এসো নিজে করি ০৪ - কিভাবে সাক্ষাৎকারে সাফল্য অর্জন করবেন / How to do well in an interview

চরম উদাস's picture
Submitted by udash on Fri, 27/04/2012 - 10:48pm
Categories:

পৃথিবীর কঠিনতম কাজের একটা হচ্ছে সাক্ষাৎকার দেয়া (বিশেষত সেটা যদি ভাইভা বা মৌখিক সাক্ষাৎকার হয়)। আর সহজতম কাজ হচ্ছে সাক্ষাৎকার নেয়া। বড়বড় ব্যাঘ্র শাবকেরাও দেখা যায় সাক্ষাৎকার দিতে এসে বিল্লি হয়ে গেছে। আবার অন্যদিকে অনেক বিশিষ্ট আবালও সাক্ষাৎকার নিতে এসে দিব্যি টেবিলের অপর পার থেকে হালুম হালুম শব্দ করে বাঘ বনে যায়। মৌখিক সাক্ষাৎকার দেয়া অনেকটা গ্ল্যাডিয়েটর হয়ে অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতোই। দরজার ওপাশ থেকে কি বের হয়ে আসবে জানা নেই। কিন্তু চাই বা না চাই আমাদের জীবনে অনেকবার এই সাক্ষাৎকার পর্বের মুখোমুখি হতে হয়। ছাত্রজীবনে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য, কর্মজীবনে চাকরী পাবার জন্য, এমনকি কখনো কখনো বিয়ে করার জন্যও। আজকের এসো নিজে করি, এই সাক্ষাৎকার দেয়ার নাড়ী নক্ষত্র নিয়েই। কিভাবে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের একদম পুইতা পুইতা করে পুতে ফেলবেন সেইটা নিয়ে আলোচনার জন্য। মূলত ভাইভা বা ওরাল নিয়েই জ্ঞানের আলোচনা করবো। যে কোন জবের জন্য ওরাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (মন থেকে কু চিন্তা সরান কইলাম!)। আসলে ক্লিনটন সাহেব আকামটা করার আগে আমরা ওরাল বলতে মৌখিকই বুঝতাম, জব বলতে চাকুরীই বুঝতাম। এখন বরং লাইনে থাকার জন্য মৌখিক সাক্ষাৎকার বা শুধুই সাক্ষাৎকার বলি। নাইলে আবার কখন আমার গবেষণামূলক প্রবন্ধ লাইন ছেড়ে বেলাইনে দৌড় দিবে।

জীবনের প্রথম চাকরীর ইন্টার্ভিউ এর প্রথম প্রশ্ন ছিল, আপনি কি ঘর ঝাড় দিতে পারেন? প্রশ্ন শুনে খানিকক্ষণ থতমত। প্রশ্নকর্তা ব্যাখ্যা করলেন, এখানে সবাই নিজের কাজ নিজে করে। আপনাকে যদি নিজের অফিস প্রতিদিন এসে নিজেকে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে হয় পারবেন? একটু সামলে উঠে আবার জিগায় টাইপের বেশ তেলতেলা হাসি দিয়ে শ্রমের মর্যাদা এবং প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলাম। সদ্য ব্যাচেলর পাশ করেছি তখন, চাকরী পেলে পুরা কোম্পানি ঝাড়পোঁছ করে দিবো প্রতিদিন এমন জিহাদি জোশ। ঢাকার এক সিরামিক কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্টার্ভিউ দেয়ার ঘটনা সেটা। সবার আগে আমার ক্রম ছিল। রুমে ঢুকে দেখলাম আমার সামনেই বড়কর্তা মহাশয় ছোট এবং মাঝারি কর্তাদের কষে বকাবকি করছেন সময় মতো ইন্টার্ভিউ বোর্ডে না আসার জন্য। তারপর আমাকে দেখে একই গলায় ঝাড়ি দিয়ে ৪/৫ টা ঘর ঝাড় দিতে পারা ধরনের প্রশ্ন করে আমাকে বিদায় করে দিলেন। জীবনের প্রথম ইন্টার্ভিউ। এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। খুঁজে দেখি কোন শার্ট নেই আমার, হাফপ্যান্ট আর জিনস ছাড়া কোন পাতলুনও নেই। সেইসাথে দরকার টাই। বঙ্গ থেকে সস্তায় কাজ সারার পর দেখা গেলো জুতা মোজাও কিনতে হবে। ওইদিকে পুরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে শেষ করে দেখা গেলো অতি জ্ঞানে অগ্নিমান্দ্য হয়ে প্রাথমিক সব কিছু গুলিয়ে গেছে। প্রথম বর্ষের বই পত্র খুলে দেখি তেলাপোকা ডিম পেড়ে সব পাতা জোড়া দিয়ে রেখেছে। সেইগুলার পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক এর বই পত্র ঘেঁটে নড়বড়ে প্রাথমিক জ্ঞান পোক্ত করার বিফল চেষ্টা করা হল। আর সব কিছুর শেষ হল গিয়ে এইরকম ঘর ঝাড়ু টাইপের প্রশ্নোত্তর দিয়ে।

যাই হোক, আবারও ধান বানতে ইভা রহমানের গীত শুরু করেছি। কোথায় জ্ঞান দিবো তা না, নিজের গুণগান করছি। আজকাল আর লিখিত আর মৌখিক সাক্ষাৎকার আলাদা থাকে না। মৌখিক সাক্ষাৎকারে গিয়েই কখনো বলতে হয়, কখনো লিখতে হয়। সুতরাং মৌখিকই হোক আর লিখিতই হোক সেটা সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে। যতদূর জানি দেশের সব সাক্ষাৎকার পর্ব গুলো সাধারণত গ্যাংব্যাং পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। সবাই তরবারি শানিয়ে টেবিলের অন্যপাশে বসে থাকে। আপনাকে একা গিয়ে সবার সাথে মোকাবেলা করতে হয়। অল্প কিছু মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি ছাড়া সবাই এভাবেই সাক্ষাৎকার নেয়। সাক্ষাৎকার দাতার জন্য এতে সুবিধা হচ্ছে বেইজ্জতি যা হবার একবারেই হয়ে যাওয়া যায়। অসুবিধা বরং অনেক বেশী। একজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে সেটার প্রভাব সবার উপর পরে। অন্যদিকে বাইরের বেশীরভাগ সাক্ষাৎকার পর্ব ওয়ান টু ওয়ান ক্লোজ ডোর ধরণের হয়। একজন একজন করে আসবে আর আপনাকে উপ্তা করে, ইয়ে মানে আপনার সাক্ষাৎকার নিবে আরকি। সুবিধা হচ্ছে, দুই একজনের সাথে সাক্ষাৎকার পর্ব একট্খারে হলেও বাকিগুলা ভালো হলে সমস্যা হয়না তেমন। আর সমস্যা হচ্ছে, মোটামুটি সারাদিন ধরে এরা আপনাকে নিয়ে নানাভাবে কচলাকচলি করবে।

ডরাইলেই ডর
সাক্ষাৎকার দিতে গেলে সবসময় Worst case scenario কি হতে পারে সেটা মাথায় রাখলেই ভয়ডর থাকেনা। কি আর করবে প্রশ্নোত্তর না পারলে? বাইন্ধা পিটাবে?
জীবনের সবচেয়ে খচ্চর ইন্টার্ভিউ অভিজ্ঞতা বলি। অ্যাপেলে ইন্টার্ভিউ। অ্যাপেলের রমরমা অবস্থা। আমার সব প্রাক্তন ল্যাবমেটরা Texas Instruments ছেড়ে দলে দলে অ্যাপেলের ছায়াতলে যোগ দিচ্ছে। বেশ কষে চাপা পিটিয়ে রেজিউমিটা বানিয়েছি বলে রেজিউমি পড়ে কোম্পানির বড় কর্তারা ভাবতো পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম। তারপর ইন্টার্ভিউ নিয়ে মাকাল ফল বুঝতে পেরে খেদাইলাম, আমি ইহাকে খেদাইলাম করতো।

অ্যাপেল থেকে একদিন ডাক এলো। যথারীতি ফোন ইন্টার্ভিউ প্রথমে। কোন এক ফাতরা ইঞ্জিনিয়ার খুব করে ৩০/৪০ মিনিট ভালো মন্দ টেকনিক্যাল কথা জিজ্ঞেস করে হুম হুম করে বিদায় নিলো। ভাবগতিক দেখে মনে হল পাত্রী পছন্দ হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন পর বার্তা পেলাম আমাকে নাকি মাশাল্লা বেশ পছন্দ হয়েছে, তবে আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার কথা বলতে চায়। তথাস্তু। সেই ব্যাটাও ৩০/৪০ মিনিট নানা ত্যানা পেঁচিয়ে বিদায় নিলো। ১ সপ্তাহ পরে আবার বার্তা আসলো, এবার আমাকে আরও পছন্দ হয়েছে তবে এইবার আরও দুইজন কথা বলতে চায়। একজন ম্যানেজার আরেকজন সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। সব কোম্পানিই ফোনে ইন্টার্ভিউ নেয় প্রথমে, তবে এইরকম তিন দফায় কেউ নেয় না। এবারে হল এক ঘণ্টা। আবারও তারা হুম হুম করে বিদায় নিলো। এরপর কোন খবর নেই। বুঝলাম, পাত্রী পছন্দ হয়নি। কিন্তু দুই সপ্তাহ পর আবার বার্তা, আমাকে তাদের বেমালুম পছন্দ হয়েছে। এইবার আমাকে সশরীরে কিউপারটিনো গিয়ে তাদের অফিসে অনইসাইট ইন্টার্ভিউ দিতে হবে। ততক্ষণে আমার মেজাজ খারাপ। মানুষ তো কচি লাউকেও এইভাবে চিমটি কেটে পরখ করে না যেভাবে এরা আমাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। কিন্তু তখন কি আর জানতাম আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে!

ততদিনে আমি যেখানে কাজ করি সেখানে দিব্যি জাঁকিয়ে বসেছি। তেল কোম্পানির তেল খুঁজার আরামের চাকরী ছেড়ে কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই। কিন্তু হাজার হলেও বাঙ্গালী, তাই মুফতে পেলে আলকাতরা খাওয়ার লোভ সামলাতে পারিনা। মুফতে আরেকবার ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণের লোভ ছাড়তে পারলাম না। অন্যদিকে আইডাহো তে হিউল্যাট প্যাকারড এর আরেকটা ইন্টার্ভিউ অফার ছিল। ভাবলাম আইডাহো রাজ্য খানা একবার একটু চোখের দেখা দেখে পরদিন ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে যাবো । তারপর দুইদিন উইকএন্ডে সান ফ্রান্সিস্কো আর আশেপাশে ঘুরে-টুরে খাটনি উসুল করবো। প্ল্যান জানানোর পর অ্যাপেলের খচ্চররা বিনীতভাবে জানাল, তাদের সাক্ষাৎকার পর্ব নাকি একদিনে শেষ হবে না। বেশ বড় গ্রুপ, সবাই পাত্রী দেখার জন্য উন্মুখ, তাই দুইদিন ধরে আমাকে কচলাকচলি করতে চায় তারা। অনেক মুলোমুলি করার পর তারা সেটাকে চিপক্কে একদিনে করার রাজী হল। একদিনেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একে একে সবার সাথে সাক্ষাৎকার হবে। এইচপি এর ইন্টার্ভিউ তেমন কোন ঝামেলা ছাড়া শেষ হল। সন্ধ্যায় আইডাহো থেকে উড়ে সানহোসে চলে গেলাম। প্ল্যান কোনোমতে কালকের ইন্টার্ভিউ শেষ হলেই ঘুরতে বেড়িয়ে পড়বো। পরদিন কাটায় কাটায় সকাল আটটায় হাজির হলাম কিউপারটিনোর অফিসে। সবকিছুতে গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে অ্যাপেল মনে হয় দুনিয়ার খবিসতম কোম্পানি। কোন সাক্ষাৎকার সূচি দেয়নি অন্যদের মতো। সুতরাং কার কার সাথে কতক্ষণ ধরে সাক্ষাৎকার চলবে জানিনা। বলে, কুনু ভয় নাই। চলে আইস, তাইলেই জানতে পারবা। শুরু হল এক ভারতীয় মহিলা দিয়ে। কোন নাম পরিচয়ের ধার দিয়েও গেলো না, রুমে নিয়ে একগাদা কাগজ ধরিয়ে দিলো। অনেকটা শূন্যস্থান পূরণ কর ধাঁচের। ছোটছোট প্রোগ্রাম লেখা, সেগুলোর ভুল খুঁজে বের করা, আউটপুট কি হবে লিখা, ইত্যাদি ইত্যাদি। ৪৫ মিনিট লিখিত আর মৌখিক নানা ত্যানা পেঁচিয়ে বিদায় হলেন। তারপর? তারপরের গল্প ছোট, তারপর আরেকজন এলেন, প্রায় একই কাজ করলেন। তারপর আরও একজন এলেন, তারপর আরও একজন। নাম তো দূরের কথা মোট কতজন আসলো আর গেলো সেই গুনতিও একসময় তালগোল পাকিয়ে ফেললাম। সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১২/১৩ জনের মতো। কেউ খাতায় অঙ্ক করায়, কেউ বোর্ডে প্রোগ্রাম লেখায়, কেউ দশহাত লম্বা প্রোগ্রাম হাতে ধরায়ে ভুল ধরতে বলে, কেউবা দুই হালি কলার দাম ৩০ টাকা হলে আমার বয়স কত টাইপের প্রশ্ন করে। আবার কেউ পাগলের ডাক্তাররা যেই রকম আজব আজব আচরণ সংক্রান্ত প্রশ্ন করে সেইরকম প্রশ্ন করে আমার মাতা-মুতা ঠিক আসে কিনা যাচাই করে দেখে। মাঝখানে ৩০ মিনিট লাঞ্চ বিরতির সময় হায়ারিং ম্যানেজার এর সাথে আরও একদফা। মনে আছে, বিকেল ৩ টার দিকে একজন এসে ক্যালাতে ক্যালাতে বলল, আমি প্যারালাল প্রোগ্রামিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন করবো। আমি প্রায় দাঁত মুখ খিঁচিয়ে তাকে বললাম, আগের তিনজনকে বলছি তরেও বলতেছি আমি প্যারালাল প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করি না। আমি কোডার না আমি অ্যালগরিদম ইঞ্জিনিয়ার। আমার জ্ঞান বেশী তাই আমি বসে বসে চিন্তা করি। সারাদিন বসে বসে কোডিং করা আমার কাজ না। (আপনারা যারা আমার মতো প্রোগ্রামিং এ দুব্বল তারা জায়গা বুঝে এইভাবে নিজেদেরকে বুদ্ধিজীবী বলে জাহির করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন)। শুনে সেই লোক আরও খুশী হয়ে বলে, তাহলে প্রথম আধা ঘণ্টা আমি তোমাকে প্যারালাল প্রোগ্রামিং শেখাবো তারপরের আধা ঘণ্টা সেইটা নিয়ে প্রশ্ন করব!

মন্দার আগে বড় সুখের দিন ছিল। কাজের একটা কাঠামো ছিল। ম্যানেজার ম্যানেজ করবে, অ্যালগরিদম ইঞ্জিনিয়ার প্রক্রিয়ার খসড়া করবে, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আর কোডাররা সেটা কাজে পরিণত করবে, টেস্টাররা টেস্ট করবে, সেলস পারসন মার্কেটিং করবে। এখন সবাই আল ইন ওয়ান খুঁজে। এমন একজন যে সিস্টেম ডেভেলপ করে সেটার কোড লিখে কাজে পরিণত করে বিভিন্ন অবস্থায় টেস্ট করে দেখবে, পারলে সেইটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বেচেও দিবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় চাকরীর আকালের যুগে এরকম আল ইন ওয়ান মদনও চাইলে পাওয়া যায়। যাই হোক, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ছাড়া পেয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সবার চোদ্দ গুষ্টিকে ভালোবাসা জানাতে জানাতে সানফ্রানসিসকো ব্রিজে চলে গেলাম (আরে না, সুইসাইড খাইতে না, হাওয়া খাইতে)। ওইখানে গিয়ে আরেক দফা আই পুন, পাদ আর পোদ অলাদের মনের সুখে গালিগালাজ করলাম। তবে এই ইন্টার্ভিউ দিয়ে লাভের লাভ যা হয়েছে তা হচ্ছে ভয়ডর কেটে দিয়ে ডরাইলেই ডর, হান্দায়া দিলে কিসের ডর (হেইল দলছুট) ভাব চলে এসেছে নিজের মাঝে। পরের বছর যখন আমার পিএইচডি এর ফাইনাল ডিফেন্স দিচ্ছি তখন দেখি এক দুষ্টু প্রফেসর আমাকে একটু রগড়ানোর পাঁয়তারা করছে। আমি মনে মনে মুচকি হাসি আর ভাবি, তুমি আর আমারে ক্যামনে নাঙ্গা করবা মামু, সেই যে নাঙ্গা হয়েছিলুম গতবছর এরপর থেকে তো আমার লুঙ্গিখানাই বিসর্জন দিয়ে এসেছি প্রশান্ত মহাসাগরের জলে।
সুতরাং ঘটনা হচ্ছে সাক্ষাৎকার ভালোই হোক আর খারাপ ব্যাপার না। ভালো হলে চাকরী হবে, খারাপ হলে অভিজ্ঞতা হবে। যেটা পরের সাক্ষাৎকারগুলোতে অনেক কাজে দিবে।

ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা
অনেক সাক্ষাৎকার পর্বেই ছাগলের তিন নম্বর একটি বাচ্চা থাকে। যিনি সাধারণত শেষ মুহূর্তে আচমকা সাক্ষাৎকার গ্রহণের সুযোগ পেয়ে আনন্দে বিমোহিত। অথবা যোগ্যতাবলে ইন্টার্ভিউ বোর্ডে তার থাকার কথা না, আচমকা চিপাচুপা দিয়ে সুযোগ পেয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য মহা ব্যস্ত। নিজেকে স্মার্ট প্রমাণের জন্য এই ব্যক্তি নানা আচমকা প্রশ্ন করে বসতে পারে। যে হয়তো টাইপিস্ট পদে আবেদন করেছে তাকে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব জিজ্ঞেস করে বসতে পারে। যে প্রফেসর পদে আবেদন করেছে তাকে ডিম আগে না মুরগী টাইপের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে ফেলতে পারে। এদেরকে একটু ধৈর্য ধরে সামাল দিতে হবে। এদের প্রশ্নের উত্তরে কি বলছেন সেটা ব্যাপার না। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন আপনি নিজেকে ওই লোকের চেয়ে বেশী স্মার্ট প্রমাণ করার চেষ্টা না করেন। তাই তার চরম ফাতরা প্রশ্ন শুনেও, আহা গুরু কি প্রশ্ন করলেন, সাধু সাধু, ইত্যাদি ভাব করতে হবে। সব প্রশ্নোত্তর excellent question, as you have mentioned, great point ইত্যাদি দিয়ে সাজাতে হবে।

যে যায় লঙ্কায়
সাক্ষাৎকার শুধু কর্মজীবনে না, শিক্ষাজীবনেও দিতে হয়। বিশেষত চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নরতদের জন্য ভাইভা একটি আতঙ্কের নাম। প্রকৌশলবিদ্যা অধ্যয়নকালে আমাদের তাত্ত্বিক বিষয়ে না হলেও ল্যাবের ব্যাবহারিক বিষয়গুলোতে নানা ভাইভার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সাক্ষাৎকার নিতে এসে উত্তেজনা সামলে রাখতে পেরেছে এমন শিক্ষক খুব বেশী দেখি নাই। ব্যাপারটা অনেকটা যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণের মতো। অথবা ওই যে কচি লাউ এর কথা বললাম, অনেকটা সেইরকম। প্রার্থীকে দেখলেই মনে হয় দেই একটু চিমটি। এক নিতান্ত নিরীহ শিক্ষক। তিনি আমাদের এক তাত্ত্বিক বিষয় পড়ান। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত, আবার সেইসাথে বিদেশে ভর্তি বৃত্তি প্রস্তুত। সেমিস্টার শেষ করে উড়াল দেবার অপেক্ষা। সুতরাং ক্লাসে খুবই চমৎকার ব্যাবহার করেন আমাদের সাথে। আমেরিকা নিয়ে নানা গল্পসল্প করেন। আবার আসিব ফিরে টাইপের আবেগপূর্ণ কথাও বলে ফেলেন মাঝেমাঝে। আঁতেল পোলাপান উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে তাঁকে যন্ত্রণা দিলেও তিনি বিরক্ত হন না। মধুর স্বরে বলেন, আমি পরের সপ্তাহে এইটা আরেকটু পড়াশোনা করে তোমাদের ভালমতো জানাব। সেমিস্টার শেষে তিনিই এলেন এক ব্যাবহারিক বিষয়ের ভাইভা নিতে। আমরা খুশী। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেলো তার রুদ্র মূর্তি। সবাইকে একেবারে ফর্দাফাঁই করে ফেলতে লাগলেন। আমি সব তালগোল পাকিয়ে ভাবলাম মৃদু স্বরে বলি, আরেকটু পড়াশোনা এসে পরের সপ্তাহে উত্তর জানাব। কিন্তু সেটা তো আর বলা যায় না। প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিলো বহুকাল পর Texas Instruments এ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে। যাকে দেখে গম্ভীর এবং খচ্চর মনে হল সে দেখি যা নিয়ে গবেষণা করছি সেটা নিয়ে সুন্দর গল্পসল্প করে এক ঘণ্টা পার করে দিল। যাকে দেখে নিতান্ত নিরীহ এবং বন্ধুবৎসল মনে হল (ব্যাটা লাঞ্চের খাওয়া দাওয়া নিয়ে অনেক রসিকতাও করলো) সেই দিল ইয়োগা মেরে। সাক্ষাৎকার নিতে এসেই দেখি মুখ থেকে হাসি উধাও। একের পর এক অঙ্ক করায় আমাকে দিয়ে, ইকুয়েশন লেখায়, প্রোগ্রাম লেখায়। সুতরাং গদিতে বসার পর কার চেহারা কি হবে বলা মুশকিল। ধরে নিন সবাই রাবণ এবং সেভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

কিছু আঁতরা প্রশ্ন ও ফাতরা উত্তর
১ নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন
এই প্রশ্নের উত্তরে আমার জন্ম অমুক জেলা অমুক উপজেলার তমুক গ্রামে, আমার বাবা ছিলেন একজন ইত্যাদি বলে আবেগ তাড়িত ইতিহাস বর্ণনা শুরু করবেন না। সামনে যেই লোক বসে আছে আপনার সম্পর্কে তেমন কিছু জানার আসলে তার আগ্রহ নেই। ব্যাটাকে হয়তো শেষ মুহূর্তে কেউ বলেছে ওই ক্যান্ডিডেট বইসা আছে, তোর না ইন্টার্ভিউ নেয়ার কথা । তো সে আর কিছু না পেয়ে সবচেয়ে সোজা প্রশ্নটাই জিজ্ঞেস করে বসছে। সুতরাং সংক্ষেপে কিছু বলুন। জন্মবৃত্তান্ত থেকে শুরু না করে উল্টা দিক থেকে অর্থাৎ আপনার সাম্প্রতিক অবস্থা থেকে শুরু করুন।

২ কেন এই কোম্পানিতে কাজ করতে চান?
পয়সার জন্য। তবে সেটা না বলে বলতে এটা আমার ওয়ার্ক শুধু না আমার প্যাশন, ছোটবেলা থেকে আমি চেয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি।

৩ পাঁচ বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
সঠিক উত্তর, তোর চেয়ারে। সেটা না বলে বরং হাবিজাবি একটা কিছু বলতে হবে। আমার কাছে পদোন্নতি বড় ব্যাপার না, বরং আমি চাই যেন কোম্পানির প্রজেক্ট আমার অংশগ্রহণে সফল হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

৪ আপনার সবচেয়ে বড় গুন কি?
আবার জিগায়, দোষই তো নাই খালি গুণই গুণ। না সেইরকম বলা ঠিক হবে না। সরং নির্দিষ্ট একটা কিছু বলুন। যেমন, আমি মানুষের সাথে খুব সহজে মিশতে পারি, বা ভালো টীম ওয়ার্ক করতে পারি ইত্যাদি ইত্যাদি।

৫ আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি?
সঠিক উত্তর, কাম করতে ইচ্ছা করে না। সেইটা তো আর সবার সামনে বলা যায় না। তাই হাবিজাবি একটা কিছু বলতে হবে। এমন একটা কিছু যেটা আসলে দুর্বলতা না। যেমন, আমি কাজের ব্যাপারে খুব খুঁতখুঁতে, যা করি একদম গুছিয়ে করতে চাই। বেশী পাকনামি করে আমি একটু ফেসবুকিং বেশী করি, বা ব্লগিং করি এইসব বলেছেন তো মরেছেন। ফেসবুক, ব্লগ, ফুটবল, ক্রিকেট, চ্যাট ইত্যাদি যে কোন শব্দ উচ্চারিত হলে শুনে ভোম্বল মেরে বসে থাকুন। যেন জীবনে প্রথমবার নাম শুনলেন।

৬ কিভাবে আপনি প্রেশার সামাল দেন
যেভাবে বাথরুমের প্রেশার সামাল দেই একইভাবে। প্রবল বেগ আসলেও দাঁত-মুখ না খিঁচিয়ে রেখে মোলায়েম চেহারা করে রাখেন। যাই হোক, এটাও একটা ফাতরা প্রশ্ন। উত্তরে আপনি চরম চাপের মাঝেও কিরকম ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করে যেতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি উদাহারন সহ চাপাবাজি করুন।

৭ একটা জোক বলেন
ইন্টার্ভিউ এর প্রশ্নের তালিকায় Can you tell us a joke এই প্রশ্নটা সবসময় থাকে। জীবনে ইন্টার্ভিউ কম দেইনি। কপাল ভালো যে এখন পর্যন্ত কোন ইন্টার্ভিউতে আমাকে রসিকতা করতে বলে নাই। বললে নিজেকে সামলে রাখা মহা মুশকিল হইত। তবে সাধারণত কাস্টমার সার্ভিস সম্পর্কিত বা যেই চাকুরীতে চাপা পিটানো বিশেষ প্রয়োজন সেখানে নাকি মাঝেমাঝে এই প্রশ্নটি করা হয়। একটু গুগল করলেই এ ধরণের ক্ষেত্রে কি রকমের জোকস বলতে হবে তার ধারণা পাওয়া যায়। যেমন,

ক) সব চাকুরীর সাক্ষাৎকারের জন্য স্যুট পরার প্রয়োজন নেই। স্যানিটেশন বা কুক এর চাকরীর জন্য স্যুট পরে গেলে সেটা সাক্ষাৎকারের সময় খুলতে হবে ... হা হা হা
খ) বেশীরভাগ লোকই সাক্ষাৎকারে আরও ভালো করতো যদি বুঝত কি না বলা উচিৎ ... হা হা হা হা
গ) অনলাইন বা টেলিফোনে সাক্ষাৎকার দেয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে পাজামা পরে সাক্ষাৎকার দেয়া যায় ... হা হা হা হা হা

কি বুঝলেন? ইন্টারনেট এ ইন্টার্ভিউ জোকস লিখে সার্চ দিয়ে এমন সব চমকপ্রদ রসিকতাই পেলাম খুঁজে। ।কর্পোরেট লোকজন একটু গাইছা ভুদাই হয়। সুতরাং এইরকম মৃদুমন্দ জোকসই করতে হবে। রসিকতার লেভেল হতে হবে মহিলাদের রসিকতা লেভেল থেকেও অনেকটা নিচে, আর মিলিটারির রসিকতা লেভেল থেকে সামান্য উপরে।

আপনি বেশী পাকনা হলে কিছু দেশী টোনা টুনি জোকস ছাড়তে পারেন।
ক) টোনা কহিল টুনি পিঠা বানাও। টুনি কহিল, দেহ পাবি কিন্তু পিঠা পাবিনা শয়তান।
খ) টোনা কহিল টুনি পিঠা বানাও। টুনি কহিল, আগে আমার ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দে শয়তান।
গ) টোনা কহিল টুনি পিঠা বানাও। টুনি কহিল, লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা

তবে ঘটনা হচ্ছে উপরের তিনটা জোকস এর যে কোন একটা করেছেন তো মরেছেন। সাক্ষাৎকারের সেক্স, রাজনীতি আর ধর্ম তিনটা নিয়ে যেকোনো ধরণের ফাতরামি করা হারাম।

হতেও পারে আবার নাও হতে পারে ট্রিটমেন্ট
এর আগের এসো নিজে করিতে প্রফেসরদের দৌড়ের উপর রাখার জন্য হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে ট্রিটমেন্ট দেয়ার কথা বলেছিলাম। একই ধরণের কাজ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও করা যায়। সাক্ষাৎকার এর সময় যে জিনিসটি কখনোই করা যাবে না তা হল, কোন প্রশ্ন শুনে টাসকি খেয়ে ভোম্বল মেরে বসে থাকা। এই ক্ষেত্রে নীরবতা হিরণ্ময় না বরং কয়লাময়। আবার সরাসরি পারিনা বলাটাও ভালো দেখায় না। সুতরাং সম্পূর্ণ অজানা কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হলে সেটার উত্তর শুরু করতে হবে, ঘটনা হচ্ছে গিয়া বা Well the thing is or Well as we know বলে ত্যানা প্যাঁচানো। ধরা যাক আপনাকে ডিম আগে না মুরগী এই প্রশ্নটিই করা হল। উত্তর শুরু করতে হবে এভাবে, আগে আমাদের জানতে হবে মুরগী ও ডিম বলতে আমরা কি বুঝি। এরপর নানা দিকে ঘুরিয়ে সেই গল্পের গরুকে আপনার পরিচিত শ্মশানে নিয়ে গিয়ে ফেলতে হবে। সম্ভাবনা আছে প্রশ্নকর্তার ক্ষেপে যাবার। কিন্তু যেই লোক এইরকমের ফাতরা প্রশ্ন করে তার বুদ্ধিবৃত্তি আর কতই বেশী হবে বলেন। একটু চর্চা করলেই দিব্যি যে কোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নকর্তাকে না ক্ষেপায়েই এইরকম হতেও পারে আবার নাও হতে পারে স্টাইলে দিতে পারবেন। মাঝে মাঝে বেশ উত্তরাধুনিকতার ত্যানা প্যাঁচানো ব্লগ বা পত্রিকার কিছু লেখা পড়তে পারেন এধরনের পিছলা আচরণে কুশলী হবার জন্য। যেমন ধরা যাক প্রশ্ন হল মেহেরজান কেমন ছবি? সত্যিকারের উত্তর এক শব্দের, বালের ছবি। এখন ধরা যাক এই সত্যি উত্তরটি আপনি জানেন না বা কোন কারণে বলার স্বাধীনতা নেই। তখন আপনি শুরু করবেন, মেহেরজানের নারী চরিত্ররা কেমন, এখানে কিভাবে প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কিভাবে নানাজান নামক এক হাইব্রিড আবালের চরিত্র দক্ষতার সাথে অঙ্কন করা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে। প্রশ্নকর্তা ক্ষেপে গিয়ে আবার যদি জিজ্ঞেস করে, এইটা কি ভালো ছবি নাকি মন্দ ছবি? আপনি আবার শুরু করবেন, প্রথমে আমাদের জানতে হবে একটি সার্থক চলচিত্রের বৈশিষ্ট্য কি। এই ব্যাপারে গদার বলেছেন এই এই, ফেলিনি বলেছেন সেই সেই, মাজিদ মাজিদি বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

পারিনা আবার (!!) ট্রিটমেন্ট
এক বন্ধুর কাহিনী। তাদের মেসে এক মহিলা বাবুর্চি ছিল রান্না করে দিয়ে যেত প্রতিদিন। প্রতিদিনই প্রায় একই মেন্যু রান্না হতো। উনাকে মাঝেমাঝে জিজ্ঞেস করা হতো, বুয়া আপনি আর কি কি রান্না পারেন। উত্তর আসতো সব পারি। চাইনিজ পারেন? থাই পারেন? জবাবে মুখ ঝামটা দিয়ে বলতেন, উহ! পারিনা আবার! পরদিন রান্নার সময় দেখা যেত আবারও সেই একই মেন্যু। সুতরাং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী যদি একগাদা হাবিজাবি দক্ষতার কথা জিজ্ঞেস করা শুরু করে তবে তার উত্তরে আবার জিগায় টাইপের একটা হাসি দিন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনা হচ্ছে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী নিজেই হয়তো সেইটা জানেনা। সুতরাং কোনভাবে যাচাই করার চেষ্টা করুন ওই ব্যাটার ওই বিষয়ে জ্ঞান কতটুকু (ব্যাপারটা অনেকটা তুই না জানলে আমি জানি এই রকম আরকি)। এই যুগে Linkedin প্রোফাইল দেখে আর গুগোল করে আগে থেকেই অনেক কিছু জানা যায়। তবে চাপাবাজি হালকার উপর থাকাই ভালো। ভুল জায়গায় চাপা পিটিয়ে ধরা খাওয়ার ঘটনা কম নয়। কোম্পানি যখন চাকরীর বিজ্ঞাপন দেয় বা দক্ষতার লিস্টি বানায় তখন একগাদা জিনিস দিয়ে রাখে। ব্যাপারটা অনেকটা পাত্রী খোঁজার মতো। মেয়েকে গানও জানতে হবে, একটু আরবিও জানতে হবে, একটু খ্যামটা নাচও জানতে হবে আবার ঘোমটা দেয়াও জানতে হবে। এমন না যে মেয়েকে বিয়ের পর নৃত্যকলা করতে হবে বা দিনরাত প্যাঁপু করে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শোনাতে হবে। মেয়ে জানে এইটাই যোগ্যতা। সেই যোগ্যতা ব্যাবহারের দরকার নাই তেমন। তেমনি কোম্পানির স্কিল লিস্টে মাঝে মাঝেই অপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসও ঢুকিয়ে দেয়। তবে জেনে রাখতে হবে কোনটা দক্ষতাটি আসলেই লাগবে এই কাজের জন্য। সেইটা না পেরে পারিনা আবার বলেছেন তো মরেছেন!

বিয়ের সাক্ষাৎকার
এই জিনিসও সামলাতে হতে পারে জীবনে, বিশেষত পাত্রী হলে। ক্ষেত্রবিশেষে পাত্রের খালা, খালু, মামা, মামী, দুলাভাই, বন্ধুরা ছাগলের তিন, চার, পাঁচ নাম্বার বাচ্চা হয়ে আপনাকে প্রশ্ন করবে। কিছু কমন প্রশ্নোত্তরের জন্য কনে দেখা আলো পড়ে দেখতে পারেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আমি ধরণের সাক্ষাৎকার গ্রহীতা হতে পারিনি। বরং সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে। দিব্যি মেয়ের আত্মীয়স্বজন আমাকে টিপটুপে দেখে গেলো। আমি কচি লাউ এর মতোই লাজুক লাজুক মুখে বসে রইলাম। নুডলস আর গাজরের হালুয়া বানিয়ে খাইয়ে নিজের রান্নার পরীক্ষা দিলাম। আত্মীয়স্বজন গিয়ে রিপোর্ট দিল অসম্ভব নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, সাত চড়ে রা করে না টাইপের ছেলে। বিবাহের পর যখন থলের বেড়াল বের হল "তখন পালে বাতাস পাইয়াছে, বর্ষার স্রোত খরতর বেগে বহিতেছে, গ্রাম অতিক্রম করিয়া নদীকূলের শ্মশান দেখা দিয়াছে ... ইত্যাদি ইত্যাদি", সহজ বাংলায় সর্বনাশ যা হবার হইয়া গিয়াছে। যাই হোক বিবাহের সাক্ষাৎকারের বিষয়ে কথা বলতে গেলে আরেক মহাভারত হয়ে যাবে। তাই সে বিষয়ে বেশী কথা না বলি। একটা কথাই বলবো, এই সাক্ষাৎকারে একটাই নিয়ম, কথা কম বলতে হবে। মাঝে মধ্যে মধুর করে হাসি দিতে হবে। যেই হস্তিনী ক্ষত্রিয় মহিলা প্রতিদিন জামাইকে ঝেটিয়ে সমাদর করে সেও সাক্ষাৎকারের সময় পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী হয়ে মিষ্টি হাসি দিয়েছিলো একদা।

এবার কিছু ভালো কথা
খালি বদনামই করে যাচ্ছি , চক্ষু লজ্জার খাতিরে একটা ভালো ইন্টার্ভিউ অভিজ্ঞতা বলা দরকার। ইচ্ছে ছিল মাস্টারি করবো। ঢাকার প্রাইভেট ভার্সিটি গুলো তখন ধাই ধাই করে উঠছে। কিন্তু বেশিভাগেরই কোন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট নেই। কিছু কম্পিউটার যোগার করে দ্রুত একটা কম্পিউটার সায়েন্স বা ইঞ্জিনিয়ারিং খুলে ফেলা যায়। ইলেকট্রিকাল এর ল্যাব তৈরি করা খানিক হ্যাপার ব্যাপার। কাছের বন্ধুদের একদল হৈহৈ রৈরৈ করতে করতে চট্টগ্রামের এক প্রাইভেট ভার্সিটিতে ফ্যাকাল্টি হয়ে চলে গেলো। দেখে আমার মাথা গরম হল, ঢাকা থেকে কি লাভ। বন্দরনগরীতে যাবার জন্য বান্দরের মতো লাফঝাঁপ শুরু করলাম। অবশেষে ওখানের আরেক সদ্যজাত ভার্সিটিতে ইন্টার্ভিউ এর সুযোগ এলো। রাতের ট্রেনে চলে গেলাম। সারারাত বন্ধুদের সাথে আড্ডা হল ওদের ভাড়া করা বাসা/মেসে বসে। রীতিমতো পিকনিক পিকনিক ব্যাপার। ইন্টার্ভিউ এ হাজির হয়ে দেখি এলাহি কাণ্ড। একটা পদের জন্য না হলেও পঞ্চাশ জনকে ডেকেছে। এর মধ্যে দেখি আমার ব্যাচের আরও কয়েক পাপী আছে। একজনের আমেরিকায় ভর্তি, বৃত্তি, ভিসা, টিকেট সবই রেডি। যাবে দুইমাস পরে। আমি পাকড়াও করলাম, হারামজাদা তুই কি করস এইখানে। কাঁচুমাচু হয়ে বলে দুইমাস তো বেকার বসে লাভ নেই, তাই চাকরী করতে চায়। কত বড় ফাতরা! যাহোক,ইন্টার্ভিউ বোর্ডে ঢুকে দেখি আরও এলাহি কাণ্ড। মেয়র মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির দুইজন ডীন সহ ১০/১২ জন লোক বসে আছে। আর সবার মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন ডক্টর জাফর ইকবাল। ভার্সিটি প্রাইভেট হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর অধীনে ছিল, সেজন্যই হয়তো মেয়রের আগমন। আর ডক্টর জাফর ইকবালকে আনা হয়েছে ইন্টার্ভিউ পরিচালনা করার জন্য। প্রার্থীর বসার কোন চেয়ার নেই। পাশে মার্কার এবং পেছনে হোয়াইট বোর্ড দেখে খুশীতে আমার দাঁত বের হয়ে গেলো। আমি বিগত ৬ বছর ধরে টিউশনি, সানরাইজ, ম্যাবস, ওমেগা ইত্যাদিতে চাপা পিটিয়ে আসছি। চাপা পিটায়ে পিটায়ে রীতিমতো ক্যানভাসারদের মতো চাপার জোর অর্জন করেছি। একটা মার্কার আর একটা হোয়াইট বোর্ড পেলে দিব্যি পৃথিবীকে চ্যাপ্টা বা ওবামাকে ফর্সা বলে প্রমাণ করে দিতে পারি। তবে সাক্ষাৎকার পর্ব মোটেও অতো সহজ ছিলোনা। দাড়িয়ে আধা ঘণ্টার মতো ইন্টার্ভিউ দিলাম। প্রশ্নকর্তা ডক্টর জাফর ইকবাল একাই। ভেবেছিলাম কপোট্রন কিভাবে কাজ করে, হাইপার ডাইভ দিয়ে কতদূর যাওয়া যায়, ওমিক্রনিক রূপান্তর বলিতে কি বুঝ এইসব প্রশ্ন করবেন। কিসের কি? সেই দেখি রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর আর ইন্ডাক্টর নামক খচ্চরদের নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন। আঁক কষে, সার্কিট ডায়াগ্রাম এঁকে হোয়াইট বোর্ড ভরে ফেলতে হল। ঘেমে নেয়ে একাকার হলেও বলতে পারি, আমার জীবনের অন্যতম সেরা ইন্টার্ভিউ অভিজ্ঞতা ছিল সেটা। সাক্ষাৎকার দিতে এসে কেউ যদি কোন প্রশ্নোত্তর না দিতে পারে তখন সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী কি রকমের আচরণ করেন সেটা দেখেই বোঝা যায় সেই সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর পরিপক্কতা কতটুকু। মনে আছে, একটা প্রশ্নের উত্তর পারছিলাম না। তিনি সেটাকে ব্যাখ্যা করতে করে শেষ পর্যন্ত উত্তর আমার কাছ থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন।

যে তোমারে বলদ বলে সেই তো আসল বলদ
Hugo ছবির একটা কথা ভীষণ পছন্দ হয়েছিলো। পিচ্চি হুগো বিশ্বাস করে একটা যন্ত্রের প্রতিটা ছোট পার্টসই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কুড়িয়ে পাওয়া যন্ত্রাংশের একটা নিজস্ব মূল্য আছে, তার জন্ম হয়েছে কোথাও না কোথাও কাজে লাগার জন্য। একই ভাবে দুনিয়ার কোন মানুষই অপ্রয়োজনীয় না। কোথাও না কোথাও তার জন্য জায়গা, তার প্রয়োজন তৈরি হয়ে আছে। অনেক সময়ই সাক্ষাৎকার শেষে আমাদের অনেকে মাঝে হীনমন্যতা তৈরি হয়। বিশেষত আমাদের দেশের সাক্ষাৎকার নেয়ার পদ্ধতিতে একটা লোক দেখানো প্রক্রিয়া থাকে। একসাথে চল্লিশ পঞ্চাশ জন লোককে হাজির করা হয়। কাউকে ৫ মিনিট, কাউকে ১০ মিনিট করে ইন্টার্ভিউ বোর্ডে কচলাকচলি করে নিজেদের স্মার্টনেস প্রমাণ করে বড় কর্তারা এক ধরণের বিমলানন্দ লাভ করেন। সাক্ষাৎকারের ফাঁকেফাঁকে প্রার্থীদের নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসিতামাশা করেন , দেখেছেন বদরুল সাহেব কাণ্ডটা। একটা ইউনিভার্সিটি পাশ ছেলে ডায়রিয়া এর ইংরেজি বানানটা জানেনা। কোথায় যাচ্ছে আমারে শিক্ষা ব্যবস্থা।
কোথায় আর যাবে, যেইখানে থাকার সেইখানেই আছে। ডায়রিয়ার বানান জানার থেকে সেইটার প্রতিকার জানাটা অনেক বেশী জরুরী। GRE দেয়ার আগে যে আমরা নামতা পড়ার মতো করে Abase, Abash, Abate থেকে শুরু করে Zephyr পর্যন্ত আস্ত ডিকশনারি মুখস্থ করে ফেলেছিলাম সেইটা দিয়ে এখন কি কি চুলোৎপাটন করছি সেইটাই চিন্তা করি মাঝে মাঝে। আসলে একজন লোককে পাঁচ মিনিটে যাচাই করার কিছু নেই। ওই প্রাক নির্বাচন টুকু তার বৃত্তান্তখানা দেখেই করা যায়। তবুও আমাদের অনেক বড়কর্তারাই নিজেদের ভাইভাকাম চরিতার্থ করার জন্যই হয়তো প্রার্থীর লাইন লাগিয়ে দেন। নিজের এবং কাছের বন্ধুদের অনেকের এরকম অভিজ্ঞতা দেখেছি। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এই শিখেছেন, এইটা জানেন না? এইজাতীয় কথা শুনে হীনমন্যতায় ভুগতে দেখেছি। ঘটনা সহজ। এই দুনিয়ায় যে কোন জায়গায়, যে কেউ, যে কোন কারণে যদি আপনাকে বলদ বলে তবে ধরে নিবেন সেই শ্রেষ্ঠ বলদ (আমি ছাড়া, আমি কারণে অকারণে লোকজনদের বলদ বলি, আদর কইরা বলি আরকি)। কিছুক্ষণের একটা সাক্ষাৎকার পর্বের কয়েকটি গৎবাঁধা প্রশ্ন দিয়ে সেই মানুষের দক্ষতা সম্পর্কে কি আসলেই পুরোপুরি জানা যায়? আর বিশেষ করে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী যদি নিজেই একজন বিশিষ্ট আবাল হন যিনি হয়তো তার মামা চাচা খালা ফুপু শ্বশুর শাশুড়ি শালা দুলাভাই কারো ঠ্যালায় অথবা নিতান্তই এই মহাকালের র‍্যান্ডম প্রসেস এর চক্করে পরে এখানে চলে এসেছেন। তাঁর ক্ষমতা আছে আপনাকে চাকরী দেয়া বা না দেয়ার কিন্তু ক্ষমতা নেই আপনি বলদ না ষাঁড় এই সিদ্ধান্ত দেয়ার। সুতরাং হীনমন্যতায় না ভুগে দৃঢ় পদক্ষেপে এইরকম লোকের সামনে থেকে বের হয়ে আসুন। সব চাকুরী আপনার জন্য না, আপনিও সব চাকরীর জন্য না। রবি-বাবুর ভক্ত হলে আসার আগে দুই ছত্র পদ্য শুনিয়ে দিয়ে আসুন,
কেউ বা তোমায় ভালোবাসে
কেউ বা বাসতে পারে না যে,
কেউ বিকিয়ে আছে, কেউ বা
সিকি পয়সা ধারে না যে,
কতকটা যে স্বভাব তাদের
কতকটা বা তোমারো ভাই,
কতকটা এ ভবের গতিক—
সবার তরে নহে সবাই।

আর মতিকণ্ঠের ভক্ত হলে আসার আগে "আম্নে আমাত্তে বেশী বুঝেন? লাইনে আসেন" বলে চলে আসুন।


Comments

কল্যাণ's picture

হুম্ম ইটা সরিয়ে এইবার আসল কথা। আগে একটা মিনি সাক্ষাৎকার দিয়া লন, প্রশ্নাবলী নিম্নরুপঃ

১) ২ নম্বর দুইবার হইছে কেন্?
২) cakurir মানে কি?
৩) "ডিম পেরে=ডিম পেড়ে" হবে না?
৪) "১ সপ্তাহ পড়ে=১ সপ্তাহ পরে" হবে না?
৫) সাহিত্যিক কো?

লেখা সেইরকম রসালো হইছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

চরম উদাস's picture

১) মানুষ ২ নম্বর বলে ২ তে আইসা খালি আটকায়ে যাই ইয়ে, মানে... । ঠিক করে দিছি।
২) এক সাথে প্রোগ্রাম লেখি আবার লেখাও লেখি। কোন চিপা দিয়া কদের কিছু অংশ মনে হয় ঢুকে গেছে। মুছে দিছি।
৩) আমি ভাবছিলাম হাঁস মুরগী ডিম পাড়ে, অআ তেলাপকা হয়তো পারে ইয়ে, মানে... , যাক ভেজাল না করে ঠিক করে দিলাম।
৪) ড় আর র নিয়ে পেরেশানিতে আছি। চিপা চুপা দিয়ে বাইর হয়ে যায়।
৫) এখানে কবি নীরব

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কল্যাণ's picture

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারেক অণু's picture

আম্নে আমাত্তে বেশী বুঝেন? হো হো হো

চরম উদাস's picture

চাল্লু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রামগরুড়'s picture

গুল্লি

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মোখলেছুর রহমান সজল 's picture

পুরাটা পড়ে শেষ হইনাই।
যতক্ষণ না শেষ হবে মনে শান্তি পামু না।

একটু বিরতি নিচ্ছি। চাপা ব্যথা করতাছে সেই সাথে ইনার্জি গেইন কইরা লই। সামনের জার্নিটা আরো বড় মনে লয়। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

আহারে! চাপা ব্যাথা ঠিক করার জন্য ডরাইলেই ডর লেখাটি পড়ুন, বিশেষত কমেন্টগুলা খাইছে

আমি-অমিত's picture

প্যারাসিটামল খাওয়া লাগবে, হাসতে হাসতে সারা শরীর ব্যাথা গড়াগড়ি দিয়া হাসি
লেখা যথার্থ রসাল হয়েছে হাততালি

চরম উদাস's picture

আহার, এক্কেবারে প্যারাসিটামল লাগলো খাইছে

স্বপ্নখুঁজি's picture

আসাধারন । চরম লাগলো।
গভীর রাত, তাই গলা ছেড়ে হাসতে পারছি না। পেট ফেটে যায় কিনা সন্দেহ !!

চরম উদাস's picture

হ, দেইখেন আবার পেট ফুইটা না যায়

স্বপ্ন-হীন's picture

লেখা (গুড়) হয়েছে।

তাহলে এখন থেকে সব পুইতা পুইতা কইরা পুইতা ফালামু!! খাইছে

চরম উদাস's picture

হ। সব পুইতা পুইতা। হেইল মাহমুদ ভাই।

রাগিব's picture

একাডেমিক ইন্টারভিউ এর কথা বললেন না? ঐখানে তো ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে ডিনার পর্যন্ত পদে পদে আসলে যাচাই হতে থাকে। ক্রনিকলে একটা ইন্টারেস্টিং পোস্ট এসেছে এ সপ্তাহে, পরামর্শ হলো লাঞ্চ বা ডিনারে গিয়ে খাই খাই করে সব হাভাতের মতো না খেতে।

http://chronicle.com/blogs/onhiring/an-iced-tea-would-be-terrific/31117?sid=oh&utm_source=oh&utm_medium=en

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

চরম উদাস's picture

একাডেমিক ইন্টারভিউ এর কাহিনী শুরু করলে হাতি লেখা তিমি মাছ হয়ে যাইত। তাই আর কথা বাড়াই নাই। একাডেমিক ইন্টারভিউ নিয়ে আপনি লিখেন, আপনার তো আরও ডিটেইলস অভিজ্ঞতা আছে।
আর খাওয়ার নিয়মটা অর্ধেক সত্য। যদি লাঞ্চ পর্যন্ত ইন্টার্ভিউ দিয়া মনে হয় ইন্টার্ভিউ ভালো হচ্ছে তাইলে লাঞ্চে সালাদ বা হালকা কিছু খেতে হবে কাঁটাচামচ দিয়া খুট খুট কইরা। আর যদি মনে হয় কোন সম্ভাবনা নাই, তাইলে ভদ্রতার মায়রে বাপ বলে প্যান্টের বেল্ট খুলে খাইতে বসতে হবে। এক্কেবারে পুরা ফাইভ কোর্স মেন্যু অর্ডার দিয়া খাটনি উসুল করতে হবে। নিজে খায়া পারলে পরিবারের জন্য টু গো নিয়ে আসতে হবে।

জাবেদুল আকবর's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো

উদ্ভ্রান্ত পথিক's picture

ভাই আপ্নে অমানুষ গুরু গুরু
আপনার বিএসসি কোথা থেকে জানতে পারি? [ যদি সমস্যা না থাকে ]

---------------------
আমার ফ্লিকার

চরম উদাস's picture

অমানুষ কইলেন ইয়ে, মানে...
আমি বুয়েটের একজন প্রাক্তন কুলাঙ্গার দেঁতো হাসি

তাসনীম's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মারাত্মক!!!

আমি মার্কিন মুল্লুকের এক পর্বে ইন্টারভিউ নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম, সব তো আপনিই বলে দিলেন হাসি ভালো ইন্টারভিউ আমিও জীবনে একটা দিয়েছি। ওগুলো সত্যিকার ভালোবাসার মতো জীবনে একবারই আসে।

শুধু ইন্টারভিউ নয়, চাকরিও প্রচুর বুলশিট পূর্ণ। ইদানীং মাঝে মাঝে মনে পুরো জীবনটা এই রকম ষাঁড়ের গোবরপূর্ণ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস's picture

হ। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে ইন্টার্ভিউ এর সময় সারাদিন মুখে একটা কৃত্রিম হাসি ঝুলায়ে রাখতে হয়, মেজাজ যতই বিলা হোক না কেন।

একই যন্ত্রণা কর্পোরেট লাইফেরও। প্রতিদিন করিডোরে, লিফটে যার সাথেই দেখা হোক না কেন, How you doing, weather is so good today, have a good day, nice to meet you ইত্যাদি ইত্যাদি আকামের আলাপ করতে হয়। সবাই হাসি, সবাই খুশী, কারো মনে কোন দুঃখ কষ্ট নাই, লাইপে কোন সমস্যা নাই। জীবন একই জায়গায় গোল গোল।

উচ্ছলা's picture

একটা মানুষকে আর কতবার 'জিনিয়াস' বলা যায়!

চলুক উত্তম জাঝা! গুল্লি বাঘের বাচ্চা

চরম উদাস's picture

Evil জিনিয়াস বলে পারেন দেঁতো হাসি

তারানা_শব্দ's picture

বিরিয়ানী রান্না করে তারিয়ে তারিয়ে খেতে খেতে আপনার লেখাটা পড়লাম। দারুণ লাগলো। অনেক মজার হইসে। তবে সবচাইতে ভালো লাগলো শেষের কথাগুলো। হাসি মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতন কথাগুলো।।।

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

চরম উদাস's picture

এহ, বিরয়ানীর কথাটা বলার কি দরকার ছিল ইয়ে, মানে... । আমি তো এইখানে বসে গন্ধ পাইতেছি।

কল্যাণ's picture

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তারানা_শব্দ's picture

আয় হায় হায় রে!!!! আমার ভোজের অর্ধেক তাইলে আফনেই মারসেন! রেগে টং
তাই তো কই কম কম লাগে ক্যা? চিন্তিত

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

ইঁদুর's picture

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু সাংঘাতিক্স!

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু ইন্দুর ভাই।

তুলিরেখা's picture

আমার এক বন্ধুনী কয়, "আরে, লোকে শুনি ইন্টারভিউতে গিয়া ব্রেকফাস্ট লা‌ঞ্চ ডিনার খা্য়। আমারে তো কই কেউ খাওয়াইলো না? লোকে বানাইয়া কয় নাকি আমি বাইছা বাইছা গরীবাকাডেমিতে গেছিলাম ইন্টারভ্যু দিতে ?"
চিন্তিত
সে খুবই চিন্তায় আছে। সত্যি তো, ব্যাপারটা কী? চিন্তিত

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

চরম উদাস's picture

কোম্পানিটা কি Samsung ? একমাত্র Samsung ছাড়া বাকি সবাই অন্তত লাঞ্চ খাওয়ায়। Samsung আমার মনে হয় দুনিয়ার কঞ্জুসতম কোম্পানি, ইন্টার্ভিউ শুরু করে দুপুর ১২:৩০ এর পরে যেন কিছু খাওয়াইতে না হয়।

কল্যাণ's picture

আমি যে কয়টা সাক্ষাৎকার খাইয়া দিছি বা ইনবিটুইন খাইছি সেই চাকরিগুলা হয় নাই, আর যেগুলা না খায়া ভুখা নাঙ্গা অবস্থায় কোকাইতে কোকাইতে দিছি সেইগুলা হইছে দেঁতো হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

!!!'s picture

আমি এখনো undergrad এ আছি. অধিকাংসো lab viva আর final viva ভালো ই হইসে এখনো. তবে একবার viva সুধু আমাদের গ্রুপ এর আলাদা হয়েছিল সার এর রুম এ. দেয়ার সময় সার এর জন্য চিকেন ফ্রাই আসছিল. সার আমাদের ও দিয়েছিলেন খাইতে. ওই লাব এ ক্লাস এর সবাই A+ আর আমরাই সুধু চিকেন খাওয়ার অপরাধে A পাইসি ওঁয়া ওঁয়া

চরম উদাস's picture

হ, মনে হয় স্যারের ভাগের ফ্রাই খায়া ফেলছিলেন। প্রফেসররা খাওয়া দাওয়ার ব্যপারে খুবই সেনসিটিভ। তাদের ভাগের খাওয়া কে‌‌উ খেয়ে ফেললে এই শোক জীবনে ভুলে না।

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

উত্তম জাঝা!

আরেকটু নিয়মিত হৈয়েন................


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস's picture

ওই দ্যাখো কাণ্ড, সগর্বে আপনের নাম ফাঁকিবাজের তালিকাতে ঝুলতেছে আর আমারে বলে কিনা নিয়মিত হইতে অ্যাঁ । আমার রান রেট ২। মাসে গড়ে দুইটা, এই নিয়ম এখনো চালু আছে। গোটা বিশেক কবিতা লিখে রাখছি MATLAB আর JAVA দিয়া । যদি আস্কিং রেট বেড়ে যায় তাইলে ওইগুলা ছাড়বো।

স্যাম's picture

হাহাহাহাহা- জটিল !!

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

বস, আপ্নের যে লেখার গুণ তার হাজার ভাগের এক ভাগও যদি এই অধমের থাকত তবে সপ্তাহে একখান লেখা দিতাম.......

আর আপনি মন্তব্যে নিয়মিত সে তো দৃশ্যমান কিন্তু লেখায় কিন্তু আমরা আপনাকে আরো চাই, মাসে ৩-৪ টা অন্তঃত?


_____________________
Give Her Freedom!

চরম উদাস's picture

মন্তব্যে নিয়মিত দৃশ্যমান কারণ সচলের সব লেখাই প্রায় পড়ি। এখন আমার লেখার সংখ্যা বাড়াইতে হইলে পড়া বাদ দিতে হবে। আর ইদানিং লেখাগুলা সাইজ তো অনেক বড় হচ্ছে তাই সময় লাগে শেষ করতে।
আর ঐসব লেখার গুনটুন এর অজুহাত দিয়া ফাকি দেয়া বন্ধ করেন খাইছে

মৃত্যুময় ঈষৎ's picture

দেঁতো হাসি

তবু তালগাছটা আপনাকে দিলাম দিলাম না, আই মিন ৩-৪ টা লেখা মাসে চাই.......... দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

আনোয়ার's picture

উত্তম জাঝা!

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধুসর জলছবি's picture

মেডিকেলে ভাইভা দিতে দিতে " না পারলে আর কি করবে ,ফেল করাবে,মেরে তো আর ফেলবে না" জাতীয় মনোভাব চলে আসছে ভিতরে। দেঁতো হাসি
লেখায় উত্তম জাঝা! বাঘের বাচ্চা

চরম উদাস's picture

মেডিক্যাল ভাইভা কাহিনী নিয়ে কিছু লেখা ছাড়ুন। নানা কাহিনী শুনি মেডিক্যাল এর ভাইভা নিয়ে। বিস্তারিত জানতে চাই।

কিংশুক's picture

পড়িবা মাত্র আউট হইতে বাধ্য---------বোল্ড আউট!

চরম উদাস's picture

চক্ষু খুইল্যা গুট্টি খেলুম, গুট্টি...

হিল্লোল's picture

নীড়পাতায় প্রতিদিন একবার অন্তত ঢুঁ মারতাম আপনার কোন লেখা আসল কিনা খোঁজ নিতে? লেখাটা পড়ে বুঝলাম খোঁজাখুঁজিটা ফেলনা ছিল না। লেখা নিয়ে কিছু বলার নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে আমি আপনার সতীর্থ তবে বেশ অনুজ এবং ডিপার্টমেন্ট ভিন্ন। তবে ইলেকট্রিক্যালের একটা ল্যাবের ভাইভাতে একবার চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হইছি। যাই বলি স্যার ঠিক বেঠিক কিছুই বলে না শুধু বলে, 'ও আচ্ছা'। পরে গ্রেডিং দেখে বুঝতে পারছি আমি হয়তো যুগের চেয়েও আধুনিক ছিলাম তাই স্যাররা ধরতে পারে নাই! ছাত্রজীবন জারি আছে বলে চাকরি ইন্টার্ভিউ এখনো অচিনপুর। তাতে কি? ডরাইলেই ডর

চরম উদাস's picture

ইলেকট্রিক্যালের এক ল্যাবে ভাইভার কাহিনী বলি। চরম দুষ্ট প্রফেসর, চিল্লানো ছাড়া পোলাপানের সাথে কথা বলে না। ফাইনালে একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে দিলো এবং ওইটার দেখে তারপর ভাইভা। ভাইভাতে নাকি সবাইকে ছিলে ফেলে। আমার এক্সপেরিমেন্ট সেটআপ দেখে সে খুশীতে হেসে ফেললো। তারপর কেমন আছি, পড়াশুনা কেমন চলতেছে এইসব জিজ্ঞেস করে ছেড়ে দিল। আমি তো বাইরে এসে খুশী, ভাইভা বড় ভালো হইছে। এরপর একজন একজন করে বিমর্ষ মুখে বের হয়ে এসে ভয়াবহ ভাইভা অভিজ্ঞতা বলে। আমি পরে গ্রেড দেখে বুঝলাম আমার এক্সপেরিমেন্ট সেটআপ পুরাই উল্টাপাল্টা হইছে। সেই জন্য আনন্দে ওই লোক আর আমারে আর কিছুই জিগায় নাই। কত বড় বদ রেগে টং

এই ধরণের আচরণ জাপানী আর কোরিয়ান দের মধ্যে দেখছি। চেহারায় কোন রেসপন্স নাই। একটা একটা করে প্রশ্ন জিগায় আর উত্তর শুনে পাথর মুখে বসে থাকে। আরে ব্যাটা হইছে নাই হয়নাই এইটা বললে কি তোর জ্ঞান কমে যাবে?

শিশিরকণা's picture

সম্ভবত এই স্যারেই বলছিল, "অসিলোস্কোপের প্রোব আমার মাথায় লাগাও"। দেঁতো হাসি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস's picture

একজন এরকম ভাইভাতে গিয়ে ম্যাগনেটিক ওয়েভ এর ব্যাপার সেপার বুঝাতে গিয়ে টেবিলের দুই কোনা দেখিয়ে বলছিলো, স্যার মনে করেন এইটা আমার পোল আর ওইটা আপনার পোল! স্যার তো চেতে মেতে শেষ।

সাত্যকি.'s picture

কে এই মহান প্রফেসর ?
একটু ক্লু দেন। একদমই চিনতেসি না। নাকি উনি অলরেডি রিটায়ার্ড ?

লিখা দারুণস্য দারুণ হয়েছে।

চরম উদাস's picture

হ ক্লু দেই, তিনি শাহ বংশের লোক আর বড়ই মোলায়েম তার আচরন

ধুসর জলছবি's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

ট্রন্টোএয়ারপোর্টে বইসা অর্ধেক পড়লাম। লুকজন পাগল ভাবতাছে। তাই আপাতত খ্যামা দিলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস's picture

কই যান? দেশে নাকি?

ত্রিমাত্রিক কবি's picture

নাহ আম্রিকা গেছলাম, কনফারেন্সে। এখন ট্রন্টোতে বন্ধুর সাথে তিন চারদিন আড্ডা মাইরা ব্যাক করুম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শিশিরকণা's picture

আমার ঝাড়ু দেয়ার ৭ বছরের প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা আছে। হাসি সার্টিফিকেট দেখাইতে পারব। জীবনে যদি কোন চাকরি না জুটে, তাই এইটা ব্যাকআপ রাখছি।
আমার ইন্টারভিউএর অভিজ্ঞতার ঝুলি খুবই দৈন। জীবনে দুইটা মাত্র ইন্টারভিউ দিছি। ২-নম্বর ইন্টারভিউ এর আগে গুগ্লায় দেখি যেই মহিলা ইন্টারভিউ নিবে সে ঐ বছরের মুকুটধারী মিস ল্যাটিনা সুন্দরী। সুন্দরী আপা ঘরে ঢুকেই দিলে আখিওসে গুলি মেরে দিয়ে জিজ্ঞ্যেস করল, "এই যে গুল্লি মারলাম, এইটার গতিবেগ বাইর কর!" তখন তো মাথা আউট হয়ে গেছিল, পরে বাসায় এসে প্রশ্নের উত্তর তারে ই-মেইল করে পাঠাইছিলাম। কাজে দিছিলো কি না জানি না, তবে আপা এখন আমার থেকে দুই ঘর পরেই বসেন। চোখ টিপি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস's picture

আমার জুতা পালিশ এর ৭ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, মিলিটারি স্কুলে শিখছি। ঘষতে ঘষতে একদম আয়নার মতো চকচকে বানায়ে দিতে পারি জুতা। ওইটা আমার ব্যাকআপ। তা ছাড়া নৌকা ও রিকশা চালানোর ২ মাসের শর্ট ট্রেনিং আছে। এমনকি ভাত, তরকারী রান্না, বাসন ধোয়া (ওইটা প্রত্যেকদিনই করায় পরিবার আমারে দিয়া, ডিশ ওয়াসার থাকার পরেও, আমার নাকি শইল্যে চর্বি জমছে, চর্বি কমানোর জন্য কাম করায়) ইত্যাদি ঘরের ছুটা কাজ পারি। সুতরাং বেশী অবস্থা খারাপ হইলে ছুটা বুয়া হিসেবেও চাকরী করতে পারবো। এমনকি হালকা সেলাই এর কাজও জানি ( সুই এর ভেতর সূচ ঢুকানো, শার্ট প্যান্টের বোতাম লাগানো ইত্যাদি), গার্মেন্টস ও আমারে একদম ফেলে দিবে না। এমনকি ডাইল পুরি আর আলুপুরিও বানাইতে পারি। আর সবশেষে, আর কিছু না পারলে মাশাল্লা চাপার যা জোর আছে রাস্তায় দাঁড়ায়ে অন্তত দাঁতের মাজন বিক্রি করতে পারবো। সুতরাং এতো গুন নিয়া আটটা পাঁচটা অফিসে কাজ করার মানে নাই। যে কোন দিন চাকরীর মায়রে বাপ বলে বেরিয়ে পরবো।

স্বপ্নহারা's picture

হ, এই রকম জিনিয়াস নষ্ট করা ঠিক না। আমো বাইরাইয়া যামু।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

আব্দুর রহমান's picture

ডাইল পুরি, আলু পুরির রেসিপি চাই। দিতে হবে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

চরম উদাস's picture

দিবো দিবো, মিস্টিমুখ এর মতো এরপর একটা ঝালমুখ সিরিজ খুলবো।

মেঘা's picture

চরম ভাই সুঁই আর সূচ একই জিনিস ভাই। দেঁতো হাসি এক সুঁইয়ের মধ্যে আরেকটা ঢুকালেন কিভাবে? অ্যাঁ

চরম উদাস's picture

ইয়ে, মানে... । অতি উত্তেজনায় এক সুঁই এর ভেতর আরেক সুইকেই ঢুকায়ে ফেলছি। ব্যাপার না, ডরাইলেই ডর হান্দায়া দিলে কিয়ের ডর (হেইল দলছুট)।

স্বপ্নহারা's picture

লাতিনা সুন্দরী আপ্নের অফিসে কি করে!!! এদিকে পাঠায়া দেন। দুনিয়াতে কেয়ামতের বাকি নাই! মেয়েরাও মেয়েদের গুল্লি মারে মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শিশিরকণা's picture

আর বইলেন না। লাতিনা আপার সিভি দেখে আমিই কাইত হয়ে গেলাম। এইর মধ্যে সে আবার ইরাকে টেরম টেরম যুদ্ধও করে আসছে। আপামনির ছবি দেখেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

স্বপ্নহারা's picture

দে লা ভেগা শুনলেই আমার জেটা জোন্সের কথা মনে হয়! ;p

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস's picture

সাম্য's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

শিশিরকণা's picture

আপ্নে কি ভেগা আপারে নিয়ে ভাগার তালে আছেন নি?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

চরম উদাস's picture

ভুজেত ভেগা বন

শমশের's picture

দূর্দান্ত, গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

আপনাকে বিশেষ পদক দেয়া দরকার।

চরম উদাস's picture

দিয়ে দেন। একটা মেহেরজানের মতো ডাউনলোডেবল পদক দেন অন্তত।

আলভী মাহমুদ's picture

ছাতার মাথা আইএলটিএস এর স্পিকিং দিতে দিতে চিন্তা করতেসিলাম বাপ কোটিপতি হইলে হুদাই একটা ভুগিচুগি এক্সামের নাম কইরা ইন্টারভিউ দিতে যাইতাম এক্সামিনাররে যন্ত্রনা দিতে। আপনার পোস্ট পইড়া ভাবতেসি ভালো কোন জায়গায় চাকরি পাইলে হুদাই ইন্টারভিউ দিয়া বেড়ামু আর এই সব পাবলিকরে এক চোট সহবত শিখামু শয়তানী হাসি

চরম উদাস's picture

হ, মাঠে নেমে পড়েন

তানভীর's picture

এখন ২টা সার্চ কমিটিতে আছি। ইন্টারভিউ নিতে মজাই লাগে দেঁতো হাসি আরো মজা লাগে যখন নিজের অবস্থা আগে একই রকম পরিস্থিতিতে কেমন ছিলো সেটা কল্পনা করি। ফ্যাকাল্টি ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে জ্ঞান-গরিমা যাচাইয়ের চেয়ে কলিগ হিসেবে কেমন হবে সেটাই মূলত পরখ করে দেখা হয়। তবে লাঞ্চ/ডিনার বিষয়ে একখান কথা আছে। ক্যান্ডিডেট যদি কম খায় তবে যে ইন্টারভিউ নেয় তারও অসুবিধা হয় (মানে আমার মতো বাঙাল টাইপ যদি হয় আর কি শয়তানী হাসি ) সেদিন একজনকে ক্যাফেটেরিয়ার বাফেতে নিয়ে গেলাম। ভাবলাম একটু আয়েশ করে খাবো। ব্যাটা সালাদ আর কাটা চামচ নিয়ে কুটুর কুটুর করাতে আমিও কিছু খেতে পারলাম না মন খারাপ তারপর সকালে একটু আরাম করে ঘুমাচ্ছি, সাতটার সময় ব্যাটা করছে ফোন! ভাবলাম কোন বিপদ-আপদ। জিজ্ঞেস করাতে বললো, সে বাসায় পৌঁছে গেছে, এখন থ্যাংকু জানাতে ফোন দিসে! রেগে টং

আমাদের প্রতি সেমেস্টারে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ওরাল কম্প্রিহেন্সিভ এক্সাম হয় দেশি গ্যাংব্যাং স্টাইলে। এটা আরো ভয়ংকর, কারণ নিয়ম হলো অন্তত এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে হবে, কোনো আজাইরা প্রশ্ন করা যাবে না। আমি দয়াপরবশ হয়ে মোটামুটি অনেক ছাড় দিয়েই প্রশ্ন করি। তবু স্বাভাবিকভাবে প্রায়ই নাকানি-চুবানি অবস্থা থাকে। আমি নিজে ইন্টারভিউ দিলে আমিও শিউর আমার অবস্থাও ওইরকম হতো। টেবিলের অন্য পাশের ব্যাপার-স্যাপার আসলেই অন্যরকম।

কোম্পানির চাকরির ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষার সময় 'লিখিত' পরীক্ষার সংস্কৃতি আমার ধারণা ভারতীয়রা চালু করে দিয়ে গেসে। আমি বস্টনের এক কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে গেসিলাম। ওইখানেও এক ভারতীয় মহিলা এক হলঘরে আমাকে ঢুকায়ে হাতে একগাদা ফোরট্রানের কোড লেখার প্রশ্নপত্র দিয়ে আমারে কইলো, তুমি বসে বসে এগুলা সলভ করো, আমি আবার এক ঘণ্টা পরে এসে দেখবো। আমি একবার চিক্কুর দিয়ে বলতে চাইলাম, 'আমি তো প্রোগ্রামার না, রিসার্চার', কিন্তু ওইটাই ছিলো আমার প্রথম ইন্টারভিউ, খরকুটার মতো। যাই হোক ইন্টারনেট, কম্পিউটার ছাড়া মাথা খাটিয়ে আমার ফোরট্রানের কোড লিখতে পারার কোনো প্রশ্নই আসে না! আমি এক ঘণ্টা খাতায় লতা-পাতা আঁকিবুকি করলাম। আমি শিউর ঐ হলঘরের কোথাও কুনো গুপন ক্যামেরা লুকানো ছিলো। আর ঐ ভারতীয় মহিলা তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে (ওইখানে ভারতীয় আর চিঙ্কুর ছড়াছড়ি) হাহা হিহি করে ক্যামেরায় তামাশা দেখসে। আমার মনে হয় এই কাজগুলো তারা উপমহাদেশীয়/চিঙ্কু লোকজন পেলেই করে। আমি আমেরিকানদের জিজ্ঞেস করে এখনও কাউকে পাই নি, যাদের এই রকম ভাইবার অভিজ্ঞতা হয়েছে।

চরম উদাস's picture

আপনি তো দেখি তাইলে কর্তাদের দলে চিন্তিত
আমাকে একবার একটা ল্যাপটপ আর একটা পেপার ধরায়ে দিয়ে বলে ২ ঘন্টার মধ্যে ঐটার কোড লিখতে। ফাজিলের দল। এইটা কি উপস্থিত বক্তৃতার আসর নাকি!

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

এক ইন্স্যুরেন্স কম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে এরকম হয়েছিল। কম্পিউটার ইন্টারনেট ছাড়া আমি আবার কোড লিখতে পারিনা-- কারণ সিনট্যাক্স আমার মনে থাকে না। যাই হোক, আমাকে একটা সমস্যা দিয়ে বলে এ্যলগরিদম লেখ। মনে মনে ভাবতেছিলাম আমার সিভিতে তো এমন কিছু লিখিনাই যে তুমি আমাকে এ্যলগরিদম-এর টেস্ট নিবা! বললাম সময় লাগবে। সে বলে তোমাকে ১৫ মিনিট দিলাম। আমি এক মিনিটে চরম উদাস ভাইয়ের প্রোফাইল পিকের মত একটা ছবি এঁকে দিয়েছিলাম চোখ টিপি

তানভীর's picture

আমি যেখানে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম সেটাও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ছিলো এয়ার ওয়ার্ল্ডওয়াইড- মূলত হ্যাজার্ড রিলেটেড ইন্স্যুরেন্স নিয়ে কাজ করে। মোটামুটি নামকরা কোম্পানি হলেও চরম খাইষ্টা- ইন্টারভিউ শেষ হবার পরে আমার রিইমবার্সমেন্টের টাকাটাও এরা আর ফেরত দেয় নি! ভাগ্যিস, প্লেন আর হোটেল ভাড়া আমাকে দিতে হয় নি।

চরম উদাস's picture

এইরকম কোম্পানিতে ইন্টারভিউ শেষে যেই চেয়ারে বসে ইন্টারভিউ দিছেন আসার সময় ঐ চেয়ারটা বাগলদাবা করে নিয়ে আসতে হবে। আর সেইটা না পারলে নিদেনপক্ষে রিসেপশনিস্টকেই বগলদাবা করে নিয়ে চলে আসতে হবে।

শিশিরকণা's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এস এম মাহবুব মুর্শেদ's picture

এই গত বছরের কথা। সিমেন্সে একটা ইন্টারভিউ দিতে গেসি। হবু ম্যানেজার ব‌্যাটা দুইবার ফোনে আমার ইন্টারভিউ নিছে। একদিন ১৫-২০ মিনিট, দেশের বাড়ি কই টাইপ।

আরেকদিন ঝাড়া এক থেকে দেড় ঘন্টা। অফিসের একটা লাইব্রেরী আছে। সেখানে বসে ইন্টারভিউ দিতেছি। এক চিঙ্কু তিনবার উঁকি দিয়ে গেছে। এই দিন পুরা C++ প্রোগ্রামিং ঝাড়ছে। সিপিপি ফাক থেকে মারছে পুরা। এই চোথা আমারও ছিলো, সমস্যা হয় নাই।

ঘটনা হইলো অন সাইটে গিয়া। অনসাইটে ছয়জনের মধ্যে তারও একটা স্লট আছে। সে আইসা কয় তোমারে আর কি জিগামু ফোনেই তো সব জিগাইছি। আমি স্যাটিসাইফড। প্রোগ্রামিং নিয়া কিছু জিজ্ঞেস করার নাই। আচ্ছা এই চোথাটা আছে এইটা সলভ করো। বলে আমারে বিশাল একটা চোথা C++ প্রশ্ন পত্র ধরায় দিছে। আর ব্যাটা দিবিই যখন তখন এতো কথা বলার কি আছে? শেষমেস সে সেটা শেষও করতে দেয় নাই। পুরা হুদাই।

প্রোগ্রামিং ডিভিশনের ডিরেক্টর দেখি কলকাতার বাঙ্গালী। আমারে কইলো বাংলা বলতে চাইলে বাংলা বলতে পারো। বাংলায় কথা বার্তা হইতেছে। এক পর্যায়ে কয় আমি কিন্তু তোমারে রিলোকেশন দিতে পারবো না। আমি কইলাম ঠিকাছে। আবার কয় বেতন হয়তো একটু কম হবে। আমি কইলাম তাও ঠিকাছে।

শেষমেষ কয়দিন পর যে বেতন দিবে জানাইছে সেটা শুইনা .... কি আর কমু। মনের দুঃখে শিকাগো আইসা পড়লাম।

চরম উদাস's picture

একমাত্র আ্যপেল ছাড়া আর সবখানে প্রোগ্রামিং এর প্রশ্ন পুরা একই চোথা মনে হইছে। আ্যপেলের শইল্যে তেল বেশী হওয়াতে তাদের নকশাও একটু বেশী।

স্বপ্নহারা's picture

বদ্দা, একাডেমিকের টিপসও দরকার। হাসি

জেবনে মানুষ কিন্তু জন্ম থেকেই ইন্টারভিউ দিয়ে যায়। সেই ক্লাস ওয়ান থেইকা শুরু মন খারাপ

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

একাডেমিকস এ টেকনিক্যাল কিছু থাকে না (অন্তত আমার অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি)। সব বিহেভিওরাল। দেখে আপনি কলিগ হিসেবে কেমন হবেন। পড়াইতে পারবেন কিনা, ক্লাস ম্যানেজ করতে পারবেন কিনা এসব। টাকা পয়সা আনতে পারবেন কিনা সেটা আপনার সিভি আর কৃতকর্ম দেখেই বুঝবে। বিজ্ঞাপনে একটা শব্দ দেখবেন --ডেমনস্ট্রেটেড এক্সপার্টিজ বা এধরনের কিছু।

আমার দেখা মতে একাডেমিকসএ সাকসেস এবং ফেউলিওর রেইট দুটোই বেশী। ২০টা দরখাস্ত করে হয়তো ২/৩টাতে ক্যাম্পাস ইন্টারইভিউতে ডাক পেলেন, এর মধ্যেই একটাতে লেগে যেতে পারে। হাসি

স্বপ্নহারা's picture

আইচ্ছা হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস's picture

চলুক

শিশিরকণা's picture

ক্লাস ওয়ানের ইন্টারভিউতে বলছিল, ডান হাত মাথার উপরে তুলে এইবার বাম কান ধরো, কানে ধরতে না পারলে পাশ, ধরতে পারলে ফেইল।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

স্বপ্নহারা's picture

আমারে কইছিল, কার সাথে আসছো? -বাবার সাথে। বাবা এখন কই? ওইযে জানালা দিয়ে তাকায়া আছে...পাস দেঁতো হাসি

তবে জীবনে ক্যান্ডিডেসির পর সবচেয়ে কঠিন লিখিত পরীক্ষা দিসিলাম, ক্লাস ওয়ানে আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সময়। আরবী বার মাসের নাম-চার স্তম্ভ- থেইকা কতকিছু যে আইছিল! আমি হিঁদুর ঘরের ছেলে হয়ে সেকেন্ড হইছিলাম কেম্নে ঐটা আজও রহস্য!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

শাব্দিক's picture

এই পরীক্ষা আমিও দিয়েছিলাম। আপু কি ভিকি?

শিশিরকণা's picture

না গো। আমি হলিক্রস। প্রথমবার কানে ধইরাও পাশ করতে পারি নাই, পরে ক্লাস সিক্সে হাতে পায়ে ধইরা ঢুকছি। খাইছে

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক's picture

দেঁতো হাসি খাইছে

চরম উদাস's picture

খাইছে

মেঘা's picture

আমার ক্লাস ওয়ানে ভর্তি পরীক্ষাতে জিজ্ঞেস করেছিলো ভাত ইংলিশ কী? আমি বললাম রাইস। আমাকে বলে এখন রাইস বানান করো। আমি সাথে সাথে বলছি আম্মু শিখায় নাই চাল্লু । পাশ।

চরম উদাস's picture

খাইছে

সাগরবালিকা 's picture

জীবনের প্রথম ইন্টারভিউ দিছি বিশাল এক কোম্পানির ল্যাবে। প্রথম এক ঘন্টা প্রেজেন্টেশন, এর পর দশজন এর সাথে ওয়ান টু ওয়ান। ভাইসপ্রেসিডেন্ট দিয়ে শুরু, এর পর হায়ারার্কি ধরে বড়-মাঝারি-ছোট-চুনোপুটি ম্যানেজার। এরপর একে একে গ্রুপের লোক, এমন কি অন্য গ্রুপের লোক দিয়েও ইন্টারভিউ নেয়াইছে, লাস্টে প্রোডাক্ট টিমের লোকও আসছিল ভাইভা নিতে। দুই দিনের মধ্যে জানায় দিসে পাত্রী পছন্দ হয় নাই।

চরম উদাস's picture

এ কমন ঘটনা। অনেক সময় লোক দেখানো ইন্টারভিউ ও হয়। লোক ঠিক, তরপরেও অন্যদের ইন্টারভিউ নেয়া।

জাতিস্মর's picture

আপনি মানুষ টা আসলে ভালো না। এইগুলা কি লেখেন?

আমার পরা অন্যতম সেরা লেখা সচলায়তন এ।

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

খারাপ কি কইল্লাম ইয়ে, মানে... , কতকত জ্ঞান ও শিক্ষামূলক লেখা লেখতেছি

সত্যপীর's picture

দুর্ভাগ্যবশতঃ প্রজেক্টের কাজে আড়াইশ ইন্টারভিউ নিতে হইসিল গত বছর। একখান ক্যান্ডিডেটের কথা বলি শুনেন। ফোন ইন্টারভিউ। সে আলাপ শুরু কইরাই বলে শুন, তোমরা কি আমারে টাকা দিবা? আমি বললাম ওইরকমই ইচ্ছা আসে, রিক্রুটাররা বলে নাই স্যালারি রেঞ্জ? সে কয় আরে তা বলসে, কিন্তু আমি টাকা নিব না। তোমাদের সফটওয়্যার কোম্পানি, আমারে ফ্রী সফটওয়্যার বা ট্রাভেল টিকেট এগুলি দিয়ে পে করলে আমি রাজি আসি।

আমি ব্যাপারটা বুঝার চেষ্টা করতেসিলাম, টাকা দিবে বলে কাজ করবে না? সত্য কথা হইল, আমার চাকরি করার একমাত্র কারন অরা আমারে টাকা দেয়। এছাড়া কোন কারন আদৌ নাই। আর এই লোক বলে যদি টাকা দেয় তাইলে কাজ করতে রাজি না। পাব্লিকের মন বুঝা ভার। ভেরি হেভি টু আন্ডারস্ট্যান্ড।

লিখা অত্যাধিক উপাদেয় হৈসে। একবারে খাঁটি কথা লিখসেন।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস's picture

ক্যান্ডিডেট কি মহিলা ছিলো? তাইলে হয়ত টাকা না চেয়ে আপনের দুয়া চাইছে চিন্তিত

সত্যপীর's picture

পুরুষমানুষরেও ফুঁ দেই। খালি বেশি কাছে যাইনা ফুঁ দেওয়ার সময় এই আর কি।

..................................................................
#Banshibir.

পুেপ's picture

আজব একজন মানুষ এত ভালো কি করে লিখে?
এটা ভেবে হাসতে হাসতে কান্না চলে আসলো।
আমার টাকা হলে আপনাকে একটা পরুস্কার দিব ভাইজান।

চরম উদাস's picture

দেন দেন, একটা ডাউনলোডেবল মেডেলই দেন খাইছে

অতিথিঃ অতীত's picture

আপনার মাথা কাইট্যা বান্ধায় রাখা উচিত।।। দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

অতীত

চরম উদাস's picture

কস্কি মমিন!

Vc's picture

ভাই, আমরা ০৬ ব্যাচ, ইইই এর পোলাপাইনরা এখন কন্সট্যান্ট এই ভাইভা পেইন এ আছি। দিনকে দিন ভাইভা তে ডাক পাওয়াই দুস্কর হয়ে পড়ছে। আজকাল ভাইভা তে ডাক পাইলেই খুশি তে নর্তন কুর্দন করতে ইচ্ছে করে, চাকরি পাইলে কি করুম কে জানে!!

চরম উদাস's picture

ফুউউউ , যান ফু দিয়ে দিলাম। এইবার সাফল্য নিশ্চিত।

পড়াচোর's picture

প্রবাস জীবনে একবারই ইন্টারভিউ দিসি (এ্যাডমিশনের)। দেয়ার পরে লাঞ্ছ খাওয়াইতে নিয়ে গেসিলো। ভাবলাম, না হইলেও অন্তত লাঞ্ছ এর খাওয়াটা মিস করব কেন ? পেট আইটাই করে খাওয়া দিসি।

লেখাটা অতি ভাল হইসে।তবে টাকার ব্যাপারটা বুঝলাম না। আমাদের এখানে একজন ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এর জন্য এসেছিলেন। উনি বললেন ওনার কোম্পানিতে কেউ যদি কেন জব দরকার এর মধ্যে টাকা ইঙ্কাম করতে চাই এটা না বলে তাহলে তাকে নেয়না। কে যে আসলে কি চায় বলা মুশকিল।

চরম উদাস's picture

ইন্টারভিউ এ নিজ থেকে টাকার কথা তোলা হারাম। তবে এইচআর এর লোকজন যদি স্যালারি এর এক্সপেকটেশন জানতে চায় তখন যদি বলেন, দিয়েন ইনসাফ কইরা তাইলে ধরা। বরং নানা বিতং করে টাকা পয়সা হাতের ময়লা, কাজটাই আসল এইসব বলে ফাকে একটা রেঞ্জ জানিয়ে দিতে হয়।

ইয়াসির's picture

খঁটি কথা

ইমা 's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি লেখা অত্যধিক ভাল হইছে।

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কর্ণজয়'s picture

বোকার মত। ... মানে যাই মন্তব্য করি বোকার মত হবে।

চরম উদাস's picture

আমরা সবাই বুকা আমাদের এই বুকার রাজত্বে।

নিলয় নন্দী's picture

Quote:
আর কিছু না পারলে মাশাল্লা চাপার যা জোর আছে রাস্তায় দাঁড়ায়ে অন্তত দাঁতের মাজন বিক্রি করতে পারবো।

ভাই, আপনে কী কী পারবেন না সেটাই তো একটা দেখার বিষয়।
আপনার লেখা সম্পর্কে কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ইয়ে, মানে...
তবে আপনার সম্পর্কে বলি, আপনি একটা সিচুয়েশনাল জোকসের ড্রাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

অনেক কিছুই পারিনা রে ভাই, যেমন ফাতরামি না করে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনা ইয়ে, মানে...
নাহ্য় ওজনটা একটু বেশি, তাই বলে ড্রাম বললেন ইয়ে, মানে...

রাগিব's picture

একাডেমিক ইন্টারভিউ এর কথা প্রসঙ্গে পিপিদা যা বলেছেন, তাই ঠিক। একাডেমিক চাকুরির ইন্টারভিউতে কারো জানার পরিধি মাপা হয়না। বরং দেখা হয় এই লোকের বা মহিলার সাথে আগামী ২০ বছর এক সাথে চাকুরি করা সম্ভব হবে কি না। আচার আচরণ, বন্ধুত্বপূর্ণ কী না, এই সব কিছুই সারাক্ষণ দেখা হয়।

তবে সাধারণ চাকুরির ইন্টারভিউ এর সাথে বড় পার্থক্য আসলে খাবার দাবারে। খোদ গুগলের ইন্টারভিউতেও খাবার দাবারের এমন ছড়াছড়ি থাকে কি না সন্দেহ। একাডেমিক ইন্টারভিউতে দিনে ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা থাকে (ডাউনসাইড হলো খাবারের সময়টাও আসলে ইন্টারভিউ!)। আমার জাদুনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থীদের কপালে অন্তত ২টা ডিনার আর ২টা ব্রেকফাস্ট আর একটা লাঞ্চ থাকেই। আর এগুলা হয় মোটামুটি নামীদামী রেস্টুরেন্টেই।

একাডেমিক চাকুরির বাজারে থাকার সময়টাতে তাই অনেকের ওজন বাড়তে থাকে, আর উল্টাদিকে সার্চ কমিটির সদস্যদেরও ভুঁড়ি বেড়ে যায় বলে গুজব চালু আছে। এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে টের পেলাম, ডিনারে যেই "দি লাঞ্চন" টাইপের জায়গায় নিয়েছে, সেখানকার ওয়েটার পর্যন্ত আমার হোস্টকে চিনে ফেলেছে, এতো নিয়মিত নানা প্রার্থীদের ওখানে নিয়ে যাওয়ার কারণে।

(অবশ্য খাইস্টা জায়গারও অভাব নাই, একবার এক জায়গায় গিয়েছিলাম ইন্টারভিউতে, দুপুরে ছাত্রদের ক্যাফেতে নিয়েই শেষ, আর বিকালে এক শুট্কো টাইপের গ্রযাড স্টুদেন্টের হাতে গছিয়ে দিলো। সেই ব্যাটার দৌড় পাড়ার এক ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট অবধি। বলা বাহুল্য, ঐ ইউনিকে পত্রপাঠ তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম)।

---

তবে সাবধান, এই ডিনার/লাঞ্চ পুরা সময়টাতেই আসলে আচরণ, বন্ধুত্বসুলভ ভাব এই ব্যাপারগুলা যাচাই করা হয়। বেমক্কা আচরণ করলে সেটা বাজে সেমিনার টক দেয়ার চাইতে অনেক বেশি খারাপ প্রভাব রাখবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

Shantanu Banik's picture

অনেক ধন্যবাদ, রাগিব ভাই...

স্বপ্নহারা's picture

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস's picture

চলুক

বাই ডিফল্ট, ফ্যাকাল্টির লোকজন কোম্পানির লোকেদের চেয়ে পেটুক হয় খাইছে

শাব্দিক's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

চরম উদাস's picture

খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী's picture

খুবই মজার পোস্ট (এবং প্রয়োজনীয় তো বটেই) দেঁতো হাসি

বেশি মজা লাগলো "ডিমের হালি এত হলে আমার বয়স কত?" লাইনটাতে। হা হা হা

আমার ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা (খুবই কম অবশ্য) নিয়ে অনেক আগেই লেখার ইচ্ছা ছিল, সেভাবে লেখা হয়ে ওঠে নি। এরই মাঝে শীতকাল এসে গেল তো, তাই! হা হা হা।

সিরিজ চলুক।

চরম উদাস's picture

শীতকাল এর অজুহাত আর কতকাল চলবে? লেখা ছাড়েন চিন্তিত

দিগন্ত চৌধুরী's picture

আপনি কী খান ভাই? চিন্তিত

চরম উদাস's picture

খিচুড়ি খাইছে

রাতঃস্মরণীয়'s picture

বেশ ভালো একটা পোস্ট, কাজের পোস্ট। দেখি, ভবিষ্যতে চাকুরীর সাক্ষাতকার দেওয়া ও নেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লেখা যায় কি না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

চরম উদাস's picture

লিখে ফেলেন। জানতে হলে বাচতে হবে।

প্রৌঢ় ভাবনা's picture

লেখাটা দারূণ হইছে, তয় অসাধারন হইছে সবশেষের পদ্যটার সংজোযন।

চরম উদাস's picture

কোন পদ্যের কথা বলেন? মতিকন্ঠের টা?

দ্রোহী's picture

আপনে মিয়া!

দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

খাইছে

নাহিদ's picture

অসাধারন। হাসতে হাসতে শেষ। গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি

চরম উদাস's picture

খাইছে

মাহমুদ.জেনেভা's picture

উদা ভাই
আপনার প্রতিটা লেখায় জটিল জটিল সব ম্যাসেজ থাকে
“পুইতা পুইতা” শব্দটা ভুলেন নাই দেঁতো হাসি ?
নতুন একটা শিখেনঃ
“ভুজেত থ্রে বন” [you are very hot]

চরম উদাস's picture

পুইতা পুইতা রক্স দেঁতো হাসি

dighrangchu's picture

চরম ভাই, নামের স্বার্থকতা বজায় রাখা লেখা। আপনি বুয়েটে পড়ার সময় মেলা জায়গায় পড়াইসেন, কিন্তু ঐটা আমার ধাতে নাই। আমি লেখালেখির লাইনে ঢুকে গেলাম, ছাত্রজীবনের পেশা পাত্রজীবনেও রয়ে গেছে। ইন্টারভিউ বলতে শুধু হাঁটু স্কুলের "ভাইভা"র কথাই বেশি মনে আসে, ঐ অভিজ্ঞতা নিয়া একটা লেখা দেন না। যেহেতু বিদ্যাবুদ্ধু বেশি নাই, কোন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের টেস্ট সিরিজের সমান ইন্টারভিউ কপালে জোটে নাই। তাই অনেক কিসুই মাথায় ঢুকলেও মগজে বসে নাই। কিন্তু মন্তব্য পড়তে পড়তে এই খানে এসে আটকে গেলাম

Quote:
আমার জুতা পালিশ এর ৭ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, মিলিটারি স্কুলে শিখছি। ঘষতে ঘষতে একদম আয়নার মতো চকচকে বানায়ে দিতে পারি জুতা।

Quote:
হালকা সেলাই এর কাজও জানি ( সুই এর ভেতর সূচ ঢুকানো, শার্ট প্যান্টের বোতাম লাগানো ইত্যাদি), গার্মেন্টস ও আমারে একদম ফেলে দিবে না

এরপরে আর পারলাম না, অফিসে কাম বাদ দিয়া হাসতাসি!!!
অঃটঃ আজকে ছিল হাঁটু ইস্কুল দিবস

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি । হ, যেই জুতা পালিশ আর মেটাল পালিশ করতাম। ঐরকম প্যাশন নিয়া জুতা না ঘষে নিজেরে ঘষলে এতদিনে ফরসা হয়ে যাইতাম।

কীর্তিনাশা's picture

হাসতেই আছি !! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি

^_^'s picture

★•.¸
¸☆´.•´
.•´✶`*.অস্থির লেখা ।
*.*★ . ✶•´ ☆´,•*´¨★
¸✶.•´¸.•*´✶

(গুড়) হাততালি গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বাউলিয়ানা's picture

হো হো হো হাসি)

আপনার ইন্টারভিউ দেবার অভিজ্ঞতাতো দেখি বিশাল! আমি এত পেরেশানি নিতে পারবনা বলে সর্টকাট মেরেছি। একটা ইন্টারভিউ দিয়েই এখন পর্যন্ত শোকর আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে সরিষার তেলের বোতল কিনে নিয়েছি।

চরম উদাস's picture

হ, অভিজ্ঞতা কম না। এই দেশের প্রায় সব বড়বড় কোম্পানির ডাস্টবিন ঘাটলে আমার রেজিউমি পাওয়া যাবে খাইছে

শেহাব's picture

পি. এইচ. ডি. র প্রথম বছর একই দিনে সামার ইন্টার্ন পদে গুগল, মাইক্রোসফট রিসার্চ আর আই.বি.এম. রিসার্চের রিজেকশন লেটার পেয়েছিলাম। ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাইতে পারি নাই। রিজিউমী দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সিসকোরটা হয়েছিল। একটাই টেকনিক্যাল প্রশ্ন করেছিল। উত্তর মাথায় ছিল না কিন্তু সামনে ডব্লিউথ্রিস্কুলের চোথা খোলা ছিল। দেখে দেখে গড়গড় করে বলে দিয়েছিলাম। এই বছর এ.টি.এন্ডটি রিসার্চের সামার ইন্টার্নের জন্য আবেদন করলাম। কিছুদিন পর মেইল পেলাম ওরা পুরা সামার ফেলোশীপ প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিচ্ছে। মনে হয় রিজিউমী খুব জ্বালাময়ী হয়ে গিয়েছিল!

চরম উদাস's picture

আরে যেই তিন জায়গা থেকে রিজেকশন পাইছেন সেটা পাওয়াও কম কি। আমি MIT থেকে একটা লেটার পাইছিলাম ওইটা যত্ন করে রেখে দিছি। বড়ই খারাপ খারাপ কথা লেখা ছিলো চিঠিতে, কিন্তু তাতে কি আসে যায়?

Robo Manob's picture

চমত্কার লেখা। এবারে নতুন লেখা চাই: "যেভাবে পাত্রী দেখবেন " lolz

চরম উদাস's picture

ভালো আইডিয়া দিছেন খাইছে

স্বপ্নহারা's picture

বহুকাল আগে লিখছিলাম...চোখের সামনে দেখা হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

চরম উদাস's picture

পড়লাম দেঁতো হাসি

জাবেদুল আকবর's picture

একটা সেমিনারে বসে আপনার লেখা পড়ে ফেললুম
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু উত্তম জাঝা! গুল্লি

চরম উদাস's picture

সেমিনারে বসে জ্ঞানার্জন না করে এইসব পড়া ঠিক না

রু (অতিথি) 's picture

আপনি মনে হয় সামান্য একটু পিছিয়ে পড়েছেন। লেটেস্ট স্টাইল হচ্ছে ফোন ইন্টারভিউ, তারপর অনলাইনে কোডিং, তারপর পছন্দ হলে ডেকে নিয়ে খাওয়ানো মানে ফেস টু ফেস ইন্টারভিউ। এমনও হয়েছে যে ৪/৫ ঘন্টা ধরে দুই তিনজনের সাথে কম্পিউটার শেয়ার করে কোডিং করিয়েছে। এইটা আবার আরেক রংবাজী। বলে, তোমার কোড কাজ করলো কিনা সেটা আসল না, তোমার থট প্রসেস দেখব।

আরেকটা কথা, পরীক্ষার সাথে বিয়ের সাক্ষাত্কার মিলাচ্ছেন কেন? চাকরি আর পরীক্ষার জন্য মৌখিক থাকে প্র্যাকটিকাল এর সাপ্লিমেন্ট হিসাবে। বিয়েরটা তো সাক্ষাত্কারই সম্বল, এখানে তো প্র্যাকটিকাল এর তো কোন সুযোগ নাই।

লেখা ভালো হয়েছে, হাসির হয়েছে, এগুলো কি আলাদা করে বলার দরকার আছে? দরকার থাকলে জানায়েন, বলে দিব।

ইয়াসির's picture

Quote:
লেখা ভালো হয়েছে, হাসির হয়েছে, এগুলো কি আলাদা করে বলার দরকার আছে? দরকার থাকলে জানায়েন, বলে দিব।

ঠিক বলেছেন, এক কথা আর কতবার বলা যায়?

চরম উদাস's picture

কোডার বা প্রোগ্রামার পজিশনের জন্য মনে হয় ঐটা বেশী করে।
বিয়ের সাক্ষাতকারের বিষয়ে পরে না হয় আরও লিখবো, বহু কিছু জানার আছে খাইছে

মাহমুদ.জেনেভা's picture

Quote:
লেখা ভালো হয়েছে, হাসির হয়েছে, এগুলো কি আলাদা করে বলার দরকার আছে? দরকার থাকলে জানায়েন, বলে দিব।

ভাই আপনি এত রেগে আছেন কেন?
উদা ভাই অনেক শ্রম দিয়ে একেকটা লেখা লিখে আপনি পারলে উৎসাহ দিবেন না পারলে চুপ থাকবেন। আমার যত টুকু মনে পড়ে আপনিও তো নিয়মিত লিখতেন এক সময়। আপনার লেখায় কেউ এই জাতীয় মন্তব্য করলে আপনার কেমন লাগবে?
যাই হোক তেড়ে আইসেন না প্লিজ। আমার মনে হয়েছে যে কোন কারনে আপনি রেগে আছেন!! তাই বললাম আরকি

রু_'s picture

বলেন কি, রেগে আছি মনে হলো! আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিয়েছি আর লিখেছি। ওটা লিখেছিলাম 'মন্তব্য নিস্প্রয়োজন' হিসাবে, রাগ করিনি মোটেই।

আসলেই অনেকদিন লেখা হয় না।

চরম উদাস's picture

মাহমুদ ভাই , একটু ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে বোধহ‌য়। রু পুরনো পাঠিকা। একদম আমার শুরুর লেখা থেকে কমেন্ট করেন। সেই সম্পর্কের সূত্রেই মজা করে কমেন্ট করেন। অন্যকিছু মিন করেননি। হাসি

নিঃসঙ্গ পৃথিবী's picture

খাইছে! মনে হইতেছে যারা এই লেখা পড়ে ইন্টারভিউ দিতে যাবে তাদের একজনেরো চাকরি হবেনা। ইয়ে, মানে...
ম্যাঁও

চরম উদাস's picture

হক কথা, আমার বুদ্ধিতে চললে বেকার জীবন সুনিশ্চিত খাইছে

মামুন's picture

এত অসাম লেখেন কেম্নে??

চরম উদাস's picture

চিন্তিত

সাবেকা 's picture

রাত দুইটা বাজাইলাম আপনার লেখা পড়ে গুরু গুরু যাই এবার ঘুমাতে ।

চরম উদাস's picture

হ, রাত জাগা ঠিক না। পিম্পল হইতারে, বিউটি নষ্ট হইতারে

রুমি's picture

খুব মজা পাইছি হাসি

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু

ব্যাঙের ছাতা's picture

দুইদিন সচলে আসতে পারিনাই, এর মধ্যে আপনার লেখা চলে আসল, আমি এত দেরীতে পড়লাম, মনে দুখঃ লাগতেছে ওঁয়া ওঁয়া

গতকাল এমবিএর ভাইভা ছিল, ইশ! আপনার লেখটি আগে পড়লে কালকে একদম ফাটায়া ফেলতাম। শয়তানী হাসি
ভালো থাকিয়েন। হাসি

চরম উদাস's picture

ভাগ্যিস আগে পড়েন নাই লেখাটা। আমার বুদ্ধিতে চললে এই জীবনে আর এমবিএ করা হইতো না খাইছে

নীড় সন্ধানী's picture

আপনার এই সিরিজগুলো কি জিনিস জানা আছে। অথচ আজকে আমার হাসতে বারণ। তাই দুবার খুলেও পোষ্ট বন্ধ করে চলে গেলাম। পোষ্ট প্রিয়তে নিয়ে পরে পড়ার সিষ্টেমটা বন্ধ করে দিয়েছে মডুরাম? অ্যাঁ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস's picture

হাসতে বারণ কেন? ঘটনা কি? সামনের দুই দাত খুলে পরে গেছে?

জয়ন্তী's picture

মনটা খুব খারাপ ছিল, আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল।
গুরু গুরু

চরম উদাস's picture

মন ভালো রাখেন, কি আছে দুনিয়ায়?

তাপস শর্মা's picture

আহা! আহা! আহা!

এই জ্ঞান বগলের তলে লইয়া আগামী সপ্তাহে যাইতেছে এক্ষান ভিউ দিতে। এইবার এক্কেরে খাস সরকার বাহাদুরের দরবারে। তাই ভাবতেছি লগে কয়েক গ্যালন ত্যাল লইয়া যামু, আর আপনার উপদেশ। দোয়া রাইখেন গুরু আমি যাতে ল্যাজে গোবরে হইতে পারি, মানে ল্যাজ আর গোবর মিলে সেই প্রানির লাহান ভদ্দা হইয়া ইন্টারভিও দিতারি। কারণ এর আগে সাক্ষাৎকারের মাঝে প্রশ্নকর্তাকে হালারপুত তোর চাকরিতে ইয়ের তরল বলে বেড়িয়ে আসার মুকুট আমার সিঙের শোভা বর্ধন করছে।

চরম উদাস's picture

হে হে , গুড লাক। ভালোমত ইন্টারভিউ দেন।

নীড় সন্ধানী's picture

ছাত্রজীবনের শেষভাগে দশ নম্বরের একটা ভাইবার কথা মনে পড়লো। ঐতিহাসিকভাবে সেই ভাইবায় সাধারণত ৫ এর নীচে কেউ পেত না তবু ভালো ছাত্রেরা ভাইবা বোর্ডে ঢোকার তিনদিন আগে থেকে পড়ে মাথা নষ্ট করে যদি ৭/৮ পাওয়া যায়। আমি পরীক্ষার মার্কস আর পূণ্য এই দুটোর লোভ কোনদিন করিনি। ফলে ইন্টারভিউ যখন শুরু হলো -

-বলতো 'ক' দিয়ে কি বোঝায়?
-বলতো 'খ' কোথায় বসে?
-বলতো 'গ' এর সাথে 'ক' এর কোরিলেশান কিরকম?

এরকম হাবিজাবি প্রশ্ন আসতে থাকে। আমি ঐতিহাসিক সত্যটা জানতাম আরো জানতাম যে ৫অন্ততঃ ফেল করানো হবে না। তাই ফাজলামি মাথায় আসলো। সবগুলোর উত্তরে ঠান্ডা মাথায় খুব আত্মবিশ্বাস ও বিনয়ের সাথে বললাম, পারিনা স্যার, কিংবা জানি না স্যার। বোর্ডে তিনজন ছিল তিনজনই হতবাক। আরো কিছু প্রশ্ন করে শেষে বিরক্ত হয়ে বললো, কি পারো তাহলে? বললাম, কিছুই পারি না স্যার। বোর্ড প্রধান বললেন, পড়াশোনা কিছুই করোনি? সিলেবাসে কোন কোন চ্যাপটার আছে তা জানো? নির্লজ্জতার চরম নিদর্শন দেখিয়ে বলে ফেললাম, তাও জানি না স্যার!

কল্পনা করতে কষ্ট হয় না, কতো বিরক্তির সাথে ৫ প্রদান করেছিলেন সেদিন। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি
এ তো দেখি আমাদের ম্যাট্রিক ইন্টারের প্রাক্টিকাল এর ভাইভার অবস্থা। ভালো হইলে ২৫, খারাপ হইলে ১৮।

ইলিয়াস 			's picture

বেপক বিনোদিত হইলাম । হা হা হা । হাসতে হাসতে মৃত্যুপথযাত্রী ।

চরম উদাস's picture

আরে ইলিয়াস আলী ভাই যে! আপনে এইখানে বইসা গুলতানি মারতেছেন আর সারা দেশ আপনেরে খুঁজে হয়রান!

Rabby's picture

বস জটিল হইছে।আই লাইক ইট (ইহা)।পড়ার পর দাত আর মুখের ভিতর নিতে পারতাছি না।

চরম উদাস's picture

হ, দাঁত বাইরেই রাখেন। আলো বাতাস লাগা দরকার দাঁতে।

রুদ্রপলাশ's picture

"বিশেষ করে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী যদি নিজেই একজন বিশিষ্ট আবাল হন যিনি হয়তো তার মামা চাচা খালা ফুপু শ্বশুর শাশুড়ি শালা দুলাভাই কারো ঠ্যালায় অথবা নিতান্তই এই মহাকালের র‍্যান্ডম প্রসেস এর চক্করে পরে এখানে চলে এসেছেন। তাঁর ক্ষমতা আছে আপনাকে চাকরী দেয়া বা না দেয়ার কিন্তু ক্ষমতা নেই আপনি বলদ না ষাঁড় এই সিদ্ধান্ত দেয়ার! "------বেশি সত্য কথা এই যুগে।

আমি যখন খুব চিন্তায় বা উত্তেজনায় থাকি তখনো বলি অস্থির লাগছে আবার যখন কোন কিছু বেশি ভালো লাগে তখনো বলি অস্থির লাগছে।
আর কিছু বলবো না শুধু বলবো-
পুরো লেখা জুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে!

চরম উদাস's picture

অস্থির থেকে সুস্থির হন খাইছে

নাজমুল কবির's picture

অসাধারণ আপনার লেখা

চরম উদাস's picture

ধন্যবাদ নাজমুল কবির। তবে আমার লেখা খুবই সাধারণ, মনে যা আসে লিখে ফেলি। মনে অবশ্য ভালো কিছু আসে না কখনো খাইছে

সজীব's picture

"আমার জুতা পালিশ এর ৭ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, মিলিটারি স্কুলে শিখছি। ঘষতে ঘষতে একদম আয়নার মতো চকচকে বানায়ে দিতে পারি জুতা।"
৭ বছর নাকি ৬ বছর?

চরম উদাস's picture

এক্সট্রা এক বছর ফার্মগেট মোড়ে জুতা পালিশ করছি দেঁতো হাসি

সজীব's picture

হা হা হা হা... চৌজাশ এর মত কুন খুদা বমি কে আমার বলতে ইচ্ছা হচ্ছে, খুদা ভাই চরম ভাই এর প্রতি বাক্যে বাক্যে নয় প্রতি শব্দে শব্দে হাসি দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

খাইছে

মেঘা's picture

ব্যাপক গবেষণাধর্মী লেখা তাই আমিও দুইদিন ধরে ব্যাপক গবেষণা করে লেখা পড়লাম তারপর কমেন্ট পড়লাম তারপর গবেষণা করলাম আমি কী বলতে চাই যা আগে কেউ বলে নাই?!! গবেষণা মাঠে মারা গেলো রেগে টং সবাই সব বলে দিয়েছে আমার জন্য কেউ কিছু বাকী রাখে নাই মন খারাপ

অনেকদিন সচলের লেখা পড়া হয়নি। আপনার লেখা দিয়ে আবার শুরু করলাম হাসি এতো অমানুষিক লেখা কেন যে লিখেন ইয়ে, মানে...

চরম উদাস's picture

শয়তানী হাসি

ব্যাঙের ছাতা's picture

আপনার লেখাতো পড়ে, মানুষরে পড়তে উপদেশি দিয়ে ফাতা ফাতা করে ফেলেছি হাসি । ইদানিং যে কাজটা করি, মন বেশী রকম বেশি বেশি খারাপ লাগলে আপনার লেখার মন্তব্য, প্রতি মন্তব্যগুলো পড়া শুরু করি প্রথম থেকে।

অন্য প্রসঙ্গঃ আপনি সচল হননা কেন এখনো? আপনার নামের পাশে "অতিথি" দেখতে ভালো লাগে না। আপনি এরকম লিখে যদি অতিথি হয়ে থাকেন তাইলে আমার এই জনমে সচল তো দূরে থাক অতিথি হওয়াও হবে না ওঁয়া ওঁয়া

চরম উদাস's picture

হে হে, আমার উপদেশ মান্য করলে কখন কোন বিপদে পড়বে লোকজন। তখন কিন্তু লেখক দায়ী নহে খাইছে
লেখতে থাকেন মাশরুম ভাই, হাচল হয়ে যাবেন। আমি ফু দিয়ে দিলাম। আর আসলে হাচল আর সচল হওয়ার মাঝে বেশী পার্থক্য নাই। লেখা এডিট করা সহ আর সব সুবিধা হাচল থেকেই পাবেন।

রসগোল্লা's picture

এত মজার লেখা অনেকদিন পড়ি নাই। রসে টইটুম্বুর:D

চরম উদাস's picture

থিঙ্কু রসগোল্লা ভাই।

নৈষাদ's picture

আপনার চরম লেখাটা প্রথমেই পড়া হইয়েছিল, এজ ইউজিয়্যাল, চরম আলস্যে মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি। আপনার লেখাতে মজা করে কিছু গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার তুলে এনেছেন।

যেমন, ‘১ নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন’ প্যারাতে বলেছনে,

Quote:
ব্যাটাকে হয়তো শেষ মুহূর্তে কেউ বলেছে ওই ক্যান্ডিডেট বইসা আছে,তোর না ইন্টার্ভিউ নেয়ার কথা।

চরম সত্য। অথবা ধরুন আমার মত অলস, রেজ্যুমি পড়েইনি, এই প্রশ্ন থেকে শুরু করতে চাইছে।

কিংবা ধরুন, সাহস যোগানোর জন্য ‘worse case scenario’ কথা চিন্তা করা।

তবে সম্পূর্ণ অজানা কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হলে ত্যানা প্যাঁচাতে হলে (hitting around the bush!) আপনাকে রিয়্যাল স্মার্ট হতে হবে। পাঁড় ইন্টারভিউয়ার কিন্তু জানে ‘টু-দ্য-পয়েন্টে’ কিভাবে নিয়ে আসতে হয়। আমার ধারণা হেসে ব্যাপারটাকে হালকা করে নিয়ে অনেস্ট হওয়াই ভএল।

বরাবরের মতই লেখা ভাল লেগেছে।

চরম উদাস's picture

ত্যানা প্যাঁচানোর কথাগুলা আসলে সারকাস্টিক ভাবে বলা হইছে। ইন্টার্ভিউ এ আসলে নিজের এ এরিয়ার বাইরে প্রশ্ন করলে মিষ্টি করে বলা উচিৎ, আই রাদার নট কমেন্ট মাচ অন দিজ যেহেতু এইটা নিয়ে আমার বেশী জানা নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আমি বলছিলাম আসলে দুই ধরণের সাক্ষাতকার গ্রহনকারী আছে। গাছা টাইপ আর আগাছা টাইপ। গাছা টাইপ লোকজন যাদের ওই ব্যাপারে ভালো জ্ঞান আছে তাঁদের সাথে ফাতরামি না করে সরাসরি কথা বলাই ভালো। আর আগাছা টাইপ কাউরে পাইলে তাঁকে একটু আকটু বিরক্ত করা যায় আরকি খাইছে

লাদজফ's picture

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস's picture

ওয়েলকাম

Onupoma's picture

অসাধারণ লিখা আপনার, শুধু আপনার লিখাতে কমেনট দেয়ার জন্য এখানে আসা
সেই কবে প্রথম থেকে আপনার লিখা পরি, তখনই বুঝেছিলাম আপনি কোন জাইগা থেকে আসছেন, বাংলা টাইপিং এ তেমন এক্সপার্টাইজ নাই, ভুল ভাল হয়, তাই এতদিন কমেনট করিনাই। মনের কথা তা এতোদিন পরে লিখাতে আনলেন। ধননোবাদ।
এখন থেকে নিয়মিত কমেনট করব। ইটা রাইখ্যা গেলাম...

চরম উদাস's picture

আরে, এই তো চাই। এরকম নতুন সচল পাঠক যদি বানাতে পারি তাইলেই লেখালেখি সার্থক। এই যে কষ্ট করে বাংলা লিখে কমেন্ট করা শুরু করলেন, এরপর একদিন সচলে বাংলায় লেখালেখিও শুরু করে দিতে পারবেন। এইভাবে অনেক পাঠক, লেখক হয়ে গেছে। এটা দেখতে আসলেই ভালো লাগে। ভালো থাকুন, কমেন্ট (এবন্দ অতি শীঘ্র লেখালেখি) করতে থাকুন।

Quote:
তখনই বুঝেছিলাম আপনি কোন জাইগা থেকে আসছেন

এখানে কোন জায়গা বলতে গাছপালা বুঝান নাই তো চিন্তিত

কালো কাক's picture

"এখানে কোন জায়গা বলতে গাছপালা বুঝান নাই তো "
গড়াগড়ি দিয়া হাসি =))

Onupoma Nilambori's picture

“জাইগা“ বলতে বুঝাতে চেয়েছি যে, আপনি, আমি সবই এক গোয়ালের গরু.. চক্ষু খুইল্যা গুট্টি খেলুম, গুট্টি... . হি হি
আর একটা বছর, ইনশাআল্লাহ, তারপর পুরুত পুরুত করে লিখা দিবনে

এই জীবনে অনেক কষ্ট পাইছি, ওঁয়া ওঁয়া গল্পও আকারে দিব ইনশাআল্লাহ, ভালা থাকলে মাইনশে মূল্য দেয়না
তাই প্রমিজ করছি, লিখার মাধ্যমে সবাইকে কিছু শিক্ষামুলক কথা বলুম। ইটা রাইখ্যা গেলাম...

প্রদীপ্তময় সাহা's picture

চাপে পইড়া মিস কইরা গেছিলাম।
এহন মেক আপ দিয়া পইড়া ফেললাম।

চরম লিখছেন।
আমি তো দুইটা কথা শুধু মাথায় রাখি।

১) যে ব্যাটা জিগায় ও মাল কিছুই জানে না, খালি ভাব মারে।

আর

২) সাক্ষাতকারটা শেষ কইরাই বাইরে গিয়া বিড়ি টানমু। দেঁতো হাসি

চরম উদাস's picture

দেঁতো হাসি
বিস্তারিত লিখে পোস্ট দেন।

লুৎফুল আরেফীন's picture

আমার ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা বলার মতন না। তবে আমার ইন্টারভিউ নেওয়া কঠিন। কারন আমি নিয়মের ধারটার ধারি না। মফঃ স্টাইলে ইন্টারভিউ দেই। ফলে যারা এই বিষয়ে ব্যপক লেখাপড়া করে এসে টেবিলের ঐপাশে বসেন, তারা হতাশ বোধ করেন। প্রতিযোগিতা জমে না। আমি সব ইন্টারভিউকে খুব ঘড়োয়া করে ফেলি। এমন কি বুয়েটেও তেমনই করতাম।

আপনার লেখার বিষয়ে আসি। আপনি যেমন লেখেন তাতে 'জায়গা খালি বা ভরা' থাকার বিষয়টা আসে না। এরকম লিখলে এমনিতেই আপনার জায়গা হয়ে যাবে এখানে। এখানে ভাল ভাল লেখকের সাথে অসম্ভব গুণী সব পাঠকও আছেন।

চরম উদাস's picture

অনেক ধন্যবাদ।

এখন আপনার লেখার বিষয়ে আসি। সচলের নতুন পাঠকরা হয়তো নাও পড়তে পারে কিন্তু আমার মতো পুরান পাপী পাঠকদের কাছে আপনি রসগুরু। নতুন পাঠকদের জন্য আপনার কয়েকটা লেখার লিঙ্ক দিলাম, যেন পড়ে এবং আপনার উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে লেখালেখির জন্য।

এ দিল মাঙ্গে মোর
মাহফিল'নামা
রেক্সোনার বিজ্ঞাপন এবং প্রাসঙ্গিক বগল সমাচার

জানি হয়তো ব্যস্ততার অজুহাত দিবেন। কিন্তু ব্যস্ততা আসলে কমেনা জীবনে, দিনকে দিন বাড়ে। আমি এক সময় অপেক্ষা করছি, ব্যস্ততা কমলে লেখালেখি শুরু করবো এই ভাবছি। পরে একদিন বুঝলাম সেইদিন কখনোই আসবে না। এখন আমি হাটে মাঠে ঘাটে যেইখানে যখন মনে হয় দুই লাইন লিখে ফেলি। বস হয়তো মিটিং এ জ্ঞান দিতেছে, এক ফাঁকে ফটাফট দুই লাইনের একটা জোকস লিখে ফেল্লাম। বস ভাবে নোট নিতেছি। বন্ধুবান্ধব এর সাথে আড্ডা দিতেছি, ফাঁকে ফোকরে মোবাইলে দুইলাইন। প্রোগ্রাম করতেছি, প্রোগ্রাম চালিয়ে আউটপুট আসতে আসতে দুই লাইন কিছু। এইভাবে দুই লাইন করে জমতে জমতে একটা কিছু দাড়া হয়ে গেলে সেইটাই সচলে দিয়ে দেই। আমাগোর তো আর কবিগুরুর মত বজরা নাই যে বুকের নিচে বালিশ দিয়া দিনের পর দিন লিখে যাবো। তাই আমার মনে হয় আধুনিক নাগরিক জীবনের মধ্যে থেকে চ্যাপ্টা হতে হতে এইরকম ফাঁকে ফোঁকরে কিছু না লিখলে, অবসর আর এই জীবনে হবে না।

লিখতে সবাই পারে কিন্তু সেই লেখা পড়তে সবাই পারে না। আপনার মতো যারা লিখতে পারে তাঁদের জন্য না লিখাটা একটা ক্রাইম। ক্ষমতা থাকলে র‍্যাব দিয়া আপনারে ধইরা আইনা রিমান্ডে নিয়া বসায়া লেখাইতাম। ক্ষমতা নাই, তাই অনুরোধ করবো। সপ্তাখানেক এর মধ্যে ছোট বড় একটা কিছু লেখা দিয়ে ফিরে আসেন। পরে কি হবে সেইটা পরে দেখা যাবে। আগে একটা দিয়েই ওয়েলকাম ব্যাক করেন।

(হাপাই গেছি এতো তেল দিয়ে, এখন গিয়া দম নেই খাইছে । এতো কাকুতি মিনতির পর যদি কাজ না হয় তাইলে অন্য চিকিচ্ছার ব্যবস্থা করবো কিন্তু কইলাম। আমারে কিন্তু পোংটা পোলা হিসেবে সবাই ভয় পায় খাইছে )

কালো কাক's picture

চলুক চলুক
তেল না তেল না, ছাই দিয়া ধরেন। খাইছে

আশরাফ's picture

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

চরম উদাস's picture

হ, আমি ধরছি এনারে এবার। আপনারও সবাই দলে দলে যোগ দিয়ে আমারে সাহায্য করেন। দেখি লেখা বাইর করা যায় নাকি চিন্তিত

আশরাফ's picture

খালি দেখি আপনি আর আমিই। মন খারাপ দল ভারি করতে হবে।

রুমঝুম ১'s picture

আমিও আছি। হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা's picture

আমিও আছি। চলুক

চরম উদাস's picture

লুৎফুল আরেফীন ভাই এট্টু উদয় হয়েই আবার ঢাকা দিছে। আমিও ছাড়বনা কইলাম, ঝুলে আছি।

Onupoma's picture

এক বছর কি জন্যে টাইম নিচিছ সেটাতো জিগাইলেন নাহ!! দেঁতো হাসি এক বছর পর দুইটা ডিগ্রি নিতেই হইবো। একটার জন্য প্রাথমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেলছি, আল্লাহ ছাড়া আর কেও ঠেকায়তে পারবেনা। গুল্লি আর একটার জন্য পরীক্ষা দিয়েই যাইতেছি, কোন কিছুতেই কিচছু হয়না, আমগো দেশে নাকি পোলার আকাল পরছে..। মাইয়ার কথা হুনলে পোলারা নাকি উলটা দিগে দৌড় দেয়... কয় ডরাইছি ছাগুরাম সুলভ
তবে হ্যা হাটে মাটে ঘাটে টাইম পাইলে মায়ের পাঠানো বায়োডাটা দেখি আর মাকে রিপলাই দেই। একটা হাছা কথা হইলো, বাংলাদেশের অনেক মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ
সময় পেলে েটা নিে লিখবো ধইরা ঠুয়া দিয়া দিমু...

চরম উদাস's picture

হ, লিখে ফেলেন। দিনকে দিন সুস্থ মানুষ কমে যাইতেছে। আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখে ফেলেন। বাংলা লিখতে কষ্ট হলে প্রতিদিন একটু একটু করে লিখুন। অভ্রতে বানান চেক করুন। আস্তে আস্তে দেখবেন স্পীড চলে আসছে। আর নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যে কোন লেখাই লোকজন আগ্রহ নিয়ে পড়ে।

পরী's picture

উদাস'দা, আগে আপ্নের ফ্যান ছিলাম, এইটা পড়ার পর হইলাম চরম ফ্যান (মন থাইক্কা কু চিন্তা সরান কইলাম) শয়তানী হাসি
হাস্তে হাস্তে পেটের ভিতর সব পোকাগুলান মইরা যাইতেছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস's picture

এতদিন কই ডুব দিয়ে ছিলেন? এক্কেবারে লাস্ট হইয়া গেলেন তো।

পরী 's picture

লাইপ সাক্স, কর্পোরেট লাইপ সাক্স মন খারাপ বাকিটা বুইঝা লন রেগে টং

অস্বাভাবিক's picture

আপনার েলখা পেড় অেনক জ্ঞান পাইলাম
েলখা চলুক

রাগাদ's picture

চরম পরিশ্রম করে পড়লাম। একটানা হাসা বড় পরিশ্রম। খুব ভাল লেগেছে হাততালি

Sultan's picture

Sir, it is splendid!! Wishing that you may give us many many more! গুরু গুরু

অতিথি লেখক's picture

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

দারুন লাগলো তাই ফেবুতে কিছু অংশ শেয়ার মারলাম, যদি আমার মতো কোন অধম কিছু শিখতে পারে। গুল্লি

মাসুদ সজীব

Abir Ahmed's picture

ভাই টেকনিক্যাল প্রশ্ন তো তাও ভালো ! পারি না পারি শান্তি লাগে এই ভেবে, অন্তত ফাইজলামি মার্কা প্রশ্ন করছে না। "আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন" -- এইটা হচ্ছে সব থেকে বড় ফাইজলামি মার্কা প্রশ্ন। এইচ আর এর লোকদের আমি ২ চোখে দেখতে পারিনা। এরাই এই ধরনের প্রশ্ন বেশি করে।

আবার কিছু লোক এমন টেকনিক্যাল প্রশ্ন করবে, যেটা সে নিজে শিখেছে ফিল্ডে ২ বছর কাজ করার পর। অথচ প্রশ্ন করছে যার ওই ফিল্ডে বাস্তব কোন অভিজ্ঞতাই নেই।

মন মাঝি's picture

২২৮-টা কমেন্ট। বাহ! এখন ২.২৮-টা কমেন্ট দেখতে পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। হাসি

****************************************

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.