তৌফিক এলাহির এলাহি কাণ্ড

জিজ্ঞাসু's picture
Submitted by bootlessbaron on Wed, 28/01/2009 - 7:44am
Categories:

দেশের সচিব, বিচারক এসব কর্মকর্তারা যদি অপতৎপরতায় লিপ্ত হয় তাহলে দেশে গণতন্ত্র বলি, ন্যায়বিচার বলি, গুড গভার্নেন্স বলি সবই ব্যর্থ হতে বাধ্য।

প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটা কী? সরকারি কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিগ্রস্ত করুক; অথবা রাজনীতিবিদেরা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারিদের দুর্নীতিগ্রস্ত করুক; দেশ যে দুর্নীতির কারণেই আজ স্বাধীনতার ৩৭ বছর পরও সবক্ষেত্রেই একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে সেটা সুস্পষ্ট।

দেশের অনেক প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল, তাদের সাজা হল, এখন তাদের সাজা স্থগিত করা হচ্ছে; বিচার কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে; তাদেরকে ঢালাওভাবে জামিনও দেয়া হচ্ছে। আইনের মারপ্যাঁচ কি সবাই বোঝে! আমরা বুঝি দেশে ন্যায়বিচার থাকলে দেশের মানুষ অবশ্যই শান্তিতে থাকবে।

রাজনৈতিক সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যে দুর্নীতিই দেশে হয় বা হচ্ছে তা সবই রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে হয়, এবং রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে তারা নাজাত পায় বা পাবে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বিজয়ের পর বললেন বিরোধী দলকে ডেপুটি স্পিকারের পদ দেয়া হবে। তখন কিন্তু তিনি বলেননি, একটা দ্বিতীয় ডেপুটি স্পিকারের পদ সৃষ্টি করে বিরোধী দলকে তা দেয়া হবে। প্রথমে ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধী দলকে দিয়েও তারা পরে দ্বিতীয় পদ সৃষ্টি করে তাদের দলের একজন নেতাকে সেটা দিতে পারতেন। এগুলো নিরপেক্ষ অনেক লোককেই হতাশ করছে এবং করবে। কারণ আমরা একটা সহনশীল সুন্দর গণতন্ত্র চাই। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলের চেয়ে সরকারি দলের দায়িত্ব বেশি।

বিরোধী দলের অবস্থা দেখুন। একজন বিতর্কিত ব্যক্তি তাদের মুখপাত্র। তারা সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনকে বলছে কারচুপি হয়েছে অথচ উপজেলা নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে তেমন কোন কথাই বলছে না। অযথা হাল্কা বিষয় নিয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিচ্ছে। জনগণ অবশ্য এই মুহূর্তে বিরোধীদলের ব্যাপারে ততটা আগ্রহী নয়।

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদে ভাল লোকদের জায়গা দিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু দেশে দলীয় গুণ্ডাগিরি বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রথম থেকেই। প্রথম থেকে কিছু মন্ত্রীর বক্তব্যে গুণ্ডাগিরির সমর্থনে যে সুর পাওয়া গেছে তা হল - ইতিপূর্বে তারা নিগৃহীত হয়েছে এখন তারা প্রশাসনের এবং সরকারি প্রশ্রয়ে গুণ্ডাগিরি, প্রতিশোধ চালিয়ে গেলে সরকারের কিইবা করার আছে!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিজয়ের পর বলেছিলেন তিনি শুধু ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট হবেন না, বরং তিনি হবেন আমেরিকার সকল নাগরিকের প্রেসিডেন্ট। আমি মনে করি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও তাই। কিন্তু তাদের ক্ষমতার শুরুতেই তারা উপজেলা নির্বাচনে স্পষ্ট দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে এবং তৃণমূল নেতাদেরকে এই নির্বাচনে দুর্নীতি করতে প্রশ্রয় দিয়েছে সাংসদ-মন্ত্রীরা মিলে। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বারন করেছে এসব তৃণমূলের নেতারা। তার কিছু প্রকাশ পেয়েছে। ইলেকশন কমিশন এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

কী মহাভারত অশুদ্ধ হত, যদি উপজেলা নির্বাচনেও জনগণের সুষ্ঠু রায় যাচাই করা যেত। আওয়ামী লীগের দলীয় লোকের জয় হয়তো কিছু কম হত। কিন্তু এমনটি করে তাদের শুরুটা হতাশাজনক করে দিল তারা।

এদিকে মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত রাষ্ট্রপতির ভাষণেও তারা অনেক নেতার নাম নিলেও দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং একটা বড় দলের নেতা হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম নেয়ার মত সৌজন্যটা দেখাতে পারল না। আমাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন বা দিনবদলের অঙ্গীকার করা সরকারি দলের কাছে এটা কি আশা করতে পারি না!

এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কীভাবে করলে সঠিকভাবে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে তা নিয়ে সরকারকে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত মনে হচ্ছে। দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেশে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে করতে হবে যেহেতু প্যানাল কোডে যুদ্ধাপরাধের সংজ্ঞা নেই এবং বিপরীতে দণ্ডেরও সংজ্ঞা নেই। বিদেশিদের কাছে প্রমাণ, সাক্ষ্য ইত্যাদি চাইতে পারে সরকার। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যেসব প্রতিষ্ঠান পুরাতন ঘটনার তদন্তে পারদর্শী ও অভিজ্ঞ তাদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।

সরকারের শুরুটা তাই অস্পষ্টতা বা ধোঁয়াশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরীকে মৌখিকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।

আজ দু'টি পত্রিকায় চোখ বুলাতে গিয়ে চোখে পড়ল ড. তৌফিক ই ইলাহির অপসারণ দাবি করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বন্দর বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এই জাতীয় কমিটি তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রচেষ্টা দিয়ে দেশের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে দেশের খনিজ, প্রাকৃতিক সম্পদকে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য। অভিজ্ঞ শিক্ষক ড. আনু মুহাম্মদ এই কমিটির সদস্য সচিব। ড. তৌফিক চৌধুরী একজন সাবেক সচিবি যিনি তার দুরদর্শিতা দিয়ে ইতিপূর্বে দেশের খনিজ সম্পদ নিয়ে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীর স্বার্থ রক্ষায় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তিনি বিনে পয়সায় বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছিলেন কি না তা এখনও প্রমাণিত বা অপ্রমাণিত হয়নি।

খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটি প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ড. তৌফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেন তা হল, তিনি দেশের তিনটি গ্যাস ক্ষেত্রকে প্রান্তিক দেখিয়ে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর কাছে তুলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফুলবাড়ি কয়লাখনি উন্নয়নে এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সরকারের যে চুক্তি হয়েছে বলে এশিয়া এনার্জি দাবি করছে, সে রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি সম্পাদনেও তৌফিক চৌধুরী জড়িত। মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র বিস্ফোরণের জন্য দায়ী অক্সিডেন্টালকে তিনি বিচারের উর্ধ্বে রাখেন এবং সহজে দেশ থেকে চলে যেতে সহায়তা করেন। ১৯৯৮ সালে অক্সিডেন্টালের সাথে সম্পূরক চুক্তি সম্পাদনের সময় মাত্র পাঁচ শতাংশ অতিরিক্ত গ্যাস বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখানোর প্রস্তাব অনুমোদনের ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা পালন করেন।

বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থে একাধিক অসম অংশীদারী চুক্তি (পিএসসি) সম্পাদন করেন তৌফিক চৌধুরী যা তিনি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিকেও দেখতে না দেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়েছেন। ড. চৌধুরী বিদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কার্যালয় উদ্বোধন করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে।

এসব অভিযোগের সাথে বক্তারা তৌফিক চৌধুরীর বিচারও দাবি করেন এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।

ড. তৌফিক ইলাহির এমন কাণ্ডের খবর আগে জানা ছিল না। তবে খবর শুনে মনে হল দেশে যারা এলাহি কাণ্ড ঘটাতে পারে তারাই সম্মানিত হয়। তাদেরই পুষ্পস্তবকে স্তুতি হয়। তাদেরই বড় আদালত থেকে জামিন হয়। তারাই আজ হোক, কাল হোক আমাদের নেতা হবেন, মন্ত্রী হবেন, সালাম, স্যালুট পাবেন। তাহলে আর পরিবর্তন আসবে কি করে?

দেশের সরকার প্রধান ও বিরোধীদলের প্রধানদের কথাবার্তায়ও সে লক্ষণ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ক্ষীণ আশা যা একটু মিটমিট করে জ্বলছে তাতে প্রধানমন্ত্রী ঘি ঢালবেন কি না সেটাই দেখার প্রত্যাশায় আছি এখন। দেশকে রাজনৈতিক দুর্নীতির কবল থেকে রাজনীতিই রক্ষা করতে পারবে। অরাজনৈতিক সরকারের ব্যর্থতা আপাতত তাই বলছে।


Comments

জ্বিনের বাদশা's picture

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একচেটিয়া সন্ত্রাসের কোন বিচার না করা, বিএনপির লোকদের হত্যা, অত্যাচার, নিপীড়ন চালিয়ে যাওয়া, চালের মূল্য কিছুটা কমানো আর সারের ভর্তুকির শুভঙ্করের ফাঁকির আড়ালে সিন্ডিকেটওলাদের আগের মতই সিন্ডিকেটেড থাকতে দেয়া (মানে ট্রেড লাইসেন্স উন্মুক্ত না করে দেয়া), উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছেতাই জবরদস্তি, প্রশাসনে আগের আমলের মতোই দলীয়করণের সব আয়োজন সম্পন্ন করা -- এসবের পর বিরোধীদলকে ডেপুটি স্পিকার দিলো কি দিলো না তার আসলে ব্যবহারিক কোন গুরুত্ব থাকেনা

আমাদের রাজনীতি যে কতটা ব্যবহারিকতা বর্জিত তা পরিস্কার হয়ে যায় এতসবের পরও বিএনপি'র
দশ টাকায় চাল খেতে চাওয়া (১),
সংসদে সামনের আসনে বসতে চাওয়া (২),
দুবছর বাদে সব শেষ হবার পর ইয়াজুদ্দিনের ইমপিচ দাবী করা (৩)
আর ডেপুটি স্পীকারের পদ চেয়ে "নির্বাচনী অঙ্গীকার ভঙ্গ হইছে" বলে লাফানো (৪) দেখে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জিজ্ঞাসু's picture

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

পরগাছা's picture

ভাল একটা নির্বাচন এবং ভাল একটা মন্ত্রী পরিষদ দেখে কিছুটা আশা করেছিলাম কিন্তু এখন দেখছি যে লাউ সেই কদু।

আনিস মাহমুদ's picture

তৌফিক এলাহী আর তৌফিক চৌধুরী কি একই লোক?

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

জিজ্ঞাসু's picture

পত্রিকায় নাম প্রকাশিত হয়েছে ড. তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

রণদীপম বসু's picture

অতি হাসি অতি কান্না
বলে গেছে রাম সন্যা...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দুর্দান্ত's picture

কুক্কুরুক্কু!

সাধু's picture

সাকাচৌ সংসদে মাতবরী করতাছে, কিছুদিন পরে ব্যনাহুরা দলবল নিয়ে নোংরামী শুরু করবে, এটা মনে হয় অবধারিত ব্যাপার, এদিকে আলীগের হীনমন্যতা কিছুতেই ঢেকে রাখা যাচ্ছেনা । সকলই গরল ভেল ।

বজলুর রহমান's picture

নতুন মন্ত্রীসভা ভালো? কিছু পরীক্ষা পাশের পরে বললে আরো বিশ্বাসযোগ্য হতো।

দিলীপবাবু এর মধ্যেই তোফায়েলের মত দামী সুট পরা শুরু করেছেন, পটভূমি কি তেমন ? নাহিদ (তাঁর নিজের ভাষ্য অনুযায়ী) নেত্রীর নির্দেশে কখনো প্রথম শ্রেণী না-পাওয়া দুজনকে উপাচার্য করেছেন। পরের জন তো শুনেছি ছাত্রজীবন থেকেই দূর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। প্রোভস্ট হিসাবে সলিমুল্লাহ হলের মূল্যবান গাছ বিক্রী করেছেন, ডীন হিসাবে ভর্তি পরীক্ষা থেকে কত পেয়েছেন হিসেব নেই, এমন কি বিভাগীয় চেয়ারম্যান পদে থেকেও ছাত্রদের উন্নয়ন ফান্ড থেকে নাকি ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যার ব্যাখ্যা অসন্তোষজনক। এক উপ-উপাচার্য নিজে ভর্তি কমিটির সভাপতি থেকেছেন মেয়ের পরীক্ষার সময়, এক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন যুবলীগের সন্ত্রাসী সভাপতি। ভালোই মনোনয়ন।

মন্ত্রীসভায় ইতিমধ্যেই ঠাঁই নিয়েছেন নিজের বেয়াই, বোনের ভাসুর (নাম নেওয়া বারন নয়)। ভাই ও ভাইপো-ও অপেক্ষমান। পুত্র না থেকেও সবার উপরে।

তৌফিকের বিষয়টা সত্যিই বেদনাদায়ক। এককালের তুখোড় ছাত্র ও সিভিল সার্ভেন্ট, মুক্তি যুদ্ধের বীরবিক্রম, শেষে ক্লিন্টনের কয়েক ঘন্টার সফরের সময় ফাইল নিয়ে কতই না ঘোরাঘুরি করলেন, যদি নেত্রীকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া যায়! জেলে গেলেন তত্ত্বাবধায়কের রোষে, সে কি সেই ব্যর্থতার জন্য ? তাই কি আবার সু্যোগ ? এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন, জয়ও হারভার্ড থেকে ডিগ্রী পেয়েছে এর মধ্যে।

উজ্জ্বল ব্যতিক্রম - মন্নুজান সুফিয়ান। আমার হাজার সালাম।

জিজ্ঞাসু's picture

মন খারাপ

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ভ্যানগার্ড [অতিথি]'s picture

"আমাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন বা দিনবদলের অঙ্গীকার করা সরকারি দলের কাছে এটা কি আশা করতে পারি না!"
আমি সবিনয়ে বলি, পারেন না, যারা দিন বদলের জন্য অঙ্গীকার করেছে তাদের কাছেও আশা করতে পারেন না, যারা দেশ-রক্ষার অঙ্গীকার করেছে তাদের কাছেও পারে না।
ভ্যানগার্ড

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.