নতুন প্রাণের আগমন

ইয়াসির আরাফাত's picture
Submitted by Yasir Arafat [Guest] on Mon, 08/10/2012 - 2:56pm
Categories:

অপেক্ষায় কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। সেই প্রথম যেদিন নিশ্চিত হলাম আমাদের ভালোবাসা আবারও কুঁড়ি হয়ে ফুটবে কি অপরিসীম আনন্দটাই না হয়েছিলো! নতুন প্রাণ কোন অসাধারণ ঘটনা নয়, প্রতি মুহুর্তে কেউ না কেউ এ ধরায় আসছে অসীম সম্ভাবনা নিয়ে। নিজের ছোট, মাঝারি, বড় বৃত্তের বাইরের কারো সংবাদ হয়তো ভাবায়ও না আমাদের, বাবা-মার বাইরে খুব কম মানুষই তীব্র অনুভবে আক্রান্ত হয়।

এই পৃথিবী বড় ঝামেলার জায়গা। বেঁচে থাকার বিভিন্ন পরিমিতি সমান করে দিলে আমার মনে হয় নিঃসঙ্গ প্রবাসজীবন বিড়ম্বনার তালিকায় এক নম্বরে উঠে যাবে। কাছের মানুষগুলোর অভাববোধ এমনিতেই তীব্র, বিপদের সময় তা নিছক অনুভূতির বাইরেও বাস্তব প্রয়োজনটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে থাকে। প্রস্তুতি নিতে হবে অনেক কিছুর, কিন্তু হাত বাড়িয়ে দেবার লোকের বড় অভাব।

এক দুই করে দিন চলে যায়, এগিয়ে আসতে থাকে আকাঙ্ক্ষিত মুহুর্ত। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি আয়োজন সম্পূর্ণ করার। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হলো বাসা বদল, নানা জটিলতার আবর্তে পড়ে বাধ্য হয়েই কাজটি করতে হয়। বাসা গোছানোর দুঃসাধ্য কর্মটিতে শারীরিক অক্ষমতার মধ্যেও স্ত্রী বিপুল উৎসাহে হাত লাগান। পুত্রধন তার স্বভাবসুলভ চঞ্চলতা বিসর্জন দিয়ে প্রক্রিয়াটিকে যথাসম্ভব সহজ করে দেয়, কখনো কখনো এটা ওটা বয়ে পর্যন্ত নিয়ে আসে ছোট ছোট দুই হাতে। মায়ের পেটে থাকা ছোট্ট প্রাণটিকে সে একান্তই নিজের বলে দাবী করে বসেছে, সামনাসামনি দেখার প্রতীক্ষা তারই বোধহয় সবচে’ বেশি। আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। সহোদরাকে ইর্ষা করা তার জন্য একান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার, ডাক্তারের এমন সাবধানবাণীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেও প্রস্তুত ছোট বোনকে বরণ করে নিতে।

প্রস্তুতির লম্বা তালিকা একসময় ছোট হয়ে আসে। নিশ্চিন্তে অফিসের কাজে মন দিই। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর, ডিসেম্বর মাসগুলো অনেকের কাছেই খুব অর্থবহ না হলেও এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। কোয়ার্টার ক্লোজিং নামক যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপারগুলো এই সময়েই ঘটে, আর বিপদে ফেলে আমার মত চুনোপুঁটিকে। বড়কর্তারা নিজের বোনাস ঠিক রাখতে অহরহ টার্গেট চেঞ্জ করেন, সেগুলোর দাম শোধ করে কর্মীসমাজ। ভাগ্যকে কষে শাপ-শাপান্ত করে দাঁতে দাঁত চেপে সময়টা পার করে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকি, সাতাশ তারিখে দিবাগত সন্ধ্যায় রেহাই মিলবে। আমার কন্যার আগমনের ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে অক্টোবরের দুই তারিখে, হাতে সময় আছে কিছু।

সবার চেয়ে বড় শক্তি বিধাতা, এই সত্য টের পাই শিগগিরই। বিশ তারিখ বিকালে স্ত্রীর কয়েকদিনের মৃদু মৃদু ব্যাথা তীব্র আকার ধারণ করে, কাজ ফেলে ছুট লাগাই গৃহপানে। সাধারণতঃ অন্য দিনগুলোয় এই সময়টা এড়িয়ে চলি অফিস ফেরত ট্রাফিকের ভয়ে, আজ তাই চেনা রাস্তা অচেনা লাগতে থাকে। ফ্রিওয়ে ধরব নাকি শহরের মধ্য দিয়ে কম রাস্তা বেছে নেব, ভাবতে চলে যায় মূল্যবান দুই মিনিট। ইতস্ততঃ করে দুইবার দুই লাইনে গাড়ির নাক ঢুকিয়ে ঝঞ্ঝাটবিদ্বেষী নাগরিক ভ্রুজোড়া গুলোকে কষ্ট দিই। ফাঁকা হাইওয়ে দিয়ে প্রায় উড়ে চলে এসে কিছুটা সময় বাঁচে বটে, কিন্তু বাড়িতে ঢোকার আগের টানেল আর মেট্রো ট্রেনের সিগন্যাল তা খেয়ে নিতে এতটুকু দ্বিধা করে না। কোনমতে দুজনকে গাড়িতে উঠিয়ে আবার দৌড় লাগাই। সবগুলো গোলচত্বর আর ট্রাফিক বাতি যেন একাট্টা হয়ে আমাকে দেরি করিয়ে দিয়ে চায়। স্ত্রীর ক্রমবর্ধমান আর্তনাদে অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে একের পর এক ট্রাফিক আইন ভাঙতে থাকি, সামান্য দেরীর কতটুকু দাম শোধ করতে হতে পারে জানা নেই। কেন অ্যাম্বুলেন্স ডাকি নি, এই ভেবে নিজেকে গালি দেবার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায় না। ব্যাথায় অস্থির হয়ে স্ত্রী যখন প্রশ্ন করেন, “আর কতদূর?” মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল জানার পরও বলতে হয়, “দশ মিনিট বা তারও কিছু বেশি”। ভাগ্য কিছুটা সহায় হয়, অনন্তকাল পরে দশ মিনিট ছয় মিনিটে নেমে আসে। ভাগ্যের জোর আবার টের পাই, যখন দেখি হাসপাতালের রিসেপশনিস্ট ভালো ইংরেজী বলেন, ইনি বোধহয় নতুন, আগে দেখি নি। ইমার্জেন্সী সার্জারী রুম তৈরী হয়েই ছিলো, তারা মুহুর্তে টেকওভার করে নেয়, আমার অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে। লেবার রুমে স্বামীর প্রবেশাধিকার থাকলেও ছোট বাচ্চার সে অনুমতি নেই, কাজেই পুত্রকে নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখে বসে থাকি ওয়েটিং রুমে। একজন মানুষও সাথে নেই যার কাছে ওকে রেখে যাওয়া যেত!

নেই কাজ তো খই ভাজ, আইনস্টাইন বুড়োকে মনে মনে সালাম ঠুকি, টাইম ডাইলেশনের মত একটা বাস্তব জিনিস আবিস্কারের জন্য। কিছুক্ষন আগেই একবার টের পেয়েছি রাস্তায়, আবার টের পাই ওয়েটিং রুমে। আরও একবার অনন্তকাল পেরিয়ে সদ্যজাত শিশুর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। দৌড় দেবার ইচ্ছা অনেক কষ্টে দমন করে পুত্রকে মা’র মোবাইল ফোনের গেমস বার করে দিই, ব্যস্ত থাকুক কিছুক্ষন। তারপর সত্যিই এক দৌড়ে হাজির হই লেবার রুমে, কন্যার মুখ দেখেও বিশ্বাস হতে চায় না সে এসে গেছে অবশেষে। গলার সবটুকু জোর খাটিয়ে চিৎকার করে জানান দিচ্ছে সে নিজের অস্তিত্ব, আর হয়তো তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে নিরাপদ আশ্রয় কেড়ে নেয়ায়। তার মায়ের পই পই করে বলে দেয়া উপদেশের কথা ভুলে যাই না এই ঘোর লাগা মুহুর্তেও, মুসলিম পরিবারে জন্মেছে, সবার আগে তার কানে আযানের শব্দ পৌঁছে দিতে হবে। আগে কখনো এরকম অবস্থায় পড়ি নি, জানি না কি দিয়ে কি করতে হয়। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করি, আমি কি এর কানে কানে আমার ধর্মের কয়েকটি শব্দ বলতে পারি? এটা একটা প্রথা। ডাক্তার মৃদু হেসে বলেন, ইটস ইওর বেইবী, ইউ ক্যান ডু হোয়াটেভার ইউ ওয়ান্ট। মনে মনে কন্যাকে বলি, অনিশ্চয়তা আর দুর্বৃত্তে ভরা এই পৃথিবীতে তোমার পথচলা নির্বিঘ্ন হোক, শান্তির হোক। স্ত্রী সম্পূর্ণ সজ্ঞান, ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন তখনো, সময় স্বল্পতার কারণে তাকে অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয় নি। শুধু একবাক্যে কুশল জিজ্ঞেস করে বের হয়ে আসি, সময় অল্প, পুত্রটি একা কি করছে কে জানে!

দুই প্রতিবেশীর যূথবদ্ধ আক্রমণ এবং বাড়ির মালিকপক্ষের অবিবেচক আচরণ মনে যে ক্লেদের জন্ম দিয়েছিলো, সুইস সরকারের চমৎকার আয়োজন সেটাকে অনেকাংশে ধুয়ে মুছে দেয়। ডাক্তার এবং নার্স সবাই অত্যন্ত সহৃদয়, তাদের উষ্ণ আচরন আপনজনের অভাব ভুলিয়ে দিতে চায়। দেড় দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে মরীয়া আমার স্ত্রীকে নিরাপত্তার খাতিরে আরও এক বেলা আটকে রাখতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেন কর্তব্যরত ডাক্তার, অনুরোধ রক্ষা করা হলে বিজয়ীর হাসি হাসেন আপনমনে। বাচ্চাকে বাসায় নিয়ে আসার পর একজন নার্স সপ্তাহে দুইবার করে বাসায় এসে দেখে যেতে থাকেন সব কিছু ঠিক আছে কিনা। বলে নেয়া প্রয়োজন, সন্তান জন্মদানের পুরো প্রক্রিয়াটির খরচ সরকারের। মুফতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বলে হাসপাতালের কেউ অযথা ভাব নেয়ার চেষ্টা করেন না। আমার প্রথম আলোয় পড়া “শিশুর কোলে শিশু” প্রতিবেদনটির কথা মনে পরে যায়, প্রতিক্রিয়াহীন দীর্ঘশ্বাসে বুক ভারি হয়ে ওঠে হঠাৎ। বাংলাদেশে বোধহয় এর লক্ষভাগের একভাগ সুবিধাও কল্পনা করতে পারে না সাধারণ মানুষ!


Comments

লাবণ্যপ্রভা 's picture

নতুন প্রাণকে সুস্বাগতম

ইয়াসির আরাফাত's picture

অনেক ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক's picture

এসেছে নতুন শিশু হাসি :) হাসি
আপনাদের জন্য রইল অভিনন্দন, আর নতুন অতিথির জন্য ভালবাসা।

সাফিনাজ আরজু

ইয়াসির আরাফাত's picture

পৌঁছে যাবে হাসি

যুমার's picture

কন্যা,কন্যার পিতা-মাতার জন্য শুভকামনা। হাসি

ইয়াসির আরাফাত's picture

অনেক ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দিগন্ত বাহার's picture

অভিনন্দন হাসি

ইয়াসির আরাফাত's picture

হাসি

অতিথি লেখক's picture

অভিনন্দন কন্যার বাবা হবার স্বাদ পাবার জন্যে।

আমাদের দেশে লক্ষ না কোটি ভাগের এক ভাগ সুবিধাও কল্পনা করা যায় না।

অমি_বন্যা

ইয়াসির আরাফাত's picture

সংখ্যাটা লক্ষ কোটি না হয়ে কখনো কখনো ইনফিনিটি হয়ে যায়, শুন্যের সাথে তুলনা করতে হয় কিনা মন খারাপ

হিমু's picture

ধূলাবালির পৃথিবীকে একসাথে ধরে রেখেছে মাধ্যাকর্ষণ, আর মানুষের পৃথিবীকে ধরে রেখেছে শিশুদের হাসি।

কাজি মামুন's picture

Quote:
আর মানুষের পৃথিবীকে ধরে রেখেছে শিশুদের হাসি।

আপনার এই অসাধারণ কথাটা মনে করিয়ে দিল 'পথের পাঁচালি'র কিছু লাইন:

Quote:
মা ছেলেকে স্নেহ দিয়া মানুষ করিয়া তোলে, যুগে যুগে মায়ের গৌরবগাঁথা তাই সকল জনমনের বার্তায় ব্যক্ত। কিন্তু শিশু যা মাকে দেয়, তাই কি কম? সে নিঃস্ব আসে বটে, কিন্তু তার মন-কাড়িয়া-লওয়া হাসি, শৈশব তারল্য, চাঁদ-ছানিয়া-গড়া মুখ, আধ-আধ আবোল-তাবোল বকুনির দাম কে দেয়? ওই তার ঐশ্বর্য, ওরই বদলে সে সেবা নেয়, রিক্ত হাতে ভিক্ষুকের মত নেয় না।

লিউ টলস্টয়ের ' হোয়াট ম্যান লিভ বাই' ছোট গল্পটির শেষ প্রশ্নটি ছিল: হোয়াট ডু ম্যান লিভ বাই? তীব্র ভালবাসাই বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে, এ সত্য উপলব্ধিতে শেষবারের মত হেসে উঠেছিল দেবদূত মাইকেল।

ইয়াসির আরাফাত's picture

দেবদূত মাইকেলের নাম উঠলেই শহীদুজ্জামান সেলিমের কথা মনে পড়ে যায় চলুক

ইয়াসির আরাফাত's picture

সুন্দর একটা খাঁটি কথা হাততালি

তাসনীম's picture

অভিনন্দন। শিশুরা আছে বলেই এই পৃথিবী এখনো বাসযোগ্য মনে হয়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ইয়াসির আরাফাত's picture

অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। কয়েকদিন পার হলে আপনার শিশুপালন ট্যাগ চুরি করব শয়তানী হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর's picture

বাহ্, শুভকামনা রইলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইয়াসির আরাফাত's picture

বাহ- কথাটা ভালো লেগেছে নজরুল ভাই

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

নবাগত শিশুর জন্য রইল একটি সুন্দর পৃথিবীর আকাঙ্খা আর তার পিতামাতার প্রতি অভিনন্দন।

ইয়াসির আরাফাত's picture

সব শিশুর পৃথিবী সুন্দর হোক। আমরা অনেকেই কিন্তু পারি একটি হলেও বঞ্চিত শিশুর পৃথিবী আলোয় ভরিয়ে দিতে (আপনি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অনেক অবদান রেখেছেন এটা আমি জানি, যারা এখনো নিজের সামর্থ্য সম্বন্ধে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে কথাটা বলা)। অনেক ধন্যবাদ

চরম উদাস's picture

অনেক অনেক শুভকামনা চলুক

ইয়াসির আরাফাত's picture

অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে শুভকামনা জানাবার সুযোগ কবে পাচ্ছি?

ক্লোন৯৯'s picture

অভিনন্দন!!
আহা!! কি যে আনন্দময় সময় এটা তা পৃথিবীর কোন ভাষাতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। উপভোগ করুন প্রাণ ভরে আর পিচ্চির জন্য রইলো অনেক অনেক আদর আর ভালবাসা।

ইয়াসির আরাফাত's picture

আনন্দ সত্যিই রাখবার জায়গা নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

সাবেকা 's picture

শুভ কামনা চলুক

ইয়াসির আরাফাত's picture

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কড়িকাঠুরে's picture

অনেক শুভকামনা রইলো... হাসি

ইয়াসির আরাফাত's picture

ধন্যবাদ জানবেন হাসি

রু's picture

পুরো পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই।

ইয়াসির আরাফাত's picture

ভাগ করে নিলাম হাসি

অতিথি লেখক's picture

অভিনন্দন! হাসি

আচ্ছা, বাচ্চার জেন্ডার বলে দেয়া কি ওদেশে জায়েজ?
এখানে ঠিক উলটো অবস্থা। শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রতিদিনই গড়ে ১৫-২০ টা বাচ্চা হচ্ছে! বেশির ভাগ মানুষই দারিদ্র্য-সীমার অনেক নীচে। এক রোগিনী পেয়েছিলাম ৫০ বছর বয়স, দশম গর্ভ! উপজেলা লেভেলে দেখেছি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন এমন দম্পতির সংখ্যা খুবই কম। গরীব দেশ। তারমধ্যে আছে আমলাদের লুঠতরাজ। মাঝারি লেভেলের একজন ডাক্তারের বেতন ১৬ হাজার টাকা, যেখানে গরিবী হালে সংসার চালাতে লাগে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা! এমন অবস্থায় মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন এমন ডাক্তারও সংখ্যায় কম। কারণ বাকি ১৪,০০০ তুলতে গিয়ে ডাক্তারদের জীবনে অবকাশ বলতে কিছুই থাকে না। অনেকে এমনিতেই রোবট বা টাকা কামানোর মেশিন হয়েই জন্মান। যারা তেমন না, তাদের পক্ষে মেজাজ ঠিক রাখা শক্ত। তাই একটু ভাব নিলেও তাদের আমি দোষী করি না। কারণ প্রায় কুড়ি গুণ বেশি বেতন পাওয়া সুইস ডাক্তারদের বাংলাদেশের ডাক্তারদের কুড়ি ভাগের এক ভাগ রোগীও দেখতে হয় কিনা সন্দেহ!

নির্ঝর অলয়

ইয়াসির আরাফাত's picture

ধন্যবাদ হাসি

বাচ্চার জেন্ডার বলে দেয়া জায়েজ তো বটেই, কিছু কিছু ক্যান্টনে (মানে জেলা আর কি) ফোর ডি আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান করে ছবি দেখানোর পর্যন্ত ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আপনার কেন এমন মনে হলো বলুন তো?

ডাক্তার, নার্স, আর্দালী এদের দুর্ব্যবহার নিয়ে বোধহয় সম্পূর্ণ ভিন্ন আলোচনা হতে পারে, তাই আর ওপথে গেলাম না। ভালো থাকুন

স্যাম's picture

অভিনন্দন হাসি
শুভকামনা !

ইয়াসির আরাফাত's picture

খুশি হয়েছি অভিনন্দন পেয়ে হাসি

অতিথি লেখক's picture

ভালো লাগলো শুভ সংবাদ পেয়ে।

Quote:
এখনো কেন সমান প্রিয় শিশুদের হাসি
তাহলে বলতে হয় শোনো বেঁচে আছি তাই ভালোবাসি

ভালো থাকুন আপনি, ভালো থাকুক পুরো পরিবার ---

-অয়ন

ইয়াসির আরাফাত's picture

শুভ সংবাদ দিতে পেরে আমি গর্বিত এবং আনন্দিত হাসি

রংতুলি's picture

নতুন প্রাণের জন্য শুভকামনা রইলো! হাসি

ইয়াসির আরাফাত's picture

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সবুজ পাহাড়ের রাজা's picture

শুভ কামনা রইল নতুন প্রাণ ও পরিবারের জন্য।

ইয়াসির আরাফাত's picture

অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজামশাই

Guest_Writer নীলকমলিনী's picture

সুইজারল্যান্ড এ আপনার এত ঝামেলা যাচ্ছিল যে আপনার আগের লেখাগুলো পড়লে আপনার জন্য খারাপ লাগতো। এই তো আপনার জীবনের সব আনন্দ নিয়ে এল মেয়ে।
একটা কথা আছে, বিয়ের আগে পর্যন্ত ছেলে আপনার, আর মেয়ে সারাজীবনের জন্য।
অভিনন্দন। এঞ্জয়।

ইয়াসির আরাফাত's picture

Quote:
একটা কথা আছে, বিয়ের আগে পর্যন্ত ছেলে আপনার, আর মেয়ে সারাজীবনের জন্য।

যতই দিন যাচ্ছে, কথাটা ততই বেশি করে অনুভব করতে পারছি। আপনাকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিতেই হয় এই বাণীটির জন্য

তারেক অণু's picture

নতুন প্রাণকে সুস্বাগতম

ইয়াসির আরাফাত's picture

যতই ঘুরাঘুরি করেন, আপ্নের এখনো আরও অনেক পথ ভাঙতে হবে আমার উচ্চতায় আসতে চাইলে চোখ টিপি । সংসারী হইবেন কবে?

ব্যাঙের ছাতা's picture

আজ আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস হাসি । আপনাকে দ্বিগুন অভিনন্দন দেঁতো হাসি
নতুন আলোয় বিকশিত হোক সকল শিশুর জীবন; প্রতিঘরে।

ইয়াসির আরাফাত's picture

ওহো! তাই নাকি। শুভ সংবাদ। দেখি মেয়েকে আজকে কিছু একটা কিনে দেব। ধন্যবাদ আপনাকে

মরুদ্যান's picture

হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.