ইস্কুলবেলার গল্প(৩১)

তুলিরেখা's picture
Submitted by tuli1 on Fri, 25/07/2014 - 4:00am
Categories:

ক্লাস এইটে বদলি হয়ে বড় শহর থেকে একজন এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হলো। চন্দ্রাণী চট্টরাজ। খুব নামডাক তার, পড়াশোনায় নাকি দারুণ সে। বড় শহরের পালিশ তার, সবাই বলতে লাগলো, আমাদের মতন গাঁ-মফস্বলের মেয়েদের সে তুড়ি মেরে হারিয়ে দেবে। আমাদের সেকশানে এসে বিশেষ করে আমাদের সেই ক্লাস ফাইভ থেকে ব্যতিক্রমহীন ভাবে ফার্স্ট হয়ে আসা অন্বেষাকে কায়দা করে শুনিয়ে যেতে লাগলো অন্য সেকশনের মেয়েরা। চন্দ্রাণী বদলি হয়ে ভর্তি হয়েছিল বলে এ-সেকশনেই প্রথমবার পারে নি আসতে, ক্লাস এইটে ও ছিল বি-সেকশনে।

প্রথমবার চন্দ্রাণীকে দেখে তো আমরা অবাক! ছোট্টোখাট্টো ফর্সা গোলগাল মেয়েটি, মাথায় লম্বা চুল পিঠ ছাপিয়ে, সেই বিশাল চুলের রাশি মোটা একটা বেণীতে বাঁধা। অমরা তো ভেবেছিলাম শহরের মেয়ে, খুব চোখেমুখে কথা বলা টাইপ বুঝি হবে, চুল ছোটো করে ছাঁটা হবে, ছেনিকাটা চোখমুখ হবে। এ তো একেবারে ধ্রুপদী প্রাচীন সুন্দরী বঙ্গবালা চেহারার শান্ত, কোমল, করুণাময়ী এক মেয়ে।

আমাদের অন্বেষা, শুভাশ্রী, শ্রীতমা, চন্দ্রিমা, সুগোপারা তো স্বস্তির শ্বাস ফেললো ওকে দেখে। বন্ধুত্ব হতেও খুব একটা দেরি হলো না।

ক্লাস এইটের বার্ষিক পরীক্ষায় চন্দ্রাণী ভালো করেছিল ঠিকই, তবে প্রথম তিনজনের মধ্যে আসতে পারে নি। অন্বেষা তো একইরকম প্রায় সব সাবজেক্টে হায়েস্ট পাওয়াই রয়ে গেল, সে ফার্স্ট, সেকেন্ড হয়েছিল মনে হয় শ্রীতমা আর থার্ড হয়েছিল সম্ভবত শুভাশ্রী। তার পরে চন্দ্রাণী।

অনেক পরে, মাধ্যমিকেরও পরে যখন চন্দ্রাণী আবার ওর বড় শহরে ফিরে গেল, তখন শ্রীতমা বলেছিল, "আমাদের গাঁ-মফস্বলেও কিন্তু চট্টরাজ ভালো কম্পিটিশনই পেয়েছিল, বলতে পারবে না যে একেবারেই কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সে পায় নি।" কেন জানি শ্রীতমা ওর নাম না ধরে পদবী ধরে উল্লেখ করতো সবসময়, হয়তো পদবীটা বেশ আনকমন ছিলো বলে।

এখন ভেবে দেখলে মনে হয় চন্দ্রাণীরও কতটাই না মানিয়ে নিতে হয়েছিল হঠাৎ করে নিজের পরিচিত পরিবেশ থেকে উপড়ে গিয়ে অন্য জায়গায় উপস্থিত হয়ে।

বহুকাল আর যোগ নেই ওর সঙ্গে, এই লেখা লিখতে লিখতে মনে হচ্ছে কোথায় আছে ও, কেমন আছে ও? এইট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা অবধি ঐ তিনটে বছরের কথা মনে আছে কি ওর?

ক্লাস এইটে আরেকটা বেশ চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো আমাদের। হঠাৎ শোনা গেল একটা ইন্টার-স্কুল স্টুডেন্ট্স সায়েন্স সেমিনার হবে, তাতে হোস্ট আমাদের স্কুল। ক্লাস নাইন আর টেনের ছাত্র- ছাত্রীরাই অংশগ্রহণ করবে, তবে ক্লাস এইটের কেউ যদি আগ্রহী হয় আর আত্মবিশ্বাসী হয়, তবে সে বা তারাও অংশগ্রহণ করতে পারে।

আরে অংশগ্রহণ তো পরের কথা, জিনিসটা কী সেটাই তো তখন আমরা জানি না। সেমিনার আবার কী? এটা কি কোনোরকম প্রতিযোগিতা? তার আগে কোনোদিন আমরা সেমিনার বলে কোনো ব্যাপারের নামও শুনি নি। বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা-এসব ব্যাপার তবু ভাসা ভাসা কিছু কিছু জানতাম, কিন্তু সেমিনার কী জিনিস?

অল্পবয়সী দিদিমণিরা যারা নতুন নতুন ব্যাপারের অনেক খোঁজ খবর রাখেন, তাঁরা এসে আমাদের এই ব্যাপারে ধারণা দিতে চেষ্টা করলেন।

জেলাসদরের একটি সংস্থা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সেখান থেকে একটি বিষয়বস্তু দেওয়া হয়েছে আর নির্দেশাবলিও দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে বক্তৃতার মতন করে বলতে হবে আর সঙ্গে স্লাইডে ডায়াগ্রাম চার্ট ইত্যাদিও দেখানো যেতে পারে, দেখালেই সুবিধে। সময় পাঁচ মিনিট।

এই পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের যুগে দাঁড়িয়ে সেই আমাদের প্রথম স্টুডেন্ট্স সায়েন্স সেমিনারকে অদ্ভুত আদিযুগের জিনিস মনে হয়। তখন তো কম্পিউটার কী জিনিস তাই জানতাম না আমরা কেউ, দেখা তো দূরের কথা। কেউ কেউ টেকনোলজিকাল মিউজিয়ামে গিয়ে দেখে এসেছিল কম্পিউটার, বলেছিল টিভি আর টাইপ রাইটারকে একসাথে জুড়লে যেমন হয় সেরকম জিনিস ওটা।

তো আমাদের সেই প্রি-কম্পিউটার সেমিনারে চার্ট ডায়াগ্রাম ইত্যাদি দেখানোর জন্য দিদিমণিরা সাজেশন দিলেন অনেকপাতার ক্যালেন্ডারের মতন করে বানানো একটা বস্তু, তার পাতায় পাতায় ডায়গ্রাম চার্ট ইত্যাদি। সেমিনারে বলতে বলতে পাতা উল্টে উল্টে দেখাতে হবে।

আমরা সব বড় বড় চোখ করে দেখতে লাগলাম। ক্লাস এইটের আমরা দেখবার সুযোগ পেয়েছিলাম নাইনের দিদিরা কীভাবে সব বানাচ্ছে। যদিও আসল প্রতিযোগিতার দিন ভালো ভালো স্কুল থেকে তুখোর তুখোর সব সেমিনার দেনেওয়ালারা এসে বলে টলে একেবারে মাতিয়ে দিল, জাজরা ওদের মধ্য থেকেই ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড বেছে নিলেন। তখনই আমরা বেশ স্পষ্ট করে বুঝেছিলাম ভালো স্কুলের ব্যাপার স্যাপার আমাদের নিতান্ত সাধারণ মধ্যমানের স্কুলের থেকে কতটাই আলাদা।

পরের বছর অন্য একটা স্কুল হোস্ট করলো এই কম্পিটিশন। আর আমাদের মধ্য থেকে অন্বেষা তৈরী হলো অংশ নেবার জন্য। অন্য কারুর তেমন আগ্রহ ছিল না অথবা হয়তো মনে করেছিল সময় নষ্ট করে লাভ কী? এসব করে তো পরীক্ষার রেজাল্টে কোনো পজিটিভ এফেক্ট পড়বে না!

সেই বছরের টপিক ছিল ওরিজিন অব লাইফ, জীবনের উৎপত্তি।

জীবনের উৎপত্তি বা ওরিজিন অব লাইফ ব্যাপারটা বেশ জটিল। সৌরজগতে এতগুলো গ্রহ,উপগ্রহ-তার মধ্যে শুধুমাত্র এই পৃথিবী গ্রহটাতেই(কেউ কেউ যুক্তিনির্ভর অনুমান করে বলেন মঙ্গল গ্রহে বা বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপায় অথবা শনির উপগ্রহ টাইটানে প্রাণ থাকলেও থাকতে পারে, তবে সেসব প্রমাণিত নয় এখনও, এখনও অবধি কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় নি ) এত রকমের প্রাণ, জলে স্থলে বাতাসে প্রাণে প্রাণে ছয়লাপ, আণুবীক্ষণিক জীব থেকে শুরু করে বিরাট বিরাট সব মহামহীরুহ ধরনের জীব, সবই এইখানে।

কিন্তু শুরুতে তো এরকম ছিল না। প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে পৃথিবী তৈরী হয়েছে সৌরজগতের আর সবকিছুর সঙ্গে, তখন পরিবেশ ছিল একেবারেই অন্যরকম। শুরুর থেকে প্রথম একশো কোটি বছর কোনো প্রাণের চিহ্ন ছিল না দুনিয়ায়, সবচেয়ে পুরানো যে প্রাণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ফসিল রেকর্ডে, সে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি বছরের পুরানো। সরল প্রোক্যারিওটিক ধরণের জীবকোষের ফসিল সেসব। কিন্তু সেও পরম আশ্চর্য ব্যাপার, কী করে জড় পাথর জল গ্যাস ধূলা থেকে তৈরী হলো এমন জিনিস যা কিনা নিজের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারে? তারপরে ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর জীবকোষের চিহ্ন পাওয়া যায়, জীবজগৎ বিবর্তনের পথে এগিয়ে গিয়েছে জটিলতার দিকে, একসময় তৈরী হয়েছে ইউক্যারিওটিক জীবকোষ, যা দিয়ে আমরা তৈরী।

কিন্তু শুরুটা হলো কেমন করে? এই নিয়ে বহু তত্ত্ব আছে, কেউ বলেন পৃথিবীতেই হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া,মিথেন, জলীয় বাষ্প এইসবের সংযোগে নানারকম জৈব বস্তু তৈরী হয়েছে, তারপরে তার থেকে ক্রমে জীবকোষ। কেউ বলেন জৈববস্তু সরল প্রাণকোষ সবই অন্যত্র তৈরী হয়েছে, উল্কাখন্ডের মাধ্যমে এসে পড়েছে আদিম পৃথিবীতে, তারপরে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে নানাভাবে বিবর্তিত হতে হতে জৈববৈচিত্রের সৃষ্টি হয়েছে।

এইসব কিছু তথ্য এখন পাওয়া যত সহজ তখন সেই নেট-পূর্ব সময়ে কম্পিউটার পর্যন্ত না চেনা আমাদের পক্ষে পাওয়া চিন্তারও বাইরে ছিল। তথ্যসূত্র বলতে জীববিদ্যার উঁচু ক্লাসের কিছু বই, কিছু ম্যাগাজিনের কিছু প্রবন্ধ ইত্যাদি। আমাদের স্কুলের লাইব্রেরীও ছিল বলতে গেলে প্রায় বন্ধই। বইয়ের সংগ্রহও সেখানে খুবই সীমিত ছিল।

যাই হোক, এইসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অন্বেষা তৈরী হতে শুরু করলো, ওর আগ্রহ দেখে আমাদের এক দিদিমণি , অরুণিমাদি- উনি মাধ্যমিক স্তরে পড়াতেন ফিজিকাল সায়েন্স আর উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কেমিস্ট্রি, তিনি উৎসাহিত হয়ে ওকে কিছু কিছু সাহায্য করতে লাগলেন। সেও যৎসামান্যই। আলাদা করে এসব করানোর মতন ব্যবস্থা বা সময় কিছুই আমাদের স্কুলে ছিল না।

নির্দিষ্ট দিনে অরুণিমাদি আর আমাদের স্কুলে নতুন শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেওয়া বিপাশাদি অন্বেষাকে আর ক্লাস টেনের তিথিকে(সেও অংশগ্রহণ করবে স্টুডেন্ট্স সায়েন্স সেমিনারে) নিয়ে রওনা হলেন যে স্কুলে প্রতিযোগিতা হবে সেইদিকে। দুটো মাত্র পিরিয়ড ক্লাস হয়েই সেদিন স্কুল ছুটি কী কারণে যেন, তাই ওদের সুবিধেই হলো। সেমিনার শুরু হবে দুপুর দুটোর পরে।

স্কুল ছুটিই যখন হয়ে গেল, তখন আমার হঠাৎ মাথায় খেলে গেল, আরে, আমিও তো যেতে পারি ওদের সঙ্গে! ওরা রিক্শায় গিয়েছে, কিন্তু আমার তো সাইকেল রয়েছেই, আর ঐ হোস্ট স্কুলও চিনি তো! আমাদের পাড়া থেকে ঐ স্কুলই বরং কাছে। যা ভাবা সেই কাজ, আমিও রওনা দিলাম সেইদিকে। না ঢুকতে দিলে সোজা নাহয় বাড়ী চলে যাবো, আর তো কিছু না! আর দেখতে দিলে দেখবো, সেমিনার হয়ে গেলে সরাসরি বাড়ী চলে যাবো।

যেতে যেতেই ওদের রিক্শাকে দেখতে পেলাম, ওরা পৌঁছনোর কয়েক মিনিটের মধ্যে আমিও পৌঁছে গেলাম। অরুণিমাদি আর বিপাশাদি অন্বেষা আর তিথিদির আমাকেও সঙ্গে নিলেন ঢোকার সময়। আয়োজকদের একজন আমাদের পথ দেখিয়ে দোতলায় একটা ঘরে নিয়ে বসালেন, চমৎকার সুন্দর ঘর, জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে মেঘেভরা আকাশ, তখন ঘোর বর্ষা, শরৎ আসতে সামান্য বাকী। ঐ ঘরে তখন পর্দা টানানো টেবিলক্লথ পাতা ফুলদানি সাজানো এইসব চলছিল, আমরা এতই তাড়াতাড়ি গিয়ে হাজির হয়েছি!

তিথিদি এই স্কুলে এক পুরনো বন্ধুকে দেখে তার সঙ্গে কথা বলতে সামনের করিডরে চলে গেল। বিপাশাদি আর অরুণিমাদি জানালার পাশে দুই চেয়ার টেনে বসলেন। আমি আর অন্বেষা পাশাপাশি বসলাম একপাশের এক বেঞ্চে। অন্বেষার মুখ একটু ফ্যাকাশে, একটু একটু নার্ভাস মনে হয়। পাব্লিক স্পিকিং ব্যাপারটাই একটা কেমন যেন ভয়ের আর খানিকটা বিচলিত হবার মতন ব্যাপার, ভয় তো হবেই। আমি ওকে সাহস দেবার জন্য নানা ভুজুং ভাজাং বলতে বলতে ওকে হাসাতে লাগলাম।

(চলবে)


Comments

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা's picture

হাসি
চিন্তিত
হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

সবাই খালি চা খায় ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা's picture

কে চা খায় কেজানে! চিন্তিত আমি তো চা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি, এখন খালি কফি খাই। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আপনার কফিতে চন্ডিশীরার বদ-নজর লাগছে খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা's picture

স্বয়ং চন্ডী আর চামুন্ডা আমার সাথে আছেন, অসুবিধা কিছু নাই। দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

সবাই "সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি" শিখ্যা গ্যাছে ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা's picture

আহা, ইররেস্পন্সিবল হইলে হইবে ? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

হুমম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

পড়লাম। চলুক

তুলিরেখা's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা's picture

এইটা কি হইল তুলিদিদি? এমনিতেই সময়ের প্রবল টানাটানি চলছে, তাতে এমন সুন্দর লেখাটাকে এইখানে থামিয়ে দিলে কেমন লাগে! মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

তুলিদিরে চন্ডিশীরা কামড় দিছে, এই কামড় খাইলে লোকে খালি চা খায় ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা's picture

হো হো হো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা's picture

কী যে কন! চা তো ছাইড়াই দিলাম, চায়ের লেইগ্যা ওনাপ্যানাও আর করি না। এহন খালি কফি আর কফি, হুদাই কফি। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা's picture

এক লহমা, আসবে আসবে শীঘ্রই আসবে পরের পর্ব।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা's picture

সময়ের টানাটানি, তার চেয়েও বড় টানাটানি লিখতে না পারার। লিখতে লিখতে কলম আটকে যায়। চিন্তায় আছি, বেশ চিন্তার মধ্যে আছি। চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

ঘরে কি পেন্সিল নাই? না থাকলে কাক্কেশ্বরের পেন্সিলডি টান দ্যান। খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তুলিরেখা's picture

পেন্সিল আছে, কিন্তু টান কই? মন খারাপ

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

আইসা যাইব পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অর্বাচীন's picture

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

তুলিরেখা's picture

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কল্যাণ's picture

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তুলিরেখা's picture

হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.