পিছন পাগল

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Mon, 16/12/2013 - 1:20am
Categories:

আমাদের পাড়ার পিছন পাগলের গল্পটা বলি।

ব্যাটা এমনিতে বেশ ভালো। সবার সাথে বিকেল বেলা আড্ডা দেয়, চা মুড়ি খায়, দেশের হাল হকিকত নিয়ে আলোচনা করে। খালি কেউ পিছন বললেই ক্ষেপে যায়। কারণটা আমরা ঠিক জানতাম না। পাগলের নিজ নাম পছন্দ না বলে পিছন বললে ক্ষেপে যায় নাকি পিছন বললে ক্ষেপে যায় বলেই তার নাম পিছন পাগল এটা আমাদের কাছে ডিম-মুরগির মতো একটা ধাঁধা ছিল।

হেলাল একবার কচুয়া ধোলাই খেল পিছন পাগলের হাতে। হেলাল পাড়ায় নতুন, হাল হকিকত জানেনা। প্রথম পরিচয়য়েই সবার চা পুরির বিল দিয়ে দিল দেখেই আমরা বুঝে গেলাম উচ্চ বংশের ছেলে। গ্রুপে নিয়ে নিলাম। কদিন পরে বোঝা গেল ছোকরা একটু ঘাউড়া স্বভাবের। সব কিছুতেই ঘাড় বেঁকিয়ে কিন্তু বলে তর্ক করতে লেগে যায়। বালেগ হবার পর থেকে আমরা সবাই একমত যে, পারুল আপা আমাদের পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে। হেলাল দেখে টেখে বলে, নাকটা একটু চাপা। সবাই প্রথমে কিছুদিন তর্ক করে হাল ছেড়ে দিলো। দেখা গেল যে যাই বলে না কেন, শেষ কথাটা হেলালকেই বলতে হবে। আমরা তাই হেলালকে আদর করে জয়ী ডাকতাম। নামটা একটু মেয়েলী হলেও জয়ের গন্ধ আছে দেখে হেলাল খুশী মনে মেনে নিল। এই জয়ী হেলাল বিরাট পিটুনি খেল পিছন পাগলের হাতে।
সবাই একসাথে বসে দিব্যি চা পুরি সিঙ্গারা খাচ্ছিলাম হারুনের হোটেলে। পাগলও আমাদের সাথে এসে জুটেছে। দিব্যি খুশী মনে বদরুল ভাইয়ের সাথে সিরিয়ার সমস্যায় জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে আলাপ করে যাচ্ছিল। ওইদিকে বিল হেলাল দেবে এই আশায় সবাই পুরির পর পুরি সাবাড় করে যাচ্ছে। এই সময় ঘটল কাণ্ডটা।
পিছন পাগল ডালপুরিতে কামড় দিয়ে আমোদে চোখ বন্ধ করে বলল, ডাইলপুরি দুনিয়ার সেরা খাদ্য।
হেলাল বলে, ডালপুরি ভালো কিন্তু আলুপুরি আরও ভালো।
পাগল কটমট করে তাকাল। তারপর একটু ভেবে বলে, তাও ঠিক।
এরপরে আবার পিছন পাগল চায়ে ফুড়ুত করে একটা চুমুক দিয়ে বলে, চায়ের উপর দুনিয়াতে আর কিছু নাই।
হেলাল ঘাড় বেঁকা করে কফির গুণগান করে। পাগল প্রথমে কটমট করে তাকালেও আর বেশী ঝামেলা করে না।
আচমকা মতিন হৈহৈ করে উঠে, পারুল আপা যায়। আমরা তাকিয়ে দেখি পারুল আপা দুলকি চালে যাচ্ছে হোটেলের সামনে দিয়ে। বেছে বেছে আমাদের আড্ডা দেয়ার সময়েই পারুল আপা সামনে দিয়ে কয়েকবার হেঁটে যেত। যেতে যতে আমাদের দিকে একটা 'যত্তসব বখাটে পোলাপান' টাইপ একটা চাহনি দিয়ে যেত।
রনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, পারুল আপা সামনে থেকে দেখতে দারুণ।
হেলাল তার স্বভাবমতো প্রতিবাদ করে বলে, পেছন থেকে তো আরও ভালো।
আর যায় কোথায়। কেউ কিছু বোঝার আগেই পিছন পাগল হা রে রে রে করতে করতে হেলাল এর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো। সবাই মিলে না থামালে সেদিন হেলালকে জানেই মেরে ফেলত। বদরুল ভাই মাথা নাড়তে নাড়তে আফসোসের সুরে বলেন,
হেলাল, তোর কপাল ভালোরে। কানের কাছ দিয়া গুলি গেছে। অল্পের উপর দিয়ে বাইচ্চা গেছোস।
হেলাল হাউমাউ করে উঠে, আমি কি করছি? আমারে মারলো কেন? পারুল আপাকে নিয়ে কথা বলার জন্য মারলো?
- নারে। সমস্যা পারুল না। সমস্যা হইতেছে
বদরুল ভাই থেমে যান, শব্দটা আর উচ্চারণ করেন না।

হেলাল অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেলেও রকিবুল ভাই বাঁচতে পারলেন না। রকিবুল ভাই আসার পর আমাদের মাথা বদরুল ভাই পোতায়ে গেলেন। এর আগ পর্যন্ত আড্ডার সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন বদরুল ভাই। রকিবুল ভাই এর জ্ঞানের তোড়ে বদরুল ভাই ভেসে গেলেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, রাজনীতি, দেশ, বিদেশ সব বিষয়েই রকিবুল ভাইয়ের জ্ঞান আছে, কিছু না কিছু বলার আছে। তিনি বলতেন আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনে যেতাম।
বিজয় দিবসে বদরুল ভাই পাড়া থেকে একটা ছোটখাটো ম্যাগাজিন বের করতে চাইলেন। ম্যালা কাজ, স্পন্সর যোগার করা, লেখা যোগার করা, ছাপাখানায় দৌড়াদৌড়ি। রকিবুল ভাই বেশ পাত্তিওয়ালা লোক, জানাশুনাও ভালো। কিন্তু গাইগুই করতে লাগলেন। বলেন, তোমরা ইয়াং ম্যান আরও বড় কিছু নিয়ে চিন্তা কর। আমরা বরং আরও কনস্ট্রাকটিভ কিছু করতে পারি। মনে কর পাড়ায় শীত বস্ত্র বিতরণ অথবা চাঁদা তুলে একটা কম্পিউটার ক্লাব করা।
বদরুল ভাই একটু প্রতিবাদের চেষ্টা করলেন,
- সে সব তো যে কোন সময়েই করা যায়। কিন্তু বিজয় দিবসে আমরা আসলে জোর দিয়ে আমাদের অবস্থানটা জানাতে চাই।
সব শুনে টুনে রকিবুল ভাই বললেন,
- সবই বুঝলাম কিন্তু চল্লিশ বছরের পুরনো একটা গণ্ডগোল নিয়ে যেভাবে রাজনীতি হচ্ছে দেশে সেটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে আর কত ভালো লাগে বল। আমাদের আসলে পিছনের কথা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।

পিছন পাগল পিছন শুনেই বসা থেকে তিড়িং করে উঠে ঝাঁপিয়ে পড়লো রকিবুল ভাইয়ের উপর। প্রথমে ধরে কিছুক্ষণ আঁচরে খামচে দিল। তারপর তাকে মাটিতে ফেলে উপুড় করলো। হেলাল এর ঘটনার সময় আমরা সবাই মিলে পিছন পাগলকে আটকিয়েছিলাম। এবারে কেন যেন কেউ এগিয়ে আসলো না। মতিন একটু মৃদু প্রতিবাদ করলো, কাজটা ভালো হচ্ছে না কিন্তু।
পিছন পাগল ততক্ষণে রকিবুল ভাইয়ের প্যান্ট খুলে ফেলেছে। রনি মৃদু গলায় বলে,
- অত্যন্ত বাজে একটা ব্যাপার হচ্ছে। আমি এর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাই।
বদরুল ভাই চায়ে একটা হালকা চুমুক দিয়ে বলেন,
- বেশী ব্যথা দেইস না কিন্তু পাগলা।

আধা ঘণ্টা পার হয়।রকিবুল ভাই কষ্টে সৃষ্টে উঠে রক্তাক্ত পশ্চাৎদেশ নিয়ে কোনরকমে উঠে দাঁড়ান।
পিছন পাগল চোখ মটকে বলে, আর কখনো পিছনের কথা ভুলবি?
বদরুল ভাই, মাথা নেড়ে আফসোসের সুরে বলেন, আসলেই পিছন পাগল কাউকে পিছনের কথা ভুলতে দেয় না।
এর পর কতকত বছর কেটে গেল। রকিবুল ভাই জীবনে অনেক এগিয়ে গিয়েছেন কিন্তু পিছনের কথা ভুলেন নাই। জীবনের প্রতিমুহূর্তে উঠা থেকে বসতে, বসা থেকে শুতে, শোয়া থেকে উঠতে, উপুড় থেকে চিত হতে, চিত থেকে কাত হতে একবার করে আহা উঁহু করে আর্তনাদ করে পিছনের কথা মনে করেছেন।


Comments

চরম উদাস's picture

প্রাসঙ্গিক মতির লেখা- পেছনের কথা ভোল: হিনা রব্বানি

চোখ টিপি

সুজন চৌধুরী's picture
চরম উদাস's picture

আসলেই অভিশাপ দেঁতো হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

এইডা কী লিখলেন বস!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস's picture

চোখ টিপি

আলতাইর's picture

আমরাও পিছের কথা ভুলতে পারি না। বেয়াল্লিশ বছর ধইরা ব্যাথায় আছি। এদ্দিন বাদে ধ্ববন্তরি মলমের এক ডোজ পড়ছে। কোর্স শ্যাষ না কইরা থামাথামি নাই

চরম উদাস's picture

হ, কোন থামাথামি নাই।

টিউলিপ's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

ইচ্ছে করছে জায়গামত পোস্টটা শেয়ারে দিয়ে আসি। চোখ টিপি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

উদ্ভ্রান্ত পথিক's picture

আমি করে আসছি মিজান, পিষে ফ্যালো

---------------------
আমার ফ্লিকার

উদ্ভ্রান্ত পথিক's picture

পুরাই গুল্লি হইছে গুল্লি
জায়গামত শেয়ার কইরা আসলাম শয়তানী হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস's picture

শয়তানী হাসি

চরম উদাস's picture

আপনেরা খালি রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকান।

দুষ্ট বালিকা's picture

পাগলা চুল্কে দে! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

চরম উদাস's picture

খাইছে

আয়নামতি's picture

উত্তম জাঝা!
হিনা রব্বানি ফেন কিলাব খুলি আসেন। আর ঐ পেছন পাগলরে খবর দেন বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

এইগুলান ঠিক করেন:

হাল ছেড়ে দিলা - দিলো
চা সিঙ্গারা খেয়ে খাচ্ছিলাম- যাচ্ছিলাম
সব বিসয়ে - সব বিষয়ে।

লিখেই দুম করে ক্লিক বাটনে চাপ না দিয়ে এট্টু 'পিছন পানে' চাইবেন পিলিজ দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

সব কষ্ট যদি আমিই করবো তাইলে আপনেরা শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন কি করতে??
ঠিক করে দিলাম পিছন পানে ফিরে খাইছে

মৃদুল আহমেদ's picture

হো হো হো চলুক

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ চোখ টিপি

স্যাম's picture

হাহাহাহহাহাহহাহহাহাহ অসাধারণ !
পিছন পাগলার গল্পটা একজন আলোকিত 'স্যার' কে শোনাতে ইচ্ছা করছে !

চরম উদাস's picture

মানী লোকের মানপুটু নিয়ে টানাহেঁচড়া করবেন না একদম।

অতিথি লেখক's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো হো হো হো চলুক

মাসুদ সজীব

চরম উদাস's picture

খাইছে

কড়িকাঠুরে's picture

"আর কখনো পিছনের কথা ভুলবি?" গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

আর জীবনেও ভুলবে না চোখ টিপি

অতিথি লেখক's picture

যুদ্ধদিনে লেখা হয়েছিল অনেক হৃদয়গ্রাহী গান । আর এই দাহ কালে এভাবেই রচিত হোক আরো অ---নে--ক সাহিত্য যেন অদিতি ফাল্গুনীদের জামাতের নুন খাওয়া লেখা গুলি বন্যার তোড়ে ভেসে যায় ।

রাজর্ষি

চরম উদাস's picture

ইতিহাস আর ভণ্ডামির ইতিহাসগুলো ধরে রাখার জন্যই লিখার চেষ্টা করি

ঈয়াসীন's picture

হো হো হো

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

চরম উদাস's picture

খাইছে

জি.এম.তানিম's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
গুল্লি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অরফিয়াস's picture

এভাবে পিছন মারতে নেই, গুরুজনের মানা আছে। বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস's picture

আই কি কইচ্চি?

অতিথি লেখক's picture

কারো কারো পিছনে কয়েকটা কইরা পিছন পাগল ছাইড়া দেওয়া অতি দরকারি!!

- laidback

চরম উদাস's picture

বন্দনা's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

খাইছে

স্পর্শ's picture

গুল্লি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস's picture

শয়তানী হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম.'s picture

যারা ভুলে যায় অতি সহজেই পিছন দিনের কথা ।
তারা যেন পায় রকিবুল সম পিছন দিকের ব্যথা ।।

চরম উদাস's picture

হো হো হো

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

সমাজে এরকম দু-চারটা পিছন পাগল দরকার। চলুক

চরম উদাস's picture

আছে কিন্তু পিছন পাগল। প্রতিদিনই তো দেখি এই বিচ্ছুগুলা এর তার ইয়ে মেরে দেয়, তারপর জ্ঞানীগুণীরা ব্যাথায় আর পিছনের কথা ভুলতে পারেনা।

অতিথি লেখক's picture

পিছনের কথা ভুললে মেরে পিছনটা লাল করে দেয়াই উচিৎ
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

গান্ধর্বী

চরম উদাস's picture

হ, এক্কেরে

অমি_বন্যা's picture

পুরাই সিরাম উদাস দা।

চরম উদাস's picture

চোখ টিপি

খেকশিয়াল's picture

হোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহোহো!!!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

চরম উদাস's picture

খাইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো

হু, কসাই ভদ্রলোকের বাকি কলিগেরা ঝুলুক, এটলিস্ট যেইগুলা এরেস্ট আছে... তারপর আমি পেছনের অর্ধেক কথা ভুলে যেতে রাজি আছি শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস's picture

হ, আমিও

অতিথি লেখক's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
আপনের নাম দিলাম 'ভার্চুয়াল পিছন পাগলা'!!!! এইসব মারদাঙ্গা লেখা দিয়া আল্টিমেটলি তো গোল্ডফিশগুলার পুটুই মারছেন নিয়মিত!!! গুরু গুরু দেঁতো হাসি শয়তানী হাসি

সুবোধ অবোধ

চরম উদাস's picture

শয়তানী হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

এই লেখাটা না পড়লে বিশাল মিস

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস's picture

খাইছে

নজমুল আলবাব's picture

পাশুবিক

চরম উদাস's picture

চোখ টিপি

তারেক অণু's picture

মিজান, পিষে ফ্যালো
পেছনের কথা ভোলা কী এতই সহজ --- নায়েবে খাস

চরম উদাস's picture

না, সহজ না

এক লহমা's picture

পিছনের কথা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়া, এই অতি জরুরী কাজটা করতে দিলা না! পিছন পাগল ল্যালায় দিলা! - হেঃ হেঃ হেঃ। পারোও তুমি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

চরম উদাস's picture

খাইছে

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ's picture

"হেলাল এর ঘটনার সময় আমরা সবাই মিলে পিছন পাগলকে আটকিয়েছিলাম। এবারে কেন যেন কেউ এগিয়ে আসলো না। " আরো দুয়েকজন চেইন খুলে লাইনে দাঁড়ায়নি? রকিবুল ভাইয়ের মত এমন কথা যে বলে তার জন্য তো এটাই করা ফরজ! ফরজে কিফায়া না, একেবারে ফরজে আইন!!

____________________________

অতিথি লেখক's picture

Quote:
বলে, পারুল আপা সামনে থেকে দেখতে দারুণ।
হেলাল তার স্বভাবমতো প্রতিবাদ করে বলে, পেছন থেকে তো আরও ভালো।

দেঁতো হাসি

Quote:
পিছন পাগল চোখ মটকে বলে, আর কখনো পিছনের কথা ভুলবি?

--
কচু পাতা

আলভী মাহমুদ's picture

এমনে করে উপ্তা করে দিলে চলবে? আপনে আর মানুষ হইলেন না গুল্লি

সবই ঠিক ছিলো, ঠাস করে কাইট রানার ছবির এরকম একটা দৃশ্য মনে পড়ে গেল (যদিও প্রেক্ষাপট পুরাই উল্টা) মন খারাপ

অতিথি লেখক's picture

মাফ করবেন, এটা পড়ে এ সার্বিয়ান ফিল্মের কথা মনে পড়ে গেল! দেখছেন নাকি?!
আর যারা ত্যানা পেঁচায় তাদের জন্য এ লেখার চেয়ে মোক্ষম ওষধ আর নাই হাততালি
- ষণ্ডাকুমার

অতিথি লেখক's picture

পাড়ায় পাড়ায় এরকম একটা পাগল থাকলে দেশে ছাগুর বাম্পার ফলন হত না হয়ত।

একটা কারেকশন,

"বদরুল ভাই, মাথা নেড়ে আফসোসের সুরে বলেন, আসলেই পিছন পাগল কাউকে পিছনের কথা ভুলতে দেয় না।"

-এর পরে সেমসাইড হয়ে গেল না তো আবার?

-অভিমন্যু সোহম

সাক্ষী সত্যানন্দ's picture

পিছন পাগলরে এট্টূ খোনকার মা'বুব সাবের বাড়ি পাঠানো যায়না?
উনি নিজের তিয়াত্তর সালের অবস্থান ভুইলা গেছেন। ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.