পৌনঃপুনিক

তিথীডোর's picture
Submitted by rifatsanjida on Fri, 28/11/2014 - 1:37pm
Categories:

থ্যাঙ্কসগিভিঙের ছুটি চলছে। শেষ হলেই ফাইনাল।
এ ক'দিন সব চুদুরবুদুর বাদ দিয়ে দরজা আটকে পড়ে পাশনম্বর তোলার কসম খেয়েছিলাম, লাভ হয়েছে ডাইনোসরের ডিম।
ভাবলাম দু লাইন লিখি। এই আর কী।

____________________________________________________

সাড়ে এগারটা বাজে।
বারবার ঘড়ির দিকে চোখ চলে যাচ্ছে। বারটায় ক্লাস শেষ, মানে আমার ছুটি। ইস্কুলেরও। মানে আমি যেখানে পড়াই।
এমএসসি পরীক্ষার পর খানিকটা ঝোঁকের বশেই ঢোকা চাকরিটাতে। বেতন মন্দ না, অতোটা প্রেশার নেই, সব মিলিয়ে ফ্লেক্সিবল এনাফ। হাতখরচটা চলে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, পড়াশোনার সময় থাকে। নেক্সট বিসিএসটা টার্গেট আপাতত, খাটছি যতোটা সম্ভব। না হলে অবশ্য সব নূতন করে ভাবতে হবে।

কাজটা উপভোগ করি আমি। প্রিন্সিপাল বেশ সাদাসিধে ভাল মানুষ, দেখা হলেই হেসে কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন মা বলে। আমার বয়সী মেয়ে তার থাকার কথা নয়, খানিকটা ভারিক্কী ভাব আনতে চান হয়তো।
ভাল লাগার মতো কাজ করে বাচ্চাগুলোও। কিছু করতে হয় নাকি আবার, বাচ্চাকাচ্চা জিনিসটাই তো মুড বদলে দেয়। এত ঝকঝকে একেকজনের চোখ। আর হোমওয়ার্কের ভুলগুলো ঢাকতে দরকারে ফিঁচলে বুদ্ধির কমতিও নেই।

কঙ্কা মেয়েটা বসে দ্বিতীয় সারির তৃতীয় ডেস্কে। ওকে বিশেষ করে খেয়াল করার কারণ দুটো। বাচ্চাটা অসম্ভব চুপচাপ, প্রশ্ন না করলে কিচ্ছু বলে না কখনো। আর এর আগেও তিন চার বার লুকিয়ে গল্পের বই পড়তে দেখেছি ওকে। ক্লাসের পড়ায় অমনোযোগী তা ঠিক নয়, কিন্তু নিয়ম তো নিয়ম-ই.. তাই না?

আজকেও জেনারেল সায়েন্স খাতার নিচে চাপা দেয়া কমিক্স একটা। কঙ্কা গোলগোল চোখ করে তাকিয়ে আছে। আহারে সোনাটা, এইটুকুনি মানুষ অথচ পড়ার নেশায় পেয়েছে এর মধ্যেই! আমি গম্ভীর মুখ বানিয়ে ডায়েরিতে লিখে দেই, নেক্সট ক্লাসে মাকে দেখা করতে বলবে। গট ইট?
কঙ্কা মাথা নাড়ে, আস্তে করে ব্যাগ গুছিয়ে চেইন টানতে শুরু করে। টিফিনবক্স, পেনসিলবক্সে ইরেজার, শার্পনার, কিটি আঁকা নীলাভ ছোট্ট স্কেল। অনেককিছু সামলাতে হয় ওকে এর মধ্যেই। আমি আস্তে করে ওর মোটা বেণির গোছাটা ধরে নেড়ে দিই-- বাসায় গিয়ে পড়লেই তো হয় দুষ্টু মেয়ে। জানো না, ইস্কুলে অন্য বই আনা যে নিষেধ?

মা বাসায় পড়তে দেয় না যে মিস। গল্পের বই হাতে দেখলেই বকা দেয়। মারেও।

মারে! এইরকম একটা বাচ্চার গায়ে হাত তোলে কিভাবে, অদ্ভুত তো! অথচ কী চমৎকার করে কথা বলেন মহিলা, দেখা হয় তো ফি-বারই প্যারেন্টস মিটিঙে। বেশ ভাল চাকরি করেন জানি।

-তোমার মা বই পড়তে ভালবাসেন না?
কী বলো মিস, মা তো বইয়ের পোকা! আমাদের বাসায় কত্তো কত্তো বই! সব মায়ের। কিন্তু আমি পড়তে চাইলেই বকা দেয়। আমি সব টাস্ক যদি জলদি জলদি শেষ করে ফেলি, তাও পড়তে দেয় না। কিন্তু খুব ইচ্ছে করে যে বই পড়তে...

পরের শনিবার ছুটির পর টির্চাসরুমের এক কোনায় আমরা বসি। আমি আর কঙ্কার মা। আজকে অফিস ছুটি উনার। আমাদেরও হাফ স্কুল। কঙ্কা মাঠে সি স্লাইডে খেলছে। এক চিলতে শানবাঁধানো মাঠ, ঘাস নেই একরত্তি... তার-ই বাহারি নাম প্লে গ্রাউন্ড। হাহ!

- কেমন বন্দী শৈশব, না?
বেখেয়ালি হয়ে পড়েছিলাম একটু। থতোমতো খেয়ে তাকাই। ভদ্রমহিলা হেসে ফেলেন। আপনি বোধহয় অন্যকিছু ভাবছিলেন।
আমিও আলতো হেসে সামলে নিই, সরি। আমার নিজের ইস্কুলের মাঠের কথা মনে পড়ছিলো। উফ, কী বিশাল ছিল মাঠটা!
- আমারও। সরকারি ইস্কুলে পড়েছি তো, সবই ছিল বিশাল। মাঠ, ক্লাস, লাইব্রেরি..সব!

নিজে থেকেই মূল প্রসঙ্গ টানার সুযোগে আমি আরাম করে চেয়ারে দুহাত ছড়াই। আপনার নিজেরই তো শুনলাম বিশাল বইয়ের সংগ্রহ। কঙ্কা গল্প করছিল ঐদিন। বুড়িটাকে বই পড়তে দেন না কেন তাহলে? কত চমৎকার সব বই আছে বাচ্চাদের জন্য লেখা।

ধক করে একজোড়া বিষণ্ন চোখ জ্বলে ওঠে কি, খানিকের জন্য? আমাকে বিস্মিত করে তিনি আবার সহজ হয়ে ওঠেন পরের দু সেকেন্ডের মধ্যেই।

বই? বই পড়ে কী করবে বলুন। আমিও ছিলাম এই রকম-ই এক বয়সে, নাওয়াখাওয়া ভুলে শুধু বই গিলতাম।
ভাবতাম পৃথিবীটাও ঐসব বইয়ের মতোই, ভাবতাম দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই আসলে ভাল মানুষ, ভাবতাম সত্যি সত্যি ভালবাসলে সে ভালবাসা ফেরত পাওয়া যায়। তারপর দেখলাম, সব আসলে ভুল। ঠেকে শিখেছি তো, নিজের মেয়েটাকে আর ঠকতে দিতে চাই না।
কঙ্কাটাও এমন জিদ্দি হয়েছে, লুকিয়ে..চুরি করে..হাতের কাছে জুটিয়ে নিয়ে পড়বেই। রক্তের দোষ হয়তো।
সে জন্যেই তো এতো ভয়।

...যাই তাহলে আজকে। আপনার সঙ্গে কথা বলে ভাল লাগল। অনেক ছেলেমানুষ আছেন বোধহয় এখনো।

একটা হলুদ কামিজ, বাদামিহলুদসবুজ ঘের দেয়া ওড়নার প্রান্ত সিঁড়ির একটা একটা ধাপের সঙ্গে আস্তে আস্তে আমার চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে যেতে থাকে।


Comments

সুলতানা সাদিয়া's picture

এরকম দু এক লাইন আরো পড়তে চাই।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তিথীডোর's picture

অভিশপ্ত ছাত্রজীবনের সঙ্গে এসবও সমানুপাতিক হারে চলবে বলেই দুরাশা রাখি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক's picture

পড়ে আশ মিটিলোনা! আরো কিছুটা পড়া যেতো মনে হচ্ছে

ঔপপত্তিক ঐকপত্য

তিথীডোর's picture

ঔপপত্তিক ঐকপত্য, এটা আপনার নিক? বাপরে!

পাঠের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক's picture

বাংলা ব্যাকরণ এন্টেনার উপ্রে দিয়া যাইতো বুঝি খাইছে

তিথীডোর's picture

হ, ব্যাকরণে সিরাম কাঁচা ছিলাম। শুধু 'বানাম ভূল' দেখলে গা এট্টু চিড়বিড় করতো। এখনো করে। হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

তুমি লেখায় আজকাল খুব ফাঁকি দাও। মাইনাচ।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তিথীডোর's picture

আমি সারাজীবন সবকিছুতে ফাঁকি দিয়েছি। এজন্যেই আজকের এই হাঘরে দশা। হাসি

দ্যাশে ফিরছি বোধহয় জানুয়ারিতে। এরপর থেকে যত্ন করে ব্লগামু নে। কসম! দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

একেবারে? নাকি ছুটি?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তিথীডোর's picture

এখানেই কবি আপাতত নীরব। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

অকা হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর's picture

আমার পনেরো মাস বয়েসী মেয়েটার একটা পটি ট্রেনিং এর বই আছে। সেইটাতে পেছনের পাতায় একটা ছোট বোতাম চাপ দিলে কমোডে ফ্লাশ করার আওয়াজ হয়। আমি মাঝে মাঝে ঐ বইটা কেবল ফ্লাশের আওয়াজের জন্য শুনি। আরেকটা স্বরে অ স্বরে আ শিখার বই আছে, ইংরেজি অ্যালফাবেট সহ। সেইটাতে বড় করে লিখা A for Ass, পাশে একটা হাস্যরত গাধার ছবি।

কত মজার মজার বই দুনিয়াতে।

..................................................................
#Banshibir.

তিথীডোর's picture

গত উইকে তোত্তো চান পড়লাম বহুদিন পর, আবারো। মূল বই তেতসুকো কুরোয়ানাগির লেখা, বাংলায় অনুবাদ করেছেন মৌসুমি ভৌমিক।

বই পড়তে ভালবাসি. সে দাবি পুরোনো। সবচাইতে ভালবাসি আসলে ছোটদের নিয়ে লেখা বই। শৈশবে ফিরে যাওয়ার মতো তীব্র সুখকর অনুভূতি আর কোন ধরনের বই-ই বা এত সহজে দিতে পারে? হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

ভাবলাম ছবি টবি নিয়ে লেখা হবে বোধহয়। কিসের কি!

ছোটবেলায় আউট বই পড়তে দিতনা। তাও টাকা জমিয়ে কিছু সাইফাই কেনা হয়েছিল। এখন বই বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। পড়ার জন্য ট্যাবলেটও কিনছি। আউট বই না, ইন-বই।

আমিও একটা লেখা রেডি করতেছি। অবশ্যই ছবি থাকবে সেটাতে।

তিথীডোর's picture

বাড্ডেতে বাল্যসখী একটা কিন্ডলে রিডার গিফট দিয়েছিল। সেটা পড়েই আছে। এখনো আরাম লাগে না ঠিক।
এরচেয়ে পাঠকের মৃত্যু ঘটানো ইজি।

ছবি টবি নিয়ে কীভাবে লিখব, আমি হলাম মামুলি ক্লিকার।
কিন্তু বড় হয়ে একদিন ঠিকই ছুটুমুটু ফটোগ্রাফার হবো। হবোই!

ছবিসহ পোস্ট জলদি জলদি দিয়েন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

কিন্ডলে হয় না আমার। ট্যাব নিয়েছি, ওটাতে কিন্ডল এ্যাপ দিয়ে দারুণ বই পড়া যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যখন দরকার তখনই বইটা হাতের কাছে পাচ্ছি। এভাবে হয়তো "রিডিং ফর প্লেজার" হয়না, কিন্তু রিডিং ফর ওয়ার্ক হয়।

Sohel Lehos's picture

এক সময় চরম বই পোকা ছিলাম। খেতে বসলেও একটা বই সামনে থাকত। মা/বাবা'র কাছে বহুত প্যাদানি খেয়েছি খাতার ভেতর কিংবা টেক্সট বুকের ভেতর গল্পের বই লুকিয়ে পড়তে গিয়ে ধরা খেয়ে। ইন্টারনেট ব্যাবহার শুরু করার পর থেকে সেই বই পড়ার অভ্যাস আর নেই। আই মিস শৈশব ওঁয়া ওঁয়া

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

তিথীডোর's picture

আমি আজীবন অপাঠ্য বইয়ের পোকা ছিলাম। হাসি
বাপ-মা বহুৎ পিটিয়েছে, ফায়দা হয়নি।
টিচাররাও পেটাতো, এখনো পেটায়। ওঁয়া ওঁয়া

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক's picture

জীবনের একটি বাকে এসে আপনি যে পেশাটিতে নিয়োজিত আছেন, সে পেশাটির প্রতি খুব আগ্রহ জন্মে। মনের এমনই একটি অবস্থায় এসে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের ‘নিষ্ফলা মাঠের কৃষক‘ পড়ে আগ্রহের আগুনে ঘৃত নিক্ষেপিত হয়। মনে হয়, ফিরে যাই ঐ পেশায়। কিন্তু মনের ইচ্ছার সাথে বাস্তব পারিপারশিকতার সহায়তা না পেয়ে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কি আর করা, দুধের সাথ ঘোলে মেটানোর পক্রিয়া স্বরূপ অন্যদের ঐ পেশায় যাবার জন্য উৎসাহী করি আর সুযোগ পেলে যারা এ পেশাতে আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি। আপনার লেখাটি পড়ে শিক্ষকতা পেশার প্রতি জাগরিত হওয়া লেলিহান ইচ্ছাটি আবার একটি মোচড় দেয়। আবারও মনে হয়, ভবিষ্যত প্রজন্মকে পাঠাভ্যাসসহ আরও অনেক দরকারী বিষয় রপ্ত করতে প্রভাবিত করার জন্য এ পেশার মাধ্যমে কাজ করার চেয়ে উত্তম পন্থা আর হয় না।

- পামাআলে

তিথীডোর's picture

ইয়ে ভাই/বোন পামাআলে, মুশকিলে ফেললেন দেখি।
আমি তো শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত নই। ইস্কুলে পড়ানো তো দূর, আমি কখনো টিউশনিই করিনি।
এটা গল্প-ই, বানিয়ে লেখা।

পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মরুদ্যান's picture

এত ফাঁকি দিলে ছৈলত ন!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর's picture

আচ্ছা, এরপরের বার ঠিকঠাক মতো হোমওয়ার্ক করব। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

Quote:
... ... ...আমিও ছিলাম এই রকম-ই এক বয়সে, নাওয়াখাওয়া ভুলে শুধু বই গিলতাম। ভাবতাম পৃথিবীটাও ঐসব বইয়ের মতোই, ভাবতাম দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই আসলে ভাল মানুষ, ভাবতাম সত্যি সত্যি ভালবাসলে সে ভালবাসা ফেরত পাওয়া যায়। তারপর দেখলাম, সব আসলে ভুল। ... ... ...

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর's picture

হ। এই জেবনের পাতায় পাতায় যা লেখা, সে বুল.. শুধু বুল

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাহসিন রেজা's picture

Quote:
তারপর দেখলাম, সব আসলে ভুল।

মন খারাপ
একটা মজার গল্প লিখুন না। হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

তিথীডোর's picture

অতীব গুরুত্বপূর্ণ দুই পাঠক সাম্প্রতিক অবনতিতে হতাশ হয়ে মন্তব্য করাই বন্ধ করে দিয়েছে। একজন তো ইনবক্সে গাইল দিয়ে ছালচামড়া কিছু বাকি রাখে নি। মন খারাপ

সামনে লম্বা শীত অবকাশ.. ছুটি শুরু হোক, লিখব নে। অনেক ধন্যবাদ তাহসিন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা's picture

লেখা চালু থাকুক, সেটাও তো কম কথা নয়!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর's picture

হ, আমাদের সংগ্রাম চলবেই! চাল্লু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.