আয়নাতে ওই মুখ দেখবে/দেখবো যখন

শেহাব's picture
Submitted by shehab on Thu, 27/11/2014 - 9:06pm
Categories:

কয়েকদিন আগে আমার আলমা ম্যাটার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে শহরের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ সদস্য মারা গেছে। এখন যেহেতু সবার হাতে হাতে ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল ফোন আছে কিভাবে কিভাবে যেন ক্যাম্পাসের কিছু মানুষ ওই সময়কার কিছু ছবি তুলে ফেলেছে এবং কয়েক দিন পরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে সেই ছবিতে কে কোনজন এই ব্যাপারটি চিহ্নিত করে দিয়েছে

আমার কাছে এই কাজটি পছন্দ হয়েছে বলে অনুমতি নিয়ে এখানে ডকুমেন্ট করলাম। রাস্তাঘাটে যখন মারামারি হয় তখন কোন এলাকার সন্ত্রাসী এসে কোথায় কাকে মারল এটা অনেক সময় চেনা যায় না। কিন্তু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মারামারিগুলো সাধারণত ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাই করে। কাজেই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সেগুলোর ছবিগুলো যদি তুলে ফেলা যায় তাহলে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওয়েবসাইটে দিলে ওই সন্ত্রাসীদের সহপাঠীরা কয়েকদিনের মধ্যেই সহজেই চিনে ফেলতে পারবে। আমরা যদি এখন থেকেই এই সব সন্ত্রাসীদের (অন্তত: যাদের হাতে রামদা আছে তারা তো সন্ত্রাসী) চিনে রাখতে পারি মন্দ হয় না!

কে জানে কখনও এই চিনে রাখাটা কাজেও লেগে যেতে পারে!

এই ছবিটি আমার খুব পছন্দের। কে কোনজন তার পাশাপাশি একদম সে কোন বিভাগের কোন বর্ষে পড়ে আর ছাত্রলীগের কোন গ্রুপের সাথে জড়িত সেটি বলে দেয়া আছে।

এটি অন্য একটি জায়গা থেকে ভিন্ন অ্যাংগেল থেকে তোলা। এর মানে হল ছাত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার কাজটি একাধিক মানুষ মিলে করছে। এটি খুব ভাল ব্যাপার।

এটি বেশ কাছ থেকে তোলা। যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বেশ ভাল ভাবেই চেনা যাচ্ছে।

এর বাইরেও ফেসবুক গ্রুপে আরো কিছু ছবি আছে যেখানে মুখগুলিকে গোল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু এখনও নামধাম জানা যায়নি। আশা করি শীগগিরই জানা যাবে।

এর পরেরবার যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি হবে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে লেগে পড়লে মন্দ হয় না। আমরা নিশ্চিত নই সরকার তাদের ধরে জেলে ভরবে কিনা। কিন্তু আমরা যদি পাবলিক ডোমেইনে এদের ছবি আর নাম ধাম লিপিবদ্ধ করতে পারি মন্দ হয় না। অন্তত: বেসরকারী চাকরীগুলোতে যদি তাদের কেউ কখনও আবেদন করে ইন্টারভিউতে এসবের উপর আলাদা কিছু প্রশ্ন করা যাবে!


Comments

অতিথি লেখক's picture

দুটো মন্তব্য ঃ

১ । দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে এখনো নাম কামানো এবং পদন্নোতির জন্য মামলা খাওয়াটা একটা প্রধান শর্ত । বিশেষত অর্থ বা পারিবারিক প্রতিপত্তি ছাড়া তৃনমুল পর্যায় থেকে দলে যায়গা করতে হলে মামলা খাওয়াটা বা দলের কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে মিডিয়ার চোখে আসাটা খুবই জরূরী । এই সব ছবি বা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি জোরালো কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে এই সব সন্ত্রাসীদের জন্য ছবি তোলার বিষয়টা শাপে বর হবার মতই হবে ।

২। আর ছবি তোলার বিষয়টাও খুব একটা নিরাপদ না । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারলে ছবিতে ধরা খাবার ভয়ে হলেও সন্ত্রাসে নব্য উৎসাহী ছাত্রদের উৎসাহ কিছুটা কমবে । বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি যদি কেবল ধমকধামক দিয়েই ছেড়ে দেয়া পর্যন্তই সীমিত থাকে তাহলে, পরের বার ফটো তুলতে গিয়ে ফটোগ্রাফারেরই কোপ খাবার সম্ভাবনা আছে ।

=============================
দস্যু ঘচাং ফু

অতিথি লেখক's picture

Quote:
পরের বার ফটো তুলতে গিয়ে ফটোগ্রাফারেরই কোপ খাবার সম্ভাবনা আছে।

ঠিকই বলেছেন! ক্যামেরা ট্রাইপডে বসিয়ে ছবি তুললে তো কোপ খাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই!!

অতিথি লেখক's picture

চলুক
আপনার অনুসন্ধানী পোষ্টগুলোর কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি।

অতিথি লেখক's picture

এদের ছবি দিয়ে কি হবে! আর ছবি দিয়েই বা কিছু হয় নাকি। এরা হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। এক নম্বর বাচ্চাদের ফতোয়া-পাঞ্জাবি পরা সুন্দর ছবি মিডিয়াতে সব সময় দেখা যায়।

রাজর্ষি

সুলতানা সাদিয়া's picture

ভয় পেয়েছি!

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মাসুদ সজীব's picture

চলুক

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

হাসিব's picture

এটা ভালো আইডিয়া হইছে।

অতিথি লেখক's picture

আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে ছাত্ররাজনীতির বলি হয় সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র পলাশ, সে পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিলো, আমাদের পাশের গ্রামের বাড়ি তাদের, একসাথে ক্রিকেট খেলতাম, বড় ভাইয়ের মত সম্মান করতাম তাকে। আপনার এই লিখা পড়ার পর সার্চ দিয়ে পলাশ ভাইয়ের ছবি আর তার পরিবারের আহাজারির ছবি দেখলাম, মন খারাপ হয়ে গেল। (ছবিটা শেয়ার করলাম সবার জন্য)

আজ পর্যন্ত সেই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি। মন খারাপ

আর কোন ছাত্র যেন অপরাজনীতির বলি না হয়।

ধ্রুব আলম's picture

চলুক আইডিয়া ভালো

শিশিরকণা's picture

এইটা ভালো, কারণ একাধিক লোক এখানে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে, ফলে কোন বিশেষ একজনের উপর শোধ নেয়ার আশঙ্কা কমে গেল।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.