হারিয়ে যাওয়া রূপকথা -১

ধুসর জলছবি's picture
Submitted by dhusor jolchobi [Guest] on Tue, 04/12/2012 - 2:52am
Categories:

আমার ভাই, শৈশবের প্রথম স্মৃতি যাকে ঘিরেই।

ছোটবেলায় আমরা যেই বাসাটাতে থাকতাম সেটা এ যুগের বাসা গুলোর মত বন্দীশালা ছিল না, বাসার সামনেই বড় একটা উঠোন ছিল, ভিতরে বেশ কয়েকটা বড় বড় গাছ ছিল , গাছে এসে নানারকম পাখিরাও বসত যখন তখন। খুব চমৎকার একটা ছাদ ছিল যেটাতে প্রায় রাতেই আমাকে নিয়ে সারারাত হাঁটতে হত আমার বাবার কিংবা চাচাদের । দাড়িওয়ালা একটা বাড়ীওয়ালা আঙ্কেল ছিল যে আমাকে কোলে নিলেই আমি তার দাড়ি টেনে কয়েকটা ছিঁড়ে ফেলতাম।( সেই তখন থেকেই আমার দাড়ির ব্যাপারে আলাদা আসক্তি মনে হয়, দেখলেই টেনে ছিঁড়তে ইচ্ছে করে) আর ছিল পাশের বাসার দুই দুইটা যমজ বেয়াদপ দুষ্ট ছেলে। দুজনেই আমার চেয়ে বড় তার মধ্যে আমি আবার একা , এবং যেহেতু একা,ছোটো এসব ফালতু অজুহাতে আমার মাতব্বরি কেউ কখনও থামাতে পারে নি তাই ওদের হাতে মার খেয়ে বাসায় ফেরা ছিল আমার জন্য নিত্যদিনের ব্যাপার। অচিরেই আমি বুঝে গেলাম আমার পক্ষে আর একা একা যুদ্ধ করা সম্ভব না, তাই আমারও একটা ভাইয়া লাগবে এই দাবী পেশ করা হল আম্মুর কাছে। তখন তো আর বুঝিনি আমার চাওয়ার আগেই সেই ব্যবস্থা হয়ে আছে ।

আমাকে প্রবল উত্তেজিত অবস্থায় রেখে একদিন আম্মু হাসপাতালে ভর্তি হল আমার জন্য ভাইয়া নিয়ে আসতে , কিন্তু দুদিন পর ভাইয়া নামক যে তোয়ালে জড়ান ন্যাদা প্যাদা টাইপ পুচকে একটাকে নিয়ে আসল তাকে দেখে আমার রাগ আর দেখে কে ।,ধুর, এইটা কি মারপিট করবে , এ তো চোখ খুলে তাকাতেই পারে না ঠিকমত! আমার ছোটো ভাইটাকে দেখে আমার প্রথম অনুভূতি ছিল এটাই। এরপর যত দিন গেছে আমার রাগ বেড়েছে। ও খেলতে শুরু করার আগ পর্যন্ত আমি নাকি ওকে সহ্যই করতে পারতাম না। প্রথম প্রথম ওকে টেনে বিছানা থেকে নামিয়ে ফেলতাম খেলার উদ্দেশ্যে, কিন্তু আমার এই নির্দোষ আহবান গাধাটা তো বুঝতই না উল্টো কেঁদে বাসা মাথায় করত । ও আর কি বুঝবে বড়রাও তো বুঝত না, সারাক্ষণ ওকে পাহারা দিয়ে রাখত যাতে আমি বিছানা থেকে ফেলে না দেই। তাদের এসব ঢং দেখে দেখে আমার রাগ আরও বাড়ত। আরে খেলতেই যদি না পারে তো ওকে আনা হল কি উদ্দেশ্যে শুনি! যথারীতি আমি বলা শুরু করলাম “ওকে আমার পছন্দ হয়নি, ওকে ফেলে দিয়ে একটা নতুন ভাইয়া নিয়ে আস।" ভাগ্যিস আমার মনোবাসনা পূর্ণ হয়নি, আমার সেই তোয়ালে জড়ান ন্যাদা প্যাদা পুঁচকে ভাইটাই এখন আমাকে আগলে রাখে পাহাড়ের মতন ।

অন্য বোনরা যেখানে ছোটো ভাই বোনদের ভদ্র হতে শিখায়, দুষ্টামি করতে বাধা দেয় সেখানে আমি ওকে দিয়ে জোর করে দুষ্টামি করাতাম। ওর দুই বছর বয়েসে ওকে সিঁড়ি দিয়ে উঠিয়ে ছাদে নিয়ে যাওয়া, হাঁটতে শিখার পর থেকেই দুইজন হাত ধরে বাসার গেট খোলা পেলেই বের হয়ে যাওয়া, ওকে কারেন্টের শক খাওয়ানো সহ যাবতীয় আজাইরা আউলা কাজ যেগুলোতেই আমি আনন্দ পেতাম ( এসব কাজেই কেন যে আমি বেশী আনন্দ পেতাম !) সেটাই ওকে দিয়ে করাতে চেষ্টা করতাম । সেই জন্য আম্মুর কাছে মারও খেয়েছি অনেক। এখনও আমার মায়ের ধারণা তার ছেলে কিছু করলে সেটার জন্য দায়ী আসলে আমি। আমার ভাইয়ের যাবতীয় কুকীর্তির জন্য তাই আগে আমি বকা খাই।

ছোটবেলায় একবার আমার পাশের বাসার এক আপুর ছেলে পুতুলের সাথে আর এক আপুর মেয়ে পুতুলের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিশাল আয়োজন, আমরা সবাই দাওয়াত পেয়েছি ,বরযাত্রী যাব। আনন্দে আমাদের রাতে ঘুম আসেনা অবস্থা। কিন্তু বলা কওয়া নেই প্রোগ্রামের ঠিক আগের দিন আমার ভাইয়ের জ্বর চলে আসল । আম্মু ঠিক করল আমাকে একা দিয়ে আসবে , আর শুনেই তুহিনের সে কি কান্না। সে চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে “ আমিও যাব, আমি কারও বিয়ে খেতে পারলাম না, দাদুর না , আব্বুর না, আম্মুর না, এখন পুতুলের বিয়েটাও আমার খাওয়া হবে না।" আহারে বেচারা।

আমাদের দুইজনের মধ্যে পড়াশোনার ব্যাপারে আমি পিচ্চিকালে একটু ইয়ে মানে( একটু মানে আসলে বেশ অনেকটাই) আতেল ছিলাম, এখন অবশ্য আমি ভাল হয়ে গেছি, গল্পের বই ছাড়া অন্য কিছু পড়তে মন চায় না। আর আমার ভাই ছিল চরম ফাঁকিবাজ। বড় হয়ে অবশ্য সে খারাপ হয়ে গেছে, পড়াশুনার ব্যাপারে এখন সে বেশ সিরিয়াস। ছোটবেলায় আমি পড়তে চাইতাম আর সে খালি বাহানা বের করত, একেকদিন একেকরকম, আজ কান ব্যথা , তো কাল তার মনখারাপ, আজ মুড নেই তো কাল তার মুড ছবি আঁকার। তো এরকম ফাঁকিবাজির কারণে সবাই যখন বলত বড় হয়ে সে তো কিছুই হতে পারবে না, সে অনায়াসে নিশ্চিন্তভাবে বলত “কেন, আপু ডাক্তার হবে আর আমি ওর কম্পাউন্ডার হব।"

একদম ছোটবেলাতে আমি বোধহয় একটু বর্ণবাদীই ছিলাম, কারণ আমি নাকি কোন কালো গায়ের রঙের মানুষের কোলে যেতে চাইতাম না। কিন্তু একটু বড় হয়েই টের পেলাম বর্ণবাদ ব্যাপারটা ঠাট্টাচ্ছলেও কতটা নির্মম হতে পারে । আমাদের বাসায় যেই আসত প্রথমেই এসে আমার গাল টিপে খুব আদর করত। আব্বু, আম্মুর অফিস থেকে শুরু করে আমার নানা বাড়ির লোকজন পর্যন্ত আমার ব্যাপারেই আগে আগ্রহ দেখাত, কেউ কেউ তো বলেই ফেলত , নাহ ছেলেটা মেয়েটার মত ফর্সা সুন্দর ( যেহেতু এদেশে ফর্সা মানেই সুন্দর, তা সে আমার চেহারা যত বোঁচাই হোক ) হল না। আমার ভাইয়ের কেমন লাগত আমি জানিনা, কিন্তু আমার সেই অতটুকু বয়েসেই মাথায় রাগ চেপে যেত । পৃথিবীর বর্ণবাদের প্রতি ঘৃণা থেকেই হোক অথবা আমার ভাইয়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা থেকেই হোক আমি সবসময় বলতাম কালোই সুন্দর, আমি বড় হয়ে কালো ছেলেই বিয়ে করব।

আমাদের খেলাধুলার বেশিরভাগই ছিল আমাদের নিজেদের আবিষ্কৃত। কখনও বাসার সব চেয়ার উল্টে তার উপর বিছানার চাদর বিছিয়ে তাঁবু বানিয়ে খেলতাম, তো কখনও পিস্তল দিয়ে গোলাগুলি করে একজন আরেকজনকে ঝাঁজরা করে ফেলতাম, আবার কখনও হাতের কাছে যে যন্ত্রপাতিই পেতাম খুলে টুলে দেখতাম সব ঠিক আছে কিনা। একদিনের ঘটনা ,তখন ম্যাকগাইভার আমার জানের জান, আমাদের আইডল, আমাদের প্রবল দৌড়াদৌড়িতে আর ঘর ফাটানো চিৎকারে অস্থির হয়ে দাদু আমাদের একটা রুমে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে রাখল, যাতে দুষ্টামি যা করার ওখানে বসেই করি। কপাল গুনে ওই রুমেই আমার স্কুল ব্যাগটা ছিল, আর ছিল সদ্য কেনা জ্যামিতিবক্স। কাটা কম্পাস দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘরের ভিতর থেকেই ছিটকিনি খুলে ফেলেছিলাম আমরা। আমাদের গর্বিত চেহারা দেখে দাদুর যা একটা চেহারা হয়েছিল না, সে কখনও ভুলবার নয়।

খেলতে গিয়ে হাত পা কাটা ভাঙ্গা এসব ছিল আমার নিত্যদিনের ব্যাপার। আমি ম্যাকগাইভার হতে গিয়ে মাথা ফাটিয়েছি। মাথা ফাটার পর আমার কিছু হয়নি উল্টো আম্মু রক্ত দেখে অজ্ঞান ! আমাকে সেলাই দিয়ে বাসায় নিয়ে এসে দেখা গেল আমি লাফাচ্ছি আর আম্মুর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে । একবার র‍্যাভেন হতে গিয়ে হাত ভেঙ্গেছি ,সেবার অবশ্য পরীক্ষা দিতে পারব না বলে আমি অনেক কেঁদেছিলাম(কত বড় গাধা ছিলাম আমি) , এবং যথারীতি সেটা নিয়ে এখনও নিয়মিত হারে পচানি খাই । স্পাই স্পাই খেলতে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়া, চাকু , বটির উপর পড়ে যাওয়া এসব তো আমার জন্য ছিল ডালভাত । আমি প্রায় সবসময় দা গার্ল ফ্রম টুমরোর মত কপালে একটা ব্যান্ড পড়ে থাকতাম। স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রায়ই ভাবতাম , ইস আমাকে যদি ছেলেধরারা ধরতে আসত আর আমি ওদের পিটিয়ে একদম সোজা করে দিতাম। বলাই বাহুল্য নিজের ক্ষমতা নিয়ে আমি অনেক উচ্চধারনা পোষণ করতাম। আমার ভাই কিন্তু ব্যথা ট্যাথা বেশী পায়নি তেমন, আমি কখনও কখনও ঠেকে শিখি আর সে সবসময়ই আমাকে দেখে শেখে।

তুহিনের ভয়াবহ খেলনা প্রীতি ছিল, এইতো কিছুদিন আগ পর্যন্তও। প্রতিবার সে একটা করে খেলনার জন্য জিদ করত, সেটা আদায় করে ছাড়ত, সেটা নিয়ে খেত,ঘুমত,বাথরুমে যেত, এরপর কয়েকদিন পর সেটাকে ব্যাবচ্ছেদ করে দেখত ভিতরে কি কি আছে। একবার সে জিদ করেছিল পুলিশের পোশাক কিনে দেয়ার জন্য, সে পুলিস হবে। এত কিছু রেখে তার ঘুষখোর পুলিস কেন হতে ইচ্ছে হল কে জানে, কিন্তু এই আবদার চরিতার্থ করতে সে শেষমেশ হাঙ্গার স্ট্রাইক পর্যন্তও করেছিল।

একদম পিচ্চিকালে সে আমি যা বলতাম তাই বলত, যা করতাম তাই করত। খেতে বসে আমি হয়ত বলেছি খাব না সে সাথে সাথে মুখ থেকে খাবার ফেলে দিয়ে বলত খাব না। আবার আমার মা এক রাম ধমকে আমাকে খাওয়ার মুডে ফেরত আনত সেও লক্ষ্মী ছেলের মত খাওয়া শুরু করত। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরই সে পল্টি দেয়া শিখে গেল, আমি যা বলি তাকে বলতে হবে ঠিক উল্টোটা।
আপু, তুমি ক্রিকেটে কোন দল?
ভারত।
আচ্ছা, তাহলে আমি পাকিস্তান।
আপু, তুমি এবার কার পক্ষে?
ব্রাজিল।
গুড, আমি তাহলে আর্জেন্টিনা।
এভাবেই প্রতিটা জিনিস নিয়েই উল্টো কাজটা করে তার আমাকে ক্ষ্যাপাতেই হবে। আবার আমার প্রতিটা কাজেরই সবচেয়ে বড় বিশ্লেষকও সে ই । পিছন থেকে সব খুঁটিয়ে দেখে, প্রয়োজনমত আমাকে খুঁচিয়েও দেখে অবস্থানটা আমার যথেষ্ট শক্ত আছে কিনা। আনন্দ, দুঃখ, হতাশা, নৈরাজ্য, অস্থিরতা, অসহায়ত্ব, সাফল্য আমার যাবতীয় আবেগের সবচেয়ে বড় সঙ্গী আমার ভাই। সব বোনেরই হয়ত তাই।

আমার যা নেই তা নিয়ে আমি যতটা ভাবি তারচেয়ে অনেক বেশী ভাবি আমার কি কি আছে । আর প্রকৃতি প্রদত্ত উপহারগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত আমার সবচেয়ে দামী, প্রিয় উপহার হল আমার ভাইটা। একা একা যুদ্ধ করে আমাকে আর কখনই হারতে হয় না। আমার সাথে একত্রে হারার জন্য সবসময় সে পাশেই থাকে। আমার জন্য কাউকে মারতে যদি নাও পারে, আমার হয়ে সবসময় মার খেয়ে যায় হাসিমুখে।

(চলবে )


Comments

সাফিনাজ আরজু 's picture

Quote:
আমার জন্য কাউকে মারতে যদি নাও পারে, আমার হয়ে সবসময় মার খেয়ে যায় হাসিমুখে।

চলুক । দারুন, আমার ছোট ভাইয়ের কথা মনে হল। আমার ভাই টাও ঠিক এমনই।
আপনার ভাইয়ের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
পরের পর্বের অপেক্ষায় পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ। হাসি ছোট ভাইগুলোই এমন। হাসি

অতিথি লেখক's picture

দারুন। এই রকম ছোট ভাই থাকলে কি আর কিছু লাগে?

আমি পাইছি এক ছোট ভাই। তারে কোন কিছু করতে বলা হইলেই সে বলে, "আমারে ভাইয়া পাও নাই যে যা ইচ্ছা তাই করাইবা।"
তবুও তার দুনিয়া একদিকে, আর ভাইয়া একদিকে। সে অনেক ছোটবেলা থেকে হোস্টেলে থাকে। বাসায় আসলে এক মিনিটও আমার কাছ থেকে দূরে থাকত না। এখন আমি বাইরে চলে আসার পর, বাসায় এসে আমার রুমে বসে থাকে। তার রুম খালি করে আমার রুমে চলে এসেছে। বোনের বিয়ের দিন নতুন কেনা পাঞ্জাবী রেখে সে ভাইয়ার রেখে যাওয়া পুরনো পাঞ্জাবী পড়েছে। আম্মুকে বলে, "আম্মু, রাস্তাঘাটে এত মানুষ দেখি, ভাইয়ারে তো দেখি না, আমার কেন জানি মনে হয়, একদিন দেখব ভাইয়া সিগারেট খাইতে খাইতে রাস্তা পার হইতেছে।" আমি বাইরে আসছি প্রায় সাড়ে তিন বছর, এখনও সে বাসায় আসলে বলে, "আম্মু ভাইয়া নাই, বাসাটা খালি খালি লাগে।"

একেকেটা ছোট ভাই, একেকটা খেলনা। যত বড়ই হোক, ছোট গুলি সব সময় ছোটই থাকে।

এইব্বাস, আপনার লেখায় মন্তব্য করতে এসে নিজের গান গেয়ে যাচ্ছি। এইটা আমার দোষ না, আপনার লেখার গুন। চলুক

ধুসর জলছবি's picture

Quote:
একেকেটা ছোট ভাই, একেকটা খেলনা। যত বড়ই হোক, ছোট গুলি সব সময় ছোটই থাকে।

একেবারে মনের কথা।

Quote:
এইব্বাস, আপনার লেখায় মন্তব্য করতে এসে নিজের গান গেয়ে যাচ্ছি।

ভালই লাগছিল পড়তে। হাসি

কৌস্তুভ's picture

এই সেরেছে, আপনি ডাক্তার নাকি? তাহলে তো আপনার পোস্টে শোরগোল করা যাবে না, ধরবেন আর প্যাঁক করে ইঞ্জেকশন ফুঁড়ে দেবেন!

ধুসর জলছবি's picture

শয়তানী হাসি শয়তানী হাসি

তিথীডোর's picture

আমারো একটাই মাত্তর পিঠাপিঠি ছোট ভাই। হাসি
ছুটিতে বাড়ি ফিরবে কবে সেটা ফোনে খুব একটা জিজ্ঞেসটিজ্ঞেস করি না, চলে যাওয়ার সময়ও উদাস ভাব ধরে থাকি...
আসলে যে কতটুকু পেট 'পুড়ে', সেটা বুঝতে দিতে ইচ্ছে করে না যে!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কৌস্তুভ's picture

হুঁ জানিতো, খুকিটি খুব 'কঠর'!

ধুসর জলছবি's picture

খাইছে

ধুসর জলছবি's picture

Quote:
ছুটিতে বাড়ি ফিরবে কবে সেটা ফোনে খুব একটা জিজ্ঞেসটিজ্ঞেস করি না, চলে যাওয়ার সময়ও উদাস ভাব ধরে থাকি...
আসলে যে কতটুকু পেট 'পুড়ে', সেটা বুঝতে দিতে ইচ্ছে করে না যে!

একই অনুভূতি। আমি যখন ময়মনসিং যেতাম ওরও একই অনুভূতি ছিল।

মৌনকুহর's picture

স্মৃতিচারণা ভালু পাই। চলুক হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ। হাসি

নীল আকাশ's picture

চলুক

ধুসর জলছবি's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

চলুক চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ হাসি

ব্যাঙের ছাতা's picture

চলুক চলুক চলুক

ধুসর জলছবি's picture

আরে আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম সচলে। হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বন্দনা's picture

আপনার ছেলেবেলাটা বেশ দারুণ কেটেছে বোঝাই যাচ্ছে, আর ও আসুক সেই উচ্ছল দিনের কথা।

ধুসর জলছবি's picture

সে আর বলতে, শৈশব ফিরে পাওয়ার বদলে আমি যে কোন কিছু করতে রাজি আছি।

জোহরা ফেরদৌসী's picture

Quote:
আমার যা নেই তা নিয়ে আমি যতটা ভাবি তারচেয়ে অনেক বেশী ভাবি আমার কি কি আছে ।

এই অনুশীলনটা যদি ধরে রাখেন, তাহলে নির্ঘাত গান্ধীজী হয়ে যাবেন । অনুশীলনটা ধরে রাখাটাই হ'ল কঠিন কাজ ।

লেখায় পাঁচ তারকা ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

ধুসর জলছবি's picture

গান্ধীজী হওয়া সম্ভব না, কারন আমি অহিংস না। তবে এটা সত্যি দিনশেষে যদি ভাবতে বসি ছোট খাট পাওয়া গুলোই আমার অনেক কিছু মনে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

তানিম এহসান's picture

আমার যা নেই তা নিয়ে আমি যতটা ভাবি তারচেয়ে অনেক বেশী ভাবি আমার কি কি আছে। ঠিক একথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম। ধরে রাখুন ডাক্তারমশাই। হাসি

লেখা চলুক।

ধুসর জলছবি's picture

হাসি ধরে রাখতেই চাই। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রাতঃস্মরণীয়'s picture

ভালো লেগেছে, চলতে থাকুক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ । হাসি

অতিথি লেখক's picture

আজকে কি সচলায়তনের ঈদ নাকি? একের পর এক দুর্দান্ত লেখা পড়েই যাচ্ছি আর কাজকামের চৌদ্দটা বাজাচ্ছি। আমার এম.ডি. কিচ্ছুক্ষন পরপর উঠে আমার হাসিমুখ আড়চোখে দেখে হতাশ ভঙ্গীতে মাথা নেড়ে আবার চেয়ারে বসে পড়ছে। বেচারা আমাকে ভয় না পেলে আমার খবরই ছিল আজকে।
আপনাদের ভাইবোন কথন পরে খুব ভাল লাগলো। আমার ছোট বোন আমার ছয় বছরের ছোট, কিন্তু এখনো আমরা দুই ভাই ওর শাসনে অতীষ্ঠ হয়ে আছি, আশা করি বাকীটা জীবনও এমনই কাটবে। লেখা চলতেই হবে।

ফারাসাত

ধুসর জলছবি's picture

এম ডি আপনাকে ভয় পায় দেঁতো হাসি
ছোটগুলো একটু শাসন বেশী করতেই চায় আর বোন হলে তো কথাই, বোনদের রক্তের মধ্যেই আছে শাসন করার বীজ দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

আহা শৈশব ! চলুক। চলুক।

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ ।

আশালতা's picture

দৌড়ক। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ধুসর জলছবি's picture

হাসি

ইয়াসির আরাফাত's picture

রেল্লাইনের মত চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ হাসি

ফ্রুলিংক্স's picture

বড় ভাইয়ের সাথে মারামারি-হাতাহাতি হয়নি। ছোটভাইয়ের সাথে প্রত্যেকদিন ২/৪ বার। সাথে আম্মার আরো ২/৪ বার না হলে ঘুম হতো না। এখন অবশ্য বড়ো হয়ে গেছি হাসি

চলুক...

ফ্রুলিংক্স

ধুসর জলছবি's picture

মারামারি আমারও হত তবে খুব অল্প। ধন্যবাদ।।

অমি_বন্যা's picture

দারুণ স্মৃতিচারণ। এমন ভাই পাওয়া আসলে ভাগ্যের ব্যপার। আমি একা তাই ছোট ভাই থাকার যে বাড়তি মজা তা পাইনি। তবে ছোটবেলা থেকেই বড় বোনটাকে জালিয়েছি অনেক। অনেক মার খেয়েছে ও আমার হাতে। তবে এত আঘাত পাবার পরও কোনদিন আমাকে ধমুক দেয়নি আমার সেই বোন।

এখন পর্যন্ত একটা ছায়া হয়ে ঘিরে আছে আমার চারপাশে। এক ভাই হবার কারণে বাসাই একটা আধিপত্য সবসময় ছিল।ামার কাপড় কাঁচা, ঘর গোছানো এমনকি মশারি টাঙানো ও ছিল আমার বড় আপার কাজ। আহা কত না খাটিয়েছি বোনটাকে। খুব মায়া হয় এখন যখন এসব ভাবি।

আপনার এই লেখা আমাকে আমার বোনের কথা ভীষণভাবে মনে করিয়ে দিল।

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ। বোনের কথা ভীষণভাবে মনে করাতে যখন পেরেছি আমি সার্থক। হাসি

স্যাম's picture

চলুক হাততালি
লেখার শেষে 'চলবে' দেখে খুব ভাল লাগল---- চলুক এমন স্মৃতিচারন।

ধুসর জলছবি's picture

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক's picture

আমার ছোট বোনটি্র কথা মনে পড়ে গেল।অর সাথে আমার সম্পরক টা দা-কুমড়ার কিন্তু অই আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে,কাছে না থাকলে অনেক মিস করে।পৃথিবীতে ভাই আর বোনের সম্পরকটা সত্যি আসাধারণ,যা শুধু ভাই আর বোন ই বুঝবে।

Quote:
আমার সেই তোয়ালে জড়ান ন্যাদা প্যাদা পুঁচকে ভাইটাই এখন আমাকে আগলে রাখে পাহাড়ের মতন ।

আপনার ভাই এর জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা,ভাল থাকুন।
-----------------------------------------------------------
রিক্তের

ধুসর জলছবি's picture

Quote:
পৃথিবীতে ভাই আর বোনের সম্পরকটা সত্যি আসাধারণ,যা শুধু ভাই আর বোন ই বুঝবে।

একদম আমার মনের কথা। অনেক ধন্যবাদ।

সুলতানা পারভীন শিমুল's picture

বাহ!
বেশ তো লক্ষী মেয়ে ছিলেন দেখা যায়!! চোখ টিপি

"আমার সাথে একত্রে হারার জন্য সবসময় সে পাশেই থাকে। আমার জন্য কাউকে মারতে যদি নাও পারে, আমার হয়ে সবসময় মার খেয়ে যায় হাসিমুখে।" - এই না হলে ভাই। চলুক
আমার কোনো ছোট ভাই নাই।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর জলছবি's picture

খুব লক্ষ্মী ছিলাম( খালি যখন ঘুমাতাম আর বাইরে কোথাও যেতাম তখন আর কি খাইছে ) ছোট ভাই , বড় ভাই, বোন এই সম্পর্কগুলোর প্রত্যেকটারই আলাদা আলাদা আবেদন আছে। আমার খালি ছোট ভাইটাই আছে , আর কিছু নাই।

সুলতানা পারভীন শিমুল's picture

আমার বড় বোন আছে।
তাকেই ভাই, তাকেই বোন, তাকেই সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে জানি। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর জলছবি's picture

চমৎকার। হাসি আমার ভাই আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু, তবুও হটাত হটাত একটা বোন খুব মিস করি আমি।

নিলয় নন্দী's picture

ভালো লাগল।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। হাসি

ধুসর জলছবি's picture

ধন্যবাদ। হাসি

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.