১৯৭১-৭২-৭৩ সালের দিকে পাকিস্তানে আটকে পড়া বিপন্ন অনেক বাঙালি পাকিস্তান-আফগানিস্তানের দুর্গম পর্বতসংকুল সীমান্ত অঞ্চল সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে, জীবন হাতে নিয়ে, চোরাইপথে পেরিয়ে আফগানিস্তান ও ভারত ইত্যাদি হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন। আমার জানামতে এই ঘটনা নিয়ে খুব একটা লেখালেখি হয়নি (কারও জানা থাকলে জানিয়েন)। আমি এই ঘটনা নিয়ে কিছু লিখতে চাচ্ছি, ঐ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। তাছাড়া ঐ সময়, ঐ স্থানের, ঐ ঘটনা বা অভিজ্ঞতার কোন ছবি বা ভিডিও কারও কাছে আছে কিনা সেটাও খোঁজ করছি। সচলায়তনের কোন সহৃদয় সদস্য বা স্রেফ এমনি পাঠক - যদি এরকম কোন ছবি, ভিডিও, বা অন্য কোন ভিস্যুয়াল-অভিস্যুয়াল রিসোর্সের সন্ধান দিতে পারেন তাহলে ভীষণ কৃতজ্ঞ থাকব তার কাছে!
আপডেট
উপরের বলা বিষয়টাতে কি স্বল্প খরচে কোন ইন্টারেস্টিং ডকুমেন্টারি ফিল্ম বা ভিডিও বানানো সম্ভব? ৪২ বছর আগের ঘটনা, তার উপর আবার মূল ঘটনাস্থল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত অঞ্চল। ঐ কালে বা স্থানে - কোথাও আমার পক্ষে ফিজিকালি যাওয়া সম্ভব না। দৃশ্যমাধ্যমে তাহলে কি কিছু করা সম্ভব না? আমার একটা আইডিয়া ছিল এরকম - বেসিকালি ঐ ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তখনই প্রাপ্তবয়ষ্ক ছিলেন এবং এখনও জীবিত আছেন - এরকম আমার চেনা কিছু মানুষের সাক্ষাৎকার বা আন-ইন্টারাপ্টেড স্মৃতিচারণের একটা ভিডিও-সংকলণ করব। কিন্তু শুধু সাক্ষাৎকার বা স্মৃতিচারণ জোড়া দিয়ে ডকুমেন্টারি হয় না, একক স্টোরি হয় না। ইন্টারেস্টিং হবে বলেও মনে হয় না। সাধ্যের মধ্যে, বাস্তবসম্মতভাবে, অথচ - ইন্টারেস্টিং কিছু করতে হলে, কি করা যায়? কেউ কোন বাস্তবসম্মত সৃষ্টিশীল আইডিয়া দিতে পারবেন?
Comments
আপনি ১৯৭১ পাকিস্তানের সেনা গহ্বর থেকে দেখা বইটা পড়ে দেখতে পারেন। লিখেছেন মেঃ জেঃ খলিলুর রহমান।
আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি বইটার খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে, আমি মূলত বেসামরিক বাঙালিদের কথা জানতে চাইছি - যারা পাক-আফগান সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তান থেকে পালিয়েছিলেন।
****************************************
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
সত্তরের দশকের শেষ দিকে এই বিষয়বস্তুর বিস্তারিত দিক নিয়ে মির্জা আব্দুল হাই "ফিরে চলো" নামে একটি বই লিখেছিলেন।
প্রকাশকের নাম মনে আছে? বা কোথায় পাওয়া যেতে পারে? - এত পুরনো বই বাজারে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।
****************************************
প্রকাশকের নাম জানা নেই। কয়েকবছর আগে বইমেলায় একটি স্টলে দেখেছিলাম। বাংলাবাজারে খুঁজে দেখতে পারেন।
সচল 'মির্জা' হচ্ছেন সাহিত্যিক মির্জা আবদুল হাই-এর ভ্রাতুষ্পুত্র। তাঁকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
****************************************
সচল 'নুরুজ্জামান মানিক'-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁর কাছে তথ্য পাবার সম্ভাবনা আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পরিচিত একজন আত্মীয় আছেন, যারা এভাবে পালিয়ে এসেছিলেন ১ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে নিয়ে। পাকিস্তানে গোছানো সংসার ফেলে মোটামুটি এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিলেন তারা। আশঙ্কা করছিলেন যে পাকিস্তানে থাকা বাঙ্গালীদের মেরে ফেলা হবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঐ আত্নীয়কে কি জিজ্ঞেস করে সম্ভব যে, তার কাছে ঐ ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোন ছবি-টবি আছে কিনা? থাকার সম্ভাবনা যদিও খুব কম, কারন ওনারা তখন জীবন নিয়ে পালিয়ে আসছেন - কোন প্লেজার-ট্রিপে বেরোননি। তারপরও?
****************************************
প্রৌঢ় ভাবনা'দার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি... কাছাকাছি বিষয়ে উনি কিছু লিখেছিলেন মনে হয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
আমার নিকটতম এক আত্মীয় পরিবার সমেত খাইবার গিরিপথে কাবুল হয়ে দেশে ফিরেছিলেন। উনি সম্প্রতি সেই সময় ও যাত্রাপথের বর্ণনামূলক একটি লেখাও লিখেছেন শাশ্বতিকী নামক একটি সাহিত্য ম্যাগাজিনে। আমার কাছে হার্ড কপি আছে, কিভাবে পাঠাবো জানাইয়েন।
গোরা।
খুব ভাল হয় যদি লেখাটা স্ক্যান করে এই ইমেল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে পারেন - "monmaajhi এট জিমেইল ডট কম"।
****************************************
ভাই, ইমেইল চেক কইরেন। একটু দেরী করে ফেললাম, দু:খিত।
মন্ট্রিয়ালবাসী ড: রবের লেখা বইটিতে তাঁর পাকিস্তান হতে পলায়নের তাঁর পাকিস্তান হতে পলায়নের অভিজ্ঞতার বর্ণনা:
http://www.bangladeshisabroad.com/blog/2013/10/01/a-voice-chapter-4-our-escape-from-pakistan-pp-107-128/
দারুন লেখা।
****************************************
কিছুই জানা নেই এ সম্পর্কে। তবে তথ্য পেলে জানিয়ে যাবো।
ভাবনা'দার লেখাটার লিংক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ, সাক্ষী সত্যানন্দ, বিষয়টা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ্যাঁ, জানিতো বটেই। বিশিষ্ট অভিনেত্রী ডলি জহুরের স্বামী প্রয়াত অভিনেতা জহুর আহমেদ, আমার বড় ভাই এবং তাঁদের আরও দুই বন্ধু পাকিস্তান হতে 'ভূজ' মরুভূমি পেরিয়ে ভারতের রাজস্থান হয়ে কলকাতার হাই কমিশনে এক রাত কাটিয়ে ঢাকা পৌঁছেছিলেন। আমার এই লেখার প্রতিমন্তব্যে এই ঘটনাটি লেখার অঙ্গিকার করেছিলাম। তারপর অনেককাল পার হয়েছে। সে কথা ভুলেও গিয়েছিলাম। মন মাঝি আর সাক্ষী সদানন্দ আমায় মনে করিয়ে দিলেন। দেখি...
ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোন ছবি-টবি আছে এঁদের কারও কাছে? খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন?
****************************************
মাঝিভাই, 'A passage to freedom' বইটা কী পড়েছেন?
ওটা এ ব্যাপারে কিছুটা সাহায্য করতে পারে বলে ধারণা করছি।
বইটির লেখক আব্দুল মতিন(Abdul Matin)
উল্লেখ করা জায়গাগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
দারুন একটা বইয়ের সন্ধান দিয়েছেন আয়নামতি! এটা নিঃসন্দেহে জোগাড় করতে হবে! অসইংখ্য অসইংখ্য ধইন্যবাদ
****************************************
আপনি চাইলে আমি লেখকের সাথে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করতে পারি। লেখক আমার আত্মীয়।
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
এই বইটার কথা বলতেই লগিন করেছিলাম
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
***
মাঝিভাই এই দুটো লিংক দেখতে পারেন। জানিনা তেমন সাহায্য পাবেন কিনা(আমি পড়িনি আসলে) তবে জানা হবে কিছু।
"বন্দীশালা পাকিস্তান"
অনিন্দ্য ভাইয়ার পোস্ট
আপনার এই উদ্যোগের সাফল্যর আকাঙ্খা রাখি প্রবলভাবে। সাগ্রহ অপেক্ষায় রইলাম আপনার লেখার, সে যতদিনই লাগুক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ। শুধু লেখা না, সম্ভব হলে আরও বেশি কিছু করার ইচ্ছে আছে।
****************************************
ফেসবুকে ‘বইপড়ুয়া’ নামে একটা গ্রুপ আছে, আপনি সেখানেও এই বিষয়ে পোস্ট দিতে পারেন, আমি নিশ্চিত প্রচুর রেফারেন্স পেয়ে যাবেন।
কর্নেল তাহের’কে নিয়ে লেখা কোন বইতে এই সম্পর্কিত তথ্য আছে কিনা জানি-না, তবে কোথাও পড়েছিলাম মনে হয়। সেবা প্রকাশনী থেকে ‘হেলকমাণ্ডো’ নামে একটা বই এর কথা মনে পড়ছে। সচল নজু ভাই এর কাছে আরও বই এর খোঁজ পাওয়া যেতে পারে।
শুভকামনা রইলো।
তথ্য ও মন্তব্যের জন্য
****************************************
সাক্ষাৎকারগুলো অডিও আকারে ধাপে ধাপে প্রকাশ করতে পারেন।
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
আমার বয়স তখন বিশ-একুশ। করাচী থেকে চমন সীমান্ত পারি দিয়ে কান্দাহার হয়ে কাবুল পৌঁছেছিলুম বহু বাঁধা বিঘ্ন পেরেয়ে।
এই মন্তব্যটা আগে চোখে পড়েনি, প্রায় ৩ বছর পরে পড়ল। আমার প্রতিমন্তব্য এতদিন পরে মূল মন্তব্যকারীর (শফি আমীণ) চোখে পড়বে কিনা জানি না, তবে তিনি বা করাচী-চমন-কান্দাহার-কাবুল বা করাচী-কোয়েটা-নোম্যান্সল্যান্ড-কান্দাহার-কাবুল রুটে বর্ডার ক্রস করেছেন সে সময়ে এমন কেউ সচলে নিবন্ধন করে এর বার্তা বিভাগের মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করলে খুব খুশি হবো!
এই পোস্ট পড়ে বছর চারেক আগে সেই সময়েই কয়েকজন পাঠক আমার সাথে উপরে কোথাও দেয়া ইমেইলে যোগাযোগ করেছিলেন। একজন বোধহয় অনেক কষ্ট করে একটা বই বা আস্ত একটা মাল্টিপেজ আর্টিকেল স্ক্যান করে ইমেইলের সাথে এটাচ করে পর্যন্ত পাঠিয়েছিলেন আমার আহবানে সাড়া দিয়ে। আনফর্চুনেটলি, প্রায় সেই সময়েই আমার ঐ ইমেইল একাউন্টের পাসওয়ার্ড হারিয়ে যাওয়ায় ঐ একাউন্টটা পুনরুদ্ধার-অযোগ্যভাবে ব্যবহার-অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে তাঁদের কাউকে রিপ্লাই দিতে পারিনি, তাঁদের ইমেইলের স্বীকৃতি দিতে পারিনি, এমনকি সবচেয়ে দুঃখজনক হলো তাদের পাঠানো তথ্য বা এটাচমেন্টগুলির সদ্ব্যবহারও করার সুযোগ পাইনি কারন ওগুলি অফলাইনে/ডেস্কটপে সেইভ বা ডাউনলোড করে রাখার আগেই একাউন্টটা অনধিগম্য হয়ে যায়। যাহোক, এখানে যারা সেসময়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের সেই সহৃদয় প্রয়াসের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর তারা যদি সচলের বার্তা বিভাগের মাধ্যমে আবারও যোগাযোগ করতে পারেন, তাহলে যারপরনাই খুশি হব!
ধন্যবাদ।
****************************************
Post new comment