকে, শুধু তিনি একা কেন ব্লগার হত্যা আর মৌলবাদ নিয়ে প্যানপ্যান করেন?
১০) কেন তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশে যত খুশী রাজনৈতিক দল থাকতে পারবে কিন্তু তাদের সবাইকে একটা বিষয়ে এক হতে হবে, সেটা মুক্তিযুদ্ধ ।
১১) কেন তিনি ছাত্রলীগকে শিবিরের সমান করে বকে দেন না?
১২) কেন তিনি আম্লিগকে জামাতের সমান পরিমাণ গালি দেন না?
১৩) কেন তিনি বারবার মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ বলে প্যানপ্যান করেন?
১৪) কেন তিনি শিক্ষকদের ভর্তি পরীক্ষা বাণিজ্যের ব্যাঘাত ঘটান?

........................

১০১) কেন তার চুল সাদা?
১০২) কেন তিনি আবেগে কেঁদে ফেলেন?
১০৩) কেন তিনি ছাত্রদের ঠ্যাঙ্গানি খেয়ে চুপচাপ ঘরের ভেতর না গিয়ে গর্দভের মতো বৃষ্টিতে ভিজেন?
১০৪) কেন তিনি চশমার ভেতর দিয়ে না তাকিয়ে চশমার ফাঁক দিয়ে তাকান?

........................

৯৯৯) কেন তিনি কথা বলেন? কেন? কেন? কেন?
১০০০) কেন তিনি কথা বলেন না? কেন? কেন? কেন?

লেখার এই পর্যায়ে এসে একটা বিজ্ঞাপন বিরতি দিচ্ছি। বিজ্ঞাপন হিসেবে হাসিব মাহমুদের দেয়া এই 'কেন কেন কেন কেন' সঙ্গীত সবাইকে শুনতে অনুরোধ করছি। আমাদের দেশে আরও কি কি সমিস্যা সেটা এই কেন কেন কেন কেন সঙ্গীত শুনলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মাঝেমাঝে মনে হয় জামাত-হেফাজত-আনসার মিলে যখন এই মানুষটিকে মারতে যাবে তখন ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে চুপিচুপি বলে যাবে, ওই যে স্যারের বাসা ওই দিকে। দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বামেরা বলবে, আহা এরকম খুনোখুনি ঠিক নয়। মাও আঙ্কেল আর চে ভাইয়া খুনাখুনি পছন্দ করেন না। তবে আপনারা যখন কষ্ট করে ওই দিকে যাচ্ছেনই তখন এই ধারালো চাপাতিটাই নিয়ে যান। অল্প সময়ে কাজ শেষ হবে।

আছায্য বেফার হচ্ছে, শাহজালাল ভার্সিটিতে একদল শিক্ষকের উপর হামলা করলো ছাত্রলীগের কর্মীরা। সেই হামলার নিন্দা করায় সমস্ত ফোকাস চলে আসলো ডক্টর জাফর ইকবালের উপর। আরে বাবা গালি দিতে হয় আগে ছাত্রলীগকে দে। তা না করে জাফর ইকবালের চোদ্দ-গুষ্টি উদ্ধার হচ্ছে। তার দোষটা হচ্ছে তিনি কেন পৃথিবীর যাবতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ আগে না করে ফট করে এইখানের শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ করে বসলেন। বুয়েট, জগন্নাথ, ইসলামী থেকে শুরু করে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নির্যাতনের সময় তিনি কোথায় ছিলেন? আ মোর জ্বালা! এই ধরণের ত্যানার নাম "তখন আপনি কই ছিলেন?" আমি মাত্র কয়েকবছর ধরে সামান্য কিছু লেখালেখি করেই এই ত্যানায় প্যাঁচিয়ে গেছি বারবার। শিবিরকে গালি দিলে বলা হয় যখন ছাত্রলীগ এই আকাম করেছিল তখন আপনি কই ছিলেন? ব্যাটা আম্লিগের দালাল কুথাকার। আবার ছাত্রলীগের কোন সমালোচনা করলে বলা হয় খালেদা জিয়া যখন বাস পুড়াচ্ছিল তখন আপনি কই ছিলেন? ব্যাটা সুশীল কুথাকার। এই "তখন আপনি কই ছিলেন?" অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমি আজকে এই মুহূর্তে একবারে সত্যায়িত ঘোষণা দিয়ে পৃথিবীর সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে দিচ্ছি।

Quote:
আমি নামঃ চরম উদাস আজ ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং, ১৭ই ভাদ্র ১৪২২ বাং, ১৮ যিলকদ ১৪৩৬ হিজরি তারিখে চাঁদ, তাঁরা এবং সূর্যকে সাক্ষী রেখে পৃথিবীতে আমার জন্মের আগের, জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়ের এবং মৃত্যুর পরের সকল হয়ে যাওয়া, হতে থাকা এবং হতে পারে অন্যায়ের সময় আমি কঠিন, তরল বা বায়বীয় যে কোন অবস্থাতেই থাকি না কেন সেই অবস্থা থেকেই সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করলাম। আমীন।

ডক্টর জাফর ইকবালকে করজোড়ে অনুরোধ করবো উনি যেন আমার উপরের এই ফর্মে নিজের নাম বসিয়ে একই রকম একটা প্রতিবাদ লিপি ছাড়েন। অবশ্য তাতেও খুব বেশী লাভ হবে বলে মনে হয়না। আর কেউ কিছু বলুক না বলুক বামেরা এসে গাল ফুলিয়ে বলবে, খালি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেন। ন্যায়ের প্রতিবাদ করলেন না। মানি না মানব না। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হউক।

এত বকবক করার পরেও যদি জাফর ইকবালের সমিস্যা কোথায় না পরিষ্কার হয় তবে বরং মৃদুল আহমেদের সেই 'সমস্যা কই' কবিতাটা আবার পড়ে ফেলুন চটপট। জাফর ইকবালের ঠিক কি কি সমিস্যা বা জাফর ইকবালকে নিয়ে কি কি সমিস্যা এটা পড়লে হয়তো তা পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

Quote:
সমস্যা কই?
মৃদুল আহমেদ

কও তো মিয়া সমস্যা কই? সিনায় ব্যথা? ঠ্যাঙ্গে গোদ?
কোষ্ঠ কঠিন? জিব্বাতে ঘা? রাইতে হঠাৎ পাকছে পোদ?
বুক ধড়ফড়? বিশাল পাথর? ...জমছে মূত্রথলিতে?
এইচআইভি? হোটেল ছিলা মগবাজারের গলিতে?
সমস্যা নাই? আইছো কেন? সময় অনেক শস্তা, না?
চেহারাখান দেখতে আহো? রূপ কি আমার মস্তানা?
খাড়ায়া থাকো, আইবা পরে আবার তোমায় ডাক দিলে--
আপনে আহেন! কোথায় জখম? বুকে? খতরনাক দিলে?
জখম তো নাই! প্যাডের পীড়া? বিছনা ভিজে ঘুমাইলে?
গোপন অসুখ? হয় না খাড়া পরের বউরে চুমাইলে?
কোমর টাটায়? সর্দি নাকে? চিপায় চাপায় খাইজ্যানি?
মাথার ব্যারাম? নিজের লগে নিজেই করেন কাইজ্যা নি?
সমস্যা নাই? তাইলে মিয়া চেয়ারডারে চ্যাটকায়া
সকাল থিকা বইসা ক্যানো আমার দিকে ভ্যাটকায়া?
সবাই আহেন! সবাই আহেন! সমস্যা কী? কইন না ভাই!
মেয়র কাকা? মার্ক্সবিবাদি? জাতের উকিল মইন্যা ভাই?
কারোই দেখি সমস্যা নাই!
জামাত-শিবির?
সমস্যা নাই!
জাসদ বাসদ?
সমস্যা নাই!
লীগের ঘেঁটু?
সমস্যা নাই!
ন্যাপের জেঠু?
সমস্যা নাই!
মেয়র কাকার?
সমস্যা নাই!
নিউজপেপার?
সমস্যা নাই!
চেয়ারম্যানের?
সমস্যা নাই!
বৃক্ষপ্রেমী?
সমস্যা নাই?

তাইলে তোগোর সমস্যা কই? চেইতা গিয়া জিজ্ঞালে...
সবটিয়ে কয়... "সমস্যাডা শুধুই জাফর ইকবালে!"

Dr Zafor Iqbal

উপরের এই ছবি দেখে ঈদের আনন্দে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে কত কত মানুষ। আমি শুধু যতবার ছবিটা দেখি ততবার মনে হয় কেউ যদি আমাকে বলে, বর্তমান বাংলাদেশকে এক কথায় প্রকাশ কর। তাহলে আমি এই ছবিটা দেখিয়ে বলব, এই যে এটাই আমার বর্তমান বাংলাদেশ। এই একটা ছবি পুরো বাংলাদেশকে এক কথায় প্রকাশ করে, বারবার হেরে যাওয়ার গল্পটাই বলে। চোখ খুললে এই ছবিটা দেখি আর চোখ বন্ধ করলে এই ছবির চারপাশে হায়েনাদের অট্টহাসি শুনি।


Comments

সো's picture

হাসতে গেলাম, ক্যামন জানি কান্না চলে আসলো।

কর্ণজয়'s picture

রাগতে গেলাম, হাসতে হলো।তারপর- হাসতে গেলাম, ক্যামন জানি কান্না চলে আসলো।

সজল's picture

এক্কেরে যা যা বলতে চাইছিলাম, বলে দিলেন পুটু বরাবর ডিমের মত। অনেক আগে "জাফর স্যার কেন তমুক ঘটনায় কিছু বলে নাই" সেই নিয়ে এক বন্ধু তারে ধুয়ে স্ট্যাটাস দিলো। তো, সেইখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে FAQ এর মত ব্যাপার শুরু হইল। একের পর এক লোক জিজ্ঞেস করে "কই, ওই ঘটনায় উনি কিছু বলেন নাই কেন?", আর আমি একের পর এক ওই ঘটনায় উনার বলার লিংক খুঁজে দেই। কিন্তু অসীমের সাথে কমপিট করে কি আর জেতা যায়?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

শিশিরকণা's picture

একসময় ভাবতাম মৌলবাদিরা এই লোকটারে এখনো মারে নাই ক্যান, হয়ত তার অগণিত ভক্তরা ক্ষেপে যাবে এই ভয়ে । এখন বুঝছি, যে এরা আসলে অপেক্ষায় আছে, কবে উনি সব্বার ভিলেনে পরিণত হবেন সেই সময়ের জন্য। ‌You either die a hero, or live long enough to become a villain. সেই ঈদের দিনের অপেক্ষায় আছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী's picture

এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। হাঁসট্যাগ বালের আলাপ - কিন্তু - হাঁসট্যাগ আসল আলাপ — এই ফমর্েটে গতকাল কত-শত মন্তব্য দেখলাম ফেইসবুকে, পত্রিকার কমেন্ট সেকশনে। একেকটা রাম এবং বাম ছাগল যেন ফেইসবুকে বসে সকাল-বিকাল দুনিয়া বদলে ফেলে, এমন ভাবে মন্তব্য করে। এটা তাদের উপলব্ধির বাহিরে যে এ জাতির ভাগ্য একজন জাফর ইকবাল এখনও সবার হয়ে কথা বলে, বৃষ্টিতে ভিজে, শহীদ মিনারে গিয়ে না খেয়ে বসে থাকে, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা যখন কথা বলে না, তখন তিনি 'ঘ্যান ঘ্যান' করতেই থাকেন।

এতটুকু বাড়িয়ে না বলে বলা যায়, সুপারম্যান যদি বাস্তবে থাকে সেটা এই মানুষটা। তা না হলে রাম ছাগল, বাম ছাগল, আম্লিগ, বিম্পি, জামাত, হেফাজত, আনসার — সবার সাথে একা লড়ে যাচ্ছেন কেমন করে তিনি? স্যারের জন্যে রইলো স্যালুট।

স্বপ্নসতী's picture

মন খারাপ

অতিথি লেখক's picture

জাফর স্যারের এই ছবিটাই আমার অশ্রুভেজা বাংলাদেশ। অপরাজেয় বাংলাদেশ আনত মস্তকে হেরে যাচ্ছে। আমি হেরে যাচ্ছি।

রাজর্ষি

সবজান্তা's picture

দেশে থাকতে কিছু বিশিষ্ট বিপ্লবীকে চিনতাম- পাঠক সমাবেশের সামনে পুরা সন্ধ্যায় গোটা দশেক বেনসন পোড়ানোর মাধ্যমে যারা দৈনন্দিন বিপ্লব করতেন। তাদের কয়েকজনকে দেখলাম জাফর ইকবালকে ষাঁড় ডেকে প্রবল আনন্দ সহকারে বগল বাজাচ্ছে। সেইটা দেখেই আপনার বিয়াল্লিশ দাঁতের মর্তবা উপলব্ধি করলাম।

এক লহমা's picture

চলুক
হ্যাঁ, মৃদুল আহমেদ ত বলেই রেখেছিলেন,
"তাইলে তোগোর সমস্যা কই? চেইতা গিয়া জিজ্ঞালে...
সবটিয়ে কয়... "সমস্যাডা শুধুই জাফর ইকবালে!"

"মাঝেমাঝে মনে হয় জামাত-হেফাজত-আনসার মিলে যখন এই মানুষটিকে মারতে যাবে তখন ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে চুপিচুপি বলে যাবে, ওই যে স্যারের বাসা ওই দিকে। দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বামেরা বলবে, আহা এরকম খুনোখুনি ঠিক নয়। মাও আঙ্কেল আর চে ভাইয়া খুনাখুনি পছন্দ করেন না। তবে আপনারা যখন কষ্ট করে ওই দিকে যাচ্ছেনই তখন এই ধারালো চাপাতিটাই নিয়ে যান। অল্প সময়ে কাজ শেষ হবে।" - সেটাই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মাহমুদুল হাকিম তানভীর's picture

অসামান্য লেখা!!!

মাহবুব লীলেন's picture

চরমিস্ট উদাসাইজেশন...

নিটোল's picture

Quote:
উপরের এই ছবি দেখে ঈদের আনন্দে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে কত কত মানুষ। আমি শুধু যতবার ছবিটা দেখি ততবার মনে হয় কেউ যদি আমাকে বলে, বর্তমান বাংলাদেশকে এক কথায় প্রকাশ কর। তাহলে আমি এই ছবিটা দেখিয়ে বলব, এই যে এটাই আমার বর্তমান বাংলাদেশ। এই একটা ছবি পুরো বাংলাদেশকে এক কথায় প্রকাশ করে, বারবার হেরে যাওয়ার গল্পটাই বলে। চোখ খুললে এই ছবিটা দেখি আর চোখ বন্ধ করলে এই ছবির চারপাশে হায়েনাদের অট্টহাসি শুনি।

এই ব্যাপারটা নিয়েই দু'দিন ধরে মন খারাপ। মন খারাপ

_________________
[খোমাখাতা]

গৌতম হালদার's picture

ড. জাফর ইকবাল শুধু একজন প্রথিতযশা শিক্ষকই নন, নন কেবল শহীদের সন্তান কিংবা একজন আধুনিক মনন আর মুক্তচিন্তার ধারক একজন মানুষ। আমার মনে হয় এসব ছাঁপিয়ে তাঁর সব থেকে বড় পরিচয় তিনি আমাদের "চেতনার বাতিঘর"।
এই বাতিঘরটি কেউ অবহেলায়-অযত্নে নষ্ট করে ফেললে সম্মুখবর্তী নিকসকালো রাতে জাতিকে দিগভ্রষ্ট হতে হবে, কোনো সন্দেহ নেই।

জি.এম.তানিম's picture

জাফর ইকবাল স্যার গলায় দড়ি দিবে শুনে কতিপয় বামছাগল খুশির চোটে স্টেশনারি দোকানে দড়ি কিনতে লাইন দিয়ে ফেলসে ইতিমধ্যে...

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

হাসিব's picture

কেনু কেনুর লিস্টি পড়ে হাঁটু সরকারের আমলের এই ক্লাসিকটার কথা মনে পড়ে গেলু মন খারাপ

স্যাম's picture

এপিক জিনিস!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ সারাদিন ধরে মাথা কেনু কেনু করবে দেখলে।

চরম উদাস's picture

এই জিনিস তো আগে দেখি নাই। পুরাই এপিক। পুরা মাথা এখন কেন কেন কেন কেন বলতে বলতে বাইবাই করে ঘুরতেছে হো হো হো

হাসিব's picture

ফেইসবুক ব্লগে যে কেনু কেনু কেনু বলতে শোনেন লোকজনরে সেইটার সোর্স হলো ঐ ভিড‍্যু।

চরম উদাস's picture

হায় হায়, আমি তো এতকাল না জেনেই কেনু কেনু কেনু কেনু বলতাম। গানটা আসলেই ভয়ঙ্কর, পুরা মাথার মধ্যে ঢুকে যায় ইয়ে, মানে...

হাসিব's picture

ফিউচারামার হিপনোটোডের মতো হিপনো মোল্লা।

স্পর্শ's picture

এই ভিডিওর সূত্রে এর আরো কয়েকটা শুনে ফেললাম। এই মোল্লা ট্যালেন্টেড আছে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হাসিব's picture

জাগ্রত কোবি মুহিব খানের দর্শকেরাও দর্শনীয় বস্তু। এই ভিড‍্যুৃটাতে মুহিব থেকে নজর সরিয়ে দর্শকদের মন দিয়ে দেখতে হবে।

চরম উদাস's picture

খাইছে ম্যাঁও

সুবোধ অবোধ's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমার মাথার মধ্যে এখন কেনু কেনু কেনু কেনু ঘুরতেছে!!!

তারেক অণু's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

ঢুঁর মিয়াঁ, একটা সমস্যা ওয়ালে লিখা সবাইরে বুঝাইতে হইতেছে! সেন্স এত্ত কম হইলে ক্যামনে কী !

অভিমন্যু .'s picture

উত্তম জাঝা!

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

পরাজিত প্রতিক্রিয়া‍!
মন্তব্য করার ভাষাও নেই, ইচ্ছেটাও যাই যাই করছে।

____________________________

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

বিরাট সমিস্যা!

হ্যাঁ এবং না's picture

অসাধারন একটা লেখা। কিন্তু শেষে এসে মনটা খারাপ করে দিলেন। উনার ভুল যে কিছু আছে তাতে কোন সন্দেহ নাই, আমাদের সকলেরই ভুল আছে। ওনার ভুল নিয়ে কথা না বলে, অপমানে তালি দেবার তালিকাটা বেরেই যাচ্ছে। ফেবুতে মাসুদ রানা (পিনাকির গুরু) এর লেখাটা আশাকরি পরেছেন। প্রবল বাঙ্গ-বিদ্রুপ এ ভরা জাফর ইকবাল আর ইয়াসমিন মাদাম কে নিয়ে। মনে হচ্ছে বামাতিদের ইদের ওপর শুক্কুরবার

পাগল পোলা's picture

এই ছবি দেখে আমারই গলায় দড়ি দিতে ইচ্ছা করছে।

অতিথি লেখক's picture

Quote:
৯৯৯) কেন তিনি কথা বলেন? কেন? কেন? কেন?
১০০০) কেন তিনি কথা বলেন না? কেন? কেন? কেন?

বোধহয় জাফর ইকবাল স্যারই একমাত্র লোক এই বাংলাদেশে, যিনি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, অ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, ঘোর আস্তিক, ঘোর নাস্তিক, স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি, প্রগতিশীল, অ-প্রগতিশীল - সবাইকেই খুব রাগিয়ে দিয়েছেন, কারণটা সেই 'কেন তিনি কথা বলেন' বা, 'কেন তিনি কথা বলেন না'! কিন্তু তবু জাফর ইকবাল স্যার তার 'কথা বলা' বা, 'না বলা'র স্বাধীনতা ধরে রেখেছেন এবং এই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেও যাচ্ছেন।
সবচেয়ে আশ্চর্য হল, জাফর ইকবাল স্যারের এই 'কথা বলা' বা 'না বলার স্বাধীনতা' কি সুন্দরভাবেই না এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক ও অসাম্প্রদায়িককে, স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তিকে, প্রগতিশিল ও অপ্রগতিশীলকে! জাফর ইকবাল স্যার না থাকলে কি আমরা বিবদমান দলগুলোর এহেন অভাবনীয় অন্তর্নিহিত মিল অবলোকন করতে পারতাম?
জাফর ইকবাল স্যারের এই 'বলার' ও 'না বলার' স্বাধীনতা আসলে আমাদের চির-বিভক্ত জাতিকে এক করে দিয়েছে! এমন এক বাংলাদেশের চিত্র আমাদের সামনে এনে দিয়েছে, যেখানে একজন জাফর ইকবাল একা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন, অবরুদ্ধ এক বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে!
।।।।।।।।।।।
অনিত্র

Rain Soaked Poet's picture

ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। আমারও কেন যেন মনে হয় যে জামাতিরা যদি উনাকে খুন যায়, তাহলে অন্য অনেক দল থেকেই হয়তো তাঁদের সহযাত্রী হতে চাইবে।

অতিথি লেখক's picture

লেখা ভাল লেগেছে। এটা বলার সাথে সথে এটাও জানান দিয়ে গেলাম যে এমন একজন নাস্তিক(!), মুরতাদের (!) বিপন্ন অবস্থার ছবি দেখে পাওয়া আনন্দকে ঈদের আনন্দের সাথে তুলনা করে আপনি কিনতু আমার সেই অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। আপনি আমার সেই অনুভূতিতে আঘাত দিলেন কেন?কেন?কেন্? কেন?কেন?
স্যারের কিছু হলে সকল শ্রেণীর ছাগুরা খুশী হবে সেটা যেমন সত্যি তেমনি এটাও চরম সত্যি যে যদি উনার কিছু হয়েই যায় তবে আমাদের সবার তথা দেশটিরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদেরই স্বার্থে স্যারকে সম্ভব সর্বাপেক্ষা বেশী সময় ধরে বাঁচিয়ে রাখি। স্যার হয়ে উঠুন পৃথিবীর দীর্ঘজীবিতম মানুষ।

- পামাআলে

নীড় সন্ধানী's picture

Quote:
এই একটা ছবি পুরো বাংলাদেশকে এক কথায় প্রকাশ করে, বারবার হেরে যাওয়ার গল্পটাই বলে। চোখ খুললে এই ছবিটা দেখি আর চোখ বন্ধ করলে এই ছবির চারপাশে হায়েনাদের অট্টহাসি শুনি।

মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী's picture

আমাদের জাফর ইকবাল কি একজনই?
আরো আরো জাফর ইকবাল চাই।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অতিথি লেখক's picture

খুব ভালো লেখা। জাগ্রত কোবির গানগুলা এত অসাধারণ!!!

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক's picture

ভাল লাগল। যথারীতি। আশা করছি কোন এক সহৃদয় ব্যাক্তি এই লেখাটা স্যারকে পড়াবেন।

স্বগবান

রানা মেহের's picture

আবারও বলি অসাধারণ লেখা।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তেপান্তরের পথিক's picture

আজ ২৬ এপ্রিল জাফর ইকবাল স্যারকে হত্যাচেষ্টার মামলায় এক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকজনের ৪ বছরের কারাদন্ডের শাস্তি হয়েছে। আর বিভিন্ন মিডিয়ার পেজে কিছু মানুষের কমেন্ট দেখে গা ঘিনঘিন করছে। আসামী কে জাতীয় বীর প্রমাণ করে ফেলে পারলে একেক জন।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.