মানুষ

খেকশিয়াল's picture
Submitted by khekshial on Thu, 08/05/2008 - 12:09am
Categories:


কবির সাহেব চোখ কুঁচকে তাকান, রোবটটার দিকে তাকিয়ে থেকেই চুমুক দেন চায়ের কাপে ... । মুখে হাল্কা হাসি ঝুলিয়ে রাখে হিউম্যানয়েডটা, লক্ষ্য করে তার প্রতিটি পদক্ষেপ ।
'আর্থার!'
'বলুন ড. কবির'
'তুমি কি ভয় পাচ্ছ ?'
'জ্বী একটু একটু'
মনস্তাত্ত্বিক হিসেবে ড. কবিরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া । তার ‘অল্টার এরগো’ তত্ত্বের উপর নির্ভর করেই এইচ মডেলের এই হিউম্যানয়েড রোবট গুলো বানানো হয়েছিল । গত তিনমাসে ওদের বেশিরভাগই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, সবগুলোকেই করা হবে । তিনি নিজে 'নষ্ট করে ফেলা' কথাটি মেনে নেননি, নিতে পারেননি ।
'তুমি কি জান আর মাত্র এক ঘন্টা পরে তোমাকে মেরে ফেলা হবে ।'
আর্থার মাথা নিচু করে, ম্লান হেসে বলে, ‘হ্যাঁ জানি’ ।
‘তুমি কি জান তোমাদের বানানোর পেছনে বুদ্ধিটা ছিল কার ?’
‘আপনার, আমি জানি । আপনি এ সময়ের খুবই গুরূত্বপূর্ণ নামীদামী একজন বিজ্ঞানী ।’
‘আমি বিজ্ঞানী নই ’
‘ওই হল, মনস্তাত্ত্বিক, এসব ব্যাপারে আমি আবার একটু কম জানি ।’
‘তাই ? তা কোন ব্যাপারে বেশি জান ?’
‘আমি নৃ-তত্ত্বের উপর পড়াশোনা করছিলাম’
কবির সাহেব একটু হাসির ভান করেন, চোখ এড়ায় না আর্থারের ।
‘মজার না ? রোবটে পড়ে নৃ-তত্ত্ব হা হা হা ...’ জোরে জোরে হাসতে থাকে আর্থার ।
‘তা কি শিখলে এতদিনে ?’
‘তেমন কিছুই না, আপনার তত্ত্বে ভুলটুল ছিল মনে হয় অথবা আমাদের বানানোতে ভুল করেছিল । কত ফালতু রোবটগুলো কত জটিল জটিল ব্যাপার একদম পিকো সেকেন্ডে বুঝে ফেলে, আমার তো বইয়ের অর্ধেক পর্যন্ত আসতেই লেগে গেল প্রায় এক মাস ।’
‘এভাবেই তো বানানো হয়েছিল তোমাদের, মানুষের মত করে ... আত্ম-উন্মেষের ব্যাপারটা তো তোমাদের উপরই ছেড়ে দেয়া হয়েছে’ হেসে বলেন কবির,
‘হ্যাঁ আমি জানি, ল্যাবে প্রতিদিনই বলা হত এসব কথা, আর দশটা মানুষের মতই আমাদের সব কিছু আছে, অনুভূতি, চিন্তা ভাবনা, এমনকি জৈবিক ব্যাপারগুলোও । এলিস আর থরের একটা বাচ্চা হয়েছিল, নোরা, ও সুন্দর নেচে নেচে গাইতে জানত । আমাদেরকে অনেকেই মেনে নিয়েছিল, মানুষের সাথেই চলতাম, ঘুরতাম । আবার কিছু মানুষ ছিল অনেক হিংস্র, একবার দল বেঁধে বুড়ো জেমসকে আক্রমণ করেছিল কিছু ছোকরা । মেরেই ফেলতো, পারেনি আপনাদের জন্য । আমি জানতাম না ... জানতাম না যে আমরা সবসময়ই পরীক্ষাধীন ছিলাম ।’ একটু থামে আর্থার, ‘আচ্ছা আমরা কেন মানুষ হতে পারি না ? আমরাও তো একদিন বুড়ো হব , মারা যাব । আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তিও অতটা ফেলনা নয়, আবার অতিমানবিকও নয়, আমরা আর দশটা মানুষের মতই হাসি-কাঁদি । কেন মেরে ফেলছেন আমাদের ? মেরে ফেলবেন তো তৈরীই বা করলেন কেন ? এই অসুস্থতার মানে কি ?’ কাতর আর্তি ফুটে ওঠে আর্থারের মুখে ।
‘আমি জানি না আর্থার, আমাকে জিজ্ঞাসা কর না । তোমাদের বানানোটা ছিল একটি জটিল প্রক্রিয়া । আমি শুধু এটুকু বলতে পারি আমি আমার মস্তিষ্কের যতটুকু আমি ব্যবহার করতে পেরেছি তা দিয়েই দাঁড় করেছিলাম এই তত্ত্ব, আমি জানি তোমাদের হয়ত অনেক খুত আছে কিন্তু মানবিকতা নেই তা আমি বলি না, বলতে পারি না । একদম প্রথম থেকে আমি তোমাদের দেখে আসছি, পরীক্ষা করে আসছি । তোমরা অনেক জানতে চাও, চাওয়াটাই স্বাভাবিক । সত্যি কথা বলতে গেলে এটাই আমরা সবাই চেয়েছিলাম, তৈরী করতে চেয়েছিলাম এক দ্বিতীয় মানব জাতি, যারা সবসময় জ্ঞান-বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে চলবে, কদ্দুর পেরেছি আমি জানি না । এমনকি আমি তোমাদের বিবর্তনের কথাও ভেবেছি । হয়ত অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেছে, মানুষের মস্তিষ্কের অজানা অধ্যায়ের মত । তোমাদের নিয়ে পরিকল্পনা ছিল মানুষের একটি প্রোটোটাইপ তৈরী করার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ আশা হিসেবে । কেউ না পারলেও, তোমরা যাতে টিকে থাক মানুষ হয়ে, অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে । আমাদের অনেক দল এখনো যাচ্ছে, তোমাদেরও যাবার কথা ছিল । কিন্তু কিছু মানুষের কাছে তোমরা অনেক ঝুঁকি স্বরূপ, বিপদজনক, ওরা এই ঝুঁকি নিতে চায় না । মানুষের মধ্যেই এই ভেদাভেদ চলে, আর তোমরা তো তৈরী মানুষ ।’
‘কোন মানুষ আমাদের পক্ষে কথা বলবে না ?’
‘জানলে তো বলবে, কেউ জানে না । আমি নিজে জানতে পারি তোমার সাথে দেখা হবার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে । হয়ত তোমার সাথে দেখা করার পর আমাকেও বন্দী করা হবে অথবা মাথা থেকে মুছে দেয়া হবে তত্ত্বসহ তোমাদের বানানো থেকে শুরু করে সমস্ত স্মৃতি । এটা একটা অনেক গোপন প্রজেক্ট, তোমরা সব মারা গেলে, হয়ত এটাকে একটা রোবো-জেনেটিক ত্রুটি হিসেবে দেখানো হবে । আর কথা বল না, এখন যা বলি মনোযোগ দিয়ে শোনো । আমি তোমাকে একটা ফ্লাইয়ার দেব । এটা অত আধুনিক নয় তবে যথেষ্ঠ শক্তিশালী ।’
‘আপনি কি আমাকে পালাতে বলছেন ! আপনার কি মনে হয় ওরা আমাদের উপর লক্ষ্য রাখছে না ? আমাদের কথা শুনছে না ?’
‘ ওরা শুনছে ঠিকই, তবে তা একেবারে ভিন্ন কিছু কথা । আমি একটা বাচ্চাদের খেলনা দিয়ে ব্যাপারটা করছি, একদমই ভিন্ন কথা ওদের কাছে ট্রান্সমিট হচ্ছে । ... আমি জানি না আর্থার, তুমি পালাতে পারবে কিনা । কিন্তু আমি অন্তত নিজের কাছে বলতে পারব যে অন্তত একজনকে আমি সাহায্য করতে পেরেছিলাম ।’
‘আর বাকিরা ?’
‘আমি জানিনা, তুমি পালিয়ে গেলে আমাকে হয়ত মেরে ফেলা হবে তোমাকে সাহায্য করার জন্য, যদি বেঁচে থাকি তবে আমি চেষ্টা করব আবারও কাউকে বাঁচাতে’
আর্থার উঠে দাঁড়ায় । হাসিমুখে তাকিয়ে থাকে কবিরের দিকে, অনেকক্ষণ । তারপর তাকে অবাক করে দিয়ে পিছন ফিরে বলে ‘কম্পিউটার সেশন টারমিনেট কর, সাবজেক্ট সচল থাকবে’ । কবির কিছু বুঝতে পারেন না, অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখেন আর্থারকে । আর একটু পর তিনি কিছু দেখতেও পান না, এক বুক আতঙ্ক নিয়ে পড়ে থাকেন অন্ধকার অপরিচিত এক জগতে ।


কতক্ষণ এভাবে কেটেছে বলতে পারবেন না কবির, হয়ত একশো বছর অথবা এক মিনিট । হঠাৎ শুনতে পান আর্থারের গলা, ‘কবির সাহেব, শুনতে পাচ্ছেন ? এক সেকেন্ড এখুনি আপনি দেখতে পাবেন ।’
কবির সাহেব আতঙ্কিত চোখে তাকালেন চারদিকে, শুভ্র সাদা চারদিকে । পলক ফেলতে গিয়ে দেখেন পারছেন না । চোখ ঢাকছে না কেন ? কবির সাহেব শিউড়ে উঠলেন ...
‘ভয় পাবেন না কবির সাহেব, আমি বুঝিয়ে বলছি ...’
‘এক্ষুনি বল ! এগুলো কি হচ্ছে ! এক্ষুনি বল !’
‘শান্ত হোন । সব বলছি ... আপনি শান্ত হন ।’ আর্থার আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে কবির কে ।
‘এতক্ষণ যা হয়েছে তার সবকিছুই সত্যি নয়। অথবা বলা যেতে পারে এমনটা হতে পারত ।’
‘মানে !!? কি বলছ তুমি ?’
‘হ্যাঁ, যে সময়ে আপনার সাথে আমার কথা বলার সম্ভাবনা ছিল তার থেকে তিরিশ বছর কেটে গেছে, আপনি হয়ত লক্ষ্য করছেন আমি কতটা বুড়িয়ে গেছি । আসলে আমার সাথে আপনাকে ওরা দেখা করতেই দেয়নি সেইসময় । আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক ল্যাবে, অচেতন করে । আপনার ব্রেন আর নার্ভাস সিস্টেম দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে সংরক্ষণ করা হয় ভবিষ্যত প্রয়োজনের কথা ভেবে । আমরা জানতাম আমাদের কেন ওইখানে নিয়ে আসা হয়েছিল, আমরা বাঁচতে চেয়েছিলাম । অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করি এইখানে থেকে বের হবার । আপনি আসার দিনই ছিল আমাদের বেরিয়ে যাবার দিন । যখন ল্যাবে গোলাগুলি চলছিল তখন মেইন কম্পিউটার হ্যাক করছিল আমাদের একজন, আমরা জানতে পারি আপনার কথা, আপনার অবস্থার কথা । আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম আপনাকে নিয়ে যেতে ,পারিনি । এরপরে আমাদের খুঁজতে অনেক সার্চ এন্ড ডিস্ট্রয় অভিযান পাঠানো হয় নানাদিকে । সব এড়িয়ে আমরা বেঁচে থাকি কোনমতে । আমাদের সাথে যোগ দেয় অনেক মানুষ, আপনাদের মত মানুষ । তখন থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকি আমরা । আমি তবু আপনার আশা ছাড়ি না, বাকিদের অনেক বুঝাতে চেষ্টা করি আপনার প্রয়োজনীয়তার কথা । ওরা বিরক্ত হয় আমার উপর । আস্তে আস্তে আমাদের কলোনী বড় হয় । পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন শেষ । আমি আর আমার এক বন্ধু একদিন বেরিয়ে পড়ি আপনার খোঁজে, পৃথিবীর পথে । যেতে অতটা সমস্যা হয় না । যাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি সেই সাধের পৃথিবীকে নরক বানিয়ে চলে গিয়েছিল তখন সবাই । ল্যাবটা ছিল মাটির তলে । ওইখানে গিয়ে দেখি সব কিছু আগের মতই আছে নেই শুধু কোন মানুষ । কিছু মৃতদেহ অবশ্য চোখে পড়ে আমাদের । আপনাকে খুঁজে পাই আমরা, নিয়ে আসি এইখানে । ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল আপনার মস্তিষ্ককে । এতক্ষণ পর্যন্ত যা হল তা ছিল আমার আর আপনার মধ্যে একটি সম্ভাব্য কথোপকথন । আমি নিজেও জানতে চাইছিলাম আমার সাথে আপনার না হওয়া কথাগুলো । আমি ছোট থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধ ছাড়া কিছু দেখিনি । আমরা পালাবার পর থেকে এখন সেই যুদ্ধে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে । আমি জানি একমাত্র আপনিই আমাদের সাহায্য করতে পারেন । আমরা আর যুদ্ধ করতে চাই না । হয়ত ওরাও চায় না, কিন্তু ওদের বুঝাতে পারেন একমাত্র আপনিই । আপনিই পারেন মানুষের সাথে আমাদের সহাবস্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে । আমার লোকেরা বিশ্বাস করেনি আমার কথা, সবাই ভয় পায়, ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক । তাই আপনাকে নিয়ে এই পরীক্ষাটা করতেই হল, দরকার ছিল অনেক । আপনার মস্তিষ্কে আমি সেদিনের সাপেক্ষে কিছু বাড়তি স্মৃতি যুক্ত করি, আমার সাথে দেখা হবার স্মৃতি । আর বাকিটা একদম সত্যি, পার্থক্য শুধু সময়ের হেয়ালির আর কিছু না । আপনি এতক্ষণ আমার সাথেই কথা বলছিলেন, শুধু দেখছিলেন তিরিশ বছর আগের আমিকে ।’
অবাক হয়ে শুনছিলেন কবির । তাকিয়ে ছিলেন আর্থারের মুখের দিকে । ‘চ্যাসিস ইন্টেগ্রেশন’ আর্থার বলে উঠে পিছনে তাকিয়ে । কবির আস্তে আস্তে অনুভব করতে শুরু করেন তার মুখ, তার লম্বা নাক । পলক ফেলতে কষ্ট হয় না আর । আস্তে আস্তে দেখতে পান তৈরী হতে থাকা নিজের হাত, নিজের পা । খুব পরিচিত কব্জির দাগটায় হাত বুলান একবার, কে বলবে এটা কৃত্রিম ? আর্থার বাইরে ডাক দেয়, ‘কই এসো সবাই !’ রুমটার চোখ ধাঁধানো সাদা আলো চলে গিয়ে একটা নরম পবিত্রভাব আসে । কবির আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ান । রুমে তখন বাচ্চা থেকে বুড়ো অনেক মানুষের ভীড় । সবাই বড়বড় চোখে দেখছিল তাকে । আর তিনি দেখছিলেন ওদের চোখগুলো । যেগুলো জ্বলজ্বল করছিল নতুন দিনের আশায়, অপরিসীম ভালবাসায় ।


Comments

মুশফিকা মুমু's picture

আপনার সায়েন্স ফিকশন খুব খুব ভালো লাগল, ড্রামা, টুইস্ট এ ভরপুর। আরো বড় করে সিরিজ করতে পারতেন হাসি
---------------------------------------------------
মূর্ছনা কেটে গেছে সুর
জোছনা ছড়ায় বেদনা, হৃদয় আনমনা ... চির চেনা তুমি অচেনা।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল's picture

আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল, আসলে এখানে তো গল্প শুরু হল মাত্র, হয়ত সামনে আরো বাড়তেও পারে । ধন্যবাদ ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

স্নিগ্ধা's picture

খুব কম লিখিয়েরাই science fiction লেখে - আপনাকে সেজন্য সাধুবাদ জানাই!

গল্পটার জন্যেও.........

খেকশিয়াল's picture

আপনাকে ধন্যবাদ ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তীরন্দাজ's picture

ভাল সাইন্স ফিকশন!

কে রোবট, কে মানুষ? এমনই হবে একদিন। ভাল লিখেছেন আপনি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

খেকশিয়াল's picture

ধন্যবাদ তীরন্দাজ ভাই

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মাহবুব লীলেন's picture

দুর্দান্ত গল্প। দুর্দান্ত কনসেপ্ট

০২
ভাষা বিন্যাসটা আরেকবার একটু রিভিউ করা দরকার মনে হয়
কোথাও কোথাও কমিউনিকেট করতে একটু প্রব্লেম হয়

খেকশিয়াল's picture

অনেক ধন্যবাদ ।

হ্যাঁ লীলেনদা, আমার সমস্যা এইটাই, লেখলে তখন ঠিক বুঝি না, পরে আস্তে আস্তে নিজের চোখেও ধরা পড়ে ব্যাপারগুলো, এখন দেখে দেখে যতটুকু পারি এডিট করছি ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মৃদুল আহমেদ's picture

দারুণ লিখেছেন মুহাম্মদ জাফর খেঁকশিয়াল!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

খেকশিয়াল's picture

হা হা হা ধন্যবাদ মৃদুল আজিমভ ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অনিন্দিতা's picture

এক কথায় চমৎকার!
জাফর স্যারের লেখায় রোবটদের মধ্যে খুব চমৎকার ভাবে মানবিকতা থাকে। এটা আপনার গল্পে ও পেলাম॥
খুব ভাল লাগল।

অতিথি লেখক's picture

ভাল লাগল ... স্বাদটা চমৎকার
- নিশাচর (asifmt@dhaka.net)

সুলতানা পারভীন শিমুল's picture

খুবই এবং খুবই চমৎকার লাগলো !
এরকম আরো কিছু লিখে ফেলেন তো খুব তাড়াতাড়ি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শামীম হক's picture

চমৎকার সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন! বেশ ভালো।

শাহীন হাসান's picture

বেশ ভাল-লাগলো আপনার সায়েন্স ফিকশন !
তবে যোগসূত্রে টান পড়েছে কোথাও...
জনাব মাহবুব লীলেনের মতামতটি মন্দ নয়?

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

নিঘাত তিথি's picture

অনেক দিন, বলা ভালো অনেক বছর পরে সায়েন্স ফিকশান পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন আপনি। ক্যারি অন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

খেকশিয়াল's picture

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ তাদের মন্তব্যের জন্য । গল্পটা লিখেছি অনেক উত্তেজনা নিয়ে, আমার লেখা প্রথম সায়েন্স ফিকশন তো ! ভাষাবিন্যাস ছাড়াও ছোট খাট অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে, ওগুলো এখনো দেখে দেখে ঠিক করার চেষ্টা করছি ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দৃশা's picture

খোকা তুই বড় হয়ে গেলি রে বড় হয়ে গেলি...
আসলেই ভাল হইছে।

দৃশা

খেকশিয়াল's picture

হাহা ধন্যবাদ খালামুনি দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অবনীল's picture

আহা তোর এই লেখাটা আগে পড়া হয়নি। আজকে শেয়ার দিলই বলে পড়তে পারলাম। মনে হলও যেন জাফর ইকবালের কোন সায়েন্স ফিক্সান পড়ছি। চমৎকার ! তোর সাই-ফাই লেখা আরও থাকলে গ্রুপ করে বই বানায় ছাড়তে পারোস। বাজী রেখে বলতে পারই বানিয়ালুলু-র থেকে পাঠকপ্রিয়তা বেশী পাবে। ভেবে দেখ।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.