শোক দিবসের আশাবাদঃ (অপঠিত) বঙ্গবন্ধুর পুনর্পাঠ হোক

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture
Submitted by silent_watcher [Guest] on Sat, 16/08/2014 - 1:55am
Categories:

জাতীয় শোক দিবসে বরাবর দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর জীবনের ক্লিশে হয়ে যাওয়া কিছু ক্ষুদ্র অংশ। মানুষ ভাবতে থাকে এই ক্ষুদ্র অংশটুকুই বুঝি বঙ্গবন্ধু। আর চারিদিক প্লাবিত হয় স্তুতিময়তার জঞ্জালে ভরা গাদা গাদা বিশেষণের জোয়ার। জোয়ারের সঙ্গে ভাটার টান একই সূত্রে গাঁথা। তাই ভাটা পড়ে তাঁর স্বল্পসময়ের কর্মমূখর জীবনদর্শনের বিস্তারিত পঠন ও প্রচারে। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? অন্তত বঙ্গবন্ধু নিশ্চয় চাননি। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই দিনটি আরও বহুদিন শোক দিবস হয়েই থাকবে। কিন্তু সেই শোকের বহিঃপ্রকাশ যেন কেবল আনুষ্ঠানিকতার নিগড়ে বাঁধা না পড়ে। এ দিবসটি হয়ে উঠুক শোকের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু'র পুনর্পাঠের দিন। সে কাজ করবে কে? আমাকে কিংবা আপনাকেই কিন্তু ঘরের খেয়ে বনের মোষটুকু তাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সুপরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে আসাও জরুরি বৈকি। সেটিই হতে পারে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি- এবার মনে হয় এই ভাষণটিকে ‘অতিপ্রচারের’ হাত থেকে রেহাই দেয়া হোক, অন্তত ১৫ আগস্টে। এই সুবিখ্যাত ভাষণটি নিজগুণেই ইতিহাসে তাঁর স্থান করে নিয়েছে। এটি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ তাতেও দ্বিমত নেই। কিন্তু দ্বিমতের সুযোগ আসে তখন, যখন এই একটি ভাষণের ‘অতিপ্রচারের’ নিচে আরও অনেক দিকনির্দেশী ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার খোরাক যোগানো ভাষণ গুলো কেবলই চাপা পড়ে যায়। নিঃসন্দেহে ৭ মার্চের ভাষণটি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সূচনালগ্নের ভিত্তিপ্রস্তরগুলোর অন্যতম। কিন্তু ‘শুধুমাত্র ভিত্তিপ্রস্তর’ ঘিরে বসে থাকলে ‘পীরের মাজার’ গড়ে উঠতে পারে, রাষ্ট্র নয়। ব্যাক্তিগত ভাবে বলতে পারি নিচের ভাষণগুলো (তালিকা আরও বড় হতে পারে) অন্তত আমার চিন্তার জগতে অন্যরকম আন্দোলন তোলেঃ

Quote:
০১। সোহরাওয়ার্দী (তৎকালীন রেসকোর্স) উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণ, ১০ জানুয়ারি ১৯৭২
০২। ডেভিড ফ্রস্টকে প্রদত্ত সাক্ষাৎকার, ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২
০৩। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণ, ১০ এপ্রিল ১৯৭২
০৪। গণপরিষদে সংবিধান বিল (গৃহীত) এর ওপর ভাষণ, ৪ নভেম্বর, ১৯৭২
০৫। জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণ, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪
০৬। জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণ, ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫
০৭। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণ, ২৬ মার্চ, ১৯৭৫
০৮। বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে প্রদত্ত ভাষণ, ১৯ জুন ১৯৭৫
০৯। বাকশাল জেলা গভর্নরবৃন্দের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে প্রদত্ত ভাষণ, ২১ জুলাই ১৯৭৫
১০। এছাড়াও, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পেশাজীবী, ডাক্তার ও সেনাবাহিনীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণ

সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে কোনও প্রক্রিয়াতেই বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাগুলোর কোনও পূর্ণাঙ্গ (যথাসম্ভব) সংকলন গ্রন্থ আজতক আমার চোখে পড়েনি। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাসমূহের সবচাইতে সমৃদ্ধ সংগ্রহ সম্ভবত অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কর্তৃক “পিপল’স ভয়েস” নামে দু খন্ডে প্রকাশিত সিডি সংকলন। কিন্তু একাডেমিক প্রয়োজনে কিংবা ব্যাক্তিগত অধ্যয়নেও ছাপা গ্রন্থের আবেদন অন্যরকম। সেটি না হোক নিদেনপক্ষে ই-বুক আকারে হলেও ইতিহাসের এ অমূল্য দলিলগুলো সংরক্ষিত থাকা প্রয়োজন। এবং এক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিকৃতি রোধকল্পে কাজটি ব্যাক্তি পর্যায়ে না হয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হওয়া উচিত বলেই মনে করি। দলিলপত্র যতটাই মানুষের নাগালে থাকবে, সত্যকে ‘বদলে দেয়া’ অথবা ‘পাশ কাটিয়ে যাওয়া’ ততটাই কঠিন হবে বলে আশা করা যায়।

সবশেষে ভয়ে ভয়ে বলি, ‘বাকশাল’ শব্দবন্ধটি মিডিয়া, জনবিচ্ছিন্ন সুশীল ও একশ্রেনীর ভুঁইফোঁড় রাজনীতিবিদের ক্রমাগত মিথ্যাচারে একটি ‘রাজনৈতিক ট্যাবু’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অপপ্রচারের আবরণ সরিয়ে বাকশালের পূর্বাপর নিয়ে বিশ্লেষণ বোধহয় আমাদের জাতীয় স্বার্থেই জরুরী। (অচিরেই বাকশাল সম্পর্কিত একটি বিশ্লেষণ শুরু করার ইচ্ছে আছে।) বাকশাল একটি পদ্ধতিমাত্র যা আদৌ কার্যকরী হবার সুযোগ পায়নি। পদ্ধতিমাত্রেরই ভালো-খারাপ দুই পিঠ থাকা খুবই সম্ভব। আর সে দিকগুলো বের করে আনতেই তা নিয়ে মুহুর্মুহ আলোচনা হওয়া বাঞ্চনীয়। সুদীর্ঘ দেড় দশক জলপাই সবুজ আঁধারে ঢেকে থাকা এদেশে একদা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু, জয়বাংলা, সোনার বাংলা এসব কথাও বহুকাল ধরে রাজনৈতিক-সামাজিক ট্যাবু হয়ে ছিল। কালের বিবর্তনে আঁধার কেটে আলো এসেছে। অতীতের মূল্যায়ন-পুনর্মূল্যায়ন শুরু হয়েছে জোরেশোরেই। অথচ বঙ্গবন্ধুর পঠন চলছে তাঁর আত্মকথার মতন ‘অসমাপ্ত’ ভাবে। সেকারনেই বঙ্গবন্ধুর পূর্নাঙ্গ পূনর্পাঠ করতে গেলে বাকশাল অংশটি এড়িয়ে এগুবার উপায় নেই।

৩১ শ্রাবণ, ১৪২১ / ১৫ আগস্ট, ২০১৪

[বিদ্রঃ সঙ্গত কারনে লেখাটির একাংশ সম্পাদনা করা হল-লেখক/তারিখঃ ১৭.০৮.২০১৪,সময়ঃ ১-৪৫ (রাত)]


Comments

মাসুদ সজীব's picture

প্রথম মতামতের সাথে আমি দ্বি-মত করছি শ্রদ্ধেয় গাফফার চৌধুরীর সাথে। প্রথম কথা রবীন্দ্রনাথ আর শেখ মুজিব দু-জন দুটো ভিন্ন জগতের মানুষ, সমাজ আর রাষ্টে তাদের প্রভাব বিস্তার করার পদ্ধতিটাও ভিন্ন। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দুজনের পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার ধরণ একি ছিলো না। তাই ১৫-ই আগষ্টকে স্মরণ দিবস করলে আড়াল হয়ে যায় পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা, চাপা পড়ে যায় পাপিস্থান মনা আর ষড়যন্ত্রকারীদের নির্লজ্জ ইতিহাস। পর্দার অগোচরে চলে যাবে মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা আর ইতিহাস বিকৃতকারীদের মুখোশ।তাই যতদিন না পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রকারীরা শাস্তির মুখোমুখি না হয়, সর্বস্তরের মানুষের কাছে ঘৃনিত না হয় ততদিন শোক দিবস থাকা আবশ্যক।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হ্যাঁ, এভাবে দেখলে আপনার যুক্তি এড়িয়ে যেতে পারছি না।
সেক্ষেত্রে শোক আর পঠন পাশাপাশি চলতে পারে বোধ হয়।

[ অটঃ মাসুদ ভাই, গাফফার সাহেবের পুরো লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।
২১ ফেব্রুয়ারির রূপান্তর নিয়ে উনিও অনেকটা আপনার কথাগুলোই বলেছেন।
আমি অংশবিশেষ উদ্ধৃত করতে গিয়ে তাঁর বক্তব্যকে অস্পষ্ট করে ফেলেছি মনে হয়। ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক's picture

চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

ঠিক আছে। বঙ্গবন্ধুকে অবশ্যই কেবল ৭ই মার্চের ভেতরে বন্দী করে রাখা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর পূর্ণপাঠ জরুরী।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিহত হননি, বঙ্গবন্ধু নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এই পার্থক্যটা মাথায় রাখতে হবে। আরও মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার যে বিচার হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ নয়। সুতরাং আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরিকে ধাক্কা দেবার জন্যই প্রতি বছর মনে করিয়ে দিতে হবে এটা শোকের দিন, এবং এখানে অনিষ্পন্ন অনেক কিছু আছে।

২। ৭ই মার্চের ভাষণ ছাড়াও যে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ আছে সেটা ক্ষমতালোভীদের বোধের মধ্যে নেই। তাদের বোধের মধ্যে কী আছে সেটা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তাদের টাঙ্গানো ব্যানারগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সেখানে বিশাল বিশাল করে এই ব্যানার কে/কারা টাঙ্গিয়েছে তার/তাদের ছবি ও নাম দেয়া আছে।

৩। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে এমন বহু সংগঠন আছে। তাদের কারোরই বঙ্গবন্ধুর ভাষণের টেক্সট বের করার কোন চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। অমন ভাবনা থাকলে আরো বহু আগে ভাষণ সংকলন বের হয়ে যেত। তাদের ভাবনায় কী আছে সেটা ২-নং পয়েন্টে বলা হয়েছে।

৪। শেষের অনুচ্ছেদটা এই লেখায় না দিলেও পারতেন। এতে পাঠকের কাছে লেখার মূল ফোকাসটা সরে যেতে পারে। কাজটা যখন করবেন তখন সেখানেই না হয় প্রসঙ্গটা নিয়ে আপনার যুক্তিগুলো দিতেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

১। রবীন্দ্রনাথ এখানে নিছক উদাহরণ হিসেবেই এসেছেন পাণ্ডব'দা।
দুজনকে অবশ্যই কেউ এক করে দেখছে না। বাকি কথার সঙ্গে একমত।

২+৩। হুমম ... মন খারাপ তাহলে আমরা কোনও পদক্ষেপ নিতে পারি কি?

৪। এজন্যই ভয়ে ভয়ে বলেছিলাম। ফোকাস কেন সরবে পাণ্ডবদা? বাকশাল বঙ্গবন্ধুর জীবনেরই অংশ। এই শব্দটি ইতোমধ্যেই "ট্যাবু" হয়ে গিয়েছে, যা হয়তো তাঁর প্রাপ্য ছিল না। আমরা সেই আলোচনাকে পাশ কাটাতে চাইলে কি সেই ট্যাবুত্বের আগুনে আরও ঘি ঢালা হচ্ছে না?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

এখানে তো বঙ্গবন্ধুর গোটা জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়নি তাই বলেছিলাম বাকশাল নিয়ে যখন লিখবেন আপনার মতামতগুলো সেখানেই দেবেন। এই পোস্টটা নাহয় শুধু বঙ্গবন্ধুর অপঠিত ভাষণগুলো নিয়েই থাকুক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ধন্যবাদ পাণ্ডব'দা, বুঝেছি এবার

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দীনহিন's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
এই জন্যই পান্ডবদার আমি এত ভক্ত! তার যুক্তির তোড়ে ভেসে যেতে সময় লাগে না এমনকি রথী-মহারথীদের! আমি ছোট থেকে কম লেখকের লেখা পড়িনি, কিন্তু এমন ধারালো যুক্তি আর কারো মধ্যে পাইনি! আমার মতে, যুক্তি-জ্ঞানে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পান্ডবদার সমকক্ষ কেউ নেই!!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

বিপুল তৈলপ্রবাহে সিক্ত নয়, প্লাবিত হয়ে গেলাম। জেরিক্যান ভরে নিতে পারলে দুটো পয়সা আয় হতো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

ষষ্ঠ পাণ্ডব, বলি, দীনহিনের কথাটাওতো যথেষ্টই যুক্তিপূর্ণ, খন্ডন করাটাও কষ্টসাধ্য বটে। হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

তা ঠিকই কইসেন বস্‌। উনি সারা বাংলাদেশ সার্ভে কইরা আইসা সাট্টিফিকেট দিছেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ভাবনা'দার সাথে একমত, পাণ্ডব'দারে নিয়মিত "টকশো" তে চাই শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

"‘শুধুমাত্র ভিত্তিপ্রস্তর’ ঘিরে বসে থাকলে ‘পীরের মাজার’ গড়ে উঠতে পারে, রাষ্ট্র নয়।" - খাঁটি কথা।

"দলিলপত্র যতটাই মানুষের নাগালে থাকবে, সত্যকে ‘বদলে দেয়া’ অথবা ‘পাশ কাটিয়ে যাওয়া’ ততটাই কঠিন হবে বলে আশা করা যায়।" - অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সত্য।

"বঙ্গবন্ধুর পূর্নাঙ্গ পূনর্পাঠ করতে গেলে বাকশাল অংশটি এড়িয়ে এগুবার উপায় নেই।" - অনস্বীকার্য।

কিন্তু, ১৫-ই আগস্ট বাংলাদেশ-এর কাছে আরো বহু বছর "শোক দিবস" হিসেবে থাকাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

[ যৌক্তিক কারণে শেষ বাক্যটির সঙ্গে একমত না হয়ে পারছি না।অনুমতি পেলে শোক দিবস সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি সম্পাদনা করতে চাই, সেটা কি উচিৎ হবে? ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

সাক্ষী, শোক দিবস সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি আপনার লেখাটির মূল বক্তব্যর জন্য প্রয়োজনীয় ছিল না। ওটি না থাকলে অর্থাৎ লেখাটি ঐ অনুচ্ছেদ এর পর থেকে শুরু হলেও বাকিটা পড়তে, কোথাও কিছু ধরতে, বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। আমি নিজে ঐ অনুচ্ছেদ-এর পুরোটাকেই না দেখতে হ'লে খুশী হ'ব। লেখাটি হালনাগাদ করে আপনার যা বলতে ইচ্ছে করছে সেট জানানোর মধ্যে আমি নিজে আপত্তির কিছু দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্যই এমনভাবে করা বাঞ্ছনীয় যাতে এই সংক্রান্ত মন্তব্যগুলি অবোধ্য না হয়ে যায়।

"অনুমতি" বলতে কা'র অনুমতি চেয়েছেন সেটা নিয়ে অবশ্য আমার কোন ধারণা নেই। মডারেটরদের কি? চিন্তিত

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

একটা ব্যাখ্যামূলক পাদটীকা জুড়ে দিয়ে ঐ অনুচ্ছেদ ঠিক করে দেই।

আর, অনুমতি চেয়েছি পাঠকদেরই, লহমা দা, মডারেটরদের নয়।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

পড়লাম তোমার সংশোধিত লেখা, সাক্ষী-দাদা। আমার ত ঠিক-ঠাক লাগছে এ'বারের রূপ-টা। ভাল লাগছে। একটা কথা। তৃতীয় বন্ধনীতে উল্লিখিত পাদটীকার গোড়ার তারাটা কোন কাজে লাগছে? এই রকম তারা বসান হয় মূল অংশ-র মধ্যে থাকা কোন তারা-র সাথে সংযুক্তি বোঝাতে। মূল অংশে কোন তারা আছে কি? আমার নজরে আসছে না। যদি না থেকে থাকে, তা হ'লে মনে হয় এই তারাটাও বাদ যাওয়াটাই ঠিক হবে।

রাত ১ঃ৪৫-এ! নাঃ আর বলার কিছু নেই। চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাসি

ধন্যবাদটা তো আসলে আপনার, পাণ্ডব'দা আর মাসুদ ভাইরই প্রাপ্য লহমা'দা।
তারিখ/সময় দিয়েছি ভ্রান্তি এড়াতে, যাতে আগের আর পরের মন্তব্য বোঝা যায়।
আর ঐ (*) চিহ্নের ব্যাপারটা অনিচ্ছাকৃত, সাইকো-মোটরের দোষ, আমার না।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর সকল ভাষনের সংকলন থাকা উচিত। যেমন এই সচলের মধ্যে আমরা কয়জন সবগুলি শুনেছি বা পড়েছি (লিখিত আকারে যদি থাকে) । আসলে এই কাজগুলি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরই করতে পারে। শুধু দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টিকেট বেচাটাই তাদের কাজ নয়। এছাড়া অন্যরাও পারেন কারন বঙ্গবন্ধু কারো বাপদাদার একার সম্পদ নয়।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি ‘৭ই মার্চে’র ভাষন একটি পুর্নাংগ দিকনির্দেশনা । এই একটা ভাষনকে ঠিকমত অনুধাবন করতে পারলেই বোঝা যাবে কেন শুধুই শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা বলে , আর তা পাঠ্য করা উচিত।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ অষ্টম শ্রেণীর বাংলা প্রথম পত্র বইয়ে পাঠ্য করা হয়েছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

বাহ এটা জানতাম না। খুব ভাল লাগল শুনে হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

এই লেখাটির সাথে ভাষণের লিঙ্কগুলো জুড়ে দিন না! অন্তত এই লেখাটা পড়লেও ভাষণগুলো এই লেখায় গোছানো থাকবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাততালি উত্তম প্রস্তাব, কবি
আমার সম্বল তো ছাপা বই আর অডিও সিডি ইয়ে, মানে...
লিঙ্ক ক্যাম্নে দেই? আপনার জানা থাকলে যোগ করে দিতে পারেন। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ইতিহাসে ৭ মার্চের ভাষণের অবস্থান নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে ভাষণটির মূল কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে। ইতিহাসের আর্কাইভে ভাষণটি অবশ্যই থাকবে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন। তবে এই ভাষণের তোড়ে অন্য ভাষণগুলো যেন অবহেলিত না হয় সেটিই কাম্য।

সুনির্দিষ্ট ভাবে যদি বলি, ৪ নভেম্বর ১৯৭২ তারিখে জাতীয় সংসদে সংবিধান গৃহীত হবার সময় বঙ্গবন্ধু যে ভাষণটি দিয়েছিলেন, সেটি সকলের পাঠ্য হওয়া উচিৎ। জাতীয় চার মূলনীতির এমন সোজাসাপ্টা অথচ ট্যু-দ্য-পয়েন্ট ব্যাখ্যা আর দেখিনি। এই ভাষণটাকে কেন চেপে যাওয়া হয় আমি জানিনা।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, ১৯৭২ এর ১০ই জানুয়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু যে ভাষন দিয়েছিলেন তা কোন ভাষন ছিল না।
তা ছিলো একটি 'কবিতা'।

এই লেখাটি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকুক।

ভালো থাকুন সাক্ষী সত্যানন্দ।
আপনার জন্য শুভকামনা।

------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- লইজ্জা লাগে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

সম্পাদনার পরে লেখাটি আবারও পড়লাম। আমার কাছে এমনটাই সঠিক মনে হয়েছে। হ্যাঁ, বাকশাল বিষয়ক আলোচনা নিশ্চয়ই হওয়া প্রয়োজন।
লেখা চলুক।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- প্রৌড়'দা,
সে আলোচনায় আপনাদের স্মৃতিকথা অনেক বেশি জরুরী
আমি বড়জোর একটা পেপার ওয়ার্ক দাঁড়া করাতে পারব, তাও পরোক্ষ উৎস থেকে
আপনাদের সুযোগ আছে প্রত্যক্ষ উৎস (Primary Source) হওয়ার।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

সাধ্যমত চেষ্টা থাকবে অবশ্যই। হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কোলাকুলি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

লেখাটা পছন্দ হয়েছে খুব। নিদর্িদ্বায় শেয়ার করলাম।

- ইয়ামেন

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

একটা উল্লেখযোগ্য ভাষণের উল্লেখ বাদ পরে গেছে, ৭২ সালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রদত্ত ভাষণ।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আব্দুল্লাহ ভাই,
এজন্য আগেই বলে নিয়েছিঃ "তালিকা আরও বড় হতে পারে"
আমার কাছে যতগুলো "ছাপা" ভাষণ আছে তাতে এই ভাষণটির পুর্ণরূপ পাইনি। মন খারাপ

গতকাল আব্বাও বলেছিলেন আরকেটা ভাষণের কথা,
তারিখ ভুলে গেছি, ১৯৬৯ এর যেদিন তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয় সেদিনের টা
আব্বা ওই ভাষণের সরাসরি শ্রোতা ছিলেন, কিন্তু এটির রেকর্ড আছে কিনা সে ব্যাপারে তিনিও সন্দিহান। ইয়ে, মানে...

আলোচনা করলে এমন আরও অনেক ভাষণের গুরুত্ব বেরিয়ে আসবে নিশ্চয়। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

বন্দনা's picture

৭ ই মার্চের ভাষণ বহুবার শুনলে ও আমার কাছে এর আবেদন কেন যেন একটু ও কমে না।লেখাটা ভাল লাগলো, বাকশাল নিয়ে লেখা পড়বার আশায় রইলাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

বন্দনা'পা,
৭ মার্চের ভাষণের আবেদন ছিল, আছে, থাকবে; এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই।
কিন্তু আরও অনেকগুলো ভাষণের চাপা পড়ে যাওয়াটা মানতে কষ্ট হয়।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭৫ সালের ২৬শে মার্চে দেয়া ভাষণ আমার খুবই প্রিয়, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পরেই। সেই ভাষণের একটি অংশবিশেষ আমার খুবই মনে ধরেঃ

""শিক্ষিত সমাজের কাছে আমার একটা কথা। আমরা শতকরা কতজন শিক্ষিত লোক? আমরা শতকরা ২০ জন শিক্ষিত লোক। তার মধ্যে সত্যিকার অর্থে আমরা শতকরা ৫ জন শিক্ষিত। শিক্ষিতদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন। আমি এই যে দুর্নীতির কথা বললাম, তা কারা করে? আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? না। আমার শ্রমিক? না। তাহলে ঘুষ খায় কারা? Black marketing করে কারা? বিদেশি agent হয় কারা? বিদেশে টাকা চালান দেয় কারা? Hoard করে কারা? এই আমরা, যারা শতকরা ৫ জন শিক্ষিত। এই আমাদের মধ্যেই রয়েছে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ। আমাদের চরিত্রের সংশোধন করতে হবে, আত্মশুদ্ধি করতে হবে। দুর্নীতিবাজ এই শতকরা ৫ জনের মধ্যে, এর বাইরে নয়।""

কথাটা আজও যে কত সত্য, তা এখনকার 'সুশীল' সমাজের মেন্টালিটি আর হালচাল দেখলেই বুঝা যায়। বঙ্গবন্ধু যে কতটুকু দূরদর্শী ছিলেন তা বুঝার জন্য তাঁর ভাষণের এই অংশটুকু পড়াই যথেষ্ট।

- ইয়ামেন

স্পর্শ's picture

বঙ্গবন্ধুর একটা সাক্ষাতকারের ভিডিও দেখেছিলাম। সিংহের মত মানুষ ছিলেন। এখনকার কোনো বাংলাদেশী জননেতা এভাবে কথা বলতে পারে না।

বাকশাল নিয়ে লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

২ নাম্বারে উল্লিখিত সাক্ষাৎকারটির (রবার্ট ফ্রস্টকে দেয়া) কথা বলছেন সম্ভবতঃ
পররাষ্ট্র বিষয়ক নেতৃবৃন্দ/কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে ঘাড় ধরে এ ভিডিওটা দেখান দরকার

প্রচুর হোমওয়ার্ক লাগবে, খুব তাড়াতাড়ি আসছে না লেখা ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ধ্রুব আলম's picture

বাকশাল নিয়ে কোন বই পত্র আছে কি? শব্দটি তো বাংলাদেশের সমাজে প্রায় ট্যাবুর পর্যায়ে চলে গেছে , কিছু জানারও উপায় নেই। ইয়ে, মানে...

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

খুব অল্প মন খারাপ

১। সমাজ বদলে বঙ্গবন্ধুর ব্লু প্রিন্ট/ আবু সাইয়িদ, অনন্যা, ২০১২
২। আমি বেঁচে থাকবো/ আবু সাইয়িদ
৩। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা ও বাকশালের ভূমিকা/ এস এম ফারুক (পুরোটা পড়িনি এখনও)
৪। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসঃ বঙ্গবন্ধুর সময়কাল/ ডঃ মোহাম্মদ হাননান (সরাসরি নয়)

[ মেহেরজান প্রকাশনী (মতান্তরে প্রথমা প্রকাশন) যেভাবে "মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস" প্রকল্পের পরে রক্ষীবাহীনি নিয়ে বই প্রকাশ করেছে, জাসদ নিয়ে বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে, আমার ধারণা তাদের পাইপলাইনে "বাকশাল" ও থাকতে পারে। সেজন্য আগেই প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। পন্ডিতের ছাগলটা ইতোমধ্যে কুকুর হয়েই আছে, বসে থাকলে সেটা কুকুর ছাড়িয়ে শেয়াল হয়ে যাবে। ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক's picture

বইের লিস্টির জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ধ্রুব আলম's picture

আমি তো খারাপ লোক তাই আমার কয়েকখান প্রশ্ন আছে, যেগুলার উত্তর পাই না।

বাকশাল যদি এত খারাপই হয়, তাইলে-
১। প্রমাণ দেননা কেন? আলোচনা করেননা কেন?। শুনে শুনে খারাপ? বাকশাল তো ইমপ্লিমেন্টই হয় নাই।

২। দেশে তখন কেন গণঅভ্যুত্থান হলো না? আর্মি কেন বিদ্রোহ করলো না? আওয়ামি লিগ কি এতই ভয়ংকর ছিল, বা তাদের খুঁটি কি এতই জোরদার ছিলো যে বামদের সশস্ত্র আন্দোলন কিছু করতে পারলো না? বুদ্ধিজীবী, সেনাবাহিনী কেউ কিছু বললো না, সব মুখ বুজে বাকশালে যোগ দিলো (জিয়াও তো দিসিলো!)? ৪ বছরে আতাঁত তো করা যায়, রাজনৈতিক দল খোলা যায়, নাকি সেটিও করতে পারে নি কেউ?

৩। জিয়ার স্বৈরশাসন কিভাবে উত্তম? রাতারাতি দল করে, হাঁ-না ভোট করে, প্রহসনের নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হওয়া, ইন্ডেমিনিটি আইন, রাজাকার পুনর্বাসন করে গণতন্ত্র উদ্ধার হয়? বাকশাল আর সেনাবাহিনীর শাসনের মধ্যে আপনি ২য়টি ভাল কিভাবে বলে দিলেন?

৪। ইরানের খোমেনি শাসন আর কিউবার চে-ক্যাস্ট্রোর শাসন আপনার কাছে উত্তম হলে, বাকশাল অধম কেন? উদাহরনে আরো আসতে পারে, সাদ্দাম-গাদ্দাফি-সৌদি রাজতন্ত্রঃ কোনটির বিরুদ্ধেই তো কথা বলেন না, কেন?

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আমারে জিগান ক্যান? আঁই খ্রাপ, তাই বইল্যা এত্ত খ্রাপ না খাইছে

Quote:
বুদ্ধিজীবী, সেনাবাহিনী কেউ কিছু বললো না, সব মুখ বুজে বাকশালে যোগ দিলো (জিয়াও তো দিসিলো!)? ৪ বছরে আতাঁত তো করা যায়, রাজনৈতিক দল খোলা যায়, নাকি সেটিও করতে পারে নি কেউ?

রাইট পয়েন্ট!
১) এখন সব্বাই ধুয়া তুলে যোগ না দিলে না জানি কি হইত। কিন্তুক জেনারেল ওসমানী আর ব্যারিস্টার মইনুল এইটা প্রমান কইরা দিয়ে গেছে কিসসু হইত না। (এবং সেই ওসমানীই সুরসুর করে প্রধান সামরিক প্রশাসকের 'উপদেষ্টা' হইতে আবার অরাজি হয় নাইক্যা। কি তামশা!)

২) তাপ্পর তো বলে কয়ে পলিটিশিয়ানদের জন্য পলিটিক্স ডিফিকাল্ট করে দেয়া হইল, সানগ্লাসওয়ালা তার কথা রেখেছিলেন বটে, ইতিহাসের একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি কথা দিয়ে তা রেখেছিলেন!

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ধ্রুব আলম's picture

লিস্টির জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.