পারকিনসন্স একটি রোগ, এটি কোন পাপের ফল নয়!!

অতিথি লেখক's picture
Submitted by guest_writer on Thu, 26/01/2012 - 3:06pm
Categories:

মোহাম্মদ আলী, ইয়াছির আরাফাত, মাইকেল জে ফক্স, পোপ জন পল টু র মত এই বিখ্যাত ব্যক্তিদের এমনকি হিটলার মত কুখ্যাত ব্যক্তির ও একটি জায়গায় মিল আছে আর তা হল একটি রোগ। যেই রোগটির পরিচিত নামটি হল পারকিনসন্স রোগ। জীবনে কোন এক সময় ওনারা প্রত্যেকই এই রোগটি ধারা আক্রান্ত হন। হ্যাঁ আজকে আমি এই রোগটি নিয়ে বলার চেষ্টা করব।
[img]http://www.medindia.net/news/featured-news/Biomarker-promise-Parkinsons-disease.jpg [/img]
ছবিঃ- পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত বিখ্যাত আমেরিকান বক্সার মোহাম্মদ আলী

পারকিনসন্স এমন একটি রোগ যদি কোন ব্যক্তি একবার আক্রান্ত হন যা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায়। এই রোগটিকে অন্য নামেও ডাকা হয়, বাংলাদেশে এটিকে প্যারালাইসিস এজিট্যান্টস বা প্যারালাইসিস নামেই বেশি জানে।

পারকিনসন্স রোগটি আসলে কি ?

এটি আসলে একটি স্নায়ুতন্ত্রের রোগ । আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের খুবই প্রয়োজনীয় কোষের নাম হল নিউরন। এই নিউরনের কাজ হল একধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে স্নায়ুকোষ গুলোর মধ্যে এক আন্তঃকোষীয় সম্পর্ক স্থাপন করা। এই অতি গুরুত্ব পূর্ণ রাসায়নিক পদার্থটির নাম হল ডপামিন। এই ডপামিনই আসলে এক ধরনের সংকেত বহন করে নিয়ে যায় এক কোষ থেকে আরেক কোষে এবং এই সংকেত শরীরের সবধরনের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে । যখন কোন কারণে এই ডপামিন সৃষ্টি না হয় বা যদি এর কার্যক্ষমতা নষ্ট যায় তখন আমাদের শরীরের স্বাভাবিক নড়াচড়া কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । আর এই অবস্থাটাকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পারকিনসন্স রোগ বা প্যারালাইসিস বলে।
[img]http://www.natural-holistic-health.com/wp-content/uploads/HLIC/1375f0cc9e8434b29df7e7578546eb44.jpg?ba4058 [/img]
ছবিঃ- ডপামিন যে ভাবে আন্তঃকোষীয় সম্পর্ক স্থাপন করে

পারকিনসন্স রোগটি কেন হয়?

আসলে ঠিক কি কারণে পারকিনসন্স রোগটি হয় তা এখনো ভালভাবে জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন এটি আসলে জীনগত এবং রাসায়নিক পদার্থের সমষ্টিগত প্রভাবে হয়। যদি কোন কারণে কলখারকানার রাসায়নিক পদার্থ বা ফসলের মাঠে ব্যবহৃত কীটনাশক বা বালাইনাশক আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে তা হলেও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৫-১০ % পারকিনসন্স রোগ হয় জিনগত কারণে। তবে সবথেকে গ্রহণযোগ্য মতামতটি হল যদি কোন কারণে স্নায়ুকোষে ফ্রি র‍্যাডিকেল (মুক্ত অণু বা আয়ন) সংস্পর্শে আসে তাহলে পারকিনসন্স রোগ হওয়ার সম্ভাবনা এনেক বেড়ে যায় । ফ্রি র‍্যাডিকেল নিয়ে পরবর্তী কোন লেখায় লিখব।

পারকিনসন্স রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?

পারকিনসন্স রোগের অনেক গুলো লক্ষণ আছে কিন্তু এই লক্ষণ গুলো ক্ষেত্র বিশেষে একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আরেকজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তির আলাদা হতে পারে। প্রথম দিকে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি এই লক্ষ্মণ গুলোকে তেমন গুরুত্ব দেয়না তাই দীর্ঘ সময় ধরে এটি রোগীর অজানাই থেকে যায়।

সাধারণ কিছু লক্ষণ
# স্বাভাবিক নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা বা ক্রমান্বয়ে লোপ পাওয়া ।
# রিজিডিটি বা শরীরের কোন কোন সংযোগ স্থলে নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারানো।
# শরীরে অনিয়ন্ত্রিত ঝাঁকুনি ।
# কথা বলার ক্ষমতা হারানো, হঠাৎ করে কথা বলার ধরন পরিবর্তন, একি শব্দ একাধিক বার বলা।
# এই রোগটির শেষ পর্যায়ে কিছু মানসিক কিছু সমস্যা দেখা যায় যেমন- ভুলে যাওয়া, একি ঘটনাকে এক এক জনের সাথে সাথে বিভিন্ন ভাবে বলা ইত্যাদি।
# ঘাড়,হাঁটু এবং বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব করা।
# অনিয়ন্ত্রিত মূত্র ত্যাগ, অস্বাভাবিক আচরণ, খাবার গিলতে সমস্যা।
# যৌন ক্ষমতা হারানো ইত্যাদি।

কারা পারকিনসন্স রোগ দাড়া বেশি আক্রান্ত হতে পারে?

যে কারোই এই রোগটি হতে পারে তবে কিছু কারণে কারোও কারোও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
#যদি কারোও নিকট আত্মীয়ের এই রোগ থাকে তাহলে তার এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা তাহকে যেমন -বাবা,মা,দাদা দাদির তাহলে তার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
#পুরুষদের এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি নাড়ীদের থেকে।
#পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি ।
#যারা অনেক দিন যাবত নিয়মিত নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে কাজ করেন। যেমন-কলখারকানার শ্রমিক,কৃষক।

পারকিনসন্স রোগটি নির্ণয় কিভাবে করা হয়?

পারকিনসন্স রোগটি প্রাথমিক ধাপে নির্ণয় করা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই রোগটি নির্ণয় করার জন্য কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। এ কথা সত্যি চিকিৎসক এই রোগটি নির্ণয় করতে গিয়ে শতকরা ২৫-৩০ ভাগ ক্ষেতেই ভুল করে থাকেন। তাই রোগটি নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ কাছে যাওয়া উচিত।
এই রোগটি দুইটি ধাপে নির্ণয় করা যায়।
১। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়
--- আসলে এ ধাপে চিকিৎসক রোগের লক্ষণ দেখে নির্ণয় করেন । যদি রোগীর মধ্যে পারকিনন্স রোগের কমপক্ষে দুইটি লক্ষণ দেখা দেয় তা হলে রোগী পারকিনন্স রোগে আক্রান্ত বলা যায়, যেমন- রিজিডিটি, , মানসিক ভাবে অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি।
২। রোগের পরবর্তী পর্যায়ে নির্ণয়
--- এ ধাপে চিকিৎসক রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করে থাকেন। ইমেজিং (ছবি নেওয়া) একটি খুবই ভাল পদ্ধতি যেমন- এম আর আই (MRI), সিটি স্ক্যান (CT scan) কিন্তু অনেক সময়ই এগুলো দাড়া ১০০ ভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই এ জন্য সবচেয়ে ভাল ইমেজিং পদ্ধতি হল Positron emission tomography (PET) এবং single-photon emission computed tomography (SPECT)। এগুলো দারা প্রায় ১০০ ভাগ নিশ্চিত ভাবে পারকিনসন্স রোগ নির্ণয় করা যায় যা কিনা এফ ডি অ্যা (FDA) দারা অনুমোদিত কিন্তু এ গুলো খুব ব্যয়সাপেক্ষ।
[img]http://sites.lafayette.edu/neur401-sp10/files/2010/04/PET_scan_Parkinsons_Disease.jpg [/img]
ছবিঃ- সুস্থ ব্যক্তি ও পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির PET scan ছবি।

পারকিনসন্স রোগের চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?

আগেই বলেছি এই রোগটির আসলে কোন ভাল চিকিৎসা নেই কিন্তু নানা ধরনের ব্যবস্থপনার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে একে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু চিকিৎসা আছে আর প্রায় সব গুলোর মূল উদ্দেশ্য একই আর সেটি হল ডপামিনের পরিমাণ বাড়ানো, নিজেরা ডপামিনের মত আচরণ করা বা ডপামিনের কার্যক্ষমতাকে বাড়ানো। পারকিনসন্স নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নানা ধরনের ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় যার মধ্যে অন্যতম হল লেভোডুপা (levodopa), ডপামিন এগনষ্টীক (dopamine agonists), মাউ-বি ইনহিবিটরস (MAO-B inhibitors)। এই চিকিৎসা গুলোর মধ্যে সব থেকে কার্যকরী হল লেভোডুপা কিন্তু এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। আর যেই পারকিনসন্স রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না তাদের ক্ষেত্রে deep brain stimulation (DBS) চিকিৎসাটি কার্যকরী। এটি হল রোগীর মস্তিষ্কের মধ্যে একটা ইলেক্টটোড (একটা ধাতব পদার্থ যা থেকে ইলেক্টিকাল ইমপালস দেওয়া) বসানো হয় যেটা কাজ হল রোগীর নড়াচড়া করার জন্য প্রয়োজনীয় উত্তেজনা দেওয়া।

ছবিঃ- পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে ইলেক্টটোড স্থাপন করা হচ্ছে।

এই রোগটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার বা পানীয় পারকিনসন্স প্রতিরোধে কার্যকরী । এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পান করেন তাদের মধ্যে পারকিনসন্স হওয়ার হার কম । একটু আশ্চর্য হবেন পড়ে যে ধূমপান পারকিনসন্স প্রতিরোধে সাহায্য করে কিন্তু কিভাবে করে এখনও বিজ্ঞানীরা পরিষ্কার ভাবে কিছু জানে না । এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সিগারেটের নিকোটিন ডপামিন উত্তেজক হিসেবে কাজ করে তাই এটি পারকিনসন্স প্রতিরোধে কার্যকরী। ভিটামিন সি এবং ডি পারকিনসন্স প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আমরা সবাই কম বেশি মৃগী রোগী দেখেছি আবার আমাদের দেশে প্রায়ই শোনা যায় কারো শরীরে এক পাশ বা কোমরের থেকে নিশ্চল হয়ে গেছে, আর এটা পাপের ফল ভেবে ঝাড় পোক চিকিৎসা দেয়া শুরু করে অনেকেই। এটা একটা স্নায়ু রোগ এটা কোন পাপের ফলে নয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে সুস্ত ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। শিল্পোন্নত দেশে প্রায় শতকরা ০.৩ ভাগ মানুষ এই পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়। তাই আসুন কুসংস্কারকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে এটিকে আট-দশটি রোগের মত এটিও একটি রোগ ভেবে তাদের সাথে সেই ভাবে আচরণ করি।

ছবিসূত্রঃ- উকিপিডিয়া।
ভাল মানুষ
(আসল নাম –বিশ্বজিৎ পোদ্দার)
সুনসানইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়
দক্ষিন কোরিয়া।


Comments

মরুদ্যান's picture

ইনফরমেটিভ, কিন্তু বেশ কিছু বানান ভুল আছে:
কলখারকানা= কলকারখানা
দাড়া= দ্বারা
নাড়ী= নারী
পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব= পঞ্চাশোর্ধ্ব (ঊর্ধ্ব= উর্ধ্ব)
ঝাড় পোক= ঝাড়ফুঁক
সুস্ত= সুস্হ

এছাড়াও কিছু টাইপো আছে মনে হয়, পরের বার একটু খেয়াল করলেই এই সমস্যাটা থাকবেনা।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ আপনাকে। বানানের দিকে নজর দিব পরের লেখায়

ভালো মানুষ's picture

আপনি যে মতামত গুলো দিয়েছেন তা মেনে লেখার চেষ্টা করব। হাসি

অনার্য সঙ্গীত's picture

লেখা ভালো হয়েছে বিশ্ব। অনেক ভালো। কিছু বানান টাইপো আছে, পরেরবার খেয়াল করো। লেখার সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য করতে থাকো। তাহলে দ্রুত একাউন্ট পেয়ে যাবে।

অন্য অনেকেই এই লেখার প্রশংসা করবেন। আমিও করছি। কিন্তু আমি খানিক সমালোচনাও করি। আপনজনের লেখায় মনখুলে সমালোচনা করা যায় হাসি

রোগের বর্ণনা, চিকিৎসার বর্ণনা ঠিক আছে। কিন্তু আমি নিজে ওষুধের নাম না লেখার পক্ষে। বৈজ্ঞানিক নাম লেখা যায়। কিন্তু বাজারে কী নামে পাওয়া যাবে তা না লেখাই ভালো। কারো প্রয়োজন হলে তাঁকে ডাক্তার ওষুধ লিখে দেবেন। হাসি

কফি (ক্যাফেইন) খেলে কোনো রোগ কম হয়, ধুমপানে বাড়ে/কমে, ইত্যাদি তথ্যগুলো বিজ্ঞান নয়। বেশীরভাগক্ষেত্রেই অপবিজ্ঞান! এইরকম তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে বলি। নিজে যাচাই করে না দেখে লিখ না। কফি পানের অভ্যাস যে পারকিনসন্সের ঝুঁকি কমাতে পারে, সেটা প্রমাণ করা অসম্ভব রকমের শক্ত বলে আমার মনে হয় (কফির কোনো উপাদান পারকিনসন্সের প্রভাবকগুলোর কার্যকারিতা কমাতে পারে, সেটা প্রমাণ করা বরং সহজ!) ! 'কফি খেলে পারকিনসন্স সেরে যায়' জাতীয় প্রমাণগুলো এজন্য পুনর্নীরিক্ষীত (peer rivewed) বিজ্ঞানপত্রে প্রকাশিত হয়না। প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় পত্রিকায়! সেটা সমস্যা নয়। বিজ্ঞান তো রোকেয়া আপা প্রথম আলোতেও লেখেন। সমস্যা হচ্ছে, তুমি লিখলে! তুমি বিজ্ঞান লিখলে সেটা মানুষ সত্যিকারের বিজ্ঞান হিসেবে নেবে। তোমাকে সেজন্য সর্তক থাকতে হবে বেশি। হাসি

তুমি সচলায়তনে লিখছ দেখে ভালো লাগলো। 'অকুপাই সচলায়তন' আন্দোলনে স্বাগতম। আরো দুয়েকজন বিজ্ঞান লেখক পেলেই সচলায়তনকে বৃহত্তর বিজ্ঞানায়তনের অংশ হিসেবে দাবী করব! শয়তানী হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মরুদ্যান's picture

অনার্যদা চলুক । ধূমপানের ব‌্যাপারটা আমারও খটকা লাগছিল, কিন্তু লেখক নিজে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ, ভাবলাম হতেই পারে :)।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ সঙ্গীত ভাই। এবং আমার লেখাটা খুটিয়ে পড়ার জন্য হাসি আসলে আমি এখানে বাজারে কি নামে পাওয়া যায় সেটা বলতে চাই নি মূল উপাদানটা বলতে চেয়েছি। আসলে এখানে চিকিৎসা পদ্দতি বললে ভাল হত। পরের লেখায় যত্নবান হব।
ক্যাফেইন এর ভূমিকা নিয়ে একটা গবেষণা পত্র আছে । আমি আসলে সম্ভবনা অর্থে বলেছি।
^ Costa J, Lunet N, Santos C, Santos J, Vaz-Carneiro A (2010). "Caffeine exposure and the risk of Parkinson's disease: a systematic review and meta-analysis of observational studies". J. Alzheimers Dis. 20 (Suppl 1): S221–38. doi:10.3233/JAD-2010-091525. PMID 20182023.

আপনি যে মতামত গুলো দিয়েছেন তা মেনে লেখার চেষ্টা করব। হাসি

পদ্মজা's picture

চিকিতসা বিজ্ঞানে মাত্র কয়েকটি রোগে ধূমপান এর ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিষ্ঠিত নয়। যেমনঃ পার্কিনসন্স ডিজিজ, আলসারাইটিভ কোলাইটিস। ব্যাপারটা এমন নয় যে ক্যাফেইন গ্রহণ বা ধূমপান করলে এই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
গবেষণায় দেখা গেছে ধূম্পায়ীদের মাঝে এই রোগের প্রকোপ তুলনামূলক ভাবে কম।

ধন্যবাদ।
লেখা ভালো হয়েছে। চলুক

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ পদ্মজা আপনাকে ।আপনাদের রেসপন্স পেলেই লেখার উৎসাহ পাব হাসি

ফাহিম হাসান's picture

চলুক ভাল ফিডব্যাক

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ ফাহিম হাসান আপনাকে

ধ্রুবনীল's picture

লেখাটা আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। এই রোগ আমাদের পরিবারে অভিশাপের এক অন্যনাম। বাবা ভুগছেন আজ প্রায় ২০ বৎসর, ফুফুদের মধ্যেও আছে। বাবা এখন সম্পূর্ণ অন্যের উপর নির্ভরশীল, সপ্তাহে কয়েকবার ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। চিকিৎসার জন্য দেশ বিদেশের অনেক জায়গায়ই গিয়েছেন, আর্থিক আর মানসিক ক্ষতি ছাড়া আর কোন পরিবর্তন হয়নি।

উপরে অনার্য সঙ্গীতের মন্তব্যের সাথে একমত। বাবা ধূমপান করতেন না, অনেকের পরামর্শে সেই চেষ্টাও করে দেখেছেন, কফি সহ প্রাকৃতিক আরও অনেক উপাদান চেষ্টা করেছেন রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য, কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি।

আশাকরি আপনার এই লেখা পারকিনসন্স সমন্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ!

বন্দনা's picture

গুছানো একটা লিখা, অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার কাছ থেকে আর ও এই ধরনের লিখা ভবিষ্যতে আসবে আশা করছি।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ! হাসি

কৌস্তুভ's picture

ভালো লেখা। অন্যায্য মডুর ধুনফুন একেবারে উপেক্ষা করুন খাইছে

প্রথম দিকের কয়েকটা ছবি আসেনি, মডুরা একটু ঠিক করে দেবেন?

একটু বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন। agonists > এগনস্টিক হয়ে গেছে ইত্যাদি।

বিজ্ঞান-আলোচনার এই প্রবন্ধে 'এটা পাপের ফল নয়' এই প্রসঙ্গটা আসারই কথা নয়। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, যে এই কথাগুলো এখনও লোককে বলার দরকার হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত ভবিষ্যতে আর হবে না।

এই ধরনের রোগগুলো আগে রোগ বলেই জানা ছিল না। 'বয়সের সমস্যা' ইত্যাদি জেনারেলাইজড ভাবে চালিয়ে দেওয়া হত। এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সাথে রোগ বলে এগুলো চিহ্নিত হচ্ছে, আশা করি দ্রুত প্রতিরোধ/চিকিৎসাও চিহ্নিত করা যাবে এই সব রোগের।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ কৌস্তুভ দা আপনাকে ।
অন্যায্য মডুর ধুনফুন একেবারে উপেক্ষা করুন ।হাহাহাহাহ হাসি

বানানের দিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করব হাসি

সত্যপীর's picture

চলুক আরো চলুক।

..................................................................
#Banshibir.

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ আপনাকে

শাব্দিক's picture

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। ভাল লাগল।

ভালো মানুষ's picture

ধন্যবাদ আপনাকে ।

মুনেম's picture

আমি মনে হয় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছি... আমার হাতের লেখা হঠাৎ অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে... আমি লিখতে পারিনা।

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.