রোমাঞ্চকর টিন প্রেগনেন্সি, বাল্যবিবাহ - কোন পথে চলছে প্রজন্ম

জিজ্ঞাসু's picture
Submitted by bootlessbaron on Sat, 25/10/2008 - 4:40am
Categories:

ট্যাবু (taboo) ইংরেজি শব্দের সঠিক বাংলা করতে গিয়ে একটু দ্বিধায় পড়েছি। একটিমাত্র শব্দ দিয়ে এর বাংলা করতে ব্যর্থ হয়ে এর ব্যাখ্যায় মনোনিবেশ করলাম। যে বিষয় সাধারণত প্রকাশ্যে, জনসমক্ষে বা পারিবারিক পরিসরে আলোচনা করে না তাকে ট্যাবু বলা হয়। যেমনঃ এইডস্ সচেতনতার নানান দিক, কিশোর কিশোরীদের যৌনশিক্ষা, বা শ্রেনীকক্ষে অ্যানাটমি পাঠে হিউম্যান রিপ্রোডাক্টিভ সিস্টেম, ইত্যাদি বিষয় সাধারণত এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করা হয়। এগুলোকেই ইংরেজি ট্যাবু শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়। পূর্বকালে মেয়েরা স্বামী, ভাসুরের নাম নিত না। এটাও ট্যাবু। বাংলাদেশে অবিবাহিতা মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা হবার কথা চিন্তা করুন। বিষয়টা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ অর্থাৎ ট্যাবু। মানুষ এ বিষয়ে কথা বলা দূরে থাক অন্যের সামলোচনা করলেও লুকিয়ে ছাপিয়ে করে বা সরাসরি কিছু না বলে, ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে।

আমেরিকায়ও বিষয়টা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ট্যাবু ছিল। কিন্তু ম্যাস সোসাইটির (গণসমাজ) প্রভাবে অনেক গণমানুষ যখন বেশি হারে এ ধরনের সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হতে থাকল তখন রাষ্ট্রের প্রয়োজন হল এ নিয়ে আইন করার। আইন হল অবিবাহিতা মায়েদের সন্তানদের জন্ম থেকে শুরু করে তাদের লালন-পালন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সরকারের ঘাড়ে চাপানোর। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এ খাতে ব্যাপক অর্থকড়ি খরচ হতে লাগল। প্রথম দিকে বিষয়টা এতটা ভয়াবহ ছিলনা। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো সামাল দিতে সরকারকে হয়তো এত বেগ পেতে হত না। কিন্তু এখন, একেবারে আধুনিক যুগে এসে আমেরিকার সমাজে এটা adolescent বা teen craze এ পরিণত হয়েছে। আমেরিকার কিশোরীরা এখন কিশোর-মাতৃত্বকে (teen motherhood) ভীষণ থ্রিলিং এবং 'cool' মনে করছে।

এ প্রসঙ্গে আমি আমেরিকান এক বন্ধুর কথা উল্লেখ করি।
তিনি এখন সিঙ্গেল মাদার কারণ তার সাবেক স্বামী ভীষণ এলকোহলিক। থাকেন মিশিগানের একটা ছোট্ট, দরিদ্র শহরে। তিনি নিজেও ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছেন। তার মেয়ের বয়স এখন ১২। তার মেয়ে ইতিমধ্যে তাকে এই বলে হুমকি দিয়েছে যে, মা তাকে খুব বেশি নজরদারি করছে। সে যা বলেছে হুবহু তা ছিল এমন - "I cannot wait to have my own baby." এমন বক্তব্যের পেছনে শো'বিজ মিডিয়ার প্রভাব কাজ করেছে সবচেয়ে বেশি। যাই হোক, আমাদের দেশে বার বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে মা হওয়ার ব্যাপারে যতটুকু জ্ঞান রাখে আমেরিকার সমবয়সী মেয়েটা কিন্তু তার চেয়ে বেশি জ্ঞান রাখে না। কিন্তু আমাদের দেশের একটা ১২ বছরের মেয়ে হয়তো এমন কথা বলবে না, যা আমার বন্ধুর মেয়েটি তাকে বলেছে। আমার বন্ধুর বক্তব্য হলো সে এ ব্যাপারে ভীষণ চিন্তিত কারণ তার মেয়ে ধীরে ধীরে বয়সন্ধির (puberty) দিকে এগিয়ে চলেছে। এই যে মা, নিজের কমবয়সে মা হওয়ার অভিজ্ঞতা হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে এখন নিজের সন্তানের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

বর্তমান সময়ে কিশোর-মাতৃত্ব (teen motherhood) নিয়ে আমেরিকায় অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ অর্থনৈতিক মন্দার এই বাজারে দু'দুটো যুদ্ধের বোঝা মাথায় নিয়ে আমেরিকার সরকারকে ব্যয় সংকোচনের নানা উপায় খুঁজতে হচ্ছে যাতে নাগরিকদের উপর থেকে করের বোঝা কিছুটা হল্কা করা যায়। তাছাড়া বিষয়টাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সমসাময়িক কয়েকটি সেলিব্রিটি ঘটনা আমেরিকায় কিশোর-মাতৃত্বের প্রতি কিশোরীদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স এর অবিবাহিতা কিশোরী বোন - টিভি অভিনেত্রি জেমি লিন স্পিয়ার্স ১৭ বছর বয়সে মা হয়েছেন; আলোচিত চলচ্চিত্র Juno র নায়িকা হাইস্কুলে পড়াকালিন অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং তার শিশুকে প্রতিপালনের জন্য এক প্রাপ্তবয়স্ক দম্পতিকে ভাড়া করে। এদিকে রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থী স্যারাহ্ প্যালিন এর ১৭ বছর বয়সী অবিবাহিতা কন্যা ব্রিস্টল এর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা মিডিয়ায় আলোচিত হয়, যেখানে স্যারাহ প্যালিন বলেছেন, ব্রিস্টল তার সন্তানকে জন্মদিবে এবং সন্তানের জনককে বিয়ে করবে।

জাতীয় কিশোর-মাতৃত্ব প্রতিরোধ কমিটির মতে এখন আমেরিকায় কিশোরী মায়েরা বছরে চার লক্ষ শিশু জন্ম দিচ্ছে। এসব শিশু এবং মা কল্যাণ তহবিলের অর্থে বেঁচেবর্তে আছে যাকে করদাতাদের জন্য এক ধরণের বোঝা মনে করা হচ্ছে।

গল্পের তারকা ও সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা হল তাদের যথেষ্ট পারিবারিক ও আর্থিক সঙ্গতি থাকার কারণে দূর থেকে কিশোর-কিশোরীদের কাছে তা cool and fantastic মনে হচ্ছে। কিন্তু একজন সাধারণ আয়ের পরিবারের টিনএজদের ক্ষেত্রে বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্কের নিম্নআয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা ৩৪ বছর বয়স্ক একজন মা - যিনি ১৫ বছর বয়সে একটি ছেলে শিশু জন্ম দিয়েছিলেন - বলেন বিষয়টা মোটেও খুব চমকপ্রদ বা রোমাঞ্চকর কিছু নয়। গত একদশক ধরে তিনি চাকুরি এবং একটা কলেজ ডিগ্রি অর্জনের জন্য পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন।

ডেলেওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সল হফম্যান এর মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এসব কিশোরী মায়ের সন্তানদের উপর সবচেয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এসব শিশুরা সরকারি শিশুসদনে বড় হয় এবং তারা হাইস্কুল শেষ করার আগে ঝরে পড়ে; ছেলে শিশুরা অপরাধ জগতে জড়িয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত জেলে পচে, আর মেয়েদের মধ্যে একইরকম কিশোর-মাতৃত্বের প্রবণতা তৈরি হয়। হফম্যানের লেখা "Kids having kids: Economic Costs and Social Consequences of Teen Pregnancy" বইয়ে দেখিয়েছেন এ বাবৎ সরকারের প্রতি বছর ৭৬০ কোটি ডলার ব্যয় হয় এবং এর সামাজিক মূল্য আরও অনেক, প্রায় তিন গুণ।

এসব মায়েরা তাদের নিজেদের পড়াশুনা শেষ করতে পারে না। জীবিকা ও শিক্ষার বিভিন্ন সুযোগ হাতছাড়া করতে বাধ্য হয়। তারা মূলতঃ মনে করে সন্তান ধারণ করা তাদের জীবনকে হয়তো আরো বেশি অর্থবহ করে তুলবে। এসব মেয়েরা কন্টাসেপশন বা বিবাহপূর্ব যৌনসম্পর্কের ব্যাপারে ভীষণ অজ্ঞতা ও অন্ধকারে থাকে বলেই এ ধরনের ঘটনা বিস্তৃত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এ বয়সে তাদেরকে একধরনের ফ্যান্টাসি তাড়া করে ফেরে এবং আবেগজনিত frustration এর কোন এক পর্যায়ে তারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাছাড়া সমাজে অবাধে এলকোহল ও মাদক সেবনের সুযোগ অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে টিন প্রেগনেন্সি ছাড়াও আরও নানা সামাজিক সমস্যার পথ খুলে যায়।

যারা কিশোর-মাতৃত্ব (teen motherhood) প্রতিরোধে কাজ করছেন তারা বলেন আমেরিকার জনগণের সাংস্কৃতিক চিন্তন ও মননে পরিবর্তন আনার সময় এসেছে। শিশুদের বয়স্ক পিতামাতা প্রয়োজন। তারা মনে করেন কমপক্ষে কুড়ি বছরের আগে মেয়েদের মা হওয়া অবাঞ্ছনীয়। এসব মায়েরা আবার সবাই যে নিজের ইচ্ছায় সন্তান ধারন করেছে তা নয়। কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়ে সন্তান নিতে বাধ্য হয়েছে। তাই পুরো ব্যাপারটার দায় কিশোর-কিশোরীদের ইচ্ছাকৃত ফ্যান্টাসির উপর চাপিয়ে দিলেও চলবে না বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সবাই স্বীকার করছেন এ নিয়ে এখনই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমেরিকাকে। তা না হলে সমাজকে আরও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে।

আমাদের দেশে সমাজের যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে তা সত্ত্বেও আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ একটা বড় সমস্যা। তাছাড়া মেয়েদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়নি। মেয়েদের সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায় শুরু হওয়া দরকার ঘর থেকে। পরিবারের মা, বোনকে ব্যক্তি হিসেবে খাটো করা বা সংসারে তাদের অবদানকে হেয় করার প্রবণতা বন্ধ করে আমাদের দেশের বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার। আসুন আমরা বাল্যবিবাহের প্রতি 'না' বলি। মেয়েদের এবং ছেলেদের শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া দরকার যার জন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ।

দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের মেয়েদের উপর ভায়োল্যান্স কমানো সম্ভব হবে। এবং একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরী। যারা নানা অপরাধের শিকার হয়েছে তাদেরকে পরিবার ও সমাজের পক্ষ থেকে অন্যায় দোষারোপ না করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু শহর কেন্দ্রিক আন্দোলন ও সচেতনতা অনুষ্ঠান পরিচালনা করাই যথেষ্ট নয়।


Comments

কবি's picture

বাচ্চা জন্ম ও পালন করা যে খুব কঠিন তা জেনেও কিভাবে এটাকে Cool মনে হতে পারে?

হিমু's picture

চমৎকার একটি পোস্ট।


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রকৃতিপ্রেমিক's picture

পুরাটা পড়লাম। ভিন্নধর্মী পোস্ট। যদিও আমাদের সমাজের অধিকাংশই এধরনের সমস্যা সম্পর্কে সজাগ তবুও এই মেসেজ গুলো সবার কাছে পৌঁছানোটা জরুরী। ধর্মীয় অনুশাসনের দোহাই দিলে তো মানুষ আজকাল প্রতিক্রিয়াশীল ভাবে, তাই বিকল্প পথে এগিয়ে তরুন সমাজকে সচেতন করা ও সচেতন রাখার প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। সমাজে এ ব্যধি একবার ঢুকে পড়লে তার খেসারত দিতে হবে সবাইকে।

এলোমেলো ভাবনা's picture

সময়োপযোগী, ভিন্নধর্মী পোষ্ট।

ক'দিন আগে বোস্টনের এক হাইস্কুলের ১৭ জন কিশোরী মা হবার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনা নিউজ মিডিয়াতে ভীষন সমালোচিত হয়।

__________________________________________

এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

মাজেদুল ইসলাম's picture

সুন্দর পোস্ট।

অভ্রনীল's picture
জিজ্ঞাসু [অতিথি]'s picture

প্রকৃতপক্ষে মিডিয়ায় কিছু ঘটনা আসে যখন সেটা সেনসেশনালাইজ করা যায়। যেমন, এক স্কুলে ১৭টা মেয়ের একসাথে এমন কাণ্ড। ঘটনার সাথে যদি সেলিব্রিটি জড়িত থাকে।
কিন্তু মিডিয়ায় আসে না শতকরা ৯৯ ভাগ ঘটনাই। আবার অনেক ক্ষেত্রে লোকাল মিডিয়ায় সীমিত থাকে। কারণ আমেরিকায় এখন ব্যাপারটা এত বেশি পরিমাণে হচ্ছে যে সাধারণ মানুষ এটাকে কোন ঘটনা বলে মনে করছে না। কিন্তু প্রগতিশীল অংশ এবং সরকার ও অর্থনীতিবিদগণ এ নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত।

ধুসর গোধূলি's picture

একজন বেবী বার্বী নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ মনে করতেই পারে যে তার একটা রিয়েল বেবী হলে ভালো হতো হয়তো!

এ ব্যাপারে কোনো সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা পেলে ভালো হতো। আসলেই এরকম কোনো ব্যাপার ঘটে কী না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুহিন's picture

দারুন

ভূঁতের বাচ্চা's picture

উপস্থাপনাটা দারুন হয়েছে লেখাটার।
অসাধারণ লাগল। তথ্যবহুলও বটে !

--------------------------------------------------------

রংতুলি's picture

লেখাটা আমার কোর্সের বিষয়বস্তু মনে করিয়ে দিলো, বিশেষ করে উইমেন’স রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ, এডোলেসেন্ট হেলথ/চাইল্ড বিয়ারিং, কন্ট্রাসেপশন, ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন এসবের সামাজিক গুরুত্ব, প্রতিবন্ধকতা (ট্যাবু), সমস্যা ইত্যাদি। আর্লি চাইল্ড বিয়ারিং আমেরিকার সমাজে এডোলেসেন্ট ক্রেজ বা নিউজ কাভারিং হলেও, আমাদের দেশের চিরন্তন সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশে কমবয়সি মায়েরা রাষ্ট্রীয় খোরপোষ তো দূর, জরুরী স্বাস্থ্য সেবাটুকুও পায় না, অন্যদিকে দ্রুত মা হওয়া বাড়িয়ে দেয় স্কুল ড্রপআউট, ইকনোমিক ডিপেন্ডেন্সি, পরিণাম - মেয়েদের প্রতি ভায়োলেন্স প্রবণতা বৃদ্ধি।এখনো বাংলাদেশ মেয়েদের বাল্যবিবাহ/মাতৃত্ব, ভায়োল্যান্স এসবের দিক থেকে প্রথম সারির দেশগুলোর একটি। এধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিৎ আরো বেশি বেশি।

সচলে এই বিষয়গুলো নিয়ে এখন আর লেখা হয় না কেন, নাকি আমার চোখে পড়ে না, কোনটা?

Post new comment

The content of this field is kept private and will not be shown publicly.